বিজ্ঞান কল্পকাহিনীঃ ক্রোনল্যাব

সাবিহ ওমর এর ছবি
লিখেছেন সাবিহ ওমর [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৪/০২/২০১০ - ১০:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দৃষ্টি আকর্ষণ
১) গল্পটা ভালই লম্বা
২) গল্পটা ভালই বেড়াছেড়া
৩) সংলাপ জিনিসটা আমি ভাল লিখতে পারিনা, সেজন্য দুঃখিত।

=============================================
ঠিক ন’টা বেজে একুশ মিনিটে আমি ক্রোনল্যাবের ১২ল গেটের সামনে পৌঁছে গেলাম। আমাকে বলা হয়েছে ন’টা পয়ত্রিশে গেটের নিরাপত্তা রোবটের কাছে রিপোর্ট করতে। তার মানে আমার হাতে আছে আরো চৌদ্দ মিনিট। এতটা সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বিরক্তিকর হবে, তার উপর হকার রোবটগুলোর উৎপাত তো আছেই। আমি কাছাকাছি একটা নিরিবিলি যোগাযোগ বুথ খুঁজে নিয়ে তাতে ঢুকে পড়লাম।

এই বুথগুলো সময় কাটানোর জন্য বেশ ভাল। বিনা খরচে উষ্ণ পানীয় আর ম্যাসাজ উপভোগ করা যায়। আমি খেয়াল করলাম বুথের কম্পিউটার আমার ডাটাবেসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। এই অত্যুৎসাহী নতুন সিস্টেমগুলো আমার খুবই অপছন্দের। একবার ডাটাবেসের সাথে যুক্ত হলেই আজেবাজে হাজারটা অফার দিয়ে মাথা ধরিয়ে দেয়। সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হচ্ছে প্রায় সময়েই দেখা যায়, সেশন শেষে আমি দু’একটা অফারে হ্যাঁ-ও বলে দিয়েছি। ফলাফল মাসের শেষে ছয় অঙ্কের বিল।

কিন্তু আজকে আমার কারো সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে। কারণ আজ একটা বিশেষ দিন। আমার ক্রোনল্যাবে যোগ দেবার দিন। বাবাকে খবরটা জানাতে পারলে ভাল লাগত। কিন্তু বাবা নেটওয়ার্কের বাইরে, সিরাস গ্রহপুঞ্জে অবসরজীবন কাটাচ্ছেন। আমার এই ক্রোনল্যাব প্রীতির (পড়ুন ভক্তি) কারণ কিন্তু আমার বাবা।

বাবা ক্রোনল্যাবে কাজ করতেন। এবং কাজটা যেনতেন কিছু ছিল না। বাবা ছিলেন ক্রোনল্যাবের নিরাপত্তা প্রধান। অন্য ছেলেমেয়েরা যে বয়সে বাবা-মা’র কাছে বুরাতিনো আর প্লিখাশা রোবটের গল্প শোনে, আমি শুনতাম ক্রোনল্যাবের গল্প। বাবা আমাকে বলতেন কিভাবে বিজ্ঞানীরা অবপৃথিবীর দরজা খুললেন, কিভাবে খারাপ লোকদের সেখানে নামিয়ে দেওয়া হলো, আর সেখানে তাদের কী ভয়ঙ্কর এক নতুন জীবন শুরু করতে হয়। ক্রোনল্যাবের বাইরের পৃথিবীতে এই গল্পগুলো নিষিদ্ধ, সন্দেহ নেই। বাবা হয়তো তার শিশুসন্তানকে এগুলো বলে মনের ভার লাঘব করতেন।

স্কুলে আমাদের অবপৃথিবী সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে একটা ভয়ঙ্কর ধারণা দেওয়া হয়। হিংস্র জন্তু, অণুজীব, খারাপ আবহাওয়া – এগুলো আমাদের যত না ভীত করে তার চেয়ে বেশি আতঙ্ক ছড়ায় মানবিক নেটওয়ার্ক না থাকার ব্যাপারটা। সেখানে নাকি যোগাযোগ করতে হয় শব্দ তৈরি করে! অকল্পনীয়!

কিন্তু বাবার কল্যাণে আমি জানতাম যে এই সব কিছু বাদ দিলে অবপৃথিবী একটা সাদামাটা গ্রহ ছাড়া আর কিছু না। পার্থক্যটা শুধু সময়ে। অবপৃথিবী অতীতের এক গ্রহ। ঠিক করে বলতে গেলে একটা অনুজ্জ্বল নক্ষত্রের তৃতীয় গ্রহ, যেটা চলে গেছে ওই নক্ষত্রের পেটেই। সেও মিলিয়ন বছর আগের কথা। বিজ্ঞানীরা সেই হারানো গ্রহটাকে খুঁজে বের করেছেন অতীত মহাবিশ্বে। আর এটাকে পরিণত করেছেন নিশ্ছিদ্র এক কারাগারে। দুনিয়ার যত ভয়ংকর অপরাধীদের ধরে এনে নামিয়ে দেওয়া হয় অবপৃথিবীতে। জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং করে কেড়ে নেওয়া হয় তাদের নেটওয়ার্ক, কমিয়ে দেওয়া হয় শারীরিক আর মানসিক সক্ষমতা। এই হতভাগ্য কয়েদিদের বেঁচে থাকার জন্য নির্ভর করতে হয় কয়েক ধরণের গ্যাসের উপর, যা কয়েক লক্ষ আলোকবর্ষের মধ্যে শুধু অবপৃথিবীর বায়ুমন্ডলেই ঠিক অনুপাতে আছে।

পালাবার প্রশ্নই ওঠে না।

এই পুরো ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রিত হয় ক্রোনল্যাবের সেক্টর-৮ থেকে, যেখানে আমি, সুহান মিহাজ, আজ যোগ দিতে যাচ্ছি। আমার মানবিক নেটওয়ার্ক জানাচ্ছিল, আমার হাতে সময় আছে আর তিন মিনিট। আমি যোগাযোগ বুথ থেকে বেরিয়ে ১২ল গেটের দিকে এগুলাম।

