আলোচনাঃ নাইকন ৫৫ ৩.৫ মাইক্রো নিক্কর অটো, ১৯৬৫

মনি শামিম এর ছবি
লিখেছেন মনি শামিম [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২০/০১/২০১৪ - ৭:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

nikon_micro-nikkor-2_01

নাইকন ৫৫ ৩.৫ মাইক্রো নিক্কর অটো। নেট থেকে সংগৃহীত আলোকচিত্র

শিরোনাম দেখেই পাঠকরা নিশ্চয়ই ধারণা করতে পারছেন যে আমি এমন একটি লেন্সের কথা বলছি যেটি দিয়ে ক্ষুদ্র কীট-পতঙ্গ, ফুল, ক্ষুদ্র প্রান, ছোট ছোট অক্ষর গুলিকে খুব চমৎকার ভাবে বড় করে ধারণ করা সম্ভব। এই লেন্সগুলিকে আমরা ম্যাক্রো কিংবা মাইক্রো বলে থাকি। অনেক টেলি লেন্স দিয়েও কিন্তু এই কাজটি করা সম্ভব। তবে টেলি লেন্সের মূল কাজ হল দুরের কিছুকে ম্যগ্নিফাই করে কাছে নিয়ে আসা। মাইক্রোর উদ্দেশ্য কিন্তু তা নয়। মাইক্রোর আসল কাজ হল কোন প্রান বা বস্তুর ছবি কাছে গিয়ে তোলা যাকে আমি বড় আকারে উপস্থাপন করতে পারি। তো, এই কাজটি শুনতে বেশ আগ্রহ জাগানিয়া মনে হয় তবে যখন একটি মাইক্রো লেন্স নিয়ে মাঠে নামা হয় তখন এই কাজটি বেশ শ্রম-নির্ভর হয়ে দাঁড়ায়। আর এর জন্য বেশ কিছু সামগ্রী সাথে নিতে হয়। যেমন ট্রাইপড, ফ্ল্যাশ, রিমোট ইত্যাদি। বুঝতেই পারছেন এই বিদ্যা এমনি এমনি দখল করা সম্ভব নয়। চর্চা ছাড়া এতে সাফল্যের সম্ভাবনা কম। নাইকনের কিট লেন্স কিন্তু এই ব্যাপারে একদম খারাপ নয়। এটি সাবজেক্টের বেশ কাছে যেতে সক্ষম। তবে এটি তো আর ডেডিকেটেড মাইক্রো লেন্স নয়। এটা দিয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে তবে মন ভরেনা। এর চাইতে যদি মোটামুটি অল্প দামে একটা মাইক্রো লেন্স কেনা যায়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা!

সত্যি বলতে কি যারা কেবল ছবি তোলা শুরু করেছেন কিংবা যারা স্থির আলোকচিত্রের বিচিত্র জগতে শুধু বিচরণ করেই মুগ্ধতার স্বাদ পান তারা কমবেশি সকলেই মাইক্রো চিত্র দেখে বিস্মিত হন। আর নিজে কোন না কোন সময় এই ধরণের ছবি তোলায় উদ্যোগী হতে চান এবং সময়, শ্রম, অর্থ তিনটিই বিনিয়োগ করতে চান। আমিও তার বাইরে নই। ২০০৯ সালের শেষ দিকে একটি মাইক্রো লেন্স কেনার সাধ জাগে আমার। তবে বাজেট কম, মানে একেবারে সস্তায় কি পাওয়া যায় সেটি ভেবেছি প্রথম। এইজন্য নেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ সন্ধান পাই একটি লেন্সের যার নাম শিরোনামেই দেখা যাচ্ছে। যেহেতু ই-বে থেকে কিনব কাজেই ই-বে গিয়ে লেন্সটির চেহারা আর দাম দুটোই পছন্দ হয়ে যায়। তবে লেন্সটি কেনার আগে স্বাভাবিকভাবেই কয়েকটি ওয়েবসাইটে ধর্না দিলাম। যারা নাইকনের লেন্স কিনতে চান তাঁদের জন্য একটি বিশ্বস্ত সাইট হল গিয়ে বিয়র্ণ ররস্লেট সাহেব। ভদ্রলোক নরওয়ে বাসী। খুব বেশী লেখেন টেখেন না, বয়েসও হয়েছে। কিন্তু উনার সাইটটি নাইকন লেন্সের জন্য খনি বলা যায়। তো সেখানে এই লেন্স সম্পর্কে খুব ভাল ভাল কথা লিখিত হওয়ায় কিনে ফেলতেই হল লেন্সটি।

নাইকনের এই বিশেষ লেন্সটি বাজারে আসে গত শতকের ষাটের দশকের মাঝামাঝি। পুরো লেন্সটি মেটালের তৈরি, অক্ষয় যাকে বলে। দেখতে খুব সুন্দর তা বলা যাবেনা, তবে একদম বেঢপ আকৃতিরও নয়। এর ফোকাস রিঙটি যখন ঘুরাই, বেশ লাগে, খুব মোলায়েম। আবার ফোকাস রিঙ ঘুরালে লেন্সের সম্মুখ ভাগ অনেক সামনের দিকে এগিয়ে যায় যা সব মাইক্রো লেন্সেরই বৈশিষ্ট্য। বিয়র্ণের ভাষ্যমতে অসাধারণ শার্প এবং অনন্য রঙ উপহার দেয় এই লেন্সটি। এই দুটি কথাই অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। আমি নিজে অন্য কোন মাইক্রো লেন্স ব্যাবহার করিনি, তাই তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে পারবনা। তবে এই লেন্সের রঙ অন্তত আমার কিট লেন্স ১৮ ৫৫ কিংবা ৫৫ ২০০ ভিআর এবং ৩৫ ১.৮ এ পাইনি। আর এর আউট অফ ফোকাস জায়গাগুলি এত মসৃণ ভাবে অদৃশ্য হয়ে যায় যে কি বলব! শার্পনেস, রঙ, আউট অফ ফোকাস- এই তিনটি ক্ষেত্রেই মোটামুটি বিজয়ী হিসেবে লেন্সটিকে আমরা ধরে নিতে পারি।

