ইনকিলাব সাংবাদিক চোর আর ঢাবি ও জাবির সাবেক দুজন উপাচার্য তার রক্ষক

মুজিব মেহদী এর ছবি
লিখেছেন মুজিব মেহদী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০২/২০০৯ - ৩:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার দুটো নতুন বই চিরপুষ্প একাকী ফুটেছেসটোরি লাভের গল্প ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলায় আসে নি। প্রতিদিন প্রকাশক অ্যাডর্ন ও পাঠসূত্রের স্টলে গিয়ে খোঁজ নেই, ভিতরে একটা অধীরতা কাজ করে, বাইরে প্রকাশ হতে দেই না। এরকম সময়ে নিজের আরেকটি বইকে অন্যের নামে ছাপা অবস্থায় দেখা চরম বেদনাকর ঘটনা বৈ তো নয়!

দুই বছর (সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ থেকে আগস্ট ২০০১) ধরে পথে-ঘাটে, হাটে-মাঠে, টেবিলে-স্ক্রিনে অমানুষিক শ্রম দিয়ে এবং চার বছর (২০০১-২০০৫) ধরে প্রহর গুণে ফেব্রুয়ারি ২০০৬-এ বইটার প্রকাশ সম্পন্ন হয়, আর হঠাৎই দাঁড়ি-কমাসহ তা চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনাও আমাকে দেখতে হলো। ভাগ্যিস, শুদ্ধস্বরের সামনের সচলাড্ডাটায় আজ একটা বাড়তি প্রাণের যোগ ছিল, নইলে বাজে কোনো কাণ্ডই হয়ত ঘটিয়ে ফেলতে পারতাম মেলায়। সম্ভবত আগামীকালই গ্রন্থটির সহপ্রণেতা রোকেয়া কবীর ও আমি যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে এগোবো।। আইনজীবীই হয়ত আমাদের বলবেন, এটি প্লাজিয়ারিজম নাকি থেফট, কারণ তার উপরই নির্ভর করছে বিষয়টি ক্রিমিনাল কোর্ট নাকি সিভিল কোর্টে বিচারিতব্য।

অনেকেই হয়ত জানেন যে, আওয়ামী লীগ শাসনামলের (১৯৯৬-২০০১) শেষদিকে বাংলা একাডেমীর অধীনে ৭১ খণ্ডে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রণয়ণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই ৭১ খণ্ডে ছিল ৬৪ জেলার জন্য ৬৪টি এবং অন্যান্য বিশেষ বিষয়ে আরো ৭টি (যেমন মুক্তিযুদ্ধে কিশোর-কিশোরীদের ভূমিকা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার, মুক্তিযুদ্ধ ও নারী, মুক্তিযুদ্ধ ও বহির্বিশ্ব ইত্যাদি) আলাদা আলাদা গ্রন্থের পরিকল্পনা। তখন বাংলা একাডেমীর পরিচালক ছিলেন সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অধিকাংশ পাণ্ডুলিপি প্রণয়ণ ও পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ যখন প্রায় শেষ, তখন গঠিত হয় চারদলীয় জোটের সরকার। যথারীতি প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যায় এবং সৈয়দ আনোয়ার হোসেনও বাংলা একাডেমীচ্যুত হন। কিছুদিনের মধ্যে জমাকৃত সকল পাণ্ডুলিপি স্থানান্তরিত হয় নবগঠিত মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে।

প্রকল্পের আওতায় আমরা (রোকেয়া কবীর ও মুজিব মেহদী) যথাসময়ে 'মুক্তিযুদ্ধে নারী' বিষয়ক পাণ্ডুলিপিটি জমা দিয়েছিলাম। বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে ওটি ছাপার জন্য তৈরি হয়ে ছিল বলে আমরা ধারণা করেছিলাম যে, দুদিন আগে-পরে ওটি হয়ত ছাপা হবে, কিন্তু তার সম্ভাবনা ক্রমশই শূন্যের কোঠায় চলে যায়। আমরা যেহেতু এ বাবদ বাংলা একাডেমী থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ গ্রহণ করেছিলাম, সুতরাং ২০০৪-এ এ মর্মে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে একটা চিঠি লিখি যে আমরা গ্রহণকৃত সমস্ত অর্থ রিফান্ড করে জমাকৃত পাণ্ডুলিপি এবং অন্যান্য দলিলপত্র ফেরত পেতে চাই। কিন্তু এক বছরের বেশি সময়েও মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ধরনের সাড়া দেয়া হয় নি। ফোনে যোগাযোগ করেও এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় নি। শেষে মূল্যবান দলিলপত্রাদির শোক ভুলে আমাদের কাছে থাকা কপিতে ততদিনে প্রাপ্ত বাড়তি তথ্যের সন্নিবেশ ঘটিয়ে ২০০৬-এ আইইডির ব্যানারে মুক্তিযুদ্ধ ও নারী নামে ২১৬ পৃষ্ঠার ঢাউস বইটি প্রকাশ করি ও বিনামূল্যে ব্যাপকভাবে বিতরণ করি।
auto
আজ একুশে বইমেলায় এশিয়া পাবলিকেশনস-এর স্টলে জেনারেল মইন ইউ আহমেদের 'শান্তির স্বপ্নে : সময়ের স্মৃতিচারণ' কিনতে যাই। টাকা পরিশোধ শেষে যখন বইটা ব্যাগে ঢুকাতে যাচ্ছি তখন হঠাৎই ডিসপ্লে করা বইয়ের মধ্যে চোখে পড়ে 'মুক্তিযুদ্ধে নারী' শীর্ষক একটি বই। সহজাত কৌতূহলে বইটি হাতে নিয়ে উলটেপালটে দেখি বাংলা একাডেমীতে জমা দেয়া আমাদের পাণ্ডুলিপিটির হুবহু মুদ্রণ। অতিরিক্ত সংযুক্তির মধ্যে আছে সম্পাদকদ্বয় কর্তৃক লিখিত দুই পৃষ্ঠার একটি ভূমিকা। সম্পাদক দুজন হলেন এমাজউদ্দীন আহমদ, প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জসীম উদ্দিন আহমদ, প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রন্থটির রচয়িতা হিসেবে নাম ছাপা হয়েছে দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশের। পাতা উলটাতে উলটাতে আমার গা ক্রমশ গরম হয়ে ওঠে। বিক্রেতাদের একজনকে জিজ্ঞেস করি, এই টেক্সট আপনারা পেলেন কোথায়, এটা তো আমার লেখা। উনি বললেন, আপনি মেহেদী হাসান পলাশকে ধরেন। এশিয়ার প্রকাশক ইসমাইল হোসেন বকুল সাহেবের খোঁজ করলে একজন জানান, তিনি তাঁর ছেলে। আজ উনি আসবেন না।

আশংকা হয়, নতুন অধ্যায় যুক্ত করে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ও ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র'কে বিকৃত করে নতুনভাবে ছাপানোর মতো অপরাধের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে গত পাঁচ বছরে লেখকদের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টিও হয়ত ব্যাপকভাবে লুণ্ঠিত হয়েছে। বাংলা একাডেমী থেকে স্থানান্তরিত পাণ্ডুলিপিসমূহের সবকটিই হয়ত এভাবে ওদের নিজেদের মধ্যে বিলিবণ্টন হয়েছে, আমাদেরটির মতো হয়ত আরো কোনো-কোনোটি এরকম কোনো মেধাচোরের নামে বাজারেও উপস্থিত আছে। এত বইয়ের ভিড়ে এগুলো প্রকৃত লেখকের চোখে না-পড়াই স্বাভাবিক। আমিই হয়ত প্রথম দুর্ভাগা যে প্রকাশিত হবার এক বছর পরে হলেও নিজের প্রেম-শ্রম-ঘাম দিয়ে লেখা একটি বই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন উপাচার্যের তত্ত্বাবধানে চুরি হওয়ার মতো অবিশ্বাস্য ও ন্যাক্কারজনক অভিজ্ঞতাটি অর্জন করলাম।


মন্তব্য

এনকিদু এর ছবি

ঘটনাটা আজরাতেই মেলায় শুনেছিলাম আপনার কাছ থেকে । আসলেই খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক একটি ঘটনা ।

