গণতন্ত্র জিন্দা করার জাতীয় সরকার

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০৮/২০০৭ - ৩:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি পত্রিকার সম্পাদক ও ব্যারিস্টার পদবীযুক্ত একজন ব্যক্তি। একসময় মন্ত্রী ছিলেন। তাকে সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন দেয়াই যায়। কিন্তু এতো সব যোগ্যতার পরও সেই মানুষটি যে কিরকম অকাট মূর্খের মত বক্তব্য দিতে পারেন তা তার কথা না শুনলে বুঝা মুশকিল।

তার সাম্প্রতিক বক্তব্য; এই সরকার সেনা সমর্থিত জাতীয় সরকার। সাংবাদিকদের হাত পা বাঁধা। তারা পাল্টা প্রশ্ন করতে পারেননি সেনা সমর্থিত সরকার কী ধরনের ঘোড়ার ডিম। সেনা অসমর্থিত সরকারই বা কী বস্তু?

আশা করবো ব্যারিস্টার সাহেব এটা জানেন বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয় সরকার বলে কিছু নেই। মানলাম, সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তারপরও তিনি জাতীয় সরকার শব্দটা ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু আমরা জানি জাতীয় সরকার বলে যদি কিছু হয় তবে তা হবে সব (বা বড় বড়) রাজনৈতিক দলের সমর্থনে তৈরি করা সরকার। এখন এই সরকারে যারা আছেন তারা তো কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত নন এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থনপুষ্টও নন। তাহলে তারা জাতীয় সরকার কীভাবে?

আর তারা যে জাতীয় সরকার তা কি ক্ষমতাগ্রহণের ছয়মাস পর জনাবের মনে পড়লো। ক্ষমতা গ্রহণের সময়তো তারা একটি সাংবিধানিক টার্ম ব্যবহার করেছিলেন; তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এখন কি সংবিধানের লুকোচূরিটুকুও হাপিস করে দিলেন?

নির্বাচনের রোডম্যাপ রোডম্যাপ বলে গলা ভেঙে ফেলেন তারা। বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ক কোন্ বিধিমালায়, কোন্ আইনে রোডম্যাপ ধারণাটা, রোডম্যাপ শব্দটা আছে? দাতাদের গাইডলাইন থেকে যখন টার্মিওনলজি কাট-পেস্ট করেন তখন দেশের সংবিধান আইন-বিধিগুলো একবারও উল্টে দেখার প্রয়োজনও বোধ করেন না আপনারা? এই আপনাদের দেশপ্রেমিক সাজার চেষ্টার দৌড়?

এডহক ভিত্তিতে যখন মনে যা এলো সেই বাণী জাতির সামনে ঢেলে দিয়ে দেশ শাসন করা যায় না,জনাব। দেশ শাসনের একটা ধারাবাহিকতা থাকে। পরবর্তী সরকার যদি জাতীয় সংসদে অনুমোদন না দেয় তবে আপনার এই সরকার এখন যেমন অবৈধ ঠিক একইভাবে চিরকাল অবৈধ থেকে যাবে। আপনার জানা থাকার কথা, এই দেশের হাইকোর্ট ৭৫ পরবর্তী সামরিক শাসনের সময়ে দেয়া আদেশ-নির্দেশকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সেই মামলা দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রেখে হজম করে ফেলা হয়েছে।

আমরা অকাট মূর্খ হতে পারি কিন্তু জনাব ব্যারিস্টার সাহেব আমরা ভুলে যাইনি ৭৫-এ আপনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কেন? চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে তখন একটা জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বলেই তো। আপনি বলেছিলেন এতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। তো জাতীয় সরকার গঠন করলে ৭৫-এ গণতন্ত্র হত্যা হয় আর ২০০৭-এ এসে গণতন্ত্র কি জিন্দা হয়ে যায়?