এমনি মাইক্রো বৈশিষ্ট্য ছাড়া সাধারণ লেন্স হিসেবে অল রাউন্ড বিচারে লেন্সটি কেমন এটি যদি কেউ জানতে চান তাহলে বলব, ভালই তো। এপারচার থেকে ঠাহর করাই যায় যে এই লেন্স লো-লাইটের জন্য নয়। পোরট্রেট খুব খারাপ হবেনা হয়ত, কারন ক্রপ ক্যামেরায় এই লেন্সের ফোকাল লেন্থ পোরট্রেট তোলার জন্য আদর্শ বলা যেতে পারে। আমি এখন পর্যন্ত এই লেন্স দিয়ে ল্যান্ডস্কেপ তুলিনি, তাই বলতে পারছিনা কেমন ওঠে। আমাদের বোধ করি ভুলে গেলে চলবে না যে এটি একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্মিত লেন্স। কাজেই এটি সর্ব রোগ-সংহারি নয়, হতে পারেনা। আমি নিজে এই লেন্স নিয়ে ফুল আর মৌমাছি ছাড়া অন্য তেমন কিছুর ছবি খুব বেশী তুলিনি কিন্তু যেটুকু তুলেছি তাতে এই লেন্সের কার্যকারিতা আমার নিজেকে সন্তুষ্ট করেছে খুব।

এই লেন্স কিন্তু ১:১ পর্যন্ত ম্যাগ্নিফিকেশন দেয়না। এর দৌড় সর্বোচ্চ ১:২ পর্যন্তই। তবে তাতে অসুবিধে নেই। এই লেন্সের যে শার্পনেস, তাতে ইদানিং ২৪ মেগাপিক্সেলের যে সকল ক্যামেরা নাইকন বাজারজাত করছে সেসবের জন্য এই লেন্স একদম নিখুঁত ফলাফল দেবে মনে হয়। এই লেন্স নাইকনের যে কোন বিগিনার ডিএসএলআর এ মাউন্ট হবে। মিটার দেবেনা, মিটারের কাজটা ম্যানুয়ালই সারতে হবে। অর্থাৎ সাটার স্পিড, এপারচার, আইএসও এগুলি নিজেকে নির্ধারণ করতে হবে আর তারপর ফোকাস ম্যানুয়ালি সারতে হবে। জ্বালা কিন্তু কম নয়। এরপরে আছে ক্যামেরাকে ট্রইপডের ওপর বসানো, ফ্ল্যাশ বসানো, তারপর ধাম ধুম করে ট্রিগার কিংবা সাটার প্রেস করা অথবা রিমোট ব্যাবহার। ঠিকঠাক ব্যাবহার করা প্রাথমিকভাবে কঠিন মনে হলেও, একবার এই বিদ্যা সামান্য দখল করতে পারলেই মোটামুটি কেল্লা ফতে।

নাইকন সর্বপ্রথম এসএলআর মাইক্রো লেন্স বাজারজাত করে ১৯৬১ সালে। তার মানে তারা এই ক্ষেত্রে প্রায় পঞ্চাশ বছরের খেলোয়াড়। পাকা খেলোয়াড় বললেও ভুল হবেনা। নাইকনের সব মাইক্রো লেন্স শার্পনেসের জন্য খ্যাত। পার্থক্য যেটুকু সেটা কালার রিপ্রোডাকশন, আউট অফ ফোকাসের মসৃণতা এবং কিছু টেকনিক্যাল খুঁটিনাটিতে। যেমন হালের লেন্সগুলি ভিআর এবং অটোফোকাস সমৃদ্ধ, হালের লেন্সগুলি ১:১ ম্যাগ্নিফিকেশন যুক্ত তবে এইসব লেন্স কিন্তু প্লাস্টিক, নির্মাণগুন খুব খারাপ তা হয়ত বলা যাবেনা, তবে হাত থেকে ফসকে পরে গেলে ভাঙার সম্ভাবনা অনেক বেশী। বাজারে নানান ফোকাল লেন্থের মাইক্রো লেন্স সহজলভ্য। ৪০, ৫৫, ৬০, ৮৫, ১০৫,২০০ কিংবা ৭০-২০০ জুম ইত্যাদি। ফোকাল লেন্থ মাইক্রো অঙ্গনে জরুরী এক অনুষঙ্গ। ৪০, ৫৫ কিংবা ৬০ ফোকাল লেন্থ দিয়ে আমি ফুলের ছবি কিংবা কপির কাজ কিংবা কোন স্থির বস্তুর ছবি তো ভালই তুলতে পারব কিন্তু প্রাণের ছবি? ছোট কীট পতঙ্গের ছবি? সাবজেক্টের সাথে লেন্সের সম্মুখভাগের ফোকাল দূরত্ব কম হওয়াতে আমাকে সাবজেক্টের এত কাছে গিয়ে ছবি তুলতে হবে যে মুহূর্তের মধ্যে ভয় পেয়ে কিংবা আমার নড়াচড়ার সাড়াশব্দে পতঙ্গ উধাও হতে সময় লাগবেনা, তারপর বসে বসে নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করবে। মাইক্রো ছবির ক্ষেত্রে ভাল ফোকাল দূরত্ব হচ্ছে ১০৫ কিংবা ২০০, এরকম ফোকাল দূরত্ব তে অন্তত সাবজেক্ট এবং ক্যামেরার ইমেজ প্লেনের মাঝে খানিকটা স্পেস মেলে। তবে এইসব লেন্সের দাম কিন্তু কম নয়। আর এদের সেকেন্ড হ্যান্ড মূল্যও কমেনা তেমন। ভালো ডিল পাওয়া খুব কঠিন।

