মতি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২১/০৪/২০১৪ - ১০:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ হঠাৎ মতির কথা মনে পড়ল। ক্যাডেট কলেজে মতি আমাদের স্কুল জীবনের সহপাঠী ছিল। আমাদের সাথে মতির সহপাঠ কলেজের শেষ দিনটি পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয় নি। গ্রাম্য প্রকৃতির মতির নিতান্ত গোবেচারা চেহারায় রূপোর টাকার মতো তেমন উজ্জ্বল কোন বৈশিষ্ট্য আমার চোখে পড়ে নি। আমরা ছিলাম ভিন্ন ভিন্ন হাউসের বাসিন্দা। আমার তিনতলার খোলা তলোয়ার হাউস, মতির নিচতলার বীরশ্রেষ্ট হাউস। মাঝখানে বাঁশের কেল্লা হাউসের গা বেয়ে নামা প্রশস্ত সিঁড়ির দু-দু'টি স্তর। সে বয়সে স্তর পেরুবোর ক্ষেত্রে ঘাম ঝরাবার কায়ক্লেশ হয়ত একেবারেই গা করতাম না, তবে খুব সূক্ষ্ম হলেও ভিন্ন হাউসে অবস্থানের একটা মানসিক বাধা ছিল। সেই বাধা পেরিয়ে জ্যোতিষ্কের সাহচর্য হয়ত কামনীয় হতে পারে, কিন্তু নিতান্তই সাধারণ একটি ছেলের সাথে বন্ধুতা ঘটবার তেমন আগ্রহ মনে জাগে না।

শুনতাম, নিজ হাউসের অধিকাংশ সহপাঠীর সাথেও তেমন মিল ছিল না মতির। কিন্তু মতির সাথে পিন্টুর ছিল খুব ভাব। আমাদের মধ্যে অল্প ক'জন হ্যান্ড-সাম ছেলের একজন ছিল পিন্টু। আর তাই যে ক'জন ঈর্ষাকাতর সহপাঠীর পিন্টুর সাথে ভাব করবার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু ভাব হয় নি, তাদের সবার সব রাগ গিয়ে পড়েছিল মতির উপর। ইশারায়, ইঙ্গিতে, শ্লেষে, টিটকারিতে তারা মতিকে উত্যক্ত করতো। মতি অবশ্য ওসব গায়ে মাখত না খুব।

লেখাপড়ায় অনুজ্জ্বল মতি পদার্থবিদ্যায় কিম্বা গণিতে তেমন উঁচু স্কোর করতে পেরেছে বলে মনে করতে পারছি না। তবে দুপুরের প্রেপ শেষ হতো যখন, মতিকে দেখতাম, সবার আগে ছুট লাগাতে বাস্কেটবল মাঠের দিকে। বল নিয়ে একাকী ড্রিবল করে খুব দ্রুত পোষ্টের কাছাকাছি চলে যেতে পারতো মতি। উচ্চতা বৈরি হওয়ায় নিরলস অনুশীলনের মধ্যদিয়ে সে শিখে নিতে চেয়েছিল কুশলী ল্যাপ করে অব্যর্থ স্কোর করবার কৌশল। না, হাউসের বাস্কেটবল টিমে স্থান হয় নি মতির, নিদেনপক্ষে সে পৌছুতে পেরেছিল একজন দ্বিতীয় সারির খেলোয়াড়ের কাছাকাছি। তবু তার সেই প্রচেষ্টা, সেই অধ্যবসায় আমার প্রেপ শেষের ঘুম ছুটে যাওয়া চোখে অল্প কিছু মুগ্ধতা এঁকে দিতে পেরেছিল।

