বায়োস্কোপের বাক্স ১৪: শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: বুধ, ২৬/০৮/২০০৯ - ৯:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই সিনেমাটার নাম বহুবার শুনেছি, কিন্তু কখনো দেখার 'সৌভাগ্য' হয় নি। আপাতত এক বন্ধুর সাথে বাজে বাংলা সিনেমার ফেস্টিভ্যাল চালাচ্ছি, প্রায় দৈনিকই একখানা করে ভয়াল রোমহর্ষক সিনেমা দেখছি, বা বলা ভালো চেষ্টা করছি। সবসময় যে সফল হচ্ছি তা বলতে পারি না কিন্তু সৎ চেষ্টা বাবদ প্রাপ্য কৃতিত্বটুকু না নিয়ে পারলাম না। যাক অবশেষে ইউটিউবে পাওয়া গেলো এই অমর কালজয়ী ছবিখানা। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তাঁর বিশিষ্ট ছবির তালিকায় পারমিতার একদিন ও দহন-এর সাথে এক নিশ্বাসে এর নাম নেন, না দেখে বাতিলের তালিকায় যে ফেলে ফেলুক, আমি ফেলি নি। অতএব ভগবানের নাম নিয়ে বসে পড়লাম দেখতে। পুরো লেখাটা পড়ুন, তারপর আপনাদেরও দেবো লিঙ্ক। কাজেই চিন্তা করবেন না, আপনাদেরও এমন অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হতে হবে না।

ছবির গল্প বলে দেন যে সব অর্বাচীন সমালোচক, এ ছবির রিভিউ লেখার ধৃষ্টতা তাঁরা যেন না করেন। এর গল্প কালজয়ী বললেও কম বলা হয়, বরং বলা ভালো এ এক চমৎকার ধাঁধার মতো। কাজেই মস্তিষ্কের ব্যায়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। একটা উদাহরণ দিই। সুন্দরী নায়িকা গন্তব্যে যাওয়ার জন্য এক ড্রাইভারের জিপে চড়লো, সেই চালক মশায়ের কানে দুল গলায় হার ঝাঁকড়া চুল, মানে বাংলা সিনেমার (হিন্দিরও) আদিবাসীর সনাতন চেহারা। অভিনেতাটি বাংলা ছবির চেনা ভিলেন কৌশিক ব্যানার্জি। মনে রাখবেন, নায়কের এখনো এন্ট্রি হয় নি। বহু সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতায় তৎক্ষণাৎ মনে হলো, এবার গল্প ঝিঙ্গা-লালা-হু টার্ন নেবে। জানেন না সেটা কী? সংক্ষেপে বললে এবার এক প্রাকৃত বিদঘুটে দেবমূর্তির সামনে নায়িকাকে হাত বঁেধে টাঙিয়ে রাখা হবে উৎসর্গের আগে, এবং এক দল নরনারী সাঁওতালি স্টাইলে শাড়িধুতি পড়ে একটা নাচাগানা করবে যার বাণীতে কোথাও একটা "ঝিঙ্গা-লালা-হু" থাকবেই থাকবে। তারপর একচোট মারামারি ইত্যাদি হবে, যা এক্ষেত্রে নায়কের এন্ট্রি সীন হতে পারে। কিন্তু পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী সে বান্দাই নন, এই আদিবাসী চেহারাটা আমরা যাকে বলি চুক্কি, ভিলেনমশাই গেঞ্জি-জাঙ্গিয়া পরে থাকলেও কিছু হেরফের হতো না। এমন সুন্দরী বালিকা পেয়েও তিনি যত্ন করে কামড়ালেন না, স্রেফ বটুয়াটি নিয়ে তাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। হয়রান হলেন তো? আম্মো হয়েছি, মাথার চুল ছঁিড়ে ফেললাম এমন জিতেন্দ্রিয় ভিলেনের কাণ্ড দেখে। কিন্তু এটা অকারণে করেন নি হরনাথবাবু। কিছু পরে বালিকাটি একটি হট ড্রেস পরে (এক পিস সায়া/পেটিকোট গলা অবধি তুলে বাঁধলে যেমনটা হবে তেমন) পাহাড়ের পথে একলা হাঁটছেন, এবং আবাগির বেটির এমন কপাল, আবার সেই ঝিঙ্গালালাহু ভিলেনের আবির্ভাব। মাইয়ার হাতে এখন ব্যাগ তো দূরস্থান, একটা রুমালও নেই। জিতেন্দ্রিয় বজ্জাত এবার নেবেটা কী? নিলে তো ঐ সায়াটি ছাড়া আর কিছু নেই। বলুন টেনশন হবে না? এই যে একটা নখচিবুনো দৃশ্য সৃষ্টি করলেন দূরদর্শী পরিচালক তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিলো সেই পূর্ববর্ণিত দৃশ্যে। বললেই হবে বাউন্ড স্ক্রিপ্ট ছিলো না?