আমিই হয়ত প্রথম দুর্ভাগা যে প্রকাশিত হবার এক বছর পরে হলেও নিজের প্রেম-শ্রম-ঘাম দিয়ে লেখা একটি বই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন উপাচার্যের তত্ত্বাবধানে চুরি হওয়ার মতো অবিশ্বাস্য ও ন্যাক্কারজনক অভিজ্ঞতাটি অর্জন করলাম।

উপাচার্যও যে মানুষ তা হাতেনাতে প্রমান দিল ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মুজিব মেহদী এর ছবি

সচলগণ যেকোনো সময় যেকোনো জায়গাকে এমনই জমিয়ে রাখতে পারেন যে, বেদনার তীব্রতাটা আড্ডায় থাকা অবস্থায় আমি আন্দাজই করতে পারি নি। আড্ডা শেষেই বেদনাটা বেশি করে বোধ হলো। তবে আমার মধ্যে তখন একটা মালিন্য যে ছিল, সেটা মহামান্য এনকিদুর ক্যামেরায় ধরা পড়ে গেছে দেখলাম।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে থাকতে পারলাম না। আপনার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি খানিকটা হলেও। বাঙ্গালীর প্ল্যাজারিজমের মেন্টালিটি কোন কালেই ঘুঁচবে না। চোথা মারতে মারতে আমাদের অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে। আমার নিজের কয়েকটা লেখা ঘষামাজা করে অন্যদের ছাপাতে দেখে ভীষন বাজে অনুভুতি হয়েছে। বড় স্কেলে আপনার কাজ চুরি করা দেখলে নিশ্চয়ই ভীষন খারাপ লাগছে।

কিছু একটা করা দরকার এই প্ল্যাজারিজমের বিরুদ্ধে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মুজিব মেহদী এর ছবি

আটর্সবিডিনিউজ২৪.কম-এ রেজাউল করিম সুমনের লেখা প্লাজিয়ারিজম বিষয়ক আরেকটা ঘটনা পড়েছিলাম। এ জাতীয় মাল দেশে অনেক আছে। এদের প্রতিহত করা দরকার। ওইখানে সেয়ানা চোর জুলফিকার নিউটনকে প্রতিহত করতে তার নামে প্রকাশিত কোনো বই যাতে কেউ প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় না করে সে মর্মে প্রচারণা চালানোর প্রস্তাব করেছিলাম।

তবে আপাতত আমি আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা ভাবছি, নইলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

এনকিদু এর ছবি

তবে আপাতত আমি আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা ভাবছি, নইলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

সহমত ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অবশ্যই যা যা করার ক'রে ব্যবস্থা নেন। সাথে থাকবো যতোটা পারি।
খুবই অসহনীয় খারাপ ঘটনা। একটা কিছু বিহিত তো করতেই হবে। মন খারাপ

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

বিষয়টি স-উপাত্ত পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা যায় না?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মুজিব মেহদী এর ছবি

হয়ত যায়, হয়ত হবে।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হোক।

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

হাসিব এর ছবি

নিন্দা জানাই এইসব চৌর্য্যবৃত্তির ।
হাল না ছেড়ে যথাসাধ্য প্রতিবাদ চালিয়ে যান ।
আমাদের সাথে পাবেন ।

মুজিব মেহদী এর ছবি

প্রতিবাদটা আপাতত শুরু করলাম ব্লগে লিখে। আপনারা সঙ্গে থাকলে নিশ্চয়ই উল্লেখযোগ্য কিছু করা যাবে।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমি সাথে আছি। যে কোন প্রয়োজনে।

...........................
Every Picture Tells a Story

অমিত আহমেদ এর ছবি

মনটা খুব তিতা হয়ে গেলো!


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অমিত এর ছবি

এইটা কিভাবে সম্ভব হল ?ফাইজলামি নাকি ?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

খুবই আশ্চর্য। কিছু একটা করা দরকার। করতেই হবে।

রেনেট এর ছবি

খুবই মেজাজ খারাপ হল। আশা ও দোয়া করি, চোরদের তাদের প্রাপ্য শাস্তি মিলবে।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

যা বলবো, তা শ্রাব্য হবে না। তাই কিছু বললাম না।

রাগিব এর ছবি

কী ভয়াবহ!!

আপনার ঐ বইটা অনলাইনে দেখেছি গত সপ্তাহে। (আপনার কপিটাই)। সেটা আজ নকল হয়ে বেরিয়েছে!!

আইনের আশ্রয় নিন। নকল বই ছাপার বিরুদ্ধে বাংলা একাডেমীর নিয়ম আছে বলে জানতাম। বাংলা একাডেমীতে অভিযোগ করুন, পত্র পত্রিকায় লিখুন। ঢিলা দেবেন না ... এদের না ঠেকালা কয় দিন পরে দেখবেন ব্যাটা মুক্তিযুদ্ধ বিশেষজ্ঞ হয়ে বসেছে।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

রাগিব এর ছবি

আমি এই পোস্টের লিংকটি ফেইসবুকের মাধ্যমে শেয়ার করলাম। আপনারাও সবাই করুন ... বাংলাদেশের অন্তত তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ ফেইসবুকে থাকে, তারা অন্তত জানুক এই বাটপার "সাংবাদিক" এর কথা। আর মুজিব ভাই, দয়া করে ঐ দুই জন সাবেক উপাচার্যের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে এই ব্যাপারটি জানান। অনেক ক্ষেত্রেই "ভূমিকা" লেখার কাজটা অনেকে বই না পড়েই করে থাকে। হয়তো এই উপাচার্য দুইজন জানেনই না, তাঁদের নাম ভাঙিয়ে এই প্রতারক আপনার বইটা চুরি করে ছেপেছে।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অমিত আহমেদ এর ছবি

হয়তো এই উপাচার্য দুইজন জানেনই না, তাঁদের নাম ভাঙিয়ে এই প্রতারক আপনার বইটা চুরি করে ছেপেছে।

সে সম্ভাবনা ভালো মতোই আছে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

জিজ্ঞাসু এর ছবি

তীব্র প্রতিবাদ দিয়ে শুরু করছি।
আমাদের দেশে প্ল্যাজারাইজার অনেক, অনেক। তাদের অনেক সাধ ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখার। কিন্তু কষ্ট করে লেখায় স্পৃহা নাই। তাই সমানে চুরি করে বেড়ায়।
এটা ভীষণ লজ্জাজনক ও দুঃখজনক। আশা করছি ব্লগ, সংবাদপত্রসহ অন্যান্য মিডিয়ায় যারা প্ল্যাজারিজমের বিরোধী তারাও এর প্রতিবাদ করবেন।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

হাসিব এর ছবি

মুজিব ভাই, বিষয়টা নিয়ে কি করা যেতে পারে সেটার একটা গোছানো ও সংঘবদ্ধ কার্যক্রম হাতে নেয়া দরকার ।

১. প্রথমত বই যেহেতু ছাপানো হয়ে গেছে এবং মেলায় সেটা বিক্রিও করছে সেহেতু আইনী লড়াইটা আবশ্যক । চেষ্টা করুন কোর্ট থেকে ঐ চুরি করা বইয়ের বিক্রির ওপর স্থগিতাদেশ যত তাড়াতাড়ি বের করার ।

২. আইনী লড়াই আবশ্যক হলেও এই প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কথা আমরা সবাই জানি । এমনও হতে পারে বইমেলা শেষ হয়ে গেলেও ব্যাপারটার কোন সুরাহা হলো না । এই কারনে আইনী ব্যবস্থার পাশাপাশি বাংলা একাডেমির দারস্থ হওয়া যেতে পারে । এরপর রাগীব যেমন বললেন তেমনি ঐ উপাচার্যদের সাথে যোগাযোগ করে লেখকের ওপর চাপ সৃষ্টি করাও যেতে পারে ।

৩. চাপ সৃষ্টির ব্যাপারটা সচলেরাও করতে পারেন । প্রত্যেকে একবার করে ঐ স্টলে গিয়ে চুরির মাল কিভাবে তারা বিক্রি করছেন সেই ব্যাপারে নিজেদের মতামত জানিয়ে আসতে পারেন । এতে নিশ্চিতভাবেই প্রকাশকেরা চাপ বোধ করবেন ।