ঠিক মনে পড়ে না, আমরা তখন ক্লাস এইট কিম্বা নাইনে। একবার প্রেপ ক্লাসে মতিকে লুকিয়ে লুকিয়ে কবিতা লিখতে দেখেছিলাম। অঙ্ক কষবার খাতার আড়ালে রুল টানা একটি খাতা। সেটির সব ক'টি পৃষ্ঠা জুড়ে মুক্তোর মত জ্বলজ্বলে কবিতার ছত্র, কি ভরসা পেয়ে যেন মতি লজ্জা-দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে আমাকে অনেক যত্ন করে দেখাল। কবিতার সাথে ছেলেবেলা থেকে আমারও ছিল একটু আধটু সখ্যতা। আমরা যারা দু'চারজন কলেজের দেয়াল পত্রিকায় লিখতাম, তাঁদেরই একজনার কাছে শুনেছিলাম, ওসব নাকি মতির লেখা নয়, ও নাকি জীবনানন্দের অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিচিত কবিতা থেকে মেরে দিয়ে নিজের বলে চালাতে ভালবাসত। এসবের সত্যাসত্য যাচাইয়ের প্রয়োজন পড়ে নি কখনো। কারণ মতি তো কখনই তার লেখা কোন কবিতা দেয়াল পত্রিকায় ছাপতে চায় নি।
এতদিনে জীবনানন্দের প্রকাশিত-অপ্রকাশিত প্রায় সব কবিতা পড়বার সুযোগ হয়েছে আমার। বোধের মজ্জায় জীবনানন্দের এক চিলতে আলোও হয়ত প্রবেশ করেছে, কিন্তু সেদিনের সেই প্রেপ ক্লাসের স্বল্প কিছু সময়ে যে বিস্ময় আমাকে আলোড়িত করেছিল, তার সাথে আজ অবধি জীবনানন্দের আক্ষরিক মিল খুঁজে পাই নি।

আমাদের অনেকেই সে সময় বেশ ফ্যাশন দুরস্ত হয়ে পড়েছিলাম। বিশেষ করে ঘড়ি হাতে দেবার ব্যাপারে আমাদের অনেকেরই মনে প্রচ্ছন্ন ইচ্ছের মৌমাছি সারাক্ষণ ঘুর ঘুর করতো। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের কড়া অনুশাসন আমাদের সেসব স্বপ্লীল ইচ্ছের প্রজাপতিকে অবাধে ডানা মেলতে দেয় নি কখনো। তবু লুকিয়ে লুকিয়ে আমরা একেবারেই যে ইচ্ছের একফোঁটা বৃষ্টিতে আলতো করে আঙুল ছুঁয়ে দিই নি, তা নয়। আমাদের মধ্যে একটু যারা সাহসী ও দুর্দান্ত ছিলো, তাদেরই একজন, আমাদের হাউসের গোফার ছিল একটি আকর্ষণীয় সিকো ফাইভ ঘড়ি। ঝকঝকে সিলভার বডির উপর আকর্ষণীয় সবুজ ডায়াল। মাঝখানে সুকারু হরফে সিকো ফাইভ লেখা। এমন একটি ঘড়ির অধিকারী হওয়া আমাদের সকলের কাছেই ছিল রীতিমত গর্বের ব্যাপার। গোফাও বুঝি ব্যাপারটা বুঝত। ইলেকটিসিটি চলে গেলে রেডিয়াম দেয়া ঘড়িটির কাঁটাগুলো লম্বা তারার মতো জ্বলজ্বল করতো। তাচ্ছিল্য ভরে কবজি উল্টিয়ে সেগুলির ঔজ্জ্বল্য দেখিয়ে গোফা আমাদের উৎসুক চোখে মায়াবী স্বপ্ন এঁকে দেবার সুযোগ নিতে ভুলত না। একদিন সেই ঘড়ি হারিয়ে গেল। ঘড়ি রাখা নিষেধ, তাই গোফারও বুঝি মনের দুঃখ মনেই গোপন করা ছাড়া অন্য কোন গত্যন্তর ছিল না।

