যুদ্ধ প্রতিদিন, কর্মজীবি মা’র গল্প (১)

বাহ, আরেকটা চমৎকার সিরিজ হচ্ছে। শুনবোনা মানে? পপ্পন নিয়ে বইলাম ...

আপনি যথেষ্ট ভক্ত পাঠক কুড়িয়েছেন। স্বানন্দে লিখতে থাকুন।

চলুক

সময়োপযোগী। শুধু মা-বাবা বা শাশুড়ি'র উপস্থিতি নয়, পরিবর্তন অনেক দিকেই লাগবে। কারন এখন মেয়েরাও প্রোডাক্টিভ কাজে বাইরে আসছে এবং এই সংখ্যা বাড়ছে। উদাহরন গৃহকর্মী। জিম্মি করার মানসিকতা নিয়ে আপনার সঙ্গে একমত।

আপনার যুদ্ধের সাথী হলাম।

বাহ! আপনার নতুন সিরিজ শুরু? গ্যালারিতে বসলাম। চালিয়ে যান।

যৌথপরিবারপ্রথা ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে কর্মজীবি কাপল্ যাঁদের স্কুলগামী ছোট বাচ্চা আছে তাঁরা বেশ মুশকিলেই পড়েছেন। গৃহকর্মীরাও এখন আর গৃহকর্মী থাকতে চাইছেননা। তারাও এখন কর্মজীবি মহিলা হিসাবেই পরিচিত হতে চাইছেন। পোশাকশিল্পে তাদের চাহিদা থাকার কারনে গৃহকর্মী এখন দূর্লভ। আর বাচ্চাদের স্কুলে আনানেওয়া করাতো একটি বড় সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। ভাবছি এ সম্পর্কিত একটি ব্যাবসা ফেঁদে বসলে কেমন হয় !

আপনার নতুন লেখা চালিয়ে যান। সাথেই আছি।

মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা

ছেলের বয়েস ৭ হতে চল্ল কোনফাঁকে, সেটা টেরই পেলাম না। জয় হোক যৌথ পরিবারের

১) যদি মানসম্পন্ন ডে কেয়ার সেন্টার এর ব্যবস্থা করা যায় তবে বেশ হয়।
২) আর এখন ঘরের কাজ গ্যাজেট নির্ভর করে নেয়া'ই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৩) বাড়ী ঘরের নিরাপত্তার জন্য সিকিউরিটি সার্ভিসের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
৪) সর্বোপরি এই সার্ভিসগুলা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বা বিপদে পড়া কর্মজীবিদের শোষন করার উদ্দেশ্যে না হয়ে যুক্তিসংগত হতে হবে।

চরম বাসতব কখা

সন্তান মানুষ করার জন্য মায়েদের যুদ্ধ সেই কতকালের কাহিনী!! স্থান, কাল, পাত্র ভেদে যুদ্ধের স্ট্রেটেজির পরিবর্তন হচ্ছে শুধু। যৌথ পরিবারে মেয়েদের ভুমিকা ভুলে গেছেন? প্রসব ব্যাথা উঠলেও ব্যাথা নিয়েও চুলো ধরাতে হোত।
বিদেশে কর্মজীবি মহিলাদের যুদ্ধ আরো ভয়াবহ। কোন গৃহকর্মি সহায়তা নেই, প্রফেশনাল ডে কেয়ারে বিভিন্ন দেশের বাচ্চা কাচ্চা, কি শিখে আসছে সেটা বাদ দিলেও, ছোঁয়াচে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি লেগেই থাকে, এবং অসুস্থ বাচ্চাকে ডে কেয়ারে নেবেওনা, মাসের মধ্য কতদিন কর্মজীবি মহিলারা ছুটি নিতে পারেন? চাকরিটা কি থাকে ঘন ঘন ছুটি নিলে?
প্রাইমারি স্কুলে আনা নেয়ার জন্য একটি কাজ আমি করেছিলাম, বাচ্চাদের স্কুলের অন্য অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিদিন এক বেলা আমরা স্কুলে নামালাম, আর এক বেলা অন্য প্যারেন্ট স্কুল থেকে তুললো। ব্যাপারটা চিন্তা করে দেখতে পারেন।
সামগ্রিকভাবে কর্মজীবি মহিলাদের সমস্যাগুলি আলোচনায় আসতে হবে, সচেতনতা বাড়াতে হবে। অনেক ধন্যবাদ একটি অতি প্রয়োজনীয় সমস্যার দিকে আপনি আলোকপাত করছেন।

নতুন লেখার জন্য নেন, আর দৈনিক একটা করে লেখা চাই।

লেখাটি খুব সহজ-সাবলিল কিন্তু অত্যন্ত ধারলো, কি আশ্চর্য সুন্দর ভাবে সত্যটি উঠে এসেছে..অভিন্দন রইলো , লিখতে থাকুন পড়ব..

