'জয় বাবা ফেলুনাথ'!

আচ্ছা পড়বো আবারো

টিনটোরেটোর যীশু, সমাদ্দারের চাবি দুইটাই আমার পছন্দ

ফেলুদা দেখলে এখনো লোভ সামলাতে পারিনা, স্থান-কাল-পাত্র ভুলে পড়তে বসে যাই।আর কি অদ্ভুত কাকতাল, এই সেদিন রয়েল বেঙ্গল টাইগার রহস্য আবার পুনর্পাঠ করলাম। সেই একই রকম দুর্দান্ত থ্রিল, সেই চিরচেনা আপন ফেলুদা,তোপসে,জটায়ু...সেই একই রকম ভাষার ঠমক...নাহ! আমরা বুড়ো হয়ে যাব, ফেলুদা থেকে যাবেন চিরতরুণ!!

প্রথম গল্প কোনটা, বলো দেখি!

সেরা হচ্ছে রয়েল বেঙ্গল রহস্য, তারপরেই ছিন্নমস্তার অভিশাপ। আর তিন নম্বর হতে পারে জয় বাবা ফেলুনাথ!

ফেলুদার অভি্যান ৩৭টি, শেষ ২টি অসম্পূর্ণ। একটার নাম মনে হয় তোতা/টিয়া রহস্য আরেকটার নাম মনে পড়ছে না...

ফেলুদা তো শখের ডিটেকটিভ নন, পেশাদার গোয়েন্দা।

বাংলা গোয়েন্দা চরিত্রের মাঝে ব্যোমকেশের অবস্থান আমার কাছে ফেলুদারও আগে।

তবে ফেলুদাও কম নন। কারণ ঐ- বিকাশবাবুর রেডিও, শশীবাবুর সিং, এক থেকে সাত, মগনলালের বজরা, আফ্রিকার রাজা।

দারুন লেখা তিথী!
সেই ছোটবেলা থেকে ফেলু মিত্তিরের ভক্ত
ফেলুদার গল্পের মাঝে সবচেয়ে বেশি পছন্দ হল 'ছিন্নমস্তার অভিশাপ'। সেইখানে একটা পাহাড়ি নদীর বর্ণনা দিয়েছেন সত্যজিৎ। সেইটা এত জীবন্ত যে না পড়লে বিশ্বাস হয় না----
জয় বাবা সত্যজিৎ !!

ধুর, ফেলুদা তো বিয়েই করেনি, অতএব তার শালীরও সম্ভাবনা নেই...

ফেলুদাচারণ সুন্দর হয়েছে। ছবিও

(কোন মন্তব্য নেই, মন্তব্য করতে গেলে পোস্টের সমান বড় হয়ে যাবে)

গোয়েন্দা গল্পের সাথে আমার পরিচয় ফেলু মিত্তিরের হাত ধরেই। তবে আমি লোক খ্রাপ বলে কীনা জানি না তবে আমার কিন্তু মগনলাল মেঘরাজকেও দারুণ লাগে

বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, স্কেচটা দারুণ

ফেলুদা সমগ্র খেয়ে ফেলেছি অনেক আগেই, কিন্তু কাগজগুলো পছন্দ হয়নি

ফেলুদার সব গুলোই পড়া। কিছুদিন আগে ফেলুদা সমগ্র ২টি খন্ড কিনে আবার শুরু করেছি।

সুপ্রিয় দেব শান্ত

হাতে সময় কম থাকলে এসব পোস্ট পড়া উচিত না... পরে আবার এখুনি ওসব বইটাইগুলোও পড়তে বসার ইচ্ছা হতে পারে, তাই পড়লাম না পোস্টটা

ফেলুদার বইগুলি যত ভালো, মুভিগুলি ততটাই খারাপ। এমনকি সত্যজিত নিজে যে দুটো বানিয়েছেন, সেগুলিও ভাল লাগেনি। বই পড়ে ফেলুদার যে চিরতরুন পুরুষালী চেহারাটা কল্পনায় ছিল, সৌমিত্র সে তুলনায় অনেকটাই মেয়েলি আর সব্যসাচী তো প্রায় ফেলুদার বাবার বয়সী। এই বুড়োকে এখনও কেন ফেলুদা চরিত্রে নেয়া হয়, আমার মাথায় ঢোকে না। কলকাতায় কি অভিনেতার এতই অভাব। হিন্দিতে শশীকাপুরও নাকি ফেলুদা করেছেন। দেখিনি অবশ্য, দেখতে চাইও না। শশী তো সৌমিত্রর চেয়েও মেয়েলি। সম্প্রতি ব্যোমকেশের চিত্ররুপ 'আদিম রিপু'দেখলাম। অঞ্জন দত্তের বানানো। সেরকম একটা ছবি, আর ব্যোমকেশ চরিত্র আবীরকে মনে হয়েছে ঠিক আমার কল্পনায় ব্যোমকেশের যে ছবিটা ছিল, তার হুবহু।

