শালীবাহন ধুগোরাজ

শঙ্কর এর ছবি
লিখেছেন শঙ্কর [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৭/২০০৯ - ৬:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধুগো রাজের সভায় মুখফোড় নামে আজকাল একটি নতুন মুখের আমদানী হয়েছে। সে প্রায়ই রাজার কানে কানে ফিস ফিস করে আদমচরিত শোনায়। কয়েকটা এপিসোডে ইভের বর্ণনা শোনার পরেই রাজার মন উহু উহু করে উঠলো। তিনি ঠিক করলেন আর দেরী নয়, এবার তিনি বিয়েটা করেই ফেলবেন। রাজা হাঁক দিলেন, 'মন্ত্রী দ্রোহী, আমি বিয়ে করব।'

সভা থেকে এক মোসাহেব লাফ দিয়ে উঠল, 'অতি উত্তম প্রস্তাব রাজামশাই। আপনার
মতো উপযুক্ত পাত্রের এখনই বিয়ে করা উচিত। আপনার তো এখন ওয়াইল্ড-স্কোপ।'

'হ্যাঁ, ওয়াইল্ড-স্কোপ', মন্ত্রী মুখ ভেংচে উঠলেন, 'রাজামশাই কি জঙ্গল থেকে বুনো মেয়ে ধরে এনে বিয়ে করবেন?' একেই তাঁকে টপকে মোসাহেবি করাটা তাঁর একদম পছন্দ হয়নি।

'আপনি কিচ্ছু ভাববেন না রাজামশাই, আমি সব ব্যবস্থা করছি।' দ্রোহী হাঁকডাঁক শুরু
করলেন, 'এই কে আছিস, মুস্তাফিজ ভাইকে খবর দে, ফটুক তুলতে হবে। সুমঞ্চৌ কে ডেকে পাঠা, দেশ জুড়ে গেট আর ব্যানার বানাতে হবে। হেঁসেলে নতুন বাবুর্চী মূলত পাঠককে খবর দিয়ে আয়। সে একটা নতুন ডিশ শিখেছে, মূলো দিয়ে পাঁঠা-চচ্চড়ি। বলে দিস, অতিথিরা খেয়ে খুশি হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে সচল করে দেওয়া হবে, আর না হলে সে আজীবন অতিথি থেকে যাবে। আর তুলিরেখাদি, দময়ন্তীদি - সবাইকে নিমন্ত্রণ পাঠা। ওঁরা অন্দরমহলের দিকটা দেখবেন।'

'মন্ত্রী, তুমি দিন দিন একটা ইয়ে হয়ে যাচ্ছ।' ধুগোরাজ বিরক্তির সঙ্গে বললেন, 'তুমি তো জান কবুল করে খেটে যাচ্ছ। কিন্তু আমি কাকে কবুল করব, সেটা ঠিক করেছ?'

মন্ত্রীর টনক নড়ল। পাত্রীই তো ঠিক হয়নি। কিন্তু স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় বললেন, 'কি যে বলেন রাজামশাই। সে কী আর ভাবিনি। সেও ঠিক হয়ে যাবেখন।'

দুপুরবেলা খাওয়ার সময় মন্ত্রী তার ডানহাত আর বাঁহাতকে ডাকলেন। 'শুনেছি, আজকাল বেশীর ভাগ বিবাহ অন্তর্জালের মাধ্যমে হচ্ছে। নিবিড়, তুমি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আমাদের কিছু ভালো সাইটের খবর দাও। আর হিমু, নিবিড় বাচ্ছা ছেলে, কি সব একগাদা আবঝাব জিনিস এনে ফেলবে, তুমি বরং ওগুলো মডারেশন করে ঠিকঠাক জিনিস গুলো দিও বাপু। বিকেলে চা খাওয়ার সময় দেখা হবে।'