আমি বুঝতে পারছিলাম না, আমার জেটটা নিয়েই ঢুকে পড়ব কিনা, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখি ক্রোনল্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমার জেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিল। মাথার বামদিকে একটা ভোঁতা ব্যাথার অনুভূতিতে বুঝলাম যে আমার নেটওয়ার্ক ক্রোনল্যাবের কোন একটা ডাটাবেসের সাথে যুক্ত হল। আমি দেখতে চাচ্ছিলাম ওতে কি আছে, কিন্তু দেখলাম ওগুলো গোপন করে রাখা আছে। আমি শুধু একটা ইন্টারফেসের সাথেই যুক্ত যেখানে আমার পরিচয়বাহী সংখ্যাগুলো জানতে চাওয়া হচ্ছে। বুঝলাম এটাই সেই নিরাপত্তা রোবট যার কাছে আমাকে আসতে বলা হয়েছে।

আমি একটা দীর্ঘ সনাক্তকরণ পর্বের জন্য প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু পুরো ব্যাপারটা শেষ হতে লাগলো কয়েক মাইক্রোসেকেন্ড। ওদের কাছে সব রকম তথ্যই আছে বলে মনে হল। কয়েক লেভেলের কোয়ারেন্টাইন পার করে আমি বেরিয়ে এসে দেখি, আমার জন্য দাঁড়িয়ে আছে ক্রোনল্যাবের ছাপ মারা নতুন একটা স্ব্য়ংক্রিয় জেট। ডাটাবেসের তথ্যগুলোতে চোখ বুলাতেই একটা আনন্দের শিহরণ বয়ে গেল আমার শরীরে।

এখন থেকে আমি ক্রোনল্যাবের অংশ!

আমার ডাটাবেসে অনেক নির্দেশনা ভরে দয়া হয়েছে টের পেলাম। অধিকাংশই নিরাপত্তা-সংক্রান্ত, কিছু পথ-নির্দেশ, কর্মপরিকল্পনা।আমার কাজটা চতুর্থ স্তরে, একটা এটমাইজার যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ সঙ্ক্রান্ত। আমি চতুর্থ স্তরে যাওয়ার জন্য জেটটাকে তৈরি করছিলাম, তখনি আরেকটা জেট এসে ডকিং বে তে থামলো। আমি দেখলাম চালক কাঁচাপাকা চুলের একজন মধ্যবয়স্ক অফিসার। আমার কাছে এসে সে সরাসরি আমার নাম ধরে সম্বোধন করলো, “এয় সুহান। আশা করি নিরাপত্তাজনিত সব যন্ত্রণা মিটে গেছে?”

আমি মাথা নাড়লাম। আমার নাম ধরে সম্বোধন করায় আমি কিছুটা অবাক হয়েছি। কাজের জায়গায় এসব অর্থহীন জন্মনাম ব্যবহার হয় না বলেই জানতাম।

“আমি যার্কি, তোমার সুপারভাইজার। ক্রোনল্যাব দোযখে স্বাগতম হাহাহা…“

আমি লোকটার দাঁতে একটা হালকা গোলাপি আভা দেখে নিঃসন্দেহ হলাম যে লোকটা বিতানিন টেনে এসেছে। মানুষের বাহ্যিক আচরণ বা চেহারার উপর বিতানিনের প্রভাব খুবই সূক্ষ্ম। কিন্তু একজন বিতানিনাসক্তের সাথে দশ বছর বসবাস করার পর আমি এখন খুব সহজেই দশজন মানুষের মধ্য থেকে একজন বিতানিনখোরকে আলাদা করতে পারি। আমি জানতাম ক্রোনল্যাবের কর্মচারীদের মাঝে এই হালকা মাদকের চল আছে।

বিতানিন মানসিক চাপমুক্তির মহৌষধ।

যার্কি নিজের জেটের সাথে আমার জেটটাকে সিংক্রোনাইজ করে নিল, “এখন আমরা যাবো সেক্টর ট্যুরে। সতেরটা আলাদা আলাদা স্তর আছে এখানে। আমাদের প্রবেশাধিকার আছে আটটাতে। সবশেষে আমরা চলে যাব চতুর্থ স্তরে। তোমার কাজ ওখানেই।“

আমাদের জেট একটা দ্রুতগতিসম্পন্ন টানেলে ঢুকে পড়ল। নির্দেশক চিহ্নগুলো দেখে বুঝলাম আমরা যাচ্ছি একাদশ স্তরের দিকে। জায়গাটা খুব সম্ভবত মাটির নিচে। আমি ডাটাবেস থেকে যার্কির প্রোফাইলটাতে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিলাম। এরকম উচ্চপদস্থ একজন কর্মচারি আমাকে ট্যুরে নিয়ে যাচ্ছেন দেখে অবাক হলাম।

“আমি তোমার বাবাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। সে ছিল আমার বিতানিন-সঙ্গী”, যার্কি চোখ মটকালো।

এবার পুরো ব্যাপারটা খোলাসা হল। যদিও বাবাকে কখনো এই দোস্তটির কথা বলতে শুনিনি। সম্ভবত তিনি বিতানিনের প্রসংগটা তুলতে চাননি। আর তার ক্রোনল্যাবের শেষ দিনগুলো খুব একটা সুখপ্রদও ছিল না। যার্কি হয়তো সে ব্যাপারে অনেক কিছুই জানে।

“আমি মনে করি তোমার বাবার সাথে অন্যায় করা হয়েছিল।“

আমি চমকে উঠলাম। যার্কি কি আমার মনের কথা বুঝতে পারে নাকি? আমি আস্তে আস্তে বললাম, “বাবা এব্যাপারে কথা বলতে চান না।“

“ওর লজ্জিত হবার কোন কারণ নেই। ওর কোন দোষ ছিল না।“ যার্কির গলা অসহিষ্ণু শোনায়, “একরাষ্ট্রবিরোধীরা অনেক চিন্তাভাবনা করেই কাজটা করেছিল। আমি জানি, ওরা কাদের, কিভাবে কিনে নিয়েছিল। গ্লাতুনের বাচ্চারা সেটাকে ধামাচাপা দিয়েছে তোমার বাবাকে ফাঁসিয়ে। আর এমন তো না যে ক্রোনল্যাবে আর কোন নিরাপত্তা লঙ্ঘন ঘটেনি…“

“আরো নিরাপত্তা লঙ্ঘন?” পৃথিবীর সবচাইতে সুরক্ষিত ল্যাবে? এটা আমার কাছে নতুন খবর।

“হাহাহা সেটাই তো মজা। তোমাদের সংবাদ বুলেটিনে কয়টা সত্যিকারের খবর থাকে? বড় খবর তো সব ধামাচাপা। আর আমি কোনটাকে বড় খবর বলছি? একরাষ্ট্রবিরোধীদের পর আরো শ’খানেক লোক লুকিয়ে-চুরিয়ে অবপৃথিবীতে প্রযুক্তি পাচার করতে গেছে। তাদের আবার ধরেবেঁধে ফেরতও আনা হয়েছে। এটা এখন নিরাপত্তা বাহিনীর রুটিন কাজ।”

“কিন্তু, কিন্তু…”, আমার মাথার ভিতর সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিল।

“বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে শোন, গত সপ্তাহেও এরকম একজনকে ধরে আনা হয়েছে।“, যার্কি চোখ মটকালো।

আমি তো অবাক, আমতা আমতা করে বললাম “কিন্তু আমি তো জানতাম অবপৃথিবীতে সুস্পষ্ট জেনেটিক ধারা বজায় রাখা হয়।“

“সেটা কিভাবে করা হয় কোন ধারণা আছে?”