সিনেমাটির ছত্রে ছত্রে এমন কবিতার মতো মায়াময় ব্যাপারস্যাপার রয়েছে যে কী ছেড়ে কী বলবো তাই ভাবছি। দু একটা ধ্রুপদী স্তরের সংলাপ উদ্ধৃত করি। শ্বশুরবাড়ি যাঁর কথায় চলে সেই শাশুড়ি (অনামিকা সাহা) এক দৃশ্যে খাসচাকরকে বকছেন, সে লজ্জাটজ্জা পেয়ে বললে স্যরি। তার উত্তরটা শুনুন, শক্ত করে বসে নিন চেয়ারে তার আগে। দশাশই রাগী ভদ্রমহিলা স্যরির উত্তরে গর্জন করে উঠলেন, I'm not a lorry to carry your sorry! একটুও বাড়িয়ে বলছি না, মাইরি বলছি এমনটাই ছিলো! আগে একদিন খুঁজতে খুঁজতে আরেকটা কোনো সিনেমায় এই মহিলাকেই দেখেছিলাম গাঢ় বেগুনি শাড়ি ও গয়না পরে মুখে একেবারে কাবুকি স্টাইলে রঙ করে এসে ছিলেন। কিন্তু এই ছবিতে তাঁর মুখে চুনকামের ঘনত্ব কম ছিলো, মানতেই হবে। ন্যাচারাল মেক আপ, এমনটা কবে দেখেছেন মৃণাল সেনের পর?

নায়িকার চরিত্রটি এমন ডিমউইট (এর বাংলা করলাম না আর) যে ওয়াটসনের নারী সংস্করণ সৃষ্টি করতে হলে একে তুলে বসিয়ে দিলেই হবে, খাটুনি কিছু করতে হবে না। তার ছোটো বোনটি বরং চমৎকার, সত্যি সত্যিই খাসা নাচে, ফিগারটিও ভালো। ঋতুপর্ণাকে দূর করে একে দেখালে ভালো করতো। সে এক ক্যাসানোভা অর্থলোভী প্রেমিকের চক্করে পড়েছে। সে বালকটির বদখৎ থোবড়া দেখে (এবং তার পিছনে পড়া রমণীকূলের ব্যাকুলতা দেখে) মনে হচ্ছিলো বাঙালি ছেলেদের আকাল হয়েছে নির্ঘাৎ, আমার চেনা জগতে এই ছেলে এক পিস মেয়ে তুলতে পারলেই বর্তে যেতো।

রঞ্জিত মল্লিক নায়িকার বাবা, যিনি সাধারণত উচিত জবাব মুখের উপর দিয়ে থাকেন সবার কথায়, অন্যান্য সিনেমায়। এখানে বৌয়ের কথায় ওঠবস করতে হবে বলে ভদ্রলোক অতিথি শিল্পী হয়ে গেলেন, একটা ছবির জন্য এদ্দিনের সুনাম তো জলাঞ্জলী দেওয়া যায় না! অতএব মাঝপথে তিনি চলে গেলেন নারায়ণপুর (সেই ঝিঙ্গালালাহু'র দেশে), টাকাপয়সার বিলিব্যবস্থা করতে। না দেখালে জানতেন ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার রাজধানী নারায়ণপুর?