বিকেলবেলা নিবিড়কে নিয়ে হিমু বসেছিল। 'এই দেখুন হিমুদা, মেরীশাদী ডট কম।'
'মানে?' হিমু দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে উঠল, 'শাদী করে কেউ merry হয়? এমন কী, যে মেরীকে marry করে সেও হয় না। বকোয়াস সাইট। নেক্সট?'
'এই দ্বিতীয়টা দেখুন', নিবিড় কাঁচুমাচু মুখে বলল, 'বিয়েকরুন ডট কম।'
'দেখ নিবিড়, এখনো আমাদের দেশে ছেলেরা বিয়ে করে, মেয়েদের বিয়ে হয়। কাজেই এটা হাফ-বকোয়াস।' হিমুর মন্তব্য।
'কিন্তু আমাদের রাজামশাই তো ছেলে। সেক্ষেত্রে ওনার বেলায় এটা চলবে না কেন?',
নিবিড় প্রতিবাদ জানাল।
- কিছুটা চলতে পারে। বাকীগুলো দেখি।
- এর পরেরটা একটু অদ্ভুত নাম, শালীকেবিয়ে ডট কম।
- মানে? মন্ত্রীমশাই ঠিকই বলেছিলেন। তুই একটা অগা। বৌকে বিয়ে না করে কেউ
শালীকে বিয়ে করে? আমাদের রাজামশাইয়ের বেলা এসব বেলেল্লাপনা একদম চলবে না।

এমন সময় মন্ত্রীমশাই ঢুকলেন, 'কি হে, সাইট খুঁজে পেয়েছ?'
নিবিড় তখন কি-বোর্ড নিয়ে নিয়ে খেলতে খেলতে শেষ সাইটটা খুলে ফেলেছে। সব সুন্দরী মেয়েদের ফটুক দেখে দ্রোহীর মাথা ঘুরে গেল। 'হিমুভাই, সন্ধ্যে তো হয়ে এল। আপনি বরং বাড়ী গিয়ে ভাবীর হাতের ভুনা খিচুড়ী আর বেলনের বাড়ি খান, আমি নিজেই একটু খোঁজ-খবর করি।' এই বলে দুজনকেই ভাগিয়ে দিয়ে দ্রোহী সাইটের মেয়েদের ফটুক দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।

ছবি দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেল। ততক্ষণে দ্রোহী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, এই সাইট থেকেই মেয়ে পছন্দ করবেন। রাতেই প্রেস কনফারেন্সের সিদ্ধান্ত নিলেন। সাংবাদিক বিপ্লবকে ডেকে জানিয়ে দিলেন, 'কালকের কাগজের প্রথম পাতায় ছাপিয়ে দাও, রাজামশাই শ্যালীকে বিয়ে করবেন।' বিপ্লব একটু কানে খাটো। ধান শুনতে কান শোনে। যা শুনলো নিজেরই বিশ্বাস হল না। ঠিক বুঝে নেওয়ার জন্য আবার জিজ্ঞেস করলো, 'শেয়ালীকে?'

দ্রোহী তখন ফটুক দেখায় ব্যস্ত। ঘাড় না ঘুরিয়েই বলল, 'হ্যাঁ হ্যাঁ, বললাম তো, কালকের প্রথম পাতায় চাই। এখন যাও। আমায় বিরক্ত কর না।'

কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে রাত দুপুরে বিপ্লব চললো খবরের কাগজের অফিসে। মাথার ওপর দিয়ে ভুতুম উড়ে যেতে যেতে কতবার বলল, 'বুদ্ধু-ভুতুম, বুদ্ধু-ভুতুম।' বিপ্লব শুনতেই পেল না। তার মাথায় তখন ঘুরছে, রাজামশাই একটা শেয়ালীকে বিয়ে করবেন।

পরের দিন, খবরের কাগজ হাতে নিয়ে আম-জনতার আক্কেল-গুড়ুম। খেকশিয়াল তার শেয়ালীকে নিয়ে অনিকেত হয়ে গেল (মানে সাধের নিকেতন ছেড়ে পগাড় পার)। সবুজ বাঘও ডেরা ছেড়ে দিগন্ত পার হয়ে গেল। আজকে শেয়ালীর দিকে নজর দিয়েছেন, কালকে যে বাঘিনীর দিকে নজর দেবেন না, কে গ্যারান্টি দেবে? রাজামশাইয়ের তীরন্দাজ-বাহিনীকে তার ভীষণ ভয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক তার দলবল নিয়ে এই ধরণের কীর্তিনাশা পরিকল্পনার প্রতিবাদে রাজদরবারে স্মারকলিপি জমা দিল। মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল সুলতানা পারভীন রাজার কাছে শিমূল ফুলের মালা পাঠিয়ে তেব্র পোতিবাদ জানালেন। আর দুষ্ট বালিকা রাজার সভায় চেঁচামেচি করতে এলে পর, অতন্দ্র প্রহরী তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে বিদেয় করল। সমস্ত রাজ্যজুড়ে তুমুল হৈ-চৈ শুরু হল।

