যেভাবে আমি নাক হারালাম

সাবিহ ওমর এর ছবি
লিখেছেন সাবিহ ওমর [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৯/০২/২০১০ - ৫:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি আমার নাকটা সোজা রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু বদমাশটা তো তা করতে দেবেনা।সে একবার এদিক দিয়ে গুঁতোয়, একবার ওদিক দিয়ে গুঁতোয়, না জানি আর কোন কোন দিক দিয়ে গুঁতোবে। কিন্তু এটাই তো খেলাটার আসল উদ্দেশ্য। এমনভাবে তোমার প্রতিপক্ষকে জ্বালাতন করতে হবে যে তার নাক কোনদিকে যাচ্ছে তার কোন দিশাই সে পাবেনা। নাক হারালে তো সব হারালে।

আমার ধারণা এই লোক আজকে নাকের তোয়াক্কা না করেই চলেছে। একবার তো নিজের নাক দিয়ে আমার ভুঁড়িই ফাঁসিয়ে দিচ্ছিল আরেকটু হলে। আমি কিন্তু তখন তার চেহারা দেখে নিয়েছি। এক মুহূর্তের জন্য আমরা একজন আরেকজনের দিকে সোজাসুজি চেয়ে ছিলাম। ব্যাটার মুখটা লম্বাটে, নিকোলাস কেজের মত অনেকটা। চোখটা নীল মনে হল। নাকটা বোধহয় খাড়াই ছিল, এদের যেমনটা থাকে। তবে আমার নজর কেড়ে নিয়েছিল ওর পদকগুলো। আহ আমার যদি অমন থাকতো। আমাদের স্কোয়াড্রন লিডারও এরকম কতগুলো ব্যাজ পড়ে, তবে অতগুলো নয়, অত বড়-ও নয়।

শয়তানটা হাসছিল। আর আমি যেন তার মুখের দূর্গন্ধ পাচ্ছিলাম। হতে পারে আমার কল্পনা, তবে সত্যি হলেও অবাক হব না। এই এক নাক পেয়েছি আমি। গাছে আম পাকলে আমি সবার আগে টের পাই, কেউ শুটকি রাঁধলে এক মাইল দূরে বসে নাকে হাত দিই, বৃষ্টি শুরু হওয়ার তিন দিন আগে থেকে মেঘের গন্ধ পাই। আমার মা এটা জানতেন, আর আমার এই ক্ষমতাটা নিজের প্রয়োজনে ব্যবহারও করতেন।

আমাদের পাশের বাসার আন্টি ছিলেন মা’র ছোটবেলার বন্ধু। ওরা একসাথে বড় হয়েছিলেন, এক স্কুলে পড়েছেন, এমনকি বিয়েও করেছেন একই দিনে। আমার মা’র কাছে আন্টির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কেউ ছিল না, এমনকি আমরা, তার পেট কেটে বের করে আনা ছেলেমেয়েরাও না। প্রতিদিন সকালবেলা চুলোয় তরকারি চাপিয়ে মা আমাকে বগলদাবা করে ছুটে যেতেন পাশের বাসায়। তাদের আড্ডা ততক্ষণই চলতো, যতক্ষণ না কারও হাঁড়ি থেকে পোড়া গন্ধ বেরুচ্ছে। আর আমার মত স্মোক ডিটেক্টর আর কোথায় আছে?

এখানেও আমি একই কাজই করছিলাম। ধোঁয়ার গন্ধ শুকছিলাম। কিন্তু আমি খেয়াল করলাম এটা ঠিক রান্নাঘরের ধোঁয়ার মত নয়। এই ধোঁয়াটা আরো ভারী, আরো কালো, আর বাজে গন্ধের। আমার মাথা ঝিমঝিম করছিলো। কিন্তু সেটা মূল সমস্যা ছিল না। মূল সমস্যাটা ছিল বেয়ারা নাকটায়। এটা সোজা তো ছিলই না, বরং পেন্ডুলামের মত এদিক ওদিক করছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না, এত ধোঁয়া কোত্থেকে আসছে। পিটপিট করে এদিক ওদিক তাকিয়ে বুঝতে পারলাম, পেছনদিকে কয়েকটা আট আনা সাইজের ফুটো হয়ে গেছে আর ওগুলো দিয়ে গলগল কর ঢুকছে সূর্যের আলো। আমি মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছিলাম যদিও বুঝতে পারছিলাম বদমাশটা আমার ঠিক পেছনেই আছে। একটা অলস ভালুকের মত হেলেদুলে সে আমার দিকে ধেয়ে আসছিলো। সে জানে যে আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি, আর আমি খুব তাড়াতাড়ি সেটা ফিরে পেতেও যাচ্ছি না। তাড়াহুড়োর কিচ্ছু নেই। একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে আমি টের পেলাম যে আমার আশেপাশে আরও অনেকগুলো আট আনা সাইজের ফুটো হয়ে গেছে।

