তিন গোয়েন্দাঃ কে কোথায়?

সাবিহ ওমর এর ছবি
লিখেছেন সাবিহ ওমর [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৬/১০/২০১৫ - ৬:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের শৈশব ও কৈশোরের নায়ক তিন গোয়েন্দা। হাল্লো কিশোর বন্ধুরা, আমি রকি বীচ থেকে বলছি! আজ তারা কোথায়? কী করছেন? কেমন আছেন? আমরা খোঁজ নিয়েছি সম্প্রতি। লিখছেন অমুক রাশেদ-- লস এঞ্জেলেস থেকে।

ইলেক্ট্রনিক্সের জাদুকর গোয়েন্দাপ্রধাণ কিশোর পাশা ভালোই আছে। ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে থেকে পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি শেষ করে ওখানেই জ্যোতিপদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হয়ে বসেছে। তবে মার্কিন দেশে তার মূল পরিচয় জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক/টিভি উপস্থাপক হিসেবে। বিক্রয়তালিকার শীর্ষে থাকা কিশোরের 'দ্য মিসিং প্ল্যানেট এন্ড আদার মিস্ট্রিজ' কিংবা 'দ্য আর্ট অফ ডিডাকশন' এসব বইয়ের নাম তো আমরা জানিই। এছাড়া ন্যাশোনাল জিওগ্রাফিকের 'দ্য কসমিক স্লুথ' দেখেনি এমন বিজ্ঞানপ্রেমী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিশোর বিয়ে থা করেনি, তার ওকল্যান্ড শহরের বাড়িতে একাই থাকে ল্যাব্রাডর 'স্নিচ'কে নিয়ে।

রবিন মিলফোর্ড তিন গোয়েন্দার অপর সদস্য, যার মুখ টিভি পর্দায় নিয়মিত দেখা যায়। কিশোরের মত জনপ্রিয় না হলেও বেশ কিছু মিউজিক/রিয়েলিটি শো উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে ওর। এই মুহূর্তে পিবিএসে চলছে ওর আন্তর্জাতিক গানের অনুষ্ঠান 'মিউজিক অন প্লেইন এয়ার'। খুব একটা জমছে না, সামনের সিজন বাতিল হয়ে যাওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে। রবিন থাকে ক্যালিফোর্নিয়ার এনাহাইম শহরে, তার ভিয়েতনামিজ বান্ধবী লাইনা এনগুয়েনের সাথে। লাইনা বিভিন্ন টিভি নাটকে টুকটাক অভিনয় করে। বিগ ব্যাং থিওরিতে শ্যালডনের ইন্টার্ন হিসেবে একটা ছোট রোল ছিল ওর।

ব্যায়ামবীর মুসা আমানকে চেহারায় না চিনলেও তার নামটা আমেরিকান টিভি দর্শকদের কাছে অজানা নয়! মার্কিন সেনাবাহিনীর তৃতীয় পদাতিক ডিভিশনের সাথে মুসা ইরাক যুদ্ধে অংশ নেয় এবং নাজাফ ও কারবালায় অসাধারণ বীরত্ব দেখিয়ে লাভ করে পার্পল হার্ট পদক। কিন্তু মুসার বীরত্বের কাহিনী সাধারণ আমেরিকানদের নজরে আসে স্পিলবার্গের এইচবিও মিনিসিরিজ 'দ্য ট্রি অফ ফ্রিডম'-এর বদৌলতে। মুসার ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় করে জেমি ফক্স এখন বিশাল তারকা! মুসা থাকে সাউথ ক্যারোলাইনার কলাম্বিয়া শহরে। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল টিম ক্যারোলাইনা গেমকক্সের ফিটনেস ট্রেইনার হিসেবে কাজ করছে ও। মুসার স্ত্রী শওনা উইলিয়ামস একটা ব্যাংকে কাজ করে, আর মেয়ে মিশেল আমান পেশাদার দৌড়বিদ হবার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আমাদের অনেকের কিশোর বয়েসের ক্রাশ জর্জিনা 'জর্জ/জিনা' পার্কার এখন শিকাগোতে থাকে। হার্ভার্ড ল' স্কুলের গ্র্যাজুয়েট জিনা তুখোড় সিভিল রাইটস এটর্নি, রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী। এ বছর বার্নি স্যান্ডার্সের প্রেসিডেন্সি ক্যামপেইনের প্রথম সারির কর্মী। রাজনীতির মাঠেই (জিনার ভাষায় সাউথ বেন্ডের কর্নমেজে) ওর পরিচয় এডওয়ার্ড কার্টিস (ইলিময় সিনেটর)-এর সাথে, সেই থেকে ওরা একসাথেই আছে, বিয়েটাও সেরে নিয়েছে ক'বছর আগে। এই রাজনীতিবিদ দম্পতির একমাত্র কন্যা মেরেডিথের বয়স গত মাসে পাঁচ হলো।

