কবিতা লিখতে লিখতে প্যাচপেচে কাদা ও মার্সগ্যাসযুক্ত জলাজংলা পেরিয়ে মরুভূমির গিরগিটির সামনে পড়েও কখনো তেমন অস্বস্তি হয় নি, কিন্তু যেদিন ভরদুপুরে 'যৌনতা' বিশেষ্যের সামনে গিয়ে পড়লাম, চিনতে শিখলাম ওর ক্রিয়াভিত্তি, সহসাই উঠল গাটা ক...
৬ নভেম্বর ১৯৯৫। বাসে করে ঢাকা থেকে খুলনা যাচ্ছি, জীবনে প্রথম। ওটাই প্রথম অত দীর্ঘ ভ্রমণ আমার। কবিতার সাথে তখন মাত্র অর্ধযুগের দহরম মহরম। যা দেখি তাই সুন্দর লাগে ধরনের বয়স। পরবর্তী জীবনের অভিজ্ঞতায় দু'য়েকটা বিশেষ ব্যতিক্রমী অঞ্...
এই মাটি, ঢেউয়ে ঢেউয়ে সমুদ্র দিয়েছে-- টোলঘর, ঝাউবীথি ও কোকের পাহাড়ে বিলি কেটে আজ তার সমূহে নেমেছি, ভেজা ও চলনক্ষম বালিতে বালিতে, দূর সব দিগন্ত-আমোদী রচনায়, নিখিল সংগীতে
সমুদ্রজলের গর্জন আসলে এক নীরবতা, মনে এসে মিশে গূঢ় মন, দূরের জাহ...
উলটোদিক থেকে নামতে গিয়ে অনিবার্য পতন ঠেকাতে পা ফেলানো শিখে গেছি আজ প্রাণান্ত কৌশলে, কেননা নামতে হবে, কোথাও উঠতে হলে পূর্বাবস্থান থেকে নামতে হয়, রংজেং-এর চূড়া থেকে বিরিশিরি ম্যালা পথ, দুর্গম ঢাল, হ্রদ এবং বুনো সন্ত্রাস, বৃক্ষবিরো...
তিমি মাছের কণ্ঠা চুইয়ে জাগা বুদ্বুদসংগীত ছুঁয়ে-ছেনে দেখে নিতে যেজন পরিব্রাজক হলো বরফের দেশে, ঠিক দক্ষিণমেরুতে, আসন্ন অরণ্যা শীত, ভ্রমণসূত্র তাকে পড়িয়ে দিও মনে, সঙ্গে থাকা চাই তার দশাসই গরম কাপড়, দামী মদ, অতি সংবেদী কান আর যৎপরোনা...
রাজা যায় রাজা আসে (১৯৭৩)
তোমার দীর্ঘ জীবন আমি চাই নি কখনো অবচেতনেও
মৃত্যু ভেতরের খবরাদি জেনেছে আগেই
পৃথিবীতে করণীয় শেষ হলে চলে যাওয়া ভালো
যে তুমি হরণ কর (১৯৭৪)
এত প্রেম কোথায় ধরেছ এই দেহ ঝরনায়-- এত স্ফূর্তি
ক্ষতের বেদনাঘন মনীষ...
মাথার ভিতরে এক জ্বলজ্যান্ত মরুভূমি নিয়ে আমি আফ্রিকা থেকে ক্রমে এশিয়া ইউরোপ হয়ে নিত্য ফিরে আসতে লেগেছি নিজগৃহে-- অধীর অশান্ত স্ত্রী আমাকে জানিয়েছে, এটা ভয়ানক, এতে নাকি বালির প্রভাঁজে শুয়ে ক্যাকটাস গিরিগিটি ও বিষাক্ত সাপখোপ সঙ্গ...
হাত থেকে পড়ে ভেঙে যাচ্ছিল স্বাচ্ছন্দ্যখানি কাচের পাত্রের মতো, তার একখণ্ড তুলে এনে তোমার করতলে রাখি, কয়েকখণ্ড পকেটে পুরি ও পায়ে পায়ে রক্ত ঝরিয়ে অবশিষ্টের গায়ের উপর দিয়ে হেঁটে যাই বিষণ্ন বদনে
জেনে রাখ, বিষাদের বোঝা বয়ে যেতে বড়ো শ...
বোধকরি আমার সৃজনক্ষমতা ফ্রিজড হয়ে গেছে। যেন পাথর হয়ে গেছি শরীরসমেত। সিডরের পর থেকে গত চারদিনে কিছুই লিখতে পারিনি। ফাঁকে ফাঁকে পুরানো লিটল ম্যাগাজিনগুলোর কিয়দংশ ঘেঁটেছি। একেবারে বিমুখ হইনি। কিছু মমিনুল মউজদীন, কিছু সঞ্জীব চৌ...
দীর্ঘদিন (প্রায় ২ মাস) বাড়ির পালানে অনাথের মতো দাঁড় করিয়ে রাখা শেষে গৃহস্বামী নারায়ণজ্ঞানে তাঁর বসার ঘরে আমার প্রবেশ অনুমোদন করেছেন। শুকরিয়া!
এখন চাইলে কি আমি শোবার আগ্রহও প্রকাশ করতে পারি?
বলতে কী, বেশ ক্লান্তই হয়ে পড়েছিলাম...