৪. প্রিন্ট বা অন্যকোন মিডিয়াতে কি বিষয়টি তুলে আনা যায় ? এটাতে এই জাতীয় কাজ ভবিষ্যতে আর যাতে না হয় সে বিষয়ে হয়তো প্রকাশকেরা সচেতন হবেন ।

রানা মেহের এর ছবি

This is unbelivable!!!
হাসিব রাগিব দুজনের আইডিয়াই ভালো।
আপনি শুরু করুন। আমাদের পাশে পাবেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

এনকিদু এর ছবি

হাসিব ভাইয়ের আইডিয়া আমারো পছন্দ হয়েছে । আমি এর পর বইমেলায় গিয়ে ঐ স্টলের সামনে দিয়ে হেঁটে আসব একটু চোখ টিপি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

তানভীর এর ছবি

ইনকিলাবে অভিযোগ করেন সাংবাদিকের নামে। অন্যান্য পত্রিকাতেও জানান। আইনী লড়াই শুরু হতে হয়ত সময় লাগবে, তার আগেই ব্যাটা যেন দৌড়ের উপর থাকে। রেগে টং

রাগিব এর ছবি

তানভীর ভাই, গ্যারান্টি সহ বলতে পারি, ইনকিলাবে অভিযোগ করে কোনো কাজ হবে না। স্ট্যাম্প নিয়ে ভুয়া খবর ছাপার পরে আমাদের সময়ের সম্পাদককে (যিনি নাকি সব ইমেইল পড়েন) ইমেইল করেছিলাম, জবাব টবাব পাইনি। ইনকিলাবের সাংবাদিক যদি হয়ে থাকে, তাকে তারা আগলেই রাখবে।

চোরের চুরি করাটা পাবলিককে জানিয়ে দিলেই কাজ হবে। ফেইসবুক আছে কী করতে!! সবাই ফেইসবুকে শেয়ার করেন, আর "ভুত-থেকে-ভুতে" পদ্ধতিতে ছড়িয়ে দেন এই পোস্টের তথ্য।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

তানভীর এর ছবি

ও হ্যাঁ। তা ঠিক। তবে জিতু ওসমানীর তুলনায় এটাকে চুনোপুঁটি মনে হচ্ছে। অভিযোগে কাজ হলে ভাল, না হলেও জানিয়ে রাখা উচিত।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এটা সাধারন চুরি নয় , এর পেছনে রাজনীতি আছে ।
বিএনপি-জামাত সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সবকিছুকে লুটে নেয়ার যে এজেন্ডা হাতে নিয়েছিল এটি তারই অংশ । খোঁজ নিয়ে দেখেন- যে হারামজাদা নিজের নামে প্রকাশ করেছে সে জামাতী চ্যালাচামুন্ডা ।

মুজিব ভাই এটা নিয়ে যথাসম্ভব হৈচৈ শুরু হোক । আইনি দিক তো আছেই সেই সাথে দরকার জোরালো হৈচৈ । বইমেলার মিডিয়া সেলের সামনে অবস্থান ধর্মঘট জাতীয় কিছু করা দরকার ।

আমরা নেটে ছড়িয়ে দিচ্ছি ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জেবতিক রাজিব হক এর ছবি

মুজিব মেহদীর ভাষ্যমতে পান্ডুলিপিটি বাংলা একাডেমী থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এর কয়েক বছর পর মেহেদী হাসান পলাশ নিজের নামে বইটি প্রকাশ করে এশিয়া পাব্লিকেশন্স থেকে। মোরশেদ ভাই, এখানে বাংলা একাডেমীকে চুরির দায়ে অভিযুক্ত করার কি কারন বুঝতে পারছি না।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

একমত ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

হাসান মোরশেদ এর ছবি

উদ্যোগটা বাংলা একাডেমীর ছিলো । বাংলা একাডেমী লেখকদের কাছ থেকে পান্ডুলিপি সংগ্রহ করেছে । তারপর তারা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়কে পান্ডুলিপি দিয়েছে ।
চোরা মেহেদী তো আর হাওয়া থেকে পান্ডুলিপি পায়নি । বাংলা একাডেমী/মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় এইসব জামাতী চামুন্ডাদের সুযোগ করে দিয়েছে । যেহেতু বাংলা একাডেমী মুল লেখকদের কাছ থেকে পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেছিল সেহেতু তাদের কাছ থেকে কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা পাওয়ার আগ পর্যন্ত চুরির দায় তাদের ঘাড়েই বর্তায় ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জেবতিক রাজিব হক এর ছবি

বাংলা একাডেমী পান্ডুলিপি দিয়ে দিয়েছিল নাকি তাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? একাডেমী হয়তো এই চুরির ঘটনা জানেইনা। আত্মপক্ষ সমর্থনের আগেই চোর অপবাদ দেয়া ‘যৌক্তিক’ হতে পারে না।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

উহু , বিষয়টা নিয়ে রাজিবের সাথে একমত নই ,বরং হাসান মোরশেদের কথাটাই যৌক্তিক মনে করি ।
কথা হচ্ছে পান্ডুলিপি দেয়া হয়েছে বাংলা একাডেমীকে , সুতরাং পান্ডুলিপি দেখভালের দায় বাংলাএকাডেমীর ।
এখন তারা যদি পরিস্কার করে বলে যে , এই পান্ডুলিপিটা আমরা অমুক সংস্থার কাছে হস্তান্তর করেছি অমুক তারিখে এবং আমাদের এখান থেকে চুরি হয়নি , তাহলে তখন যে সংস্থার হাতে ওটা গেছে , দায় তাদের বর্তায় ।
কিন্তু এর আগ পর্যন্ত দায়টা বাংলাএকাডেমীর ঘাড়েই থাকবে ।

তারেক এর ছবি

আপনাকে দেখে খুব খারাপ লাগছিলো গতকাল। এটা যে কত কষ্টের ঘটনা আমার অনুমানেরও সাধ্য নাই। প্রতিবাদ শুরু হউক।

মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে ভেবে অবাক হই। মেলায় অবস্থান ধর্মঘটের আইডিয়াটা ভালো। এই ব্যাপারটা ভেবে দেখেন। আমরা সবাই পাশে আছি আপনার।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

টিভিগুলোতো বইমেলা নিয়ে নিয়মিত অনুষ্ঠান করে .... চোরা লেখক(??) আর দুই বেকুব ভিসিকে দুইদিনের নোটিশ দিয়ে, কোন ব্যবস্থা না নিলে সরাসরি টিভিগুলোর কোন একটাকে জানিয়ে দিন ... এমন জালিয়াতির খবর লুফে নেবে বলেই মনে করি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

তীব্র প্রতিবাদ করছি । ক্রিমিনালদের বিচার চাই ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

শামীম সাগর এর ছবি

প্রথমেই আমি নিন্দা জানাই এই নিকৃষ্টতম ঘটনার

আমার আবেদন এই দুরাচারদের ছবি প্রকাশ করে দিন, দেশে-বিদেশে চোর হিসেবে তাদের খ্যাতি দুর্গন্ধ ছড়াক, তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিক তাদের স্বজনেরা পর্যন্ত

গৌতম এর ছবি

কাল আপনার সাথে এতো কথা হলো, কিন্তু এটার কথা তো জানতে পারি নাই!! আপনাকে দেখেও বুঝতে পারি নি আপনার মনের অবস্থা কী ছিলো!!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আসুন, আইনি লড়াই, মিডিয়াতে প্রকাশের সাথে সাথে বইমেলায় এশিয়া পাবলিকেশনের সামনে ঘটা করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করি।

প্রফাইল [অতিথি] এর ছবি

শিশুকালে লোকমুখে শুনেছি বিদ্যাচুরি নাকি পাপ নয়, পূণ্য। তষ্করটি হয়ত এই বিরাট পূণ্য অর্জনের লোভ সামলাতে পারেনি।

