‘দাসেরে করিও ক্ষমা’

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: সোম, ২০/০৬/২০১১ - ১:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'শেষ রোদ এখন মাঠের পরে খেলা করে, নেভে।
ঝাউফল ঝরে ঘাসে...
সেইসব বাসনার দিনগুলো, ঘাস রোদ শিশিরের কণা..
নক্ষত্ররা চুরি করে নিয়ে গেছে, ফিরিয়ে দেবে না তাকে আর
।'
#জীবনানন্দ দাশ
______________________________________________

এই অর্থহীন দিনপঞ্জির শুরুটা হতে পারে মধ্যরাতে টেবিলের ওপর রাখা ছোট্ট ঘড়ির দিকে তাকিয়ে, যেখানে ছোট কাঁটাটা গিয়ে ঠেকেছে তিনের ঘরে। স্বাভাবিকভাবেই পরদিন সকালে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়ার ভয় থেকে তাড়াহুড়োয় থামিয়ে দেওয়া নেটালাপের শেষ সংলাপের ঘরে বসে 'শুভ রাত্রি'। কিংবা সকাল থেকেও শুরু করা যেতে পারে, যখন রাস্তায় জমে থাকা কাদার ছিটে বাঁচিয়ে ছুটছি মহার্ঘ স্কুটারের আশায়... সিগারেটের কদর্য গন্ধ এড়াতে বাঁ হাতে নাকে রুমাল চাপা দিতেই হচ্ছে বারবার।
তবে দিনপঞ্জির চৌম্বক অংশ এটা নয়। সেটা মধ্যাহ্ন ভোজনের বিরতিতে, সাততলার ক্যাফেটারিয়ায়। যেখান থেকে জানালায় চোখ পাতলেই হুইই দেখা যায় নীলচে সমুদ্দুর।
বিসমিল্লার পাগলা সানাইয়ের মতো চেটেপুটে নেওয়া এই একটি সময়েই আমার চিরবিষাদময় ভোঁতা মুখে শৈশবের খুশিয়ালি রঙ ফিরে আসে। কেউ শুনে ফেলার আগেই বিড়বিড় করে প্রার্থনা পর্ব সেরে নিই—
হে ঈশ্বর, পরের জন্মে যেন গাঙচিল হয়ে জন্মাই। অবশ্য সোনালি ডানার চিল হলেও চলবে...
জীবনবাবুর চিল।

শুধু এরকম ধোঁয়াধোঁয়া কথাই দিনলিপির তাবৎ পাতা জুড়ে নিলে নেহায়েত মন্দ হতো না বটে। তবে নিচে নামতে নামতেই স্যাণ্ড ব্লাস্ট অথবা ওয়াশিং সেকশনে পৌঁছুলে ওইসব ভাব উড়ে যায়.. লাইন বি অথবা ডিতে বসে বা দাঁড়িয়ে যেখানে বস্ত্রবালিকারা যন্ত্রের মতো কাজ করে চলেছে। সেখানে মহাদেব সাহার কবিতা নেই.. উঁকি দেওয়ার অনুমতি নেই লোপামুদ্রা মিত্রের। ওখানে সারি সারি খাতা আছে ঘন্টা প্রতি উৎপাদন লিখে জমিয়ে রাখবে বলে।
''লিপি দাশ, টার্গেট ছুঁতে পারোনি? বড় পাপ হে!
এইবার আসো সুনা, কারণ দর্শাও।''

এরকম করে কোন কোন দিনের দিনলিপিতে তাই চলেও আসতে পারে রুবি আক্তার অথবা কহিনূর বেগমের নাম। আজ হাফ ডে ছুটি নিয়ে গেছে দু-জনেই। ছোট বাচ্চাটার গায়ে নাকি বেশ জ্বর ছিলো… দেখাশুনার কেউ নেই ঘরে। এতোক্ষণে জ্বর আরো বেড়েছে হয় তো।
শুধু প্রস্থান নয়, থাকে আগমনের খবরও। যেমন দু-হপ্তার ছুটি কাটিয়ে ফেরা লঙ্কান ম্যানেজার জনাব বান্দ্রার বিলানো দশাসই সব ক্যাডবেরির প্যাকেট।