তাহলে বাজারে মাইক্রো লেন্সের এত বৈচিত্র্য সহজলভ্য হলে কেন কেউ ১৯৬৫ সালের একটা অখ্যাত ম্যানুয়াল লেন্স কিনতে যাবে? যে লেন্সের ম্যাগ্নিফিকেশন ১:২ নয়, যে লেন্সে ভিআর নেই, অটো ফোকাস হয়না, মিটার হয়না, ফোকাল দূরত্ব কম, যে বিশেষায়িত লেন্স দিয়ে পতঙ্গের ছবি তোলাটাও কঠিন- সেই লেন্স কেন কেউ কিনতে যাবে? এক্ষেত্রে আমাদের একটা জিনিষ কিন্তু মনে রাখতে হবে। কোন লেন্সই নিখুঁত হতে পারেনা। যে মানুষটি অসাধারণ শার্প ছবি তুলতে চায়, অনন্য কালার রিপ্রোডাকশন পেতে চায়, মসৃণ আউউ অফ ফোকাস ছবির জন্য চাতক পাখির মতন চেয়ে থাকে, যে মানুষটি ফুলের ছবি তুলতে চায়, স্থির বস্তুর ছবি তুলতে চায়, লেন্সের কাছে স্থায়িত্ব প্রত্যাশা করে এবং দামটাও নাগালের মাঝে পেতে চায় তাঁদের তো কিছু ব্যাপারে ছাড় দিতেই হবে। যেমন ১০০ থেকে ১৫০ ডলারে আর কোন লেন্স কি আপনি বাজারে পাবেন? আর তাছাড়া একটি এক্সটেনশন টিউব থাকলেই আপনি ম্যাগ্নিফিকেশন ১:১ করতে পারবেন, মিটার ম্যানুয়ালি করলে সময় লাগে বেশী তবে স্থির বস্তু ধারণ করার ক্ষেত্রে সময় তেমন ব্যাপার নয়। ফোকাসের ব্যাপারে অনেকে মাইক্রো লেন্সে ম্যানুয়ালি ফোকাস করার কথাই বলেন। কারণ অনেক অটো ফোকাস লেন্স রয়েছে যেগুলি ঠিকমতন ফোকাস করতে না পেরে কেবল হান্ট করতে ব্যাস্ত থাকে। এতে মুহূর্ত এবং পতঙ্গ সবই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়! তাহলে দেখা যাচ্ছে, শুধু ফোকাল দূরত্ব এর সীমাবদ্ধতা ছাড়া তেমন বড় কোন দুর্বলতা আসলে এই লেন্সের নেই। আর যে সীমাবদ্ধতা গুলি আছে সেগুলিকে মেনে নিয়েই কিন্তু আমাদের ছবি তুলতে হবে। নইলে আর ছবি তোলার চ্যালেঞ্জ থাকল কোথায়?

এবার কিছু ছবি যুক্ত করে দিই।

ক।
DSC_0169

খ)

DSC_0092

গ)

DSC_0070

ঘ)

DSC_0555

ঙ)

DSC_0201

চ)

DSC_0270

ছ)

DSC_1035

জ)

DSC_0700

ঝ)

DSC_0414

ঞ)

DSC_0812

ট)

DSC_0129

ঠ)

DSC_0634

ড)

DSC_0639

ঢ)

DSC_0676

ণ)

DSC_0019

(লেন্সটি এই মুহূর্তে আমার হাতে নেই, তাই লেন্সের ছবিটি নেট থেকে ধার নিতেই হল। মাস খানেক পর এই ছবিটির বদলে আমার নিজের ছবি যুক্ত করতে চাই। এখানে এই লেন্স দিয়ে তোলা কিছু ছবি যুক্ত করতেই হল যাতে পাঠক লেন্সের ইমেজ গুন সম্পর্কে খানিক ধারণা পেতে পারেন। সচলে অনেক গুণী চিত্রগ্রাহকদের ছড়াছড়ি। আমি একজন শিক্ষানবিস মাত্র। যদি লেখায় কোন ভুল থাকে তবে তা ধরিয়ে দিলে উপকৃত হব। লেন্স নিয়ে আলোচনা এই প্রথম। যদি এই আলোচনা কারোর ভাল লাগে তবে আমার অন্যান্য লেন্স নিয়েও আলোচনা করার ইচ্ছে রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভুল ত্রুটিগুলি সংশোধন করাটা ভীষণ দরকার। ধন্যবাদ)


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে লেখার জন্য। ছবিগুলোও ভালো লাগলো।

ঠ) ছবিটা নিয়ে প্রশ্ন। সাবজেক্টের বাইরের অংশটা অন্ধকার কিভাবে করলেন? হাই স্পিড শাটার + ফ্লাশ দিয়ে? জানালে ট্রাই করার ইচ্ছা রাখি।

শুভেচ্ছা হাসি

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ। আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশী হয়েছি। ঠ নম্বর ছবিটির এক্সিফ ডেটা আপনি ছবির অপর ক্লিক করলেই নিচের দিকে সর্ব ডানে অবস্থিত চিহ্নতে ক্লিক করলেই পাবেন। সাটার স্পিড ছিল ১/৫০০, সেখানে অবশ্য এপারচার দেখাবেনা যেহেতু ম্যানুয়াল লেন্স ব্যাবহার করা হয়েছে। প্রায় বছর তিনেক আগের তোলা ছবি। যতদূর মনে পরে এপারচার ছিল এফ ৮ কিংবা ১১, এপারচার এবং সাটার স্পিডের এই সম্মিলনের কারণেই হয়ত ব্যাকগ্রাউন্ড এমন আঁধারে ঢেকে গেছে। ফ্ল্যাশ ব্যাবহৃত হয়নি।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। এক্সিফ ডাটা দেখার কথা মনেই ছিল না। ফ্লিকারে গিয়ে দেখে আসলাম।
আর, ম্যানুয়াল লেন্সে যে অ্যাপারচার ডাটা দেখায় না এই তথ্যটাও জানলাম।

অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা হাসি

মনি শামিম এর ছবি

এক্সিফ ডেটা দেখার এই ব্যাপারটা আমিও জানতাম না। ব্যাপারটা এমন ছিল যে ছবি তোলার কিছুদিন পরেই ভুলে যেতাম এক্সপোজার রিডিং কেমন ছিল। কৌস্তুভ প্রথম আমাকে এই বিষয়টি জানায়। তারপর থেকে জানাশোনার ব্যাপারগুলো এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকেও।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছবিগুলো দেখেই ধারণা করেছিলাম এটা ১:১ ম্যাক্রো নয়। যাহোক, নাইকন নিয়ে আমার ধারণা এ-বি-সি পর্যায়ে। সেদিকে বিচারে লেন্সটি সম্পর্কে একটা ওভারল ধারণা পেলাম।

অন্য সবাই যাকে ম্যাক্রো লেন্স বলে, সম্ভব নাইকন তাকে মাইক্রো লেন্স বলে। সেটা শুরুতেই বলে দিলে ফলো করতে অনেকের সুবিধা হবে। আপনি যদিও সেটা বলেছেন যে ম্যাক্রো আর মাইক্রো সমার্থক, তবুও (আমি যতটা মনে করতে পরি) নাইকন এদেরকে মাইক্রো বলে।