তারপর হঠাৎ একদিন শুনলাম, মতিকে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। সে একটি ঘড়িসহ হাউস টিউটরের কাছে হাতে-নাতে ধরা পড়েছে। লুকিয়ে ঘড়ি রাখার অপরাধে নয়, বরং ঘড়ি চুরি করবার অপরাধেই বের করে দেয়া হচ্ছে মতিকে। মতির কাছে পাওয়া ঘড়িটির সাথে গোফার খোয়া যাওয়া ঘড়িটির সাদৃশ্য পাওয়া গেছে। আমাদের মধ্যে যারা মতির প্রতি বিরূপ ছিলাম তাদেরই একজন "চোর চোর......চুর চুর মতিচুর" বলে বেশ কিছুক্ষণ চেঁচিয়ে নিজের মনের ঝাল মিটিয়ে নিলো। মতির কবিতার খাতা থেকে একদিন একরাশ বিমুগ্ধ বিস্ময় আমার চোখে ভিড় করেছিল। তবু সেদিন মতির প্রতি কিছুমাত্র সহানুভূতি জাগে নি মনে। কলেজ থেকে বেরিয়ে যাবার সময় মতির চোখে শিশিরের মত ক'ফোটা অশ্রু জমেছিল, তখন তা খেয়াল করবার সময় কোথায় আমাদের? কোথায় কখন কোন তারা ঝরে যায়, আকাশ কি তা মনে রাখে?

আজ সূর্য যখন মধ্য দিগন্ত পেরিয়ে কিছুটা হেলে পড়েছে পশ্চিমে তখন কারণে অকারণে মন শুধু অতীতের খাঁজে খাঁজে অবচেতনের ভাঁজে ভাঁজে খুঁজে ফিরছে স্মৃতির হারিয়ে ফেলা জীবাশ্ম। আজ মন মধুকূপী ঘাসে ঢাকা মৃত্তিকার মতন। কবে কোন কালে সেখানে এক নামহীন ঠিকানাহীন ধুমকেতুর পতন ঘটেছিল। আজ ভুলটুকু ক্ষমা করে দিয়ে সামান্যকিছু মমতায় সেই স্মৃতিটুকুই সে ফিরিয়ে দিতে চাইছে, আর অস্ফুটে বলতে চাইছে, দোষে-গুণে মতি আমাদেরই একজন ছিল।


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আহারে!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হ্যাঁ, এখন কেবলই দীর্ঘশ্বাস ডেকে উঠে বুকের পাঁজরে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

হাসিব এর ছবি

দোষেগুনে মতি আসলে আপনাদের একজন ছিলো এটা একটু সরলীকরণ। কেউ চুরি করেনি।
এই বয়সে চুরি করে ধরা পড়লে কী করা হবে সেটা ভিন্ন তর্ক।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

যে আমারে দেখিবারে পায়
অসীম ক্ষমায়
ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি,

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

আজ মন মধুকূপী ঘাসে ঢাকা মৃত্তিকার মতন।

দারুণ!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ কবি। কবিতায় লিখলে এভাবে লিখতাম,

আজ মন
মধুকূপী ঘাসে ঢাকা মৃত্তিকার মতন।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সোহেল এর ছবি

আমার মনে হয় ছেলেটা ক্লাসমেটদের কারনে আউট হয়েছে। আপনারা প্রশাসনকে বোঝালে ছেলেটা থেকে যেতে পারত। দু:খজনক।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হয়ত, হয়ত না। সেসব কিছু আর ভাবতে ভালো লাগে না ভাই। মন খারাপ

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আয়নামতি এর ছবি

কী সুন্দর মায়াকাড়া স্মৃতিচারণ! আহারে মতিভাইটার জন্য মন খারাপ হলো।
ইশশ তিনি যদি কোনভাবে এই পোস্টটা পড়েন ভাইয়া?
দারুণ হতো এভাবে হারিয়ে যাওয়া একটা মানুষের খোঁজ পেলে হাসি
রোদেলা আর রিলক কেমন আছে? ওদের জন্য অনেক আদর থাকলো এই ফুপিটার।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

