এক সদ্য হাচলের টুকরো কথা...

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নখুঁজি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০৭/২০১২ - ৫:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গরু, নৌকা ভ্রমণ, আমার জীবনের লক্ষ্য, বনভোজন, সময়ের মূল্য, প্রিয় ঋতু এরকম আরও কত কি। এগুলো খায় নাকি মাথায় দেয় ? এমনটি মনে হবার কথা নয়, কারণ ছোটবেলায় এইসব রচনা কে পড়েন নাই একটু হাত তুলেন তো দেখি।

গরু তো বাড়িতেই ছিল। সামনে দিয়ে সবসময় ঘুরঘুর করছে, ঘাস খাচ্ছে, লেজ নাড়াচ্ছে। তাকে নিয়ে তো আমি অনেক কিছুই জানি। আমাদের রাখাল ছেলেটা গরুগুলোকে মাঠে নিয়ে যায় ঘাস খাওয়াতে, কথা না শুনলে হাতের ছড়িটা দিয়ে পিট্টি দেয়, মাঝে মাঝেই পুকুরে নামিয়ে দেয় গরুগুলোকে গোসলের জন্য। দাদিকে দুধ দোয়াতে দেখি। কিন্তু পরীক্ষার খাতায় কি আর এসব লেখা যায় ! তাহলে কি করতে হবে? আমাকে গরুর রচনা মুখস্থ করতে হবে। যার শুরুটা হবে এরকম, গরু একটি গৃহপালিত প্রাণী......। সেটা আবার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হতে হবে। থাকবে হবে সূচনা/ভূমিকা, বর্ণনা, উপকারিতা, অপকারীতা, উপসংহার ইত্যাদি। এসব নিয়ম না মানলে কিন্তু একেবারে ধরা, মার্কস এর ক্ষেত্রে ডাব্বা পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।

আমার জীবনের লক্ষ্য যাই হোক না কেন, পরীক্ষার খাতায় রচনায় আমাকে ডাক্তার হতেই হবে মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে। নৌকা ভ্রমণ তো কতই করেছি সেই বয়সে । বাড়ির সামনে নদী , মামাবাড়ি গেলে নদিতে বেশ কিছুটা পথ যেতে হয়। তাই নৌকা ভ্রমণের কতশত স্মৃতি। কিন্তু সেগুলো কি আর রচনায় লেখা যায়। রচনায় লিখতে হবে সুন্দর করে। যা করেছি তার অনেক কিছুই লেখা যাবে না , আবার যা কিছু হয় নাই সেগুলোও হওয়াতে হবে খাতায়। কি মুশকিল !

বনভোজনে কতবার পোড়া খিচুড়ি খেয়েছি, কতবার গোসত টেনে ছিঁড়তে পারি নাই সেগুলো তো লেখা যাবে না আমার বনভোজন রচনায়। তাইলে তো জাত যাবে, আণ্ডা পাব পরীক্ষায়। তাই কোনও ভদ্র সভ্য বনভোজন চিত্র উঠে যায় পরীক্ষার খাতায়। যেভাবে আমি উদযাপন করেছি বনভোজন সেভাবে যেহেতু লেখা যাবে না তাহলে তো রচনা মুখস্থ করা ছাড়া গত্যন্তর নাই।

প্রিয় ঋতু কেন সবসময় বসন্তই হতে হবে সেটা তখন বুঝি নাই। আমার যদি ভাল লাগে বর্ষা কিম্বা শীত সেটা বলা যাচ্ছে না। কোন এক নামী বা অজ্ঞাতনামা লেখকের প্রিয় ঋতু যেটা সেটাই হয়ে যাচ্ছে আমার প্রিয় ঋতু। এভাবে ছোটবেলা থেকেই হারিয়ে যায় নিজস্ব ভাবনা , অনুভূতি। কারণ সেগুলো মনের মণিকোঠা থেকে খাতা বা ডায়রির পাতায় স্থান পায় না। কারণ বাস্তব জীবনে নাই তার কোন উপকারিতা। যাপিত জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়েই লিখতে হচ্ছে কিন্তু শিখছি অন্যেরটা, লিখছি অন্যেরটা। নিজের বলে আর কিছু থাকছে না।