দুর্ধর্ষ মিশরীয় বৈমানিক ওমর শরিফের ওকিমুরো কর্পোরেশন-উত্তর জীবন খুব একটা মসৃণ যায়নি। আফঘানিস্থান-যুদ্ধ শুরু হলে মিলিটারি কনট্রাক্ট্রর হিসেবে ওমর পাড়ি জমায় কাবুলে। ২০০৩ সালের মে মাসে হেলমান্দ প্রদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে ওমর তালেবানদের হাতে বন্দি হয়। জুলাইয়ের ১২ তারিখে তালেবান যোদ্ধারা ক্যামেরার সামনে ওমরসহ ৩ জন আমেরিকান নাগরিকের শিরোশ্ছেদ করে। কাবুলের নিরাপদ এলাকা ছেড়ে চারশ মাইল দূরে তালেবান-অধ্যূষিত দক্ষিণ হেলমান্দে ওমর কি করছিলো সেটা আজো রহস্যাবৃত।

রাশেদ ও মারিয়া পাশাকে তাদের স্যালভেজ ইয়ার্ড নিয়ে অনেক ঝুযতে হয়েছে। শেষটায় আর না পেরে ব্যবসা গুটিয়ে তারা চলে আসেন ওকল্যান্ডে, কিশোরের কাছাকাছি। ওরা দু'জনে এখন একটা এস্কেপ রুম গেমিং আর্কেড চালাচ্ছেন। খেলোয়াড়দের একটা ঘরে নিয়ে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের আধা ঘণ্টা সময়ের মধ্যে রুমের আনাচ-কানাচ থেকে ক্লু বের করে, ধাঁধা সমাধান করে ঘর থেকে বেরুতে হয়। রাশেদ পাশা নিজেই ডিজাইন করেন, কিশোরকে ধারেকাছে ঘেঁষতে দেন না। আর হ্যাঁ, আর্কেডটার নাম তিনি রেখেছেন 'পাশা স্যালভেজ ইয়ার্ড'!

রজার মিলফোর্ড রকি বীচেই আছেন। রকি বীচ ক্রনিকল নামের ছোট একটা পত্রিকা চালান। ক্যান্সারের সাথে ছ' বছরের লড়াই শেষে মিসেস মিলফোর্ডের মৃত্যু হবার পর তিনি ধর্মকর্মে ঝুঁকে পরেন। এখন চার্চ আর পত্রিকা অফিস করেই দিন কাটে। একাই থাকেন, রবিনের সাথে খুব একটা সম্পর্ক নেই।

মুসার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বছর পাঁচেক হলো। রাফাত আমান পিক্সারে ১২ বছর এনিমেটর হিসেবে কাজ করার পর গত বছর মুভ করেছেন ইউটাহ অংগরাজ্যের সল্ট লেক সিটিতে। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা গেম-ডেভেলাপমেন্ট স্টার্ট-আপে গবেষক হিসেবে কাজ করবেন তিনি। তবে এখানে আসার আসল উদ্দেশ্য সেটা নয়। পিক্সারে থাকতে রাফাত একজন সহকর্মীর প্রেমে পড়েন। প্রখর ব্যক্তিত্ববতী জার্মান নারী ক্রিস্টা মারিয়া জিলান্ড, এনিমেশন দুনিয়ার যার ডাক নাম 'সিএমএস'। এই সিএমএসের পিছু পিছু রাফাত আমানের এখানে আসা। 'বুড়ো বয়সের ভীমরতি' বলে যে কথাটা মুসা কিশোরের কাছে আগে শুনেছে, তার অর্থ এখন ওর কাছে পরিষ্কার হচ্ছে।

