অ্যামেরিকা ভ্রমণঃ লিবার্টি ও এলিস আইল্যান্ড

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৭/২০১১ - ৮:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকা শহরে বেড়াতে আসলে মিরপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়া ফরজ, নিউইয়র্কের ক্ষেত্রে সেটা স্ট্যাচু অফ লিবার্টি। ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনকে তাই এইজন্য বরাদ্দ রাখা হলো। প্রথম দিন অনেক রাত পর্যন্ত শহর ঘুরা হয়েছে, তাই সকালে ফেরি ছাড়ার আগে ঘুম থেকে উঠতে পারব কিনা ব্যাপারটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত ছিলো। প্রসিদ্ধ গবেষক মাহদি ব্যাপারটা থেকে ননডিটারমিনিজম পুরোটা মুছে ফেলতে, সকাল হতে না হতেই তার বিদঘুটে অ্যালার্ম বাজিয়ে সবাইকে খুনে মেজাজে ঘুম থেকে তুলে ফেলে।

স্ট্যাচু অফ লিবার্টি লিবার্টি আইল্যান্ডে, সেখানে যাবার ফেরী ধরতে হয় ম্যানহাটানের একেবারে তলায় থাকা ব্যাটারি পার্ক থেকে। ব্যাটারি পার্কে অ্যামেরিকার প্রতীক ন্যাড়া ঈগল (Bald Eagle) এর একটা ভাস্কর্য বসানো আছে। আর আছে বিভিন্ন যুদ্ধে প্রাণ হারানো অ্যামেরিকান সৈন্যদের নাম খোদাই করা বেশ কিছু কলাম।

Bald Eagle in Battery Park

যথারীতি হেলেদুলে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে ফেরীঘাটে গিয়ে হাজির হয়ে দেখলাম বিশাল লাইন, এতই বিশাল যে লাইনের শেষ মাথায় দাড়ালে আমাদের পালা আসতে কয়েক ঘন্টা লেগে যাওয়া বিচিত্র না। অনলাইনে টিকেট কাটা ছিলো, সেটা দেখাতে ভোজবাজির মত কাজ হয়, আলাদা একটা ছোট লাইনে দাড়ানোর সুযোগ মিলে যায়।

ফেরীতে উঠে রেলিং ঘেষে দাঁড়িয়ে চারপাশ দেখতে লাগলাম, বাতাসের তোড়ে মাথার টুপি উড়ে যাচ্ছিলো, তাই ভয় পেয়ে সমস্ত বস্ত্রখন্ড কষে এটে পর্যটনে মন দিলাম। দুই কিশোর জায়গা না পেয়ে চাপাচাপি করতে করতে পারলে আমার গায়ের উপর উঠে পড়ে। অসভ্য দেশ, বাচ্চাকাচ্চাদের সপাটে চড় বসিয়ে দিয়ে আদবকায়দা শিখানোর কোন উপায় নেই, তাই এদের উৎপাৎ সহ্য করতে হলো।

লিবার্টি আইল্যান্ডের কাছাকাছি আসতে থাকলে দেখতে পেলাম দুইটা প্লেন আইল্যান্ড ঘিরে চক্কর দিচ্ছে, তারা চলে গেলে এই দ্বায়িত্ব নিচ্ছে সীগালেরা। মনে হচ্ছিলো হাতে মশাল নিয়ে যেন তাদের উদ্দেশ্যে ক্রমাগত ডাক পাঠিয়ে যাচ্ছে ভদ্রমহিলা।

Statue of Liberty

Statue of Liberty

সামনে থেকে দেখলে দ্বীপটাকে বেশ বৃত্তের মত মনে হয়। একটু দূরে তাকালে ম্যানহাটানের স্কাইলাইন।

Statue of Liberty

Statue of Liberty

দ্বীপে নেমেই নাফি হাওয়া হয়ে গেলো এই স্কাইলাইনের ছবি তুলার জন্য, এলিস আইল্যান্ডের ফেরী ধরার আগে আর তার দেখা পাওয়া গেলো না। ছবি তোলার প্রতি এই ডেডেকেশন দেখে বুঝতে পারি, ছেলে বড় হয়ে বড় ফটোগ্রাফার হবে। বাকি তিনজন এগোই স্ট্যাচু অফ লিবার্টির পাদদেশে। আমরা ক্রাউন টিকেট কিনিনি, তাই নীচ থেকে দেখাই সার।

অনেক পর্যটক, সবাই ছবি তোলায় ব্যাস্ত। এক দম্পতির অনুরোধে তাদের ছবি তুলে দিয়েই সটকে পড়ি, সাধারনত আমার তোলা ছবি অন্যের পছন্দ হয় না, তাই কী দরকার নীরব ঝাড়ি খাওয়ার!