“হ্যাঁ, প্রথমে অবপৃথিবীর দু’জন বিপরীত লিঙ্গের মানুষ বেছে নেওয়া হয়। আর তাদের জিনের সংমিশ্রনে একটা নতুন জেনেটিক পরিচয় তৈরি করা হয়। তারপর নতুন কয়েদিদের সেই অনন্য জেনেটিক প্রোফাইলগুলোর কোন একটি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। মানে ব্যাপারটা অনেকটা আবার জন্ম নেওয়ার মত।“

“আমরা মানুষেরা যেভাবে জন্ম নিই, ঠিক সেভাবে না, তবে হ্যাঁ ব্যাপারটা কাছাকাছি।“

“কিন্তু এটা লঙ্ঘন করতে তো মূল কম্পিউটারের কোন একটা সুরক্ষিত অংশে প্রবেশাধিকার থাকা প্রয়োজন।“

“ঠিক তাই”, যার্কিকে উৎফুল্ল দেখায়, “সেজন্য ক্রোনল্যাবের নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয় ক্রোনল্যাবের কর্মচারিদের হাতেই! গত সপ্তাহে এক পাগলাটে জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারকে ধরে আনা হয়েছে অবপৃথিবী থেকে। সে করেছে আরো ভয়ংকর এক কাজ। পুরো জেনেটিক ধারা ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম।“

যার্কি একাদশ স্তরের ডকিং বে-তে জেট থামায়। বে’র হালকা হলুদ আলোতে তাকে অদ্ভূত দেখাচ্ছিল। আর ও যা বলছিল তা-ও রূপকথার মত শোনাচ্ছিল। ক্রোনল্যাবে নিরাপত্তা লঙ্ঘন! যার্কি রসিকতা করছে নাতো!

“লোকটা ছিল হিসাস-৪২১ গ্রুপের ছাত্র। খুবই উঁচুমানের মানসিক ক্ষমতা। নিজের জেনেটিক পরিচয় লুকানোর জন্যে শুধুমাত্র একজন অবমানবীর জিন ব্যবহার করে সে অবপৃথিবীতে নেমে গেছে। কল্পনা করতে পারো, কী ভীষণ বিশৃংখলা! কোন জিন মিশ্রণ না করে, মূল কম্পিউটারে নতুন কোন ভুক্তি তৈরি না করেই সে নেমে গেল অবপৃথিবীতে! আমরা তো ভয়ে ছিলাম, অবমানবেরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা নিয়ে। ওরা যদি বুঝে ফেলে যে ওরা একটা কৃত্রিম জগতে বাস করছে, তাহলে অবপৃথিবীর পুরো ধারণাটাই মার খেয়ে যাবে।“

“হ্যাঁ এটা আসলেই বিপজ্জনক ছিল। তা কি করল অবমানবেরা?“, আমি মাথা নাড়লাম।

“ওদের আচরণ ছিল হাস্যকর। জেনেটিক সক্ষমতা হ্রাস ওদের কোন পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে ভাবা যায় না। ওদের এক দল লোকটাকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। আবার ওদেরই আরেক দল লোকটাকে মহাপুরুষ বানিয়ে ছেড়েছে। ওরা বলে, সে নাকি ঈশ্বরের পুত্র! হাহাহা…”

ঈশ্বরের পুত্র? আমিও হাসি থামিয়ে রাখতে পারলাম না।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

অনেকদিন পর একটা চমৎকার কল্পবিজ্ঞানের গল্প পড়লাম।

একটা ক্লিশে ত্যানা প্যাঁচাই আবার। ভবিষ্যতের মানুষের নাম নিয়ে বাংলা কল্পবিজ্ঞানে একটা প্রস্তরকঠিন ধারণা তৈরি হয়ে গেছে। সম্ভবত জাফর ইকবালের ভূমিকা এখানে অনেকখানি। "সুহান মিহাজ" নামটা যে কারণে অকারণে পাঠককে অন্য লেখকের সাথে তুলনা দিতে প্ররোচিত করে। শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এটা লক্ষণীয়। "উষ্ণ পানীয়" বলা হচ্ছে, কিন্তু "বিতানিন" ব্যবহারের হাতছানি এড়ানো যাচ্ছে না।

গল্পটা সবকিছুর পর দারুণ। পাঠক হিসেবে আমার আবদার, চলমান বাংলা কল্পবিজ্ঞানে যে একটা ঘরানা তৈরি হয়ে গেছে, তার পাশে নতুন কিছু লেখার। সেটা কেমন আমি বলতে পারি না, কিন্তু অন্যরকম হলে খুব ভালো হয়। তবে এ ব্যাপারে লেখকের রুচিই চূড়ান্ত, পাঠকদের সব কথা শুনতে হবে এমন কোনো পাথরে লেখা নিয়ম নেই।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লেখা ভালো হয়েছে। তবে বয়স বাড়ার কারণে আগের মত অনুভূতি আর পাইনা। গল্পে জাফর ইকবালের গল্পের ছাপ আছে।

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমি অনেক আগে একটা গল্প লিখেছিলাম খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ এর বাংলার পটভূমিতে। তার নায়কের নাম ছিল দিহান মিহাজ। এখানে সেটা পুশ করতে গিয়ে মনে হল সুহান রিজওয়ানকে কে একটা 'পোক' দিই। লোভে পাপ, পাপে জাফর ইকবাল...তবে বিতানিন, কপোট্রন, মায়োক্সিন গ্যাস - এই কয়টা জিনিসের ব্যাপারে আমি জাফর ইকবালকে নিয়ে সেরাম গর্বিত।

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, ভাল গল্প লিখতে ভাল গল্প পড়াও দরকার। আমার দৌড় জাফর ইকবাল পর্যন্তই। অগত্যা গুরুর পদলেহন...

