সবার বয়স বাড়ে আমার বালকবয়স বাড়ে না

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: রবি, ২১/০৯/২০০৮ - ১:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বয়স চোরা কথাটি ছোটবেলায় বেশ শুনতাম। আমার এক ফুফাতো ভাই ছিল বয়স চোরা। তার চেহারার মধ্যে এমন কী ছিল যে বয়স বোঝা যেতো না! যদিও ছোট ছিলাম বলে বিষয়টা তেমন বুঝতাম না। কিন্তু বয়স চোরা বিষয়টা মনে গেঁথে ছিল। বড়ো বেলায় এসে যে তার বয়স চোরা ভাবটাই আমার মধ্যে আসবে তা কে জানতো! বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হয়ে গেলো, কিন্তু আমার চেহারা থেকে বালক ভাব আজো গেল না। নিজে থেকে বয়সের হিসেব না দেয়া পর্যন্ত কেউ মালুম করতে পারে না আমার বয়স কত। সবাই ধরে নেয় আমি স্কুল গোয়িং বালক। বালক ভাবার অভিজ্ঞতাও কম নয়। একবার কি এক ছুটিতে ভার্সিটি থেকে বাড়ি গেছি। এক লোক এসেছেন আব্বার কাছে। আব্বা বাড়িতে নেই। বাজারে গেছেন। তো সে ভদ্রলোক আব্বার জন্য অপেক্ষা করছেন। অপেক্ষার প্রহর ফুরাতে তিনি আমার সাথে গল্প জুড়ে দিলেন। এটা-সেটার ফাঁকে জানতে চাইলেন আমি কোন ক্লাসে পড়ি। বললাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্সে পড়ি। থার্ড ইয়ার। ‘আমার সাথে তুমি কি ইয়ার্কি করতেছো’ তিনি বলেন। আমার বালকোচিত চেহারা নিয়ে আমি আর কী বলতে পারি, বলুন?

জুনিয়র মেয়ে যদি প্রেমের সম্পর্ক ছাড়াই তুমি করে বলে বসে, তবে কেমন লাগে? আমার বালক সুলভ চেহারা আমাকে সে ধরনের অভিজ্ঞতা উপহার দিয়েছে একবার। বিবিএ পরীক্ষা শেষ। তখনো রেজাল্ট হয় নি। ডিপার্টমেন্টের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। রেজাল্ট কবে হবে সে খোঁজখবর জানবো। এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছি। ও এলেই একসাথে ওয়াকার স্যারের কাছে যাবো। এমন সময় এক মেয়ে এসে জিজ্ঞেস করে, অ্যাই, মতিন ভাইকে দেখছো তুমি। মতিন ভাই আমাদের অফিস সহকারী। অনেক কাজেই তাকে দরকার পড়ে। এইজন্য মাঝে মাঝে তার শরনাপন্ন হতে হয়। এই মেয়েটিও হয়তো দরকার। তাই খুঁজতেছে। কিন্তু আমাকে তুমি করে বললো। আমাকে কী ফার্স্ট ইয়ার ভেবেছে? ডিপার্টমেন্টে আমাদের সিনিয়র মাত্র এক ব্যাচ আছে। সে ওই ব্যাচের নয় আমি নিশ্চিত। আর যতো দূর মনে পড়তেছে, মেয়েটিকে পরিচিত জুনিয়রদের সাথে ক্লাস করতে দেখেছি। তাকে কিছু একটা বলতে যাই। তবে কী মনে করে নিজেকে সংবরন করি। মনে পড়ে আমার চেহারাটাই তো বালক বালক। আর প্রতিবার দাঁড়ি গোঁফ কাটার পর আরো বালক হয়ে উঠি।

গত ঈদের ঘটনা। বহু দিন পর এক কাজিনের সাথে দেখা। ৮/৯ বছর হবে। আমাকে দেখেই বলেন, রেজা তুই তো একটুকুও বড়ো হস্ নাই। আগে যেমন দেখেছি, তেমনই আছিস। আমি বলি, আপা, এর মধ্যে কোনো ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী জাতীয় রহস্য নাই। সবই ওপর আল্লাহ’র ইচ্ছা।

