চায়ের কাপে গল্পঃ নীল

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৪/২০০৮ - ৮:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লোকটা আমার দিকে ভাঙাচোরা একটা হাসি নিয়ে তাকাল।
আমি কিছুটা বিরক্ত হলাম। দুপুর একটা থেকে আড়াইটা- এই দুই ঘণ্টা- আমার একার। এই সময় আমি আমার অফিসের পাশে ছোট্ট রুমটায় কাটাই। রুমে একটা ডিভাইন খাটে- আধশোয়া হয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে থাকি। সবাই জানে- অতিরিক্ত জরুরী কোন কাজেও এই সময় আমাকে বিরক্ত করা যাবে না।
কিন্তু আমার কোম্পানীতে একদল গাধা কাজ করে। গাধাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় গাধা হলো- আমার সেক্রেটারী নিশাত। সে বেছে বেছে এই দেড় ঘণ্টায় আমার সাথে বিভিন্ন জনের এপয়ন্টমেন্ট ঠিক করে। আমি কিছু একটা বলতে গেলে মাথা নীচু করে বলে...
- স্যার- আপনিই তো বলেছেন জরুরী কোন কাজের কথা - এই সময়ে আপনাকে না বলতে। কিন্তু...

এতটুকু বলে নিশাত চুপ করে থাকে আর মাথা নীচু করে মিটি মিটি হাসে। কড়া একটা ধমক দিতে গিয়েও আমি কিছু বলি না। এর ফল হিসেবে- এই মুহুর্তে ফিকে হয়ে আসা ছাই রঙের একটা পাঞ্জাবী পরে- ছাই হয়ে আসা একটা হাসি নিয়ে একটা লোক আমার খাটের পাশে দাঁড়িয়ে আছে।

- সাজ্জাদ, চিনতে পারছিস?
লোকটার মুখে নিজের নাম শুনে কিছুটা অবাকই হলাম আমি। অনেকদিন কারো মুখে নিজের নাম কিংবা 'তুই' ডাক শোনা হয় না। আশেপাশের প্রায় সব মানুষ আমাকে স্যার বলে ডাকে। আমার স্ত্রী আমাকে 'রাজুর বাবা' বলে ডাকে।

আমি লোকটার দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকালাম এবং একটা সিগারেট ধরালাম। কিছুক্ষণ পর পর সিগারেট ধরানো আমার বহুদিনের অভ্যাস। সিগারেট ধরিয়ে দুই আঙুলের মাঝখানে রেখে দেওয়া।
লোকটা ছাইরাঙা হেসে বলল...
- কীরে! এভাবে হা করে তাকায় আছিস কেন?

সাথে সাথেই লোকটার এখানে আসার কারণ আমি বুঝতে পারলাম। স্কুল কলেজের কোন বন্ধু টাকা পয়সার জন্য এসেছে। মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল।
আমি মানুষটা কৃপণ না। কিন্তু বন্ধু কিংবা দূরসম্পর্কের আত্নীয়ের পরিচয়ে কারো টাকা চাইতে আসা'র ব্যাপারটা আমার মোটেই পছন্দ না।

আমি বললাম...
- আপনার নামটা?
ছাই রঙের পাঞ্জাবী পরা লোকটা হেসে উঠল...
- কী আশ্চর্য! আমাকে তুই চিনতে পারছিস না? আমি নীল... চিটাগাং কলেজিয়েট স্কুলের নীল।
আমার ভাসা ভাসা পড়ল। দেবপাহাড়ের নীচের সেই রাস্তা। আমি আর নীল। একই সঙ্গে একটা মেয়ের প্রেমে পড়লাম। দেবপাহাড়ের গলির মুখে বিকেল বেলা দুইজন একসঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতাম। মেয়েটার নাম কী যেন? শামা কী? মনে পড়ছে না।

