‘আ ম্যাজিকাল জার্নি’ (৭)

দিহান এর ছবি
লিখেছেন দিহান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৭/০৯/২০১১ - ১১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডাক্তার আমার EDD (Expected date of delivery) লিখে দিলেন ৭ই অক্টোবর। ডেট দেখে আমি খুশি, লাকি সেভেন বলে কথা। কিন্তু পরে জানতে পারলাম এই ডেট ৯৮% ক্ষেত্রে সঠিক হয়না। কন্সেপশনের সময়টা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। সাধারণভাবে প্রেগন্যান্সির মোট সময়কাল ধরা হয় ৪২ সপ্তাহ।(আমাদের গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত দশ মাস দশ দিন কথাটা সত্যি!) তবে ৩৭/৩৮ সপ্তাহ পরে যেকোনো সময়ে বাচ্চার জন্ম হতে পারে। শেষের দিকে বিশ্রাম খুব জরুরী তাই আমি ঠিক করলাম ১৫ই সেপ্টেম্বরের পর ছুটি নিয়ে নেবো। আমার ম্যানেজার জানালেন ১৪ই সেপ্টেম্বর অফিসে বড় একটা ইভেন্ট, নতুন ডিপার্টমেন্ট চালু হবে। সেটা ভালোভাবে শেষ করে আমি ছুটি নিতে পারি।

অফিসে কাজের তোড়জোড় শুরু হলো। ১২ তারিখ রাতে ম্যানেজার ডিনার দিলেন, সর্বশেষ প্রস্তুতি বিষয়ে খেতে খেতে গল্প করা। রাতের খাবার খেয়ে বাসায় ফিরেই অস্বস্তি লাগছিলো। শুয়ে পড়লাম তাড়াতাড়ি করে। কিছুক্ষন ঘুমাবার পরই ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দুবার বাথরুম গেলাম। মনের অনেক অনুভূতি আছে যেগুলো ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল। রবীন্দ্রনাথ ‘মন কেমন করে’ লিখে দিয়ে বাংলাভাষাভাষী মানুষদের অনেকটা বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এতো বিচিত্র রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় যেগুলোর কোনো নাম নেই। আমি অনেকবার বলতাম ‘খারাপ লাগছে’। আমার বর বলতো ‘কোথায় খারাপ লাগছে? পেটে? বুকে? মাথায়? কোথায়?’ আমার উত্তর ‘জানিনা, কিন্তু আমার খুব খারাপ লাগছে’। এক আপু বললেন প্রেগন্যান্সিতে এইরকম অনেক আন আইডেন্টিফায়েড নামহীন ব্যাথা সইতে হয়।

রাতে আমার অসম্ভব ‘খারাপ’ লাগতে শুরু করলেও ভাবলাম ওইসব নাম না জানা ব্যাথাগুলোর কোনো একটা নিশ্চয়ই। কিন্তু না, রাত তিনটার দিকে ব্যাথার ঢেউ আছড়ে আসতে লাগলো কিছুক্ষন পরপর। ডাক্তার বন্ধুকে ফোন করে ঘুম ভাঙ্গালাম। সে ডেট জিজ্ঞেস করে বললো মনে হচ্ছে ফলস পেইন। অন্য যেকোনো ব্যাথা মিথ্যা হলে কতোই না ভালো হয়! প্রচন্ড বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতাল যাবার পর যদি জানা যায় হার্টের কোনো সমস্যা নেই, ফলস পেইন হয়েছে কী ভালোই না হতো। কিন্তু তা হয়না। শুধুমাত্র অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে প্রতিমুহূর্ত যে আতঙ্কে কাটায় তা কীনা ফলস পেইন হয়ে আসে! শেষরাতের দিকে একটু একটু করে ডিসচার্জ হতে শুরু হলো।

ভোরের আলো ফুটতেই ছুটলাম ক্লিনিকে। আবার আলট্রাসনোগ্রাফি। এইবার দেখা গেলো অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের পরিমান অনেক কম। ডাক্তারি ভাষায় এটাকে বলে ‘Oligohydramnios’। ফ্লুইড বেশী কম হলে সেটা বাচ্চার জন্য খুব ক্ষতিকর। আর টার্ম পুরো হবার আগেই এই অল্প করে পানি ভাঙ্গার নাম "premature rupture of membranes" (PROM). এটাও ভালো কিছুনা...

