হিন্দির দাপটে নিজভূমে পরবাসী বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টিভি অনুষ্ঠান: একটি সর্বসাম্প্রতিক চিত্র

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: রবি, ১৩/০৩/২০১১ - ৯:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশে এখন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সংখ্যা অনেক। প্রায় ১৩-১৪টি। স্কয়ার গ্রুপের মাছরাঙা, বেক্সিমকো গ্রুপের ইন্ডিপেনডেন্ট, সময়, মোহনা-সহ আরো কয়েকটি চ্যানেল অচিরেই অনএয়ারে আসছে। তখন সবমিলিয়ে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সংখ্যা দাঁড়াবে ২২/২৩টিতে। বাংলাদেশের মতো ছোট্ট দেশে সংখ্যা হিসেবে এটা অনেক। যদিও টিভি দর্শক সংখ্যা কম নয়। ন্যাশনাল মিডিয়া সার্ভে অনুযায়ী আমাদের দেশে টিভি দর্শকদের সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি ১২ লাখ। এর মধ্যে অবশ্য শিশু দর্শকদের গণনায় ধরা হয়নি। সে হিসেবে সংখ্যা আরো বেশি হবে। প্রাসঙ্গিকভাবে এখানে আরো একটি তথ্য যোগ করে রাখি- আমাদের দেশে দেখা যায় এমন স্যাটেলাইট চ্যানেলের সংখ্যা ২৭২টির মতো। বাংলাদেশের ১৩-১৪টি বাদ দিলে বাকিগুলো দেশের বাইরের বিভিন্ন ভাষাভাষীর চ্যানেল। বলা বাহুল্যই যে, এর বেশিরভাগই ভারতের।

বাংলাদেশি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান কোনগুলি- হূমায়ুন আহমেদ অথবা সরয়ার ফারুকী ও আনিসুল হকের যৌথপ্রয়াসের কোনো নাটক, হানিফ সংকেতের ইত্যাদি, দুপুরে ভাতঘুমের সময় রাজ্জাক-শাবানার বাংলা সিনেমা, না হিন্দি সিরিয়ালের রিমেক নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর অনুষ্ঠান? পাঠক, এদের কারো কোনো অনুষ্ঠানের কথা যদি ভেবে থাকেন, তাহলে আপনার দেখায় এবং পর্যবেক্ষণে কিঞ্চিত ভুল আছে। স্টারপ্লাসের মেগা সিরিয়াল প্রতিজ্ঞা, জি বাংলার সূবর্ণলতা, অগ্নিপরীক্ষা জনপ্রিয়তার দৌঁড়ে অনেক এগিয়ে। দর্শকপ্রিয়তার বিচারে এদের মধ্যে এভারেস্ট পর্বত আর টিলার ব্যবধান। সূবর্ণলতা যদি দর্শকপ্রিয়তায় এভারেস্ট হয়, তাহলে চ্যানেল আইয়ের হিট পরিবেশনা মুকিম ব্রাদার্স টিলার অবস্থানে আছে। এ যেন ইন্ডিয়ান চ্যানেলের দাপটে নিজভূমে পরবাসী বাংলাদেশি স্যাটেলাইট টিভি অনুষ্ঠান!

আসুন, একটু বিস্তারিতভাবেই ব্যাপারটা তলিয়ে দেখি। এজন্য সপ্তাহের একটি দিন বেছে নিচ্ছি। ধরুন, আমরা বেছে নিলাম সোমবার। এখন দেখবো এইদিনের কোন অনুষ্ঠানের ভিউয়ারশিপ (যতজন দর্শক অনুষ্ঠানটি দেখছেন) কেমন। ওইদিন ইন্ডিয়ান হিন্দি চ্যানেল স্টারপ্লাসে মেগা সিরিয়াল প্রতিজ্ঞা, সাথিয়া, শ্বসুরাল গেন্দাফুল দেখানো হয়। এই অনুষ্ঠালগুলো সম্প্রচারের সময় ভিউয়ারশিপ সর্বোচ্চ ওঠে ১ লাখ ৬৩/৬৪ হাজারের মতো। এদিনে জি বাংলার মেগা সিরিয়াল সূবর্ণলতা, অগ্নিপরীক্ষা, রিয়েলিটি শো মীরাক্কেলও বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে কম জনপ্রিয় নয়। তাদের ভিউয়ারশিপ স্টারপ্লাসের চেয়েও বেশি। ১ লক্ষ ৮০ হাজারের কাছাকাছি। স্টারপ্লাসের ভিউয়ারশিপটা বেশি ওঠে সন্ধ্যা ৭টা ২০ থেকে রাত ৮টা ২০-এর দিকে। এবং রাত ১০টা ৪০ থেকে ১২টার সময়ে। অন্যদিকে জি বাংলার ভিউয়ারশিপ সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে বাড়তে বাড়তে সাড়ে ১০টার দিকে গিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। ওইদিন বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউয়ারশিপ এনটিভির। সময়টা রাত দশটার দিকে। এ সময়ে এনটিভিতে রাতের সংবাদ দেখানো হয়। আর এই ভিউয়ারশিপের পরিমাণ ৬২/৬৩ হাজারের মতো।

আমাদের দেশে তারকাবহুল বিগ বাজেটের অনুষ্ঠানগুলো সাধারণত শুক্রবারে দেখানোর একটা প্রবণতা দেখা যায়। কারণ, ওইদিন সরকারি ছুটির দিন। দর্শক বেশি পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দর্শক বেশি থাকা মানে বিজ্ঞাপন পাওয়াটাও সহজ হয়। শুক্রবারেও বাংলাদেশি দর্শকরা সবচেয়ে বেশি যে অনুষ্ঠানগুলো দেখে থাকেন, সেগুলি হলো- জি বাংলার সূবর্ণলতা, অগ্নিপরীক্ষা, সাত পাকে বাঁধা; স্টারপ্লাসের মেগা সিরিয়াল সাথ নিভানা সাথিয়া, প্রতিজ্ঞা, শ্বসুরাল গেন্দাফুল ইত্যাদি। এ সময়ে এ চ্যানেলগুলোর ভিউয়ারশিপ ২ লাখও ছাড়িয়ে যায়। এদিন স্টার জলসা, জি টিভির ভিউয়ারশিপও বাংলাদেশি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর চেয়ে বেশি। বাংলাদেশি চ্যানেলগুলোর গড় ভিউয়ারশিপ ৫০ হাজারেরও কম থাকে। যদিও এটিএন বাংলার বাংলা সিনেমা সম্প্রচারের কারণে বিকেলবেলায় ভিউয়ারশিপ খানিকটা বেশি। প্রায় ৮০ হাজারের মতো। শুক্রবারে এ অবস্থা হলে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর চিত্র কি তা সহজেই আন্দাজ করা যায়!

উল্লেখ্য, ভিউয়ারশিপের এই চিত্র শুধুমাত্র ঢাকা শহরের। বিকেল ৫টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সময়কালের। বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেল এনটিভি, চ্যানেল আই, এটিএন বাংলা এবং ইন্ডিয়ার সনি, স্টার জলসা, জি টিভি, জি বাংলা, স্টার প্লাসের মধ্যে তুলনামুলক চিত্র এটি। তথ্যগুলো পাওয়া গেছে পিপল মিটারের মাধ্যমে টিভি অনুষ্ঠান মনিটরিং করে এমন একটা সংস্থা থেকে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য মিডিয়া এক্সপ্রেস সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রসেসকৃত। ঢাকার বাইরের তথ্য না পাওয়া গেলেও কি অবস্থা সেটা এ থেকে অবশ্য আন্দাজ করতে আমাদের অসুবিধা হয় না। আবার তথ্যগুলো বিশ্বকাপ শুরুর আগে নেয়া। বিশ্বকাপের সময় টিভি ভিউয়ারশিপে পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক। আসছেও হয়তো। সবাই এখন ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত।

বাংলাদেশের দর্শকদের সাথে ব্যাপকভাবে হিন্দির পরিচয় করিয়ে দেয় ভিসিআর সংস্কৃতি। এটা আশির দশকের কথা। এরপর নব্বই দশকে এসে আকাশ সংস্কৃতির দুয়ার খুলে যায়। তখন আর পাড়ার ভিডিও ক্লাব থেকে ক্যাসেট ভাড়া আনার ঝামেলা থাকে না। হিন্দি অনুষ্ঠান নিজেই চলে আসে ঘরের কোনে। তারপর থেকেই বাঙালির আটপৌরে মধ্যবিত্ত জীবনে হিন্দি অভ্যস্ততার শুরু। এখন এটা এমন বেড়েছে যে সদ্য ভোল ফোঁটা বাচ্চারাও চোস্ত হিন্দি বলতে পারে।

বাংলাদেশের হিন্দি সিরিয়াল ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের মুল ভোক্তা মেয়েরা। ইন্ডিয়াতেও বোধহয় তাই। এর কারণ, হিন্দি সিরিয়ালগুলো বেশিরভাগই নারী প্রধান। মূলত, নারী দর্শকদের আকৃষ্ট করতেই প্রধান চরিত্রগুলো নারীকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। মাসখানেক আগে ফেসবুকে আমার এক বন্ধু স্ট্যাটাস দিয়েছে- হয় স্টার জলসা থাকবে, না হয় আমি থাকবো। বন্ধুর নতুন বিয়ে। মাস ছয়েকও হয়নি। দাম্পত্যের মাঝখানে এখন সাক্ষাৎ আপদ ইন্ডিয়ান চ্যানেল। বন্ধুর স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে দেখলাম, বউ, বোন, মা-দের হিন্দি সিরিয়ালের বলি হয়ে টিভি দেখাই ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ দাবি জানিয়েছেন, সরকার যেন এগুলো বন্ধ করে দেয়।

সরকারি নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া কোনো কার্যকর সমাধান নয়। দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমর রোখা যায় না। লক্ষিন্দরও বাঁচেনি কালনাগিনির ছোবল থেকে। আবার জাতীয়তাবাদের আবেগ দিয়েও হিন্দি টিভি চ্যানেলের জনপ্রিয়তা টেনে নামানো যাবে না। কারণ, যে দর্শকরা এখন হিন্দি সিরিয়াল, সিনেমা, গান কিংবা রিয়েলিটি শো দেখেন, তারা কিন্তু ওই সময়টুকু বরাদ্দ রাখেন নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য। তাকে যদি বলা হয়, এটা অপসংস্কৃতি, প্লিজ, দেখবেন না। সে হয়তো তখন আপনার কথা শুনলো, বুঝলো। কিন্তু যখন তার নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানটি দেখার সময় আসবে, মানে যখন হিন্দি সিরিয়ালটা চলবে, তখন কিন্তু সে চুপচাপ বসে থাকতে পারবে না। তাকে হিন্দি সিরিয়ালের বিকল্প অনুষ্ঠান দিতে হবে। সেটা হতে হবে হিন্দি চ্যানেলের অনুষ্ঠানের চেয়ে ভালো এবং ভিন্ন। অথবা তার রুচির উপর ভিত্তি করে ডিজাইনকৃত বিশেষ অনুষ্ঠান। আমাদের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো যতদিন না পর্যন্ত সেরকম অনুষ্ঠান দিতে পারবে, ততদিন হিন্দির আধিপত্য হয়তো চলতে থাকবে!

