রাজাকার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৮/০৯/২০১১ - ৭:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বপ্নে এক মুক্তিযোদ্ধার সাথে বর্তমানের এক তরুণের দেখা। প্রথমজনই কথা শুরু করলেন।

-রাজাকার কারা?
-একাত্তরে যারা রাজাকার দলের সদস্য ছিল তারা।
-রাজাকাররা কি ঘৃণ্য?
-অবশ্যই, কারণ তাদের কোন আদর্শ ছিল না; দশজনের কথা ভাবার আগে তারা নিজেদের কথা ভেবেছে; নিজের স্বার্থ আদায়ের ক্ষেত্রে তারা হিংস্রতার নিম্নতর স্তরে পর্যন্ত গিয়েছে; সম্পদ লুট করেছে; সাধারণ মানুষ হত্যা এমন কি ধর্ষণ করতেও বাধেনি তাদের।
-কিছু কিছু রাজাকার তো ছিল যাদের আদর্শ ছিল, মুসলিম লীগ করে পাকিস্তানের স্বাধীনতা এনেছিল বলে তারা মুক্তিযুদ্ধকে সহায়তা করে নি, তাদেরকেও কি তুমি ঘৃণ্য বলবে?
-হ্যাঁ। তাদের অধীনের লোকেরাই এসব নিকৃষ্টতা করেছে কিন্তু তারা কখনো বাধা দেয় নি। এ পৃথিবীর কোনো নীতিতেই এদের প্রশ্রয় দেয়াকে মেনে নেয়া যায় না।
-ঠিক আছে। তবে সে সময়কার সুশীল সমাজের যারা রাজাকারে যোগদান করেনি কিন্তু পাকিস্তানি অফিসারদের পার্টিতে গিয়েছে, তাদের তোষামোদ করেছে, তাদের তুমি কি বলবে?
-তারাও আদর্শহীন। এদিক দিয়ে তারাও রাজাকারের সমতুল্য।
-অর্থাৎ বড় অর্থে ধরলে যারা সুবিধাবাদী, আদর্শহীন এবং আত্মকেন্দ্রিক; নিজে সকল সুবিধা ভোগ করেও যারা অন্যের কথা এতটুকুও চিন্তা করে না তারাই রাজাকার?
-হ্যাঁ।
-অনেক কথা হল। এবার তোমার সম্পর্কে জানা যাক। তুমি তো ২০১১ সালের এক তরুণ, এখন মুক্তিযুদ্ধ হলে তুমি কি যুদ্ধে যেতে?
-(দৃঢ়স্বরে) হ্যাঁ যেতাম।
-রাজাকার হতে না?
-(আরও দৃঢ় ও জোরালো স্বরে) না।
-বেশ ভালো কথা। তা তোমার নাম কি?
-(নাম বলা হল)
-আমি যে স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়ে গেলাম তার কোনো সুবিধা কি তুমি ভোগ করছ?
-আমি আজ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারি, আমার মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি, অন্য ভাষা, ভূখণ্ড বা জাতীর কেউ এসে আমার ওপর অবিচার করতে পারে না। অবশ্যই, আপনাদের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ।
-ভালো কথা। তা তুমি তো একটি সচ্ছল পরিবারে ছেলে?
-জি।
-এখন কি করছ?
-...... বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি।
-আমি আবার বুঝিয়ে বলি, তুমি এক সচ্ছল পরিবারের ছেলে; একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছ; আমার প্রাণের বিনিময়ে অর্জন করা স্বাধীনতা ভোগ করছ, আমার প্রশ্ন তার বিনিময়ে তুমি কি করছ? আমায় তুমি কতটুকু ফিরিয়ে দিচ্ছ?
-আমি আমার পড়াশোনা করছি, আমি বড় এক চাকুরীজীবী হলে তো এ দেশেরই নাম বাড়বে, তাই নয় কি?