আমার ভাগখানা 'দ্যুতি'র জন্যে ব্যাগে পুরে নেই।
বোনটাকে না দিয়ে তক্কেট খেতে পারি না যে। হাসি

এই সমীকরণ অনুযায়ী লেখায় আসার দাবি রাখে দ্বিপ্রাহরিক একটি ফোনকল। জননী নিয়মিত শত ব্যস্ততার মাঝেও একহাতে লাঞ্চবক্স খুলতে খুলতে অন্য হাতে আমার খোঁজ নেন। স্নেহ নিম্নগামী.. সুতরাং অফুরন্ত অবসরের দিনেও এই দায়িত্বটি আমি সযতনে এড়াই।

আমি এড়িয়ে যাই রুমানা মঞ্জুরের ঘটনায় আরো অনেকের মতোই সর্ম্পক শব্দটির প্রতি বীতশ্রদ্ধ এবং ভীত হয়ে ওঠা সুকনিষ্ঠেসু কোন বন্ধুর প্রশ্নকে।
আমার চোখ সচেতনে এড়িয়ে যায় সাংসদ শামীম ওসমান এবং কবরীর মধ্যে হয়ে যাওয়া পঁচাগলা বাকবিতণ্ডার গরম নিউজটিও।

ডায়েরির পাতায় আমি টুকে রাখি 'ছুটির দিনে'র কোনে খুঁজে পাওয়া কোন পদ্যের টুকুনাংশ, মুগ্দ্ধ হয়ে সাম্প্রতিক পড়া নুতন কিংবা পুরোনো কোনো বই। 'পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণ', 'হাঁসুলীবাঁকের উপকথা' কিংবা টিনটিনের 'কালো সোনার দেশে'।

খুব জরুরি একটা হিসেব কিন্তু আমার গোপন খাতাতেও লেখা হয়না কখনোই-- আজ সারাদিন নিজের কাছে নিজে কতো, মোট কতোবার হেরে গেছি!

টুকটুক করে কখনো হয়তো আমি এঁকে বসি লালচে সিঁদুরে রাঙা সিঁথির কোনো তরুণীর প্রতিকৃতি।
সুমনই তো শিখিয়ে গেছেন— 'এঁকো না কখনো স্বদেশের মুখ.. তোবড়ানো গাল, ভেঙে যাওয়া বুক।'
ওসব আমরা ভুলেই থাকি, থাকতে হয়।
পালিয়ে বাঁচার জায়গা খুঁজে নিতে একসময় মনে হয় ঘুমিয়ে পড়াটাই একমাত্র পথ।

তখন খুব আস্তে, ফিসফিস করে, প্রায় নিজেরই কানে-কানে বলি---
একটা মানুষ জন্ম পাওয়া গেল, নেহাৎ অ-জটিল কাটলো না
!’


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

আমার ৩০ হতে এখনও বছর ১৫-২০ দেরি আছে, তারপর পড়ব... খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

বয়সসীমা আরো বাড়িয়ে দিলাম। শয়তানী হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

আবারো বাড়ালে তো এরপর লেখিকা ছাড়া আর কেউই পড়ার এলিজিবল থাকবেন না... শয়তানী হাসি

তিথীডোর এর ছবি

পরনে ঢাকাই শাড়ি,কপালে সিঁদুর
ক) এই ছবিটা জুড়তে চেয়েছিলাম পোস্ট এ, সচল মূলো দেখায়। ইয়ে, মানে...

খ) ঠাডা পড়বো আমনের মাথাত, ঠাডা! রেগে টং

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

ক্যান, কী সমস্যা? এই তো দিব্যি এমবেড হয়...