নামের আগে ডিগ্রি জুড়ে দিয়ে নিজেকে শিক্ষিত জাহির করা যায় কিন্তু তার বদৌলতে জনগণকে অকাট মূর্খ ভাবা ভয়ংকর ভুল। আপনার শিক্ষা ও জ্ঞানের দৌড় আপনার প্রতিটি বাক্যে ধরা পড়ে। জনগণকে এভাবে জ্ঞানদান করা থেকে বিরত থাকুন। বরং কান পেতে জনগণের কাছ থেকে পাঠ নিন। হয়তো আখেরে বেঁচে গেলেও বেঁচে যেতে পারেন।


মন্তব্য

আরিফ জেবতিক এর ছবি

দেশে আসেন আগে,তারপর টের পাইবেন কতো ধানে কতো মুড়ি।

-----------------------------------
ঢাকার ভূমে ফিরেছে একাত্তর/প্রস্তুতি নে,সময় হলো তোর..

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

সব ধানে মুড়ি হয় না আরিফ।
দেশটারে হাজতখানা হতে দিয়েন না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হাসিব এর ছবি

মন্ত্রী নামক পদটারই দোষ মনে হয় । পুরা আছর পড়া । যাদু-টোনা-জড়ী-বুটি কিছু একটা করা আছে বোধহয় । নাহলে যেই মন্ত্রী হয় সেইই ওরকম রাত না পোহাতে বেকুবে পরিণত হয় কিভাবে ?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

অযৌক্তিক বিষয়কে মামলা জেতাতে এরকম বেকুবী না করে উপায় কী? চিন্তার কোনো কারণ নেই কারণ বন্দুক তো নিজের কাছে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ব্যারিস্টারী ডিগ্রী জুড়ে দিয়ে জ্ঞানী হওয়া গেলেও সংবিধান বিশেষজ্ঞ কিংবা দেশপ্রেমিক সার্টিফিকেট লাগানো কি এতোই সোজা?
আমাদের দেশে একটা কথা আছে না, 'সব রসুনের এক পুটকি'। বৃষ্টি যেদিকে ছাতাও ডিগ্রীধারী জ্ঞানীরা সেদিকেই মেলে ধরেন।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যারিস্টার সাহেব ভুইলা গেছেন যে ওনিও ব্লাডি সিভিলিয়ান । ওনি দুদিন পর পর যেমনে ধমক দিতেছেন তাতে তো মনে হয় ...........। কি সর্বনাশের তিনি ভয় খোন ?? তার বাকি আছে কি কিচ্ছূ ??

অতিথি (এহেছান লেনিন) এর ছবি

সাবাস! গতকাল এই নিউজটা যখন আমার কলিগ এডিট করছিলেন তখনই আমার ইচ্ছে হচ্ছিল জাতীর সামনে কেউ যদি এমন কোনো প্রশ্ন রাখতেন যাতে করে এসব শিক্ষিত লেবাসধারীদের মূর্খতার প্রমান পাওয়া যায়।

অফিস থেকে বের হয়ে ফোন করলাম ড. জাফর ইকবাল স্যারের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে তার খুব কাছে ঘেসার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই অধিকারে তাকে বার বার ফোন করি তবে তিনি ধরেননি। শেষমেশ তার স্ত্রী ইয়াছমিন ম্যাডামের কাছে ফোন করি। তিনি যা জানালেন তা আমাকে খুবই পীড়া দেয়। ড. জাফর ইকবাল স্যার চাপে আছেন!

এখন কে লিখবেন এই সেনা সমর্থিত জাতীয় সরকারের মূর্খতার বিষয়ে?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

জাফর ইকবালের বোধহয় ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনি শিক্ষক। অপ্রদর্শিত আয় নেই। কখনও দুর্নীতি করেননি। তারা যদি সাহস করে সত্য কথা না বলেণ তবে চেক এ্যান্ড ব্যালান্সটা থাকবে না।