রাজা হাঁক পাড়লেন, 'দ্রোহী, এত গন্ডগোল কেন?'
দ্রোহী তো বুঝেছেন কি হয়েছে। দ্রোহী বিপ্লবের ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে তাকে
রাজ-সাংবাদিকের পদ থেকে বহিষ্কার করে আরিফ জেবতিককে সেই পোস্টে বসিয়ে দিল। আর সবাইকে জানিয়ে দিল, 'আর অন্তর্জাল নয়। রাজামশাই চিরকালীন প্রথা মত ঘটকের মাধ্যমে কন্যা খুঁজবেন।' নতুন করে সিরাতকে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হল। সে তার ব্লগে সবাইকে জানিয়ে দিল যে রাজামশাই শেয়ালীকে নয়, শালীকে বিয়ে করবেন। এই ধরণের বিয়ে অতীব নীতি-সম্মত। ইতিহাসেও এর উল্লেখ আছে। দাক্ষিণাত্যে সম্রাট শালিবাহনের কথা তো সবাই জানেন। কনফুসিয়াসও বলেছেন ... ইত্যাদি ইত্যাদি।

রাজসভায় ঘটকরা সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। দ্রোহী হাঁক পাড়লেন, 'নেক্সট?'
রেনেট খবর দিল, পাশের রাজ্য ঊষরভূমিতে এক অনন্যসুন্দরী রাজকন্যা আছে। রাজার একমাত্র কন্যা।
দ্রোহী ধমক দিল, 'তুমি তো দেখছি গোরুর চেয়েও গাধা। একমাত্র কন্যা হলে সে শালী হবে কি করে? রাজামশাই তো শুধু শালীকে বিয়ে করবেন মনস্থ করেছেন। নেক্সট?'
সাইফ এসে ঘাড় চুলকে বলল, 'শালীদের ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা বড়ই কম। আমি চিরকালই বাবার শালাদের ল্যাং মেরে এসেছি।'
'ঠিক আছে। তোমায় মাপ করে দেওয়া হল। নেক্সট?'

এদিকে হিমু, বিপ্লব, দুষ্ট বালিকা এবং আর সব উপেক্ষিত এবং বিতাড়িতরা জোট বাঁধল। তাদের বুদ্ধি দিতে এলো খেকশিয়াল পন্ডিত। রাজামশাইয়ের শেয়ালীর দিকে নজর নেই জেনে সে ফিরে এসেছে। সবার বুদ্ধিতে পরের দিন খবরের কাগজে ছাপা হল, 'রাজামশাই তো আর যে কোন মেয়েকে বিয়ে করতে পারেন না। পাত্রীকে অবশ্যই বুদ্ধিমতী এবং শিক্ষিতা হতে হবে। যে পাত্রী জেনেসিস-এর নির্ভুল বঙ্গানুবাদ নিয়ে আসতে পারবে, রাজামশাই তাকেই বিয়ে করবেন।

এখনও খোঁজ চলছে। কেউ কি আছেন?????????????


মন্তব্য

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চরম চরম, গুরু গুরু

আমি গড়াগড়ি দিয়া হাসি শেষ, হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে এসেছে, শঙ্কর দাদা যা দিলেন, এটা আমার পড়া সচলায়তনের সর্বোত্তম লেখা, আরেকবার গুরু গুরু

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ভুতুম এর ছবি

ফাটাইন্যা হইছে! দেঁতো হাসি :D দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

মজার!