হিন্দি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর আধিপত্য ভাঙতে নতুনদেরই এগিয়ে আসতে হবে। হূমায়ূন আহমেদ, সরয়ার ফারুকী, সালাউদ্দিন লাভলুদের দিয়ে হবে না। অবস্থার বড় কোনো পরিবর্তনের আশা নেই মনজুরুল আহসান বুলবুল, সামসুদ্দিন হায়দার ডালিম, মুন্নি সাহা, তানভীর খান, হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, সুপন রায়দের মতো যারা টিভি চ্যানেলের বড় পদে আছেন তাদের দিয়েও। যা করার নতুনদেরই করতে হবে। তবে, এই নতুনদের পথের বাধা কিন্তু পুরোনোরাই। আপনি যদি আমাদের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলোর কর্তাব্যক্তিদের দিকে তাকান, দেখবেন বেশিরভাগই একুশে টিভি থেকে উদ্ভূত। এরা নতুন চ্যানেল আসলে, সেগুলোতে গেছেন। তাতে বেতন বেড়েছে, পদবি বেড়েছে। গাড়ি-বাড়ি হয়েছে। কিন্তু একুশে ধারার বাইরে নিয়ে যেতে পারেন নি কোনো চ্যানেলকেই। তারা একটা সীমাবদ্ধ চিন্তাধারার ভেতরেই আটকে আছেন। কিন্তু এতদিনে বদলে গেছে যে দর্শক রুচি, চাহিদা, তা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নতুন কোনো অনুষ্ঠান, উপস্থাপনা উপহার দিতে পারেন নি। ফলে, দর্শকরা রঙ-চঙ গেটআপের, অলীক কাহিনীর হিন্দি সিরিয়ালে আকৃষ্ট হয়েছে। আর তারা দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা দেখে হিন্দি অনুষ্ঠানের অনুকরণে অনুষ্ঠান নির্মাণে নেমে পড়েছেন। ফলে, ফল যা হবার তাই হয়েছে। তাই, স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর নেতৃত্ব দিতে নতুন চিন্তাধারার এবং গতিশীল লোকদের আনতে হবে। যারা শুধু দর্শকদের রুচি বুঝতেই পারবেন না, দর্শক রুচি গড়ে তুলতেও পারবেন। আমরা আশাবাদী, ইন্টারনেট আর সোস্যাল কমিউনিকেশনের যুগে বেড়ে উঠছেন, বিকল্প চিন্তা করছেন যে তরুণরা, তারাই পাল্টে দেবেন অবস্থার চিত্র। তারাই নিজভূমে উড়াবেন দেশি অনুষ্ঠানের বিজয় পতাকা। কুনঠে নতুন দিনের তরুণ, জাগো সবাই!


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

একটা উদাহরন দেন পান্থ।
একটা দর্শকপ্রিয় হিন্দী সিরিয়ালের মোকাবেলায় বাংলায় কি করলে কার্যকর হবে? গুলশান এভিনিউ?

সবকিছু মিলিয়ে দর্শক রুচিবোধ একটা পাঁকচক্রে ঢুকে পড়েছে।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

একটা দর্শকপ্রিয় হিন্দী সিরিয়ালের মোকাবেলায় বাংলায় কি করলে কার্যকর হবে, সেটা অবশ্য এমনে বলা সম্ভব না! এজন্য রিসার্চ দরকার। আমাদের দেশে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ রিসার্চের পেছনে এক টাকা খরচ করে বলে মনে হয় না। অথচ সবদেশেই অনুষ্ঠান বানানোর পেছনে বেশ ভালোভাবেই রিসার্চ করা হয়ে থাকে।
আমার কাছে মিডিয়া মনিটরিংয়ের যে ডেটা আছে, সেখানে বাংলাভিশনের ভিউয়ারশিপ নাই। থাকলে গুলশান এভিনিউ কতটা দর্শকপ্রিয় হয়েছে, সেটা বলা যেত। তবে, গুলশান এভিনিউ মনে হয় না দর্শকপ্রিয় হয়েছে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হায় হায় বলেন কী, বাংলা ভিশনের ভিউয়ারশীপ নাই? বিদেশে বসে আমি এনটিভি যেদিন থেকে বন্ধ হয়েছে সেদিন থেকে বাংলাভিশনই দেখি। অন্যগুলো রীতিমত অখ্যাদ্য (দুয়েকটা ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠান বাদে)।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বাংলাভিশনের ভিউয়ারশিপ নাই, তা বলেনি। বলেছি, আমি যেখান থেকে ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশি চ্যানেলগুলোর মধ্যে তুলনামূলক ভিউয়ারশিপ পেয়েছি, সেখানে বাংলাভিশনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আমি একটা সময়ে "ডেইজ অফ আওয়ার লাইফ" ও "জেনারেল হসপিটাল" দেখতাম। আই ওয়াজ হুক্কট ওন ইট। অনেক ঝগড়া ঝাটি হয়েছে এটা নিয়ে, কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও ছাড়তে পারিনি। ছড়লাম তখন যখন এদেশ ছেড়ে সিংগাপুরে চলে গেলাম। কি দেখাতো ওতে? বলতে গেলে কিছুনা। কোন সলিড গল্প নেই, গল্পের নামে যা দেখানো হতো তার আগামাথামুন্ড কিচ্ছু ছিলো না। যেটা ছিলো সেটা হলো একটা মিষ্ট্রিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হতো দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ। একমাসে গল্প এগোত এক ইঞ্চি। আর প্রতিটা এপিসোড এমন ভাবে, এমন এক জায়গায় শেষ করা হতো যে তারপর কি হলো এটা জানতে ফিরে আসতেই হবে দর্শকে।
হিন্দি সিরিয়াল গুলি পুরোপুরি গাঁজাখুরি বাস্তব বিবর্জিত অতি রং চঙ্গে ফ্যশান শো। এটা নিয়ে আলোচনা করাটাই সময়ের অপচয়। কিন্তু তবু এথেকে বাঙ্গালী মহিলা দর্শকের মুক্তি নেই কেন জানো? হিন্দি সিরিয়াল মেকাররা জানে সোপ মানে কি? জানে কেমন করে দর্শকে নেশাগ্রস্ত করতে হয়।
যেদিন বাংলাদেশী সিরিয়াল লেখক/পরিচালকরা এটা আয়ত্তে আনতে পারবে সেদিন থেকে বাঙ্গালী মহিলা দর্শকরা বাংলা সিরিয়ালের দিকে ঝুঁকবে, তার আগে নয়।

--------------------------------------------------------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

সুবর্ণলতা, অগ্নিপরীক্ষা আর বেহুলার যন্ত্রনায় সন্ধ্যার পর ঘরে থাকা দায়। রাতে ঘুমনোর সময়ও শান্তি নাই।

সুপ্রিয় দেব শান্ত

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পান্থ... প্রথমত জিজ্ঞেস করি, এই জরিপগুলোকে আপনি কতটা সত্য মনে করেন?
টিআরপি রেটিং বাংলাদেশে বরাবরই একটা ভূয়া জিনিস। এখন তো শুনি সেখানে পাতানো খেলাও হয় প্রচুর। আপনারা ভালো বলতে পারবেন...

এবার আপনারা আরেকটা জরিপ করেন, টিভি দর্শকেরা কেন বাংলাদেশের চ্যানেল না দেখে ভারতীয় বা অন্য চ্যানেল দেখে? অনুষ্ঠানের মানের জন্য? নাকি অন্য কোনো কারণে?

আপনি নিজেই আপনার আশেপাশের মানুষদেরই জিজ্ঞেস করেন, জবাবটা সম্ভবত আপনি জানেন, চ্যানেলগুলোতে অনুষ্ঠান আর বিজ্ঞাপনের সময় প্রায় একই। আপনি একটা অনুষ্ঠান বা নাটক দেখতে বসে একটু পরেই ধৈর্য্য হারাবেন বিজ্ঞাপনের জন্য। চলে যাবেন অন্য অনুষ্ঠানে।

ফলে ধীরে ধীরে দর্শক ছুটে যাচ্ছে। সবাই ভাবছে অনুষ্ঠানগুলো হয়তো আকর্ষণীয় না, এজন্য ভারতীয় অনুষ্ঠানের অনুকরণে বানানো হচ্ছে, তবু দর্শক দেখছে না। কেন? কারণ সেই একটাই... দর্শককে দেখার সুযোগটা দিতে হবে। সমুদ্র দেখতে গিয়ে আপনি যেমন বিজ্ঞাপনের পাহাড় দেখতে রাজী হবেন না, দর্শকও তাই। তাদেরকে আগে অনুষ্ঠানটা দেখার সুযোগ দেন ঠিকঠাকমতো। তারা দেখবে।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মনে হচ্ছে, এটা একটা জরুরী পর্যবেক্ষন।
এই তুলনা কি বের করা সম্ভব- হিন্দী প্রোগ্রাম আর আমাদের অনুষ্ঠানগুলোতে বিজ্ঞাপন সময়ের আনুপাতিক তুলনা?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মোরশেদ ভাই, সেইটা তো সম্ভব। যারা মিডিয়া মনিটরিং করেন, তাদের কাছে বললেই তারা করে দেবে। কিন্তু সেই ডেটা পেতে যে লাখ টাকা লাগে! ব্যক্তিগতভাবে কেউ যদি সপ্তাহখানেক টিভির সামনে বসে সময় দিতে পারেন, তিনি হয়তো তৈরি করতে পারবেন। তবে, এই এত সময় আমাদের কারো হাতেই হয়তো নেই!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নজরুল ভাই, আমি যে ডেটাগুলো উল্লেখ করেছি সেটা কিন্তু শুধু বাংলাদেশি চ্যানেলগুলোর মধ্যে না। ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোর একটা ভিউয়ারশিপের একটা তুলনামূলক চিত্র। এইখানে ডেটা ম্যানুপুলেট করে ইন্ডিয়ান অনুষ্ঠানের ভিউয়ারশিপ বেশি দেখানোর কোনো কারণ নাই। কারণ, ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলো আমাদের দেশ থেকে বিজ্ঞাপন পায় না (দুই একটা ব্যতিক্রম বাদে)। বিজ্ঞাপন পেতে ডেটা ম্যানুপুলেশনের মাধ্যমে আমাদের দেশের অনুষ্ঠানগুলোর ভিউয়ারশিপ বেশি দেখানোর একটা প্রবণতা আছে। আপনার নিশ্চয় মনে আছে, একবার ইসলামিক টিভি'র টিআরপি বেশি উঠার ঘটনা। সে সময়ে এর পিছনে টাকা লেনদেনের অভিযোগও উঠেছিল।
আর বিজ্ঞাপনের দৌরাত্ম নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক। ফ্রি চ্যানেল হওয়ার কারণে আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। বিজনেস মডেল চেঞ্জ করে কিছু হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা'র মতো চ্যানেলগুলোও তো ফ্রি টু এয়ার। সেগুলোর এক একটার চ্যানেল চালানোর ব্যয় বাংলাদেশের সবগুলো চ্যানেল চালানোর মোট ব্যয়ের চেয়ে বেশি। তাহলে তারা নামে মাত্র বিজ্ঞাপন দেখিয়ে চ্যানেল চালায় কীভাবে?