- কী ভাবছিস? বসতে বলবি না?
লোকটার কথা শুনে আমি স্মৃতি গুলোকে ছুঁড়ে ফেললাম। স্মৃতি ভারাক্রান্ত হওয়ার মানুষ আমি নই। আমি বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে নিয়ে থাকতে ভালোবাসি। নইলে আমার এতদূর আসা হত না।
আমি লোকটাকে বসতে বললাম না। এই রুমটাতে ডিভাইন খাটটা বাদে আর কোন ফার্নিচার নেই। অতীত থেকে ফিরে আসা নীলের কোন মূল্য- আমার কাছে বর্তমানে নেই। আমি বললাম...
- তুমি আমার অফিসে বস। আমি আসছি।
লোকটা কিছুটা হকচকিয়ে গেল। এসব আমি গায়ে মাখি না। বসে বসে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করার সময় আমার নেই। কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে- নিশাত মেয়েটাতে কড়া করে একটা ধমক দিতে হবে।

অফিসে একটা মেয়েকে দেখতে পেলাম। নীল ভাঙা হাসি হেসে বলল...
- এটা আমার মেয়ে- আসমা।
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করলাম।
- কোন ক্লাসে পড়- তুমি?
মেয়েটা কেমন জড় জড় কণ্ঠে বলল...
- ক্লাস ফাইভে।

নীল আমার সামনের চেয়ার বসল। আমি বললাম...
- তা খবর কী তোমার?
নীল অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ধীরে ধীরে বলল...
- চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি ঢাকায়। ঢাকায় তো আমার কেউ নেই। ভাবলাম তোমার সাথে দেখা করে যাই।
আমি কথা বাড়ালাম না। পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে পাঁচশ টাকার দুইটা নোট বের করলাম। নীলের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম...
- চলবে?
নীল সঙ্কোচ নিয়ে টাকার দিকে তাকাল। ধীরে ধীরে বলল...
- না সাজ্জাদ। টাকা লাগবে না।

আমি একটা ধাক্কা খেলাম। নীল তার মেয়েকে নিয়ে চলে গেল।

একসময় ধাক্কার ঘোর কেটে গেল। আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম। প্রায় তিনটা বাজে। কয়েকটা জরুরী কাজ বাকী পড়ে আছে...

এরপর নীলের কথা- নীলের মেয়ের কথা আমার মনে রইল না। হঠাৎ একদিন নিশাত এসে আমাকে একটা চিঠি দিল...
- স্যার। আপনার একটা চিঠি আছে।
আমি কিছুটা বিরক্ত হলাম। মেয়েটাকে কতবার বলেছি... আমার চিঠি টিঠি সব তাকে পড়ে দিতে।
- তোমাকে না বলেছি... চিঠিপত্র সব দেখতে।
নিশাত মাথা নীচু করে হেসে বলল...
- এটা অফিসিয়াল চিঠি না স্যার। প্রেরকের নাম লেখা নীল। ভাবলাম আপনার পার্সোনাল কোন চিঠি হবে...

নীল নামটা শুনে আমার আগ্রহ হল। নিশাতের কাছ থেকে চিঠিটা নিয়ে খুললাম আমি...

প্রিয় সাজ্জাদ,

আমি মানুষটা মনে হয় পুরনো রয়ে গেছি। নইলে সেদিন তোমার কাছে গেলাম কেন? নইলে প্রায় বিশ বছর পরে তোমাকে তুই করে ডাকলাম কেন?
কয়েকদিন আগে হসপাতালেই আমার স্ত্রী মারা গেছে। আসমা খুব কেঁদেছিল। আমি কী করব বুঝতে পারছিলাম না। মেয়েটার মাথায় হাত রাখার শক্তিও আমার ছিল না।
অবাক হয়ে কী দেখছি জানো? এই বিশাল ঢাকা শহরে আমার কাঁধে হাত রাখার কেউ নেই। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে- আমি তোমাকেও আমার মত পুরনো ভেবেছিলাম। সেদিন তোমার অফিসে গিয়েছিলাম- ভেবেছিলাম তুমি আমার কাঁধে হাত রেখে আমাকে সান্ত্বনা দিবে- অনেক আগে দেবপাহাড়ের চূড়ায় বসে যেভাবে কাঁধে হাত রাখতে সেভাবে। আমি ভেবেছিলাম- তুমি আসমাকে কাছে টেনে নিয়ে তার কপালে একটা আদর দিবে...