নিবিড় এর ছবি

ধূগোর বিয়ে নিয়ে আর কত গল্প আসবে তার মনে হয় ইয়াত্তা নেই। পাত্রীর সন্ধান বের করার জন্য আমার দ্বায়িত্ব দারুণ পছন্দ হয়েছে দেঁতো হাসি তবে আশা আছে অতীব শীঘ্রই প্রহরী, পান্থ, এভার চেঞ্জিং ম্যান এর মত অবিবাহিত বালকদের উপর গোয়েন্দাগিরির দ্বায়িত্ব নিতে যাচ্ছি দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুমম।
আমাকে মনে হয় রাজার হাতিশাল বা ঘোড়াশালের ছবি তোলার দায়িত্বটা দেয়া যেতো চিন্তিত

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
ধুগোর গতি এট্টু নাহয় দেরি করেই হোক। চোখ টিপি
ধুগো এবং শালিসংক্রান্ত এইসব এবং আসিতব্য আরো কিছু গল্পের মজা আগে লইয়া লই। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ওরে!... গড়াগড়ি দিয়া হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

খুবই মজা লাগলো পড়ে । নাহ ধূগোদাকে আসলেই কেউ শালীদান করেন ।
পুরো সচল,হাচল আর আমরা অচলরা সবাই হাজির হবো বিয়ে খেতে ।

(প্রজাপতি)

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দময়ন্তী এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আচ্ছা আমি তানবীরা, স্নিগ্ধা আর তিথিকে নিয়ে অতিথি (যাচাই করা হয় নি) দের আপ্যাযনের দিকটা দেখব৷ একদম ভাববেন না৷ ও হ্যাঁ নজ্রুলিস্লামও থাকবেন আমাদের সাথে, কেননা উনি খুবই অথিথিপরায়ণ কিনা৷ দেঁতো হাসি
----------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জানতে পারি কি "নজরুল ইসলাম"কে কেন "নজ্রুলিস্লাম" লেখেন? লক্ষ করেছি মুলত পাঠকও একই ভাবে উদ্ভট করে লেখেন। এটা কি ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত?

দময়ন্তী এর ছবি

আপনার মন্তব্য দেখে খেয়াল করলাম কোনভাবে জুড়ে গেছে৷ অবশ্যই ইচ্ছাকৃত নয়, কারণ বানানের ব্যপারে আমি পিটপিটে৷ আর ইচ্ছে করে ভুল লিখতে যাবই বা কেন??? কি অদ্ভুত! আfর "লেখেন' মানে? এর আগে কবে লিখেছি একটু দেখিয়ে দেবেন প্লীজ৷
---------------------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এর আগে কবে লিখেছি একটু দেখিয়ে দেবেন প্লীজ৷
লেখেন না লিখে "লিখেছেন" লিখতে হতো। আগে আপনি লিখেছেন কিনা নজরে আসেনি।
কোনভাবে জুড়ে গেছে
চিন্তিত

দময়ন্তী এর ছবি

অত চিন্তার কিছু নেই৷ আমি ইউনিকোড এবং বাংলাপ্লেইন দুটোতেই পাশাপাশি লেখার জন্য এক বন্ধুর লেখা ওপেন অফিসের একটা প্লাগইন ব্যবহার করি (যাতে কী লে-আউট এক থাকে)৷ ইউনিকোডের জন্য ওপেন অফিস থেকে কপি করে পেস্ট করি৷ ওপেন অফিসের কিছু সীমাবদ্ধতার জন্য দ্রুত টাইপ করলে অনেকসময় অক্ষরগুলো একটা আরেকটার ঘাড়ে উঠে যায়৷ এটা সবসময় হয় না, তাই মাঝে মাঝে খেয়াল না করে পোস্ট করে ফেলি৷ দেখলে ঠিক করে দিই৷
------------------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুমম।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার নাম নিয়ে দেখি ব্যাপক কাহিনী ঘটে গেছে। ব্যাপার না... সব তো আমরা আমরাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

খালি নজরুলেরটাই চোখে পড়ল! আমারে যে ব্যাকতে মিলা মৃদুলাম্মেদ ডাকে, তখন চোখে পড়ে না, না? রেগে টং
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