এ ধরনের ঘটনা আরো আছে। তখন পাঠক ফোরাম করি। এলাকা থেকেই লেখালেখি করি। ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে ঢাকায় আসি। পাফো মিটিং-এ যাই। একদিন আতিক দর্জি বলেন, পান্থ’র লেখা পরে আমি ভাবছিলাম বড়োসড়ো কেউ একজন। এখন দেখছি পিচ্চি একটা মাল। বন্ধুসভার গিয়াস আহমেদও তেমনটি ভেবেছিলেন। কিন্তু চাক্ষুষ পরিচয়ে পেলেন বালকোচিত পান্থকে। গিয়াস ভাইয়ের মতো লীলেন দারও নাকি এমন মনে হয়েছিল।

সচলায়তনে এসে অনেকের সাথে বেশ খাতির হয়েছে। এদের একজন মুশফিকা মুমু। সচলের বিভিন্ন লেখায় কমেন্টে তিনি আমাকে আপনি করে বলতেন। একদিন ফেসবুকে আমার স্ট্যাটাস দেখে অ্যালবাম পরিদর্শন করে এসে জানান, আ রে মিয়া, আপনি তো একটা আস্ত বালক। আর আপনাকে আমি কীনা আপনি বলে বলে হয়রান। যাও এখন থেকে তোমাকে তুমি করে বলবো। আমি আরেকবার প্রমাণ পাই, আমার বালক বয়স আদৌ বাড়েনি!

এমবিএ শেষ হলো। চাকরিও একখানা করি। বছরখানেক পরে হয়তো বাড়ি করে দাবি উঠবে বিয়ে করার। জানি না, পাত্রী পক্ষ আমার বালকসুলভ চেহারা দেখামাত্র পাত্র হিসেবে খারিজ করে দেয় কী’না!


মন্তব্য

নজমুল আলবাব এর ছবি

সেই জুনিয়র মেয়ের সাথে পরে কি হল পান্থ ভাইয়া? (যা বেটা, বড় বানায়া দিলাম, ভাইয়া ডাকলাম)

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

অপু ভাই, বালকোচিত চেহারা নিয়ে সেখান থেকে ভেগে গেছি। পরে আর কিছু হয় নাই। তয় মনে মনে দাঁড়ি রাখার কথা ভাবছিলাম কয়েকদিন।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

তোমার উচিত সব সময় গলায় বয়সের প্লাকার্ড লাগিয়ে চলাফেরা করা

০২

সাহস থাকলে দাড়ি রাখা

০৩

কারো সাথে পরিচয়ের শুরুতেই নিচের এসএসসির সাল বলে দেয়া(যদি ওটা এর মধ্যেই পাশ করে থাকে)

০৪

চেপে যাওয়া
কারণ বয়স লুকাতে পারলে ভবিষ্যতে বহুদিন ব্যাটিং করতে পারবে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

লীলেন্দা, সবগুলা পরামর্শই পালনযোগ্য। তয় ৪ নং পরামর্শ পালন করলে কাদের সাথে বহুদিন ব্যাটিং করা যাবে, তা ক্লিয়ার না। তাড়াতাড়ি ক্লিয়ার করেন।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যে মাঠে ব্যাটিং করার জন্য আমি ছাড়া বেশিরভাগ লোকই চুলে রং মাঝে
চামড়ায় বার্নিশ মাখে

সেই মাঠে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আমিও করতে পারবো। যা বালকসুলভ চেহারা আমার, রঙ-ফঙ মাখতে হবে না । হাহাহাহা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হে হে। মজায় আছেন তাইলে? চোখ টিপি

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নারে ভাই। দুঃখের কথা কী আর কমু । ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র মেয়ে পর্যন্ত... না থাক, কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে।