তারপর সব অন্ধকার হয়ে গেল। আসলে আমি চোখ বুঁজে ফেলেছিলাম। আমি আশা করছিলাম সবকিছু আপনাআপনি ঠিক হয়ে যাবে। সব ধোঁয়া উধাও হয়ে যাবে। সব ফুটো সেরে যাবে। আমি নাক ঘুড়িয়ে ঘরে ফিরে যাবো। কিন্তু সেদিন সবকিছুই অন্যরকম হচ্ছিলো। আমি ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে আকাশের নীল দেখতে পাচ্ছিলাম। আমি তাহলে উপরের দিকে যাচ্ছি? আমার চারপাশে অনেকগুলো নির্দেশক কাঁটা-- ঘুরছে, কাঁপছে, লাফাচ্ছে, গোঙ্গাচ্ছে মৃগী রোগিদের মত। ওরা কিছু একটা বলতে চায়। আমাকে টানা সাত বছর ধরে শেখানো হয়েছে কীভাবে এই কাঁটাগুলো পড়তে হয়।কিন্তু আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না।

আমি মাথা ঠাণ্ডা করে পুরো ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করলাম। আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। তার মানে আমি নিশ্চিতভাবেই নিচের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু আমি আকাশ দেখতে পাচ্ছি। গভীর নীল, মেঘহীন আকাশ। আর ওগুলো কি…ঢেউ? আকাশে কি ঢেউ থাকে?

আমি এরকম একটা ব্যাপার দেখেছিলাম একটা বোকা বোকা প্রেমের ছবিতে। নায়কের ঠিক এমনটাই হয়েছিলো। কিন্তু সে নায়ক কিনা, তাকে পরে দলের লোকজন উদ্ধার করেছিল। কিন্তু বাড়ি ফিরে সে দেখে তার বাগদত্তা আরেকজনের বাহুলগ্না। না, আমার বেলা এমনটা হবে না। না। ও নিশ্চয় আমার সাথে এরকম করবে না। হাজার হোক, ওর মা আমার মায়ের বেস্ট ফ্রেন্ড। তার চেয়ে বড় কথা ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড, আমার পরী। ওই নিচে কোথাও আমি পুরো একটা রুম টুইটি বার্ড দিয়ে ভরে রেখেছি, কারণ ও টুইটি বার্ড পছন্দ করে। আমি ওকে অনেক ভালবাসি। সবাই জানে। মানে সবারই তা জানা উচিত। আর কতক্ষণ? আমি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু না, এটা তাড়াতাড়িই হলো। আমি একটা বিকট শব্দ শুনতে পেলাম। তারপরে আমি আর সেখানে ছিলাম না।

আমি অন্য কোথাও ছিলাম। সবকিছু সাদা আর ভীষণ উজ্জ্বল। আমার চোখ কড়কড় করছিলো। এরকম অবস্থাতে মনে আসা স্বাভাবিক, “আমি কি মারা গেছি?” বা নিদেনপক্ষে “আমি কোথায়?” কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, শুরুতেই আমার মনে হল, “আমি কোন গন্ধ পাচ্ছিনা কেন?” না, সত্যি, অবস্থাটা সেরকমই ছিল। আমি কোন গন্ধই পাচ্ছিলাম না। এমন কি আমি নিঃশ্বাস নিচ্ছি নাকি তাও টের পাচ্ছিলাম না। আমি সব দেখতে পাচ্ছি, সব শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু কোন গন্ধ পাচ্ছি না। আমি প্রথমবার বুঝতে পারলাম আমি আমার নাকের উপর কতটা নির্ভরশীল ছিলাম। নাক না থাকাটা মিউট করা টিভিতে খেলা দেখার চেয়েও খারাপ, এটা অনেকটা ভাঙ্গা স্ক্রিনের টিভির শব্দ শুনে শুনে সব ঠাহর করে নেওয়ার মত একটা ব্যাপার।