-মনে করিয়ে দেই, তুমি এক স্বপ্নের মাঝে আছ। এখানে মিথ্যা বলা অসম্ভব। এবার বল, তুমি পড় কিসের জন্য? দেশ নাকি নিজের টাকা বানানোর জন্য?
-...... নিজের জন্য।
-দেশের স্বার্থে কোনো বিষয় নিয়ে তুমি মাথা ঘামাও না, ন্যায়ের পথের কোনো আন্দোলনের পিছে দাঁড়াও না, বেশিরভাগ ২৬শে মার্চ, একুশে ফেব্রুয়ারিতে তুমি ঘুমিয়ে কাটাও, যদি কখনো কিছু করেও থাক কি জন্য কর? আমাদের প্রতি সম্মান নিয়ে নাকি বন্ধুরা যায় বলে? ‘মাস্তি’ হবে বলে?
-সত্যি বলতে বন্ধুরা যায় বলেই যাই।
-আচ্ছা আমি নাহয় ধরে নিলাম তুমি তোমার মতো করেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, হয়তো ভালো কিছু, নতুন কিছু করে দেখাতে চাও পড়ালেখা, খেলাধুলা এদের মাঝেই। অথবা সৃষ্টিশীল গান, নাটক বা এধরনের কিছু কর। অর্থাৎ এমন কিছু যা তুমি শুধু নিজের জন্য, নিজের ভালো লাগার জন্য বা খ্যাতির জন্য কর না। মানুষের জন্য কর। এমন কিছু কি তুমি কর? আবারো বলছি তুমি স্বপ্নে আছ। মিথ্যার অস্তিত্ব নেই এখানে।
-আমার ভালো একটি ক্যারিয়ারেও তো মানুষেরই লাভ। আমি একটি ফ্যাক্টরি তৈরি করে কত মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারি। এভাবে আমি মানুষের জন্য করব।
-ভুল করে কারো পকেট থেকে টাকা পড়ে যাবার পর তা যদি কেউ খুঁজে পায় তাকে দান বলা যায় না। আমার প্রশ্নটি উদ্দেশ্যে। তুমি ফ্যাক্টরি দিচ্ছ তোমার জন্য, ক্যারিয়ার ডেভেলাপ কর তোমার জন্য মানুষের জন্য নয়। এতে মানুষের কিছু হচ্ছে না তা আমি বলব না, কিন্তু যে কাজ তোমার ইচ্ছায় হয়নি তা থেকে তুমি কিছু দাবি করতে পার না। আবার এ কথাও সত্যি, জীবনের সবচাইতে স্বাধীন সময় তুমি এখন কাটাচ্ছ, এখনই যদি তুমি কারো জন্য কিছু না কর তবে সে সময় করবে এ প্রশ্নই তো আসে না।
-কিন্তু করতেই হবে কে বলেছে?
-কেউ বলেনি যে করতেই হবে। আমি দেখতে পারছি তুমি কিছুই করো না। তোমার মুখ থেকেই জানতে চাচ্ছি যে তুমি করনি। কেননা সুবিধা নিয়ে কিছু না করাই তো অপরাধ। তাই শেষবারের মত বলছি। নিজের জন্য ছাড়া মানুষের জন্য তুমি কিছু কর?
-(দীর্ঘশ্বাস) না।
- তাহলে তুমি হচ্ছ এমন একজন ছেলে যে কিনা সমাজের প্রায় সকল সুবিধাই ভোগ করে, আমার প্রাণার্জিত স্বাধীনতাকে পেট পুরে খায়, কিন্তু যা জেনে আমি ঘুমিয়েছিলাম, যে তুমি মানুষের জন্য কাজ করে যাবে তার কিছুই তুমি কর না। তাই আমি তোমায় বলতেই পারি তুমি একজন আত্মকেন্দ্রিক, সুবিধাবাদী, আদর্শহীন মানুষ।
-জি পারেন।
-তবে স্বপ্নের প্রথমাংশের কথা চিন্তা করে দেখ তো তুমি কে?
-(প্রচণ্ড ভয়ে বুক কেঁপে উঠলো ছেলেটার। স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। কোনো কথা বেরোচ্ছে না তার মুখ দিয়ে)
-তুমি কে?
-জানি না।
-(উচ্চস্বরে) তুমি কে?
-(নিম্নশিরে, নিম্নস্বরে ছেলেটির জবাব) আমি এক রাজাকার।