টেরিয়ার 'শুটকি' ডয়েল স্যান হোসে'তে থাকে। পেশায় প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা। ইতোমধ্যে দু' দু'টো সফল কোম্পানি দাঁড় করিয়েছে। প্রথমটা গুগল লুফে নিয়েছে। দ্বিতীয়টা নিয়ে ওর বহুদূর আগানোর ইচ্ছে। উত্তরাধিকার আর ব্যবসায়িক সাফল্য ছাড়াও আরেকটা কারণে টেরিয়ারের ছবি ট্যাবলয়েডের পাতায় দেখা যায়-- উঠতি গায়িকা আম্যান্ডা নবস-এর সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

বাভারিয়ান দু'ভাই বোরিস-রোভার পাশা স্যালভেজ ইয়ার্ডের কাজ ছেড়েছে বছর পনের হলো। ওরা এখন থাকে ওয়াশিংটন অংগরাজ্যের ভ্যাংকুভার (কানাডারটা না কিন্তু) শহরে। ইন্টেলের মাইক্রোচিপ তৈরির কারখানায় টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করে। বিরাট সংসার দু'জনের। বোরিস তো রীতিমতো নানা হয়ে বসেছে!

চিত্রপরিচালক ডেভিড ক্রিস্টোফার মারা গেছেন বছর দশেক আগে, তার ম্যানশনের বাথটাবে পা পিছলে মাথায় চোট পেয়ে। তরুণ বয়সের একটা স্ক্যান্ডালের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ডেভিড বাইরের দুনিয়া থেকে নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নেন। তার শেষ বছরগুলো নিয়ে আর খুব বেশি কিছু জানা যায়না।

শোফার হ্যানসেন সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে কিছু জানা যায় নি।

রকি বীচের পুলিশাধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ইয়ান ফ্লেচার অবসর জীবন কাটাচ্ছেন স্যান্টা বারবারায়, তার ছোট ছেলের সাথে। স্থানীয় একটা ফিশিং কোম্পানির সাথে যুক্ত আছেন, তা থেকে কিছু আয় হয়, ভালোই চলে যাচ্ছে তার।

হ্যারিসন ফগর‍্যাম্পারকটের সেই সৌভাগ্য হয়নি। ক্যালিফোর্নিয়ার রিভারসাইড শহরে দায়িত্ব পালনকালে এক মাস-শুটারের মোকাবেলা করতে গিয়ে গুলিতে তার মৃত্যু হয়।


মন্তব্য

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী এর ছবি

শোঁপার কি খবর?

শরীফ আর 'ঝামেলা'র খবরটা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। শুটকিতো ভালো করছে!

সাবিহ ওমর এর ছবি

শোঁপার নতুন ধান্দা মডার্ন আর্টের নাম করে মানি লন্ডারিং। অনেক বিখ্যাত আর্টিস্ট জুটিয়েছে ওর দলে। মডার্ন আর্টের নামে ছাইপাশ এঁকে শোঁপার হাতে দেয় বিক্রি করার জন্য। তার আড়ালে চলে অবৈধ টাকার লেনদেন। পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে। কিন্তু এই আর্টিস্ট-এপ্রেইজার-আর্টচোর সিন্ডিকেট ভাঙ্গার সামর্থ্য পুলিশের নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

জর্জিনা পার্কার এইটা করতে পারলো! মন খারাপ
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-হুঁকোমুখো হ্যাংলা

সাফি এর ছবি

সেই রোলস রয়েস গাড়িটার ভাগ্যে কী ঘটেছিলো?