আমার ডাক্তারকে ফোনে যোগাযোগ করা হলো। সকাল দশটা থেকে উনি ওটিতে ব্যস্ত থাকবেন। অপারেশন সেরে উনার ডিপার্টমেন্টের মিটিং এ যাবেন বারোটায়। তারপর আসবেন আমাকে দেখতে। ডিউটি ডাক্তারকে বলে দিলেন দেখা যাক ব্যাথা স্বাভাবিকভাবে বাড়ে কী না। ঘন্টা কয়েক পরে ব্যাথা বাড়ার ঔষধ দেয়া যাবে।

আমাকে আলাদা রুমে নিয়ে গেলো। আমার বর বাইরে, ভেতরে আসার অনুমতি নেই। সব মেয়ের মতো আমারও মনে হলো হয়তো আর বেঁচে ফিরবো না। যদি না ই ফিরি আমার জীবনের সবচে আনন্দময় সময় হবে এই ছেলেটার সাথে কাটানো সময়! আমাদের দেশে কবে হাজব্যান্ডদের লেবার রুম অবধি যাবার অধিকার মিলবে? এতো নিষ্ঠুর কেনো আমাদের সমাজ? সব রোগীর সাথে মা-খালা কতো স্বজন। আমি একা। এক মেয়ের মা সুরা পড়ে নিজের মেয়ের মাথায় ফু দিচ্ছেন, কি মনে করে আমার মাথায় ও ফু দিয়ে গেলেন।

ডিউটি ডাক্তার হিসেবে লাবন্যময় চেহারার একটা মেয়ে এলো। আমাকে দেখতে শুরু করা মাত্র তার মোবাইল বেজে উঠলো। আমি তার কথা শুনতে পাচ্ছি- ‘থ্যাঙ্কস, দোয়া করো, হুম একটু নার্ভাস লাগছে’।
ব্যাপারটা কী? জিজ্ঞেস করেই ফেললাম ‘আপনি কি নতুন?’
‘জ্বি আমি আজই জয়েন করেছি’।
খুব আনন্দের কথা! আমারও অভিনন্দন জানুন। ‘Nine Months’ মুভীটা দেখার সময় মনে হয়েছিলো এসব কি আজগুবি জিনিস বানিয়েছে। আসলে এ জগতে সবই সম্ভব। আমার গল্প শুনলে ও মানুষ ‘গল্প’ ভাববে...সুন্দরী তরুনী ডাক্তার দেখলে ছেলেদের হয়তো অসুখ সেরে যেতে পারে আমার তখন মনে হলো এই মেয়ে বাসায় গিয়ে তার মাকে পাঠিয়ে দিলে আমি বেশি ভরসা পেতাম।

নিজেকে বললাম পৃথিবীতে নিজেই নিজের সন্তান জন্ম দেবার কতো উদাহরণ আছে, দিহান মনের জোরটা ধরে রাখো। তোমার অনেক এ্যানার্জি লাগবে। আমার বর ম্যাসাজ পাঠালো ‘তোমায় নূতন করে (বাবুর মা হিসেবে) পাবো বলে হারালাম এখন, ও মোর ভালোবাসার ধন’।
আমি বরকে ম্যাসাজ পাঠালাম ‘ফ্রেশ জুস,চিকেন স্যুপ আর বিরাট একটা বার্গার কিনে পাঠাও’।

সেটা তেরো তারিখ! সারাজীবন কুসংস্কারের বিরোধিতা করতে চেয়েছি, মাঝে মাঝে পারিনি। তেরো তারিখে কোথাও যাবার থাকলে হয়তে পিছিয়ে দিয়েছি, তেরো নাম্বার সীটে বসিনি। আমার বাচ্চাটা এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আমাকে জিতেয়ে দিলো সারাজীবনের জন্য। ওরে ছোট্টসোনাপাখি, আজ থেকে আমাদের লাকি নাম্বার হবে তেরো। তুমি আসো...


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম... রেখে দিলাম।
এবার পড়া শুরু করি... হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

প্রথম কমেন্ট করলে লাভটা কি চিন্তিত , বুঝি না, একটু বলবেন?