হিমু এর ছবি

ঢাকায় কেউ থাকলে সেবা প্রকাশনীর কয়েকটা বই কিনে পাঠিয়ে দিতে বলুন। যদিও সেগুলো ছায়ানুবাদ, কিন্তু এক কথায় দারুণ।

১. পঞ্চ রোমাঞ্চ
২. ছয় রোমাঞ্চ
৩. ছায়া অরণ্য
৪. তিনটি উপন্যাসিকা
৫. স্বর্গ সৌরভ
৬. সেই সব রহস্য

একটা অন্যরকম স্বাদ আছে এই বাংলায় রূপান্তরিত গল্পগুলোয়। সায়েন্স ফিকশন আর সায়েন্স ফ্যান্টাসি, কিন্তু অন্য ধরনের। ভালো লাগবে নিঃসন্দেহে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ফাহিম এর ছবি

এগুলোর মধ্যে কোনটায় যেন প্রথম গল্পটা এরকমের, যে এক লোক পার্বত্য চট্টগ্রামে বনে চাকরি নিয়ে যায়, তারপর মোরগ শিকার করতে গিয়ে অতীতের এক সময়ে চলে যায়?? আর শেষের গল্পটা মেডিক্যালের তিন ছাত্র??? ওফ, অসাধারণ বই, অসাধারণ অনুবাদ...

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

হিমু এর ছবি
সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হিমু ভাই, ছয় রোমাঞ্চ আর পঞ্চ রোমাঞ্চ বাদে সব এখন আউট অফ প্রিন্ট। ছায়া অরণ্য তাও পর্সিলাম ছোটবেলায়, বাকিগুলা পড়ি নাই। অনুবাদ আসলেই জোস ছিলো...

আপনি কি সেবার 'মানুষ মানুষ খেলা' নামের অনুবাদ গল্পগ্রন্থটা পড়সিলেন ?? একই টাইপের অনুবাদ। ঐ নামের গল্পটা এখনো পর্যন্ত আমার পড়া অনুবাদ সাইফাইয়ের মাঝে সেরাদের একদম প্রথম কাতারের... মূল গল্পটা আজিমভের ছিলো, নাম মনে পড়ে না...

_________________________________________

সেরিওজা

হিমু এর ছবি

"মানুষ মানুষ খেলা" কাজী মাহবুব হোসেনের অনুবাদ করা না? আজিমভ আর বাক্সটারের কয়েকটা গল্প ছিলো। এটাও জোস।

এরকম চমৎকার সব গল্প আসতে থাকলে আগামীবছর সচলায়তন সায়েন্স ফিকশন সংকলন করা যেতে পারে বইমেলায়।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ভিন্ন ধারার আইডিয়ার জন্য আসিমভের ফাউন্ডেশান দিয়ে শুরু করেন।

আচ্ছা, আমার ধারণা জাফর স্যারের লেখার ধরনটা স্বতন্ত্র না। মানে পাশ্চাত্যে নিশ্চয়ই অনেকে এই ধারায় লেখে। পাশ্চাত্যের কার লেখা তিনি অনুসরণ করেন কেউ জানেন?

এই লেখাটা পড়েন, একটি কঠোর জাফর ইকবালীয় প্রচেষ্টা। কিন্তু এগুলো ধীরে ধীরে কিশোর কল্পকাহিনী হয়ে উঠছে।

আপনার সাবলীল লেখার ভঙ্গিটা ভালো লাগলো।

----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~

হিমু এর ছবি

মনে হয় না নির্দিষ্ট কারো। তবে কেবল নামের ব্যবহার দিয়ে ভবিষ্যতের পৃথিবীর আবহ তৈরি করার ব্যাপারটা এখন একঘেয়ে লাগে। খোদ জাফর ইকবালের লেখাতেই ফিউচারিস্টিক নামধাম দেখলে একটু বিরক্ত লাগে, অন্যদের লেখায় সে ছাপ দেখলে আরো। একটা লম্বা সময় ধরে এই "অন্যরকম" ভাবটা ভালো লাগে, তারপর এতে মরচে ধরতে শুরু করে। তবে জাফর ইকবালের সক্রিয় পাঠক যারা, তারা এই লম্বা সময়ের মধ্যেই আছে, ফলে তাদের কাছে হয়তো এর আবেদনই বেশি।

সায়েন্স ফিকশনের যে রাস্তাটা কোনান ডয়েল বা তাঁকে খানিকটা পঁচিয়ে সুকুমার রায় দেখিয়ে গেছেন, কিংবা পরবর্তীতে প্রেমেন্দ্র মিত্র আর সত্যজিৎ যে দিগন্তকে বহুগুণে বিস্তৃত করেছেন, সেটা থেকে বাংলাদেশের কল্পবিজ্ঞান লেখকরা শুরু থেকেই আলাদা হতে চেয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদ আর জাফর ইকবাল ছাড়া আর কে-ই বা কল্পবিজ্ঞান লেখেন? তাঁরা একটা অন্যরকম আবহাওয়া তৈরি করতে চেয়েছেন সায়েন্স ফিকশনে, যেখানে ঘটনা ঘটে দূর গ্রহে, কিংবা মহাকাশযানে। এই বৈভিন্ন্য হয়তো তাঁদের সময়ে তাঁরা সৃষ্টি করার একটা চাপ অনুভব করেছিলেন। কিন্তু আমি পাঠক হিসেবে মনে করি, ঐ পথটা অন্যদের অনুসরণের জন্যে নয়। নতুন কল্পবিজ্ঞান লেখকদের উচিত নিজের স্বাতন্ত্র্য তৈরি করে নেয়া। নাহলে সব লেখাই চর্বিতচর্বণের মতো মনে হবে।

জাফর ইকবালের সফদর আলি একজন খুব সম্ভাবনাময় চরিত্র ছিলো, কোনো এক কারণে তিনি নিজেই সফদর আলিকে নিয়ে আর লেখেননি, সায়রা সায়েন্টিস্ট আর অনিক লুম্বা নামে তার দুটো দুর্বল বিকল্প দাঁড় করাতে চেয়েছেন, হয়তো সেই গল্পগুলোর মতো গল্প এখন তিনিও চাইলে লিখতে পারবেন না জেনে।

