বাংলাদেশে দশক ভিত্তিক গল্প নিয়ে আলোচনা হয়। এখন মনে হয় আন্তর্জাল গল্প আমাদের গল্প আলোচনার আরেকটা প্লাটফর্ম খুলে দিলো। এখানকার লেখকরা ভালো লিখছেন, তাদের বই পুরস্কার পাচ্ছে। এদিকে আন্তর্জালের লেখালেখির সুবাদে তাদের একটা নির্দিষ্ট পাঠকশ্রেণী গড়ে উঠেছে। এই পাঠকরা বইমেলায় গিয়ে লেখকের নাম ধরে, বইয়ের নাম ধরে বই খুঁজছেন, কিনছেন। প্রকাশকরা তাদের বইয়ের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল নবীন লেখকদে
ম্যালাদিন আগের কথা। সেটা সম্ভবত ১৯৯৮ সাল। কলেজে পড়ি। আমাদের বাড়ির পাশে একটা পাঠাগার ছিল। সেখানে ভোরের কাগজ পত্রিকা রাখতো। বিকেলে সেটা পড়তাম। সেই পত্রিকায়, শুক্রবারের সাহিত্য সাময়িকীতে একটা লেখা এলো একদিন। লেখার শিরোনাম: পোয়েমিক্স_ কী, কেন, কীভাবে: একটি অসম্পূর্ণ খশড়া। লেখক তুষার দাশ। লেখাটি আমাকে অভিভূত করে। আমার মাথার ভিতরে গেঁথে যায়। এই এতকাল পরেও, প্রায় তের বছর পর আমি সেই প্রথম পড়ার কথা, মুগ্ধ
বাংলাদেশে এখন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সংখ্যা অনেক। প্রায় ১৩-১৪টি। স্কয়ার গ্রুপের মাছরাঙা, বেক্সিমকো গ্রুপের ইন্ডিপেনডেন্ট, সময়, মোহনা-সহ আরো কয়েকটি চ্যানেল অচিরেই অনএয়ারে আসছে। তখন সবমিলিয়ে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সংখ্যা দাঁড়াবে ২২/২৩টিতে। বাংলাদেশের মতো ছোট্ট দেশে সংখ্যা হিসেবে এটা অনেক। যদিও টিভি দর্শক সংখ্যা কম নয়। ন্যাশনাল মিডিয়া সার্ভে অনুযায়ী আমাদের দেশে টিভি দর্শকদের সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি
সুন্দরবন গ্যাছো কখনো
না
আবদুল ওয়াহাবকে চেনো?
কিছুটা চিনি। ফটোগ্রাফার মুস্তাফিজ ভাইয়ের ছবিব্লগে আর লীলেন্দার সাকিন সুন্দরবনে তার কথা শুনেছি। অসম্ভব সাহসী সে। বাঘের সাথে লড়েছে। ডাকাতদলকে বন্দুক যুদ্ধে হারিয়ে দিয়েছে। পচাব্দি গাজীর পাশের গ্রামের বাড়ি।
সালাউদ্দিন বাপ্পীকে চেনো?
জেমস জয়েসের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ডাবলিনার্স’। ১৯০৬ সালে বইটি প্রকাশকের কাছে পাঠালে প্রকাশক তা ফেরত পাঠিয়ে দেন। প্রকাশকের অভিযোগ, বইটি একই সঙ্গে অশ্লীল ও অশোভন ভাষা ব্যবহারে দুষ্ট। এর মাঝে আরো তিনবছর যায়। এ সময়ে প্রকাশক থেকে প্রকাশকের দপ্তরে ঘুরে বেড়ায় ‘ডাবলিনার্স’-এর পাণ্ডুলিপি। একদিন এক প্রকাশক উদ্যোগী হন। বইটি ছাপিয়ে ফেলেন। কিন্তু পরেই আবার তা নষ্ট করেন। কারণ, ওই একই অভিযোগ। পরে অবশ্য, এই প্রকাশকই
চাঁদনি পসর রাইত
গতকালের ঘটনা। সোবহানবাগে প্লাজা এ আরে সময় প্রকাশনীর একটা শো-রুম আছে। সেখানে বসে আছি। গেছিলাম বিজ্ঞান বক্তা ও লেখক আসিফ ভাইয়ের সাথে। উনি একটা পাণ্ডুলিপি দিবেন। সময়ের মালিক ফরিদ ভাই সেদিন আবার ল্যাপটপ নিয়ে যাননি। এদিকে শো-রুমে কোনো কম্পিউটারও নেই। অগত্যা ফরিদ ভাই আসিফ ভাইকে নিয়ে চললেন পাশের প্রিন্স প্লাজায়। ওইখানে সময়ের ডিজাইন-প্রিন্টিং অফিস। বাইরে শীত রাত্রির ভয়ে আমি শো রুমে থেকেই যাই। তাছাড়া এত্তো এত্তো বই একটু নেড়ে চেড়ে দেখার সুযোগও আমাকে আটকে রাখে। পাক্কা দেড় ঘণ্টা বইয়ের দোকানে বসেছিলাম। একজন পাঠকও ঢুঁ মারেন নি সেখানে (বের হওয়ার সময় একজোড়া যুগল ঢুকবো ঢুকবো করছিল)। মার্কেটে কিন্তু লোকের অভাব
চিনুয়া আচেবেকে আফ্রিকান সাহিত্যের অগ্রপথিক গণ্য করা হয়। বাড়ি নাইজেরিয়া। প্রথম বই থিংস ফল অ্যাপার্ট-এর মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান। ১৯৯৪ সালে প্যারিস রিভিউ পত্রিকার জেরোমি ব্রুকস্-কে বড়োসড়ো একটা সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি আফ্রিকার রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য, নিজের বেড়ে ওঠা ও লেখালিখি নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। সচলায়তনে নতুন লেখকদের পদচারণা থাকায়, তাদের উপকারে লাগবে ভেবে আচেবে সাক্ষাৎকারের যে যে অংশে নিজের লেখালিখি, নতুনদের লেখালিখি ও তাদের করণীয় সম্পর্কে বলেছেন সেসবের অংশবিশেষ ভাষান্তর করা গেল। নিতান্ত দায়সারা চেষ্টা।
শিল্প-মাধ্যমে নাম সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কি না জানি না। আমার নিজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। নাম দিয়ে চেনা যায় সেই চরিত্রকে, চরিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ডকে। কেন না, নামের মধ্য দিয়ে আমরা সেই চরিত্রের সাথে একটা যোগাযোগ সূত্র তৈরি করি। স্বাগতা-সামীর নাম সমাজের যে শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে, সামাদ-সেতারা সেই শ্রেণীর নিশ্চয় না! ডুবসাঁতারের কেন্দ্রীয় চরিত্র রেনু। রেনু নামটা শোনার সাথে সা ...
স্পাইডারম্যান ও আমার দুই বোনঝি
আমাদের ঠাকুরমার ঝুলি ছিল। ডালিমকুমার ছিল। সুয়োরাণী দুয়োরাণী ছিল। কাঁকনমালা কাঞ্চনমালা ছিল। আর ছিল অজস্র ভূত-প্রেত, দেও-দানো। বাড়ির পাশেই গোরস্থান। দশ মিনিটের হাঁটা পথ। ভয়ে ও পথ মাড়াতাম না। শ্মশানও ছিল একটা। বেশ দূরে। ছোটবেলায় যাওয়া হয় নি কখনো। তবে, গ্রাম থেকে বেরিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে থানা সদরের দিকে, সে পথে একটা আমগাছ ছিল। পুরোনো। ঝাঁকড়া। সবাই ...