বৃষ্টিভেজা গদ্যকলাপ ৬ : আইতান কাইতান

মুজিব মেহদী এর ছবি
লিখেছেন মুজিব মেহদী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৬/২০০৮ - ১১:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়িয়ে মাত্র মাধ্যমিকে যাওয়া-আসা শুরু হয়েছে তখন, ক্ষুদ্র একটা জগৎ চোখের সামনে দেখতে না-দেখতে হঠাৎ কেমন বিশাল হয়ে উঠল। বয়স তখনো শৈশবেই স্থিত হলেও মানসিকভাবে আমরা তাড়িত-চালিত সব চুরমার করা এক কৈশোরবোধের দ্বারা। ততদিনে ধূমপানে তালিম নেয়া হয়ে গেছে, যা আজো চলমান এবং ভবিষ্যতেও না-চলবার মতো লক্ষণ স্পষ্ট নয় (ভাবলে এখন খারাপ লাগে। এতটা ইঁচড়ে পাকামো একদম ঠিক হয় নি!)। সঙ্গত কারণে নানারকম ফাঁকিঝুকিও রপ্ত হয়ে গেছে ততদিনে। মেঘগর্জন হয়ত তুঙ্গে কিন্তু বৃষ্টির একদম দেখা নেই, আবার বিনা মেঘেই বহু বহু বজ্রসম্পাত।

স্কুলে আসতে হতো দুই কিলো কাঁচাপথ পায়ে হেঁটে। বনেবাদাড়ে বেড়ে ওঠা গেঁয়োছেলের পক্ষে দুই কিলো পথ হাঁটবার নিমিত্তে কোনো পথই নয়। ওই বয়সে রোদবৃষ্টিও খুব একটা আমলে নিতাম বলে স্মরণ করতে পারি না। যেকোনোভাবে স্কুলে পৌঁছবার একটা মহাতৎপরতা ছিল। স্কুলে যে বান্ধবকুলকে বাগে পেয়েছিলাম, একদিন না-এলে ওদের জন্য বিরহদগ্ধতা বোধ হতো। বৃষ্টির দিনে পিছল পথে বইপত্র নিয়ে আছাড় খেয়ে ওঠবার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই ছিল। তবু ন-পরোয়া। ওরকম হলে বরং বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ফুটবলকে ঘিরে মাঠে মেতে থাকবার সুযোগ তৈরি হতো। তাই বৃষ্টির কারণে স্কুলে না-এসে ঘরে বসে থাকা ছিল দারুণ এক ক্ষতিকেই স্বীকার করে নেয়া। এরকম মানসদেশকাঠামোয় এক আশ্বিন শেষে দাদু জানান দিয়েছিলেন, আইতান-কাইতানের কথা। নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, এরকম দিনে স্কুলে যাবার দরকার নেই। আইতান-কাইতান কী দাদু ? 'ওরা দু'জন অনাথ ছেলেমেয়ে, ভাইবোন। কাইতান মেয়েটা নিরীহ, ধরে নিয়ে গেছে দস্যুরা। ওর কান্নাই তো ঝরছে পুরো আশ্বিন জুড়ে। আর আইতান খুব রাগী ছেলে। বোনকে দিনের পর দিন খুঁজে ফিরছে পথেঘাটে। গত ক'দিন থেকে যে ঝড়বাতাস দেখছিস ওটা ওরই যাতায়াতের ফল।' আমরা ওদের দেখি না তো ? 'আমরা কি ভূত-প্রেতও দেখি ? দেখি না। কিন্তু বাগে পেলে তো ওরা ঘাড়টা ঠিকই ভেঙে দেয়।' অন্য কোনো কারণে নয়, ঠিক এই ঘাড়ভাঙার ভয়ে সেবার আশ্বিনশেষ-কার্তিকশুরুতে বেশ কদিন স্কুলে অনুপস্থিত থেকে আইতান-কাইতানকে অনেক ভেবে উঠেছিলাম। নিজের ছোট বোনকে কাইতান ভেবে কল্পিত অপহরণকারীদের প্রতি এমন ক্ষ্যাপামো তৈরি হয়েছিল যে মনে হয়েছিল আইতানকে একবার সত্যি সত্যি দেখতে পেলে ওর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাইতানকে উদ্ধার করে আনবই এবং অপহরণকারীদের দেব ভয়ানক এক শিক্ষা!

