অর্বাচীন পাঠকের গোধুলি বিলাস

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৬/০৭/২০১১ - ১০:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সমর সেনের কবিতা

উৎসর্গ : শুভাশীষ দাশ
[সাফাই : সমরের নাম শুনেছিলাম কিন্তু ওঁর লেখা পড়া হয়ে উঠেনি কখনো। ওঁর লেখা পড়ার প্রথম আগ্রহ সৃষ্টি হলো শুভাশীষের এই পোস্টটি পড়ে। হাতের কাছে সমর ছিলো না। তাছাড়া চেতনায় ও বাস্তবে হরতালও চলছে দিবা নিশি। অগত্যা লোভী মাকড়সার মতো আন্তঃজালের সুতো ধরেই টান দিই। না ‘বাবু বৃত্তান্ত’ পেলাম না। অনেক চেষ্টার পর হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে ঝুড়িতে তেরো-চৌদ্দখানা কবিতা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। তখনও শুভাশীষ যেন আমার কানে কানে বলছেন, “আমার মায়ের ভাষা এত স্বাদু হয়?” সমরের ‘বাবু বৃত্তান্ত’-এর আকর্ষণ এড়িয়ে যেতে কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু উপায় ছিল না। অগত্যা রকবাজ ছেলের মতো ওঁর কবিতার পিছু নিলাম। কোন এক অজ্ঞাত কারণে সেই ছেলেবেলা থেকে আজ অব্দি গদ্যের চাইতে কবিতা আমায় বেশি টানে। অথচ এই রহস্যময়ী অপ্সরা চিরদিন আমাকে কত না নিষ্ঠুর হেলাই হেনেছে, একটি বারের জন্যেও শল্মা আঁকা নেকাব তুলে দেখায় নি প্রশ্রয়ের ঝিলিক। তাই সমরের কবিতার এই অর্বাচীন পাঠ নিতান্তই ঘরোয়া গোছের। মননের বিভা সেখানে কতটুকু আলো ফোটালো সে বিবেচনায় আমি নির্ঘাত নিহত। অজ্ঞানতা ক্ষমার্হ।]

পরিচিতি

মিলনসাগরে সমর সেন সম্পর্কে লেখা,

“সমর সেন আধুনিক বাংলার বিশিষ্ট কবিদের অন্যতম। তাঁর কবিতা লেখার সময়কাল অতি স্বল্প। সাংবাদিকতা তাঁর জীবনের একটি বিশিষ্ট অধ্যায়। তিনি সশস্ত্র বিপ্লবের সমর্থক ছিলেন। তাঁর কবিতা অধিকাংশ গদ্য ছন্দে রচিত। নাগরিক জীবনের হতাশা, মধ্যবিত্ত জীবনের ক্লান্তি, স্ববিরোধিতা ও ভণ্ডামি তাঁর কবিতার প্রধান বিষয়। ‘কয়েকটি কবিতা’ (১৯৩৭), ‘নানাকথা’ (১৯৪২), ‘তিনপুরুষ’ (১৯৪৪), ‘সমর সেনের কবিতা’ (১৯৫৪) তাঁর কাব্যগ্রন্থ”।

কয়েকটি কবিতার পঠন

প্রথম যে কবিতাটি পড়ার সুযোগ হল তার শিরোনাম “তুমি যেখানেই যাও”
তুমি যেখানেই যাও,
কোনো চকিত মুহুর্তের নিঃশব্দতায়
হঠাৎ শুনতে পাবে
মৃত্যুর গম্ভীর, অবিরাম পদক্ষেপ।

আর, আমাকে ছেড়ে তুমি কোথায় যাবে ?
তুমি যেখানেই যাও
আকাশের মহাশূণ্য হ'তে জুপিটারের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি
লেডার শুভ্র বুকে পড়বে।

প্রথম স্তবকটি পড়ে মনে হল কবি যেন একটি রোমান্টিক মুহূর্তের মুখোমুখি দ্বিধান্বিত দাঁড়িয়ে আছেন, আবেগবর্জিত। ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না কোন দিকে যাবেন। কোন এক চকিত মুহূর্তে একটি নিঃশব্দতার চিহ্ন খুঁজে পাচ্ছি, শুনতে পাচ্ছি মৃত্যুর গম্ভীর পদক্ষেপ। ক্রমেই সে পদক্ষেপ অবিরাম হয়ে উঠছে। রোমান্টিকতাকে ধরতে চেয়েও না ধরতে পারার দীর্ঘশ্বাস স্পষ্ট হয়ে উঠছে যেন।