এভাবেই গ্রামের আর পাঁচটা বাচ্চাদের মতই আমার ছাত্রজীবনে বেড়ে ওঠা। অন্যদের মতই শিখছি, রচনা মুখস্থ করছি, পরীক্ষার হলে সেই রচনা কমনও পড়ছে আর হড়হড় করে কলম দিয়ে বমি করে দিচ্ছি। ফলাফল দিলে দেখা যাচ্ছে ভাল মার্কসও পাচ্ছি। শুধু হারিয়ে যাচ্ছে নিজস্বতা। এরকম কোন এক সময় আমাদের স্কুলের মাঠে বড়সড় মেলা শুরু হল। অনেক আয়োজন করে মেলার প্রচার হচ্ছে। মেলার অনেক কিছুর সাথে আছে পুতুল নাচ। সেটার কথাও মাইকে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। আমি আর আমার দেড় বছরের বড় আপা বাড়িতে বায়না ধরলাম, পুতুল নাচ দেখতে যাব। কিন্তু আব্বা-মা কিছুতেই যেতে দিচ্ছে না। আমরা তো মহা বিরক্ত, পুতুল নাচ যদি ছোটদেরই দেখতে দেয়া না হয়, তাইলে দেখবে কে। মন খারাপ করে বসে রইলাম। পরে কারও একজনের মাধ্যমে শুনলাম এই পুতুল নাচের পুতুলগুলো নাকি জ্যান্ত মানুষ পুতুল। আমিতো যারপরনাই অবাক। এজন্যই আব্বা-মা যেতে দিতে রাজি হচ্ছেন না।

মেলার জন্য কিন্তু স্কুল বন্ধ ছিল না । কারণ স্কুলের বড় মাঠটা স্কুল বাউন্ডারির বেশ বাইরে দিকে ছিল। পরদিন স্কুলের স্যার হঠাৎ কি মনে করে বললেন, পরেরদিন স্কুল-মাঠে যে মেলা হচ্ছে তার উপর কিছু লিখে নিয়ে আসতে। আমরা তো আকাশ থেকে পড়লাম। নিজে নিজে লিখতে হবে !! এবার কম্ম সারা। বাড়ি গিয়ে তো বাংলা ব্যাকরন বইয়ের রচনা অংশে ঘাটাঘাটি করছি, যদি মেলা নিয়ে কোনও রচনা পাওয়া যায়। পেয়েও গেলাম। সেখান থেকে বেশ কিছু অংশ খাতায় লিখে ফেললাম। লিখতে লিখতে হঠাৎ করে মেলায় পুতুল নাচ দেখতে না পাওয়ার বেদনা থেকে নিজের মত করে দুই প্যারা লিখে ফেললাম। এই প্রথম মনে হয় নিজের মত করে বেশ কিছু অংশ লেখা।

আমার ওই সময়ের সব কীর্তিকলাপের সাক্ষী বড় আপাকে লেখাটা দেখালাম। আপাকে বলেছি রচনা বই থেকে লিখেছি। আপা পুরাটা পড়ে বলল , ভাল হয়েছে। আর নির্দিষ্ট দুটি প্যারা দেখিয়ে বলল, এই দুটি প্যারা সবচেয়ে ভাল হয়েছে। আমি দেখলাম আমার নিজের মত করে লেখা অণুচ্ছেদ দুইটির কথাই বলছে আপা। আমি যে এত খুশি হয়েছিলাম সেদিন যে কি বলব। আপাকেও যখন বললাম যে এ অংশটুকু আমি বই থেকে নেইনি, নিজের মত করে লিখেছি, তখন আপাও অনেক খুশি হল। আর আমি’তো বাকবাকুম।