আলমগীর এর ছবি

শুনেন তাইলে এক কাহিনী কই (নজরুল ভাই মাফ কইরেন স্টাইল চুরির জন্য):
আমার অনেকটা এই দশা, এক কলিগ বলত জালি লাউ।
তখন পাশ তো করছিই, চাকরিতে ৪/৫বছর, বিয়ে করে মেয়েও হয়ে গেছে। মেয়েকে দেখতে চট্টগ্রামে যাই উদয়নে করে। কুপের মধ্যে এর ওর সাথে পরিচয় হয়। পয়লা তুমি করে শুরু করে আলাপ। পরে একটু কথা বাড়লে জিহ্বায় কামড়। আমি অবশ্য সবসময় উপভোগই করি ব্যপারটা। তুমি সম্বোধনেও আপত্তি না, যথাযথ ব্যক্তি-সম্মানটা থাকলেই হল।

পাত্রী-পক্ষ বেজার হবে না, অন্তত পাত্রী নিজে।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

পাত্রী-পক্ষ বেজার হবে না, অন্তত পাত্রী নিজে।

আলমগীর ভাই, ক্যামনে কী? নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলতেছেন নাকি? তাইলে একটু ভরসা পাই।

আলমগীর এর ছবি

আবার জিগান! হ, নিজের অভিজ্ঞতা।

সবজান্তা এর ছবি

একই সমস্যায় তো আমি নিজেও। আমারে দেখলে বলে মানুষের বাচ্চা পোলা বইলাই মনে হয় ! কি যে বিপদ !

পান্থ ভাই, আপনি এইচ এস সি কোন ব্যাচ ?


অলমিতি বিস্তারেণ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

’৯৯। আপনি?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

৯৯ ব্যাচের এসএসসি
তাইলে তো এখনো মেট্রিক পাশ করে নাই

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাহাহাহা হায় হায় আমার নামে এভাবে পাবলিকলি নালিশ করলেন তবে আপনি যে ৯৯ HSC অ্যাঁ এটা আসলেই ভাবিনি, সরি পান্থ ভাই, ভুল হয়ে গেসে মন খারাপ আমি সত্যি ভাবলাম আপনি আমার ছোট, খুবি সরি, খুবি সরি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আহারে আমার মুমু'পু এভাবে পাবলিকলি মাইন্ড খাইবে তা যদি জানতাম! সরি মুমু'পু। এই যে দেখেন কেমন করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সত্যি মুমু আপু, আপনার ব্যাপারটা কথা প্রসঙ্গে এসেছে। অন্যান্যরা যেমন এসেছে এটাো তেমন এসেছে। আর ছোট বড়োতে কী আসে যায়। এটা একটা আজাইরা প্যাঁচাল আর কি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নাই। সচলে কী যেন একটা প্রবাদ আছে, ইজি থাকতে হয়। ইজি থাকুন মুমু'পা।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমি মাইন্ড খাইনিতো, আমি ইজি আছি, আপনাকে তুমি বলায় আপনি মাইন্ড খায়েন না প্লিজ ইয়ে, মানে...
P.S. মাইন্ড খাওয়া ব্যপারটা খুব হাসির, সবাইকে এটা বলতে দেখি, মাইন্ড আবার খায় কিভাবে গড়াগড়ি দিয়া হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সবজান্তা এর ছবি
অমিত আহমেদ এর ছবি

আরে সিরাম!
আমিও ৯৯ এইচএসসি। নটরডেম।

তা ইদানিং আপনার পোস্টগুলোতে ঘুরে-ফিরে বিয়ের প্রসঙ্গ উঠে আসছে যে? কাহিনী কি ব্রাদার? দেঁতো হাসি


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

অমিত ভাই, কী আর বলবো, সবই বয়সের দোষ, বুঝলেন!!!

সুমন সুপান্থ এর ছবি

বড় যে হয়েছিস রে পান্থ, সেটা বুঝানোর ভালোই তরিকা পাইছস ।

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

তা যা বলেছেন, সুপান্থদা'। বিজ্ঞাপনে কাজ করি। ক্যামনে নিজের ঢোল বাজাতে হয়, তা তো টুকটাক জানি। জানা জিনিস তো মাঝে মাঝে বাজিয়ে দেখতে ইচ্ছে করে আর কি।