ভাগ্যিস স্টলে ছিলনা বলে আপনার কিল-ঘুষি বা গণপিটুনির হাত থেকে বেঁচে গেছে বেচারা ...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সাহস কতো!!!
সম্মিলিত জোরালো প্রতিবাদ চাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি পড়াশুনা করছি ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টা, কানাডা তে। আমাদের স্নাতকোত্তোর শ্রেনীতে একটা বাধ্যতামূলক বিসয় পড়তে হয় তা হলো " ইঞ্জিনিয়ারিং এথিক্স এন্ড ইন্টেগ্রিটি "। এখানে একটি কোর্সে যদি কেউ কারো এসাইনমেন্ট নকল করে ধরা পড়ে, অথবা কারো কাজ নিজের বলে চালিয়ে দেয় এমনকি রেফেরেন্সিংও যদি যথাযোগ্য না হয় তাহলে তার শাস্তি হলো সেই কোর্সে একটি ' এফ ৯' গ্রেড দেয়া যার মানে হলো সে বিসয়টিতে ফেল করেছে অসাধু উপায় অবলম্বন করার জন্য। আমার ভাবতে অবাক লাগে আমাদের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন উপাচার্য যারা বিদেশ থেকে ডক্টরেট করে গেছেন এত এত সব সভা সমিতিতে ভাল ভাল সব কথা বলেন তারা কিভাবে পারলেন এই কাজ করতে ? অন্যের লেখা চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেবার জন্য এদের উচিত শিক্ষা হওয়া দরকার। তাদের জনগনের সামনে ক্ষমা চাওয়া উচিত আসল লেখকের কাছে।

সচল জাহিদ
(জাহিদুল ইসলাম)

রাফি এর ছবি

স্যার, সচলায়তনে স্বাগতম।
সচলে আপনাকে দেখে ভাল লাগছে...।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

মুজিব মেহদী এর ছবি

চোরের ছবি আপলোড করতে গিয়ে বইয়ের কভারটা হারিয়ে গেল।

টেক্সটের ভিতরে আসল-নকল দুটো বইয়ের ছবিও যুক্ত করতে চাই। কীভাবে করব? দয়া করে কেউ একটু পরামর্শ দেবেন?
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

এনকিদু এর ছবি

প্রথমে ছবি ব্লগ তৈরী করুন ছবি গুলো দিয়ে । তারপর এই পোস্টে এসে যেখানে যেই ছবি দিতে চান সেখানে কার্সর রেখে এই বাক্সের নিচের দিকে ছবি জুড়ে দেয়ার আইকনে ক্লিক দিন । আপনার তৈরী করা ছবি ব্লগ ( মানে সচলের সাইটে আপনার আপলোড করা ছবি ) গুলো দেখতে পাবেন । সেখান থেকে যেটা প্রয়োজন সেটা বেছে নিন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মুজিব মেহদী এর ছবি

এখন পারলাম না, রাতে আপলোড করার চেষ্টা করব।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

রণদীপম বসু এর ছবি

auto

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মুজিব মেহদী এর ছবি

ছবি কয়েকবার আপলোড করতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিলাম। আপনি ছবিগুলো যুক্ত করে ঘাটতিটা পুষিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ রণদা।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

মুজিব ভাই,
কালকে এই ঘটনা জানতাম না। অনেক পরে এসেছি মেলায়। আপনার সঙ্গে তো কথাও হল না ঠিকমতো।
অনেকে অনেক কথা বলবে, মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।
একটা জিনিস যখন ধরা পড়েছে, এটার জের বহুদূর গড়াবেই। আমরা অনেকেই মিডিয়ায় আছি, বিষয়টি নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় প্ল্যান করে এগোতে হবে, যেন পলাশ ছাড়া না পায়, বা তার মতো আরো যারা এভাবে পাণ্ডুলিপি মেরে দিয়েছে, তাদের সবার নাম আস্তে আস্তে আসে। বুঝতে হবে এই ব্যাপারটিতে আপনি একা নন, আপনার মতো অনেকের পাণ্ডুলিপিই গায়েব হয়ে গেছে এবং আরেকজনের নামে বাজারে এসেছে। এই দলে কাউকে পান কিনা দেখুন।
আপনার এবং রোকেয়া কবীরের পাণ্ডুলিপি যে এটা, এর যা যা সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে, হাতের কাছে রাখুন। সময়মতো কাজে লাগবে। আইনি প্রক্রিয়ায় তো এগোনোই যায়, সংবাদ মাধ্যমে এগোনোটা সবচে বেশি দরকার!
আজকে মেলায় আসছেন তো? কথা হবে!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

মুজিব মেহদী এর ছবি

চিন্তার কারণ নেই, সব ডকুমেন্টস আছে।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

নির্বাক এর ছবি

এটাতো রীতিমত সমুদ্র চুরি!! তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি রেগে টং
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

বইমেলাতেই এর প্রতিবাদে একটা মানববন্ধন করতে চাই।
সামনে ব্যানার থাকবে।
মইনউ সাহেবের প্রকাশকের মুখোশ মেলার ভিতরেই উন্মোচন করা উচিত।
আগামীকাল বিকাল ৪টা ৩০এ সচলদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করছি।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হোক। মন খারাপ

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

এই প্রতিবাদে সপরিবারে উপস্থিত থাকার ইচ্ছা আছে ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

রণদীপম বসু এর ছবি

auto

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

শুধু বাঙালী ব'লে কথা না। যেই ব্যক্তিদের আর যেই মহলের মধ্যকার নাম উচ্চারিত হ'লো আপনার অভিযোগ-বিবরণীতে, সে নামগুলো সেল্ফ-এক্সপ্ল্যানেটরি-ই এই বিষয়ে, যে হ্যাঁ এমন ঘটতে পারে, ওরা এমন অনেক কিছুই ঘটাতে পারে। মন খারাপ
খুবই দুঃখজনক, হতাশাজনক। কিন্তু কিছু একটা বড় ব্যবস্থা হোক এই বিষয়ে। মন খারাপ

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

শেহাব [অতিথি] এর ছবি

চরম মেজাজ খারাপ হল। যাই করবেন একটু গুছিয়ে করবেন।

সচলায়তন এর ছবি

ব্লগার মুজিব মেহেদী এই পোস্টে একটি গুরুতর অভিযোগ করেছেন।

এরকম একটি সিরিয়াস পোস্টে অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হল। এই কারনে সবজান্তা, সবুজ বাঘ ও ধূসর গোধূলীর মন্তব্য মুছে ফেলা হল। হাসিবকে তার "হল্লা" করা বিষয়ক উপদেশটি পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

গুরুতর অন্যায়ের বিচারের ভার আদালতের। এরকম ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থকে কার্যকর পরামর্শ দেওয়াটা জরুরী।
_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

হাসিব এর ছবি

মন্তব্য এডিট করে দিলাম ।

রাগিব এর ছবি

হায় হায়, এই লোক তো দেখি ইনকিলাবের কোনো একটি "বিবাগের" সম্পাদক!!

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

আমি নিজের হাতে বি স এর হাতে লেখা দিয়ে এসেছি কিন্তু ছাপা হয়েছে আরেকজনের নামে !
আবার এক পত্রিকায় আমার প্রকাশিত লেখা অন্য পত্রিকায় আরেক জন তার নামে ছেপেছে ।
এমন অনেক নামেই পত্রিকায় ফিচার ছাপা হয় যারা আদৌ লিখেননি ।
বেশিরভাগ সময় বি.স. নিজেই এই সব ভুতুরে নামে তার কাছে জমা দেয়া ফিচার ছাপেন লেখক সম্মানী হাসিলের জন্য ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

হিমু এর ছবি

আমি হতবাক।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই সেরদরে এই গবেষণা-পান্ডুলিপি বেচে দেয়নি, আর পলাশ নিশ্চয়ই সেগুলি ফেরিওয়ালার কাছ থেকে সংগ্রহ করেনি। এই পান্ডুলিপি হস্তান্তরের সাথে কারা জড়িত, তা-ও প্রকাশ হওয়া খুব জরুরি।

ধরে নিচ্ছি প্রকাশের দায় লেখকের একার, প্রকাশক এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তাকে অবহিত করে এই বই প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা করা উচিত। দুই সাবেক উপাচার্যের কাছেও আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে জানানো উচিত, তাঁরা যে বইটির ভূমিকা লিখে একে অলঙ্কৃত করেছেন সেটি চুরির মাল।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুজিব মেহদী এর ছবি

আমি গ্রন্থটির একজন সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমদ সাহেবের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেছি। তিনি সব শুনে ‌'আনফরচুনেট' শব্দটি উচ্চারণ করে জানালেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকেই তাঁকে/তাঁদেরকে মেহেদী হাসান পলাশের পাণ্ডুলিপিটি সম্পাদনা করবার জন্য দেয়া হয়েছে। বললেন, তাঁর/তাঁদের পক্ষে তো আর বোঝা সম্ভব ছিল না যে, এর প্রকৃত রচয়িতা কে... ইত্যাদি। শেষে তিনি এমাজউদ্দীন আহমদ সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে বললেন। তবে তাঁর সাথে আমি এখনো যোগাযোগ করে উঠতে পারি নি।

শেষে আমি তাঁকে সবিনয়ে জানালাম, আমরা মামলা করবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সম্ভবত আপনার নামেও আমরা অভিযোগ উত্থাপন করব। সম্মানী মানুষ হিসেবে আপনাকে বিষয়টা পূর্বাহ্নে জানিয়ে রাখা দরকার মনে করে ফোন করলাম।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

রায়হান আবীর এর ছবি

খুবি আঘাত পেলাম। দুঃখজনক! দুঃখজনক!!