দ্বিতীয় স্তবকের শেষ দুই চরণে নিয়তিবিদ্ধ কবি যেন এক হেঁচকা টানে অনিবার্য পরিনতির নান্দীমুখে এনে ফেলেন আমাদের। রোমান্টিকতা থেকে সরে এসে কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চান। ক্লাসিসিজমের হাত ধরে অনেক বুঝে-শুনেই যেন গ্রীক পুরাণের মধ্য থেকে প্রতীক চয়ন করেন। আমরা বুঝতে পারি আকাশের মহাশূন্য হতে নেমে আসা অমোঘ নিয়তির ক্রুর বাস্তবতা অসহায় জীবনকে বিদ্ধ করবেই। তাই নিরাশা, বিপর্যস্ততা, ক্লান্তি, দুঃস্বপ্ন, বিচ্ছিন্নতা, হাহাকার, হতাশা, অসহায়ত্ব থেকে লেডার মতোই মুক্তি নেই আমাদের কারুরই। প্রত্যেক মানুষ মাত্রেই যেন বিভ্রান্ত-বিপর্যস্ত লেডা। মনে পড়ে, ইয়েটসের বর্ণনায় লেডার অসহায়ত্বকে,

A sudden blow: the great wings beating still
Above the staggering girl, her thighs caressed
By the dark webs, her nape caught in his bill,
He holds her helpless breast upon his breast.

চল্লিশের দশক জুড়ে সমরের কাব্য সাধনা। কেমন ছিল এই দশকটি? আবদুল মান্নান সৈয়দের জবানীতে,

“বিংশ শতাব্দীর এই চল্লিশের দশকটি ছিল সবচেয়ে সংরক্ত। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ, বাংলার মন্বন্তর, ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা, দেশবিভাগ ইত্যাদিতে টলমল করছিল ভারতবর্ষ। চল্লিশের দশকটি আরম্ভ হয়েছিল দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে, আর শেষ হয়েছিল ১৯৫০ সালের ভ্রাতৃঘাতী হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায়।”

সমর কি তবে যুগের অসহায়ত্বকে বাংময় করে তুলতে চেয়েছিলেন?

এবারে দ্বিতীয় কবিতাটিতে আসি। নাম “একটি মেয়ে”

আমাদের স্তিমিত চোখের সামনে
আজ তোমার আবির্ভাব হল :
স্বপ্নের মতো চোখ, সুন্দর, শুভ্র বুক,
রক্তিম ঠোঁট যেন শরীরের প্রথম প্রেম,
আর সমস্ত দেহে কামনার নির্ভীক আভাস;
আমাদের কলুষিত দেহে
আমাদের দুর্বল, ভীরু অন্তরে
সে উজ্জ্বল বাসনা যেন তীক্ষ্ণ প্রহার।

প্রথম পাঁচ লাইনে একটি রোমান্টিক কুঁড়ি বিকাশের সবটুকু আকাঙ্ক্ষা সঞ্চয় করে নিষ্কলুষ পাপড়ি মেলতে চেয়েছিল, শেষের তিন চরণে সেই কুঁড়ির বুক বিদীর্ণ করে বেরিয়ে এলো একটি অনিবার্য দীর্ঘশ্বাস। আবারো রোমান্টিকতা ও সমাজের ক্রুর বাস্তবতার মধ্যে টানাপোড়ন। দুই-ই আছে, আর আছে এ দুইয়ের দ্বৈরথ।

না, এভাবে কবিতা ধরে ধরে আলোচনা বোধকরি জমছে না, তাই না? আসুন তাহলে অন্য পথ ধরে এগিয়ে দেখি। ‘উপমাই কবিত্ব’, আমরা জানি জীবনানন্দ বলেছিলেন এ কথা। আসুন না, সমরের যে কয়টি কবিতা আমাদের হাতের কাছেই আছে সেগুলোতে ব্যবহৃত উপমাগুলির উপর একটু চোখ বুলিয়ে নিই।