এক ঝটকায় ঘুম ভেঙে গিয়ে শোওয়া থেকে বসে পড়ল ছেলেটি। দৌড়ে গিয়ে আয়নার দিকে তাকালো সে।
আঁতকে উঠল।
এত বীভৎস চেহারার এ কে?
ভয়ে বারবার মুখে পানির ঝাপটা দিতে থাকল সে।
কিন্তু আবারো একই দৃশ্য, শত ঝাপটাতেও তা যাবার নয়।
এমনই সময় আকাশ থেকে ভেসে এলো স্বপ্নের কথাগুলো “আমি এক রাজাকার... আমি এক রাজাকার...”, ইয়াহিয়ার সেই ছবিটির মতই কুৎসিত আয়নার চেহারাটি মাথার চারপাশে ঘুরতে লাগলো।
আর সহ্য করতে না পেরে আয়নাটিই ভেঙে ফেলল সে।
অবশেষে নীরবতা ......... প্রশান্তি।
ভেবেই নিচের দিকে তাকালো ছেলেটা।
ভয়-ক্ষোভ-হীনমন্যতা-নিকৃষ্টতায় দুহাতে মাথার চুলগুলো জাপটে ধরে আর্তচিৎকার করে উঠল সে।

হাজার ভাঙা আয়না হতে তার দিকে তাকিয়ে আছে হাজারটি রাজাকার।

***

(সকল কথা ও চরিত্রই কাল্পনিক। কারো জীবনের সাথে কোনোভাবে মিলে গেলে লেখক দায়ী নন। এমনকি অনেকের সাথে মিলে গেলেও না)

পথখোঁজা পথিক

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03am

মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

চিন্তার প্যাটার্নটি ভালো লেগেছে। এটা গল্পাকারে না লিখে সরাসরিই আলোচনা করতে পারতেন। এমনিতেই অনেক লোকজন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব আলোচনায় নিজের দায়িত্ব-কর্তব্যের কথা চলে আসে সেগুলো শুনতে চায় না। তারওপর সে'কথাগুলো একটু ঘুরিয়ে বললে তারা সেগুলো বোঝার চেষ্টাই করবে না।

অটঃ লেখার শেষে যে ছবিটি দিয়েছেন সেটি কি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কোন নাটক বা সিনেমা থেকে নেয়া? বেশ উত্তরাধুনিক টাইপ তো! জহির রায়হান কতগুলো কি হাবিজাবি ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন। তারচেয়ে উনি এগুলো দেখলে অনেক কিছু শিখতে পারতেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অপরাজিত অপরাজিতা এর ছবি

এটি জাফর ইকবাল এর "আমার বন্ধু রাশেদ" এর সিনেমা থেকে নেওয়া.......

পথখোঁজা পথিক এর ছবি

ভালো বলেছেন। কিন্তু অন্যদিকে এ কথাও সত্যি, আলোচনা দেখলে লোকে আগ থেকেই পালায়; গল্পাকারে লিখলে তা অন্ততপক্ষে পড়া হয়ে ওঠে। তাতেও যদি কেউ এ বিষয়ে চিন্তা করে; তাতেও যদি কারো মনে লাগে, এই ই আশা।

ছবিটি "আমার বন্ধু রাশেদ" থেকে নেয়া

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অপরাজিত অপরাজিতা এবং পথখোঁজা পথিক, আমি আশংকা করেছিলাম ছবিটা "আমার বন্ধু রাশেদ" থেকে নেয়া। দেখা যাচ্ছে আমার আশংকা সত্যি। আমি মুভিটি দেখিনি, এই স্থিরচিত্রটা দেখার পর মুভিটা দেখার আগ্রহ হারালাম। আমার এই মনোভাব ভ্রান্ত ও অতি সরলীকৃত মনে হতে পারে, তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে - আমি বড় ভুল করছি না। বিখ্যাত চলচ্চিত্রকারদের হাতে কালজয়ী উপন্যাসের বারোটা বাজানো দেখার দুঃখজনক অভিজ্ঞতা আছে।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নাটক বা মুভি বানানোর আগে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আর যাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে তাদের সাথে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে নেয়া উচিত। আরো উচিত ঐ সময়কার ডকুমেন্টারিগুলো দেখে নেয়া। কিন্তু কয়জনই বা এই খাটুনিগুলো করতে চায়!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি অন্যকেউ এর ছবি