=============================

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ঘটনাটা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। এও কী সম্ভব!!!
মুজিব ভাই, আপনার পাশে আছি।

মূর্তালা রামাত

রাফি এর ছবি

মুজিব ভাই,
যেহেতু আপনার কাছে প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস আছে এবং আপনার বইটি অনেক আগে প্রকাশিত, আমার ধারণা এই চোরকে শায়েস্তা করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। তবে আইনী ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে বাংলা একাডেমীর শরণাপন্ন হওয়া দরকার।

তবে এ ঘটনায় বাকরুদ্ধ; আপনার মানসিক অবস্থা কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পারছি। আপনার সাথে আছি।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুবই দুঃখজনক। এরকম একটা কাজ মেনে নেওয়া যায় না কোনভাবেই। অপরাধের সাথে জড়িত সকলের যথাযোগ্য বিচার হোক, জোরালোভাবে এই দাবি জানাই। মুজিব ভাই, মাথা ঠান্ডা রাখুন। সুবিচার নিশ্চয়ই পাবেন। আপনার প্রতিবাদে শামিল হলাম।

মাসুদা ভাট্টি এর ছবি

মুজিব মেহদী

অত্যন্ত নোংরা এই কাণ্ড সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করার মতো ভাষা নেই।

তবে আপনি এক কাজ করুন, আপনি সত্ত্বর একটি প্রেস কনফারেন্স করুন, আপনার সহ-লেখক এবং প্রয়োজনে "চোরা-বইটির" সম্পাদকদ্বয়কে ডাকুন (তারা না এলে কেন আসবেন না সেকথা জানাতে বলুন), সঙ্গে কপিরাইট আইন বিশেষজ্ঞ একজন আইনজীবীকে রাখুন এবং তারপর দু'টি বই পাশাপাশি সবাইকে দেখান, আপনার বক্তব্য রাখুন, দাবি করুন, অবিলম্বে চোরা-বইটি বাজার থেকে তুলে নিতে, আইনী প্রক্রিয়ায় জরিমানা ধার্য করতে বলুন, প্রকাশক ও লেখককে, কারণ তথাকথিত এই সব লেখক চুরি-চামারি করে যা আনবেন প্রকাশকরা তাই-ই ছাপিয়ে দেবেন, এই ভয়ঙ্কর প্রাকটিসের অবসান হওয়া উচিত।

আপনার মানসিক অবস্থাটা বুঝতে পারছি, আর এখন শান্ত থেকে সত্য প্রতিষ্ঠার সময় বলে আপনাকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ওরা জানতে পারলে ওরাই দেখবেন আপনার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে হুলস্থুল কাণ্ড করে ফেলছে।

ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো।

এনকিদু এর ছবি

ওরা জানতে পারলে ওরাই দেখবেন আপনার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে হুলস্থুল কাণ্ড করে ফেলছে।

আসলেই চিন্তার বিষয় ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রণদীপম বসু এর ছবি

auto

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

এই চোরকে ধরিয়ে দিন।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ইরতেজা এর ছবি

এই লেখা পড়ে রাগে আমার হাত পা কাঁপছে। কি ভয়াবহ ব্যাপার। ইনকিলাব সাংবাদিকের চৌর্যবৃত্তি এর প্রতিবাদ জানাই।

ইনকিলাবে মেইল করুন কেউ

_____________________________
টুইটার

হিমু এর ছবি

ইনকিলাবের তো কোন দায় নাই এইখানে। ওদের মেইল করে কী হবে?


হাঁটুপানির জলদস্যু

বিবর্তনবাদী এর ছবি

আপনি অবশ্যই বইমেলা চলা কালীনই দু'জন ভিসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করূন। আমার মনে হয় না অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদের এই বয়সে এসে অন্যের বই চুরি করে নিজের সারা জীবনের সম্মান জলে দেবার কোন আগ্রহ থাকার কথা।

দ্রুত ব্যবস্থা নিলেই উপায় হবে। ইনটারনেটের এই যুগে তথ্য চুরি করে কেউ টিকতে পারবে না। শুভকামনা রইল।

মুজিব মেহদী এর ছবি

মন্তব্যগুলোতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এসেছে, সেসব বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা একজন ব্যারিস্টারের সঙ্গেও কথা বলেছি, তিনি কিছু করণীয় চিহ্নিত করে দিয়েছেন। মামলাটা প্রক্রিয়াধীন।
তার আগেই কিছু কাজ হচ্ছে।
১. ওরাল এবং ই-ক্যাম্পেইন;
২. মানববন্ধন;
৩. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক বরাবরে চিঠি প্রদান, যার অনুলিপি পাচ্ছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, ইনকিলাব সম্পাদক ও গ্রন্থের সম্পাদকদ্বয়; এবং
৪. সংবাদ/সাংবাদিক সম্মেলন।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

রণদীপম বসু এর ছবি

auto

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অভিজিৎ এর ছবি

খুবই দুঃখজনক। চুরি ব্যাপারটা এমনিতেই বাঙ্গালীর মজ্জাগত, এখন এত্তটাই ছোঁয়াচে হয়ে গেছে যে বলার মত নয়। ইউনিকোড আসার পর ব্যাপারটা আরো প্রকট। কিছুদিন আগে মুক্তমনায় ফরিদ আহমেদ 'আমাদের বীরাঙ্গনা নারী এবং যুদ্ধ শিশুরাঃ পাপমোচনের সময় এখনই' নামে একটি তথ্যপূর্ণ লেখা লিখেছিলেন। এরপর দিন থেকে দেখি এক ব্লগার প্রথম-আলো ব্লগে লেখাটা একটু রদবদল করে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ শুরু করেছেন। আমি ব্যাপারটা দেখে প্রতিবাদ করি। প্রতিবাদ করেন মুক্তমনার আরো কয়েকজন। শেষ মেষ লেখক তার শেষপর্বে গিয়ে ফরিদের নাম উল্লেখ করে 'কৃতজ্ঞতা' প্রকাশ করেন। আমার চোখে না পড়লে হয়ত তিনি সেটাও করতেন না।

আমার লেখা নিয়েও একই অভিজ্ঞতা আছে আমার, যদিও আমার লেখার ক্ষেত্রে আমি প্রতিবাদ করিনি। আমি ভাবতাম এই সস্তা চুরিচামাড়ি ইন্টারনেটের 'উঠতি লেখকদের' মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অন্য লেখকদের পুরো বই যে কেউ নিজের নামে চালাতে পারে - মানে চালাবার মত সাহস করতে পারে, তা দেখেই আমি হতভম্ব। এটা তো ছিচকে চুরী নয়, রীতিমত ডাকাতি।

মেহেদী হাসান পলাশের বিচার দাবি করি। সেই সাথে আরো কেউ যদি এই কুকর্মের সাথে জড়িত থাকেন তাদেরও।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