আর এইটা কি লেখিকার সেলফ পোট্রেট? সোন্দর হইসে, তবে লেখিকা বোধহয় আরো রোগাসোগা... দেঁতো হাসি

তিথীডোর এর ছবি

♫♪ 'যদি আমাকে রোগা বলো' অ্যাঁ ওঁয়া ওঁয়া রেগে টং

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ছবিটা দেখে আমার জয়নুল জয়নুল মনে হলো, তারপরে মনে পড়লো 'নাইয়র' ... ভালো হয়েছে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

'এঁকো না কখনো স্বদেশের মুখ... তোবড়ানো গাল, ভেঙে যাওয়া বুক।'
ওসব আমরা ভুলেই থাকি... থাকতে হয়...

কিছুদিনের মাঝেই ভুলে যাবার প্রবণতাটা দেখে এই অনুভূতিটা আমার প্রায়ই হয়...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তিথীডোর এর ছবি

সহজ ভঙ্গিতে ছবি আঁকার এই ধরনটায় মজা পাই আমি।

এতো খেয়াল করে আনাড়ির আঁকাআঁকিতে চোখ রাখায় অনেক ধন্যবাদ আপু! হাসি
রঙ পেন্সিল: নাও.. অঞ্জনের একটা গান জুড়ে দিলাম।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

গানের জন্যে ধন্যবাদ। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

এইযে খোকা এবং খুকু, বুড়োদের সামনে বয়সের কথা বলতে হয়না, ঠিক আছে?

তিথীডোর এর ছবি

হে হে.. কৌস্তুভ ভায়াও খোকা ক্ষুরে মাথা মুড়োলেন তবে। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অদ্রোহ এর ছবি

ট্যাগ দেখে ভড়কে গেলাম। তবে আলাপ বা প্রলাপ যাই বলুন, ভাল লেগেছে হাসি

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তুলিরেখা এর ছবি

আহা কবে এই লেখা পড়বো? হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তিথীডোর এর ছবি

দিদি, ওই ট্যাগটাই দেখলে কেবল? [ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করে ফোঁপানোর ইমো] ইয়ে, মানে...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সজল এর ছবি

গাঙচিল হয়ে লাভ নেই। জীবনানন্দের বদলে পক্ষীবিশারদ আর ডাটা অ্যানালাইজাররা পিঠে জিপিএস ডিভাইস বেঁধে দিয়ে গতিপথ বিশ্লেষণ করবে, কবিতা টবিতা কেউ লিখবে না।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অপছন্দনীয় এর ছবি

হো হো হো

কৌস্তুভ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

তিথীডোর এর ছবি

‘ব্যস্ত সমাজের থেকে কবিতার নির্বাসন হয়ে গেছে কবে!
সফল ও সুখী মানুষেরা আজকাল কবিতার ধারও ধারে না।
তারা সকলেই সবকিছু বোঝে, বোঝে জীবনবীমার গল্প; বোঝে হাসিখুশি, সুড়সুড়ি-মাখা, টিভি সিরিয়াল…
শুধু কবিতা বোঝে না!’

জীবনানন্দের সঙ্গে জিপিএস! মন খারাপ
কম্পুবিদেরা এমন বেরসিক হয় কেনু?

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনিকেত এর ছবি

'চাচামিয়া' ট্যাগ আর যাকে হোক, আমাকে ঠেকাতে পারবে না---কারণ মূলতঃ দুইটি। প্রথমতঃ আমি 'প্রায়' চাচামিয়া গোত্রের আর দ্বিতীয়তঃ তিথী কিছু লিখবে আর আমি পড়ব না---এ হতেই পারে না।

লেখা জব্বর হয়েছে তিথী
তোর জন্যে অনন্ত নক্ষত্রবিথী---

শুভেচ্ছা নিরন্তর

তিথীডোর এর ছবি

আবুল হাসানের ‘দাসেরে করিও ক্ষমা’ কবিতাটা মাথা থেকে তাড়াতে পারছিলাম না, তাইই এই 'চাচামিয়া' পোস্ট। দেঁতো হাসি

তিথী কিছু লিখবে আর আমি পড়ব না---এ হতেই পারে না।

(খুশিতে ডগোমগো ইমো)
কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। লইজ্জা লাগে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অপছন্দনীয় এর ছবি

এই তো সেদিন জন্মেছে এরকম খুকিরা যদি বুড়োদের লেখা লিখতে শুরু করে তো আমরা কই যাবো?