আশ্বিন-কার্তিকের গ্রামপথগুলো অনাথ কাইতান বালিকার ক্রন্দনে আজো প্রতিবারই সিক্ত হয়ে ওঠে, ক্ষ্যাপা বালক আইতানের ক্ষ্যাপামোতে চুরমার হয়ে যায় অনেক ঘরবাড়ি, গাছপালা। অপহৃত বোনকে অন্বেষণ তার ফুরায় নি আজো। এই খোঁজাখুঁজি তার কতদিন ধরে চলবে গো! বুড্ডিস্ট মঙ্কেরা কি জানেন, যারা গোটা 'বাইস্যা'জুড়ে বাড়ি বাড়ি দান আহরণ করে ফিরেন, প্রার্থনার অংশ হিসেবে ?

বৃষ্টিভেজা গদ্যকলাপ ৫ : একলা পঙক্তির সুখদুঃখ


মন্তব্য

আসিফ মোহাম্মদ আদনান এর ছবি

আইতান-কাইতানের মিথ ভাল লাগল। আরো মিথ আশা করছি।

**গ্রামে-গঞ্জে অনেক আঞ্চলিক মিথ তৈরী হয়, সেরকম কোন মিথ কি শহরেও দেখা যায়? ফোকলোর এর খোঁজ তো অনেকেই করছেন, শহুরে মিথগুলো কি তুলে ধরা যায় না?

মুজিব মেহদী এর ছবি

শহরে আমরা যারা বসবাস করি, তাদের গরিষ্ঠাংশ তো কখনো না কখনো গ্রামেই ছিলাম। মিথের বাহন যেহেতু মানুষ, সুতরাং এ পথে গ্রামের মিথগুলোও শহরে আসবে তাই তো স্বাভাবিক। শহরে থাকতে থাকতে ওগুলো ক্রমশ পালটায় । কখনো বা পালটে যায় খোলনলচেই।

দেশজসংস্কৃতি নিয়ে যারা আগ্রহী তাদের নজর প্রায়শই গ্রামের দিকে। শহরে তারা যদি দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন, তাহলে নিশ্চয়ই রঙচঙ বদলে যাওয়া নতুন রূপে অনেক গল্পগাথাই পাওয়া যাবে ধারণা করি। তাছাড়া শহরেই জন্ম হয়েছে এমন মিথও নিশ্চয়ই আছে।

আগ্রহী হলে আপনি নিজেও তো সেরকম চেষ্টা করে দেখতে পারেন জনাব আসিফ মোহাম্মদ আদনান।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

মুজিব মেহদীর এই সিরিজ আমার কাছে সাহিত্য ঠাহর হয়
তাই "বৃষ্টি বিষয়ক অসাহিত্যিক গদ্য" এই কথাতে নারাজি দিয়ে রাখলাম

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

মুজিব মেহদী এর ছবি

কথাটা কেউ না কেউ আরো আগেই বলবেন ভেবেছিলাম। অনেকেই হয়ত বলতেও চেয়েছেন কিন্তু বলেন নি। তো ভাবলাম, চলুক এভাবেই। এবার বললেনই যখন তো বলি, এটা হয়ত সাহিত্যই। কদিন আগে দেয়া প্রিয় ব্লগার বিপ্লব রহমানের একটা পোস্টের কথা মনে আছে? ওখানে কথা হচ্ছিল যে সাহিত্যে (কবিতা, গল্প, ছড়া ইত্যাদি) ভরে যাচ্ছে সচলায়তন। ভাবলাম, একটা অসাহিত্যিক লেখা লিখি। পারলাম না। পুরানো লেখার মধ্যেও খুঁজলাম, বিস্তর লেখা আছে কিন্তু পোস্ট করার মতো পেলাম না। শেষে এই লেখাটাকেই মনে হলো যে ওই ব্যানারে দেয়া যায়, যার মধ্যে সাহিত্যও আছে, আছে সাহিত্য নয় এমন উপাদানও। তবে শেষপর্যন্ত এটাকে হয়ত সাহিত্য বলাই সঙ্গত।