চড়া রোদের মাঝে এক বয়স্ক ভদ্রমহিলা বগলে একটা বই আর আরেকহাতে একটা মশাল নিয়ে বছরের পর বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে, সেটা আর কত দেখা যায়। তাই তার দিকে পিছন ফিরে এবার নদীর বুকে তাকাই। দ্বীপের কিনারটা বোল্ডার দিয়ে ঘিরে রাখা, রেলিং এ হেলান দিয়ে সামনে চোখে পড়ে নানা কিসিমের জলযান। এর মাঝে একটা দেখে চোখে পট্টি বেঁধে ক্যাপ্টেন হয়ে যেতে ইচ্ছা করে।

Liberty Island

দ্বীপ জুড়ে সীগালদের রাজত্ব। নানা কায়দায় উড়ে বেড়াচ্ছে, মাঝে মাঝে ডাইভ দিয়ে প্রায় গায়ের উপরই উঠে পড়ছিলো। অল্প একটু বিরক্ত হয়ে ভাবি, জীবনানন্দ নিশ্চয় এই দশায় পড়েই “হায়, চিল সোনালি ডানার চিল, তুমি আর ঘুরে ঘুরে উড়ো নাকো...” লিখেছিলেন। টেক্সানত্রয়ীর প্রত্যেকের হাতে সেইরকম ক্যামেরা, তারা মাটিতে শুয়ে, বাতাসে উড়ে যে যেভাবে পারে সীগালের ছবি তুলতে থাকে। আমিও আমার সেলফোনের ক্যামেরা দিয়ে কয়েকটা শট নিয়ে নেই।

Liberty Island

ততক্ষণে নাফি ফিরে এসেছে, এলিস আইল্যান্ডে যাওয়ার ফেরিও হাজির। ফেরিঘাটের উপর সীগালদের রাজত্ব। ফেরী মিস হয়ে যাওয়ার একটা চান্স দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত জায়গা মিলে।

Liberty Island

এলিস আইল্যান্ডের মাহাত্ম্য হচ্ছে এক সময় এই দ্বীপ হয়েই অভিবাসীরা অ্যামেরিকায় প্রবেশ করতো। শুরুতে এখানে এসে সবাই জড়ো হত, যাচাই বাছাই এবং কাস্টমসের ঝামেলা শেষ হলে মূল ভূখন্ডে প্রবেশের অনুমতি মিলতো। কে না জানে একদা অভিবাসীদের নিয়েই আজকের অ্যামেরিকা, তাই তাদের সম্মানে ওই দ্বীপে একটা জাদুঘরও আছে। সেখানে অভিবাসীদের সাথে করে নিয়ে আসা বাক্স-পেটরা সাজিয়ে রাখা।

Museum in Ellis Island

মিউজিয়ামে কিছু শো হয়, কিন্তু ততক্ষণে ক্ষুধায় পেট চো চো করছে, তাই সিদ্ধান্ত নেই দ্বীপের চারপাশটা একটু ঘুরে দেখে ফিরে যাওয়ার। ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, আর তাই মাহদী আর নাফি আবারো উঠে পড়ে লাগে ম্যানহাটানের স্কাইলাইনের ছবি তোলার। মঈনের ক্যামেরার লেন্স কোন ফাঁকে পানি খেয়ে বসে আছে, তাই সে এবার সেলফোন কানে লাগিয়ে নেয়। আমি এগোই শুয়ে থাকার জন্য একটা বেঞ্চের সন্ধানে। পথে চোখে পড়ে কয়েকটা ভাস্কর্যের দিকে। প্রথমটা দেখে মনে হলো নিজেই দাঁড়িয়ে আছি, এইরকম দুইটা পোঁটলা নিয়েই তো এই মুল্লুকে পা রেখেছিলাম।

Statue in Ellis Island

Statue in Ellis Island

আরেকটু এগোলে দেখতে পেলাম একটা বলের উপর বসে আছে এক নিঃসঙ্গ সীগাল, পেছনের গাছের বিচিত্র সবুজ আর এক চিলতে আকাশকে ফ্রেমে রেখে। আরেক দাশ (জীবনানন্দ) হলে নিশ্চিত বগল থেকে খাতা আর কানের ফাঁক থেকে কলম বের করে তখনি গাঙচিল নিয়ে একটা কবিতা ফাদতে বসে যেতো।