লেখাটি খুব সহজ-সাবলিল কিন্তু অত্যন্ত ধারলো, কি আশ্চর্য সুন্দর ভাবে সত্যটি উঠে এসেছে..অভিন্দন রইলো , লিখতে থাকুন পড়ব..

আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করলাম।

মার্কিন দেশে ডে-কেয়ার বা বেবি সিটারের সুযোগ থাকলেও এগুলো বেশ ব্যয়বহুল। আমার মহিলা সহকর্মী তার দুই বাচ্চাকে ডে-কেয়ারে নামিয়ে অফিসে আসেন, প্রায় ১৫০০ ডলার মাসে ব্যয় হয় এর পেছনে। ডে-কেয়ারে গেলে বাচ্চার অসুখ-বিসুখও বেশি হয়। এসব কারণে বাচ্চা হওয়ার পরে অনেক মার্কিনি মহিলাকেও চাকরি ছেড়ে দিতে দেখেছি।

স্কুলগামী বাচ্চার জন্য আফটার স্কুল ডে-কেয়ারও আছে, যারা বাচ্চাদের স্কুল থেকে পিক আপ করে নেয়। বাংলাদেশে এসব সার্ভিস হয়ত এখনো তৈরি হয় নি, সামনে হয়ত আসবে।

বাচ্চা নিলে তো দেখি নানান সাইজের সমস্যা আশেপাশে ভীড় করে

আপনার প্রতি সহানুভূতি রইল। লেখা খুব ভালো লেগেছে

আপনার একনিষ্ঠ পাঠক হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ। বিষয়বস্তু একই সাথে দরকারী এবং শিক্ষনীয়। চলতে থাকুক।

অতীত

আমার না বলতে পারা কথাগুলো বলে দিলেন কি অবলীলায়! একটা স্কুলে আছি।২ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে যাই।আম্মুর কাছাকাছি থাকি।কিন্তু অপারেশনের রোগী আর নানা চিন্তায় জর্জরিত মানুষটার যখন আমাদের সেবা পাওয়ার কথা,তখন তাঁর ঘাড়ে আমার সদাচঞ্চল মেয়েকে গছাতে বিবেক সায় দেয় না।স্কুলে আমার নাম এখন 'দৌড়ানো মিস' । সারাক্ষণ দৌড়ের উপর থাকি।এদিকে মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তায় আর একজনও আসার পথ খুঁজছেন, মেয়েটা যেনো একাকিত্বে না ভুগে... আর আমার অবস্থা তথৈবচ।জানি না কি করবো। নেশা পেশা সবই হওয়ার কথা ছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং, হয়েওছিলাম।বাচ্চার জন্য হলাম স্কুল টিচার।এরপর কি আছে জানি না...

আমার না বলতে পারা কথাগুলো বলে দিলেন কি অবলীলায়! একটা স্কুলে আছি।২ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে যাই।আম্মুর কাছাকাছি থাকি।কিন্তু অপারেশনের রোগী আর নানা চিন্তায় জর্জরিত মানুষটার যখন আমাদের সেবা পাওয়ার কথা,তখন তাঁর ঘাড়ে আমার সদাচঞ্চল মেয়েকে গছাতে বিবেক সায় দেয় না।স্কুলে আমার নাম এখন 'দৌড়ানো মিস' । সারাক্ষণ দৌড়ের উপর থাকি।এদিকে মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তায় আর একজনও আসার পথ খুঁজছেন, মেয়েটা যেনো একাকিত্বে না ভুগে... আর আমার অবস্থা তথৈবচ।জানি না কি করবো। নেশা পেশা সবই হওয়ার কথা ছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং, হয়েওছিলাম।বাচ্চার জন্য হলাম স্কুল টিচার।এরপর কি আছে জানি না...