আমার ছেলের বয়স এগার। সম্প্রতি ও একটা মজা রপ্ত করেছে সম্ভবত স্কুলের বন্ধুদের থেকেই। ওকে হয়ত জিজ্ঞেস করলাম, 'নিউটন কে ছিলেন?' ও বলল, 'একজন ব্যবসায়ী।' আমি বললাম, 'চিন্তা করে বল।' ও বলল, 'বললাম তো।' এবার আমি ক্ষেপে গেলাম, চোখ গরম করলাম, বললাম, 'এই তোমার জ্ঞান!' ওর মাকে ডেকে বললাম, দেখ তোমার ছেলের জ্ঞানগম্যি। মাও হয়ত চোখ গরম করে তাকাল ওর দিকে। ও তখন হেসে বলল, 'তোমরা মজা বুঝো না।'

আমি ছেলের কাছ থেকে শিখে ওই অভিনয়টাই করছিলাম এ কয়দিন। এবার বলি, 'আপনেরা মজা বুঝেন না!'
হেহেহে।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

নুশেরা তাজরীন এর ছবি

বুঝেছি, মুজিবভাই। আজকাল ক্যাটাগরি গল্প হলেও তার আগে ব্লগরব্লগর জুড়ে দিচ্ছেন অনেকে। আপনার এই সিরিজটা খুব ভাল লাগছে।

মুজিব মেহদী এর ছবি

আমিও মাঝে মাঝে তাই করি। এ সিরিজেও করেছি।

আমার ধারণা, এটা করায় এরকম একটা লক্ষণ স্পষ্ট হয় যে, মূল যে-ট্যাগিংটা করা হয়েছে সেটাই শেষ কথা নয়। আরো কথা আছে। অর্থাৎ প্রচল আঙ্গিক থেকে একটু বাইরের, এতে আছে কিছু খামতি বা কিছু বাড়তি। আবার কখনো কখনো দেখা যায়, কেবল ব্লগরব্লগর ছাড়া কোনো ট্যাগিংই করা হয় নি। এটা দিয়ে আমি বুঝি যে লেখক এখানে ক্যাটাগরি চিহ্নিত করতে গিয়ে সংশয়ে পড়েছেন। হয়ত লেখাটার একইঅঙ্গে অনেকরূপ অছে। এগুলো আমার কাছে আশাব্যঞ্জকই মনে হয়, এ অর্থে যে, প্রায়ই ওসবে বেজে ওঠে নতুন কোনো ধ্বনি, সুর, পথের ইঙ্গিত।

তবে আমি ক্যাটাগরি চিহ্নিত না করেই লেখা পোস্ট করার পক্ষে, সে সুযোগ এখানে নেই বলে এ শাসনটা মেনেই নিয়েছি। এরকম ভাবনার কারণেই হয়ত, প্রায়-ননসেন্স টার্ম (!) ব্লগরব্লগরকে ক্যাটাগরি হিসেবে আমার খুব পছন্দ হয়।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু দারুন হইছে।