চ্যানেলওয়ালাদের কাছে শুনি প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লস্‌ দিচ্ছি। অনুষ্ঠান নির্মাতারা বলেন চ্যানেলওয়ালাদের কাছে আমার লাখ লাখ টাকা বাকি, আমার সংসার চলবে কেমনে? এই দুই পক্ষ কোন দুঃখে যে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে অনুষ্ঠান বানাচ্ছেন আর চ্যানেল চালাচ্ছেন তা বুঝে উঠতে পারিনা।

বাংলাদেশে টিভি চ্যানেলগুলোর প্রচার সময়ের অর্ধেকের বেশি সময় জুড়ে বিজ্ঞাপন, আর এক একটা খড়গেছে চ্যানেলে রাত আড়াইটার সময় বিজ্ঞাপন দিতে গেলেও যে রেট হাঁকে তাতে আঁতকে উঠতে হয়। এই ব্যবসায় ঘি-মাখন না থাকলে কাছা বেঁধে সব ব্যবসায়ের লোকজন চ্যানেল খুলতে সর্বস্ব পণ করতোনা।

বাংলাদেশ থেকে সবে মাত্র অল্প-স্বল্প বিজ্ঞাপন ভারতের চ্যানেলগুলোতে যাওয়া শুরু করেছে। যেদিন থেকে বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটররা ভারতের চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন দেয়া শুরু করবে সেদিন থেকে বাংলাদেশে পটাপট চ্যানেল মারা যেতে থাকবে।

আর একটা কথা, ছাগল দিয়ে হাল চাষ হয়না একথা সবাই জানে। তারপরও এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ছাগলকে হালচাষই শুধু না, গোটা কৃষি ব্যবস্থার দায়িত্ব দিয়ে দেয়া হয়েছে। এক বলদ আরেক বলদকে জ্ঞানের ডিগ্রী দেয় আর তাতে দ্বিতীয় বলদ নিজেকে বিদ্যাসাগর মনে করে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা'র মার্কেট বড়। তাদের বিজ্ঞাপন রেটও বেশি! সেজন্য হয়তো চলে! তবে, তার চেয়ে বড় কথা, কখন কতটুকু বিজ্ঞাপন চালাতে পারবে একটি চ্যানেল, তার মানদণ্ডগুলো মেনে চলার চেষ্টা করে। আর আমাদের দেশে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বাদ দেন, সংবাদে বিজ্ঞাপনের কেমন দৃষ্টিকটু সমাহার।
আমাদের দেশে চ্যানেলওয়ালাদের মনে হয় টেবিলের নিচে লেনদেনের ব্যবসা আছে। নইলে কোটি কোটি টাকা লস দিয়ে এতদিন টিকে আছে ক্যামনে?
এটা খুবই খারাপ লক্ষণ যে আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন ইন্ডিয়ার চ্যানেলগুলোতে যাচ্ছে। এটা নিয়ে সবারই ভাবনাচিন্তা করা উচিত। নইলে দর্শকদের সাথে সাথে শ্রমে-ঘামে অর্জিত টাকাও যাবে বিদেশী চ্যানেলের পকেটে।

দুর্দান্ত এর ছবি

বিবিসি চলে টেলিভিশন লাইসেন্স ও ব্রিটিশ সরকারের অনুদানের টাকায়। ব্রিটিশ সরকারের অনুদান আবার আসে বিজ্ঞাপনভিত্তিক টিভি কোম্পনি থেকে আদায় করা লাইসেন্স-ট্যাক্সের টাকায়। তাই ব্রিটিশ টেলিভিশানে দুইটি স্পষ্ট ধারা দেখা যায়। যেখানে বিবিসি উটকো বিজ্ঞাপনে বালাই হীন উচ্চমানের 'সুশীল' অনুষ্ঠান পরিবেশকরে, পাশাপাশি আইটিভির মত চ্যানেলগুলো সাধারন মানুষের বিনোদন প্রয়োজন মেটায়।

ইউরোপিয়ান টেলিভিশনেও আমেরিকান সিরিয়ালের আধিপত্য লক্ষ্যনীয়।

বাংলাদেশে টিভি লাইসেন্স বলে কিছু অবশিষ্ট আছে? ড্রাইভারের হাত নাড়ানোর শক্তি না থাকলে গাড়ী তো খানাখন্দে পড়বেই।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

পান্থদা, একটা বিষয় নিয়ে মনের মধ্যে খুঁতখুঁত করছে বহুদিন ধরে, সেটা জানতে চাই এই প্রসঙ্গে -
আমাদের দেশের চ্যানেলগুলোতে ইন্ডিয়ান বিজ্ঞাপন এত বেশি কেন দেখায়? আমি ভারতীয় প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনের কথা বলছি না, ইউনিলিভার বা এমন কোম্পানি যেখানে সহজেই ঐ একই প্রোডাক্ট মার্কেটিং করার জন্যে বাংলাদেশী কন্টেক্সটে, বাংলাদেশী আর্টিস্ট/মডেল/তারকাদেরকে দিয়ে অ্যাড করিয়ে নিতে পারে, সেখানে তাদের প্রোডাক্টের ভারতীয় অ্যাডটাই আমাদেরকে গলধঃকরণ করাতে চাইবার যৌক্তিকতা কী? কারণ কী?

আপনি নিজে যেহেতু বিজ্ঞাপনী সংস্থার সাথে জড়িত আছেন তাই জানতে চাইছি, এটা কি এমন যে আমাদের এখানে আসলে কলা-কুশলীর বড়ই অভাব? নাকি বিজ্ঞাপন আইডিয়ার? এমনটা ভাবা তো রীতিমতো হাস্যকর মনে হচ্ছে যে এই সব নামকরা বহুদেশীয় কোম্পানির এতই অর্থাভাব যে নতুন করে অ্যাড তৈরি করাতে পারছে না?

দর্শক হিসেবে আমি কেন জুনিয়র হরলিক্সের ভারতীয় মায়ের হুতুতুতুতু আওয়াজ করা বিচিত্র অ্যাড দেখতে বাধ্য হবো বা কেন আমি আমার দেশের সংস্কৃতির সাথে যায় না এমন গেট আপে ভারতীয় চিত্র তারকার রঙ ফর্সাকারী ক্রিম, ভিট বা সৌন্দর্য সাবানের বিজ্ঞাপন দেখবো?! আইডিয়ার যদি এতই অভাব হয় তাহলে কেন না এই অ্যাডগুলোই আবার বাংলাদেশী তারকাদেরকে দিয়ে তৈরি করানো হোক না, এমনটা আগে হতো তো কিছু! আরো বিরক্তিকর হলো বাংলা ডাবিং! উফফফ!! শুধু চোখের না কানের উপরও টর্চার পুরো ব্যাপারটা! এটাও কি আমাদের দেশে করানো এতই কষ্টসাধ্য?! কথা হলো, এই বিদেশী বিজ্ঞাপন কি সত্যি প্রোডাক্ট সেলে আমাদের দেশীয় বিজ্ঞাপন থেকে অনেক বেশি ভূমিকা রাখতে পারছে? যা দেশীয় প্রেক্ষাপটে নতুন অ্যাড তৈরি হলে হতো না?

কী বিজ্ঞাপন, কোন্‌ প্রোডাক্টের, কোথায়, কী ভাবে দেখানো হচ্ছে, এই জিনিসগুলো নিয়েও নীতিমালা এবং মনিটরিং প্রয়োজন মনে করি।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

বিজ্ঞাপনী সংস্থায় না থাকলেও যতটুকু বুঝি, এ জাতীয় ব‌হুজাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে ভারতের একটি এক্সটেনশন হিসাবে ধরে। ভারতকে তারা বিভিন্ন সার্কেলে ভাগ করে থাকে, বাংলাদেশ হচ্ছে সেরকম আরেকটা সার্কেল। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে তাই একই বিজ্ঞাপন (হিন্দি থেকে বাংলা) দেখানো হয়।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

সরকারি নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া কোনো কার্যকর সমাধান নয়। দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমর রোখা যায় না।

ওষুধ কোম্পানিগুলো কিন্তু ভালোই দাঁড়িয়েছে। বন্ধ করা অবশ্য তেমন ভালো সমাধান হবে না এখন, কারন ডিটিএইচ প্রযুক্তি বেআইনিভাবে বাংলাদেশে চলছে। কীভাবে, এটার ব্যাপারে অবশ্য স্যাটেলাইট বিষয়ক জ্ঞান যাদের আছে, তারা ভালো বলতে পারবেন।

ধারনা করতে পারি, যদি চ্যানেল রেগুলেশন হয় এবং মার্কেট এর সাইজ বাড়ে তবে বিজ্ঞাপনের আধিক্য কমে যাবে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে। একটা প্রচেষ্টা আসোলেই চালানো উচিৎ চ্যানেল বন্ধ করার, অথবা ভারতে চ্যানেলগুলো দেখানোর ব্যবস্থা করার।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