কল্পবিজ্ঞানে হুমায়ূন আহমেদ বা জাফর ইকবালের গল্পগুলোতে একটা বিজ্ঞানজরজর আবহাওয়া তৈরি করতে গিয়ে ইদানীং কল্পনায় ভাঁটা পড়েছে বলে মনে হয়েছে। টার্গেট অডিয়েন্স হয়তো তা পড়েই খুশি, কিন্তু পুরনো পাঠক হিসেবে আমি হতাশ হই। "টি রেক্সের সন্ধানে" বা "বেজি"র মতো বই পেলে আবার খুশি হয়ে যাই।

কল্পবিজ্ঞান না হয়ে কল্পবিজ্ঞান হওয়া উচিত একটা গল্পকে। নাহলে নানা জারগন মুরগির ঝোলে এলাচির মতো ভেসে থাকে। সেটা সবসময় সুপাঠ্য হয় না। আর্থার সি ক্লার্কের গল্পগুলো এ কারণে খুব মসৃণ লাগে পড়তে, কল্পনা ছাড়া কোনো কিছুর আতিশয্য থাকে না। সংস ফ্রম দ্য ডিসট্যান্ট আর্থের মতো সরল সায়েন্স ফিকশনও লেখার গুণে আর কল্পনার মশলায় ভালো লাগে পড়তে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত।
-স্নিগ্ধা করবী

ফাহিম এর ছবি

হিমুর সাথে পুরোপুরি একমত। এই অদ্ভূত নামকরণ সাইন্স ফিকশন গল্পগুলোর সাথে এমন অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িয়ে গেছে, পড়তে গেলে কেমন যেন হোচট লাগে।

তবে গল্পটা দারুণ লেগেছে, আরো একটু লম্বা করলে আরো ভালো লাগতো। ভালো গল্প লম্বা হলে ক্লান্তি আসে না।

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

সাবিহ ওমর এর ছবি

যুক্তিটা হচ্ছে এই গল্পের পটভূমি অনেক অনেক ভবিষ্যতের একটা পৃথিবী। সে হিসেবেই অপরিচিত নাম। আমাদের এই (অব!)পৃথিবীতেই তো তৈমুর লং, চেঙ্গিস খান বা হানিবাল-- এরকম উদ্ভট নামের লোক ছিল। সাহস আছে সে কথা চেঙ্গিসকে গিয়ে বলার? খাইছে

ফাহিম এর ছবি

হা হা হা, জটিল মন্তব্য!!

ব্যাপারটা কি, আপনার যুক্তি ঠিক আছে, কিন্তু এই রকম অপরিচিত নাম-টাম দেখলে পাঠক হিসাবে আমার গল্পের সাথে কানেক্ট করাটা একটু কষ্ট হয়ে যায়। এটা অবশ্য আমার নিজস্ব সমস্যাও হতে পারে, বলা যায় না!

তারপরেও জাফর ইকবালের গল্প ভালো লাগে, একই ঘরাণার আপনার গল্পটাও ভালো লেগেছে...

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

রেনেট এর ছবি

চমৎকার গল্প! আরো গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম চলুক
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বেশ ভালো লাগল। বর্ণনা সাবলীলই মনে হলো।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গল্পটা আসলেই ভালো হয়েছে। প্রচলিত সাইফাইয়ের বাইরের একটা ধারায় শেষ হলো। 'পোক' দেবার প্রয়োজন ছিলো না, সচলের গল্প আমার সচরাচর মিস হয় না... দেঁতো হাসি

জাফর ইকবাল স্যার আসলে মাথায় কয়েকটা টার্ম পাকাপাকি ভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। কপোট্রন, নিহিলিন, - এইসব টুকিটাকি।

তবেএই গল্পটায়

যার্কি চোখ মটকালো।

কিন্তু একজন বিতানিনাসক্তের সাথে দশ বছর বসবাস করার পর আমি এখন খুব সহজেই দশজন মানুষের মধ্য থেকে একজন বিতানিনখোরকে আলাদা করতে পারি।

এই জাতীয় বাক্যগুলো মু-জা-ই স্যারকেই মনে করায়... ভুলেও ভাববেন না ভুল ধরতেসি, গল্পটা পছন্দ হৈসে। আমি নিজেও এই ধারায় বাংলা সাইফাই পড়ে অভ্যস্ত।
_________________________________________

সেরিওজা

দুর্দান্ত এর ছবি

খুব ভাল লেগেছে।

রাহিন হায়দার এর ছবি

দারুণ! শেষটা এমন হবে আশা করিনি।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

রাফি এর ছবি

আরে গুল্লি
সাইফাই গল্প এখন আর ভাল পাই না। এরপরও পড়তে সমস্যা হয় নি। চমৎকার বর্ণনা।

নাহ্‌; তুমি তো একটা জিনিয়াস। খাইছে

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

কাকুল কায়েশ এর ছবি

খুবই চমৎকারভাবে লিখেছেন। আমি ভীষন মুগ্ধ! কিছু সময়ের জন্য ফিরে গিয়েছিলাম কৈশোরবেলায়, যেন মনে হচ্ছিল আবার জাফর ইকবালের একটা সাইন্স ফিকশন পড়ছি!

আপনার লেখায় জা. ই. এর ছায়া পাওয়াকে আমি মন্দ বলবনা! শুরুতে এরকম এক্টু-আধটু হতে পারে, ধীরে ধীরে আপনি যে আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবেন, এক্ষেত্রে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই! চালিয়ে যান, ভাই!

গল্পটা সম্পর্কে একটু বলি......লাস্ট ২/১ প্যারার আগ পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, আপনি একটা দুর্দান্ত গল্পের ভুমিকা বললেন মাত্র, এরপরই আসবে আসল কাহিনী!!!
কিন্তু খুব দুঃখ পেয়েছি হঠাৎ এভাবে শেষ হয়ে যাওয়াতে!
ফিনিশিংটা আমার একদমই পছন্দ হয়নি, এটা কোনভাবেই সাইফাই ফিনিশিং নয়!
তাই আপনার কাছে আমার অনুরোধ, আপনি তো ক্রোনল্যাবের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। এখন এটার উপর ভিত্তি করে এ বিষয়ক নতুন আরো কিছু কল্পকাহিনী লিখুন!