লেন্সের নাম লেখার সময় ১৮ ৫৫ না লিখে ১৮-৫৫ মিমি লেখা আমার কাছে পছন্দের। সেই সাথে ৩৫ ১.৮ না লিখে যদি ৩৫ মিমি এফ ১.৮ লেখেন সেটা মনে হয় বেশী অর্থবহ, বিশেষ করে যারা লেন্সের টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন না।

লেন্সটি অনেক পুরনো, তবে রিভিউয়ের কারণটা বোঝা গিয়েছে হাসি

লিখতে থাকুন।

মনি শামিম এর ছবি

দারুণ মন্তব্য করেছেন। নাইকন যেটাকে মাইক্রো উপাধি দিয়েছে ক্যাননের হাতে পরে তার ম্যাক্রো দশা জুটেছে। আপনি ঠিক বলেছেন। এইটা প্রথমেই বলে নেয়া উচিত ছিল, তাহলে বিভ্রান্তি কমত। লেন্সের নামের ব্যাপারে আপনার মতের সাথে সহমত পোষণ করছি। এরপর থেকে লেন্স আলোচনার সময় বিষয়টি মাথায় রাখব নিশ্চয়ই। আপ্নারা উৎসাহ দিচ্ছেন বলে অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। কোথাও ভুল ত্রুটি হলে ধরে দেবেন আশা করি। আমি ক্যামেরা হাতে যেমন শিক্ষানবিস আবার এ সংক্রান্ত লেখাতেও ওই একই। মনে করি এই লেন্সগুলি নিয়ে আলোচনা করলে আমাদের সকলেরই লাভ। তাই লিখতে বসা। ধন্যবাদ। সাথে থাকুন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক হাততালি

(ঝ) কোন জাতের ম্যাক্রো? অ্যাঁ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

এই মাল মনে হয় আমার কাছে একটা আছে। ল্যাবের পুরান বাক্সের মধ্যে পাইছিলাম। ফিল্মের যা দাম, প্রসেসিং-এ তো হাতই দেওয়া যায়না দশার কারনে ওইটা এখন আমার টেবিলের উপর পেপার ওয়েটের কাজ করে। চেইতেন না। অইটারে কাজে লাগানোর চিন্তা করতেছি।

এই ছবিগুলি কি আপনার তোলা? তাইলে মাইরালাইসেন এক্কেরে। আমারে টেরনিং দিবেন?
পুস্টে পাঁচতারা।।

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

মনি শামিম এর ছবি

বাউল, আপনি এই লেন্স দিয়ে পেপার ওয়েটের কাজ সারছেন? তাড়াতাড়ি ক্যামেরায় মাউন্ট করে মাঠে নেমে পরুন। শুধু খেয়াল রাখবেন লেন্সের নাম আপনার লেন্সের সাথে মিলছে কিনা। অর্থাৎ এটা মাইক্রো নিক্কর অটোই তো, নাকি? নাইকন/নিকন কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেক ধরনের বিচিত্র সব মাইক্রো লেন্স বাজারজাত করেছে গত পঞ্চাশ বছরে। ওদের কিন্তু ৫৫ মিমি এফ ৩।৫ এ আই নামের এক খানা লেন্সও রয়েছে। দেখুন তো আপনার কোনটি? তবে ষাটের দশকের লেন্সের অবস্থান যে গুদাম ঘরেই থাকবে, তাতে বিস্মিত হচ্ছিনা।

ছবি এই অধমেরই তোলা। এই বিদ্যে পেটে ঢুকাতে বিস্তর কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে রে বাউল। এই ট্রাইপড বের করা, তার ওপর ক্যামেরা মাউন্ট করা, রিমোট ব্যাবহার- মানে বিশাল কর্মযজ্ঞ আর কি! আবার ফুল কিংবা গাছের পাতা বাতাসে নড়াচড়া করলে মাথায় হাত! অনেক ধৈর্য লাগবে রে ভাই! অনেক! কিন্তু যে ফলাফল পাবেন তাতে মনে অনেক আনন্দ পাবেন। এই আনন্দটুকুর জন্যই তো শৌখিন মানুষদের ছবি তোলা, তাইনা?

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

আজকে আমারটা দেখলাম। ওইটা ৫৫মিমি ২।৮।
ভালো না খারাপ বুঝতারছি না। আপ্নের বডি কি ডিজিটাল? নাকি ফিলিম?

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

মনি শামিম এর ছবি

বাউল সায়েব, আমার ডিজিটাল আর ফিল্ম দুই বডিই আছে। তবে আমি কখনও আমার ফিল্ম বডির ওপর এই ৫৫ মিমি ৩।৫ মাইক্রো লেন্স মাউন্ট করে দেখিনি। সবসময় ডিজিটাল ডি ৪০ দিয়েই তুলেছি।ডিজিটালেই ভাই গলদঘর্ম অবস্থা, আমার নাইকন এফ ই ক্যামেরায় না জানি কি হয়!

আপনার ৫৫ মিমি এফ ২।৮ এর কিন্তু ব্যাপক সুনাম আছে ভাই। নাইকনের মাইক্রো জগতে আপনার ওই লেন্স আর ১০৫ মিমি এফ ২।৮ ব্যাপক জনপ্রিয় দুই লেন্স।

আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে যে বড় একখান ডিজিটাল বডির ছবি দেখছি তাতে লেন্সটি মাউন্ট করে এক্ষুনি মাঠে ঝাঁপিয়ে পরুন আর আপনার পড়ার টেবিলে শহীদ হবার হাত থেকে লেন্সটিকে উদ্ধার করুন। প্লিজ!