১) হানো ইস্পাতের মতো উদ্যত দিন [একটি বেকার প্রেমিক]

২) সেখানে দুপুরে শ্যাওলায় সবুজ পুকুরে
গরুর মতো করুণ চোখ
বাংলার বধূ নামে; [নিরালা]

৩) তুমি কি আসবে আমাদের মধ্যবিত্ত রক্তে
দিগন্তে দুরন্ত মেঘের মতো ! [ উর্বশী]

৪) কত সবুজ সকাল তিক্ত রাত্রির মতো,
আর কতো দিন ! [ উর্বশী]

৫) হিংস্র পশুর মতো অন্ধকার এলো [মুক্তি]

৬) তখন পশ্চিমের জ্বলন্ত আকাশ রক্তকরবীর মতো লাল [মুক্তি]

৭) আমার অন্ধকারে আমি
নির্জন দ্বীপের মতো সুদূর, নিঃসঙ্গ।[মুক্তি]

৮) ভুলে যাওয়া গন্ধের মতো
কখনো তোমাকে মনে পড়ে। [বিস্মৃতি]

৯) সে ক্লান্ত সুর
ঝ’রে যাওয়া পাতার মতো হাওয়ায় ভাসছে, [মেঘদূত]

১০) দুরন্ত অন্ধকার ডানা ঝাড়ে
উড়ন্ত পাখির মতো। [স্বর্গ হ'তে বিদায়]

১১) রাত্রে চাঁদের আলোয় শূন্য মরুভূমি জ্বলে
বাঘের চোখের মতো। [স্বর্গ হ'তে বিদায়]

১২) হিংস্র পশুর মতো অন্ধকার এলো---[মুক্তি]

১৩) তখন পশ্চিমের জ্বলন্ত আকাশ রক্তকরবীর মতো লাল [মুক্তি]

১৪) আমার অন্ধকারে আমি
নির্জন দ্বীপের মতো সুদূর, নিঃসঙ্গ |[মুক্তি]

লিংক অনুসরণ করে শুভাশীষের পোষ্টটি ঠিকমত আসে কিনা তা পরীক্ষা করতে গিয়ে ওঁর পোষ্টে আবার ঢুকে পড়ি। স্ক্রল করতে করতে এবারে চোখ আটকে গেল মন্তব্যগুলোর উপর। এবারে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। হ্যাঁ পেয়েই গেলাম আরও দু’টি কবিতা। হাসান মোরশেদের মন্তব্যে, “নিঃশব্দতার ছন্দ” আর শুভাশীষের প্রতিমন্তব্যে “জন্মদিনে”। “নিঃশব্দতার ছন্দ” এককথায় অসাধারণ একটি কবিতা। আর সুমন চৌধুরীর মন্তব্যে জানলাম “জন্মদিনে” কবিতার শেষ চরণে দুই দাঁড়ি টেনে দিয়ে সমরের কাব্যজীবনের ইতি ঘটানোর বৃত্তান্ত । এই ওয়েব পেজে সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত “সমর সেনের কবিতা” বইটির সামনের ও ব্যাক ফ্লাপের চেহারা দেখবার সৌভাগ্য হলো। দৃষ্টি আটকে গেল ব্যাক ফ্ল্যাপে দেয়া ছোট্ট টিকার উপর। সেখানে লেখা, “তাঁর কবিতা এতই অভিনব এক গদ্যছন্দে লেখা যে তাঁর উৎস খুঁজতে যাওয়া নিরর্থক”। এই উক্তিটি আমাকে এক অজানা আকাঙ্ক্ষায় সিক্ত করে। মনস্থির করি, কখনো বিস্তর অবসর পেলে সমর সেনের কবিতায় ছন্দের খোঁজে অনুসন্ধানী হতে পারলে বোধকরি ভালই হতো। যাহোক, আগে উপমার আলোচনায় ফিরে আসি।
(চলবে)