অতিসরলীকৃত চিন্তাধারা বলে মনে হোল। আপনার প্যাটার্নে যদি চিন্তা করতে যাই, তাহলে একজন মুক্তিযোদ্ধাকেও আমি স্বার্থপর বলব; কেননা একজন পাকিস্তানি তাকে দেখলে গুলি ছুঁড়বে, একারণেই প্রতিক্রিয়া হিসাবে তিনি গুলি ছুঁড়েছেন সেই পাকিস্তানির দিকে। দেশের প্রতিটা ছাত্রকে রাজপথে নেমে আন্দোলন করতে বলাটা বাস্তবসম্মত না। আমি নিজে এক বড়োভাইয়ের সাথে এই নিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেছিলাম। তিনি চাকুরিজীবি এবং কনোকোফিলিপসের সাথে অন্যায় গ্যাসচুক্তি নিয়ে অসচেতন। কিন্তু আমি তাকে আমার মতো রাজপথে আসতে বলি নাই, বলেছি বিষয়টা নিয়ে সচেতন হতে। সবাই রাজপথে থাকলে প্রশাসন চালাবে কে, শিক্ষক হবে কে, আর গবেষণাই বা কে করবে? আপনার এই তরুণ ছাত্রটি যে সচেতন, এই সচেতনতাটুকু থাকা একজন মানুষের মাঝে ন্যূনতম প্রয়োজন। দেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হলে সে দৃপ্তভাবে যুদ্ধে যাবে; এরকম আর কজনকেই বা পাওয়া যায়?

এই অতিসরলীকরণ ভালো লাগে নাই।

পথখোঁজা পথিক এর ছবি

মুক্তিযোদ্ধাটি কিন্তু বারবার 'অথবা' কথাটি ব্যাবহার করেছেন। অর্থাৎ রাজপথে দাঁড়ানোই কিন্তু একমাত্র উপায় নয়, আপনি যদি দেশের জন্য বা মানুষের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্যে যেকোনো কাজ করেন তাহলেই আপনি রাজাকার না। এখানে উদ্দেশ্যটিই প্রধাণ।

আমাদের দেশের বর্তমানে এমন এক অবস্থা যাকে বলা চলে "আপনি যদি কিছুই না করেন আপনি চুরি করছেন" । অর্থাৎ সুবিধা নিয়ে কিছুই না করা রাজাকারি করা, সেই কিছু যেকোনো দিকেই হতে পারে।

আপনার এই তরুণ ছাত্রটি যে সচেতন, এই সচেতনতাটুকু থাকা একজন মানুষের মাঝে ন্যূনতম প্রয়োজন। দেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হলে সে দৃপ্তভাবে যুদ্ধে যাবে; এরকম আর কজনকেই বা পাওয়া যায়?

আপনার এ কথাটির সাথে আমার কোনোই দ্বিমত নেই। অতটুকু সচেতনতা না থাকলে কেউ এ স্বপ্নই দেখবে না। এজন্যই এ লেখাটিকে সবাই পাশ কাটিয়ে চলে যায়। আবার এজন্যই এই লেখাটির জন্ম; জোর করে সবাইকে স্বপ্নটি দেখিয়ে দেওয়ার জন্য।

আশা করি আমার মন্তব্য বুঝিয়ে বলেছি, কোনো দ্বিমত থাকলে অবশ্যই বলবেন।

অতিথি অন্যকেউ এর ছবি

আপনার থিমের মধ্যে সচেতনতার জন্য যে আকাঙ্ক্ষা আছে, সেটাকে সমর্থন করি।

আমাদের দেশের বর্তমানে এমন এক অবস্থা যাকে বলা চলে "আপনি যদি কিছুই না করেন আপনি চুরি করছেন"।

অনেকটাই সহমত, একথা মাথায় রেখে যে, অনেকের পক্ষেই সিস্টেমের উল্টোস্রোতে দাঁড়ানোটা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। এমন নয় যে তারা চায় না, কিন্তু সবাই তো আর বীরপুরুষ নয়।

এখনের এই সময়টা, বদ্বীপের মানুষদের জন্য আত্মিক টানাপোড়েনের খুব ক্রিটিকাল একটা কাল হিসাবে আমি দেখি।

অর্থাৎ রাজপথে দাঁড়ানোই কিন্তু একমাত্র উপায় নয়, আপনি যদি দেশের জন্য বা মানুষের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্যে যেকোনো কাজ করেন তাহলেই আপনি রাজাকার না। এখানে উদ্দেশ্যটিই প্রধান।

আপনার এই মন্তব্যে আমার দ্বিধাটা দূর হোল। আপনার সাথে সহমত। ক্রিটিকাল এই সময়টায় যার যার অবস্থান থেকে নিজের উপযুক্ত দায়িত্বটা সম্পর্কে সচেতন থাকাটা এখন সবচেয়ে দরকার। শিক্ষক যদি সচেতনভাবে শিক্ষাটা দেন, প্রশাসক যদি সচেতনভাবে প্রশাসনটা চালান, এইভাবে একক মানুষদের সচেতন কাজগুলোর সম্মিলিত ফল অবশ্যই আমাদেরকে ভালো একটা সময়ের দিকে টেনে নিয়ে যাবে। আপনার প্রচেষ্টা বিশেষভাবে ভালো লাগলো এখন।

