আইনসঙ্গত, না বিবেকসঙ্গত?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ০২/০৮/২০০৮ - ১০:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অছ্যুৎ বলাই-এর “ডার্ক জাস্টিস, ডার্ক ইনজাস্টিস” পড়ে পুলিশের আচরনের আইনানুগতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম সচলের আইন জানা পাঠকদের কাছে। ধুসর গোধূলি মন্তব্য করেছিলেন যে এব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। যেহেতু এই বিষয়টি এবং আইন সংক্রান্ত আরো কিছু বিষয় আমার কাছে স্পষ্ট নয় তাই এই স্বতন্ত্র পোস্টের অবতারনা। আশা করি যারা আইন জানেন তারা বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে সাহায্য করবেন।

প্রসঙ্গ পুলিশঃ

পুলিশ দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী, সন্দেহভাজন, শৃঙ্খলাভঙ্গকারী, যার বিরূদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা আছে এমন ব্যক্তি এবং যার নিরাপত্তা হেফাজতে থাকার ব্যাপারে আদালতের নির্দেশ আছে তাকে আটক করতে পারেন। আটককৃত ব্যক্তি ইতিমধ্যে দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে তাকে অনতিবিলম্বে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হয়। যদি সে দন্ডপ্রাপ্ত না হয় তাহলে তাকে পরবর্তী কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে হাজির করতে হয়। আদালত জামিন না দিলে তাকে হাজতবাস করতে হয় বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

এই আটক কালে বা হাজতবাস কালে পুলিশ আটককৃত ব্যক্তিকে শারিরীক বা মানসিক নির্যাতন করার অধিকারী নন। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তবে তা নির্যাতনের মাধ্যমে নয়। এরপরও প্রায়ই পুলিশ হাজতীদের বা গ্রেফতার করা মাত্র আটককৃতকে মারধোর করা শুরু করেন। পুলিশের মারধোরের কারনে গ্রেফতারকৃতের মৃত্যু, পঙ্গু হয়ে যাওয়া, গুরুতর জখম হওয়া কোনটাই নতুন বা কালে-ভদ্রে ঘটা ঘটনা নয়। বরং এটি প্রায় নর্মে পরিনত হয়েছে। আদালতও এই ব্যাপারটি সম্যক অবগত আছেন। নয়তো পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দী আদালতে অস্বীকার করলে আদালত কর্তৃক তা গ্রহন না করার স্বাধীনতার বিধান আছে কিভাবে?

আদালতে কারো অপরাধ প্রমানিত হলে অর্থদন্ড, সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা মৃত্যুদন্ড হতে পারে। এর বাইরে শরীয়া আইন যে সব দেশে আছে সেসব দেশে নির্দিষ্ট মাত্রায় এবং নির্দিষ্ট পন্থায় শারীরিক শাস্তির (যেমন, বেত্রাঘাত, হাত কেটে ফেলা ইত্যাদি) বিধান আছে। এমনকি যেসমস্ত দেশে মৃত্যুদন্ডের বিধান আছে, সেখানেও মৃত্যুদন্ড কিভাবে কার্যকর করা হবে তাও বলা থাকে। বেধড়ক পিটানোর আইন কোন দেশেই নেই। আর মানসিক নির্যাতন সম্ভবতঃ সব দেশেই আইন বহির্ভূত।

তারপরও প্রায় সব দেশে পুলিশ আটককৃতকে বেধড়ক পিটায়। পুলিশ কাউকে মেরে না ফেলা পর্যন্ত এব্যাপারে কেউ বিশেষ উচ্চ-বাচ্য করেন না। এমনকি কোন মামলাও হয়না। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এব্যাপারে আশ্চর্য রকম নিরব।