হিমু এর ছবি

অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত কৌতুক সংকলন "সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ", যার রচয়িতা আমাদেরই একজন প্রিয় সচল, থেকে দেদারসে কপি-পেস্ট চালিয়ে অন্যত্র "ব্লগিং" করে যাচ্ছেন অনেকে। তাদের কেউ কেউ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছেন, কেউ কেউ তা-ও করছেন না। লেখকের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, দেশে একটি প্রথম সারির দৈনিকেও দিনের পর দিন কোনরকম অনুমোদনের তোয়াক্কা না করে, কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে বইটি থেকে কৌতুক তুলে দেয়া হয়েছে পাঠকদের জন্য।

হাস্যকর শোনালেও বলি, আমার একটি কৌতুক সংকলন গ্রন্থিত আকারে আছে, তার নামটি আমি বলছি না কারণ সেটা নিজের বিজ্ঞাপন হয়ে যাবে। এর কিয়দংশ নেটে ব্লগ আকারে আছে। কৌতুকগুলি বেশিরভাগই সবাই জানেন, এগুলি আমার মৌলিক রচনাও নয়, কিন্তু কষ্ট করে বাংলায় অনুবাদের কাজটা করেছি। বিভিন্ন ফোরাম আর ব্লগে দেখি এর দাঁড়ি কমাসুদ্ধ লোকে তুলে দিয়ে "ব্লগিং" করছেন। ইন্টারনেটে কোথাও একটা জিনিস থাকলেই সেটা সূত্র উল্লেখ না করে হুবহু কপি করে পেস্ট মেরে "ব্লগিং" করাটা তো নিজের কাছেই অসম্মানজনক ঠেকার কথা। কিন্তু ব্রন্টোসোরাসের চামড়া নিয়েও যে কেউ কেউ এই কর্ম করে চলেন, সেটা না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত। টাইপ করার কষ্টটাও এরা পোহাতে চায় না। হয়তো বাসরঘরেও এরা কাউকে পেস্ট করে বিড়ি খেতে নিজে বাইরে চলে যাবে, কে জানে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সবজান্তা এর ছবি

হয়তো বাসরঘরেও এরা কাউকে পেস্ট করে বিড়ি খেতে নিজে বাইরে চলে যাবে, কে জানে।

আমি এমন ভলান্টায়ারি সার্ভিস দিতে আগ্রহী। কোন নম্বরে যোগাযোগ করবো ? হো হো হো


অলমিতি বিস্তারেণ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমারও একখান কৌতুকের বই আছে , যেখানে অনুবাদ আর সংগ্রহের পাশাপাশি কিছু মৌলিক কৌতুকও আছে ।
অন্য এক ব্লগে একবার সেগুলো ধারাবাহিকভাবে ছাপা হতে থাকল । আমি সেখানে গিয়ে কমেন্ট করলাম - ভাই , আপনি তো খুব সুন্দর কৌতুক লিখেন ।
উনি কমেন্টের জবাব দিলেন - এই তো চেষ্টা করি আর কি ! আপনাকে ধন্যবাদ ।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

চেষ্টা করেই এই অবস্থা? সফল হলে না জানি কী ঘটত! হো হো হো
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

তীরন্দাজ এর ছবি

ভয়ংকর.... ভয়ংকর দু:খজনক ঘটনা এটি। জেনে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। এতোটা বদ মানুষ কি করে হয়, বুঝতে পারি না। আশা করছি, প্রতিবাদ ও আইনের পথে কিছু করতে পারবেন।

তবে আমাদের দেশে এমন হওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়ভ নিজেও এর ভুক্তভোগী হয়েছিলাম একবার। স্বাধীনতার পর একুশের স্মরণে একটি গান লিখে নিজে। পাড়ার বন্ধুরা মিলে "আমার ভাই্য়ের রক্তে রাঙ্গানোর" সাথে সে গান গাইতে গাইতে শহীদ মিনারে যাই। অনেকের সাথে রেডিও বাংলাদেশও গানটি পছন্দ করে ও পরে রেকর্ড করা হয়। বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছিল। পরে দেখি গীতিকার হিসেবে ফজলে খোদার নাম। প্রচন্ড ঘৃণা হয়েছিল ও গান লিখাই ছেড়ে দিই।

আপনার ঘটনাটি তো আরো অনেক কঠিন ও বেদনাদয়ক। আপনার সাফল্য কামনা করি ও প্রতিবাদে পাশাপাশি রয়েছি বলে জানিয়ে রাখলাম।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পরী মানব এর ছবি

ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক। নিন্দার ভাষা থাকে না কোনো সুস্থ মানষের।
ফেসবুকে দেখলাম, ব্রাত্য রাইসু নামে কে একজন মুজিবকেই অপরাধী ঠাউরেছেন চোরের প্রতি ঘৃণা বর্ষণের জন্য। চোরের চেয়ে মুজিবই দোষ করেছেন বেশী।
কেন? অই চোরটা রাজাকার বলেই? অই চোরটা রাজাকারের খাতায় নাম লেখানো এই নব্য কালিদাসদের লগের লোক বলেই?
দেখবেন এরা লালনের গানকে বলে কালাম।
আর যুদ্ধোপররাধীদের পক্ষে সহানুভূতি তৈরির মিশনে নিবেদিতপ্রাণ।
চেনা দরকার এই ফুকো, জাকা লাকাদের অন্তরালের মুখোশদের।

জুয়েল বিন জহির এর ছবি

কী বলব বুঝতে পারছি না!

ধীক্কার... ধীক্কার... ধীক্কার...

মুজিব মেহদী এর ছবি

আমার বক্তব্যের একটু সংশোধনী দরকার মনে হচ্ছে। আমি বলেছিলাম দাঁড়িসহ হুবহু ছাপার কথা। এখন বই দুটোর নিখুঁত স্ক্যানিংয়ে দেখছি মাঝে মাঝে সূক্ষ্ম পরিবর্তনও সাধন করা হয়েছে। সেটা কীরকম দুয়েকটা উদাহরণ দেই।
১. আমি যেখানে স্বাধীনতার ঘোষণাকাল হিসেবে মার্ক করেছি ২৬ মার্চকে, সেখানে এরা করে দিয়েছে ২৭ মার্চ।
২. আমি যেখানে বলছি বঙ্গবন্ধু, সেখানে এরা বলছে শেখ মুজিব
৩. আমি যেখানে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ও তাঁর কর্মকাণ্ডকে মহিমান্বিত করতে চাই, সেখানে তারা সেই প্যারা বাদ দেয়া দরকার মনে করেন। এরকম একটা আশংকার কথা সম্ভবত রাগিব ভাই তাঁর কোনো মন্তব্যে উল্লেখ করেছিলেন।
এসব সূক্ষ্ম পরিবর্তনের ব্যাপার আরো পরে শেয়ার করা যাবে। এবার শেষ করি এই মন্তব্য যোগ করে যে, বইয়ের পাণ্ডুলিপি চুরির দায়টা প্রধানত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মেহেদী হাসান পলাশের হলেও এই পরিবর্তনগুলোর দায় অবশ্যই অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও অধ্যাপক জসীম উদ্দিন আহমদ নামক দুই মহান সম্পাদকের।

..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

রাগিব এর ছবি

এবার নিশ্চিত, জোট সরকারের "ইতিহাস" প্রজেক্টের অংশ হিসাবে এই চৌর্যবৃত্তিটি সম্পন্ন হয়েছে। সব পয়েন্ট টুকে রাখুন, সাংবাদিক সম্মেলনে পেশ করবেন, আর অনলাইনে, বিশেষত ফেইসবুকে সব কিছু যোগ করে দিন। আপনার এই পোস্টটি এর মধ্যে ৮০০+ বার পঠিত হয়েছে, অনেকেই এটা দেখেছে।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

উন্মাতাল তারুণ্য এর ছবি

ধিক্কার! ধিক্কার!! ধিক্কার!!!