=========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমারো এরকম দুম করে শেষ করতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু ক্লাসে তো যেতে হবে! শেষটা আরো লম্বা করা যেত যদি আমি সুহানকে ওই হিসাস (বাংলা কইরেন না খবরদার!) গোত্রীয় ভদ্রলোকের সাথে দেখা করিয়ে দিতাম।
সাধ ছিল, সাধ্য ছিল না মন খারাপ

সাবিহ ওমর এর ছবি

নামকরণ রহস্য ভেদ হচ্ছে। আমি যতই চিন্তা করছি, আমার অবচেতন মনের খেলা দেখে ততই বিস্মিত হচ্ছি।

সুহান মিহাজের কথা তো আগেই বলেছি। মহামতি আবুকাদ মিহাজের ভ্রাতুষ্পুত্র দিহান মিহাজের অপভ্রংশ সুহান মিহাজ।

যার্কি। 'ইস্পাত' এর সেই মেশিনগানারকে মনে আছে? ইভান যার্কি? হাহাহা...নামটা মাথার ভেতর কোথাও গেঁথে ছিল...

বুরাতিনো লেভ তলস্তয়ের তৈরি চরিত্র, পিনোকিওর সোভিয়েত ভার্সন। ভারী চমৎকার বই ছিল। হায় রাদুগা!

গ্লাতুনের বাচ্চা...গ্লাতুন নামে একটা প্রাণী ছিল বোধহয় জাফর ইকবালের 'নিঃসংগ গ্রহচারী'তে।

আর ক্রোনল্যাব বলে আসলেই এক বস্তু আছে সুইজারল্যান্ডে। ডায়াগনস্টিক টেস্টের জিনিস সাপ্লাই দেয়! (আন্ডারকাভার বোঝাই যায়)খাইছে
হোমপেজ এখানে। তবে এই নামটা chronos আর lab মিলিয়ে বানিয়েছি...আর কিছু মাথায় আসলোনা।

মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। এরকম একটা বেড়াছেড়া গল্প এতগুলা মানুষকে বুঝিয়ে বলতে পেরে ব্যাপক মজা পেলাম।

অনন্ত [অতিথি] এর ছবি

অনেকদিন পর পড়লাম ভাল একটা কল্পবিজ্ঞানের গল্প। তবে জাফর ইকবালের ছায়া ভাল মতই পাওয়া যাচ্ছে! অবশ্য তার ছায়া থেকে বের হওয়াও কঠিন। কারণ এখনও তার চেয়ে জনপ্রিয় কল্পবিজ্ঞানের লেখক উঠে আসেনি। আশা করি আপনি নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারবেন।

শেষ লাইন পড়ে আমিও হাসি থামিয়ে রাখতে পারি নাই!

===অনন্ত===

অনিকেত এর ছবি

অসাধারণ লাগল রে ভাই----
মনেই হল না যে একজন নতুন লেখকের লেখা পড়ছি
আমি মনে হচ্ছে এখন থেকে ঘন ঘন আপনাকে খোঁচাতে থাকব নতুন নতুন সাই-ফাই এর জন্যে।

মঙ্গল হোক!

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ভালো লাগলো পড়ে। দারুণ টুইস্ট। তবে জাফর ইকবালীয় ধারার আশেপাশে দিয়েই গেল কিন্তু। এই ধারার গল্প লিখতে ও পড়তে, দুই-ই মজার। নতুন ধারাও তো চাই!

----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~

তমিজউদদীন লোদী এর ছবি

খুব ভালো লিখেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় কারো ছাপ থাকলেও এই ছাপ কিংবা প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আপনার সে শক্তি আছে বলেই মনে হয়। অতএব দ্বিধাহীন চালিয়ে যান।

তমিজ উদদীন লোদী

মূলত পাঠক এর ছবি

ওরেব্বাস! ভাই আপনি এতো দিন কোথায় ছিলেন বলেন তো? ঐ সিরাস গ্রহপুঞ্জে নাকি?

গল্প তো ফাটাফাটি, বিশেষতঃ শেষটা! এমন নিরুচ্চার সমাপ্তি লিখতে ক্ষমতা লাগে, বেশির ভাগ লেখকই ঢাকঢোল ছাড়া গান সারতে পারে না। তাছাড়া ব্যালান্স খুব ভালো লাগলো, কোনো অংশ বেশি ফেনান নি আবার বেশি সংক্ষিপ্তও হয় নি।

অনিকেতের তারায় ছাওয়া হাওয়ার রাত দিলাম, আর সাথে পঞ্চান্ন তারা হাসি

আচ্ছা ঐ হিসাস ৪২১ টা হেসুস হবে। তবে ৪২১এর মাজমাটা কী?

অনিকেত এর ছবি

অনিকেতের তারায় ছাওয়া হাওয়ার রাত দিলাম, আর সাথে পঞ্চান্ন তারা

ওই মিয়া, নিজের কিছু দ্যান--!
আর কতদিন আমার পেটেন্ট করা জিনিস লোকজনরে গছাবেন?? চোখ টিপি

মূলত পাঠক এর ছবি

আহা আপনার নাম তো থাকে সঙ্গে, পেটেন্ট ভাঙি না তো!

আর নিজের মাল বলতে তো ঐ পাঁচতারা, সে আর কতো দেওয়া যায়!

অনিকেত এর ছবি

এইসব চইলতন্ন
পরের বার আমার নাম নিলে আমাকে 'রয়ালটি' দিতে হবে, দিতেই হবে--

সাবিহ ওমর এর ছবি

রবীন্দ্রনাথের কবিতা, নিউটনের সূত্র এগুলার মত আপনার ঐ কমেন্টেরও পেটেন্ট হয় না...আর মূপা'দা তো আপনার নাম নিয়েই দিয়েছেন...

সাবিহ ওমর এর ছবি

@মূপা'দা
কী যে বলেন! আপনার কমেন্ট পড়ে তো আমার কান-টান লাল হয়ে...
আর ওটা হিসাসই থাকুক, কারণ কেউ যদি আরো এক পা এগিয়ে *শু বানিয়ে দেয় তাহলেই বিপদ।

৪২১ একটা অলৌকিক নম্বর। ৪২১ কে ৩ দিয়ে ভাগ করলে ভাগশেষ থাকে ১। আবার ৪২১ থেকে ১ কে বাদ দিতে গেলে সেটা হয় একটা শয়তান-প্ররোচিত নষ্টামি। অতএব প্রমাণ হয় যে, ঈশ্বর আছেন।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

অতএব প্রমাণ হয় যে, ঈশ্বর আছেন।

কেম্নেকি?