কীর্তিনাশা

অতিথি লেখক এর ছবি

আইতান কাইতানের মতো অনেক লোকগল্প ছড়ি ছিটিয়ে আছে গ্রাম বাংলায়। এরকম একটি গল্প মুজিব মেহেদির বৈঠকী ঢঙে বলাটা পছন্দ হয়েছে। তবে শেষ অংশে বুদ্ধ ভিক্ষু প্রসঙ্গ না এনে ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের কথা অন্যভাবে আনা যেতো। বলছি না এটা করলেই ভালো হতো। এটা আমার মত। আবারো ধন্যবাদ মুজিব মেহেদিকে এমন সুন্দর একটি লেখা লিখে উঠবার জন্য।

-বিধান রিবেরু

মুজিব মেহদী এর ছবি

ধন্যবাদ বিধান রিবেরু। ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের প্রসঙ্গ আনলে হয়ত সমসাময়িকতাকে স্পর্শ করা যেত। কিন্তু এই খণ্ডে যে কাল চিহ্নিত, তাতে ঘূর্ণিঝড় দুর্গতরা কতদূর প্রাসঙ্গিক হতেন না হতেন সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

@মুজিব মেহদী
আরে সেকি আমিও তো আমার ছেলের কাছ থেকে শিখি ঐ অভিনয়
আর আপনার মজা বুঝেই তো করেছি মজা
আর এই মজারু আপনি নিজেই বুঝলেন না
আমার মতন চরম মুর্খ
যার সাহিত্য জ্ঞানগম্যি শুন্য
সে যখন সাহিত্য নিয়ে প্রশ্ন উসকে দিচ্ছে
সেটা তর্কের আভাস নয়
স্রেফ মজা
বাস্তবিক যদি এই তর্ক শুরু হত
তবে আমার দশা হত
ছাইড়া দে মা কেঁদে বাচি

হা হা হা

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

মুজিব মেহদী এর ছবি

মজায় মজায় এবার মজা উসুল তাহলে। কী বলেন?
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

অতিথি লেখক এর ছবি

গ্রামে বড় হওয়া প্রতিটা মানুষেরই এমন কিছু স্মৃতি থাকে। আমার সেই দিন গুলোর কথা মনে পরে গেল। ভাল লাগল খুব।

অভী আগন্তুক
----------------------

তীরন্দাজ এর ছবি

গ্রামে না থাকলেও ঘন ঘন গ্রামে যেতাম। দস্যিপণায় তটস্থ থাকতো আশে পাশের লোক। নৌকো খালি পেলেই হলো। কার নৌকো, তা ভাবার আর সময় ছিল না। আপনার লেখা আমাকে আবার গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে গেল।

"আইতান কাইতান" উপাখ্যান না শুনলেও অন্য উপাখ্যান শুনেছি।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

শাহীন হাসান এর ছবি

আশ্বিন-কার্তিকের গ্রামপথগুলো অনাথ কাইতান বালিকার ক্রন্দনে আজো প্রতিবারই সিক্ত হয়ে ওঠে, ক্ষ্যাপা বালক আইতানের ক্ষ্যাপামোতে চুরমার হয়ে যায় অনেক ঘরবাড়ি, গাছপালা। অপহৃত বোনকে অন্বেষণ তার ফুরায় নি আজো। এই খোঁজাখুঁজি তার কতদিন ধরে চলবে গো!
বৃষ্টিভেজা গদ্যকলাপ :
আমার মনে হয় সবকটা পর্বই আমি পড়েছি, কোনো একটা বাদ পড়েছে কী না মনে করতে পারছি না ;
ভাল লাগছে, ভাল লাগছে ...
ভুলে গেছি কী বৃষ্টির ঘ্রাণ...?

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

অতিথি লেখক এর ছবি

অপূর্ব সোহাগ

প্রিয় কবি, শৈশব মনে করিয়ে দিলেন যে...

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

হেঁটে যাই , শিখে যাই
পথই আমাকে দেখায়
নিমগ্ন নিস্তার।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আইতান কাইতান
ভালো লেগেছে

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

চলছে লড়াই চলুক, বৃষ্টি মঙ্গল ঝরুক।
.........................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে। আমাদের মা আজো লতাপাতা খায়।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।