তিথীডোর এর ছবি

আমি মোটেও খুকি নই! [রেগেমেগে আচারের বোতল ছোঁড়ার ইমো]

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অপছন্দনীয় এর ছবি

অভিজ্ঞতায় বলে খুকিদেরকে খুকি বলিলে খুকিরা বেদম চটিয়া থাকে... দেঁতো হাসি

আচারের বোতলের ভেতরেও সাধারণত খানিকটা তেল থাকে, তাহলে ওটাকে 'অতিসরলার্থে' তেলের শিশি বলা যেতেই পারে...

তিথীডোর এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ গানটার জন্যে!
শতায়ু হন। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তিথীডোর এর ছবি

লাফাং তাই ঘ্যাচাং

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মর্ম এর ছবি

শুনলে বেশ জ্বলুনী ওঠে শরীরে, তারপরও আপিশি পরিচয়ের সূত্রে অনেকেরই 'আংকেল' ডাকে সন্তুষ্ট হতে হচ্ছে। বাবা/মা'র বয়স যা-ই হোক, 'কলিগ' হিসেবে 'ভাই/ভাবী' তো বটে- কাজেই 'না' করারও জো নাই! ওঁয়া ওঁয়া

কাজেই 'চাচামিয়া' ট্যাগ থাকলেও এ লেখা পড়তে আমার বাঁধা নাই কোন। খাইছে

আবার অনিকেতদার বলা দ্বিতীয় কারণটাও বিলক্ষণ সত্যি, মন্তব্য করি আর না করি- লেখা পড়বো না তা কেমন করে হয়!?

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

তিথীডোর এর ছবি

আমাকে অফিসে কেউ পাত্তাই দেয় না.. 'পিচ্চি ম্যাডাম' ডাকে। মন খারাপ

মন্তব্য করি আর না করি- লেখা পড়বো না তা কেমন করে হয়!

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- লইজ্জা লাগে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আশালতা এর ছবি

এই একফোঁটা বয়েসি মেয়ের লেখায় নিজের কাছে নিজের হেরে যাবার মত তীব্র কষ্টের কথায় মন ভার হল।
প্রজাপতি দিনেরা আসুক, তোমার জীবনে ভাসুক। [ এইরে, কোবতে মত হয়ে গেল যে, দূর ছাই। আর হ্যাঁ, আমি তো চাচামিয়া নই, আমি তবে তিথীর লেখা পড়তে পাবনা ? কেনু? কেনু? কেনু?]

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তিথীডোর এর ছবি

পড়ার জন্য অনেক অ-নেক ধন্যবাদ আপু। লইজ্জা লাগে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

guest_writer এর ছবি

পালিয়ে বাঁচার জায়গা খুজে নিতে একসময় মনে হয় ঘুমিয়ে পড়াটাই একমাত্র পথ|
শেষ পর্যন্ত ক্ষমা পাবে কিনা জানি না। তবুও জীবনটা মনে হয় চলতে থাকবে।

বয়সের বাধা না মেনেই পড়ে ফেললাম। হাসি চলুক

অর্ক

তিথীডোর এর ছবি

বয়সের বাধা না মেনেই পড়ে ফেললাম।

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- অর্ক।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাসনীম এর ছবি

অফিস থেকে সমুদ্র দেখা যায় - দারুণ তো। তবে কাজকর্ম ইন জেনারেল দুঃখজনক একটা ব্যাপার। সুযোগ পেলেই সাততলায় দৌড় দেবে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

ওই সমুদ্র দেখার অংশটুকু ছাড়া আর সব তিতকুটে।
জেবন বেদনাময়! মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দময়ন্তী এর ছবি