নীলের চিঠি আমি পুরো পড়তে পারলাম না। অবাক হয়ে খেয়াল করলাম- পুরনো দিনের মত আমার চোখদুটি ভিজে উঠেছে... অনেক আগে দেবপাহাড়ের চূড়ায় যেভাবে ভিজে উঠত... ঠিক সেভাবে...


মন্তব্য

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অদ্ভুত সুন্দর !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ হে!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতিথি লেখক এর ছবি

কি আর বলবো...।আবারও অবাক করা অসাধারন একটা অনুগল্প অনেক ভালো লাগলো।
-নিরিবিলি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধইন্যবাদ হে হোটেল নিরিবিলি হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

পানিতে ভিজে গেল আমারও চোখ। কান্নায় ডুবে গেল হৃদয়।
সাদা বাংলায় "দিলমে চাক্কু"।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হো হো হো
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্বপ্নাহত এর ছবি

শালা তোরে ধইরা পিটান দরকার। এই সময়ে সাইন করার কোন ইচ্ছাই আমার ছিলনা...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ভালাইছে...
তোর অব্যহত লেখাপড়ায় একটু ডিস্টার্ব দিলাম দেঁতো হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

গৌরীশ রায় এর ছবি

হৃদয়ে হৃদয়ে আধো পরিচয় ।
আধো খানি কথা সাঙ্গ নাহি হয় ।।

এই থিম অনেক পুরানো তবে কিছু থিম কখনই পুরানো হয় না।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ঠিক কথা বলেছেন... নতুন কোন চরিত্র দিয়ে পুরনো গল্প বলা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

তীরন্দাজ এর ছবি

অসাধারণ লেখা। আমরা যে ধীরে ধীরে যন্ত্র হয়ে যাচ্ছি, তার নির্জলা সাক্ষ্য বহন করে এই গল্প।

আপনার কথামতোই বলি-
"স্মৃতি ভারাক্রান্ত হওয়ার মানুষ আমি নই। আমি বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে নিয়ে থাকতে ভালোবাসি। নইলে আমার এতদূর আসা হত না।"

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পরিবর্তনশীল এর ছবি

তীরুদা...অনেক অনেক ধন্যবাদ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍মন-ছোঁয়া।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কী যে করি! আবার ফোন করেছিল মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়াম থেকে... হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কী যে করি! আবার ফোন করেছিল মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়াম থেকে..

সেইরকম একটা লাইন!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অনিন্দিতা এর ছবি

সত্যি বলছি পরিবর্তনশীল , লেখাটা পড়ছি আর ভীষনভাবে চোখ মুছছি। আমরা সবাই বোধ হয় কখনও কখনও সাজ্জাদ হয়ে যাই। কেউ চোখে আঙুল দিয়ে না দেখালে দেখতে চাই না, বুঝতে চাই না।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আরে। একটা গল্পই তো। এতকিছু দরকার আছে?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রাহা এর ছবি

পড়ে গেলাম গড়গড় করে.....
কিন্তু তারপর যে থেমে গেলাম.... আচ্ছন্ন হয়ে ....

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
পরিবর্তনশীল এর ছবি

হাচা কইতাসেন নাকি চাপা মন খারাপ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- চাপা মারলে কি মিয়া এইখানে মারতাম!
চালু রাখেন, প্রথমেই ঢিমা দিয়েন না; তাইলে ঘুড্ডি বাকাট্টা খাইয়া যাইতে পারে। আগে ঘুড্ডিটা বাতাসের লাইনে আসুক, তারপর লেন্থ দেখবেন অটিংমেটিং ঠিক হয়া গেছে। তখন আপনের আর কিছু না করলেও চলবো। খালি বইবেন আর উইকেট গুনবেন!