মনি শামিম এর ছবি

সাক্ষী, এইটা হল দাওয়াত-ই-তাবলীগ টাইপের ম্যাক্রো! মনে আছে, বছর তিনেক আগে ১৫৫৪ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় অবস্থিত কুসুম্বা মসজিদে গিয়েছিলাম কিছু ছবি তুলবো বলে। গিয়ে দেখি মসজিদের ভেতরে তাবলীগের লোকজন গিজগিজ করছে। মজার ব্যাপার হল, কেউ আমাকে একবার জিজ্ঞেস পর্যন্ত করলনা, 'আসেন, ইসলামের পথে আসেন!' আচ্ছা, নাস্তিক মানুষ কি দেখলে টের পাওয়া যায়? নাকি তাবলীগের রঙও সময়ের সাথে পাল্টে যাচ্ছে? সেদিন এই ছবিগুলি ভালই উঠেছিল! ম্যাক্রো লেন্সের অল রাউন্ড পারফর্মেন্স কেমন, তার একটা ধারণা দেয়ার জন্য এই ছবির অন্তর্ভুক্তি। আসলে খুব বেশী ছবি তো তোলা হয়নি এই লেন্স দিয়ে। বছর দুয়েক হল ধুলো জমছে এর গায়ে। দেশে রেখে এসেছি লেন্সখানি। এইবার গিয়ে নিয়ে আসতে হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি একজন তাবলীগ। হাসি
তাবলীগ সমন্ধে আপনার মনোভাব হয়তো ভাল না। (লেখায় বুঝা যায়)
কিন্তু আপনার লেখা এবং বিষয় খুবই ভাল লেগেছে, সুন্দর ছবি দেখলে ইচ্ছা হয়, ইস এই ছবিটা যদি আমি তোলতে পারতাম!!!!
লেখাটা FB তে আমার প্রিয় ভাগ্নেকে শেয়ার করেছি, সে একটা বড় ক্যামেরা নিয়ে দৌড়ে বেড়ায় চারদিক। আপনার লেখাটি উপকার হবে।

মাহিন

মনি শামিম এর ছবি

মাহিন, তাবলীগ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলতে পারে। তবে আপাতত সে আলাপে আর না যাই। এখানে বরং লেন্স নিয়েই আলোচনাটুকু সীমিত রাখি। আপনার লেখা এবং ছবি ভাল লেগেছে বলে খুশী হলাম। আপনার ভাগ্নে বড় ক্যামেরা নিয়ে মাঠঘাটে আরও ছুটে বেড়াক এই কামনা করি। ছবি তুলতে থাকতে হবে। সচল থাকতে হবে। ধন্যবাদ।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মনি শামিম এর ছবি

এইসব কি ইঙ্গিত দিচ্ছ সাক্ষী! ঝেড়ে কাশো দিকিনি!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমি আবার কি ইঙ্গিত দিলুম? আলোচনা অন্য লাইনে চলে যাচ্ছিল কিনা... তাই কিঞ্চিত... যাকগে, লাইনে আসুন হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানজিম এর ছবি

জাপানি ভাষায় আসলে নিকন হিসেবেই লিখা হয়। ইংরেজিতেও কিন্তু তাই। হাসি

মনি শামিম এর ছবি

তান জিম ভাই, আসলে কি জানেন, যে দেশে বাস করি, মানে ইটালিতে, সেখানেও কিন্তু নিকন-ই বলে। আমি সবসময় নিকন বলেই এসেছি। কিন্তু অনেক চিত্রগ্রাহকদের মুখে নাইকন শব্দটির ব্যাবহার দেখে শুনে মনস্থির করেছি যে নাইকন-ই সই। জাপানিতে নিকন, ইংরেজিতে নিকন, ইটালিয়ান ভাষায় নিকন, তাহলে অনেকে শুধু শুধু নাইকন বলে কেন? এইটার একটা সর্বজনগ্রাহ্য নাম থাকার দরকার না?

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেকে আদর করে "নিকর" বলে দাকে মনে হয়।

মনি শামিম এর ছবি

নিকন হল ব্র্যান্ড কিংবা কোম্পানির নাম। সব ক্যামেরার নামই নিকন। নিকর কিংবা নিক্কর হচ্ছে লেন্সের নাম। এখনও নিক্কর শব্দটি সব লেন্সের গায়ে খোদাই করা থাকে। ধন্যবাদ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার কাছে নাইকন শুনতে এবং বলতে ভালো লাগে। নিকন শুনলে ক্যামেরা ক্যামেরা মনে হয়না। নাইকনে একটা ভাব আছে। যখন ফটোগ্রাফি শুরু করি তখন থেকেই নাইকন বলি। সেটা বহুদিন আগের কথা। তখন ক্যাননের নামও শুনিনি। ক্যামেরা বলতে বুঝতাম মিনলটা, পেনট্যাক্স কে-থাউজ্যান্ড, আর নাইকন।

ওহ, আরেকটা ক্যামেরা ছিল--ইয়াশিকা। যদিও এই ক্যামেরার প্রতি প্রথম থেকেই কেন যেন অনাগ্রহ।

মনি, আপনার সাথে আলোচনার পরে ৮৫মিমি এফ/১.৮ প্রাইম এর অর্ডার দিয়েছি। ইদানীং পোর্ট্রেট করতে ইচ্ছে করতেছে হাসি

মনি শামিম এর ছবি

সত্যি আপনি ওই লেন্সটি কিনছেন? জেনে ভাল লাগল ভীষণ। একটা আলোচনা আপনার কাছ থেকে আশা করতে পারি তো নাকি? আমার কাছে কিন্তু নাইকনের ৮৫ মিমি এফ ২ (১৯৭৮) আছে, ম্যানুয়াল। এর আলোচনা সামনের বার! আচ্ছা আপনার লেন্সখানা কি ডি না জি না ম্যানুয়াল? জানালে খুশী হব।

আমার কাছে আমার এক বন্ধুর ইয়াশিকা রেঞ্জফাইন্ডার গচ্ছিত আছে। এখনও তার স্বাদ নেয়া হয়নি! নিকন, নাইকন দুটোই ঠিক আমার কাছে। যে যেমন ইচ্ছে সে তেমন নাম ব্যাবহার করুক।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি কিন্তু ক্যানন ঘরানার হাসি

এটা ক্যাননের ইএফ লেন্স--অটোফোকাস করে, সাথে ম্যানুয়াল ওভাররাইড, উপরন্ত ফুলটাইম ম্যানুয়াল অপশন আছে।

এই লেন্স রেকমেন্ড করতে গিয়ে কেন রকওয়েল এটাকে ক্যাননের ৮৫মিমি এফ/১.২ এল লেন্সের সাথে তুলনা করে বলছে--

The only things the five-times as expensive Canon 85mm f/1.2L II does better is lighten your wallet, fatten the weight hanging around your neck and it's a little sharper in the far corners, full frame, wide open.

