কোথায় থাকবো? কোথায় যাবো?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ১৬/০৮/২০০৮ - ১০:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি দেশের যতটুকু ভূখন্ড থাকে তাতে আবশ্যিক বনভূমি, জলাভূমি (নদী, হ্রদ, বিল, খাল, পুকুরসহ), যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষিভূমি, শিল্পোৎপাদনের জন্য জায়গা, বর্জ্য ফেলা ও পরিশোধনের জন্য জায়গা, উদ্যান-পার্ক ইত্যাদির জন্য জায়গা, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার, হাসপাতাল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় স্থাপণাসমুহের জন্য জায়গা এতসব কিছু বাদ দিলে শুধু মানুষ থাকার জন্য মোট ভূখন্ডের প্রায় ২০%-এর বেশী জায়গা থাকার কথা না। হিসেবের সুবিধার্থে একে যদি ২০% ধরি এবং বাংলাদেশের জনসংখ্যা যদি ১৫০ মিলিয়ন হয়, তাহলে বাংলাদেশে বসবাসকারীদের জন্য থাকার জায়গা আছে ১৪৪,০০০X০.২০ = ২৮,৮০০ বর্গ কিলোমিটার। তারমানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৫,২০৮ জন (মাথাপিছু ১৯২ বর্গ মিটার)। মানুষের আয়ের শ্রেণীবিভাজনের সাথে সাথে মাথাপিছু থাকার জায়গাও কম-বেশী হতে থাকে। ফলে বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষের মাথাপিছু বসবাসের জমির পরিমান ৪০ বর্গমিটারের বেশী হবার কথা না।

এই ৪০ বর্গমিটারে তাকে থাকতে হবে, তার প্রয়োজনীয় সবকিছু রাখতে হবে, তার দৈনন্দিন ও ব্যক্তিগত চাহিদার কাজ-কর্ম করতে হবে। কল্পনা করে দেখুন অমন একটা জায়গায় একজন মানুষ। তাহলে বুঝতে পারবেন জায়গাটুকু জেলখানা বা চিড়িয়াখানার সাথে তুলনীয়। এমনকি ১৯২ বর্গ মিটারও সুস্থ্য-স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ঠ নয়।

প্রশ্ন করতে পারেন, কই বাস্তবে তো আমরা এত ঠাসাঠাসি হতে দেখি না? উত্তরটা হচ্ছে আমরা অন্যান্য ক্ষেত্রে আবশ্যিক ভুমিও (বন, জলা ইত্যাদি) থাকার কাজে ব্যবহার করে ফেলছি বলে ঠাসাঠাসিটা অত চোখে পড়ে না। তবে এর দরুন পরিবেশের যে বিপর্যয় ঘটছে তা আর কাউকে দেখিয়ে দিতে হয় না।

তাহলে সুস্থ্য-সুন্দর পরিবেশে বাংলাদেশে বাস করা কি সম্ভব নয়? জমির ভার্টিকেল এক্সপানশন করে সমস্যার মাত্রা কিছুটা কমিয়ে আনা যায় সত্য, তবে তাতেও সমাধান হয় না। এতগুলো মানুষের (ক্রমবর্ধমান) খাবারসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, ইউটিলিটি এসবের যোগান দিতে যত আধুনিক প্রযুক্তি আর ম্যানেজমেন্ট প্রয়োগ করা হোক না কেন, জায়গার ঘাটতি তাতেও বিপুল পরিমান থেকে যাবে। তারচেয়ে বড় কথা উন্নত জীবন-যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রতিবেশিক (Ecological) কর্ম-কান্ড চালানোর জন্যও এই জায়গা যথেষ্ঠ নয়।

অচিরেই ভারত ও চীন দুটি দেশের জনসংখ্যাই ১.৫ বিলিয়নের মত হয়ে যাবে। তখন উপরে দেয়া বাংলাদেশের ৪০ বর্গমিটারের হিসেবের মত হিসেব করলেও ভারতে মাথাপিছু ৮০ বর্গমিটার ও চীনে মাথাপিছু ২৫৫ বর্গমিটার থাকার জায়গা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ তাদের অবস্থা তখনো বাংলাদেশের চেয়ে অনেকগুন ভালো থাকবে। বলতে পারেন এই দুই দেশেই থাকার অযোগ্য বিশাল পর্বতমালা, গহীন অরন্য আর ঊষর মরুভূমি আছে। তবে মানুষের প্রয়োজন অনুসারে অভিযোজন আর প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কথা বিবেচনা করলে বোঝা যায় সে বিচারেও তাদের অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ভালো থাকবে।