যাক লিখতে থাকলে শেষ হবে না, তার চেয়ে একটা ক্লাসিক সংলাপ দিয়ে শেষ করি। মা বকাবকি করছেন মেয়েকে, বাবা (সেই মল্লিকবাবু) স্ত্রীকে থামাচ্ছেন কন্যা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে গেছে এটা বলে। সংলাপটা, আবারও বলি, বিকৃত করছি না, অনেকটা এই রকম: "তোমার মেয়ের বড়ো হয়ে গেছে"। উচ্চারণের দোষ মল্লিকবাবুর আছেই, তবে এর মধ্যে নিন্দুকেরা আল্টেরিয়র মোটিভ দেখতে পেলে তাঁদের বলি, মহান শিল্পীদের কর্ম এই রকম সাট্লই হয়। বিশ্বাস না হয় দেখুন শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ, এইখানে


মন্তব্য

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মনে হচ্ছিলো বাঙালি ছেলেদের আকাল হয়েছে নির্ঘাৎ, আমার চেনা জগতে এই ছেলে এক পিস মেয়ে তুলতে পারলেই বর্তে যেতো।

হা হা, " ঝিঙ্গালালাহু" জিন্দাবাদ। ... "ঝিঙ্গালালাহু " জিন্দাবাদ।
ভালো বাংলা ছবি পেলে এই রকম রিভিউ দিতে দেরী করবেন না পাঠুদা। আরো হাসার আশায় রইলাম।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ সুহান ও ছায়ামূর্তি। এমন সিনেমা ইতিহাসে ক'টা হয়েছে আর? কতো কী যে মণিমুক্তা ছিলো, সব লিখতে গেলে কয়েক পর্ব লেগে যেতো। হাসি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আপনার অবগতির জন্য :

আপনি যেটা দেখেছেন এটা হচ্ছে আসল ছবির রিমেক। আসল ছবিটা এই দেশে তৈরী হয়েছিল, ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারনে পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গে রিমেক হয়।

পরিচালকের নাম দেবাশীষ, ইনি ঢাকার সর্বকনিষ্ট পরিচালক হিসেবে ২৪ বছর বয়েসে এই ছবি উৎপাদন করেন।
ছবিটা দেখার সৌভাগ্য এখনও অর্জন করিনি।

মূলত পাঠক এর ছবি

শুনেছিলাম বটে ঋতুপর্ণ, অপর্ণা সেন প্রমুখের ছবি বাদ দিলে বাকি অনেক পশ্চিমবঙ্গীয় সিনেমাই নাকি হয় তেলেগু অথবা বাংলাদেশি ছবির নকল। একে রিমেক বলা উচিত নয়, নির্মাতারা কোথাও সে কথা স্বীকার করেন না। বরং চুরি বলাই ভালো।

আপনার মন্তব্যে "ছবি উৎপাদন করা" শুনে প্রভূত মজা পেলাম। এখনো দেখেন নি এমন মাস্টারপিস, মাঝে মাঝে মনে হয় না জীবনটা বৃথা?

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এই জিনিষ না দেখলেও একসময় আমি প্রত্যেক সপ্তাহে পত্রিকায় একটা করে বাংলা সিনেমার রিভিউ করতাম। একবছরে প্রায় ৪০টা বাংলা সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা আমার আছে।

সেই ভয়ংকর কাহিনী যদি লেখি, তাহলে সচলায়তন থেকে আমাকে বহিষ্কার করার সম্ভাবনা আছে। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

লিখে ফেলেন, চটপট। কেউ বহিষ্কার করবে না, গ্যারেন্টি!

মামুন হক এর ছবি

I'm not a lorry to carry your sorry!

--দারুন জিনিষ শেখালে দাদা। আমিও এখন থেকে এই ডায়লগ ব্যবহার করব। শুধু একবার সরি বলেই দেখ!

মূলত পাঠক এর ছবি

লোকজন ভির্মি খেয়ে যেতে পারে ঐ ডায়লগ শুনলে, সাবধান! হাসি

কীর্তিনাশা এর ছবি

হো হো হো

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মূলত পাঠক এর ছবি

হাসি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ছোঁক ছোঁক গান্টা সেরম



অজ্ঞাতবাস

মূলত পাঠক এর ছবি

সে কী, এই গানটা তো মিস করে গেছি!