স্বপ্নাহত এর ছবি

সমাধাণ পাইলে একটু কানে কানে জানায় দিয়া যাইয়েন।

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কেন! তোমারও কি বিয়া হইতেছে না নাকি! হো হো হো আছ কেমন? হাসি
__________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

স্বপ্নাহত, পোস্টের দিকে নজরদারি বাড়ান, লীলেন্দা' কিছু তরিকা দিয়েছে। আরো কিছু পেয়ে যাবেন আশা করি। তা আপনিো কী আমার পথের পথিক।

সৌরভ এর ছবি

ব্যাপার্না। আজকাল বাচ্চা পুলাপানদেরও আপনি কইরা বলি। ভয় লাগে, ঝাড়ি দিলে যদি বলে, জানেন, আমি তিন বাচ্চার বাপ।

সেইজন্যে সবাই আপনি। কোন কথা নাই।



২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সৌরভ দা’, তুমি বলার মধ্যে অন্যায় কিছু দেখি না। তয় মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়, যখন অপরিচিত কেউ বালক সুলভ চেহারা দেখে তুমি করে বলে বসে। যদিও সে আমার চেয়ে বয়সে ছোটই। তয় পরিচিত কেউ হলে ব্যাপার না। আমার আগের অফিসের কলিগ এমদাদ ভাই, বয়সে আমার চেয়ে ১০ বছরের বড়। তাকে মাঝে মধ্যে তুমি করে বলতাম।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ফেসবুকে আমার ছবি দেখে কাছের মানুষ অরূপ ও জিজ্ঞেস করে-'আপনার রিয়াল বয়স কতো?'

মর জ্বালা , কেমনে বুঝাই- স্কুল পাশ দিছি, হেও আঠঠারো বছর গত হইছে । কেউ আবার ভাইবেন না প্রাইমারী স্কুল, ঐটা উঁচা ইস্কুলের কথা কই ।

তবে পান্থ মন খারাপ করেনা ভাই, এর কিছু ফজিলত ও আছে যেমন লীলেন ভাই বললো ।

আমার তিনবছরের পোলা এখনই ঘোষনা দিছে তার বাপ বড় হইলে সুন্দর দেখে একটা বিয়া করাবে ।
এখন দিন গুনতেছি-কবে আমার পোলাটা বড় হইবো হাসি
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হাসান মোরশেদ ভাই, আপনার ছেলের ঘোষণা শুইনা হাসতেই আছি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পান্থ'দা, আপনার যে আসলেই এত বয়স এটা আন্দাজ করতে পারিনি। আপনি দেখতে কিন্তু সত্যিই অনেক কমবয়সী। এই প্রসঙ্গে আমার দুই বন্ধুর কথা মনে পড়ে গেল। ভার্সিটিতে উঠেও ওদের দেখলে মনে হত যেন স্কুল বা কলেজে পড়ে! একজনের তো দাড়ি'ই ওঠে না ঠিকমত, আর আরেকজন নিজেকে বড় প্রমাণ করার জন্য এখন আবার ফ্রেঞ্চকাট রেখেছে‍! চোখ টিপি কি যে বিপদ ওদের! ( আপনি অবশ্য ভাল বুঝবেন! শয়তানী হাসি ) আমরা তো অনেক মজা করতাম যে বিয়ের সময় মেয়ে পাওয়া যাবে না ওদের জন্য! হো হো হো
__________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

পরিবর্তনশীল এর ছবি

এক মেয়ে বিশেষজ্ঞের মতে মেয়েরা দেখতে পিচ্চি ছেলেকে অধিক পছন্দ করে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আ রে অতন্দ্র দা', আলমগীর ভাই তো বলেছে পাত্রী নিজেই নাকি পছন্দ করবে চির তরুণ (চেহারা সুরতে) জামাই পাবার আশায়। হা হা হা হা। আপনার বন্ধুদের আশায় বুক বাঁধতে বলেন।