অপরাধ প্রমান বা বিচার হবার আগেই যদি কাউকে শাস্তি দেয়া হয় তাহলে আদালতের গুরুত্ব ও এখতিয়ার অস্বীকার করা হয়। বিচার সাপেক্ষে আদালতের নির্দেশে কাউকে শাস্তি দেয়া যায়। এর বাইরে কাউকে শাস্তি দেয়া আইন-বহির্ভূত। তারপরও আদালতের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পুলিশ বিভাগ দেশ-কাল নির্বিশেষে আদালতের নির্দেশ ছাড়াই গ্রেফতারকৃতকে শারীরিক-মানসিক শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। কোন দেশেই স্বপ্রনোদিত হয়েও আদালত এব্যাপারে কোন নির্দেশ দিচ্ছেন না। পুলিশের এহেন আচরন এখন Prerogative হয়ে গেছে। যদিও বিনা বিচারে কাউকে শাস্তি দেবার অধিকার কোন আইনেই Prerogative হতে পারে না।

পুলিশের এই আচরনকে যদি কেউ আইনসঙ্গত প্রমান করতেও পারেন তবুও তা বিবেকসঙ্গত নয় এমন কথা জোর দিয়েই বলা যায়। পুলিশ কোন ভীন গ্রহের জীব না, তারা আমাদেরই মত মানুষ, আমাদেরই ভাই-বন্ধু-প্রতিবেশী। তারপরও তারা এমন আচরন করেন কেন? এক্ষেত্রে আমরা পুরো দোষ পুলিশ সদস্যদের ওপর চাপাতে পারি না। একজন পুলিশ সদস্য তার কর্মজীবনের শুরু থেকে এই ব্যবস্থা দেখে আসছেন। তার কাছে ব্যাপারটি তার দ্বায়িত্বের অংশ হয়ে গেছে।

কিন্তু এটি পুলিশের দ্বায়িত্বের অংশ হতে পারে না। পুলিশের মধ্যে বিবেকবান কেউ এই প্রথার সোচ্চার বিরোধিতা করেছেন বলে আমরা শুনতে পাই নি। একি তাদের উপেক্ষা, নাকি সীমাবদ্ধতা। নিজেদের যখন আমরা সভ্য, বিবেকবান ও সংবেদনশীল বলে দাবী করি, তখন এমন বিবেকবিরোধী কাজ চিরতরে বন্ধ করার জন্য আমদের মাঝে কি উদ্যোগ থাকা উচিৎ নয়?

প্রসঙ্গ বিচার ব্যবস্থাঃ

আদালতে যে দুই পক্ষ (বাদী ও বিবাদী) মুখোমুখি হন তাদের মধ্যে কেউ বা তার বাইরের কেউ অপরাধী হয়ে থাকেন। মাননীয় বিচারক উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে, সাক্ষ্য-প্রমান নিয়ে, প্রয়োজনে পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে রায় প্রদান করেন। ব্যবস্থাটি মোটামুটি এরকম হলেও বাস্তব ক্ষেত্রে বিচারের সাফল্য নির্ভর করে আসলে কোন পক্ষ কত চৌকস আইনজীবি নিয়োগ করতে পারছেন তার ওপর। নয়তো চৌকস আইনজীবিদের এত “মার্কেট ডিমান্ড” হয় কি করে? চৌকস আইনজীবি নিয়োগ করতে পারার পুরো ব্যাপারটিই বাদী বা বিবাদীর পকেটের অবস্থা এবং ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। অর্থাৎ কেউ ন্যায়বিচার পাবেন কিনা তার অনেকটাই নির্ভর করে তার আর্থিক সামর্থ্য ও অন্যান্য ক্ষমতার ওপর। সুতরাং বিচারক ঠিক থাকলেই সঠিক বিচার পাওয়া যাবে এমন নিশ্চয়তা নেই।

আমি আইনজীবি নিয়োগ প্রথাটির বিরোধিতা করছি না দুটো কারনে। এক, কিছু দেশে এই প্রথাটির বিকল্প চালু করা হয়েছিল, কিন্তু তাও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি বলেই জানি। দুই, নিজের স্বার্থের সপক্ষে জোরালো যুক্তি-তর্ক উপস্থাপণ করা খুব কম বিচারপ্রার্থীর বা বিবাদীর পক্ষে সম্ভব। কিন্তু তারপরও অসম দক্ষতার আইনজীবিদের মধ্যকার পেশাদারীত্বের লড়াইয়ের ওপর মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করাটা বিবেকের সায় পায়না। উভয় পক্ষের আইনজীবির পেশাগত দক্ষতার সমতা বিধানের চেষ্টা “সোনার পাথর-বাটি”র মত ব্যাপার। তাই আইনের মূলসূরকে খর্ব না করে বিবেকের দায় কিভাবে মোচন করা যায় তা ভাববার বিষয়।