আপ্নে যে এত বড় কৌতুক লুকায়ে রাখসেন, তাতো আগে বুঝি নাই ভাই। আপ্নারে টাইপ-কাস্ট করা আমার মস্ত ভুল ছিল। সরি চোখ টিপি

----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~

Ronita এর ছবি

আপনার গল্প অতি মনোগ্রাহী কিন্তু নীচের উদ্ধৃতিটি বুঝলাম না।
"৪২১ একটা অলৌকিক নম্বর। ৪২১ কে ৩ দিয়ে ভাগ করলে ভাগশেষ থাকে ১। আবার ৪২১ থেকে ১ কে বাদ দিতে গেলে সেটা হয় একটা শয়তান-প্ররোচিত নষ্টামি। অতএব প্রমাণ হয় যে, ঈশ্বর আছেন।"
৪২১ তো একটি prime number (ঐকিক সংখ্যা ??) এর বাইরে আপনি যা বল্লেন tan গেল ভাই .

সাবিহ ওমর এর ছবি

প্রাইম নাকি? দেখসেন, এটা আসলেই একটা মিরাকল...

মুস্তাফিজ এর ছবি

জয় হোক

...........................
Every Picture Tells a Story

Shizumu Wabishii Tawakemono [অতিথি] এর ছবি

দারুণ সমাপ্তি....!
কিন্তু কাজটা একদম ঠিক করেন নি.....বললেন "গল্পটা ভালই লম্বা"....আমি ত এক নিশ্বাসে শেষ করে ফেললাম!! কতদিন ভাল একটা বাংলা সাই ফাই পড়িনা জানেন? এরকম চমত্‍কার একটা শুরু তারপর হটাত্‍ ব্রেক কষলে কেমন লাগে ?? ঠিকানা জানা থাকলে আপনার মাথায় কয়টা গাট্টা মেরে আসতাম ! আরও পর্ব চাই!!

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

পাঠুদার সাথে একমত। আসলেই এত সংযমী লেখা সহসা দেখি না।
বিজ্ঞান কল্পকাহিনী মানে টুইস্টফুইস্ট দিয়ে, মিনিমাম একটা অ্যাকশান দিয়ে, একটা পূর্ণাঙ্গ কাহিনী তৈরি না করে ছাড়া হয় না।
আপনারটা গল্প পড়ে মনে হল, অতি শক্তিমান এক লেখকের মুচকিহাস্য দেখতে পেলাম মাত্র...
অনন্য গল্পের জন্য সাধুবাদ।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সাবিহ ওমর এর ছবি

ভাইয়েরা আমার, এইভাবে আমারে গাছে তুলতেসেন, আপনাগো মতলবটা কি? খাইছে

নীল রোদ্দুর এর ছবি

সন্দেহ নেই, লেখা ভালো হয়েছে... কিন্তু আমরা বারে বারে জাফর ইকবাল স্যারের বৃত্তে আটকে যাচ্ছি... সাইন্স ফিকশনের জগতে নতুনত্ব চাই। জাফর ইকবাল স্যার কি করতে পারেন তা স্যারই দেখিয়ে দিয়েছেন। আমাদের সেই অনুকরণে চললে হবে না... হয়ে উঠতে হবে একেকজন আলাদা আমি।.
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ভালো লাগলো। ফিনিশিং টাচ টা জটিল, মানে বেশি জটিল। সাই-ফাই আমি পড়না, কিন্তু পড়লাম।

ধন্যবাদ অনেক।

===============================================
রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে
(আকতার আহমেদ)

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

মূলত পাঠক এর ছবি

মতলব আর কী, আপনেরে দিয়া আরো সাইফাই লিখানো, আর মুফতে পড়া। হাসি

লিখতে থাকেন।

তুলিরেখা এর ছবি

চমৎকার গল্প!
অনেকদিন পরে এমন লেখা পড়লাম। অভিনন্দন লেখক।
আমি ভেবেছিলাম যার্কি র নাম দেবেন হিবরিয়েল আর সুহানের বাবার নাম লুমিনাস! হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

যুধিষ্ঠির এর ছবি

অতি চমৎকার সাইফাই! আপনি দেখি পুরোদস্তুর একটা ছুপা-রুস্তম।

এইবার সমালোচনা করি। নাহ, গল্পে সমালোচনা করার কিছুই নেই। তবে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় আর অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলো "দৃষ্টি আকর্ষণ" অংশটা। আপনার মত লেখকের নিজের লেখার ব্যাপারে আরও কনফিডেন্স থাকা জরুরী। ঐ অংশটা ঘ্যাচাং দ্যান, তারপর আমি এসে পাঁচতারা দিয়ে যাবো। দেঁতো হাসি

আরেকটা কথা, কিছু ভালো সমালোচনা এসেছে ওপরে জাফর ইকবালের প্রভাব ইত্যাদি নিয়ে। সেগুলো শুনবেন অবশ্যই, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে লেখা বন্ধ করে দেবেন না। এটা আমি সব নতুন লেখককেই বলি (আপনি কি আসলেই নতুন লেখক? চিন্তিত )। প্রচেষ্টা থাকুক নতুন কিছু করার, মাথায় ভাবনাটা থাকুক অন্য কারো প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসার, কিন্তু সম্পূর্ণ নতুনত্বে পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত যেন ট্রানজিশনাল লেখাগুলোও আসতে থাকে। না হলে আর ব্লগ আছে কী জন্য?

আর তাছাড়া আপনার এই লেখায় আমার কাছে জাফর ইকবালের প্রভাব কমই মনে হয়েছে। এটা কি হতে পারে যে আমরা পাঠক হিসেবে জাফর ইকবাল ছাড়া অন্য কোন সাইফাই খুব একটা পড়িনা দেখে ধরে নিয়েছি যে কোন সাইফাই লেখাতেই উনার প্রভাব থাকবে?

সাবিহ ওমর এর ছবি

যথাসম্ভব কম জাফর ইকবালিয় করার চেষ্টা যে একেবারে করি নাই তা না। কিন্তু ফিউচারিস্টিক ব্যাপার-স্যাপার একেবারে নতুন করে ভাবতে গেলে প্যাঁচ লেগে যায়, গল্পে আজাইরা ডিটেল বেশি চলে আসে।

শুরুতে ভণিতা দেবার উদ্দেশ্য আপনি ঠিকই বুঝতে পেরেছেন। ওটা করলে নতুন লেখকদের পোস্টে কিঞ্চিত হিটবৃদ্ধি হয় বলে আমার ধারমা। অনেক মানুষ পড়বে এই আশায়ই তো ব্লগে লেখা। আর কনফিডেন্স জিনিসটা আমার জিন থেকে খুব যত্ন করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মনে হয়। তবে এই লেখাটা (আর আপনাদের দয়ার্দ্র মন্তব্য) মনে হয় কিছুটা হলেও সচলে আমার কনফিডেন্স আর ফেস ভ্যালু তৈরি করেছে খাইছে