ইন্টারেস্টিং কমেন্ট।

তবে লেন্সটা এখন খুব একটা ব্যবহৃত হয়না। ফ্লিকারে বা কোথাও তেমন ভালো কোন ছবি দেখলাম না। সেকারণেই হয়তো দাম অনেক কম।

এটা নেয়ার আরেকটা কারণ হল আমি হয়তো ফুলফ্রেমে চলে যাবো। ডিল খুজতেছি হাসি

মনি শামিম এর ছবি

ক্যানন ঘরানার হলে তো আরও ভাল। আমার ক্যামেরা নিয়ে কোন ছুতমার্গ নেই। যে যেটা পারে ব্যাবহার করুক। যে যেটা ব্যাবহার করে আনন্দ পাক। শৌখিন ফটোগ্রাফারদের ছবি তুলে আনন্দ পাওয়াটাই মুখ্য মনে হয় আমার কাছে। সে যাই হোক, ৮৫ মিমি ফোকাল দূরত্ব আমার সবচাইতে প্রিয়। কেন জানিনা এই ৮৫ লেন্স একবার মাউন্ত করলে আর খুলতে ইচ্ছে করেনা। ইদানিং আমার ডি ৭০০০ ক্যামেরা এই লেন্স মেট্রিক্স মিটার দেয় বলে ছবি তোলার কাজ আরও সহজ হয়ে গেছে। আমার ৮৫ আমি আমার এফ ই ম্যানুয়াল ক্যামেরায় লাগিয়ে দেখেছি, আরও ভাল লাগে। তার মানে কি ৮৫ মিমি দিয়ে যেভাবে আমি জগতকে দেখি, এভাবেই আমি জগতকে পেতে চাই?

আপনি নির্দ্বিধায় লেন্সখানি কিনে ফেলুন। কেনার আগে আপনাকে জানিয়ে রাখি, এই লেন্সের জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে ক্যানন এই লেন্সের একটি নতুন সংস্করণ এই বছরে বাজারজাত করবে। সাথে ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন থাকবে। তারা এইতো ক'দিন আগে এই সংক্রান্ত একটি পেটেন্টের আবেদন জমা দিয়েছে। তবে ধারণা করি, বাজারে এলে এর দাম খানিকটা বেশীই হবে।

এবার আপনিই ভাবুন, পুরনো কিনবেন নাকি কিছুদিন অপেক্ষা করবেন নতুনটি কেনার জন্য।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি তো বিস্তর খবর রাখেন দেখছি! নাহ, ৮৫মিমি স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই চালাতে পারবো আশা করি।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ক্যানন ৮৫ মিমি ১.৮ চমৎকার একটা লেন্স। স্ট্যাবিলাইজার ছাড়া লেন্সগুলো দিয়ে তোলা ছবি যাতে শার্প আসে সেজন্য একটা রুল অফ থাম্ব অনেকে ফলো করে। শাটার স্পিডটা অন্তত লেন্সের ফোকাল লেংথের ইনভার্স রাখা উচিত। যেমন: ৫০ মিমি হলে অন্তত ১/৫০ সে. , ৮৫ মিমি হলে অন্তত ১/৮৫ সে.
মোটামুটি একটা আইডিয়া পাওয়া যায়।

নতুন লেন্স আসলে পরে ছবি তুলে পোস্ট দিয়েন কিন্তু হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দিবো ফাহিম। আসুক আগে। আর হ্যাঁ ঐ রুলটা থেকে ভালো আন্দাজ পাওয়া যায় তবে ছবি তোলার সময় এসব আর মনে থাকেনা। বিশেষ করে রাতের ছবিতে।

চেষ্টা করতেছি হার্টিবিট বন্ধ রেখে কিভাবে ছবি তোলা যায় (অসম্ভব), কিংবা দুই বিটের মাঝখানে শাটার রিলিজ করা যায় দেঁতো হাসি

ব্যাপারটা তেমন কঠিন নয়, চর্চা লাগে।

মনি শামিম এর ছবি

প্রকৃতি প্রেমিক, কবে কিঞ্ছেন লেন্সটি? ফুল ফ্রেমই বা আসছে কবে?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

৮৫ আসতেছে। শিপ হয়ে গেছে। ফুলফ্রেমের ডিল পেলেই নিয়ে নিব। সব ডিল ছিল ডিসেম্বরে, তখন এদিকে সময় দিতে পারিনি। এখন কোন ডিল নাই। দেখা যাক।

মনি শামিম এর ছবি

চলুক

মনি শামিম এর ছবি

এহ, আলোচনা কেমন হল সে নিয়ে কোন কথা নেই, এয়েচে ৮৫ মিমি নিয়ে আলাপ করতে! বস, আলোচনা কিভাবে লিখলে আর একটু সমৃদ্ধ করা যেত সে নিয়ে কিছু একটা বল!

অতিথি লেখক এর ছবি

এসব ব্যাপারে একদমই কিছু জানি না। শুধুমাত্র একটা সুপ্ত বাসনাই সম্বল।

ছবিগুলো চমৎকার লাগল।

শুভকামনা হাসি

রাসিক রেজা নাহিয়েন

মনি শামিম এর ছবি

সুপ্ত বাসনাকে একদিন নিশ্চয়ই বাস্তব করবেন এই আশা করি। ছবিগুলি ভাল লেগেছে বলে ধন্যবাদ। আমি ছবিগুলি দিয়েছি লেন্স আলোচনা করার সুবিধার্থে। লেন্স আলোচনাই এখানে মুখ্য। সেটি ভাল লাগলে কিংবা সেই আলোচনা থেকে প্রাপ্ত কোন তথ্য কারো উপকারে আসলেই খুশী হব বেশী। ধন্যবাদ।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

দারুন সব ছবি মনি ভাই।
পড়তেও খুব ভাল লাগল। সত্যি বলতে কি আপনার লেখা পড়ে সিরিয়াসলি ছবি তুলতে মন চাইছে।
ক্যামেরা আর লেন্সের খুঁটিনাটি নিয়ে এমন আলোচনা আরও আসুক।
পোস্টে পাঁচ তারা। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