Seagull in Ellis Island

সিটিতে ফেরার প্রথম ফেরী মিস করে মেজাজ খারাপ করে মিউজিয়ামের সামনের ঘাসের চত্বরে শুয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। একটু পরে আবার লাইনে এসে দাড়াই। একটু পরে খেয়াল হলো টুপিটা আগের ঘাসের চত্বরে ফেলে এসেছি, ওইখানে গিয়ে দেখি এক/দুই বছর বয়সী এক পিচ্চি তার মাথায় আমার টুপিটি চড়িয়ে দিয়ে বেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। পিচ্চির মায়ের সহায়তায় অবশ্য টুপিটা উদ্ধার হয়।

হঠাৎ জোড়ালো হাততালির শব্দ শুনে ফিরে দেখি, ইউএস নেভীর কয়েকজন সাদা ইউনিফর্ম পড়ে আমাদের পাশ দিয়ে ফেরীর দিকে এগোচ্ছে। নিউইয়র্ক ট্যুরের পুরোটা জুড়ে এই ব্যাপারটা বেশ খেয়াল করলাম, আমার মনে হলো অ্যামেরিকানরা যুদ্ধ ব্যাপারটাকে মনে হয় বেশ সম্ভ্রমের চোখেই দেখে।

নেভীদের দেখেই কিনা বেশ জঙ্গীভাব চলে আসে নিজেদের মাঝে, এবার তাই আমাদের ফেরীতে উঠা আর কেউ ঠেকাতে পারে না। রওয়ানা হই নিউইয়র্ক সিটির দিকে।


মন্তব্য

তারাপ কোয়াস এর ছবি

ভ্রমণ কাহিনী ভালো লাগলো।
আর ছবিগুলা গতানুগতিক না, ভাল লেগেছে।(সামান্য এক্টু যদি ঘষা দিতেন(ফটুশপে, মনে হয় আরও ব্যাপক হতো হাসি


love the life you live. live the life you love.

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
ছবিগুলো আইফোনের ক্যামেরা দিয়ে তোলা, দিনের আলো যথেষ্ট থাকলে এই ক্যামেরার পারফরম্যান্স খারাপ না। ফটুশপের কাজ পারি না, এখনো সত্যিকারের ক্যামেরা নেই, তবে ছবি তোলার শখ আছে। একদিন একটা ক্যামেরা কিনে তাক লাগানো ছবি তুলে বেড়াবো, এই রকম একটা ইচ্ছা আছে চোখ টিপি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তিথীডোর এর ছবি

এখনো সত্যিকারের ক্যামেরা নেই, তবে ছবি তোলার শখ আছে। একদিন একটা ক্যামেরা কিনে তাক লাগানো ছবি তুলে বেড়াবো, এই রকম একটা ইচ্ছা আছে

হ। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

(গুড়)

ছবিগুলো দারুণ।

সজল এর ছবি

সকল প্রশংসা আমার আইফোনের B-)

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ফাহিম হাসান এর ছবি

আজকে সচলের প্রথম পাতা পুরাই ভ্রমণায়তন - মুস্তাফিজ ভাইয়ের টাইগারনেস্ট থেকে শুরু করে লালবাগ কেল্লা, আল্পস, আপনার আমেরিকা। মাঝখানে পোয়াখানেক ইতালি আর মিউনিখ বচন। পড়তে ভালোই লাগছে তবে ঘরের মধ্যে বসে থাকতে থাকতে হিংসিত হচ্ছি।

ছবিগুলো বেশ ভালো এসেছে। তবে আপনার স্বভাবসুলভ কৌতুকটা মিস করলাম।

অপছন্দনীয় এর ছবি

বলেন কি? মঈনের লেন্সে পানি ঢুকে গেছে বলে সে সেলফোন কানে লাগিয়ে নিয়েছে - এই লাইন পড়েই তো আমি কুপোকাত...

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
অস্থিরতার মাঝে আছি, এই লেখাটা হচ্ছে ডেসপারেট ডাইভারশন। আজকের রেসিপি ছিলো শুরুতে ছবি বাছাই, তার পর ছবিগুলোকে আঠা দিয়ে জোড়া লাগানোর জন্য কিছু গদ্য।
সাথেই থাকুন, চোখ রাখুন পরবর্তী ব্লগে চোখ টিপি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অপছন্দনীয় এর ছবি

দারুণ ছবি দেঁতো হাসি

সজল এর ছবি

B-)
দোয়া রাখবেন চোখ টিপি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ছবি দেখেই তৃপ্তি মিটাই মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সজল এর ছবি

কী আছে জীবনে, দিন পনেরোর জন্য অ্যামেরিকা ঘুরেই যান।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

আশালতা এর ছবি

ঘরের কোণায় থেকে আম্রিকা ভ্রমন পড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া উপায় নাই। কিন্তু ছবিগুলো অবিশ্বাস্য সুন্দর। সিগাল, পালতোলা জাহাজ আর বলের ওপর বসা পাখি- অপূর্ব! হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