তিথীডোর এর ছবি

কোন লাভ নেই।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শাব্দিক এর ছবি

পাঠক প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
এটা সম্ভবত সচলের নিজস্ব কালচার।

দিহান এর ছবি

ধন্যবাদ তিথীডোর।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

আরেকজন  এর ছবি

আমিও তেরো!

সিরিজটা কিন্তু ফলো করেছি- কিন্তু অনিবন্ধিত পাঠক হিসাবে কমেন্ট করা হয়নি তেমন!

দিহান এর ছবি

তাই? পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

চলুক

দিহান এর ছবি

ধন্যবাদ।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

লেখাটা হঠাৎ ফুরিয়ে গেল যেন...........তবে যথারীতি সুন্দর হয়েছে। হাসি

আর ঐ সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সময়টাতেই প্রিয়মানুষকে কেন যে পাশে থাকতে দেয় না, বুঝি না!!!! রেগে টং


_____________________
Give Her Freedom!

দিহান এর ছবি

একসাথে শেষ করে দিতে চাচ্ছিলাম কিন্তু সেটা বেশি বড় হয়ে যেতো। সেজন্য দুভাগ করলাম...
একটা কোনো ক্লিনিক/হাসপাতাল লেবার রুমে হাজব্যান্ডকে থাকার নিয়মটা শুরু করলেই ধীরে ধীরে অন্যরা করবে বলে মনে হয়। প্রথম হবেটা কে?

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

গগন ২০১১ এর ছবি

উত্তম জাঝা!

দিহান এর ছবি

ধন্যবাদ।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

লাকি থার্টিন!!

শাব্দিক এর ছবি

"সুন্দরী তরুনী ডাক্তার দেখলে ছেলেদের হয়তো অসুখ সেরে যেতে পারে আমার তখন মনে হলো এই মেয়ে বাসায় গিয়ে তার মাকে পাঠিয়ে দিলে আমি বেশি ভরসা পেতাম।"

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভিন্ন স্বাদের একটি লেখা। পাঁচ তারা। এবার সেই সময়টাতে হবুবাবার প্রতীক্ষাদগ্ধ প্রহরগুলোর কথা শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

দিহান এর ছবি

ধন্যবাদ রোমেল।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

পাঠক এর ছবি

উফফফফ..................কত্ত অপেক্ষার পর দিলেন পোস্টটা.......

আপনি কি জানেন?? আমি রোজ সচলে আসি আপনার এই সিরিজটা খুঁজতে..........

ভালো থাকবেন........আপনার ছানাপোনা আর তার বাবাকে নিয়ে হাসি

দিহান এর ছবি

ঈদ ছিলোনা?
আপনি ও ভালো থাকুন।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

আশালতা এর ছবি

চলুক

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

দিহান এর ছবি

ধন্যবাদ।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

দেবানন্দ ভূমিপুত্র এর ছবি

অনেক ভালো লাগলো। ডেলিভারির সময়কার অনুভূতি খুঁজলাম, পেলাম না। ওটা পেলে আরও ভালো লাগতো।

শেষটায় নিজের সাথে কথা বলে আরেকটু লম্বা করা যেত। ফ্লাশ ব্যাকে অনেক কিছু আনার দারুণ একটা সুযোগ হতে পারতো।

দিহান এর ছবি

শেষ পর্ব বাকি আছে!

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

যুমার এর ছবি

যথারীতি উত্তম!

দিহান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

guest_writer এর ছবি

'জার্নি'টা কি ঈদের যানজটের কারনেই বন্ধ রেখেছিলেন ? যাহোক ফিরলেন তাহলে। আশা করছি শীঘ্রই পরবর্তী অভিজ্ঞতাটা পাব। ভাল লেগেছে। ভাল থাকবেন।

মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা

দিহান এর ছবি

প্রৌঢ়ভাবনা,জ্বি ফিরলাম! হুম শেষটা তাড়াতাড়ি লিখে ফেলবো আশাকরি।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

সাত্যকি. এর ছবি

কি বলবো? প্রতিবারই 'খুব ভালো লেগেছে' ছাড়া আর কিছু বলার থাকেনা। আবার মন্তব্য না করে চলে গেলেও 'মন কেমন করে'!