মন্তব্য

তানিম এহসান এর ছবি

চলবেতো চলুক,
একজন রোমেল চৌধুরীর হাত ধরে একজন সমর সেন নতুন করে কথা বলুক!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ওরে বাপরে, কি বিশাল দায়িত্ব অর্পন! ভড়কে যাচ্ছি যে। আমি তো শখের পড়ুয়া, জ্ঞানগর্ভ পঠন-পাঠন নেই একেবারে। আজ সবকটা ফ্রন্টিয়ার নামালাম, সমরের সময়টাকে বুঝবার জন্য। তাছাড়া একই দশকের সুকান্তের কবিমানস বুঝবার একটা সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা বহুদিন কাঠঠোকরার মতো আমার ঘিলুকে অনবরত পেরেক হানছে। এক কাজে দুই অর্জন হয় যদি তবে তো বেশ! কিন্তু ওঁদের মনীষার আলো এত উজ্জ্বল যে চোখ ধাধিয়ে দিচ্ছে।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তানিম এহসান এর ছবি

চোঁখ ধাধানেরা কথা শুনে বেশ উৎসাহিত বোধ করছি হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তানিম এহসান এর ছবি

এবার হবে অপেক্ষাতেই কাটানো যাক সময়, হাসিমুখ বড় বেশী উৎসাহ দেয় আর দেয় প্রাণ হাসি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চলুক বস। চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আশফাক এর ছবি

চলুক

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

শাহীন হাসান এর ছবি

পড়ছি....
লিখুন...

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ, লিখবো!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সমর সেন এককথায় অনবদ্য। কবিতা, গদ্য- দুই জায়গাতেই। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে সমর সেনের একটা সরু কবিতার বই বের হয়েছিল। কবিতাসমগ্র ঢাকায় পাওয়া যায় কিনা জানি না। আর বাবুবৃত্তান্ত কিনে ফেলুন জলদি।

লেখা চলুক।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সমর সেন এককথায় অনবদ্য। কবিতা, গদ্য- দুই জায়গাতেই।

এক্ষুনি সহমত হতে চাই না। এ যাবত যদ্দুর পড়লাম তাতে কিছু আপত্তি তো আছেই। তবে চিন্তায় ও কর্মে তিনি যে অত্যন্ত সৎ এটি আমার কাছে ক্রমশ দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কবিতাসমগ্রের খোঁজ পেয়েছি, তবে আশংকা হচ্ছে ওটার নেশায় পড়ে গেলে এই লেখাটা আবার পিছিয়ে না যায়। আলাভোলা মানুষের শখের মৃত্যু হতে বেশী সময় লাগে না।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

"নিঃশব্দতার ছন্দ" সবথেকে বেশী ভাল লেগেছে(শুভাশীষদার উল্লেখিত পোষ্টের)।

পরবর্তী পর্ব আসুক।


love the life you live. live the life you love.

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আজ আরেকটা কবিতা হাতে পেয়েছি, "মহুয়ার দেশ"। সমরের যতগুলো কবিতা পড়লাম তার মধ্যে এটিই আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগলো।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

চলুক...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

রাজাসাহেব, চলবে। কিন্তু ইদানীং আপনার লেখা পড়তে দিচ্ছেন না কেন? কবে সচলায়তনের পাতায় লেখা পাবো?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বস্‌, সম্ভব হলে আজ বিকেল-সন্ধ্যায় আজিজে চলে যান, পুরো সেটই পেয়ে যাবার কথা। মোট কবিতার সংখ্যা বেশি নয়। তবে পড়তে সময় লাগবে। পড়া শেষ হলে দেখবেন অনেক প্রশ্নের উত্তরই মিলে গেছে। বলাইবাহুল্য, সেটটা কিনলে ঠকবেন তো না-ই, মনে হবে আরো আগে কেনো কিনিনি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

পড়ি মরি করে যশোরে ছুট লাগাতে হলো। এসেই আজিজে ঢুঁ দেব!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

দু:খজনক হলেও সত্য আমিও পরিচিত ছিলাম না, মুগ্ধ হলাম!!! পরবর্তী পর্বে বেশি বেশি কবিতা দিয়েন রোমেল ভাই!!! চলুক

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

তথাস্তু! হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আয়নামতি1 এর ছবি

আমিও জুটে গেলাম পাঠকচক্রে হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সুস্বাগতম!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনুষ্টুপ প্রকাশনীর একটা বই "সংকলিত সমর সেন" পাওয়া যায়... সেটা পড়লেও ঠকবেন না আশা করি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

দেখি কাল একবার ঢুঁ দেব আজিজে। আপনার ও ষষ্ঠ পাণ্ডবের মতামতকে যোগ্য সম্মান দেব।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।