@ যাযাবর ব্যাকপ্যাকার, এইটা বিজ্ঞাপনের আইডিয়ার ব্যাপার না। পৃথিবীর সবদেশেরই ভালো বিজ্ঞাপন যেমন হয়, তেমনি বাজে বিজ্ঞাপনও তৈরি হয়। এইখানে মূল ব্যাপার বিজ্ঞাপনের 'রিকল'। বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানি যেহেতু দেখেছে, বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান চ্যানেলের ভিউয়ারশিপ বেশি। তাই তারা ইন্ডিয়ান বিজ্ঞাপনটাই ডাব করে বাংলাদেশে প্রচার করেছে। কারণ, ইন্ডিয়ান চ্যানেলে যে বিজ্ঞাপনটি দেখছে, বাংলাদেশের চ্যানেলেও সেই একই বিজ্ঞাপনটা দেখছে। এতে করে বিজ্ঞাপনের 'রিকল' বাড়ে। ভোক্তার মনে বিজ্ঞাপনটি গেঁথে থাকে। আবার, এতে করে তাদের বিজ্ঞাপনের মেকিং খরচও হয় না। তবে, এক্ষেত্রে ইউনিলিভারের মার্কেটিং পলিসি আসলে যে কি সেটা তো বলতে পারছি না। সিমন অবশ্য মন্তব্যে 'রিচ টু অপরচুনিটি'র ব্যাপার খানিকটা খোলাসা করেছে। আর আমার আগের একটা পোস্টে এ নিয়ে খানিকটা আলোচনাও হয়েছে। লিংক
আর বিটিভি-তে বিজ্ঞাপন প্রচারের নীতিমালা আছে। অন্য কোনো চ্যানেল সেটা ফলো করে কি না তা জানি না!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

তারমানে বাণিজ্য, বিপণন এসব ক্ষেত্রেও ভারতীয় চ্যানেলের আগ্রাসনের প্রতক্ষ্য প্রভাব আছে, তাই তো?

আমার যেহেতু হিন্দি ডেইলি সোপে অ্যালার্জি আছে, আর বাড়িতে হিন্দি চ্যানেল চলেই না, তাই দুই এক সময় টিভি ছাড়লে দেশের প্রোগ্রামের মাঝে এই অ্যাডগুলো দেখতে পেলে আমার যেমন বিরক্তি লাগে, অন্যদের যাঁরা হিন্দি জিনিস এবং অন্যান্য ভারতীয় চ্যানেল দেখে বিমলানন্দ পান, তাঁদের কাছে তাহলে এগুলো খুবই উপাদেয় মনে হয়!

বেশ, বেশ! তাহলে তো আমরা যে ভয় পাচ্ছি ভারতীয় চ্যানেলের আগ্রাসন আমাদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ভাষার উপর হুমকি হিসেবে, তা ইতিমধ্যেই গবেষণা করে ধ্রুব সত্যই জেনে ফেলেছে অনেক বহুজাতিক সংস্থা, আর সে হিসেবেই কাজ করছে! দারুণ!! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

তা আর বলতে! মাসাক্কালী ড্রেসের রমরমা বাণিজ্য তো দেখছেনই। উপ্রে নীড় সন্ধানীর (দা) মন্তব্য দেখেন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কাল এসে কিছু মন্তব্য জানাবো। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে। আজ ঘুমাতে যাই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার তথ্যগুলোর ভিত্তি কী? পোস্টের মূল টোনের সাথে অনেকখানি একমত।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

একটা মিডিয়া মনিটরিং কোম্পানি বাংলাদেশি স্যাটেলাইট চ্যানেলের অনুষ্ঠানগুলোর সাথে ইন্ডিয়ান স্যাটেলাইট চ্যানেলের অনুষ্ঠানগুলোর ভিউয়ারশিপের তুলনা করে দেখিয়েছিল। সেখান থেকে তথ্যগুলো পাইছি। পোস্টে এবং মন্তব্যে সেই কোম্পানির নাম উল্লেখ করতে পারছি না বলে দু:খিত।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হুম

একজন পাঠক এর ছবি

নজরুল ভাই এর সাথে আমি পুরা এক মত। আমি নিজে নেট এ বসে বাঙলা নাটক দেখি। কোন এড ছাড়া। নাটক এর একটা পর্বের সঠিক সময় সীমা ১২-১৪ মিনিট।
এর প্রথম ২ মি আগের দিনের দেখানো অংশ।

আমি কিন্তু টিভি তে বসে নাটক দেখি না। তার আরেকটা কারন বাসায় সবাই হিন্দি সিরিয়াল দেখে। বাটে পরে টিভি রুম এ সময় কাটাতে হলে বুঝি যে, তারা ও হিন্দি ইন্ডিয়ান সিরিয়াল পছন্দ করেন না। ঐ দিন আমার শ্বাশুরী বলছিলেন, বাংলাদেশের কাছের মানুষ সিরিয়াল টি ইন্ডিয়ায় করা কাছের মানুষ সিরিয়ালের চেয়ে ভাল ছিল।
তারা ইন্ডিয়ান চ্যনেল দেখেন, কারন এড এর সময় সীমা নাটকের রেশ কেটে যাবার সময় সীমা থেকে কম।

এড দেখে নাটক এর আগের দেখানো অংশ টা ভুলে যেতে হয় না।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমার এক কলিগ জাবেদ সাহেব। ভদ্রলোক সততায় সুপরিচিত, কঠিন ধর্মপরায়ন। হাতের ফাঁক গলে পানি পড়ে না। মোটা বেতনে চাকরী করলেও কখনো ওনার কাছ থেকে কেউ এক কাপ চাও আদায় করতে পারেনি। ক্রিকেট না বুঝলেও পাকিস্তান বুঝেন। ভারতের নামও শুনতে পারেন না। প্রত্যেক ঈদের সময় ওনার কাছ থেকে প্রায় এরকম কথা শুনিঃ

-ভাই, একদম ফতুর হয়ে গেলাম। বোনাসের সব টাকা দুই কন্যার দুটো জামা কিনতেই চলে গেল গেল, নিজে কিছু নিলাম না, বঊয়ের জন্য কোনমতে একটা শাড়ী কিনছি। মার্কেটে আগুন একদম।

আমি একটু অবাক হয়ে তাকাই। মার্কেটে আগুন জানি। কিন্তু উনি যে বেতন বোনাস পান, তাতে তিনটা পরিবারে ঈদের সমস্ত খরচ স্বচ্ছন্দে চলে যাবার কথা।
জিজ্ঞেস করি - কোন মার্কেটে গেছেন?

-আর বইলেন না। সানমার ওশান সিটিতে গেলাম, মিমিতে গেলাম। একেকটা থ্রী-পিস দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা। আমি মোটামুটি দশ হাজার টাকার কমদামেরটা কিনে দিয়ে ইজ্জত রক্ষা করছি।

আমার মাথা দুলে উঠে। বলে কি? দশ হাজার টাকা দিয়ে থ্রীপিসও বিক্রি হয়? ওইটারে জাবেদ সাহেবের মতো কঞ্জুস লোকও মোটামুটি কমদামের মনে করতে পারেন? আর একই শহরে থেকেও আমার চোখ দশ হাজার টাকার জামা চোখে পড়ে না। আর উনি নাকি তার চেয়ে কম দামের খুঁজেই পান না। দুজনেই তো একই চাকরী করি। পার্থক্য কি?

আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, -আপনি কি করলেন ভাই?
আমি বলি, - আমি তো তিন হাজারে দুছেলেমেয়ের জামা জুতা সব কেনা শেষ।
উনি চোখ কপালে তোলেন, -বলেন কি? কোন মার্কেটে গেছেন আপনি?
বললাম, -আপনি যে মিমি সুপারে গেলেন তার পাশে, আফমি প্লাজার দেশী দশ।
ভদ্রলোক এবার খানিক কপাল কুঞ্চিত করে বললেন, -ওওওও..... দেশী সুতির জামা কিনছেন বুঝি! আমার মেয়েরা আবার স্টারপ্লাসের জামা ছাড়া কিনবে না। কি মুশকিল বলেন তো!

ভদ্রলোকের চেহারা দেখে 'মুশকিলিত' মনে হলো না। বরং স্টারপ্লাসে দেখা সেই দামী জামা কিনে দিতে পেরে 'পুলকিত' মনে হলো।
=============================================

এই হলো আমাদের একটা মানসিকতার উদাহরণ। এদেশের মানুষ প্রচুর স্ববিরোধী আচরণ করে। হিসাব মিলাতে পারি না। রাজনীতিতে এরা ইন্ডিয়ার চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করবে, কিন্তু হিন্দি সিরিয়াল বা জামা কাপড়ে ইন্ডিয়া বাদে চোখে পড়ে না।

আমাদের নির্মাতাদের সমালোচনা করি আমরা। মোস্তফা সরোয়ার কিংবা হুমায়ুন আহমেদ। কিন্তু বাংলাদেশের নির্মাতারা যে নাটক বানান সেই নাটকগুলি ভারতীয় যে কোন সিরিয়ালের তুলনায় অনেক মান সম্পন্ন, কি চিত্রায়নে কি গল্পে। তবু ভারতীয় জবরজং পলিথিনের জামাকাপড় পরিহিত কিচেন কুটনামির অখাদ্য নাটকগুলো কেন এদেশের মহিলারা এত বেশী খায়, সেটা নিয়ে সামাজিক একটা গবেষনা হতে পারে। নির্মাতার চেয়ে দর্শক মনস্তত্ব বের করা জরুরী। আমাদের একটা সিরিয়াল দেখতে মারাত্মক বিজ্ঞাপন যন্ত্রনা হয়। ১৮ মিনিটের নাটকে ৩৬ মিনিটের বিজ্ঞাপন রেকর্ড করেছি আমি। তবু আমার কাছে দেশীয় বিজ্ঞাপনের মানও ভারতীয় অখাদ্যের তুলনায় স্বস্তিকর।

আমি নিজের ঘরে একটা পর্যবেক্ষণ চালিয়েছি। ভারতীয় চ্যানেল বাসায় একদম নিষিদ্ধ বলা চলে। কিন্তু এক ফাঁকে বিশেষ অনুরোধে কিছুদিনের জন্য 'সুবর্নলতা' সিরিজটা ঢুকে পড়লো এটি বংলা এবং এটি একটা ক্লাসিক উপন্যাসের নাট্যরূপ এই অজুহাতে। বেশ অনেকদিন আগে প্রধান চরিত্র সুবর্নলতার বাচ্চা হবে শুনলাম বউয়ের কাছ থেকে। কয়েকদিন আগে টিভির পাশ দিয়ে যেতে চোখে পড়লো সুবর্নলতার বাচ্চা হয়েছে বা সেরকম কিছু দেখাচ্ছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তিন মাস আগে না একটা বাচ্চা হল ওর, আবার আরেকটা? বউ হাসতে হাসতে বলে, আরে না এটাই সেই বাচ্চা যেটা কয়েক মাস আগ থেকে হবে হবে করছে।