সাবিহ ওমর এর ছবি

লস এঞ্জেলেস ডাউনটাউনের একটা গুদাম ঘরে এক সময় একটা তিন গোয়েন্দা মিউজিয়াম ছিল, কিছু ধনাঢ্য ক্লায়েন্ট ওটা করে দিয়েছিলো, কিন্তু বেশিদিন টেকেনি। সেখানে ছিল গাড়িটা। এইটুকু জানি। সম্ভবত ওটা স্যালভেজ করে ফেলা হয়েছিলো।

হাসিব এর ছবি

মুসা বর্বর আমেরিকান সেনাবাহিনীর হয়ে নিরাপরাধ লোকজন খুন করে বেড়িয়েছে এটা জেনে দমে গেলাম একেবারে।

সাবিহ ওমর এর ছবি

মুসা যুদ্ধে ওর ভূমিকার জন্য গর্বিত। ও ইরাকে খালি যুদ্ধ করতে যায় নাই, ট্রি অফ ফ্রিডমের চারা পুঁততেও গেছিলো।

মন মাঝি এর ছবি

সবই তো বুঝলাম, কিশোররা খুব ভাল আছে তাও বুঝলাম, কিন্তু ওদের স্রষ্টা রকিব হাসানের কি হলো? উনি কৈ? কিশোর কি ওনাকে আম্রিকায় নিয়ে গেছে নাকি?

****************************************

হাসিব এর ছবি

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উনি হিউস্টনের বাঙ্গালি মসজিদে ৪০দিনের চিল্লায় অবস্থান করছেন। প্রতিদিন বিকেলে সঙ্গিসাথীদের নিয়ে পথচারীদের সাথে জোর করে হ‍্যান্ডশেক করার নাম করে হাত ধরে দাঁড়িয়ে থেকে সবাইকে দ্বীনের দাওয়াত দেন।

সংযুক্তিঃ কমেন্টটা লিখে খেয়াল করলাম এই লেখায় বর্ণিত চরিত্রগুলোর মধ‍্যে কেউ লাইনে আসে নাই। একদল বাঙ্গালি একত্র সবাই কেউ লাইনে না এসে বেড়ে উঠবে এটা অকল্পনীয় ব‍্যাপার।

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
সাবিহ ওমরের কাছে একটা লাইনে আসা সংস্করণের আকুল আবেদন জানাই।
-হুঁকোমুখো হ্যাংলা

সাবিহ ওমর এর ছবি

এখানে একজনও বাঙালি না, সব 'বর্বর আমেরিকান'। কিন্তু একজন লাইনে আসছে, রজার মিলফোর্ড, মিস করে গেছেন মনে হয়।

তানিম এহসান এর ছবি

সংযুক্তিঃ কমেন্টটা লিখে খেয়াল করলাম এই লেখায় বর্ণিত চরিত্রগুলোর মধ‍্যে কেউ লাইনে আসে নাই। একদল বাঙ্গালি একত্র সবাই কেউ লাইনে না এসে বেড়ে উঠবে এটা অকল্পনীয় ব‍্যাপার।

দেঁতো হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

তিনগোয়েন্দা নিয়ে কত স্মৃতি! সেদিন বাসায় একটা বই খুঁজতে যেয়ে ‘কাকাতুয়া রহস্য’ দেখতে পেয়ে হাতে নিয়ে বসে ছিলাম বেশ খানিকটা সময়।

ভাল লাগলো খুব হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক দিন পর মনে করিয়ে দিলেন ছেলেবেলার সেই চেনা ও অতিপ্রিয় নামগুলো।
মনে আছে, বইয়ের দোকানে যেয়ে লোভাতুর দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতাম ঝুলতে থাকা তিন গোয়েন্দার নতুন কোন বইয়ের দিকে, যদিবা কোনভাবে কিনেই ফেলতে পারতাম, তাহলে অন্তত দুদিন বাস্তব দুনিয়া থেকে বইয়ের দুনিয়ায় ঢুকে যেতাম! যেন বা দুনিয়াতে আমার আর কিছুই চাইবার নাই!
এখনো, এই বুড়ো বয়সেও, মেলায় গিয়ে সেবার স্টলে তিন গোয়েন্দার বইগুলোকে উল্টোপাল্টে দেখতেই হবে, না হলে মেলা থেকে ফিরেও শান্তি পাব না! তিন গোয়েন্দা যেন আমার কৈশোরের প্রেম!
তিন গোয়েন্দা রকিব হাসানের অবিষ্মরনীয় সৃষ্টি, হয়ত বিদেশী গল্পের ছায়া রয়েছে, যেমনটা থাকে সব সেবার বইতেই, কিন্তু তিন গোয়েন্দার বইগুলোকে কখনই বিদেশী মনে হয়নি, এত যত্ন করে, এত আপন করে, এত কাছের করে রকিব হাসান গড়েছেন তিন গোয়েন্দাদের!
।।।।।।।।।।
অনিত্র