এই তো আর মুঠোখানেক বছর পরেই এই লেখাটা পড়ে ফেলতে পারব৷ দেঁতো হাসি

তবে আড়চোখে এট্টু এট্টু দেখে নিয়েছি বটেক৷ হাসি
চলুক

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তিথীডোর এর ছবি

এই 'গঠনা' থেকে প্রমাণিত হয় লুকজন 'ট্যাগে' বড় বেশি মনোযোগ দেয়। খুব খ্রাপ! চোখ টিপি

থেঙ্কু দিদি। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আয়নামতি1 এর ছবি

আমি বিন্দাস পড়ে গেলাম হাসি জন্মাবধিই আমি বুড়ি কিনা লইজ্জা লাগে আর অন্যদের বেলায় অবশ্যই অনিকেত ভাইয়ার কথা প্রযোজ্য। এই মেয়ের লেখা আমি পারতপক্ষে মিস করতে চাইনা। কিন্তু মেয়েটা চাকরী পেলো, যখন তখন ক্যাটবেরি বগলদাবা করছে, বলি আমাদের জন্য কিছু ব্যবস্হা হবে নাকি? কবে আসতে হবে দিনক্ষণ জানিয়ে দেয়া হয় যেন বাপু চাল্লু লেখায় উত্তম জাঝা!

তিথীডোর এর ছবি

অতিদ্রত পুনরায় বেকার জেবনে ফিরিয়া যাবার মতলবে আছি। ইয়ে, মানে...
তবে 'বুড়োবুড়ি' গোছের কেউ ক্যাডবেরি খাওয়াতে চাইলে দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়াই যায়। দেঁতো হাসি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপু। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আয়নামতি1 এর ছবি

তিথীকে মুঠোভরে চককেট দিতে পারলে এই বুড়িটা খুশিই হবে কিন্তু হাসি নিবাস যখন চট্টলাতে তখন দেখা হলেও হতে পারে দেঁতো হাসি সেদিনের জন্য না হয় তোলা থাক ক্যাডবেরিসহ অন্য চককেটগুলো, নাকি? এখন একটু দরকারী কথা সারি, আমি বিলক্ষণ জানি তিথী খুব কবিতা পাগল একটা মেয়ে। আমার একটা উপকার করা যাবে? 'বালক ভুল করে পড়েছে ভুল বই' রফিক আজাদের এই কবিতাটি পুরোটা খুঁজে দেয়া সম্ভব হবে কবিতা বালিকার? সম্ভব হলে দারুণ হয়। না পেলে বিব্রত হবার কিচ্ছুটি নেই। শুভকামনা।

তিথীডোর এর ছবি

পুরোটা দিতে পারলাম না,এখানে হাফ চকলেট আছে। খাইছে

"বালক ভুল করে পড়েছে ভুল বই
পড়েনি ব্যাকরণ, পড়েনি মূল বই।
বালক জানে না তো সময় প্রতিকূল
সাঁতার না শিখেই সে সাগরে ঝাঁপ দেয়
জলের চোরস্রোত গোপনে বয়ে যায়
বালক ভুল করে নেমেছে ভুল জলে..
বালক জানে না তো কতটা পথ গেলে,
ফেরার পথ আর থাকে না কোনো কালে...
বালক ভুল করে নেমেছে ভুল জলে,
বালক ভুল করে পড়েছে ভুল বই,
পড়েনি ব্যাকরণ, পড়েনি মূল বই.."

রফিক আজাদের এই কবিতার বাকিটা আমারো যে জানা নেই। মন খারাপ
খুঁজে পেলে অবশ্যই লিঙ্ক দিয়ে যাবো। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আয়নামতি1 এর ছবি

'বালক জানে না তো জীবন থেকে তার
কতটা অপচয় শিল্পে প্রয়োজন?
পাথর বেশ ভারী বহনে অপরাগ
................................................' আমিও আর পাচ্ছিনা মন খারাপ অসংখ্য ধন্যবাদ কবিতা বালিকা!
হাফ চকোলেট দারুণ উপভোগ্য হাসি এইটা তিথীর জন্য হাসি

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তিথীডোর এর ছবি

পেয়েছি! হাততালি
''বালক জানে না তো পুষবে অনুরাগ
হৃদয়ে কতোদিন, কার বা চলা-পথে
ছড়াবে মুঠো-মুঠো বকুল ফুলগুলো;
কোথায় যেতে হবে, যাবে না কোন দিকে,
ব্যাপক হাঁটাহাঁটি করবে কোন পথে!