একচেটিয়া ক্ষমতাতো স্বৈরাচার তৈরি করে। আর স্বৈরাচার যখন সেই শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে তখনই তাকে আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে আনতে হবে। নতুবা পরে সে আরো বিপদজনক হয়ে উঠবে। একথাটা তাকে বলবেন যে তাকে জেলে নেয়া হলে স্কুলের ছেলে-মেয়েরা মিছিল করবে রাস্তায়। দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধে যেতে চেয়েছিলেন, এতো একধরণের মুক্তিরই যুদ্ধ।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অতিথি (এহেছান লেনিন) এর ছবি

আমি এই লেখাটির আরও একটি মন্তব্য দিয়েছিলাম। অথচ সেটি প্রকাশিত থেকেই গেল।

যাক্ এবার একটু অন্যভাবে বলি- শোহেইল মতাহির চৌধুরী আপনার এই লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। একেবারে মনের কথা বলেছেন।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ এহেছান লেনিন।
আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশটুকু বুঝিনি। কী প্রকাশিত থেকেই গেল?

-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ভাস্কর এর ছবি

এই ব্যারিস্টার হইলো একটা বীর্যহীন গর্দভ...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

৯৫ এর কথা বলছি। ইন্টারনেটে প্রথম ঢুকে মনে হলো সিআইএ বাংলাদেশের কী কী তথ্য রাখে। তখন দেখেছিলাম বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের নামের তালিকা। তাতে প্রথমেই অলি আহাদের পর এই ব্যারিস্টারের নামও ছিল।
খূব একটা গর্দভ না সে। লাইন তার খূব শক্ত।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ভাস্কর এর ছবি

সে পছন্দের প্রভূর দেখাইন্যা খাওনের লোভে নড়েচড়ে চিরকাল...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

নতুন নতুন টার্ম আসবে এখন। সংবিধানে আবারো কাঁচি চালিয়ে বৈধ করা হবে সব আকাম। তথাকথিত শিক্ষিতরা যে কতোটা মূর্খামি করেন জনগণকে অশিক্ষিত আর অসচেতন ভেবে, সেটা প্রকাশ করতে যত দেরি হবে, ততোই ক্ষতি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি (এহেছান লেনিন) এর ছবি

আসলে লিখতে চেয়েছিলাম অপ্রকাশিত থেকে গেল।

সকালে যখন মন্তব্য করি তখন ভেবেছিলাম সাথে সাথেই এটি প্রকাশিত হবে। অথচ অনেক দেরিতে এটি প্রকাশ করা হলো।

যাক ধন্যবাদ।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

চামচামি করতে গিয়া জনাব ব্যারিস্টার সাব মনে হয় সেনাবাহিনীরে বিপদে ফেলে দিছেন। আজ সেনাপ্রধান মঈনউদ্দীন ব্যারিস্টারের কথাকে পাল্টায়া ফির জানান দিছেন যে এইটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর সেনাবাহিনী সবসময়ই সরকারের অংশ।

-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হে হে, নতুন সংজ্ঞা। এইটা তাইলে 'সেনাসমর্থিত সরকার' নয়। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ভাস্কর এর ছবি

তাইলে ক'ন আমার অভিধা ঠিক হইছে কি না?


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

মূর্খ অর্থে গর্দভ অভিধা অবশ্যই ঠিকাছে।
কিন্তু তার আগের ডাক্তারি অংশটুকু জটিল মনে হচ্ছে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অতিথি এর ছবি

শোহেল সাহেব যতদূর জানি আপনি সরকারি চাকুরে ছিলেন, এখন বোধহয় ছুটিতে আছেন! ভালো হতো দেশে ফিরে যদি আপনার এই রাজনীতিবিদদের মতো জিহাদী ব্যক্তব্যগুলো দিতেন, লন্ডনে বসে ড. জাফর ইকবাল সাহেবরা কেন চুপ থাকেন এইটা বলা সহজ কিন্তু বোজাটা একটু মুশকিল !আশা করবো দেশে ফিরে এসে আপনি ক্ষমতার চেক এ্যান্ড ব্যালান্সটা ঠিক করতে সচেষ্ট হবেন আপনার লেখনীর মাধ্যমে!