হুম, এই হল অবস্থা। আপনার বৃত্তান্ত শুনে কৌতূহল হচ্ছে আপনার পরের দিকের কথাগুলো শোনার জন্য। তবে একটু খারাপ লাগছে বৈকি।
বিয়ের পর মেয়েদের জীবনটা সত্যি ভীষণ টাফ হয়ে উঠে।

পরের পর্ব আসুক জলদি।

চলুক। আমাদের অঞ্চলে তো কিছু হলেই পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ বলে দুর্নাম করা হয়, তো তাদের অনুকরণে ডে-কেয়ার সেন্টার, কর্মজীবী মায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, মাতৃকালীন ছুটি ৩ বছর সহ শত শত কাজের জিনিসগুলো কি করা যায় না।

যুদ্ধের গল্প শুনতে চাই। কোনও বাস্তব উদ্যোগ যদি এরপর চলে আসে এই গল্পের হাত ধরে, তাহলে উদ্যোগের সাথেও থাকতে চাই। আপনার মতো যাঁরা আছেন, সবাই মিলে স্পিরিটটা কাজে লাগিয়ে একটা বাস্তব ব্যবস্থা কিন্তু গড়ে উঠতেই পারে।

পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

আবার শুরু হল......... আর একটি নিশ্চিত অনবদ্য সিরিজ।
চালিয়ে যান আপু... পাঠকের চোখ আপানার নিপুণ কিবোর্ড চাপের অপেক্ষায়ে...

কান পেতে রই...

দিহান, আপনার লেখার অসাধারণ সাবলীলতা ঘটনাগুলোকে একদম চোখের সামনে এনে দিল। আপনার ছোট্ট মেয়েটার জন্য খুব কষ্ট লাগছে। আশা করি এখন অবস্থা একটু ভাল হয়েছে।

আমার ইউনিভার্সিটির চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি হাউজওয়াইফ হতে হয়েছিল ছেলের জন্মের পর।

তবে কয়েকটা কথা না বলে পারছিনা। আপনাদের যে "দূর" সম্পর্কের রিলেটিভ আপনার মেয়েকে আনা নেয়া করতেন, তিনি একটু সন্মান পেতে পারতেন আপনার লেখায়। আর দেশী কোম্পানিতে যদি আপনাদের মত বিদেশী ডিগ্রীধারীরা কাজ করতে শুরু করে তা হলে কিন্তু দেশী কোম্পানিগুলো আরো ভাল করবে। তাই দেশী কোম্পানিগুলোও একটু সন্মান পেতে পারত।

গত সাত বছর ধরে এই সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছি। প্রচন্ড মানসিক কষ্টে দিন কাটে। এমন অনেক দিন গেছে যখন স্কুলে আনানেওয়া করার কেউ নেই তাই ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে পারতাম না। তখন বাবুটা প্রতিদিন মন খারাপ করতো আর বলতো আমাকে স্কুলে নাওনা কেন? খুব অসহায় লাগতো। আর এখন প্রতিদিনের প্রার্থনা আমাদের দুজনের যেনো বদলী না হয়।

শুনবো না মানে???

আপনার লেখা পড়তেই তো সচলে আসি আপু......
চালিয়ে যান জোরসে.........

নীরা

য়াপনার লেখাগুলো এত সাবলীল। আমিতো আপনার ভক্ত হয়ে গেছি। আমার মা চাকরি করেন। ছোটবেলায় আমাদের দুই ভাইবোনকে একসাথে নিয়ে যেতেন। সকাল ৭ টায় বাসা থেকে বের হতে হত। আর বিকেল ৫ টার পরে তিনজনে ঘরে ঢুকতাম। লিখে চলুন আপু। আপনার লেখায় অনুপ্রাণিত হচ্ছি, ঢাকা শহরে আমার একা একা বেঁচে থাকা নিয়ে কিছু লিখতে। :-

আচ্ছা, 'তুংকা'-কে বড়ো করার ক্ষেত্রে আপনার পাশে তো ওর বাবাকে পাওয়ার কথা। লেখায় তার কোনো উপস্থিতিই দেখলাম না!