মনি শামিম এর ছবি

প্রিয় আরজু, ধন্যবাদ নিও। ক্যামেরা এবং লেন্সের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হোক, সেটাই আশা। আমি এইসব নিয়ে লেখার মতন যোগ্য কেউ নই। তারপরেও লিখতে আগ্রহী হয়েছি লেখাটা দরকার বলে। আমাদের দেশে ডিএসএলআর ব্যাবহারকারির সংখ্যা হালে অনেক বেড়েছে। শুধু ডিএসএলআর-ই বলি কেন, স্মার্ট ফোন দিয়েও অনেকে অনেক ছবি তুলছেন। প্রায় সবার কাছেই কমপ্যাক্ট ক্যামেরা রয়েছে যেগুলি দিয়ে তারা পরিবারের ছবি তুলছেন। সকলেই কবি নয় কেউ কেউ কবি- এই ধারণাকে নস্যাৎ করে দিতে একবার নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সকলকে কবি বানাবার নিমিত্তে 'কবিতার ক্লাস' নামক অসাধারণ একটি প্রবন্ধের বই লিখেছিলেন। আমরাও চাই, আমাদের সবার হাতে ছবি তোলার যে সরঞ্জামগুলি রয়েছে তা দিয়ে ভালো ছবি তোলায় অগ্রণী হওয়া। এমন অনেকে থেকে থাকবেন যারা ছবি তোলার এইসব মাধ্যম বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না। তাঁদের হাতে যন্ত্র তো রয়েছে কিন্তু কিভাবে সেটা ব্যাবহার করলে ভাল ইমেজ আসবে সে নিয়ে তাঁদের আগ্রহের অভাব রয়েছে। অথচ ক্যামের কিংবা লেন্সের কিছু খুঁটিনাটি জানা থাকলে তাঁরাও তাঁদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারেন। আমাদের এই লেখাগুলি যদি তাঁদের কাজে আসে এই ধারণা থেকেই লিখতে বসা। এইজন্যই এই ধরণের লেখাগুলি আরও বেশী মানুষের কাছে পৌঁছানো দরকার। আমার গদ্যে অনেক ঘাটতি রয়েছে, ক্যামেরা জগতে আমিও অনেকের মতই শিক্ষানবিস। যারা অসাধারণ ছবি তুলছেন, তাঁরা যদি এই কাজে এগিয়ে আসেন, তাহলে বাংলাদেশে আমরা আরও অনেক নবীন আলোকচিত্র গ্রাহকদের সন্ধান পাব বলেই মনে করি। দেখা যাক কি হয়। আমি আশাবাদী।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক হাততালি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অমি_বন্যা এর ছবি

ক্যামেরা কেনার ইচ্ছে অনেক দিনের বিশেষ করে ভালো একটা লেন্স সহ । আপনার লেখা আর লোভনীয় সব ছবি এই লেন্সের প্রতি অতিমাত্রায় দুর্বল করে দিল।
অসাধারণ সব ছবি, শামিম ভাই।

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ। কিনে ফেলেন ক্যামেরা এইবার, ভাল একটা লেন্স সহ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্যামেরার উপর আমার কোন জ্ঞান নেই বললেই চলে। তাই অনেক কিছুই মাথার উপর দিয়ে উড়ে চলে গেল। তবে ছবির তোলার প্রতি শখ ছোটবেলা থেকেই, সব সময় সান্তনা দিয়ে এসেছি নিজেকে বড় হলে(বয়সে না, টাকায় খাইছে ) একখান ইয়া বড় না হোক ছোটখাট ভালো লেন্সের ক্যামেরা কিনবো। অণুদার ছবি দেখে সেই আগ্রহ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে, তারপর সচলে কমবেশি সবার ছবি মুগ্ধ করেছে। তাই কোমর বেঁধে নেমেছি এইবার আর ছাড়াছাড়ি নেই কিনেই ফেলবো একখান, তবে তার আগে একটু পড়ালেখা থাকা দরকার, ক্যামেরার উপর কিছু বেসিক জ্ঞান থাকা বোধহয় দরকার। চিন্তিত

আপনার এমন লেখা তাই আমার মতো যারা কিছুই জানে না ক্যামেরার বিষয়ে তাদের জন্যে যথেষ্ট সহায়ক হবে। আশা করি আপনার পাশাপাশি অণু দা, প্রকৃত প্রেমিক, সজীব ওসমান, সহ যারা ফটোগ্রাফের উপর ভালো জ্ঞান রাখেন তারা এটা নিয়ে কিছু পোষ্ট লেখবেন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শিক্ষক ডট কমে ফটোগ্রাফির উপর কোর্সটি দেখতে পারেন।

এক লহমা এর ছবি

চলুক মনির একজন দুর্দান্ত ফটোগ্রাফার। ফটোগ্রাফি নিয়ে ওর এই কোর্সটি আমি দেখিনি কিন্তু এ নিয়ে আমার কোন দ্বিধা নেই যে এখানে অনেক কিছু শেখার মত পাওয়া যাবে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মনি শামিম এর ছবি

মনির ভাইয়ের ফটোগ্রাফিক কোর্সটি আসলেই দারুণ। কি সুন্দর সহজ করে লেখা আর নিজে কি দুর্দান্ত ছবি তোলে রে বাবা! সব মিলিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের অনেক উপকারে আসবে কোর্সটি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি যেটার কথা বলেছেন এটার দাম কেমন?

মাসুদ সজীব

মনি শামিম এর ছবি

এই লেন্সের সেকেন্ড হ্যান্ড মুল্য ১০০ থেকে ১৫০ ডলারের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রে ই বে-তে বেশ সহজলভ্য। আমাদের দেশে খুব বেশী পাওয়া যাবে বলে মনে হয়না।

আয়নামতি এর ছবি

কী দারুণ দেখতে! চোখ দুটো টেনে টেনে দেখবার মত লাগে এধারার ফটুকগুলো।
কেমন দাম হবে রে ভাইয়া এমন একটা মাইক্রোর? যদিও এসবের কিছুই আমার জানা নেই,
কিন্তু সচল ভর্তি সব মিনি-মাইক্রোর এতসব প্রতিভা কাহাতক আর চোখ মেলে সহ্য করা যায়!
হেহেহে... নাহ! আমার দ্বারা একাজ সম্ভব নয়। পড়ে জেনেছি এতে অসম্ভব ধৈর্য্য লাগে। ও আমার একদমই নেই।
আমি তাই দেখিয়েদের দলেই থাকছি। গান নিয়ে নতুন কিছু লিখছেন নাকি? অনেক শুভকামনা হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

খালি ধৈর্য না, ভালোবাসাও লাগে। সেই সাথে লাগে সময়। আজকাল সবকিছুতেই এত কম্পিটিশন, হুট করেই ফটোগ্রাফার হওয়াও কঠিন হাসি

কিন্তু যারা অধ্যাবসায়ী, জয় তাদের সুনিশ্চিত।

মনি শামিম এর ছবি

চলুক চলুক

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ আয়নামতি। আপনারও হবে। একটু ধৈর্য সহকারে ভালবাসা সহ মাঠে নেমে পরুন। দেখবেন কেল্লা ফতে হয়ে বসে থাকবে!