সবুজ কুন্ডু আকা মানচুমাহারা এর ছবি

খুবই দুঃখজনক ঘটনা। মুজীব মেহেদী আপনি আইনি আশ্রয় অবশ্যই নিবেন। আমি হতবাক সত্যিই হতবাক...এতো এতো লেখাপড়া শিখে তাহলে কি লাভ...হতাশ। আমি চেস্টা করবো অনলাইনে ও অফলাইনে বেশি মানুষের কাছে এটি পৌচ্ছে দিতে।

লেনিন [অতিথি] এর ছবি

মুজিবদা, কেমন আছেন?
বরং এটাকে শাপে বর ধরে নিন। ওরা বিতর্কিত কাজ করে আপনার লেখা আরো জনপ্রিয়ই বরং করতে পারবে। তাই ক্ষতির দিকে আপনি নেই। সুতরাং মন খারাপ করবেন না।
আমরা আপনার সাথে আছি।

শামীম এর ছবি

আপনার এই লেখাটি প্রচারের উদ্দেশ্যে যথাযথ ভাবে লিংক এবং আপনার নাম সহ সম্পুর্ন টেক্সট প্রজন্ম ফোরামে প্রকাশ করেছি।

দেখতে এখানে ক্লিক করুন

(এই মন্তব্যটি ৫ ঘন্টা আগেই করার কথা ছিল, কিন্তু ইন্টারনেটের সার্ভারে বিদ্যূৎ সরবরাহকারী জেনারেটরটি বিশ্রামের জন্য বন্ধ করাতে তখন হয়ে উঠেনি।)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হিমু এর ছবি

শামীম ভাই, আমার মনে হয় সম্পূর্ণ টেক্সট এভাবে প্রকাশ না করে লিঙ্ক ও সারমর্ম দেয়াটা বেশী কার্যকরী। যারা সম্পূর্ণ বিশদ জানতে চাইবেন তারা লিঙ্ক ধরে লেখাটা পড়তে পারবেন, সারমর্মে বরং আপডেটসহ পরিস্থিতির একটা চেহারা দেয়া যেতে পারে। অর্থাৎ কী ঘটেছে, কী করণীয়, কারা এর পেছনে আছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

শামীম এর ছবি

তখন তাড়াহুড়ায় ছিলাম .... এখন টেক্সট কেটে ছেটে জরুরী অংশগুলো রাখছি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

বিমূঢ় [অতিথি] এর ছবি

ধিক্কার ওই সব }}}}{{{{ দের। আসলে এই রকম মানুষদের সমাজের চোখে চিন্থিত করে দেয়া উচিৎ। তা হলে এরা প্রতিনিয়ত কাজ গুলো করেই যাবে। দেখি এখন প্রশাসন কতটুকু কি করে।

পরী মানব এর ছবি

মুজিব, সর্বশেষ পরিস্থিতি কি?
এই বিষয়গুলো এভাবে ছেড়ে দেওয়া যায় না। আমার মনে আছে আপনি ভাগিরথীর কাহিনী খুজতে পিরোজপুরের কদমতলা ইউনিয়নের ভোরা গ্রাম পর্যন্ত গিয়েছিলেন। এটা কী কষ্টের কী আনন্দের কী গর্বের এটা আমরা বুঝি। কিন্তু অই চোরদের কাছে আতঙকজনক? এটা গত জোট আমলকে আমলে নিলেই বোঝা যাবে এদের কীর্তিকাণ্ড। একাত্তরকে ওরা পাল্টে দিতে চায়। ঠান্ডা মাথায় ইতিহাসকে ঘোরানোর অপচেষ্টা আর কি। ওরা ওদের মতো করে সবকিছু নষ্টদের অধিকারে নিতে চায়।
তবে ব্রাত্য রাইসু, ফ মজহার, সলিমউল্লাহ খানরা কিন্তু এতে ভয় গেছেন। এটা ধরা পড়ে যাওয়ায় এই চোরের পক্ষে দাড়িয়েছে। চোরকে বাচাতে আপনাকে উল্টে ঝাড়ি দিচ্ছে।
এই এরা এক বাড়ির লোক।

রাগিব এর ছবি

ফেইসবুকে ঐ কয়জনের আস্ফালন কৌতুককর। বাংলা প্রবাদ "চোরের মা'র বড় গলা" -- সেটার কথা মনে পড়ছে :)। যাহোক, গুটিকয় চোর-সমর্থকের কথাকে পাত্তা দেয়ার কারণ নেই। বই চুরি কেবল নৈতিক অপরাধ নয়, বাংলাদেশ ফৌজদারী ও দেওয়ানী দণ্ডবিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই চোরদের যথাযোগ্য আইনগত ও সামাজিক শাস্তি হোক, এটাই কাম্য।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

লিংক দেয়া যায়? আস্ফালন দেখতে মঞ্চাইতেছে দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

মুজিব মেহদী এর ছবি

ব্রাত্য রাইসু লিখিত এই নোটটি দেখুন

http://www.facebook.com/profile.php?id=534669587#/note.php?note_id=53627660722&ref=mf

রাইসুর নোটের জবাবে টি এম আহমেদ কায়সার লিখিত নোটটিও দেখতে পারেন

http://www.facebook.com/profile.php?id=534669587#/note.php?note_id=60442467937&ref=mf

..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

দৃশা এর ছবি

মুজিব ভাই কাজ হয় না তো, লিংক তো কাজ করে না... ২ টার একটাও কাজ করে না।
পড়তাম মঞ্চায় রাইসু চাচার কথা।
----------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

মুজিব মেহদী এর ছবি

কই, আমি তো খুলতে পারছি। আরেকবার দেখবেন প্লিজ।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

রাগিব এর ছবি

সম্ভবত ফেইস-বন্ধু না হলে অন্যের নোট দেখা যায়না, এরকম সেটিং করে দেয়া আছে ব্রাত্য রাইসুর অ্যাকাউন্টে।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

মুজিব মেহদী এর ছবি

মানববন্ধন অনুষ্ঠান হলো বাংলা একাডেমীতে সচল বন্ধুদের নেতৃত্বে। সে তুলনায় আমার লেখকবন্ধুদের উপস্থিতি কম ছিল। আমরা দাঁড়িয়েছিলাম তথ্যকেন্দ্রের ঠিক সামনেটায় সিঁড়ির উপরে। মানুষের প্রচণ্ড ভিড় ছিল বলে আমাদের অবস্থানটা অনেক বেশি স্পষ্টতা পায় নি। কিন্তু তবু সফল কর্মসূচি ছিল এটা। আশা করা যাচ্ছে, কাল প্রিন্ট মিডিয়ায় কাভারেজ পাওয়া যাবে। আজ রাতে চ্যানেল আইয়ের কাভারেজ আমি নিজেই দেখলাম। অন্য কোনো টিভিও কাভার করে থাকতে পারে।

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলন হবে। বুকিং কনফার্ম করা হয়েছে। এর আগে ভেনু ফ্রি নেই। সংবাদ সম্মেলনের আগেই ঘটনার বর্ণনা ও চৌর্যবৃত্তিটার ধরন সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে চিঠি যাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের কাছে। অনুলিপি পাবেন অনেকেই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবরে চিঠি দেবার পরিকল্পনা আগে ছিল না, তবে আজ আমরা সেরকম পরিকল্পনাও নিয়েছি।

ভাগীরথীর বিস্তারিত খোঁজ নিতে অনেক কিমি পথ আমাকে হাঁটতেও হয়েছিল বোধহয়। আপনি আটবছর আগের এই খবর জানেন কী করে?
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মুজিব মেহদী এর ছবি

পোস্ট করার দুদিন পরে মূল পোস্টের দুইটা জায়গায় একটা সাল বদলে দিতে হলো। আমাদের বইটার প্রকাশকাল উত্তেজনাবশত আমি তখন ভুল লিখেছিলাম। ২০০৫ না হয়ে ওটা হবে ২০০৬। সেক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের জবাব চেয়ে অপেক্ষাও ৬ মাস নয় এক বছরেরও বেশি সময় হবে।

মূল পোস্টে সংশোধন না করে কেবলই মন্তব্যের ঘরে তথ্য দিতে পারতাম, কিন্তু তাতে সেটা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ নাও করতে পারত। অনেকেই মূল পোস্টটা নানাভাবে নানাদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন বলে ওখানেই সঠিক তথ্যটা থাকা জরুরি মনে হলো। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ভুলের জন্য আমি দুঃখিত। যাঁরা এই পোস্টের তথ্যসমূহ অন্যত্র প্রকাশ করেছেন, তাঁদেরও দয়া করে সংশোধন করে দিতে অনুরোধ করছি।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