প্রথম প্যারাতেই তো তার উপস্থিতি!
তুংকাকে সকালে রেডি করার পুরো কাজ তার বাপের। কিন্তু সে ব্যাংকে কাজ করে তাই স্কুল সংক্রান্ত ব্যাপারে তেমনভাবে তাকে পাবার উপায় নাই।
বড় ঝামেলায় পড়লে আমরা যেটা ভাবি তা হলো একজনের চাকরি টিকাতে হবে। সেটা আমার বরের হলেই ভালো কারন বাচ্চাদের বেশি দরকার আমাকে। তাই চাকরির ছুটি, কম্প্রোমাইজ আমি ই বেশি করছি।

আমি ঠিক একই রকম অভিজ্ঞতা আমার মা'র মুখে শুনেছি। তিনি আমাকে সেই ৩ মাস বয়সে কোলে নিয়ে অফিস করতেন, তখন মাতৃত্বকালিন ছুটি ছিল ৩ মাস মাত্র। মা'কে আমি কোন কারণে কষ্ট দিলে সেই সময়ের গল্পগুলো শুনাতেন, তখন এতটা বুঝতাম না। আজ দিহান আপুর গল্প শুনে আমি আবার মা'র প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত হচ্ছি।

আর আপু, আমাদের কর্মজিবী মা আমাদের কখনো Deprive করেননি, অফিস থেকে ফিরলে সারাদিনের সব গল্প করতাম আমরা, স্কুলে নেয়ার লোক ছিল - কোয়ার্টারের সব পিচ্চি একসাথে স্কুলে যেতাম, বাবার পোষ্টিং ছিল অন্য জেলায়। মা সব চাহিদা মেটাতেন, কম কিন্তু কোয়ালিটি টাইম দিয়ে।

লেখার ভালো লাগা পাশ কাটিয়ে অন্য কথা বলি-

ডে কেয়ার সেন্টার যদি আপনিই শুরু করেন?

আবার ভালো লাগা জানালাম। আগের সিরিজটার জন্যও!

আমাদের দেশে বেবি সিটার বা ডে কেয়ার সেন্টারের আজ খুব প্রয়োজন।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
টাইম আউট

chaliye jan apu.

যুদ্ধে জয় হোক।

সুমিমা ইয়াসমিন

যৌথ পরিবারে বাচ্চা পালন সংক্রান্ত ঝামেলা অনেকখানিই এড়ানো যায়। ডে কেয়ার বা আর যাই বলি, দাদা-দাদির কাছে বাচ্চা এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো থাকে। এখন যে যৌথ পরিবারগুলো হারিয়ে যাচ্ছে সেটার পেছনে অনেক সময় বাড়ির বৌদেরও দায় থাকে। হতে পারে শ্বাশুড়ি একটু নোজি, মাঝে মাঝে কথা শোনায়, কিন্তু অফিসের বস কি অনেক সময় এমন হয় না? আর বাচ্চাদের কথা ভেবেও তো অনেক সময় একটু মানিয়ে চলার চেষ্টা করা যায়। দাদা-দাদি যখন বাচ্চা মানুষ করবেন, তাদের একটু বাড়তি কেয়ার, যেটা অনেকটাই শুধু মুখের কথাতেই হয়ে যায়, সেটাও অনেক মহিলারা করতে চান না।

আমার চেনা একজনকে জানি, তার দুই বাচ্চা। শ্বাশুড়ি একসময় বাচ্চাদের দেখতেন, সকালের নাস্তা বা রাতের খাবার কিছুতেই তাকে (ছেলের বউকে) হাত লাগাতে হতো না। এরপরেও শ্বাশুড়ি ছেলে এবং ছেলের বউয়ের কাছ থেকে প্রাপ্য রেসপেক্টের ছিটেফোটা না পাওয়াতে আলাদা হয়ে যান। এখন অবশ্য ছেলের বউয়ের জন্য দুটো ছোট বাচ্চা নিয়ে চাকরি করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তিনি সময় থাকতে এটা বোঝেন নি। শ্বাশুড়ি আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর থাকায় তিনিও এখন আর ফিরতে রাজি নন।

আমার ব্যক্তিগত মতামত বলি, হয়তো পুরো প্রাসঙ্গিক নয়। যারা বিয়ে করেননি, তারা যদি যৌথ পরিবারে থাকতে চান, কোন কর্মজীবি মায়ের মেয়েকে বিয়ে করুন। কারন সে জানবে, একটা মানুষ ফুল টাইম সংসারে দেন, সেটা কত বড় সার্ভিস। হয়তো তার কাছ থেকে আপনার রিটায়ার্ড বাবা-মা একটু বেশি রেসপেক্ট পাবেন। যৌথ পরিবার টেকাতে এটাই সবচেয়ে বেশি লাগে।

খুবই বাস্তবসম্মত একটি লিখা। আমি খুব ভয় পাচ্ছি ভবিষ্যত চিন্তা করে।।

সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা নানা ভাবে কর্মজীবি মায়েদের অনুৎসাহিত করে। "পেশা" থেকে যায় "পোষা" আশা হয়ে!
সমাধান খুব দরকার, নয়তো যোদ্ধা বাড়তেই থাকবে...