লেখনী চলুক। জাগিয়ে তুলুক আমাদের। চলুক

রিশাদ_ ময়ূখ এর ছবি

গল্পের থিম চিন্তা করলে ভীষণভাবে সত্য। কিন্তু গল্প হিসেবে পড়তে গেলে ঠিক গল্প লাগে নাই। লেখেন ভালো। শুভকামনা

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হুম, আমরা নিজেরা রাজকার না হলে কি আর এই দেশে রাজাকারদের সাথে একই সাথে বাস করি?

কল্যাণF এর ছবি

চিন্তিত

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার মন্তব্যে কী বোঝালেন তা যদি একটু বিস্তারিত বলতেন ..

কল্যাণF এর ছবি

পিপিদা' আমি অতি নগন্য পাঠক, মতামত জানতে চাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। লেখাটা পড়ে চিন্তিত, মানে নিজেই চিন্তার অনেক খোরাক পেলাম যেমন ধরেনঃ তলিয়ে দেখতে গেলে বা চুলচেরা বিশ্লেষণে কোন কিছুই বোধয় তাহলে আর বিশুদ্ধ থাকে না। এক একটা ঘটনা তো এক এক দিক থেকে দেখা যেতে পারে, অর্থও করা যেতে পারে। আর মানুষ দেখি তাই করছে, নিজের সুবিধামত মানে করে। আমাদের যুদ্ধতো শুধু বন্দুক নিয়ে শত্রুর দিকে গুলি ছোড়া ছিল না, খবর যোগানো, খাবার যোগানো, সমর্থন যোগানো সহ আরো কত হাজারো যুদ্ধ হয়েছে। আর সেই যুদ্ধ তো এখনো শেষ হয়নি। অতি সাধারন একটা উদাহরন দেইঃ পেপারে দেখলাম এবছর আয়করদাতাদের লিস্ট তৈরি করা হয়েছে এবং সর্বচ্চ করদাতাদের পুরস্ক্রিত করা হয়েছে। সেই লিস্টে দেশের বড় বড় ধনীরা নাকি নাই!! কি বিচিত্র। আমরা যদি জানি যে এই ১০টা লোক দেশের সব থেকে ধনী তাহলে তারা বেঁচে যায় কিভাবে? আয়কর বিভাগ থেকে তদন্ত শুরু করলেই তো হয়। এওতো এক যুদ্ধ। আসলে এগুলো কারো কাছে আমার অভিযোগ নয়, ঐযে প্রথমেই বলেছি, লেখাটা পড়ে অনেক কিছু চিন্তার খোরাক পেয়েছি, নিজের মত করে অর্থ করে নিয়েছি আরকি। এর অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে ভেবেই এগুলো প্রথমে লিখি নাই।

শিশিরকণা এর ছবি

কথা সত্য। নিজের অবস্থানে থেকে নিজের কাজটি যত্ন নিয়ে ভালবাসা নিয়ে করলেও কিন্তু সেটা দেশের জন্য এক ফোঁটা কিছু করা। নিজের জন্য করলে যে দেশের জন্য কিছু হবে না এইরকম বিরোধ নেই। তবে উদ্দেশ্যটা উভয়মুখী হতে হবে। বিরোধ তৈরি হয় যখন নিজের লাভের জন্য অন্যটাকে জলাঞ্জলি দেয়া হয়।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

কল্যাণF এর ছবি

অতি সত্য, সহমত, মন্তব্যে উত্তম জাঝা! কষ্ট করে আমার মনের কথাটা এত চমতকার করে লিখে দেওয়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তাপস শর্মা এর ছবি

আমার কিন্তু লেখাটা খুবই ভাল লেগেছে। একটা চিত্র মনে মনে তৈরি হয়। রাজাকার কে বা কারা? অসৎ ও অস্বচ্ছ বোধে আক্রান্ত প্রতিটি ব্যক্তিই রাজাকার!!
আপনার চিন্তা করার ধরনটাও ভাল লাগল।

পথখোঁজা পথিক এর ছবি

ধন্যবাদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।