এরপরে তো যাই দেখি তা দিয়েই দু লাইন মিলিয়ে ছড়া বানিয়ে ফেলি। ছোট একটা ডাইরি দিয়েছিল কে জানি। সেটা ভরে গেল ছড়ায় ছড়ায়, যদিও সেগুলোকে আদৌ ছড়া বলা যাবে কিনা সেটা সন্দেহ। আমার চাচা তখন ঢাকায় চাকরি করেন। কিভাবে যেন তাঁর কানেও চলে গেল আমার এই প্রতিভা !! তিনি পরের বার যখন বাড়ি আসলেন আমার কাছ থেকে ছড়াগুলো নিয়ে পড়লেন। তারপর আমাকে বললেন সেগুলো অন্য-কাগজে আরেকবার লিখে তাকে দিতে। যথাসময়ে চাচা ঢাকা চলে গেলেন। কিছুদিন পর একটা একটা খাম হাতে পেলাম। খামের মধ্যে দেখি আমার লেখা ছড়াগুলো ছাপার অক্ষরে। না সেগুলো কোনও প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয় নাই। আমার চাচা বসে বসে সবগুলো ছড়া টাইপ করেছে। তারপর নিজেই সেগুলো অফসেট কাগজে প্রিন্ট করে বইয়ের মত করে বাঁধাই করে আমার জন্য পাঠিয়েছে। তখন কি চোখে জল এসে গিয়েছিল, কি জানি মনে করতে পারছি না। তবে চাচাকে ধন্যবাদ জানানো হয়নি এরজন্য । কিছু ধন্যবাদ না হয় না জানানোই থাকল।

সেই ছাপার অক্ষরে ছড়া ছাপা হবার পরে আর মনে হয় ছাপার অক্ষরে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকাশ হয়নাই। কিছু হয়ত দেওয়াল পত্রিকায় লেখা হয়েছে। ততদিনে বুঝে গেছি লেখালেখি কিছুই আসলে হয় না আমার। লেখা লেখির অভ্যাসটাও কিভাবে যেন চলে যায়। ডাইরিটা পড়েই থাকে। পাতাগুলো পুরনো হতে থাকে কিন্তু কলমের স্পর্শ পায় না। আমিও ভুলে যাই কোনও এককালে ডাইরিতে ছাইপাঁশ লিখতাম।

কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পার হয়ে চাকরিতে ঢুকেছি। সংসার শুরু হয়েছে । কাজের চাপে রোবোটিক জীবন যাপন করছি। লেখালেখি করার সময়ের তো প্রশ্নই ওঠে না। মাঝে মাঝে পেপার পড়ার মাঝে মাঝে ব্লগ পড়ি।অনেক ব্লগের মাঝে একটা অন্যরকম ব্লগ হিসাবে প্রত্যক্ষ করি সচলায়তন কে। পড়ি আর অবাক হই। এত ভাল লেখা আর লেখকেরা এত কিছু কিভাবে জানে এটা একটা বিস্ময় আমার কাছে। ভাবতাম কখনই এখানে আমার লেখা মডুদের হাত গলিয়ে পার হবে না। মাঝে মাঝে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেই একটু বড় বড় লেখা। তেমন লাইক পাইনা তবে মাঝে মাঝে সামনাসামনি কেউ কেউ উৎসাহ দেয়। তখন ভাল লাগে আবার একটু লজ্জাও পাই।

একদিন বুকে সাহস নিয়ে সচলে অতিথি লেখক হিসাবে লগ ইন করে একটা লেখা পোস্ট করেই ফেললাম। প্রথমত, ভেবেছি লেখাটা প্রকাশতো হবেই না। আর যদি হয়ও পাঠক-গন কি বলবেন। এত ভাল ভাল লেখার মাঝে আমারটা তো একেবারেই যা-তা। এতশত যখন ভাবছি কিছুসময় পর দেখি লেখাটা নীড়পাতায়। মনে আছে বেশ কিছুক্ষণ ঠায় তাকিয়ে ছিলাম ল্যাপটপ এর স্ক্রিনের দিকে। বিশ্বাস হচ্ছিল না। এর পরে একে একে আরও নয়টা লেখা প্রকাশ হয়েছে কিন্তু কোনটাই এত তাড়াতাড়ি নীড়পাতায় আসেনি।

নয় নম্বর লেখাটা প্রকাশ পাবার পর, ওই লেখাটায় আমার নিক দিয়ে কমেন্টস দিতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। তাই একটু বিরক্ত লাগছিল। ব্যক্তিগত ইমেইলটা চেক করা হয়নি দুদিন। লগ ইন করে দেখলাম জাঙ্ক এ বেশ কিছু মেইল। জাঙ্কের মেইলগুলো ডিলিট দিতে দিতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল। সচলায়তন থেকে মেইল ।আরও অবাক হলাম সেখানে লেখা সচলায়তন টিম নাকি আমাকে মিস করছে কারণ আমাকে হাচল করার পরে কিছুটা সময় পার হয়ে গেলেও আমার নিক দিয়ে এখনও লগ ইন করিনি। আমার তো চক্ষু ছানাবড়া । এই অধমকে সচলায়তন আবার মিস করতে পারে এটা তো আমার ধারনার বাইরে। আগে কোনও মেইল এসেছে কিনা খুঁজলাম , হ্যাঁ আরেকটা মেইল এসেছে আরও আগে সেখানে ছিল হাচল হবার কনফার্মেশন। সচলায়তন জীবনের একটা অংশ হয়ে উঠেছে।ইমেইলে লগ ইন দুদিন না করতে পারি কিন্তু সচলে দিনে একবারের জন্যও ঢুঁ মারি নাই এমনটা হয়নি বহুদিন।