রণদীপম বসু এর ছবি

বালক বালক লাগছে দেখে আপনি যেভাবে মৌজে আছেন, আমি তো দেখছি আপনার অনেক সমস্যা !
০১. বিয়ের বয়স পার হয়ে যাবে, একান্তই বালক ভেবে পাত্রী আর আসবে না। মিডিল অর্ডারেও ব্যাটিং করার সম্ভাবনা দেখছি না। উফ !
০২. যখন পাত্রীপক্ষ লায়েক হয়েছে বলে ধারণা করবে তখন পাত্র যে বার্ধক্যের দোরগোড়ায় ! শেষ পর্যন্ত লোয়ার অর্ডারে ক্ষণস্থায়ী ব্যাটিং ! আহা !
০৩. আপনার বালকসুলভ উচ্ছ্বাস দেখেই মাহবুব লীলেনের মতো প্রাজ্ঞ ভাবুক আপনাকে বহুদিন ব্যাটিং করার মূলা দেখাচ্ছে। উপরোক্ত দুটো কারণে আপনি দূর থেকে লীলেন ভাইর হাতে যে স্বপ্নের ললিপপ দেখছেন, সময় সাঁতরে কাছে গিয়ে দেখবেন ওটা আর কিছু না, ইয়া বড় লাউ !

সমাধান:
০১. তাই এখন থেকে এ বিষয়ে কোন দাড়িঅলা লোকের পরামর্শ নেবেন না। কেননা দাড়ির নীচে কলা দেখানোর উদ্দেশ্যটা ঢাকা পড়ে যায়। অবশ্য আমার দাড়ি থাকলেও তা খারাপ দাড়ি না।
০২. জুনিয়র যারা এসে শুরুতেই তুমি করে বসবে, আপনি তাদের ছোট বোনের খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করবেন। (তবে বিশেষ সতর্কতা, ধুগো, সন্ন্যাসী আরো কে কে যেনো আছে না, এরা যাতে কিছুতেই টের না পায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্য লীলেনের সহায়তা নিতে পারেন।)
০৩. সবচে সহজ পদ্ধতি হলো মাথা নেড়ে করে নেয়া। এতে বয়েস কিছুটা কাভার দিতে পারে।
০৪. এ ব্যাপারে বেছে বেছে নজরুল ভাইয়ের মতো সচল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
আপাতত এটুকুই । বিশেষ ঠেকায় পড়ে গেলে পরে না হয় আরো কিছু টিপস দেয়া যাবে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বসুদা' এভাবে কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিলেন? আমি কিন্তু কান্না শুরু করে দিবোনে।

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

আমার এক বান্ধবী, ক্লাসে নতুন ভর্তি হওয়া এক সহপাঠীর গাল টিপে - "বাবু কোন ক্লাসে পড়?" জাতীয় কিছু বলায়, প্রচন্ড এক চড় খেয়েছিলো।
কিন্তূ কে জানত, সে চড়ের এত গুন!!! যে কিছুদিন পর ওদের এ্যফেয়ার হয়ে যায়।

তো পান্থ ভাইয়া, কোন চিন্তা নাই।
জুনিয়ার মেয়ে কিছু বললেই , আমার সহপাঠীর তরিকা ট্রাই করে দেখতে পারেন দেঁতো হাসি


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইটা এট্টা সিচুয়েশন।

একটা গল্প কই তাইলে। এক সুন্দরী রমনী এক সুদানীর পোর তিন সন্তানের মা। ঘটনা খুঁজে পাওয়া গেলো এই সুন্দরী রমনী কোন এক কালে ঐ সুদানীর পোরে কইষা একটা চড় দিছিলো!

গল্প শেষ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভাবনা'দি, আমি হলাম গিয়ে ভীতুর ডিম। আমার দ্বারা তেমন হবার সম্ভাবনা নাই। সুতরাং, অ্যাফেয়ার হবার সম্ভাবনা শুন্য। তবে পরামর্শ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

তানবীরা এর ছবি

হুমম, বালিকা বধূ খুজতে হবে আর কি।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

তানবীরা আপু, আপনার মনোভাব ভালো ঠেকছে না। বুঝতে পারছি, আপনি আমারে বাল্য বিবাহ-এর ফাঁদে ফেলে জেলের ভাত খাোয়াতে চান।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

বালকের এইবার গোঁফ গজাক।

---------------------------------------------------------
ভাটির মানুষ আমি বুঝিনা উজানের গতি...