আমি অবাক হয়ে টিভি দর্শক বউয়ের দিকে তাকিয়ে রইলাম। এরা কি সম্মোহিত দর্শক? যে চ্যানেল একটা বাচ্চা জন্মের মতো সাধারন ব্যাপারকে টেনে ছমাস বা দেড়শো পর্বে নিতে পারে, যেই দর্শক সেই নাটক দেখার জন্য প্রতিদিন টিভির সামনে হাজিরা দিতে পারে, সেটা কি দর্শকের অযোগ্যতা, নাকি নাট্যকারের সফলতা?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

চমৎকার নীড়ুদা। আসেন, আমরা সবাই আমাদের পর্যবেক্ষণগুলো জড়ো করি।

guast_writer এর ছবি

আসলে আমরা ভারতের নকল করে কোন দিন সফল হতে পারবনা। ওখানে সে পরিমান টাকা, গ্লামারের ছড়াছড়ি তা আমাদের পক্ষে আয়োজন করা সম্ভব না। বাজারের সীমাবদ্ধতা আছে।

আমাদেরকে নতুন কোন ধারা তৈরী করার জন্য মরিয়া চেষ্টারো দরকার নাই। সেটা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। হুমায়ুন আহমেদকে কেউ ফলো করে না, ফারুকীর নাটক পুরাই আলাদা জাতের্‌, লাভলুরটা তার মত। নতুনরা আসবে নতুন কিছু নিয়ে।

ভাই মূল সমস্যা বিজ্ঞাপণের সময়। কমন সেন্সের নূন্যতম প্রয়োগ দেখা যায় না এখানে। আপনার সামনে ২৫০টা চ্যানেল আর আপনি আশা করছেন টানা ১০ মিনিট বিজ্ঞাপণ দেখাবেন আর ৫ মিনিট বিনোদন। কিছুদিন পরে সংবাদ ছাড়া আর কিছু দেখার জন্য দর্শক পাওয়া দায় হবে। অনুষ্ঠানের মানের জন্য না বিজ্ঞাপনের অত্যাচারের জন্য। হিন্দি চ্যানেল গুলির সিরিয়ালের মান অনেক খারাপ হবার পরেও সেগুলি দেখা যায়, কিন্তু আমাদের চ্যানেল গুলিতে বিজ্ঞাপণের যন্ত্রনায় যে কোন অনুষ্ঠান দেখা একটা ধৈর্য্য পরীক্ষা।

বিনোদনের জন্য বসে ধৈর্য্য পরীক্ষাদিতে কার ভাল লাগে।

এ অবস্থায় কোন চ্যানেল যদি, বিজ্ঞাপণের মূল্য বৃদ্ধি করে বিজ্ঞাপণের সময় কমিয়ে আনে তবে প্রাথমিক ব্যাবসায়িক ক্ষতি পোষাতে তার বেশি দিন লাগবেনা। মানুষ বাংলা অনুষ্ঠান দেখতে চায়, কিন্তু দেখা সুযোগ করে দিতে হনে। চ্যানেল কতৃপক্ষকে বুঝতে হবে কোনটা লক্ষ্য আর কোনটা উপায়। কোন ডাক্তার যদি ৫০০ করে টাকা নেয় আর প্রেসকিপশনে বাল ছাল লেখে তবে তার রুগির সংখ্যা বাড়ারতো কোন কারন নেই। আগে আপনাকে চিকিৎসা করতে হবে পরে টাকা।

দর্শক যেহেতু বুঝে ফেলছে বিজ্ঞাপণ দেখানই আপনাদের কাজ, খুব দায়ে পড়ে আপনারা অনুষ্ঠান দেখাচ্ছেন, ফলে দর্ষক বিকল্প খুঁজে নিচ্ছে। এটা নিয়ে অবশ্যই ভাবার দরকার আছে। যদি বলেন আপনারা অসহায়, জনগনকে দেশপ্রেমে উদবুদ্ধ হয়ে আপুনাদের অপরিকল্পিত বিজ্ঞাপণ দেখতে হবে, তবে ভুল হবে যা কোন কাজে আসবে না।

আমার মনে হয়, এখানে পরিকল্পনার যায়গায় দূর্বলতা থেকে যাচ্ছে বা কেউ ব্যাপারটার গুরুত্ত্বকে যথাযথ পাত্তা দিচ্ছে না। আওমারা যানি বিজ্ঞাপণ আপানারকে দিতেই হবে, কিন্তু এর উপস্থাপনা নিয়ে গভীর ভাবে ভাবতে হবে।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুম, বিজ্ঞাপন একটা সমস্যা বটে! তবে, বিজ্ঞাপন ছাড়া যে টিভি চ্যানেলগুলোরও চলবে না! বিজ্ঞাপনের ব্যাপারটা নিয়ে আগের একটা লেখায় কিছুটা এসেছিল। একবার দেখে আসতে পারেন।
চ্যানেলগুলো চাইলে বিজ্ঞাপন রেট বাড়িয়ে দিতে পারে। পে চ্যানেলে যেতে পারে। আবার নতুন বিজনেস মডেল ডেভলপ করতে পারে।

শামীম এর ছবি

আমাকে কেবলের জন্য মাসে ৩০০ টাকা দেয়া লাগে। বিজ্ঞাপন বিহীন (বা সীমিত আকারে - বাবুর খাওয়ার সময়ে, কিংবা নির্দিষ্ট সময় পরে ট্যাংকি খালি করার জন্য) বাংলা ও ইংলিশ চ্যানেলের জন্য আমি মাসে ২০০০ টাকা দিতে রাজি আছি।

কবে যে এদেশে পে চ্যানেল আসবে চিন্তিত

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

শামীম এর ছবি

ছোটকালে কিছু সিরিয়াল দেখেছিলাম --- আলিফ লায়লা।

প্রথমে - গত পর্বে কী হয়েছিলঃ
হো হো হো হা হা হা ..... হা হা হা (ভিন্ন এঙ্গেল থেকে আবার:) হো হো হো হা হা হা ..... হা হা হা

এবার এই পর্বে:
হো হো হো হা হা হা ..... হা হা হা (ভিন্ন এঙ্গেল থেকে আবার:) হো হো হো হা হা হা ..... হা হা হা
হো হো হো হা হা হা ..... হা হা হা (ভিন্ন এঙ্গেল থেকে আবার:) হো হো হো হা হা হা ..... হা হা হা

আগামী পর্বে আসছে:
হো হো হো হা হা হা ..... হা হা হা (ভিন্ন এঙ্গেল থেকে আবার:) হো হো হো হা হা হা ..... হা হা হা

কালো, ধলা, রঙীন দৈত্য হেসেই যাচ্ছে হেসেই যাচ্ছে -- এভাবে তিন পর্ব। তারপর এক পর্বে কিছু এ্যাকশন। তারপর আবার তিনপর্ব জুড়ে হাসাহাসি এবং খুবই ফালতু টাইপের এনিমেশন।

মেগা সিরিয়াল দেখা সেই যে ছাড়ছি ...

আমার মনে হয় সব দর্শকদের একই থেরাপীতে কাজ হবে না।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে আমরা ভারতের নকল করে কোন দিন সফল হতে পারবনা। ওখানে সে পরিমান টাকা, গ্লামারের ছড়াছড়ি তা আমাদের পক্ষে আয়োজন করা সম্ভব না। বাজারের সীমাবদ্ধতা আছে।

প,বঙ্গে যেসব ছবি বানাই, সেইগুলোতে খুব বেশি টাকার ছড়াছড়ি থাকে? The Japanese Wife দেখলে ত সেরকম মনে হয় না।
শুধু ছবির কথা বলছি কেন? আমাদের দেশের এ্যাড নির্মাতা যখন বাংলালিঙ্ক এর এ্যাড বানালো সেটা কি ভারতের চেয়ে খারাপ ছিল?

সমস্যা হলো আমাদের দেশপ্রেমের অভাব, আর কিছু না। ভারতীয় জিনিস দেখলে আমরা হুমড়ি খেয়ে পরা
আমাদের জাতের ধারা।শাহ্রুখের গান শোনার জন্য যে দেশের Home Minister মাটিতে বসে পরে, সেখানে আর কি বলবো?

তীর্যক চোখ

অতিথি লেখক এর ছবি

মূল লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়লাম এবং এ রকম একটি ভালো তথ্যবহুল লেখার জন্য অবশ্যই লেখককে ধন্যবাদ। তার সাথে যারা ইতোমধ্যে গুর’ত্বপূর্ণ মন্তব্যও করেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ। আমি নিজেও এই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই বলেই আমার কী-বোর্ড ধরা।
বাংলাদেশী মেগাসিরিয়াল বা ভারতীয় ডেইলি সোপ- এ দুই নিয়ে অনেক আলোচনা হয়ে গেছে। আমি ঢাকায় থাকি ১১ বছর। আসার সবচেয়ে ছোট বোনটির বয়স বর্তমানে আট। অনেক আগেই যখন বাড়ী গেছি, তখন খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করি বেশ কিছু ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের সব চরিত্র ওর প্রায় মুখস্ত। বেহুলা, খনা থেকে শুর’ করে এমনকি ভারতীয় বাংলা ছবির জিত্, কোয়েল, দেব বা আর যাদেও নামও শুনিনি, ওরা দেখি দিব্যি জনপ্রিয়তা অর্জন করে বসে আছে। একসময় আমাদের বাড়ীতে ডিসের লাইন থাকলেও ভারতীয় চ্যানেল দেখা হতো না বললেই চলে। বাংলাদেশের ধারাবাহিকগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো সে সময়। বিশেষ করে আমার বাড়ীর কথা বললে সালাউদ্দিন লাভলুর নাটকের কথা বলতে হয়। ফার’কীর নাটক তেমন পছন্দ হয়নি তাদের। যখন ভারতীয় সিরিয়ালগুলো দেখা শুর’ করলো তারা, আমি আমার মাকে প্রশ্ন করেছিলাম- কেন এইসব একই একঘেয়ে কাহিনীর টেনে লম্বা করা চিত্রায়ন দেখছেন? তার উত্তরটা ছিলো- ওদের নাটকে আর কিছু থাক বা না থাক- কাহিনী যতই ধীরগতির হোক, একটা আকর্ষণ থাকে। বাংলাদেশের ধারাবাহিকগুলোতে এখন আর কোনো বৈচিত্র নেই। সালাউদ্দিন লাভলুর নাটক যেমন একই কাহিনীর চক্রে আটকে গেছে, তেমনি ফার’কীর নাটকও। তার এই জবাব অত্যন্ত সরলীকৃত হতে পারে, তবে অনেক মানুষের মন্তব্যের সুরটি কিন্তু একই। তবে এখনও বাড়ীতে বাংলাদেশী ধারাবাহিক দেখা হারিয়ে যায়নি।