তো, হয়েই গেলাম হাচল। সচলায়তন টিমকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর যারা কষ্ট করে মাঝে মাঝে আমার ছাইপাঁশ লেখাগুলো পড়েন তাদেরও অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা। দোয়া করবেন।


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হাচলাভিনন্দন
লেখা চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

শুভেচ্ছা রইল আরও ভাল ভাল লেখার জন্যে।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্যও শুভকামনা।

তারেক অণু এর ছবি

(গুড়) নিজের মত করেই লিখে যান, আপনার প্রকাশভঙ্গি খুব স্নিগ্ধ। চলুক

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

আপনার এই অনুপ্রেরণা পাথেয় হয়ে থাকবে। আপনার জন্যও শুভকামনা, আরও ঘুরুন, দেখুন আর আমাদের নতুন নতুন তথ্যের স্বাদ দেন।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক
অভিনন্দন...

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অভিনন্দন

কিন্তু এই লেখাটাতো প্রধান শিক্ষকের বিদায়ী ভাষণের মতো হয়ে গেলো। মানে যা কিছু হয়েছে সবকিছু মনে পড়বে খালি ফিরে আসা হবে না আর

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

পড়া আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কি জানি, কি লিখতে কি লিখে ফেলেছি। হয়ত মনের মত হয়নি। ভাল থাকবেন।

ধুসর জলছবি এর ছবি

অভিনন্দন। হাসি

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

অমি_বন্যা এর ছবি

ঝরঝরে বর্ণনা দিলেন । অনেক ভালো লাগলো । নীড়পাতায় আমার প্রথম লেখাটা এসেছিল খুব জলদি করে। তখনকার অনুভুতি আসলেই বোঝানো যাবে না। নিজের লেখা কোথাও যে প্রকাশ হতে পারে সেই প্রেরণার হাতছানি বারবার পেয়েছি সচল থেকে।
লেখার জন্য (গুড়) আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আপনিও কিন্তু বেশ লেখেন। আশাকরি তাড়াতাড়ি হাচল হয়ে যাবেন।

তাসনীম এর ছবি

অভিনন্দন। সচল থাকুন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অভিনন্দন। হাসি নিজের মতো করে লিখতে থাকুন। পাঠক হিসাবে আমরা আছি।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। পাঠক হিসাবে আপনাদের পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।। ভাল থাকবেন।

তাপস শর্মা এর ছবি

হাচলাভিনন্দন।

লেখাটা পড়লাম। খুব ভালো হয়েছে বলব না। তবে ভালো লাগছে আমার কাছে। হাসি

হাত খুলে লিখতে থাকুন ভাইডি।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আপনার কাছে ভাল লেগেছে , এটাই বা আমার কাছে কম কি । আপনারা সাথে থাকলে সামনে আরও লেখা ভাল হবে আশারাখি।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি শিক্ষাজীবনে বোধহয় মারাত্মক সৌভাগ্যবান ছিলাম। বাক্সের বাইরে যেতে পেরেছি, থাকতে পেরেছি।
বসন্তকাল রচনা লিখতে হয়নি, শীতকাল লিখতাম। তৃতীয় শ্রেণীতে আমার বোন আমার জন্য আমাদের স্কুলের উপর সত্যি সত্যি একটা রচনা লিখে দিয়েছিল। সেই রচনা পরীক্ষায় লিখে আমি প্রায় হিরো হয়ে গিয়েছিলাম।
ক্লাস এইটে স্যার রচনা লিখতে দিয়েছেন, গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ! হো হো হো কস্মিনকালে কেউ শোনেনি এইরকম রচনার কথা! শিরোনামই তো বুঝি না! আমি স্যারকে জিজ্ঞাসা করলাম, কী বিষয়ে লিখতে হবে? স্যার বললেন। তারপর সেই রচনা লিখলাম। আমার এই ধরণের অভিজ্ঞতা অসংখ্য। এইটা আসলে আত্মশ্লাঘার মত কিছু নয়! এইগুলো অসম্ভব সুন্দর অভিজ্ঞতা! আপনার লেখাটার প্রথম অংশ পড়তে পড়তে মনে হল কী ভাগ্যবানই না আমি ছিলাম!