তানবীরা এর ছবি

আমি আপ্যয়নে নাইগো দমুদি। আমার শাড়ি নষ্ট হইয়া যাইবো। আমি বরং বউয়ের সাথে পার্লারে যাবো। ঃ)
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

দারুণ লিখেছেন।
তবে একটা সেমি জেনুইন নিউজ দেই। আগামী কোনো এক ১০ তারিখে ধুগোর বিয়ে। পাত্রী ডাক্তার, বর্ণ উজ্জ্বল শ্যামলা, পাত্রীর ছোটবোন বিবিএ পড়ে, বড়বোন বিবাহিতা এক সন্তান স্বামীর সাথে ডালাসে থাকে। ধুগোর কোনো শালা নাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

ঋহূগোদা তবে শালীবান-ই হয়ে গ্যালেন দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অন্যকোনো প্রশ্ন করে নিজের বিয়ের বারোটা বাজাবো না। শুধু বলবো, ধুগো মানে আমার হবু শালির ফটুকটা দেখান। পাবলিক শালি নিয়া এতোই মুখ কালি করছে যে এখন নিজের শালিরে নিয়াও বিশ্বাস নাই। আগে দেখুম, তারপর অন্যকথা! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ফারুক হাসান এর ছবি

কস্কি মমিন!

তুলিরেখা এর ছবি

দারুণ লেখা শঙ্কর! মুচমুচে মজার। এখন শুধু ধূসর গোধূলির আসার অপেক্ষা। হাসি

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

জেনেসিস-এর নির্ভুল বঙ্গানুবাদ

হইছে কাজ!
ধুগোদার এই জনমে আর বিয়া করা হইলো না।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

জট্টিল লেখা!!

খেকশিয়াল এর ছবি

ভাই আমার শেয়ালীরে দেখছিলেন কেউ? খুইজা পাই না

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

এনকিদু এর ছবি

পশু পাখির ব্যাপারে প্রশ্ন করতে হবে বনের প্রানীদের বন্ধু এনকিদু কে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রণদীপম বসু এর ছবি

আহা, আমাদের ধুগোটা বড় ভালো ছেলে ছিলো ! কার শালীটায় যে মাথা নষ্ট করলো ! হা শিব-শংকর !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হিমু এর ছবি

৩৫৯ জন সচল ও অতিথি সচল!
১,০০০ এরও বেশি সম্ভাব্য শালি-ননদ-কাজিন!
জন ধূসর গোধূলি যে কি না কারো এ নাই!
একাই ১০০ এক একজন সচল!
তারপরও ফলাফল এর কোঠায়!
ধূগোর জীবন নিয়ে এ কী - ???



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

হাহাহাহাহাহা...

ভাল বলছেন।
------------------------------------------------
চাঁদের আলো আজ যদি ভাল লাগে, কাল হয়ে যায় ঝাপসা...
আমার এ তরী, যদি চলে যায়, ফিরে আর আসবেনা।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আর দুষ্ট বালিকা রাজার সভায় চেঁচামেচি করতে এলে পর, অতন্দ্র প্রহরী তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে বিদেয় করল।

তেব্র পেত্তিবাদ! শঙ্করদার লেখার জন্য আর মামুন ভাইয়া কৃতকর্মের জন্য। [ আই খেল্বাম্না, আই কুইট! মন খারাপ ]

------------------------------------------------
চাঁদের আলো আজ যদি ভাল লাগে, কাল হয়ে যায় ঝাপসা...
আমার এ তরী, যদি চলে যায়, ফিরে আর আসবেনা।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুষ্টুমি করলে তো উচিত শাস্তি পাইতেই হবে, বালিকা দেঁতো হাসি

লেখাটা ক্যাম্নে চোখ এড়ায়া গেল! আগে তো পড়িনি মনে হচ্ছে... চ্রম হইসে হো হো হো

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পোস্টে উত্তম জাঝা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রেনেট এর ছবি