তাহসিন রেজা এর ছবি

লেখাটি ভালো লাগলেও কেন যেন মন খারাপ হয়ে গেল মন খারাপ

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

সাবিহ ওমর এর ছবি

মন খারাপ হবার মত অনেক বিষয় তো বাদই দিয়ে গেলাম। সারা শরীরে বোমার স্প্লিন্টার নিয়ে ফিরে আসা মুসার চিকিৎসার খরচ জোগাতে তার পরিবারের উদয়াস্ত সংগ্রামের কথা তো বলাই হলো না, লেখা হলো না রিসেশনের চাপে তিলে তিলে রাশেদ পাশার সর্বস্ব খোয়ানোর গল্প, কিংবা স্ট্রাগলিং টিভি হোস্ট হিসেবে প্রায় টেকো মাথার রবিন মিলফোর্ডের টিকে থাকার যুদ্ধের গল্প। Life is pain, highness. Anyone who says differently is selling something.

তাহসিন রেজা এর ছবি

মন খারাপ

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

মেঘলা মানুষ এর ছবি

একটা মিশ্র অনুভূতি হল এদের খোঁজখবর পড়তে গিয়ে। আহারে, আমার মত এরাও বুড়া হয়ে যাচ্ছে মন খারাপ

অফটপিক: লেখক মুসা আমানকে বাড়ির কাছে নিয়া আসছেন, এইটা একটা বে-অন্যায় কাজ হইছে খাইছে

সাবিহ ওমর এর ছবি

মুসা ফোর্ট জ্যাকসনে কিছুদিন দপ্তরী কাজ করেছিলো। আর এই মঙ্গার বাজারে থাকার জন্য ক্যরোলাইনার চেয়ে ভালো জায়গা কী আছে? খাইছে

fahima dilshad এর ছবি

উফ কিশোর বিয়ে করেনি শুনে কেন জানি ভালো লাগছে চোখ টিপি না মানে বলছিলাম কি আপনার সাথে যদি কোনভাবে যোগাযোগ হয় তবে বিয়ে করার জন্য আমার নামটা রেকমেন্ড করতে পারেন খাইছে

সাবিহ ওমর এর ছবি

সচল রাফি ভাই কাছাকাছি থাকেন, উনাকে ধরে দেখতে পারেন।

বন্দনা এর ছবি

আগে জানলে কী আর বিয়েশাদী করতাম !!

সো এর ছবি

আপনে এত্ত কিছু জানলেন ক্যামতে?

সাবিহ ওমর এর ছবি

ভূতদের কাছ থেকে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ভিকটর সাইমন আর নিসান জাং কিমের কি হল? আর টকারের? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ফালতু প্রোগ্রামার  এর ছবি

জিনা শিকাগোতে আছে পড়ে সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছিলাম দেখা করমু... কার্টিসরে এর মধ্যে আনলেন কেন ভাই? মন খারাপ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক পুরাতন স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। ছোটবেলা কেটেছে তিন গোয়েন্দার রহস্যময় দুনিয়ায়। একটা পর্যায়ে যেয়ে আর পড়া হয়নি, নতুনগুলোও পড়া হয় না। তবে সেই দিনগুলোর স্মৃতি কখনওই ভোলা সম্ভব না। ধন্যবাদ, এরকম সুন্দর একটা লেখার জন্য।

শিশিরকণা এর ছবি

মেরি চাচী কেমন আছেন এখন? রাশেদ চাচার খবর ঠিকমত বললেন না। পাশা স্যাল্ভিজ ইয়ার্ড কি এখনও টিকে আছে?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মরুদ্যান এর ছবি

মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ করা ফ্যান ফিকশন। তবে আপনার কল্পনা শক্তির তারিফ করতে হবে বটে। একটি বিকল্প সংস্করণ আশা করছি আপনার কাছ থেকে অদূর ভবিষ্যতে, যেখানে তিন গয়েন্দারা তাদের সখের পেশাকেই বেছে নিবে আসল পেশা হিসেবে। রূপকথার মত অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।