ফি আমানিল্লাহ্ গুরু।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আলহামদুলিল্লাহ!

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটা।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

থার্ড আই এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে পড়ে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়ছি যে... সচলে মনে হয় প্রিয় লেখকের একটা অপশন খুব শ্রীঘ্রই করতে হবে যেখানে নিজের ব্লগের পাশে প্রিয় লেখক তালিকা থাকবে, যেন চট করে আবারো ঢু মেরে আসা যায়।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

পরিবর্তনশীল এর ছবি

লজ্জা দিলেন তো!
তবে আপনাকে ধন্যবাদ টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মিনি নাটকের প্লট হিসাবে ভালো হতো । চলুক

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আমাদেরও এই ধরণের একটা প্ল্যান আছে। তবে অন্য গল্পও হতে পারে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অমিত আহমেদ এর ছবি

লেখাটা ভালো লেগেছে।
আরেকটু গোছানো হলে আরো ভালো লাগতো।
মুহিবুল কবিরের মাঝে একজন দক্ষ কথাশিল্পীর লক্ষণ দেখতে পাই। এই দক্ষতা যেন ধৈর্যের অভাবে নষ্ট না হয় সেটা যে একটু খেয়াল রাখতে হয় পরিবর্তনশীল।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

বস...দোয়া করবেন। যেন এই আশা সত্যি করতে পারি। আরো বেশি করে সমালোচনা করেন। তাইলে আমার জন্য অনেক বেশি ভালো হবে। হয়ত খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব না। তবে একসময় অবশ্যই পারব।

নামের বানান মুহিবুল না মহিবুল দেঁতো হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অমিত আহমেদ এর ছবি

আয় হায়... পাট নিতে গিয়া নামটাই ভুল কইরা ফেললাম।
সরি মহিবুল দেঁতো হাসি


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

এরকম একবার ভুল হইলে একটা সুবিধা আছে। আর জীবনেও ভুলটা করবেন না। হো হো হো
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অমিত আহমেদ এর ছবি
কনফুসিয়াস এর ছবি

কি তামশা, আমার কাছেও মনে হচ্ছিলো এটা একটা নাটক!
*
নাটকটা হুমায়ুন বানালে কি হতো?
মেয়েটার বয়স বেড়ে যেত। আর কাস্টিং হতো এরকম-

সাজ্জাদঃ চ্যালেঞ্জার
নীলঃ আসাদুজ্জামান নূর
নিশাতঃ দীহান
মেয়েটাঃ শাওন
*
আর ফারুকী বানালে কি হতো?
কাস্টিং বদলে যেতঃ
সাজ্জাদঃ রিফাত হোসেন
নীলঃ মোশাররফ
নিশাতঃ তিন্নি
মেয়েটাঃ তিশা

*
মহিবের জন্যে একরাশ জাঝা।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আপনার মন্তব্যে (বিপ্লব)

তবে এই ধরণের নাটক হুমায়ুনেরটাই বেশি ভালো লাগে। তবে কোথাও কেউ নেই কিংবা বহুব্রীহির হুমায়ুন... যেখানে নীলের ভূমিকায় সত্যি সত্যিই আসাদুজ্জামান নূর অভিনয় করবে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

শিক্ষানবিস এর ছবি

গল্পটা চমৎকার লেগেছে। খুব সুন্দর থিম। মহিব, একটা মিনি নাটক বানিয়ে ফেল। বন্ধুদের কারও করা নাটক। দেখতে অন্যরকম ভাল লাগবে। আশায় রইলাম।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

তাইলে তো আপনাকেও হাত লাগাতে হয়!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই ‘বন্ধু তোমার চোখের পাতায় চিন্তা খেলা করে’-- বলবার মানুষ কই?
অসাধারণ!
ক্যামেলিয়া আলম

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রায়হান আবীর এর ছবি

দারুন।

---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

দারুন।

ঐ হালা...এই একডা শব্দ ছাড়া আর কিছু কইতে পারস না?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লাগসে

- খেকশিয়াল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

শুনে ভালো লাগসে!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।