আর সম্পাদনক্ষম হওয়ায় ওই অংশটা ঘ্যাচাং করতে পারছি না মন খারাপ

যুধিষ্ঠির এর ছবি

মানে সম্পাদন-অক্ষম বলতে চাইলেন... কিন্তু আমার তো ধারণা ছিলো হাচলরা নিজেদের লেখা সম্পাদনা করতে পারেন। আমি তো মনে হয় হাচল অবস্থায় আমার "শত শত" লেখার কোন একটা সম্পাদনা করেছি দেঁতো হাসি । আরেকবার দেখুন তো ভালো করে, অপশনটা আছে কী না। না থাকলে আর কি করা, এমনিতেই পাঁচ দাগিয়ে যাবো হাসি

সাবিহ ওমর এর ছবি

আংরেজি বলে যে!
"You do not have sufficient wrokflow permission to edit."
তবে আপনার নামের পাশে ৫ লিখে রেখেছি, না দিলেও ক্ষতি নাই...

সিরাত এর ছবি

সম্প্রতি কিছু দারুণ স্পেস অপেরা পড়ছি, সেগুলি সম্পর্কে আমার ব্লগে লিখসিও। পইড়া দেখতে পারো; আরেকটা ধারা হয়তো আসবে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মুগ্ধ হলাম। সত্যি আপনার নিয়মিত পাঠক হয়ে গেলাম।
দেরিতে পড়েছি বলে আফসোস হচ্ছে। দ্রুত আরো লেখা ছাড়েন। হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সুমন চৌধুরী এর ছবি

চলুক

নজরে পইড়া গেলেনগা আমার ...



অজ্ঞাতবাস

তানভীর এর ছবি

ভালো, তবে এটাকে মনে হয় আরো বড় করতে পারেন। সবে তো প্রথম দিনের গল্প শোনালেন, এরকম আরো কয়েকটা দিনের গল্প দিয়ে বড় গল্প বা উপন্যাস খাড়া করে ফেলতে পারেন। অনেক পাঠকও পাবেন।

ওডিন এর ছবি

চমৎকার! কিন্তু আমারও মনে হলো যেন একটু তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেলো।
যাই হোক- অপেক্ষায় থাকলাম। হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অতিথি লেখক এর ছবি

সায়েন্স ফিকশনের একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে আপনাকে উপন্যাস লিখতে অনুরোধ করছি। নিজের স্বতন্ত্র ভঙ্গিতে লিখুন। এই ক্ষুদ্র পাঠকের মনে হচ্ছে,নিজের মত করে মানসম্মত সায়েন্স ফিকশন আপনি লিখতে পারবেন। আর হ্যাঁ,জাফর ইকবাল বা অন্য কারো প্রভাব লেখার কোথায় কোথায় আছে,তা খুঁজে নিয়ে প্রভাব মুক্ত হবেন,আশা রাখি। শুভ কামনা রইল।
আমার ছেলেবেলা কেটেছে জাফর ইকবালকে নিয়ে। আমার বাচ্চার ছেলেবেলা জাফর ইকবালের সাথে সাথে আপনাকে নিয়েও কাটবে, এটাই প্রত্যাশা।ভাল থাকবেন।
-স্নিগ্ধা করবী

সাবিহ ওমর এর ছবি

ইয়ে আমার না স্ট্যামিনা খুব কম। প্রাণান্তকর চেষ্টায় একটা দু'টা গল্প বা কোবতে লিখে ফেলি শুধু সচলে বাহবা পাবার আশায়। এভাবেই চলুক না...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, পাঁচ দাগাইলাম, আগুন ধরাই ফালাইসো, পুরাই পাংখা, এইটার কি সিকুইলি চলবে নাকি? কেমন যেন স্যাটায়ার স্যাটায়ার গন্ধ পাইলাম, আমি কি ভুল বুঝলাম? বেশ কিছু টাইপো আছে, মাগার খুব আরাম পাইছি লেখাটা পইড়া।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাবিহ ওমর এর ছবি

নারে ভাই স্যাটায়ার জিনিসটা আমার আসে না (আমি খুপ ভাল্লুক)। আর টাইপো তো আমার ভাইপো।
পাঁচতারার জন্য ধন্যবাদ। আপ্নে সচল হওয়ায় এই এক লাভ হৈসে খাইছে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

খেকজ, আমি কি দিমু, আমার আগেই ১০ জনে দিয়া গেছে, তাতেই বুঝা যায়, আমি দিলেও যা না দিলেও না, তবে লেখাটা দারুন হইছে, পরের পর্ব কবে আইবো?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নাশতারান এর ছবি

পড়তে পড়তে মনে হয়েছে আমরা আসলে অবপৃথিবীর বাসিন্দা। আপনি কি তেমনটিই বোঝাতে চেয়েছেন?
গল্প দারুণ লেগেছে। জাফর ইকবাল স্যারের প্রচ্ছন্ন একটা ছায়া থাকা স্বাভাবিক। ওগুলো পড়েই তো কল্পবিজ্ঞানজগতে চোখ ফুটেছে আমাদের। তবে আপনার লেখার স্বাতন্ত্র্য এর ভাষার বুনটে যেটা আমি স্যারের লেখায় খুঁজে পাচ্ছি না ইদানীং।
আপনি লিখতে থাকুন জোরেসোরে। আপনার কাছ থেকে এমন আরো গল্প পাবার আশা রাখছি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাবিহ ওমর এর ছবি

হ।
কি করসিলেন আপনি আসল পৃথিমীতে? চুরি? ডাকাতি? খুন? রেপ? খাইছে

নাশতারান এর ছবি

আসল পিথিমীর স্মৃতি কি থাকার কথা? ইয়ে, মানে...
নিজের জড়বুদ্ধি থেকে অনুমাণ করতে পারি, আসল পিথিমীতে কোন গর্হিত জ্ঞানপাপ করেছিলাম যে কারণে আমার মস্তিষ্ককে নিষ্ক্রিয় করে পাঠানো হয়েছে অবপৃথিবীতে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বইখাতা এর ছবি

সাই-ফাইয়ের আরেকজন লেখক পাওয়া গেল। খুবই আনন্দের ব্যাপার !
গল্প ভালো লেগেছে। তবে হুট করে শেষ হয়ে গেল মনে হয়। ঠিক প্রত্যাশা পূরণ হলো না।
সাই-ফাই লেখা থামাবেন না কিন্তু !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।