মনি শামিম এর ছবি

গান নিয়ে শুরু তো করেছিলাম আয়নামতি, কিন্তু মাল মশলা যথেষ্ট পরিমান না থাকলে এখানে এগুনো কঠিন। তবে লাইন ছেড়ে দিইনি। একটা বইয়ের অর্ডার দিয়েছি। হাতে পেলেই আবার হাত খুলে আর ডি বর্মণ। তার আগে কিছু লেন্স নিয়ে আলোচনা করে ফেলি।

নির্ঝর অলয় এর ছবি

আমি ছবির লোক, ছবিগুলো দুরন্ত লেগেছে। ফোটোগ্রাফির কোন তালিম আমার নেই। মন খারাপ ভালো ক্যামেরা বা লেন্সও নেই, কেনার সামর্থ্যও নেই। ছবি আঁকি এবং দেখি। হাসি

মনি শামিম এর ছবি

আপনি ছবি আঁকেন? তাহলে আমাদের সাথে বিনিময় করেন নি কেন? জানেন, যারা ছবি আঁকে তারা ভাল ফটোগ্রাফার হয়? কেননা তাঁদের নতুন করে কম্পোজিশন শিখতে হয়না। আজকাল অনেক ভাল কমপ্যাক্ট ক্যামেরা পাওয়া যায়, ভারী ডিএসএলআর কেনার কোন দরকার আপনার নেইরে ভাই। আপনি একটা যেন তেন ক্যামেরা দিয়েও অসাধারণ ছবি তুলবেন বলেই মনে করি। আপনি একজন ছবি আঁকিয়ে, কম্পোজিশনের তালিম তো আপনি আমাদের দেবেন! আমি কোন একদিন আপনার ফটোগ্রাফি দেখার অপেক্ষায় থাকব! সেদিন আসুক শীঘ্রই! ধন্যবাদ!

নির্ঝর অলয় এর ছবি

ছেলেবেলায় তোলা একখানা আমার প্রোফাইল ছবি। এখানে পোস্ট দেবার যোগ্যতা নেই। কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় অনেক কিছুই ধরা যায় না। একটু দূরের হলে তো বরবাদ।

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ দিপু ভাই। আপনার ছবি কই?

অতিথি লেখক এর ছবি

সুহাস ভাই (সচলে- অনুপম ত্রিবেদী) এর সুবাদে নিকনের ৫৫ মিলি এফ২.৮ ম্যাক্রো লেন্সটা চাইলে দেখার সুযোগ হয়েছিলো । যদিও, এর আগে কখনো এমন লেন্স দিতে ছবি তুলে দেখি নি, তাই প্রথম দিকে কিছুটা অসুবিধাই হচ্ছিলো। তবে কয়েটা শট নেবার পরেই সব ঠিক হয়ে গিয়েছিলো।
এটা অবশ্যই বলতে হয় যে, লেন্সটার শার্পনেস আর কালার ছিলো মাথা নষ্ট করা।

- অনুপম

মনি শামিম এর ছবি

নাইকনের ৫৫ মিমি এফ ২।৮ এ আই লেন্সটি একটা অসাধারণ লেন্স। এই লেন্স দিয়ে তোলা ছবি দেখলে মাথা নষ্ট হবার জোগাড় হয়। নাইকনের এইসব ম্যানুয়াল লেন্সগুলি এক একটা জাদু আসলে। সত্তর দশকের এই লেন্সগুলির ফ্যান ফেয়ার দেখলেও অবাক হতে হয়। এখনও অনেক মানুষ শুধু এই লেন্সগুলি ব্যাবহারের জন্য নাইকন সিস্টেম ব্যাবহার করার কথা ভাবে। আরও মজা হল, নাইকন এইসব ম্যানুয়াল লেন্সের অনেকগুলি এখনও উৎপাদন করে। ত্রিশ চল্লিশ বছরেও এগুলির জনপ্রিয়তা কমেনা এবং অদূর ভবিষ্যতে কমবে বলেও মনে হয়না। একে তো এগুলি অক্ষয় লেন্স, ফুল মেটাল তার ওপরে এখন একটু হাই এন্ডের ক্যামেরা যেমন নাইকন ডি ৭০০০ এবং ৭১০০ ক্যামেরাগুলিতে এই লেন্সগুলি ফুল মেট্রিক্স মিটার দেবে। আমার তো ধারণা, এই লেন্সগুলি এখন অনেক মানুষ আরও বেশী করে ব্যাবহার করতে চাইবে।

আমি এখানে যে লেন্সটি আলোচনা করেছি, সেই লেন্স ব্যাবহার করেও দেখেছি কি অসাধারণ শার্পনেস আর কি অনন্য রঙ। শুধু রঙ দেখেই বিস্মিত হয়ে যাই। অথচ কেনার সময়ই খেয়াল করেছি যে লেন্সে খানিক ছত্রাক বাসা বেঁধেছে। তারপরেও ছবি তুলে গেছি। এখনও তুলি। কিন্তু বিশেষ লেন্স বলে সবসময় ব্যাবহার করিনা।

অনেকবার ভেবেছি আপনি যে লেন্সটির কথা উল্লেখ করলেন সেটি কোন এক সময় কিনে ফেলব। কিন্তু আমার আলোচিত লেন্সটির প্রেমে পরে গেছি, মায়া জমে গেছে অনেক। এভাবেই নতুন আরেকটি লেন্স কেনার কথা চিন্তা করিনি অনেকদিন। তবে কিনলে এইবার একটা ১০৫ মিমি কিনব, ম্যানুয়াল!

ধন্যবাদ অনুপম!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।