যিনি বিচার করেন তার রায়ে কেউ সংক্ষুদ্ধ হলে তার উচ্চতর আদালতে যাবার সুযোগ আছে। এভাবে আদালতের চার/পাঁচটি ধাপ বাদী বা বিবাদীর ন্যায়সঙ্গত অধিকার রক্ষার চেষ্টা করে। অর্থাৎ এখানে চেক-এণ্ড-ব্যালেন্সের সুযোগ আছে। কিন্তু প্রতিটি ধাপেই আইনজীবির সাহায্য গ্রহনের বিষয়টি একই থেকে যাচ্ছে। সেখানে কিন্তু চেক-এণ্ড-ব্যালেন্সের কোন উপায় থাকছে না। বিচারকের বিবেকের দায় মোচনের পথ এখানে খোলা থাকলেও বিচার ব্যবস্থার বিবেকের দায় মোচনের পথ ঠিক খোলা থাকছেনা।

বিচার ব্যবস্থা প্রায় সব দেশেই অতি দীর্ঘমেয়াদী এবং ব্যয়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া। কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুব তড়িঘড়ি করে বিচার করা হয় বটে, তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় অমন বিচারের প্রায় প্রতিটিই বিচারের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার জন্য পাঁচ বৎসর কারাবাসকারী আসামীর যখন ছয় মাসের কারাদন্ডের রায় হয় তখন তার প্রতি কোন ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা রাষ্ট্র করেছে?

সময়ক্ষেপণ না করা আবার তড়িঘড়ি না করা, বিচারের ব্যয় নূন্যতম পর্যায়ে রাখা বিচারপ্রার্থী-বিবাদী উভয়ের মৌলিক অধিকার হওয়া উচিৎ । সময়ক্ষেপণের ব্যাপারে মাঝে-মধ্যে আমরা কথা বললেও বিচারের ব্যয়ের ব্যাপারটি নিয়ে আমরা প্রায় কোন কথাই বলি না। এক্ষেত্রে সরকারী ফি সমূহ কমানোই যথেষ্ঠ নয়। ব্যয়ের মূল উৎসগুলো চিহ্নিত করে ব্যয় সেখানেই সঙ্কোচনের ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো বিচার ব্যবস্থা আইনসঙ্গত থাকলেও বিবেকের দায় থেকে মুক্ত হতে পারেনা। দরিদ্র ও দুর্বল মানুষের জন্য ন্যায়বিচার কখনোই নিশ্চিত করা যাবে না।

প্রসঙ্গ আইন ব্যবসায়ঃ

যেহেতু একজন মানুষের অপরাধ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে অপরাধী বলা যাবে না, এবং যেহেতু কারো অপরাধ প্রমানিত হলেও তার ন্যায়বিচার পাবার অধিকার ক্ষুন্ন হয়না; তাই যে কাউকে আইনী সহায়তা দেবার জন্য একজন আইনজীবির বিকল্প নেই। আইনী ফ্রেমের মধ্যে একজন আইনজীবি তার মক্কেলকে সর্বতোভাবে ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করতে পারেন। এটি আইনসঙ্গত এবং এটি তার পেশাগত দ্বায়িত্বও বটে।

কিন্তু ন্যায়বিচার পাওয়ার নামে একজনকে সর্বতোভাবে রক্ষা করার বা লাভবান করার চেষ্টা সবসময় কি বিবেকসঙ্গত হয়? লুটেরা বিদেশী তেল কোম্পানীকে তাদের স্বার্থে বা স্বৈরশাসকের স্বার্থে বা দেশ-জাতির বৃহত্তর স্বার্থের বিপক্ষে একজন আইনজীবি যখন দাড়ান তখন কি তার মক্কেলকে এই সর্বতোভাবে রক্ষা করার বা লাভবান করার চেষ্টাকে বিবেকসঙ্গত বলে মনে হয়? বিষয়টিকে শুধু পেশাগত দ্বায়িত্ব বা আইনসঙ্গত বলে এড়িয়ে যাবার উপায় নেই। বিষয়টি বোধের, শুধু যুক্তির নয়। আবার সেই একই আইনজীবি যখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গণ-তদন্ত কমিশন বা অনুরূপ আয়োজনে তারই পূর্বতন কর্ম-কান্ডের বিপক্ষে অবস্থান নেন তখন কি তা তার বিবেকের সপক্ষে কিন্তু পেশাদারীত্বের বিপক্ষে যায় না?