আমি যে আসলেই গাধা, এটা যেন কিভাবে সবাই টের পেয়ে যায় মন খারাপ

গল্প জট্টিল হয়েছে চলুক
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মামুন ভাই কিভাবে যেন বাদ পড়ে গেছেন, এজন্যে উনি সিরিয়াস মাইন্ড খাইসেন, এই বিধায় শঙ্করদাকে অনুরোধ দ্বিতীয় পর্ব দেবার। আর হিমুদার অংকের খেলা দেখে বড়ই মজা পেলাম।

খেকশিয়াল তার শেয়ালীকে নিয়ে অনিকেত হয়ে গেল

আপনি বরং বাড়ী গিয়ে ভাবীর হাতের ভুনা খিচুড়ী আর বেলনের বাড়ি খান, আমি নিজেই একটু খোঁজ-খবর করি।'

বিপ্লব একটু কানে খাটো। ধান শুনতে কান শোনে। যা শুনলো নিজেরই বিশ্বাস হল না। ঠিক বুঝে নেওয়ার জন্য আবার জিজ্ঞেস করলো, 'শেয়ালীকে?'

পুরা লেখাটাই কোট করবার মত, কিন্তু এই লাইন গুলো পড়লে পুরাই "হাহাপগে" হয়ে যাই

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মামুন হক এর ছবি

সাইফ তোমারে এইসব বাজে কথা কে বলছে?
আমি মাইন্ড খামু কোন দুঃখে, লেখকের পক্ষে কী সবার নাম মনে রাখা সম্ভব?
অতি চমৎকার লেখা হইছে। পাঁচে পাঁচ হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দোস্ত, সাইফ ঠিকই কইছে, তুমি মনে হয় মাইন্ড খাইছ (খিকখিক)

মামুন হক এর ছবি

হাহাহা এতই মাইন্ড খাইছি যে ছড়া লিখে ফেলছি-
চরম লিখেছেন শংকর
বাদ পড়েছে কংকর
সেই দুঃখের ঝংকারে
তুলো ওড়ে টংকারে দেঁতো হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, তোফা তোফা, পারেনও আপনে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

লীন এর ছবি

খাইছে, পইড়া টাশকি খায়া গেলাম
ব্যাপক মজা পাইছি।

______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ

______________________________________
লীন

অনিকেত এর ছবি

বহুদিন পরে একেবারে গড়াগড়ি দিয়ে হাসলাম----
শঙ্কর, আপনার কেবল লেখার মুন্সিয়ানা নয়, সেই সাথে মারাত্মক হিউমার মিলে মিশে একটা বিষ্ফোরক উপাদান তৈরী হয়।

সচলায়তনে এই রকম রম্য রচনা বহুদিন পড়া হয় নি।

উত্তম, অতি উত্তম---

শুভেচ্ছা রইল

কীর্তিনাশা এর ছবি

ওরে সকল কীর্তি নাশ হয়ে গেল রে !!

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

সভাকবির পদটা আমায় দেওয়া হোক! আমি একটু পর পর কবিতা লিখে রাজামশাইকে শোনাব...
বিয়ে কেন আজ না?
মোটে ভালো কাজ না...

২.
শালীতে নাই ভেদাভেদ...
বসে থাকলে বাড়বে মেদ!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, এই পোস্টের জন্য বেশ কয়েকটা সিভি জমা হইছে মহারাজের দরবারে। সবার ওয়াক-ইন ইন্টারভিউ হবে। যে যতো বেশি উপঢৌকণ দিতে রাজী হবে সভাকবির পদ অলঙ্করণ করার টিকেট তারেই দেওয়া হইবে। আর বাকিদের উৎকোচ প্রদান প্রচেষ্টার হেতুতে শূলে চড়ানো হবে।

আদেশক্রমে মহামান্য ধুগো রাজাধিরাজ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

সভাকবির জন্য আমারো দরখাস্ত করতে মন্চায় ।

হে ধুগো রাজাধিরাজ
আজ সবার এত এত শালী,
দিরং করিলে শুভকাজ
সব লিস্টি হয়ে যাবে খালি ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এইটা একটা লেখা হয়েছে বটে। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

দুর্দান্ত এর ছবি

ভাল লেগেছে।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

আমার নাম এখানে আসলো কিভাবে?!?! আগে তো দেখি নাই!!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মজাক পাইলাম ! ! দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।