সত্যাশ্রয়ী এর ছবি

মুজিব ভাই, আমি প্রথম আলো ব্লগে লিখি। (এখানে দেওয়া নিকটা ছদ্মনিক) আপনার এই পোষ্টের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত একটু পর পরই আমি পড়ছি। পরীক্ষা চলতে থাকায় কাল আপনাদের মানব বন্ধন কর্মসূচীতে গতকাল যোগ দিতে পারিনি। কিন্তু অন্তর থেকে ঘৃণা জানাচ্ছি এসব চোরদের, আর আপনার প্রতি রইল অকৃত্রিম শ্রদ্ধা। দু'আ করি আপনার আন্দোলন সফল হোক। ভালো থাকুন।

উন্মাতাল তারুণ্য এর ছবি

প্রথম আলোতে আসা খবরের (৭/০২/২০০৯) তথ্যগত মারাত্মক বিভ্রান্তি দেখলাম। এটা সংশোধন করা জরুরি। প্রথম আলো লিখেছে:

একজন লেখকের বিরুদ্ধে পাণ্ডুলিপি চুরির অভিযোগ এনে গতকাল মেলায় তথ্যকেন্দ্রের সামনে মানববন্ধন পালন করেছেন দুই লেখক রোকেয়া কবীর ও মুজিব মেহেদী। লেখক মুজিব মেহেদীর দাবি, ‘আমাদের লেখা বই মুক্তিযুদ্ধে নারী প্রায় পুরোপুরি জাল করে প্রকাশ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও নারী বইটি। পরিবেশ ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউট থেকে মুক্তিযুদ্ধে নারী বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে। আর পাণ্ডুলিপি জাল করে লেখা বইটি ভিন্ন প্রচ্ছদে ভিন্ন একটি প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে ২০০৮ সালে।’ এ বিষয়ে খুব শিগগির বাংলা একাডেমী এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানালেন লেখকদ্বয়।

শেষ পাতা, খবর শিরোনাম: শিশুদের জন্য একটি দিন, শেষ অনুচ্ছেদ।

ইন্টারনেট সংস্করণ: http://prothom-alo.com/index.news.details.php?nid=MjE3ODA=

মুজিব মেহদী এর ছবি

ভোরের কাগজে ছাপা নিউজটায় বিভ্রান্তি আরো প্রবল।
http://www.bhorerkagoj.net/content/2009/02/07/news0004.php
সকালে লিংকটা পড়লাম, কিন্তু বুঝতে পারলাম না এখন কেন পড়তে পারছি না। এখন বলছে:‌ 'This web site at www.bhorerkagoj.net has been reported as an attack site and has been blocked based on your security preferences.'
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার লিংক ধরে গিয়ে পড়তে পারলাম। এখানে সেই অংশ তুলে দিচ্ছি। মূল খবর এখানে।

বইয়ের পাণ্ডুলিপি চুরি করে বই প্রকাশের প্রতিবাদ : এদিকে লেখক, গবেষক মুর্শিদ মেহেদী ও রোকেয়া কবীরের লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধ ও নারী বইয়ের পাণ্ডুলিপি চুরি করে তা বিকৃতি করে এশিয়া পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশ করেছেন মেহেদী হাসান নামের এক ভুঁইফোড় লেখক। বইটি সম্পাদনা করেছেন বিএনপি-জামাত ঘরানা বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক জসীম উদ্দীন। এর প্রতিবাদে গতকাল বিকালে রোকেয়া কবীর, মুর্শিদ মেহেদীসহ লেখরা বইটি অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত ও পাণ্ডুলিপি চুরির দায়ের মেহেদী হাসানসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেছেন।

রোকেয়া কবীর সাংবাদিকদের জানান, অমরা দীর্ঘদিন গবেষণা করে বইটি ছাপানোর জন্য বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষকে পাণ্ডুলিপি দিয়েছিলাম। একাডেমী আবার সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল। সেখান থেকে কিভাবে পাণ্ডুলিপি চুরি করে অন্যজন বিকৃতি করে তা বইমেলায় প্রকাশ করলো তা খতিয়ে দেখে অবলিম্বে দোষীদের শাস্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

হিমু এর ছবি

মুর্শিদ মেহেদী???

আমি একটা প্রস্তাব করছি। ভবিষ্যতে অফসেট কাগজে বড় বড় ফন্টে একটি বক্তব্য ছাপিয়ে সাংবাদিকদের হস্তান্তর করা হোক। তারা অন্তত মুজিবকে মুর্শিদ বানাবেন না তাহলে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুজিব মেহদী এর ছবি

এই প্রস্তুতিটা আমাদের ওইদিন ছিল না। না থাকাই কাল হয়েছে। অবশ্য আমরা নিজেরাও কম যাই নি, আমাদের ব্যানারেও ভুল ছিল। এখন সমস্ত কাগজপত্র প্রস্তুত। ইতোমধ্যে দুটো বই পুরোপুরি স্ক্যান করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

এম. এম. আর. জালাল এর ছবি

বইয়ের পাণ্ডুলিপি চুরির দায়টা প্রধানত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মেহেদী হাসান পলাশের হলেও এই পরিবর্তনগুলোর দায় অবশ্যই অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও অধ্যাপক জসীম উদ্দিন আহমদ নামক দুই মহান সম্পাদকের।

কোনো মনতব্য নাই,


এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"


এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"

মুজিব মেহদী এর ছবি

অসাধারণ একটা ক্লু পাওয়া গেছে। Mon, 9 Feb 2009 21:30:04 +0600 এবং Mon, 9 Feb 2009 21:44:46 +0600 টাইম অ্যান্ড ডেট মার্কিংয়ে আমাদের অফিসের ইমেইল ঠিকানায় রোকেয়া কবীর ও মুজিব মেহদীকে উদ্দেশ্য করে দুটো মেইল পাঠানো হয়েছে, যাতে মেহেদী হাসান পলাশ স্বাক্ষরিত সোয়া দুই পৃষ্ঠা আয়তনের একটা বাংলা এটাচমেন্ট আছে। মেইলের প্রেরক হিসেবে নাম পাওয়া যাচ্ছে নকল বইয়ের লেখক মেহেদী হাসান পলাশের। এর ভিতর দিয়ে সে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবার চেষ্টা করেছে। সে দোষী কি নির্দোষ তা প্রমাণ করবে আদালত। তবে পলাশের বক্তব্য যদি সঠিক হয় তাহলে সম্ভবত অপরাধীদের ক্রমটা দাঁড়ায় এরকম : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, প্রফেসর জসীম উদ্দিন আহমদ, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, এশিয়া পাবলিকেশনসের প্রকাশক ইসমাইল হোসেন বকুল, যাদের দ্বারা পলাশ ব্যবহৃত হয়েছে মাত্র।

এটাচমেন্টটার পুরো পাঠ এ মুহূর্তে এখানে দেয়া গেল না, কারণ চিঠিটি এসেছে অফিসিয়াল মেইল-ঠিকানায়। এজন্য অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত জানা জরুরি মনে করছি।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

s-s এর ছবি

এত কান্ড কখন হলো?! অনেকদিন পড়া টড়া হয়না, তাই দেখছি, এতো একেবারে রীতিমতো পুকুর চুরি!!
সংহতি প্রকাশ করছি, এবং আপনাদের লেখা মূল বইটি পড়তে চাইছি,
চৌর্যবৃত্তির শাস্তিটাও জানতে চাই --- পাবলিকলি ডিফেইম করাটা খুবই ভালো কাজ , এদেশ হলে পত্রিকা আদালত মিডিয়া সবাই আপনাকে অবশ্যই হাইলাইট করতো, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট নিয়ে আমার পড়াশোনার একটা বড় অংশ ব্যয়িত হয়েছিলো, সে ক্ষেত্রে আফসোস একটাই, বাংলাদেশের অতি পুরাতন ও অতি শ্লথগতির বিচার।
সমবেদনা ও সংহতি আবারও, আপনার সংগ্রামকে শ্রদ্ধা।

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

সুমন আজাদ এর ছবি

নিন্দা জানাই।

তানবীরা এর ছবি

এই চুরিটা বোধ হয় একদম ইউনিভার্সেল। হয় না এমন কোন দেশ বা জাতি নেই।
তীব্র ঘৃনা প্রকাশ করছি।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।