বালক জানলো না—মানুষ ম্লানমুখে
কেন যে তারা গোনে; পায়ের নীচে কার
কেন যে ফুল ঝরে, কতোটা ফুল ঝরে!
মানুষ ভুল পথে গিয়েছে কতো দূর,
বেপথু কাকে বলে বালক জানে না তা!

বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই—থাকে না, নিরুপায়—
যে আসে সে-ই জানে—ভুলের দামে কিনে
আনে সে প্রিয় ম্যাপ—পথিক ম্রিয়মাণ,
উল্টোরথে চ'ড়ে চলেছে মূল পথ!

বালক জানে না তো অর্থনীতি আর
মৌল রাজনীতি—উল্টো ক'রে ধরে
সঠিক পতাকাটি—পতাকা দশদিশে
যেনবা কম্পাস স্বদেশ ঠিক রাখে।
বালক জানে না সে বানানে ভুল ক'রে
উল্টাসিধা বোঝে : সঠিক পথজুড়ে
পথের সবখানে কাঁটার ব্যাপকতা!

বালক ভুল ক'রে পড়েছে ভুল বই,
পড়েনি ব্যাকরণ, পড়েনি মূল বই!

বালক জানে না তো সময় প্রতিকূল,
সাঁতার না শিখে সে সাগরে ঝাঁপ দ্যায়,
জলের চোরাস্রোত গোপনে ব'য়ে যায়,
বালক ভুল ক'রে নেমেছে ভুল জলে!

বালক জানে না তো জীবন থেকে তার
কতোটা অপচয় শিল্পে প্রয়োজন।
পাথর বেশ ভারী, বহনে অপারগ
বালোক বোঝে না তা—বালক সিসিফাস
পাহাড়ে উঠে যাবে, পাথর নেমে যাবে
পাথুরে পাদদেশে!—বিমূঢ়, বিস্মিত
বালক হতাশায় অর্তনাদ ক'রে
গড়িয়ে প'ড়ে যাবে অন্ধকার খাদে।

বালক জানে না তো সময় প্রতিকূল,
ফুলের নামে কতো কাঁটারা জেগে থাকে
পুরোটা পথজুড়ে, দীর্ঘ পথজুড়ে—
বালক জানে না তা, বালক জানে না তো!

বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।''

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রেশনুভা এর ছবি

মনটা খারাপ। বুঝতে পারলাম বয়স হয়ে গেছে।
লেখা পুরোটা পড়ে ভাবলাম যাক মাথার উপর দিয়া যায় নাই - আর তখনই দেখি লেখা না কী 'চাচামিয়া'দের জন্য। এখন আমার কী হপে? হারানো বছরগুলা ক্যামনে ফেরত পাইতাম?

তিথীডোর এর ছবি

বেরিয়ে যাচ্ছিলাম, আপনার পদধূলি পড়েছে দেখে ফের লগালাম।
মন খারাপ করে কী লাভ ভাইডি.. গানটা শুনুন বরং। হাসি

♫♪'যদি বলো হ্যাঁ, বিসিএসে বসে যাব আমি...'

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বোন,
এক আকাশ আনন্দের লোভ দেখিয়ে কেন তোমার ব্লকের ভেতরে টেনে নিয়ে বুকপকেটে একরাশ হাহাকার গুঁজে দাও। তার যে বরং আমরা জীবনবাবুকে সরিয়ে রেখে পচাগলা বাকবিতণ্ডায় ডুবে বিশুদ্ধ আনন্দ পানে ন্যুব্জপিঠ হই।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তিথীডোর এর ছবি

'সেইসব বাসনার দিনগুলো; ঘাস রোদ শিশিরের কণা...
তারাও জাগিয়ে গেছে আমাদের শরীরের ভেতর কামনা।
সেই দিন;
মা-মরা শিশুর মতো আকাঙ্খার মুখখানা কি যে..
ক্লান্তি আনে, ব্যথা আনে, তবুও বিরল কিছু নিয়ে আসে নিজে।
#জীবনানন্দ দাশ।।

ধন্যবাদ ভাইয়া। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ওরে জটিল ... বেশ লাগলো। এরকম লেখা পড়লে বুক চিড়ে শুধু দ্বীর্ঘশ্বাস ঝরে - কেম্নে লেখে এই সব?