সজল এর ছবি

আম্রিকা ভ্রমণ পারলে করে যান, না হলে আশে পাশেই ঘুরে বেড়ান হাসি । সিগাল (গাঙচিল) এর ছবিটা আমারো বেশ পছন্দের।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

চলুক

সজল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

(গুড়) চমৎকার ছবিগুলো.................... চলুক

অটঃ মন্তব্যের সময় আর ক্যাপচা দেওয়া লাগছে না দেখছি, সম্মানিত সচল কর্তৃপক্ষকে কী বলে যে ধন্যবাদ দিব!!! এখন আরো কম সময়ে কম ঝামেলায় মন্তব্য করা যাবে, অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি হল পদক্ষেপটি......... হাসি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মুস্তাফিজ এর ছবি

দু মাস আগে একবার আমেরিকা ভ্রমণের সূযোগ মিলেছিলো, নানা ঝামেলায় যাওয়া হয়নি। এখন ছবি দেখে আশ মেটাই।

...........................
Every Picture Tells a Story

সজল এর ছবি

আপনি যেসব জায়গায় ঘুরে বেড়ান, তার কাছে অ্যামেরিকার এইসব শহুরে জিনিস কিছুই না, তবু সুযোগ মত ঘুরে যান একবার।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তানিম এহসান এর ছবি

আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা আঙ্গিক থেকে তুলে এনেছেন, আমার মনে পড়েনা আগে কোন লেখায় সি-গাল কিংবা অভিবাসীদের প্রসঙ্গ এনেছে কিনা। ষ্ট্যাচু অব লিবার্টির অগণিত ছবি দেখেছি, তবে খুব করে গেঁেথ গেলো অভিবাসীদের নিয়ে দুটো মূর্তি, বিশেষ করে দ্বিতীয়টি দীর্ঘ মনোযোগ নিয়ে নিলো।

আপনিতো ভাই ভিন্নভাবে দেখতে পারা মানুষ, চমৎকার লাগলো!

সজল এর ছবি

মনোযোগী পাঠের জন্য ধন্যবাদ তানিম।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নৈষাদ এর ছবি

চলুক . ছবি দেখেই তৃপ্তি মিটাই (কপিরাইটঃ নজরুল ইসলাম)।

সজল এর ছবি

দেঁতো হাসি সুযোগ মত ঘুরেও যান।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

পাঠক nirbashito pothik এর ছবি

বেশ ইনফরমেটিভ লিখা। চালিয়ে যান আপনার অভিযান। চলুক

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ পথিক হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

বন্দনা- এর ছবি

গতবছর ঘুরে আসলাম, বর্ণনা তাই চোখের সামনে ভাসছে যেন। ছবিগুলো ও খুব ভালো লেগেছে।

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ বন্দনা

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বেশ লেখা। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে বিভিন্ন দিক থেকে ঘুরায়ে ঘুরায়ে দেখতে তো অনেক ভালো লাগছে! হাসি
দুইটা বোচকা নিয়া এইটা তাইলে আপনি? চোখ টিপি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সজল এর ছবি

ফেরী ঘুরে ঘুরে যাচ্ছিলো, সাথে ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল। একটা ক্লোজ ছবি দেয়ার ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু কালেকশন ঘেটে দেখলাম তাতে আমাদের কারো না কারো খোমা দেখা যাচ্ছে।
সঠিক ধরেছেন, বোচকাওয়ালা লোকটাই আমি। বেশ হ্যান্ডসাম না?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হুম। যথেষ্ট হ্যান্ডসাম। দেঁতো হাসি
যদিও আমি কালো বা শ্যামলা ছেলে পছন্দ করি, তবু আপনাকে একটা ফেয়ার এন হ্যান্ডসাম গিফট করবো ভাবসি। চোখ টিপি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সজল এর ছবি

নাহ এই কালারই ভালো, যথেষ্ট আলো থাকলে দশজনের মাঝে আলাদা হিসেবে চোখে পড়া যায় দেঁতো হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মৌনকুহর. এর ছবি

চমৎকার, সজল ভাই। চলুক হাততালি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ মৌনকুহর হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

The Reader এর ছবি

আপনি তো ভাই বেশ কিপটে ! টুপি টা বাচ্চা টা কে দিয়ে দিলে কি ক্ষতি টা হতো ? মিয়া বড় হন আর হিংসুটে পনা বাদ দেন খাইছে

সজল এর ছবি

হে হে, আসলে হঠাৎ করে বেকায়দা অবস্থায় পড়ে গেছিলাম। আর আমার অভিজ্ঞতা বলে এইসব ক্ষেত্রে বাচ্চাদের গার্জিয়ানরা এই দিয়ে দেয়াটা পছন্দ করে না। আর বড় হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।