মাঝে মাঝে মনে হয়, ছুটে যাই উল্লাপাড়া, খুঁজে পেতে বের করি ওকে। কাঁধে হাত রেখে বলি, বন্ধু আমরা ছিলাম, আছি, থাকবো পাশাপাশি, যতদিন বেঁচে আছি!
অট। আমার টুকরো দুটো ভালো আছে বোন। তোমার আদর ওদের যেন আদ্র করে, এই কামনা করি। সেই সাথে ভালো থেকো তুমি।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

মতির প্রতি সহানুভূতিতে আমি চুরির ঘটনার একটা অন্য প্রেক্ষাপট কল্পনা করি। গোফার ঘড়ির মত দেখতে বা একই রকম ঘড়ি হয়ত মতিরও ছিল। মতিও ঘড়িটা লুকিয়ে রাখত। এর মধ্যে দুর্ভাগ্যক্রমে গোফার ঘড়িটা হারিয়ে যায় এবং কর্তৃপক্ষ পরে মতির রুমে মতির ঘড়িটাই আবিস্কার করে; ভাবে যে গোফার ঘড়িটাই আবিস্কার করল তারা (ধরে নিচ্ছি গোফার ঘড়ি চুরি যাওয়ার ঘটনাটা কর্তৃপক্ষ কোনভবে অবগত হয়েছিল)। মতি যেহেতু একা একা থাকত আবার চুপিচুপি কবিতাও লিখত ফলে ধরে নেয়া যায় মতি ইন্ট্রোভার্ট এবং লাজুক ধরনের ছেলে ছিল যে জোর দিয়ে নিজের অধিকারের কথা বলতে পারত না। তাই হয়ত তার চোখে দেখা গিয়েছিল শিশির-ফোঁটার মত অশ্রু। অথবা কে জানে মতি হয়ত ক্লেপ্টোম্যানিয়াক ছিল।

গোঁসাইবাবু

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আপনার কল্পনাশক্তি ভালো, গোঁসাইবাবু!
অট। হুম, একটু হোঁচট খেলাম, গোঁসাইবাবু! এই নিক আপনি কোথায় পেলেন? তারাশঙ্করের কোন উপন্যাসে কি পড়েছিলাম? 'কবি' হয়তো বা। কি জানি, বুড়োকালের স্মৃতি সস্তা দরের সরবতের মতো, শুধুই থিতোয়, কিন্তু জমে না!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তাহসিন রেজা এর ছবি

মতি ভাইয়ের জন্য মন কেমন করে উঠল! মন খারাপ

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হৃদয়ের এ কূল, ও কূল, দু কূল ভাসিও না ভাই! অশ্রু সংবরণ করো!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহারে মতি!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

জীবন একটা ছুরির মতো তীক্ষ্ণ ফলায় কাটে গভীর নরমে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

এক লহমা এর ছবি

মন খারাপ
(আর কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না, কবি।)

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সবটুকু বুঝে নিলাম, ভাই!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

মন খারাপ

____________________________

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

প্রোফেসরের মনটা খুব নরম!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

দারুণ স্মৃতিচারণ.....মন খারাপ লাগছে মতি ভাইয়ের জন্য। আহারে বেচারা। কত লজ্জায় না পেয়েছিলেন সেদিন ...... মন খারাপ

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হৃদয় দিয়ে পাঠ করবার জন্য ও সহানুভূতির জন্য ধন্যবাদ জানাই, বোন!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সে বয়সে স্তর পেরুবোর ক্ষেত্রে ঘাম ঝরাবার কায়ক্লেশ হয়ত একেবারেই গা করতাম না, তবে খুব সূক্ষ্ম হলেও ভিন্ন হাউসে অবস্থানের একটা মানসিক বাধা ছিল। সেই বাধা পেরিয়ে জ্যোতিষ্কের সাহচর্য হয়ত কামনীয় হতে পারে, কিন্তু নিতান্তই সাধারণ একটি ছেলের সাথে বন্ধুতা ঘটবার তেমন আগ্রহ মনে জাগে না।

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

মন খারাপ নয় লজ্জা পাই এখন!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হ্যাঁ, কলেজের স্মৃতিগুলোর দিকে তাকালে এখন অনেক সময়ই নতুন করে ভাবি ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।