আপনার লিখাগুলা এত বাস্তব আর পড়তে এত ভালো লাগে যে বলে বোঝাতে পারবোনা।
ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর জন্য কষ্ট লাগে খুব। তবে আমার কাছে দাদাদাদি, নানানানির কাছে মানুষ হতে পারা ডে-কেয়ারের থেকে অনেক অনেকগুন ভালো মনে হয়।

মানুষের জীবন খুব জটিল জিনিস, সম্পর্ক হলো আরো ভ্যাজাইল্যা। বাচ্চাপালন দিনে ২৪ ঘন্টা ডিউটির কাজ। যৌথ পরিবার ছাড়া কাজটা করা কঠিন। পোস্টে বাস্তব সমস্যা ভালোভাবে তুলে ধরেছেন। দূরের চাচার বিষয়ে উপস্থাপনাটা ভালো লাগে নাই। চাচার সময় বিষয়ে নিজেরও সীমাবদ্ধতা/প্ল্যান থাকতে পারে, নিয়মিতভাবে অন্যের বাচ্চাকে সময় দেয়ার কাজটা সহজ নয়।

পোস্টের বাইরে, বাংলাদেশে আইন করে এক সন্তাননীতি চালু করা উচিত, বছর পাঁচেকের জন্য নো-সন্তাননীতি হলে আরো ভালো। জনসংখ্যাই আমাদের সবচেয়ে বড়ো সমস্যা। ডে-কেয়ার নাই, স্কুল নাই, এই নাই, সেই নাইয়ের পেছনে বাড়তি জনসংখ্যাই প্রধান কারণ।

বাহ! আরেকটা সিরিজ শুরু হল!

এই যুদ্ধ আমার শেষ হয়েছে বলে এখন বেশ আরামে আছি। মাঝে মাঝে পুরোনো কথা ভাবলে মনে হয়,
"এসব আমি করেছি?!" নিজের পিঠ নিজেই থাবড়ে দেই একটু
আপনার যুদ্ধ জলদি শেষ হোক। শুভকামনায়...

আজকের নববিবাহিত দম্পতিরা কেউ আর যৌথ পরিবারের বেড়াজালে তাদের নীড় বাঁধতে চায় না, পাছে নতুন ডানা তুলে আকাশে উড়তে কেউ বাধা দেয় । কিন্তু এইসব নবদম্পতিরা আবার যখন নবসন্তান জন্ম দিয়ে মা-বাবা হয়, তখন যৌথ পরিবারের ছায়াতলে তাদের সন্তানদের পালন করার জন্য হা হুতাশ করে, পত্র-পত্রিকায় কলাম লিখে যৌথ পরিবারের সুফল বর্ণনা করে । লাইভ কমেডি!!

অটঃ দিহান নামটির মানে কি? সুন্দর নাম - কে রেখেছিল? নামটা কন দেশী?

মোড়া পেতে বসলাম....