সচল হওয়ার পথে একধাপ। শুভকামনা রইল।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

আসলেই আপনি অনেক সৌভাগ্যবান ছিলেন। অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর এরকম হয়নি আমার সময়। আপনি এই সুযোগটা পেইয়েছিলেন দেখেই হয়ত এত ভাল লিখতে পারছেন এখন।
আপনার এতগুলো কথা শেয়ার করলেন । এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমার ভাইয়ের চিকেন পক্স হবার পরে ঋতুরাজ বসন্ত নিয়ে ক্লাস ফোরের বাংলা আমার বইতে থাকা কোন একটা পদ্যের এক প্রশ্নের উত্তরে সে লিখেছিলো, "বসন্ত সবথেকে বাজে ঋতু, এই সময়ে বাতাসে রোগ-জীবাণুর ছড়াছড়ি।" হাসি

হাচলত্বের অভিনন্দন। সচলায়তন থেকে আমাকে হাচলত্বের মেইল দিয়েছিলো কিনা মনে করতে পারছি না, তবে উল্টো আমিই একবার মেইল করে বলেছিলাম- এই দেখেন আমি কত্ত কত্ত কমেন্ট করি! আমাকে হাচল বানায়ে দেন না, দেন না! পিলিজ! আমার ধারণা সচলায়তন টিম আমার ঘ্যানঘ্যানানিতে বিরক্ত হয়েই দ্রুত হাচল করে দিয়েছিলো। হাচল হতে চাইবার পেছনে আমার মূল আগ্রহ ছিলো 'অতিথি লেখক' বদলে নিজের নামে আমার লেখাগুলো প্রকাশের, আর নিজের ব্লগে লেখাগুলো চলে যাবে, কী মজা! আমার নিজের একটা জায়গা সচলায়তনের মধ্যে! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক মজার কথা বললেন। নিজের ব্লগে লেখাগুলো চলে যাবার মজাই আলাদা। আর সেটা যদি হয় সচলায়তন তাইলে তো কথাই নাই।
অনেক ধন্যবাদ।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অভিনন্দন। লিখে যান, লিখে ফাটিয়ে দিন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। ফাটিয়ে দিতে পারব কিনা জানিনা, তবে আপনারা সাথে থাকলে সামনে লেখা আরও ভাল হবে আশারাখি।

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

চলুক

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

বন্দনা এর ছবি

হাচল হবার শুভেচ্ছা জানবেন।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

ক্রেসিডা এর ছবি

চলুক

আবারো শুভেচ্ছা ।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

তাইলে আপনাকে ডাবল ধন্যবাদ।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

শুভেচ্ছা আপনাকে। চলুক...

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। চলবে আশারাখি।

রণদীপম বসু এর ছবি

অভিনন্দন !
লিখা শুরু করলেই লেখা হয়ে যায়। আর যে লেখাটা নিয়ে ভাবতে থাকি, ওটা আর লেখা হয় না। ইদানিং ভাবতেই ভালো লাগছে বেশি, তাই লেখা শিকেয় গেছে !

অতএব, ভাবাভাবি বাদ, শুধু লেখা আর লেখা ! এ কথা আপনার জন্যে, আমার জন্যে নয় কিন্তু ! হা হা হা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

শুধু আমার জন্য কেন ? এবার আমি বলি আপানকে, ভাবাভাবি বাদ, শুধু লেখা আর লেখা চাই আপনার কাছ থেকে । হা হা হা !

আশালতা এর ছবি

অভিনন্দন। এইবার লিখে লিখে কিবোর্ডের ছাল বাকলা তুলে ফেলেন। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। কিবোর্ডের ছাল বাকলা তুলে ফেললে পরে লিখুম ক্যামনে।। হো হো হো

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নিয়মিত লিখতে থাকুন!

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই। নিয়মিত লিখতে চেষ্টা থাকবে অবশ্যই। ভাল থাকবেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।