তাহলে আমাদের উপায় কি? লক্ষ্য করুন গত একশত বৎসর ধরে ভারতের বিশেষ কিছু রাজ্য এবং চীনের পশ্চিমাঞ্চল বাদ দিলে এই দুই দেশের বাকী অঞ্চলের মানুষ ব্যাপক হারে দেশত্যাগ করেছেন। দেশ-মহাদেশ নির্বিশেষে তাদের এই মহাপ্রস্থাণ চলেছে দশকের পর দশক ধরে। এতে তাদের দেশের উপর মানুষের চাপ কিছুটা হলেও কমেছে। যদিও তা দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় খুব বেশী কিছু না। তবে দেশে সরাসরি বৈদেশিক মূদ্রা, বিনিয়োগ ইত্যাদি এসেছে। সংশ্লিষ্ট দেশেও তাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের পথ সুগম হয়েছে। ভারত বা চীনের অবস্থা শুধুমাত্র এই কারনেই বাংলাদেশের থেকে ভালো হয়নি, তবে এটি একটি আবশ্যিক পথ।

বাংলাদেশ থেকে গত বিশ-পঁচিশ বৎসর ধরে ভারত বা চীনের মত হারে মানুষ দেশত্যাগ করেন নি। বাংলাদেশীরা প্রধাণতঃ চাকুরী করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে গেছেন। চাকুরীর তালিকাতে পরে কিছু ইউরোপীয় এবং কিছু আসিয়ান দেশ যুক্ত হয়েছে। উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া বা নিউজীল্যান্ডে যারা গেছেন, তারা মূলতঃ থাকার জন্যই গেছেন। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক হারে মধ্যপ্রাচ্য বা আসিয়ান দেশগুলোর তুলনায় তাদের সংখ্যা অনেক কম। যারা চাকুরী করতে যান, তাদের প্রায় সবাই দেশে ফিরে আসেন। যাবতীয় উপার্জনও দেশে নিয়ে আসেন। আর যারা থাকার জন্য যান, তারা তাদের উপার্জনের খুব কমই দেশে পাঠান।

প্রবাসীদের মধ্যে যাদের বিশেষ কোন স্কিল নেই, অথবা যাদের স্কিল বাংলাদেশে কাজে লাগার উপায় কম, তারা যদি দেশে না ফেরেন তাতে দেশের ক্ষতি হয় কম। তারা যদি দেশে টাকা না ও পাঠান তাতেও দেশের বিশেষ ক্ষতি হয় না। আপাত দৃষ্টিতে ব্যাপারটিকে মানবিক চিন্তার পরিপন্থী মনে হলেও, বাস্তবে সে সমস্ত লোক যদি বাংলাদেশে থাকতেন তবে তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হত। এরচেয়ে প্রবাসে থাকলে যদি মানবিক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা পাওয়া যায় তবে তাই মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে ভাল।

দেশত্যাগের ব্যাপারে মানবিক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা, সামাজিক নিরাপত্তা, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ, কর্মসংস্থানের সুযোগ, যোগ্যতার মূল্যায়ণ অনেক গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর। দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশ তার জনগণের খুব ছোট একটি অংশকে এই বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা দিতে পেরেছে। দ্বায়িত্ব কার কি ছিল সে বিতর্কে না গিয়ে যে সহজ সত্যটি আমাদের মেনে নেয়া উচিত তাহলো ঘটনাটি এই আকারেই ঘটেছে। যারা দেশ ছেড়েছেন তারা অনেক কষ্ট নিয়েই দেশ ছেড়েছেন। আপাত আনন্দ নিয়ে যারা দেশ ছেড়েছেন তারাও দেশত্যাগের মর্মবেদনা অচিরেই বুঝেছেন।

কিন্তু যা দিন আসছে তাতে দক্ষ-অদক্ষ সবার জন্যই দেশে মানবিক জীবন যাপন করাটা কঠিন হয়ে পড়ছে। দেশের জনসংখ্যা যদি ০.৫% হারেও বাড়ে তাহলে দেশে প্রতি বৎসর নতুন মুখ যোগ হয় ১৫,০০,০০,০০০X০.৫% = ৭,৫০,০০০ জন। তাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার স্থির থাকলেও তের বৎসরে দেশের জনসংখ্যা আরো এক কোটি বেড়ে যায়। তখন মাথাপিছু থাকার জায়গা নেমে আসবে আগের হিসেব অনুযায়ী ৩৬ বর্গমিটারে। আর সরাসরি ভাগ করলে তা দাঁড়ায় ১৮০ বর্গমিটারে।