দিহান এর ছবি

সাত্যকি, আপনার মন কেমন করা অব্যাহত থাকুক। মন্তব্য পেলে সাহস পাই...

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

pathok (sam) এর ছবি

সেইম হিয়ার

(same here) হাসি

pathok(sam) এর ছবি

স হ ম ত

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনার লেখাটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। হাসি
--------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি একটা ভালো কাজ করসি, ক্যাঁকো ক্যাঁকো; ক্যাঁকো ক্যাঁকো।

ফাহিম হাসান এর ছবি

এই পর্বটা দেরীতে এসেছে রেগে টং

অন্তঃসত্ত্বার সময়ে মানসিক অবস্থা সম্পর্কে অনেক নতুন কিছু জানলাম। কে জানে হয়ত ভবিষ্যতে কাজে লেগে যাবে খাইছে

লেখা ঝরঝরে, ঠিক আগের মতন।

দিগন্ত বাহার * এর ছবি

এ সিরিজটা আমার অন্তঃস্বত্তা ভাবীকে নিয়মিত পড়াচ্ছি। হাসি

বন্দনা এর ছবি

দিহান আপু আপনার এই সিরিজটা পড়লেই আমার খুব মা হতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে এমন একটা সুন্দর জার্নির মধ্য দিয়ে যেতে। অনেক অনেক কিছু জানতে পারছি, অসাধারন করে তুলে ধরা আপনার অনুভুতিগুলি সত্যি খুব নাড়া দেয়।

 তাপস শর্মা  এর ছবি

সব গুলি সিরিজ পড়া হয়নি, তবে আপনার লেখাতে প্রচণ্ড সাবলীলতা আছে। বিশেষত এই ধরণের ব্যাপার নিয়ে লেখাটা ভীষণ টাফ।

চলুক

জয়ন্তী এর ছবি

আপু, এই যে মন কেমন করে, শরীর কেমন করে এটা এই সময় বোঝান যায়না। এখন বুঝলাম এই সময় এটা মোটামুটি প্রায় সবার এমন হয়। বর ও বুঝে না। তবে চেষ্টা করে বোঝার।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকব।
গুরু গুরু

ahasnat এর ছবি

আমার জন্মও ১৩ তারিখ।
যথারীতি চমৎকার।
চালিয়ে যান।
এ হাসনাত।

নিটোল. এর ছবি

সিরিজের প্রতিটি পর্বের পরই অপেক্ষা করি পরের পর্বের জন্য। এবারও অপেক্ষায় আছি। হাসি

দ্যা রিডার এর ছবি

আর আমি লাকি সেভেন চোখ টিপি আমার জন্মদিনে আপনার বাবুর জন্মদিনের পোস্ট পড়তে পেরে খুব ভাল লাগছে । যথারীতি উত্তম জাঝা! চলুক

কৌস্তুভ এর ছবি

আমার বর ম্যাসাজ পাঠালো ‘তোমায় নূতন করে (বাবুর মা হিসেবে) পাবো বলে হারালাম এখন, ও মোর ভালোবাসার ধন’।
আমি বরকে ম্যাসাজ পাঠালাম ‘ফ্রেশ জুস,চিকেন স্যুপ আর বিরাট একটা বার্গার কিনে পাঠাও’।

দেঁতো হাসি

মিলু এর ছবি

দুর্দান্ত অ্যাজ ইউজুয়াল। আশা করছি শেষ পর্বটা আপনার লেখনীর গুণে সবগুলো পর্ব থেকে ভিন্ন মাত্রা পাবে।

নীরব পাঠক এর ছবি

দেঁতো হাসি চলুক

বিবর্ন সময় এর ছবি

বরাবরের মতই অসাধারণ। এমন ঝরঝরে লেখা পড়তেও অনেক আরাম। সবচেয়ে বড় কথা, আপনার লেখাটা পড়ার সময় যেন নিজেই কাহিনীর একটা অংশ হয়ে যাই! লেখা শেষ হওয়ার মনে হয়, এতক্ষন একটা রিয়েল মুভি চলছিলো, আর আমি ছিলাম সেটার একটা ক্যারেক্টার!!