সিরিয়াল নিয়ে অনেক আলোচনার পাশাপাশি আমি একটু নজর দিতে চাই রিয়েলিটি শো গুলোর দিকে। এদিকের ভিউয়ারশিপ বিবেচনা করলে নিশ্চয় দেখা যেতো ড্যান্স বাংলা ড্যান্স বা দাদাগিরি অথবা ঝালাক দিখলা জা- এইসব শো এর সময় দর্শক সাড়া কেমন থাকে। আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়, এসব রিয়েলিটি শো এর দর্শক সুবর্ণলতা বা এরকম সিরিয়ালের চেয়ে মোটেও কম নয়। এমনকি আমি নিজেও মাঝে মাঝেই (যখন অবসর সময় খাকে)দেখে থাকি ড্যান্স বাংলা ড্যান্স আর দাদাগিরি। আর সত্যি কথা বলি, মিরাক্কেল আমার বেশ প্রিয় একটা রিয়েলিটি শো। এমনিতে রিয়েলিটি শো তেমন দেখা হয় না। তবে মিরাক্কেল চলার সময় সময়টা বের করেই নিতাম দেখার জন্য। রিয়েলিটি শো’র ক্ষেত্রে এ কথা আমার বিচারে মনে হয়, ওদেরগুলো মানে সত্যি সত্যি আমাদের চেয়ে যোজন যোজন দূরত্বে এগিয়ে আছে। এরকম সফল রিয়েলিটি শো আমাদের দেশে কোনটা আছে? ভারতীয় স্তুতি আমার উদ্দেশ্য নয়। তবে, বাস্তবতা স্বীকার করাটা দোষণীয় নয়। মিরাক্কেলে গতবছর বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকজন অংশ গ্রহণ করে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছে ।আর তার কিছুদিন পরেই হঠাত্ করে টিভিতে দেখলাম বাংলাদেশী শো ‘হাশো’। সেখানকার অ্যাংকর মিরাক্কেলে প্রসংশা কুড়োনো বাংলাদেশী ইয়াফি। উদ্যোগটা প্রশংসণীয়, দেশে ভালো কমেডি শো হওয়া উচিত। তা বলে তার মানের দিকটাতে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে না? আমি অত্যন্ত হতাশ হলাম সার্বিক আয়োজন দেখে। ইয়াফি মিরাক্কেলের স্টেজে যতটা স্বতস্ফূর্ত, এখানে ততটাই জুবুথুবু। সেট অত্যন্ত ‘কনজাস্টেড’(দু:খিত, ভালো বাংলা প্রতিশব্দ মনে করতে পারছি না)। বিচারকদেও মন্তব্যগুলোও এমন চমকপ্রদ কিছু নয়। সবমিলিয়ে গোটা অনুষ্ঠান দেখে বেশ হতাশায় নিমজ্জিত হলাম। এর সাথে অন্য কারো দ্বিমত থাকতে পারে, তবে আমার পর্যবেক্ষণ এটাই।
একটা সময় আমার মনে হয়েছে, আমরা আসলে আমাদের সৃজনশীলতা হারিয়ে ফেলেছি। কী নাটক, কী সিনেমা, কী রিয়েলিটি শো- আমরা বা আমাদের নির্মাতারা এখন অনেকখানি ভারত নির্ভর। উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই মাস্টার দা সূর্যসেন এর কথা। সম্প্রতি চাষী নজর’ল ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি মাস্টার দা সূর্যসেন কে নিয়ে চলচিত্র তৈরী করবেন। মাস্টার দা আমাদের জাতীয় গর্বের এক মহান উপাখ্যানের নায়কের নাম। তার সেই বৈপ্লবিক আন্দোলনের কথা অবিদিত নয় আমাদের কারো কাছেই। তবে এতদিন ধরে কেন আমরা তাকে নিয়ে চলচিত্র তৈরী করতে পাররাম না? ভারতে যখনই তৈরী হলো, খেলে হাম জি জান সে, তার পর পরই কেন মাস্টার দা কে নিয়ে চলচিত্র তৈরীর উদ্যোগ। এতদিন কি তারা চলচিত্র তৈরী করতে যে কাহিনী বিন্যাসের প্রয়োজন হয়, তা করতে পারছিলেন না? ওরা যদি ভগত সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, মহাত্মা গান্ধী, সূর্যসেন এর মত ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে ইতিহাস নির্ভর চলচিত্র তৈরী করতে পারে, আমরা কেন পারি না আমার ভাষা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ - প্রভৃতি নিয়ে চলচিত্র তৈরী করতে? আমাদের ইতহাসে কি বীর সেনানী নেই? আমাদের দুর্বলতা তাহলে কোথায়?
বুঝতে পারছি, যেখান থেকে শুর’ করেছিলাম, তা থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি। আসলে ওইভাবে লেখার অভ্যাস নেই বলে সবকিছু গুছিয়ে বিষয়নির্ভর লিখতে পারি না। তবুও লিখলাম। এর প্রেক্ষিতে মন্তব্য থাকলে স্বাগতম।

তরিকুর সজীব

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আপনার মতো আমার ছোট বোনটি, যে গ্রামে থাকতো (কয়েক মাস হলো ঢাকায় এসেছে) সেও ইন্ডিয়ান স্টারদের খুব ভালো করেই চিনে সিরিয়ালের কল্যাণে। আবার এদিক-ওদিক আলোচনায় রিয়েলিটি শো-গুলোর কথা শুনতে পাই। আমি যে একদম-ই দেখি না, তা নয়।
আমাদের সৃজনশীলতা হারিয়ে গেছে, এটা আমি মানতে নারাজ। হয়তো সাময়িক খরা যাচ্ছে। আশাবাদী যে, নতুনরা অবস্থার পরিবর্তন আনবে। তবে, এজন্য সৃজনশীলতার পাশাপাশি স্ট্যাটেজিক চিন্তাভাবনারও প্রয়োজন আছে।

শাওন3343 এর ছবি

আমাদের নিজস্ব একটা স্পোর্টস চ্যানেল চাই। বিশ্বকাপ ছাড়া বাকি সময় স্টার-স্পোর্টস, ইএসপিএন এ খালি ইন্ডিয়ার জিতা ম্যাচগুলা দেখায় ! ভাল্লাগেনা আর । আমাদের নিজের একটা স্পোর্টস চ্যানেল চাই ।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ! বিশেষায়িত চ্যানেল দরকার।

দিগন্ত এর ছবি

আগে খুলে মার্কেট ধরে ফেলার সুবিধাটা ইএসপিএন পাচ্ছে। কিন্তু ইএসপিএন যে মাপে বিনিয়োগ করতে পারে সেটা বাংলাদেশে কি কেউ করবে?


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বিনিয়োগ করতে পারলেও এত ছোট মার্কেটের জন্য সেটা কস্ট ইফেক্টিভ হবে কি না, সন্দেহ!

মুস্তাফিজ এর ছবি

গত খেলার পরে প্রতিক্রিয়া শোনার জন্য বাংলাদেশের সব গুলা চ্যাণেল ঘুরে দেখি সব জায়গাতেই লাইভ গানের অনুষ্ঠান, একজায়গায় বাচ্চু তো আরেক জায়গায় হাসান, আরো অনেকে। এরা মনে হয় কারো একটা পোগ্রাম হিট হইলে একই সময়ে একই রকম পোগ্রাম চালাতে অভ্যস্থ।

...........................
Every Picture Tells a Story

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মাঝে মাঝে বড্ড বোরিং লাগে!

একজন পাঠক এর ছবি

আমার মনে হয় অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন বিরতি বাংলাদেশী চ্যানেলের দর্শক হারানোর কারন..এত বেশি বিজ্ঞাপন বিরতি খুবই বিরক্তিকর (বিশেষত Ntv)

নিবিড় এর ছবি

পান্থদা একটা প্রশ্ন আছে, এই টিভি ভিওয়ারশিপটা হিসেব হয় কীভাবে? মানে ঠিক একটা নির্দিষ্ট সময় একটা নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান কয়জন দেখল এই হিসেব কীভাবে করা হয়?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বাংলাদেশে টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) দরকার হয় বিজ্ঞাপনদাতাদের। তারা প্রোগ্রামের রেটিং দেখে স্থির করেন, ওই প্রোগ্রামে বিজ্ঞাপন দিবেন কি না! যে প্রোগ্রামের টিআরপি বেশি তার বিজ্ঞাপন রেট বেশি। টিআরপি বেশি মানে ওই প্রোগ্রামের দর্শক বা ভিউয়ারশিপ বেশি। পিপল মিটারের মাধ্যমে কোন দর্শক কোন প্রোগ্রাম দেখছেন, সেটা হিসেব রাখা হয়। যেমন, মনিটরিং কোম্পানি কেউ একজন গেল তোমাদের বাসায়। তারা গিয়ে বাসার টিভি সেটের সাথে এই পিপল মিটারের সংযোগ দিবে। তুমি অথবা তোমার বাসায় কেউ টিভিতে যে যে প্রোগ্রাম দেখবে এবং যতটা সময় দেখবে, তার হিসেব ওই পিপল মিটারের রাখা হবে। এইভাবে স্যাম্পল পিপল মিটারের ডেটা নিয়ে টিআরপি বের করা হবে। টিআরপি'র সাদামাটা ব্যাপারটা এটা।
তবে, এর গাণিতিক হিসেব-নিকেশও আছে। আসলে সেইগুলির মাধ্যমে তা নির্ধারিত হয় টিআরপি। পিপল মিটারের মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতেই। সেটা আবার বুঝি না! অংক চিরকাল-ই ভয় পেয়ে এসেছি। তাই ভরসা উইকির লিংক