- রাইসুল জুহালা

আমরা প্রায় তিন জেনারেশন ফেলুদার ভক্ত। আমার নানু, বাবা, আমি এবং আমার ছোট ভাই। প্রথম দু'জন এখন অবশ্য আর নাই, কিন্তু যখন ছিলেন তখন আমাদের ৪ জনের মধ্যে ফেলুদা, ঘনাদা, ব্যোমকেশ, কীরিটি, শার্লক হোম্‌স, মাসুদ রানা আর কুয়াশা নিয়ে রীতিমত কাড়াকাড়ি চলতো!

কেউ কি প্রেমেন্দ্র মিত্রের পরাশর বর্মা সিরিজের বই পড়েছেন ? সমগ্রটা কিনতে চাইছি, কিন্তু ঠিক ভরসা পাচ্ছি না।

মনমাঝি

এই বার বইমেলায় রোদেলাকে কিনে দিলাম। ক্লাসের পড়া তৈরি করতে ও যখন ব্যস্ত সেই ফাঁকে নিজেই......... এমন পড়ার মজাই আলাদা। একই সাথে ফেলুদা পড়......আর পড় নিজের বালকবেলার স্মৃতিকে।

স্কেচ দেখে তো আমার চোখ ছানাবড়া । আমার কদাকার মুখটি যদি আঁকিয়ের কল্যাণে উতরে যায় তবে পোট্রেটের সিরিয়াল দেব নাকি ভাবছি।

ভালো থেকো বোন!

আমি ফেলুদা খুব বেশি পড়িনি, ফেলুদা সমগ্রের ১টা পড়েছি। তবে মনে নেই তেমন।
আমি অবশ্য মাসুদ রানার বেশি ভক্ত, পুরোনোগুলোর।
ঘনাদাও পড়া হয়নি, বোমক‌্যাশের কথা আর বললামই না। আপনার কথাই কোট করি:

ফেলু মিত্তিরের জন্য বহু রাত বিনিদ্র থেকেছিলাম।
পড়ার সময় বইয়ের নিচে লুকিয়ে ফেলু মিত্তিরের অভিযান পড়ার জন্য আম্মার পেদানীও কম খায়নি।

পোস্টে

ফেলুদা আমারো পছন্দের। তবে ছোটবেলা সত্যজিৎ রায় বলতে বুঝতাম প্রফেসর সঙ্কু এখনো আছে বইটা আমার কাছে। ফেলুদাও সমগ্র আছে আমার কাছে

এম এছ নিলয়

খাশা হয়েচে

আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক হলেন সত্যজিত রায়।'গল্প ১০১','শঙ্কু সমগ্র','ফেলুদা সমগ্র' কয়েকবার করে পড়া হয়ে গেছে। এখন ঝোঁক চলে গেছে মুভির দিকে।post ভাল লাগলো।

কোনটা রেখে কোনটার কথা বলা যায়, তবে মগনলাল মেঘরাজ এর কথাও খুব মনে আছে, কিংবা ছিন্নমসতার অভিশাপের দাদু যিনি সংকেত ব্যবহার করে কথা বলতেন ..... সত্যজিৎ একা যা দিয়ে গেছেন আমাদের!!

তিথীডোর, আপনাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো, তানিম এহসান

অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন, ধন্যবাদ। টিনটরেটোর যীশু আমারও খুব প্রিয়, শেষ কালে ভেনিস পর্যন্ত ধাওয়া করে তার আপন হাতে আঁকা যীশু দেখে শখ মিটেছিল। জটায়ুর তো ব্যাপারই আলাদা। ---- অণু

ফেলুচাঁদ ভালু পাই আমিও

লেখাটার জন্য (গুড়)

লেখাটা এক্কেবারে আনপুটডাউনেবল, একেবারে গপ্পের ভুঁড়িভোজ! গত ক'দিন ধরে শুধু "সন্ধ্যা-শশী-ভৃত্তের" গপ্পোই পড়ছি। দ্বিতীয় খণ্ড চলছে আবার, বারবার- এভাবে কতবার হবে জানিনা।

আপনার প্রিয় গপ্পের লিস্ট এত ছোট যেটা জটায়ুর ভাষায় "হাইলি সাস্পিশাস!" আমি এলুদার ভক্ত বটে, তবে জটায়ুর মহাভক্ত। এবুতে জটায়ুর প্রথম ইয়ান ক্লাব আমিই খুলেছিলাম, কিন্তু সময় দিতে পারিনি। নাহ আবার জাগাতেই হবে-

"সাহারায় শিহরণ!"