'ছেলের বউ' বলে কি কোনো আলাদা জাত আছে? যে মানুষ এক সময় ছেলের বউ, সেই তো এক সময় শাশুড়ি হয়| আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যে বউ হিসাবে স্বার্থপর ছিল, সে শাশুড়ি হিসাবেও তাই হয়| অনেকেই নিজে যে সুযোগ সুবিধা পায় নাই, তা ছেলের বৌকে পেতে দেখলে হিংসায় অস্থির হয়| আমি নিজে দেখেছি, এক হাউস ওয়াইফ মহিলার ছেলের বিয়ে দেন কর্মজীবী মহিলার কর্মজীবী মেয়ের সাথে| এরপর মেয়েটির তুলনায় নিজেকে ছোট মনে করে কমপ্লেক্সে ভুগতে থাকেন| মেয়েটির কাছে উনি রান্না-বান্না, সেলাইতে কত বেশি পারদর্শী সেটা বার বার তুলে ধরে তাকে হেয় করতে থাকেন| মেয়েটা উনার সংসারের জন্যে কিছু কিনতে চাইলে বাধা দেন, সব কিছু নিজের হাতের মুঠায় তো রাখেন ই , এমনকি মেয়েটা তার নিজের ঘরে কোনো আসবাব কিনলে তা কোথায়, কিভাবে রাখবে তাও উনি ঠিক করে দেন| মেয়েটা কর্মজীবী হওয়ায় খুব বেশি হয়ত গুছানো না, তা নিয়ে উনি প্রায় খুঁত ধরেন, আর মেয়েটা অফিস যাওয়ার পরে তার বেডরুমে ঢুকে নিজের মত করে গুছান| অনেকে বলবেন এটা মায়ের ভালবাসা, ঘর গুছিয়ে দেন, মেয়েটার রান্না করা লাগে না| কিন্তু এদিকটাও কি ভাববেন যে মেয়েটার বিবাহিত হয়েও ঘরের কোনো কিছুতে অধিকার পায় নাই, শাশুড়ি যতই আপন হোক, স্বামী-স্ত্রীর বেডরুমের জিনিস সে হাত দিলে তাতে অস্বস্তি লাগতে পারে| আর ঘর গুছানোর সংগা সবার কাছে এক নয়| একজন বলেছেন, কর্মজীবী মায়ের মেয়ে হাউস ওয়াইফ-এর ঘরে গেলে বুঝবে যে হাউস ওয়াইফ কত অবদান রাখেন সংসারে তাই সে শ্রদ্ধা করবে| কিন্তু এতে এমন ভাব প্রকাশ পেল যেন কর্মজীবী মা কতই না কম অবদান রেখেছেন সংসারে| আর এতে যে হাউস ওয়াইফ মা তার সংসার নিয়ে গর্বিত হওয়ার কারণে কর্মজীবী মেয়েকে ও মেয়ের মাকে তুলে খোঁটা দিতে বা অপমান করতে পারে তা কি ভেবে দেখেছেন? আবার উল্টাও হতে পারে যে ছেলের বউ হয়ত হাউস ওয়াইফ শাশুড়িকে হেয় করলো| যাই হোক, একজন নারীর আত্মসম্মান থাকবে, সে বউ হোক, মা হোক, শাশুড়ি হোক| ছেলের বৌএর অন্যায় আচরণ সে যেমন সহ্য করবেনা, তেমনি শাশুড়ি কষ্ট দিলেও নিজের বাচ্চা কে পালবে, সেই স্বার্থপর চিন্তার কারণে অন্যায় মুখ বুজে মেনে নিবে কেন? যৌথ পরিবারে থাকলে ভালবাসা ও রেসপেক্ট নিয়ে থাকা উচিত, কাউকে বাচ্চা গছানোর জন্যে নয়| আর দাদা-দাদী যদি বাচ্চা পালতে না পারে, উল্টা নিজেরাই সেবা প্রত্যাশী হয়? সেক্ষেত্রে এই স্কিম তো খাটে না| আর সেটা হতেই পারে, নিজের নাতি-নাতনি পালতে কেউ বাধ্য না, ছেলে-মেয়ে পেলেছেন তাই যথেষ্ট| তাঁদেরই উল্টা সেবা পাওয়ার কথা| স্বেচ্ছায় পাললে ভিন্ন কথা|

আরে বাবু রাখার জন্য কাউকে পাওয়া যায় না এটা কোন কথা?! আমি একটা ডে-কেয়ার দিয়ে দিবো নাকি? আমার তো বাবু খুব ভালো লাগে। আমি সব কিছু শিখাবো পড়াবো। কি মজা !

আমি তো আপনার চ্রম ভক্ত হয়ে গেলাম !! সমাধান আর কি বলবো আমার ছোট খালাও একই সমস্যার সম্মুখীন ...

আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সমাধানের জন্য............।
আমাদের দেশে day care center এর মান কোনদিনই আশানুরুপ হবে না।
চাকরি, সংসা্‌র সনতান একসাথে সঠিক ভাবে চালিয়ে যাওয়া একেবারে অসমভব।

juddho chaliyea jan.

Somoyea sob sojjho hoyea jay. ( sorry bangla soft ni)