এই হারে মাথাপিছু জায়গা কমতে থাকলে একটি প্রজন্ম পুরোপুরি পার হবার আগেই দেশে বিরাট মানবিক, সামাজিক ও পরিবেশগত বিপর্যয় নেমে আসবে। আশাবাদীরা বলতে পারেন আমি অহেতুক ভয় পাচ্ছি, এবং হিসেবগুলি এত সহজ নয়। কিন্তু সহজ অঙ্কের হিসেবকেও উপেক্ষা না করে সময় থাকতে ব্যবস্থা নেয়াইতো বিবেচকের কাজ হবে। যেমন ধরুন, বাংলাদেশের জন্মলগ্নে দেশের জনসংখ্যা যা ছিল বর্তমানে তা দ্বিগুন হয়েছে। অথচ সেই সময় দেশের মোট খাদ্য ঘাটতির পরিমান পরিমানগতভাবে বর্তমানের মোট খাদ্য ঘাটতির কাছাকাছি। অর্থাৎ কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশে নিরবে ঘটে যাওয়া একটি বিপ্লব শুধুমাত্র মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য কেউ টেরই পায়নি।

তাহলে এই বিশাল জনসংখ্যার ভার কে নেবে? এটিতো পুরাকাল নয় যে ঐতিহাসিক “গ্রেট মাইগ্রেশন”গুলির মত দেশের একটি বড় অংশ মানুষ অন্য কোন দেশের দিকে রওনা দেবে। এটিতো মধ্যযুগ নয় যে নতুন আবিস্কৃত মহাদেশগুলোতে জাহাজ ভরে লোক পাঠানো যাবে নতুন বসতি স্থাপণ করার জন্য। এটিতো ইউরোপের শিল্পবিপ্লবের যুগ নয় যে গায়ের জোরে নতুন নতুন উপনিবেশ স্থাপণ করা যাবে, যাতে সেখানে অতিরিক্ত জনসংখ্যার ভার নামানো যাবে। বিশ্বায়ণের এই যুগে সমাধানটি ভাবতে হবে অন্যভাবে। তেমনই একটি ভাবনা এখানে বলছি।

বিশ্বে এখনো এমন অনেক দেশ আছে যেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১০০ জন মানুষও নেই। ফলে সেসব দেশে কৃষি ও শিল্প থেকে যা উৎপাদন হওয়া সম্ভব (পরিবেশ বিপর্যয় না করেই) তার এক ভগ্নাংশ পরিমান উৎপাদিত হয়। আবার এমন দেশও আছে যেখানে যে কোন বিষয়ে দক্ষ লোকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এই উভয় প্রকার দেশেই আমরা আমাদের দক্ষ ও অদক্ষ সকল প্রকার মানুষকে নেবার জন্য বলতে পারি। কিন্তু তারা সেধে কেন এই ঝামেলা নিতে যাবে? আমরা যদি তাদের জন্য বেশ লাভজনক এমন সব প্রকল্পে রাজী করাতে পারি যেখানে আমাদের বিপুল জনশক্তি রফতানী করা যায় তাহলে একট উপায় বের হয়। এই অফারটির প্রকৃতি বিদ্যমান কর্পোরেট রাক্ষসদের অনুরূপ নয়, বরং পারস্পারিক সহযোগিতামূলক (Symbiotic) হবে। এর উদ্দেশ্য ঔপনিবেশিকতা নয়, বরং উভয়ের উন্নয়ন হবে। এর উদ্দেশ্য সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ নয়, বরং শান্তিপূর্ন সহবস্থান ও বিনিময় হবে। এটি হবে বিশাল মানবিক বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশ এবং অনুরূপ দেশগুলোকে বাঁচানোর জন্য একটি সংবেদনশীল উপায়।

আমরা কি পারি না এমন প্রকল্প তৈরী করতে যা পশ্চিম ও মধ্য অস্ট্রেলিয়াকে সুজলা-সুফলা করতে পারে? পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার কৃষি উৎপাদনকে বহুগুণ বাড়াতে পারে? উত্তর-পূর্ব আফ্রিকায় পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের উপর ভিত্তি করে বিশাল শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে পারে? দুর্গম লাতিন আমেরিকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে? সেখানে নতুন নগরায়ণ করতে পারে? ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, ওসেনিয়ান দ্বীপপুঞ্জ আর ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সমূদ্রভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে পারে? বিশাল বোর্নিও দ্বীপে খনি ও বনভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে পারে?