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ঢাকায় বা আর কোথাও এমনটা হয়?? আমি তো পরিচিত কারো কাছেই শুনিনি এখনো! আমার ধারণা ছিল বাংলাদেশে ভিউয়ারশিপ মনিটরিং হয়ই না মনে হয়!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হয়। তবে, এক কোটির ঢাকা শহরে সবার বাসাতে নিশ্চয় হয় না!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই সবই ঠিক আছে কিন্তু আমার মনে হয় ঠিক সময়ের অনুষ্ঠান যদি সময় মত শুরু হত তবে বাংলাদেশের নাটকের দর্শক অনেক বেড়ে যেত। কেবল ভারতের নাটকের কুশলীদের মত রংচং মেখে এদেশের দর্শককে আকৃষ্ট করা যাবেনা। ভারতের সব কটি চ্যানেলে দর্শক যানে কখন কতটুকু বিজ্ঞাপন হবে কিন্তু আমাদের দেশে দেখেন! খুব শখ করে পরিচিত এক অভিনেতার অনুরোধে এনটিভির একটা নাটক দেখতে বসেছিলাম... ভাইরে সেই নাটক ২বার ঘোষনার পরে এলো ১৫ মিনিট পরে। আর এর পর মাঝখানে আবার বিজ্ঞাপন বিরতী..... কি বলবো বলেন এর পরে আর সেই নাটক দেখার ইচ্ছা আর কারো ছিল কিনা জানিনা, আমার অন্তত ছিল না।

নৈষাদ এর ছবি

আপনি হিন্দী স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর আধিপত্যর ব্যাপারে বলেছেন, কিন্তু জি বাংলার মেগা সিরিয়্যালের ভিউয়ারশিপ তো দেখি আরও বেশি (১ লক্ষ ৮০ হাজারের কাছাকাছি)। হিন্দি সিরিয়্যালের জনপ্রিয়তার আপাত ব্যাখ্যার অতীত কারণগুলি বাদ দিলেও তো দেখা যাচ্ছে বাংলা-সিরিয়্যাল বনাম বাংলা-সিরিয়্যালেও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি (বিভিন্ন মন্তব্যে বিজ্ঞাপনের ব্যাপারটা উঠে এসেছে)। ব্যাপারটা অস্বস্তিকর।

আমি নিশ্চিত যে মনিটরিং প্রতিষ্ঠানের কাছে এর সম্ভাব্য কারণগুলিও আছে। ভাবতে ইচ্ছে হয় চ্যানেলগুলি সম্মিলিতভাবে ব্যাপারটা দেখবে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব যেমনটি বললেন, বড় বড় বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানগুলিও এসব রিপোর্ট দেখতে পারে, ট্রেন্ডটা ভাল না... ফরেক্স রেগুলেসন ১৯৪৭ ই ভরসা... এই মুহূর্তে। আরও কিছু মন্তব্য আছে... এই মুহূর্তে পারছি না...।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নৈষাদ্দা, দুই একটা প্রোগ্রামের ভিউয়ারশিপ বেশি, তবে অ্যাভারেজ কিন্তু হিন্দি-ই বেশি!

শামীম এর ছবি

এখন এদেশের চ্যানেলে যাই বালছাল দেখাউক না কেন বিজ্ঞাপন তারাই পায় -- এটাও কি ঠিক হচ্ছে? বাংলাদেশের চ্যানেল বাদ দিয়ে বাইরের চ্যানেলে যদি দেশের কর্পোরেট বিজ্ঞাপন চলে যায় তাহলে ভালও হতে পারে। দেশি চ্যানেলে তাহলে অনুষ্ঠান-বেশি বিজ্ঞাপন-কম এমন একটা সাম্যাবস্থা বিরাজ করবে যা দর্শক টানতে সাহায্য করবে। আর আমাদের বিজ্ঞাপনের আধিক্যে ওদের যত ভাল অনুষ্ঠানই হইক পাবলিক গিলবে না।

এমন আরেকটা ফর্মূলাও এর আগে শুনেছিলামঃ-
কথায় ছিল বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ ফুটবল জিতাইতে চাইলে আমাদের টিমকে ঘনঘন বিশ্বকাপের শীর্ষস্থানীয় উন্নত দেশগুলোতে খেলতে পাঠাতে হবে। এতে কীভাবে লাভ হবে? .... ... ব্যাপারটা খুবই সহজ: আমাদের টিমে স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়ের চেয়ে কর্মকর্তা যাবে বেশি, যাদের একটা বড় অংশ ওখানে গিয়ে গায়েব হয়ে যাবে। তারপর ঠিকই ওদেশে একটা ঠিকানা করে নেবে। ঐসব কর্মকর্তাদের যেহেতু কোন যোগ্যতা নাই তাই ওরা চিপাচুপা দিয়ে, ধুনফুন আর ক্লিকবাজির দক্ষতা ব্যবহার করে, আজ না হউক পরশু, .. শেষপর্যন্ত ঠিকই দেখা যাবে ওদের ফুটবল সংক্রান্ত কমিটি টমিটিতে ঢুকে পড়বে। এইবার...... এইবার....... ঐসব দেশের ফুটবলের বারটা বাজবে, যেভাবে আমাদেরটা বাজিয়েছে। ফলে এরপর বিশ্বকাপে দেখা যাবে আমাদের সোনার ছেলেরা হেসেখেলে ওদের হারিয়ে আসবে - বিশ্বকাপ জিতবে।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দেঁতো হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বাংলাদেশে নতুন চ্যানেল খোলার সিস্টেম কী? কিরকম টাকা পয়সা লাগে? লোন টোন পাওয়া যায়? এসম্পর্কিত নিয়মাবলী কোথায় পাওয়া যায়?

পড়ালেখা শেষ হলে দেশে ফিরলে আমার চিন্তাভাবনা আছে বাংলাদেশের ন্যাটজিও চ্যানেল খুলব। নাম দিব নিসর্গ। প্রথম চার/পাঁচ বছর জিরো প্রফিটে চালাবো (মানে সবাইকে মোটামুটি বেতন দেওয়ার পরে ব্যালান্স জিরো), পরে আস্তে আস্তে লাভজনক করবো।

প্রথম দিকে হয়তো ৪-৫ ঘন্টা করে প্রোগ্রাম চালাবো। এর পর বাড়াবো। দেশের তরুণদের সম্পৃক্ত করে প্রকৃতিবিষয়ক ভিডিও এবং ছবি বিষয়ক অনুষ্ঠান তৈরী করার পরিকল্পনা আছে।

অনেকেই তো নিজে স্বপ্ন দেখে না, অন্যের স্বপ্ন দেখে। এটা আমার স্বপ্ন। বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। তবে ভয় হয় কবে আবার কেউ এই নামে চ্যানেল খুলে বসে। তাই এখানে লিখে রাখলাম হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমাকে সাথে নেবেন? হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনারাই তো ভরসা। শর্ত একটাই: প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হবে, সত্যিকারের ভালোবাসা হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

পিপিদা, আমাকে রাখবেন না? সুন্দরী প্রেজেন্টারদের দেখে শুনে রাখতে হবে না? কোনো কালো বিড়াল যেনো কাছে ঘেঁষতে না পারে তাদের! চোখ টিপি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধূগোদা, বেড়া ক্ষেত খেয়ে ফেলবে না তো! চোখ টিপি

দিগন্ত এর ছবি

প্রথম দিকে হয়তো ৪-৫ ঘন্টা করে প্রোগ্রাম চালাবো।

- বলেন কি? ৪-৫ ঘন্টা ধরে প্রোগ্রামের জন্য একটা চ্যানেল? কেন একটা প্রচলিত চ্যানেলে একঘন্টার একটা অনুষ্ঠান দিন না হাসি


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার কথা ঠিক; এক ঘন্টার প্রোগ্রামই বাস্তবসম্মত। তবে সবই ভাবনা চিন্তার পর্যায়ে রয়েছে। অভিজ্ঞজনদের পরামর্শ লাগবে। ধন্যবাদ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বাংলাদেশে চ্যানেল খোলার সিস্টেম খুব সহজ। আপনাকে যেকোনো রাজপুত্রের অনুমোদন নিতে হবে। টাকা পয়সা কোনো সমস্যা নয়, গৌরিসেনরা আছেই।
মোজাম্মেল বাবুর মতো তেল মারতে পারলে আপনিও একটা চ্যানেলের মালিক হতে পারবেন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

থ্যাংকয়ু বস। আমিও এরকমই ভেবেছিলাম। যাক কাজটা একটু কঠিন হয়ে যাবে তাহলে। এভাবে চ্যানেল খুলে টিকিয়ে রাখাও কঠিন। কারণ সরকারের সাসটেইনিবিলিটি কম। এক রাজপুত্রের মেয়াদ তো ৫বছরের বেশি নয় মন খারাপ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

পিপিদা, আপনি বরং কোনো একটা চ্যানেলের এক ঘণ্টার একটা স্পট কিনে শুরু করে দেন। হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হা হতশ্যি। যখন নিজের ঘরেই রূচিহীনতার চণ্ডালনৃত্য দেখি তখন আর এইসব বিষয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করে না। পান্হ দা, এ বিষয়ে আরো অনেক সোচ্চার লেখালেখি হোক। সেই সাথে হোক সুস্থ সংস্কৃতি রচনার পরিশ্রমী প্রচেষ্টা। যদি এই প্রচেষ্টায় জোয়ার আসে তবে নিশ্চয়ই ভেসে যাবে এইসব উল্লুকের বমি।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"ভালো" মানের নাটক/অনুষ্ঠান নাই জন্য লোকজন ভারতীয় চ্যানেল দেখে, নাকি লোকজন ভারতীয় চ্যানেল দেখে জন্য নির্মাতারা "ভালো" মানের নাটক/অনুষ্ঠান বানান না, জানি না। তবে বিজ্ঞাপনমালা দেখতে সত্যিই বিরক্ত লাগে! মূল অনুষ্ঠান দেখার মজাটাই নষ্ট করে দেয়!