সবাই দেখি ট্যাগ দেখে লেখা পড়তে আসে, আমি আজও এমন হতে পারলামনা কেনু? ট্যাগের গুল্লি মারি ... লেখাটা কিন্তুক সেরাম হয়েছে। প্রিয়তে বান্ধায়া রাখলাম।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

তিথীডোর এর ছবি

ট্যাগের গুল্লি মারি

হো হো হো

গুণী ফটুরেকে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বিষণ্ন বাউন্ডুলে এর ছবি

ট্যাগ দেখার আগেই পড়া হয়ে গেছে
তাই
না পড়া আর হল না।

ছোট থেকেই
মাঝে মাঝে
মনে মনে
নিজেকে বেশ বুড়োটে লাগে,
পুরানো দিনের গানের সাথে তথাকথিত ব্যাকডেটেড মনোভাব নিয়েই দিন কেটে যায়।ভাবি,ভালই তো আছি।

নিজের কাছে হেরে যাওয়া অংশটা অনেক ভাল লাগলো।

ভাল থাইক,আপুনি..আপুনি..

তিথীডোর এর ছবি

'আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে, পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করবার অবসর আছে।
জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা অন্য সবাই এসে বহন করুক : আমি প্রয়োজন বোধ করি না….
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে।'
#জীবনানন্দ দাশ।।

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- বাউণ্ডুলে। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তিথীডোর এর ছবি

ঠ্যাঙ্কু! দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তানিম এহসান এর ছবি

আপনার লেখাটি পরে চনমনে একটা ভাব হলো কিন্তু কেন যেন আবার মনে হলো, কিছুটা বিষাদও জড়িত লেখাটিতে। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। তবে সচলায়তনে একদমই নতুন হিসেবে বলতে পারি, আপনার লেখাগুলো আমার ভালো লেগেছে। কাব্যপ্রেম মানুষের থাকে তবে সেই প্রেম মন ছাড়িয়ে আরো দূর সাগরের নোনাজল মিশিয়ে লিখতে পারার ক্ষমতা সবার থাকেন। আপনি কি জানেন, গদ্য পদ্য মিলিয়ে, আপনার লেখা ভীষন বাঙময় , নানানরকম রঙ তৈরী হয়!! আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো!! তানিম এহসান

তানিম এহসান এর ছবি

আপনার লেখাটি পরে চনমনে একটা ভাব হলো কিন্তু কেন যেন আবার মনে হলো, কিছুটা বিষাদও জড়িত লেখাটিতে। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। তবে সচলায়তনে একদমই নতুন হিসেবে বলতে পারি, আপনার লেখাগুলো আমার ভালো লেগেছে। কাব্যপ্রেম মানুষের থাকে তবে সেই প্রেম মন ছাড়িয়ে আরো দূর সাগরের নোনাজল মিশিয়ে লিখতে পারার ক্ষমতা সবার থাকেনা। আপনি কি জানেন, গদ্য পদ্য মিলিয়ে, আপনার লেখা ভীষন বাঙময় , নানানরকম রঙ তৈরী হয়!! আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো!! তানিম এহসান

তিথীডোর এর ছবি

সচলে স্বাগতম। হাততালি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এক লহমা এর ছবি

বাঃ! ট্যাগ অনুসারে এই সুন্দর লেখাটি আমার পড়তে কোনই অসুবিধা নেই। দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে... ট্যাগেরে করিও ক্ষমা...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।