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

ঢোঁক গেল্লুম!

মূলত পাঠক এর ছবি

গিল্লেন? একেবারে গিলেই ফেল্লেন?

সিরাত এর ছবি

রাজর্ষিদা, আপনি আইএমডিবি স্টাইলে একটা সংখ্যামূলক রেটিং দিতে পারেন। যেমন ৫ এ ৪ বা ১০ এ ৮ টাইপের। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

এই কথাটা আপনার মনে এলো এই সিনেমাটার রিভিউ পড়ে? এটাকে তো মাইনাসে পয়েন্ট দিতে হবে, কিম্বা তারার বদলে কৃষ্ণগহ্বর। হাসি

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

কিম্বা তারার বদলে কৃষ্ণগহ্বর
হো হো হো
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এমন সিনেমা আরো কিছু দেখলে, আপনাকে lorry-তে করে হাসপাতালে carry করতে হবে। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

না রে ভাই, আমার সহ্যশক্তি এ ব্যাপারে নেহাত কম না, বেশ কয়েকখানা দেখা হয়ে গেছে। তাও তো বঁেচে আছি দিব্যি। হাসি

s-s এর ছবি

:)। ছবিটা না দেখেই বলছি, লেখাটার এক দশমাংশ মজাও যদি ছবিটাতে থাকতো, তাহলে ওটাকে ছবি বলতাম আপাততঃ ঝিঙালালা ই বলি ।

মূলত পাঠক এর ছবি

এক দশমাংশ কী বলেন, এর দশ গুণ মজা আছে ওতে, দেখলেই টের পাবেন। হাড়ে হাড়ে।

তানবীরা এর ছবি

মারডালা
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মূলত পাঠক এর ছবি

হাসি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

অনেক বছর আগে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় মাহমুদা হক বা মাহমুদা চৌধুরী নামের একজন ঢাকা তথা বাংলাদেশের "মূলধারা"র চলচ্চিত্রের সমালোচনা লিখতেন, অনেকটা এইরকম ভাষায়ই। আপনার লেখা আর আরিফ জেবতিকের মন্তব্য পড়ে সেগুলোর কথা মনে হয়ে গেলো।

আমার মায়াই লাগতো ওই কলাম লেখিকার(?) জন্য। যেমন লাগলো আরিফ জেবতিকের জন্য।

আপাতত এক বন্ধুর সাথে বাজে বাংলা সিনেমার ফেস্টিভ্যাল চালাচ্ছি, প্রায় দৈনিকই একখানা করে ভয়াল রোমহর্ষক সিনেমা দেখছি, বা বলা ভালো চেষ্টা করছি।

আপনি জনস্বার্থে এতবড় আত্মত্যাগ করছেন? নাকি কোন বাজিতে হেরেছেন?

মূলত পাঠক এর ছবি

বাংলা সিনেমা যে কতো মণিমুক্তার ভাণ্ডার সে খবর রাখি না বলেই এই সব ছবিকে অবহেলা করি। মাইকেল অবধি জানতেন, তাই লিখেছিলেন, হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন ইত্যাদি। এমন নির্মল হাসির ফোয়ারা, হলেই বা আনইনটেন্ডেড, ছেড়ে দিই কেমনে?

আরো যা সব দেখলাম তা নিয়ে আরো লেখা যায়। আপনারা যারা ভালো সিনেমা দেখেন নি তাদের জন্য এটুকু করবো না?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দেবাশীষ বিশ্বাসের করা 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ' ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, ২০০১ সালে।
আমি দেখেছিলাম, আরো পরে।

মূলত পাঠক এর ছবি

লিঙ্ক থাকলে শেয়ার করুন না, আমরাও দেখি।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গুগলিং করে দেখলাম, বাংলাটরেন্টে আছে। সময় এবং আগ্রহ থাকলে - নামাতে পারেন ঃ)

তুলিরেখা এর ছবি

আহা। এইটার খানিকটা দেখেই আমি সাধের প্রাণ বাঁচাতে কেটে পড়ি। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার এতো কেন প্রাণের মায়া?