এতে বিপুল পরিমান মানুষের ঐ সমস্ত প্রকল্পে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বসবাসের জায়গা হবে। প্রকল্পগুলো অতি দীর্ঘ মেয়াদী বা প্রায় স্থায়ী বলে বিষয়টি “মাইগ্রেশনে”র আকার নেবে। এর সবই সম্ভব। তবে তার জন্য চাই সাহস, ধৈর্য্য, সততা, মেধার প্রয়োগ, দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য রাতারাতি ধনী হবার লোভত্যাগ, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া, ঐকান্তিকতা, সর্বোপরি দেশপ্রেম। সরকার এই পথে চিন্তা করবে আর উদ্যোগ নেবে অমন অহেতুক চিন্তা করে সময় নষ্ট না করাই ভাল। এর চেয়ে সাহসী উদ্যোক্তারা একা, দলগতভাবে বা বাইরের সহযোগিতায় এমন উদ্যোগ নিতে পারেন।

যদি আমরা এধরনের চিন্তা করে এমন উদ্যোগ না নেই তাহলেও ঐ সমস্ত প্রকল্প হবে। তবে তা করবে কর্পোরেট রাক্ষসেরা। যারা ঐদেশের এবং যারা তাদের হয়ে কাজ করবে, তাদের সবাইকেই শেষবিন্দু পর্যন্ত শুষে নেবে। তাতে না হবে আঞ্চলিক উন্নয়ন না হবে আমাদের মানবিক বিপর্যয় ঠেকানো।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

বলা যেতে পারে "অধিনিবেশ"।

পশ্চিম আফ্রিকায় বাংলাদেশীরা গুটি গুটি পায়ে প্রবেশ শুরু করেছেন। এটি হয়তো ভবিষ্যতে আরো বেগবান হবে। রাশিয়া আর চীনের বিপুল বিনিয়োগের পেছনেই হয়তো মানবসম্পদ বিনিয়োগে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকতে পারে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার আবিষ্কৃত টার্মটি সুন্দর, তবে আমার প্রস্তাবের সাপেক্ষে মেনে নিতে পারছিনা। ভারতে বসতি স্থাপণকারী মধ্য-এশীয় মোগল, পারসীক, তুর্কী বা আর্যরা কালে কালে এদেশের নাগরিক হয়েছে, মূলধারাতে মিশেছে। তাদেরকে না বলা যায় ঔপনিবেশিক, না বলা যায় অধিনিবেশিক। যদিও তাদের আগমন হয়েছিল হয় বণিক অথবা লুটেরা হিসেবে।

]পশ্চিম আফ্রিকার ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। নয়া ঔপনিবেশিক শক্তিদের প্রকল্পগুলিতে যে সস্তা অথচ দক্ষ শ্রমিক দরকার তার একটা বড় যোগান বাংলাদেশ থেকেই যাবে। তবে তাতে আমার আশা পূরণ হবে না। ঐসমস্ত শ্রমিক অভিবাসী হতে পারবেনা, প্রবাসীই থেকে যাবে।

==================================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

এইসব বিষয়ে আমার জ্ঞান প্রায় শূন্যের ঘরে, তবে চমৎকার ও যুক্তিপূর্ণ বিশ্লেষণ বলে মনে হলো। এর বাইরেও হয়তো কারো কারো কোনো চিন্তা থাকতে পারে। এইসবই আমাদের বিবেচনা করতে হবে। আমাদের লোক বাড়ছে, ভূমি নয় - এই সংকটটা গুরুতর।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

রণদীপম বসু এর ছবি

সত্যিই সম্ভাব্য ও এভাবে চলতে থাকলে অনিবার্য এই সমস্যাটা নিয়ে এখনই ভাবনা করার দরকার। তবে আমার মনে বা আশঙ্কা হচ্ছে, প্রকৃতি তার ইকো সিস্টেমটিকে সচল করে এর সমাধান প্রাকৃতিকভাবেই করে ফেলবে।
বিশাল একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটবে, অনেক কিছুই লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে জনসংখ্যাকেও তার সাধ্য বহনমাত্রার নিয়ে আসবে প্রকৃতি। এখনই গ্রহান্তরে বসতের বিষয়টা নিয়েও ভাবা যেতে পারে। তবে সে যোগ্যতায় আগে পৌঁছাতে হবে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কি ভয়ানক আপনার আশা!!! অতীতে ঘটা এমন ধারার বিপর্যয়গুলো যদি এখনো আমরা রুখতে না পারি তাহলে কিসের উন্নতি-প্রগতির দাবী করি আমরা?

গ্রহান্তরে যাবার দরকার নেই। এখনো পৃথিবী তার ৬ বিলিয়ন সন্তানকে হেসে-খেলে সুন্দর ভাবে বাঁচার জায়গা দিতে পারে।

=================================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।