পাঁচ বৎসরের শিশুকে হত্যা বা ধর্ষনের মামলার আসামী করা, দীর্ঘদিন যাবত পক্ষাঘাতগ্রস্থ অতিবৃদ্ধকে মারামারির মামলার আসামী করার ঘটনা প্রায়ই আমরা পত্রিকার পাতায় বা মিডিয়াতে দেখতে পাই। বাবার কোলে করে আসা শিশুর আদালতে হাজিরা দেয়া, বা স্ট্রেচারে/টুকরীতে করে আসা বৃদ্ধের আদালতে হাজিরা দেয়ার ঘটনাও প্রায়ই ঘটে। যেসমস্ত দূর্বৃত্ত এমন ব্যক্তিদের আসামী করে একজন সৎ ও বিবেকবান আইনজীবি কি করে তার পক্ষাবলম্বন করেন? একজন আইনজীবি যেহেতু আর দশ জনের মতই সাধারণ মানুষ তাই তার এহেন আচরনে বার অ্যাসোসিয়েশন কি কোন ব্যবস্থা নেয়? নয়তো এসমস্ত ঘটনা বার বার ঘটে কি করে?

বলতে পারেন যখন কেউ কোন আইনজীবির শরণাপন্ন হন তখন তাকে আইনী সহায়তা দেবার জন্য (পারিশ্রমিকের বিনিময়ে) তিনি অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু বিবেকের তাড়নায় কতজন আইনজীবি অন্যায়ের পক্ষাবলম্বনকারী মক্কেলকে ফিরিয়ে দেন? এমনকি নিজের ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা অবস্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেন না? অন্য পেশার মানুষ এমন অবস্থান নিলে সামাজিক সমালোচনার মুখোমুখি হন। কিন্তু একজন আইনজীবি সেখানে সামাজিক সমালোচনার ঊর্ধ্বে ওঠেন কিভাবে?

সভ্য, সুশীল, সংবেদনশীল সমাজ গড়ার জন্য আইন ও বিচার ব্যবস্থাতো মানুষই সৃষ্টি করেছে। আইন বা বিচার ব্যবস্থা যদি মানুষের কল্যান বা বিবেকের বিপক্ষে যায় তাহলে মানুষ তার আমূল পরিবর্তনের জন্য কথা বলবে না কেন?


মন্তব্য

আলমগীর এর ছবি

না আইনসঙ্গত, না বিবেক সঙ্গত।
শাসকদলের দৃষ্টিতে বাস্তবসঙ্গত।

মনজুরাউল এর ছবি

এত ভাল একটা লেখা আমরা অনেকেই পড়লাম না ।
সময়োপযোগী লেখাটার জন্য ধন্যবাদ ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনি কষ্ট করে পড়েছেন তার জন্য আপনাকে ধণ্যবাদ
=================================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শামীম এর ছবি

লেখাতে (বিপ্লব)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই প্রথম কোন লেখায় বিপ্লব পেলাম। আপনার এই মূল্যায়ণের জন্য ধণ্যবাদ।
================================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আলমগীর এর ছবি

কী কয়! আরেকটা (বিপ্লব) দিলাম।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

হুমম। আরো বিপ্লব এবং বিপ্লব চলুক।
এই লেখা দিয়ে আরো প্রমাণ হলো, কেবল রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ নয়, সমাজের পুরো ওপর তলাটিই এরকম খুনকে সমর্থন করে। ক্রসফায়ার তাই আমাদের মধ্যবিত্ত পরিমণ্ডলের আয়না।
.......................................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার প্রশ্নগুলো খুবই গোছানো। আমার ভাবনাও এর কাছাকাছি। একটু সময় করে এ ব্যাপারে বলার আশা রাখি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মনজুরাউল এর ছবি

আমাকেও সাথে নেবেন বলাই ?

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।