তুলিরেখা এর ছবি

"সিনেমা দেখিতে গিয়া তিনি প্রাণ দেন" এটা কি গৌরবের হবে বলুন? দেশের জন্য প্রাণ দেন, অন্যকে বাঁচাইতে গিয়া প্রাণ দেন, সমাজসংস্কারের কাজ করিতে গিয়া শত্রুদের হাতে প্রাণ দেন-এইসব হলেও নাহয় হতো।
হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

এবার জনতার প্রাণের দাবি... নতুন ছবি চাই!
ঝাঁটার বাড়ি! জিন্দাবাদ!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

মূলত পাঠক এর ছবি

নজরুলসাহেব আছেন কী করতে? আজেবাজে মাল অনেক বানিয়েছেন তিনি, এইবার শ্বশুরবাড়ির মতো ধ্রুপদী কিছু বানাতে বলেন।

সমুদ্র এর ছবি

মজা পেলাম। ছবি দেখে এত মজা পাবো নাকি সন্দেহ।
শেষের প্যারা নিয়ে আর কিছু না বলি খাইছে

"Life happens while we are busy planning it"

মূলত পাঠক এর ছবি

পাবেন পাবেন, দেখেন তো আগে, তাইলে বুঝবেন!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কয়দিন ধরে ভাবছিলাম একটা সিনেমা রিভিউ করবো। কিন্তু আপনার এই লেখা পড়ে ব্যাপক মজা পাইছি। আমার প্রজেক্ট স্থগিত।

দারুণ মজা কইরা লেখছেন।

আমাদের দেবাশীষের শ্বশুড়বাড়ী সম্ভবত এটা থেকেই চুরি করা। যদিও ছবিটা দেখি নাই এখনো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে দেশে ভালো ছবির আকাল নাকি, আপনিও লেখেন না একপিস!

sohoj এর ছবি

দেবাশীষের ছবিটা পুরো নকল একটা হিন্দি ছবির। গোবিন্দ করেছিলো। নামটা এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি না

মূলত পাঠক এর ছবি

কন কী! শ্বশুরবাড়ি তাহলে তো নকলের নকল!

ভুতুম এর ছবি

"তোমার মেয়ের বড়ো হয়ে গেছে"।

বড় দুষ্ট কথা লিখলেন পাঠুদা। চোখ টিপি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

আমি কি আর লিখলাম রে ভাই, আমি তো নিমিত্তমাত্র! হাসি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

সিনেমা দেখা হয়না একদমই। আপনার রিভিউ পড়ে মনে হলো কাজটা তাহলে ঠিকই করছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মূলত পাঠক এর ছবি

আহা এমন সিনেমা দেখতে পেলেন না, দুঃখ হচ্ছে না? হাসি

দৃশা এর ছবি

ফটু দেইখা যা বুঝতাছি লরিও এই মহিলার সামনে কিছু না... লরিও ভয় খাইবো তার সাইজ দেখলে।

দৃশা

মূলত পাঠক এর ছবি

এইটা সত্যি কথা। একে ঐ চেহারা, তায় রাবণের মাসীর মতো মেক-আপ, সব মিলিয়ে হরর ফিল্মের মেটিরিয়াল।

দময়ন্তী এর ছবি

দেঁতো হাসি
এবারে এন কে সলিল সিরিজ শুরু করে দিন৷ "মারবো এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে' দিয়ে শুরু৷ হো হো হো
----------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনি এই মহাত্মার নাম জানেন? যাক নিশ্চিন্ত হলাম। আমার খুব দুঃখ ছিলো, এমন প্রতিভার কদর কেউ করে না ভেবে।

নাশতারান এর ছবি

হাহামগে (হাসতে হাসতে মরে গেলাম) ...

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাপস শর্মা এর ছবি

অসাধারণ একটা লেখা। এই মানুষটার পুরোনো কত লেখা যে ঘেঁটে ঘেঁটে পড়লাম। মানুষটা কোথায় যে গায়েব হয়ে গেল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।