আমি আগে বাংলাদেশের নাটক নিয়মিত দেখতাম। খুব ভালো লাগত। এখন লাগে না। হয়ত ভালো নাটকগুলো কখন হয়ে যায়, খবরও রাখি না। চ্যানেল ঘোরালে প্রায় সব জায়গায় একই মুখ, একই ধাঁচের মেকিং, একই ধরনের সংলাপ... এই কারণে নাটকগুলো একঘেয়ে হয়ে গেছে। "খাইসসি", "গেসসি" ধরনের "বাস্তবধর্মী" সংলাপ বিরক্ত লাগার আরেকটা কারণ।

আমার প্রিয় চ্যানেল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। এছাড়া স্টার ওয়ার্ল্ডে সিটকমগুলো মাঝে মাঝে দেখি, যদিও সেগুলো ডাউনলোড করে কম্পিউটারেই দেখি মূলত।

বিটিভি-তে একটা নাটক হয় বোধহয়, "বিশ্বাস" না কি যেন নাম। নিয়মিত দেখা হয় না, তবে এইটার মেকিং অল্প একটু দেখেই, দুইতিনদিন, খুব ভালো লেগেছে।

অদ্রোহ এর ছবি

বিটিভির স্বর্ণসময়ের শেষযুগের দর্শক আমি। সকাল সন্ধ্যা, বহুব্রীহি আমাদের প্রজন্ম দেখতে পায়নি, কিন্তু কোথাও কেউ নেই, রুপনগরের মত নাটক দেখার সময় মা-খালাদের হুমড়ি খেয়ে পরে থাকার কথা এখনো ভুলতে পারিনা। এরপর শুরু হল ব্যাঙ্গের ছাতার মত স্যালেটাইল চ্যানেলগুলোর গজিয়ে ওঠা, সরকারের পালাবদলের সাথে সাথে ক্ষমতাসীনদের অর্থানুকূল্যে চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে এদের সংখ্যা। একান্নবর্তীর মত নাটক এসে মেগা সিরিয়ালের যে আলাদা ধাতটি তৈরি করতে চেয়েছিল সেটাও বুমেরাং হয়ে শেষমেশ প্রলম্বিত, ম্যাড়ম্যাড়ে সমাপ্তিতে এসে ঠেকেছে। মেগা সিরিয়াল না হয় বাদই দিলাম, আগে ঈদের দিনের রাতটা ছিল আয়েশ করে টিভি দেখার সময়। এখন বিজ্ঞাপনের দৌরাত্ম্যে আদপে নাটকের ফাঁকে ফাঁকে বিজ্ঞাপনই দেখা হয় কেবল। অনুষ্ঠান নির্মাণে নতুন কিছু করে দেখানো বা কোনো ভিন্নধারার আইডিয়ার কিছু এখন আর চোখে পড়েনা। একই মুলো চোখের সামনে দেখতে দেখতে এখন আমরা ক্লান্ত।

আমার নিজের বাসাতেই হিন্দি চ্যানেলগুলো কখনো আসন গেঁড়ে বসতে পারেনি। মা- বোনেরা ফুরসত পেলে এতদিন বাংলা নাটকই দেখতেন। কিন্তু জি বাংলা-আলফাটিভির রিয়ালিটি শো আর নাটকগুলোর প্রবেশ আর কাঁহাতক ঠেকানো যায়। মেলাদিন হইয়েছে বাসাছাড়া, হলে টিভি দেখার সময়-ইচ্ছে কোনটাই হয়ে ওঠেনা। হালের হকিকত সম্বন্ধে আমি এখন খুব একটা ওয়াকেফহাল নই। কিন্তু এটা বুঝি, পরিস্থিতি দিন দিন খারাপই হচ্ছে। স্টার প্লাস-সনি-স্টার জলসা, জি বাংলা আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে চেপে ধরেছে, এই নানামুখী আগ্রাসন দিনকে দিন প্রকটই হবে কেবল।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

স্রেফ বাচ্চাদের জন্য একটা চ্যানেল কেউ খুলে না বাংলাদেশে মন খারাপ

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দিগন্ত এর ছবি

কার্টুন নেটওয়ার্ক বাংলায় পাওয়া যায় না বাংলাদেশে?


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কার্টুন নেটওয়ার্ক আছে কিন্তু হিন্দীতে মন খারাপ
তবে বাচ্চাদের চ্যানেল বলতে শুধু কার্টুন না, আরো অনেক কিছু। ইংল্যান্ডে দেখতাম। এক একটা চ্যানেলের প্রোগ্রাম বাচ্চাদের গ্রোমিং শেখায়, মজা করতে করতে শেখায় মা অসুস্থ থাকলে বাচ্চা কি করে নিজে নিজে নাস্তা করে নেবে, কিভাবে ব্যস্ত রাস্তা পার হবে, দূর্ঘটনায় কি করতে হবে। এ ছাড়া ক্রিয়েটিভ বিষয়গুলো আছেই।
একটা ভালো ভারতীয় প্রোগ্রাম দেখছি MAD, ইংরেজীতেই।

এরকম বাচ্চাদের জন্য পরিপূর্ণ চ্যানেল আমাদের এখানে এখনো হয়ে উঠেনি। আমার ধারনা এরকম কোন কিছুর বাজার সম্ভাবনা ও মন্দ হবার কথা নয়।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দিগন্ত এর ছবি

আপনার হেডলাইনের সাথে ভেতরের কন্টেন্টে মিল পেলাম না। আপনার তথ্যে দেখছি সবথেকে বেশী ভিউয়ারশিপ ভারতীয় বাংলা চ্যানেলের, হিন্দি চ্যানেলের নয়। স্টারপ্লাস ছাড়া আর হিন্দি চ্যানেলগুলো যেহেতু খুব একটা জনপ্রিয় নয় তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে সম্মিলিত ভিউয়ারশিপে ভারতীয় বাংলা চ্যানেলগুলো হিন্দির থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে। এই ব্যাপারটা অবাক করেছে আমাকে। বাংলাদেশের নির্মাতারা বাংলাদেশের কনটেক্সট জেনে সিরিয়াল বানিয়েও ভিউয়ারশিপ পাচ্ছে না? আমার মনে হয় এই অবস্থাটা খুবই সাময়িক এবং কিছুদিন পরে অবস্থা ঠিকঠাক হয়ে যাবে। "কে হতে চায় কোটিপতি" থেকেই ধরুন না, ওটাও ভাল ভিউয়ারশিপ পাবে।
সামগ্রিকভাবে যা বুঝলাম, সোপ অপেরার জনপ্রিয়তাই টি-আর-পির এইরকম হওয়ার মূল কারণ। হিন্দিতে সোপ তৈরী হচ্ছে প্রায় ১৯৯০ সাল থেকে, আর বাংলায় প্রায় ১৯৯৫ সাল। তখন থেকেই দেখছি টিভিতে সারাদিন সোপের দাপট। এখন তো টিভিতে প্রাইম টাইমে যা দেখানো হয় সবটাই সোপ। বাংলাদেশের নির্মাতারা এখনও সেভাবে সোপ বানাননি, তবে কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের সোপ চলে আসবে টিভিতে। তখন আশাকরি এই ব্যাপারটা কিছুটা করে পরিবর্তন হবে। পশ্চিমবঙ্গের সোপগুলো তো বাংলাদেশের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে বানানো হয় না, তাই এই কম্পিটিশন খুবই সাময়িক।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দিগন্তদা, ইন্ডিয়ান বাংলার কিছু প্রোগ্রামের ভিউয়ারশিপ বেশি হলেও অ্যাভারেজ ভিউয়ারশিপ বেশি হিন্দির।
আমরাও আশা নিয়ে আছি, একদিন অবস্থার পরিবর্তন হবে। তবে বাচ্চারাও আজকাল যেভাবে হিন্দিকে রপ্ত করে ফেলছে, তাতে ভয় হয় বৈকি!

দিগন্ত এর ছবি

অ্যাভারেজ ভিউয়ারশিপ বেশি হিন্দির। - তাহলে হয়ত হাত থেকে বেরিয়ে গেছে ব্যাপারটা।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি একটা জিনিস বুঝি না, আগে বাবা-মারা টিভি যাতে ছেলেমেয়েরা কম দেখে, তার জন্যে মেলা হুমকি ধামকি দিতেন। (আমি অবশ্য আমার সমবয়সী পোলাপানের থেকে বেশি স্বাধীনতা পেয়েছি এসব ব্যাপারে)।
কিন্তু যা বলছিলাম, বাচ্চাদের আগ্রহ আসলে তৈরি হয় পারিবারিক মূল্যবোধ থেকে। বেশি পরিমাণ টিভি দেখা যে খারাপ, বা টিভিতে কী দেখা হবে তা যে নিয়ন্ত্রিত হওয়া জরুরি তা মনে হচ্ছে দিন দিন বাবা-মারা ভুলে যাচ্ছেন!! আশঙ্কার ব্যাপার এই বাবা-মারা আমাদের বড়-ভাই বোনদের জেনারেশন, মানে আমাদের জেনারেশন!! বাংলা-হিন্দি কোন প্রকার ডেইলি সোপই মোটেও বাচ্চাদের উপযোগী কোন বিষয় নিয়ে তৈরি না, সে কথা মনে হচ্ছে না এখনকার বাবা-মারা খেয়াল করছেন!! আজব অবস্থা!!
(হিন্দিতে কার্টুন বা ডিজনি চ্যানেল আসলে কেবল চ্যানেল অপারেটরদেরকে সেটা দেখানো বন্ধ করতে বলাটাতো আরো পরের ব্যাপার)!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বুঝছি, এই বিষয় নিয়া একটা দীর্ঘ পোস্ট লিখতে হইবো... দুইতিনদিনের মধ্যে লিখে ফেলবো আশা করছি। এবং আশা করছি কিছু বিষয় পরিষ্কার করতে পারবো হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ওক্কে!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

অপেক্ষা করতেছি!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ফানুস এর ছবি

ইসলামীক টিভি নামে যে চ্যানেলটা আছে ওটা কার ? ওরা মনে হয় লাভের আশায় চ্যানেল খুলেনি , ধম' শিক্ষাটাই মূল ।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বাসার লোকজনের অত্যাচারে টিভিই দেখি না বহুদিন! মন খারাপ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

nusrat এর ছবি

জাবেদ সাহেবের কাহিনি বড়ই মজার।

সাফি এর ছবি

দেশে গেলাম যখন তখন অনেকেই অনেক কিছু দেশ থেকে আনতে বলেছিল, তবে একজনা বল্লেন তার দুই মেয়ের জন্য যেন একটা আনারকলি আর একটা মাসাকলি আনি...আমিতো বুঝিই না, পরে দেশে যাবার পরে ছোটবোন কিনে দিল বলে রক্ষা।

জাহেদ আরমান এর ছবি

হিন্দি সিরিয়ালের সাথে প্রতিযোগিতায় না গিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর চেয়ে ভারতীয় বাংলা চ্যানেলগুলো বেশি জনপ্রিয়। নিশ্চয় শুধু একটা কারণ এর সাথে জড়িত নয় অনেকগুলো ফ্যাক্টর এর সাথে জড়িত। যেমন-
-বিজ্ঞাপন
-দর্শকের হৃদমটা ধরে রাখতে পারা
-যথাসময়ে অনুষ্ঠান শুরু হওয়া
এর বাইরে আর কি কি কারণ জড়িত বলে আপনি মনে করেন????????????????????
-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।