ডাক্তাররা খুবই সদয় আর ধৈর্যশীল ছিলেন। তারা আমাকে জানালেন যে আমি গত সাড়ে চার মাস কোমায় ছিলাম। এই সাড়ে চার মাসে আমাদের সৈন্যরা তিনটা বড় বড় শহর থেকেই শত্রুসেনাদের হটিয়ে দিয়েছে। আমাদের ছোট শহরটা প্রায় পুরো সময় জুড়েই শত্রুদের দখলে ছিল। তবে গত শুক্রবারের অভিযানে ১৭ জন কমরেডের প্রাণের বিনিময়ে সেটা মুক্ত হয়েছে। একজন তরুণ ডাক্তার জানালেন শহরটা নাকি একেবারে জনশূণ্য হয়ে গেছে। তিনি অবশ্য আশ্বস্ত করলেন যে আমাদের পাড়ার সবাই আগেই নিরাপদ স্থানে সরে গেছে।তার কথা বিশ্বাস করা ছাড়া আমার আর উপায় ছিল না।

মা’কে খুঁজে পাই আরো দু’মাস পরে, আমার দূরসম্পর্কের এক ফুপুর বাসায়। মা আমাকে আঁকড়ে ধরে অনেকক্ষণ চীৎকার করে কাঁদলেন। তারা শুনেছেন আমি মারা গেছি। বিমান বাহিনীর সাদা খামের চিঠিটাতে তা-ই লেখা ছিল। আমার ছোট ভাইটা হড়বড় করে অনেক কিছুই বলছিল। আমি শুধু বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাদের বাসাটা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে, বাবার কাপড়ের গুদাম লুট হয়ে গেছে, যতীন স্যার গুলি খেয়ে মারা গেছেন আর ওর বিয়ে হয়ে গেছে, এমন কারো সাথে, যুদ্ধে যার নাক খোয়া যাবার কোন সম্ভাবনা ছিল না।

আমি অনেক বড় একটা পদক পেয়েছি। নিকোলাস কেজের গুলোর চেয়েও বড়। আর অনেক সুন্দর। সবাই আমার বীরত্বের কথা বলছিল, আমার ত্যাগের কথা বলছিল।

আমি শুধু বলেছি, “আমার নাকটাই খোয়া গেছে মাত্র।“

========================================

এই গল্পটা আমি লিখেছিলাম আমার ব্লগে, ইংরেজিতে Losing my nose নামে। বারবার কবিতা পোস্ট করলে যাতে পাব্লিক ইয়ে না ভাবে, সেজন্য এটার বঙ্গানুবাদ করে চালিয়ে দিলাম।

ইংরেজিটাকে মূল গল্প বলা বোধহয় ঠিক না। কারণ গল্পটল্প যখন মাথায় আসে, তখন তো বাংলাতেই আসে। যাই হোক (অপ)ইংরেজি ভার্সনটা আছে এখানে


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

গল্পটা এক কথায় চমৎকার। শুরুটা পড়ে মনে পড়ে গিয়েছিলো কাজীদার অনুবাদে একটা ছোটগল্প [নাম মনে হয় "ঝামেলা", পঞ্চ রোমাঞ্চে ছিলো], সুপারম্যান টাইপের মানুষদের ছোটো একটা পরিবারের কাহিনী। তারপর পড়তে পড়তে মনের জিভে ক্যাচ টোয়েন্টি টুর স্বাদ পাচ্ছিলাম। শেষটায় এসে এটা সাবিহর একেবারে নিজের গল্পের স্বাদ নিয়ে হাজির হলো।

চলুক।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সাবিহ ওমর এর ছবি

হিমু ভাই, আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি যদি বলি যে আমি সচলে লিখি, কারণ আপনি এখানে পড়েন, তাহলে সেটা অত্যুক্তি হবে না। আমার ধারমা আপনি আমার লেখার সবগুলা ইয়ে জায়গামতো ধরতে পারেন দেঁতো হাসি

এই গানটাকে গল্পের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ধরা যায়। রেডিওহেডের আর পাঁচটা গানের মতই এটার লিরিক দুর্বোধ্য, কিছুটা ফুটোস্কপিক, কিন্তু সুন্দর। ইচ্ছা করেই অফিসিয়াল ভিডিও দিলাম না, কারণ ওটা গল্পের সাথে যায় না খাইছে

নাশতারান এর ছবি

গল্পটা দারুণ।
একটা অনুবাদ অনুবাদ গন্ধ কিন্তু আছে। আমার নাক সেটাই বলে।
আপনার নিজের লেখা গল্পের বঙ্গানুবাদ জেনে চমৎকৃত হলাম।
ইংরিজি ভার্সনটা বেশি ঝরঝরে ঠেকল।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাবিহ ওমর এর ছবি