ভালো থাকবেন আপনার মেয়েদের আর তাদের বাবাকে নিয়ে।

বিবর্ন সময় এর ছবি

আর, আপনার লেখা ফলো করার উপায় নাই। যেন আপনি পোষ্ট করলেই আমার কাছে মেইল চলে আসবে! দেঁতো হাসি
সবসময় সচলে টাইমলি ঢুকতে পারিনা; বেশিরভাগ লেখাই ফেসবুক থেকে দেখা যে পোষ্ট হয়েছে।

ভালো থাকবেন।

বিবর্ন সময় এর ছবি

আর, আপনার লেখা ফলো করার কোন উপায় নাই? যেন আপনি পোষ্ট করলেই আমার কাছে মেইল চলে আসে! দেঁতো হাসি
সবসময় সচলে টাইমলি ঢুকতে পারিনা; বেশিরভাগ লেখাই ফেসবুক থেকে দেখা যে পোষ্ট হয়েছে, তারপর পড়ি! তারা কীভাবে জেনে যায় কে জানে!!

ভালো থাকবেন।

রু (অতিথি) এর ছবি

চমতকার!! বরাবরের মতো এই পর্বটাও ভালো লেগেছে।

আজহারুল ইসলাম এর ছবি

খুব ভালো লাগলো!

ফকির লালন এর ছবি

অভিনন্দন। অনেক অনেক অভিনন্দন।

রংধনুর সাতরং  এর ছবি

অনেক ভালো লাগলো ।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

রিশাদ_ ময়ূখ এর ছবি

লাকি থার্টিন

বন্দনা কবীর এর ছবি

পুরোনো অনেক কথা মনে পড়ে গেল।

হুম... কে হবে প্রথম লেবার রুমে যাওয়া পতি???'র আয়োজন করা যেতে পারে প্রথমবার ব্যাপারটা এলাও করার সময় খাইছে

লেখা যথারীতি চমৎকার হয়েছে।

কামরুল হাসান রাজন এর ছবি

অক্টোবরের সাত তারিখ দেখে খুব খুশি হয়ে গেসিলাম ...... আমার জন্মদিন তো ....... পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম..... শুভকামনা রইল হাসি

রুমঝুম ১ এর ছবি

প্রথম বেবী গুলার কান্ডকারখানাই আলাদা। সময়ের আগে আসার জন্য পাগল হয়ে যায় যেন। আমার ছেলের জন্ম নিয়েও আমাদের আনেক প্লান ছিল। কিন্তু যখন হল EDD র একমাস আগে। ভাগ্য ভাল তার এক সপ্তাহ আগে ছুটি নিয়েছিলাম।

অনুভুতি বর্ণনা যথারীতি ভাল।

বাবুদের জন্য আদর রইল।

কল্যাণF এর ছবি

চলুক

দিহান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সবাইকে।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

মরণশীল এর ছবি

দিহান, শেষ করে দিতে চাচ্ছেন? ভাবলুম আরেকটু লম্বা চওড়া হবে। শেষদিকের অনুভূতি বা যত্ন আত্মি নিয়ে আরেকটু শেয়ার করলে ভালো হতো। আমাদের সনাতন নিয়মকানুন মেনে প্রচুর বাচ্চা জন্মাচ্ছে কোন রকম কাটাছেঁড়া ছাড়া, সত্যি; কিন্তু আমাদের জন্য মনে হয় এরকম 'নিজস্ব' অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা তেমন নেই।
আ ম্যাজিকাল জার্নি একসাথে করে পিডিএফ করে রাখার সময় তাহলে হয়ে গেলো, হ্যাঁ?

কিছুদিন পর ই বিয়ে করতে যাচ্ছি কিনা, বউয়ের কথা ভেবেই...আহেম!!।। লইজ্জা লাগে গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল আরকি!

ভালো থাকুন!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

একদিন সবগুলো একসঙ্গে পড়বো... দৌড় শেষ হোক আমার... সিরিজ চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

লিলিপুট এর ছবি

খুব সুন্দর।ঃ)। অভিনন্দন আপনাকে।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মেঘা এর ছবি

কি অসাধারণ অনুভূতি! ইস আমার কবে একটা বাবু হবে?

অনেকদিন পর আবার সচলে এসেছি। অনেক লেখা জমা পরে গেছে। সব পড়ে শেষ করতে হবে। প্রথমেই তোমাকে দিয়ে শুরু করলাম আপু।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।