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

টুটুল দা' গোঁফ গজালে শেভ করার টাকা কে দেবে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- রেজা ভাই এমবিএ-র সকল মুসকিল আসান হয়ে যাক। কামনা করি। পাশাপাশি ধুগোরে জড়ায়া জনৈক কমেন্টদাতার বিরুদ্ধে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটের আহ্বান জানাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রণদীপম বসু এর ছবি

আপনাদের ধর্মঘটের পক্ষে আমারেও রাইখেন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধুগোদা', কার বাসার সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট করবেন, তা দ্রুত জানানোর জোর দাবী জানাচ্ছি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লাগাতার নয় মাস গরু-খিচুড়ী খেয়ে মোটা হওয়ার আগ পর্যন্ত এরকম অভিজ্ঞতায় আমাকেও পড়তে হয়েছে। সবচেয়ে প্রেস্টিজ পাংচার অবস্থা হয়েছিলো একবার যখন স্কুলে টেন-এ পড়ি। এক আত্মীয়া আমার সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া বোনকে জিগায়, "তোমার ছোট ভাই কোন ক্লাসে পড়ে?"

আপনার গল্প পড়ে রঙিলা সিরিজের নেক্সট গল্পের আইডিয়া পেলাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বলাই দা', গল্পের আইডিয়া তো পেলেন। তয় গল্পে আমার মান-সম্মানটুকু রাইখেন। কথা দ্যান, প্লিজ লাগে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার মানহানি হবে না। হাসি
আমার নিজের কিছুটা মানহানি হতে পারে। বয়স লুকাইয়া পিচ্চি এক মাইয়ার সাথে প্রেমালাপ করেছিলাম। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বয়স লুকাইয়া পিচ্চি এক মাইয়ার সাথে প্রেমালাপ করেছিলাম।

বলাই দা', একটু রয়েসয়ে।

পেন্সিলে আঁকা পরী এর ছবি

আপ্নে কোন ব্যাচ?? ৭ না ৮?

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

৭-এ ছিলাম। তারপর পা ফসকে ৮-এ।

এক্জন এর ছবি

আয় হায় ৮র এমবিএ শেষ্‌। আমি ত ভাবি ৭ ও এখন বিবিএ পরে। খুবই দুখখু পাইলাম মনে।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

জনাব একজন, আপনার দুঃখ পাবার বিষয়টি ঠিক বুঝলাম না। একটু ক্লিয়ার করবেন?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি তো খুবই মজা পাই। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কাম করতে স্কুলে স্কুলে যাইতাম... বালিকারা খালি পড়তো- প্রেমে এবং ঝামেলায়।
চেহারার বালক ভাব দূর করতে আমি বিরাট লম্বা চুল দাড়ি আর গোঁফ দিয়া বদন ঢাকছিলাম। অনেক কাজে দিছিলো। আর এখন তো খুবই খুশি মনে চুল দাড়ি কাটি... এখনো বালিকারা ফিরে ফিরে চায়...

তার উপরে আমার স্বভাব হইলো ছোটবড় সবাইরে আপনে বলা... তুমি তুই আমার মুখ দিয়া আসেই না। এতে অনেকেরই আমারে ছোট ভাবতে আরো সুবিধা হয়। আমি তা থোড়াই কেয়ার করি... কেউ আমারে ছোট ভাবলে আমার কিছুই মনে হয় না। বরঞ্চ এরপর যখন তার ভুল ভাঙ্গে এবং লজ্জিত হয় দেখতে তখন খুবই মজা লাগে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নজরুল ভাই, আপনার মতো বরাত আমার নাই। কোনো বালিকাই আমার সামনে এসে গাইলো না জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন। দুঃখ কই রাখমু কন!!!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মজা পাইছি চোখ টিপি

কাওসার আহমেদ এর ছবি

জুনিয়র পোলা-মাইয়া তুমি কইরা কইলে মন চায় কষাইয়া দুইটা চড় মেরে তোতলা বানাইয়া দেই।তুমি তো দুরের কথা যেন ত বলতেই তিনদিন লাগে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।