ওয়াও, আপনি দু'টা ভার্সনই কষ্ট করে পরেছেন জেনে আনন্দিত হলাম। অনুবাদ অনুবাদ গন্ধ আসলেই আছে, আপনার নাকের জয় হোক দেঁতো হাসি

তবে গল্পে কমেন্ট-খরা দেখে আমি কিঞ্চিত ভাবিত। আমার হিজিবিজি কবিতাও তো এর ছেয়ে বেশি কমেন্ট-ক্ষরা...(শ্রাগ)

ওডিন এর ছবি

দারুণ!

নাক না থাকাটা মিউট করা টিভিতে খেলা দেখার চেয়েও খারাপ, এটা অনেকটা ভাঙ্গা স্ক্রিনের টিভির শব্দ শুনে শুনে সব ঠাহর করে নেওয়ার মত একটা ব্যাপার।
হো হো হো

ইংরিজি ভার্সনটাও দারুণ লাগলো। হয়তো একটু বেশিই। হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সাবিহ ওমর এর ছবি

ইংরেজিটা আবার পড়ে মনে হল কিছু ভাইটাল জিনিস মিস গেছে। কিন্তু আমার ইংরেজি নিয়ে আমি কিন্তু বড়ই শরমিন্দা। ইংরেজিটা পড়ে একজন খাঁটি ইংরেজ (একেবারে সেরাম সায়েব কিন্তু) আমাকে বলেছিল, গল্প ভালই, কিন্তু আমার ইংরেজি নাকি bizarre...তখন বুঝলাম মধুসূদনের কেমন লেগেছিল হাহাহা। উনি বেঁচে থাকলে শিওর সচলেই প্রথম লেখা হত, "সতত হে নদ তুমি..."

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

অনুবাদের যেই ধারাটা পড়তে আমি অভ্যস্ত, ঠিক সেই স্বাদটা পেলাম। ভালো লেগেছে খুব...

আরো আসুক।

_________________________________________

সেরিওজা

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভালো গল্প, তবে ইংরেজিটা বেশি ভালো লাগলো। "অনুবাদ" হিসেবে না দেখে এটাকে "গল্পটা আবার বলা" হিসেবে দেখলে পারতা। অন্য লেখকের গল্প অনুবাদের বেলায় কাঠামো পুরোপুরি ঠিক রাখার দায়বদ্ধতা থাকে। নিজের গল্পের বেলায় স্বাধীনতা বেশি।

এত ভালো ইংরেজি নিয়ে শরমিন্দা থাকার কারণ নেই। আমি উপদেশ দেবো, বাংলা গল্প ইংরেজিতে অনুবাদে হাত দিতে পারো। সেটাও অনেকেই করতে পারে। আমি বলবো ইংরেজিতেই আরও অনেক অনেক লেখা লিখতে পারো। আমাদের সংস্কৃতির চরিত্রটা সবার কাছে উঠে আসবে তাহলে। মার্কেজ মারফত যেমন দক্ষিণ আমেরিকা সম্পর্কে জানি।

সাবিহ ওমর এর ছবি

ফরমায়েসী কমেন্ট এত বলৎ, মানে চমৎকার হতে পারে সেটা আপনার কমেন্ট না পড়লে জানতামই না হে হে। ইংরেজি গল্প লেখায় সেরাম ভাব আছে, কথা সত্য। কিন্তু বড়ই পরিশ্রমের কাজ মন খারাপ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ফরমায়েসী কমেন্ট এত বলৎ, মানে চমৎকার হতে পারে

খেক্কখেক্ক...

_________________________________________

সেরিওজা

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ইয়ে, আমার কাছে-ও ইংরেজিটা বেশ লাগল; বাঙলাটাতে ভাষার স্রোত কম। যাইহোক, উপভোগ করেছি সেটাই মুখ্য কথা।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

রাফি এর ছবি

সবমিলিয়ে গল্পটার বলার ধরনটা নতুন ঠেকেছে আমার কাছে। তবে তোমার ইংরেজি গল্পটা অনেক বেশি সাবলীল। ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদে আরেকটু ছাড় দিলেই পারতে।

লেখা চলুক

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

রাহিন হায়দার এর ছবি

এহ হে মিস করে গিয়েছিলাম। এক কথায় চমৎকার। দেখি ইংরেজিটাও পড়ি গিয়ে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।