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

জনাব অতিথি(ব্র্যাকেটে নাম দিয়ে দিলে পরিচয়টাও জানা যেত।) জাফর ইকবাল কেন চূপ থাকেন তা বুঝতে কি বাংলাদেশ যাওয়ার দরকার আছে? এরশাদের দীর্ঘ নয় বছর কি দেখিনি।
আমার বক্তব্য আপনার কাছে জিহাদী মনে হয়েছে সে আপনার নিজস্ব বিবেচনা। নিজের মনের ভেতর কামড়াতে থাকা কথাগুলোকেই আমরা ব্লগে প্রকাশ করি। গুটিকয় মানুষ এগুলো পড়েন। যারা সমমনা যাদের বুকে একইরকম বেদনা। আমরা নিশ্চয়ই আমাদের মনোভাব প্রকাশ করার মত স্বাধীন।

জাফর ইকবালকে শ্রদ্ধা করেই বলছি। তিনি কি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কঠিন সময়ে নেতৃত্ব দেননি। দিয়েছেন। তার লেখনীর মাধ্যমে একটা নতুন প্রজন্মকে তিনি চমত্কারভাবে তৈরি করেছেন। সেজন্য তার প্রতি জাতি একদিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে, আমি নিশ্চিত। তবে রাজনীতিকদের সাহস লেখকদের থাকে না তা আমি মনে করি না।
নিজের ইচ্ছামত কথা বলে এই সরকারের সাথে সহযোগিতা না করে শেখ হাসিনা জেলে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারেন। জাফর ইকবাল পারবেন না? এ আমার বিশ্বাস হয় না।

-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

গোপন পাঠক এর ছবি

এই রকম বক্তব্য আসলে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় হয়ে দাড়ায় প্রায়শ:ই।

শোহেইল সরকারী চাকুরি করতেন শুনে প্রীত হইলাম কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ছিলেন সেক্ষেত্রে।প্রজাতন্ত্রের টাকায়,আরো স্থুল করে বললে জনগনের টাকায় তার বেতন হতো,কোন ব্যরিস্টার মহোদয়ের পকেট থেকে তার টাকা আসতো না।

সরকারী চাকরি করলে যদি দায়বদ্ধতা চলে যায় বলে কেউ মনে করে থাকেন,তাহলে তিনি হয়তো ভুলে গেছেন যে লক্ষ লক্ষ সরকারী চাকুরে ৭১ এ চুপ করে থাকলে আমাদের সাধের দেশে এখন চানতারা পতাকা উড়তো।

আড্ডাবাজ এর ছবি

জাতীয় সরকারের আলখিল্লায় স্কীন সেইভিং প্রজেক্ট!!

অপালা এর ছবি

দরুন লিখছেন। এই সোব লিখা পত্রিকার প্রথম পাতায় থাকা দরকার। তাইলে যদি নিজেদের দিকে ফিরা তাকায়।

হযবরল এর ছবি

ব্যারিস্টারের লাফালাফি এই সরকারকে আরো বেশী বেকায়দায় ফেলেছে। ওর বক্তব্য শুনলে মনে হয় দেশটাকে উত্তরাধিকার সত্ত্বে তালুক পেয়েছে। সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে গতকাল যে কথাটা বললো , সেটা রীতিমতো অরুচিকর এবং আগ্রাসী মনোভাব বহন করে।

অয়ন এর ছবি

ব্যারিষ্টার আসলে চামচামী করতে গেছিলো কিন্তু লিমিট বুঝে নাই।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

চামচামিটা এখন উল্টা ফল দিয়েছে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মুজাইক ঠিকই বের হয়ে আসবেন। অনেক চাপেও ওনাকে বেঁধে রাখা যায়নি। এবারেও যাবে না। এই 'আন্দোলন' (উস্কানিমূলক হোক চাই না হোক) যে শেষ আন্দোলন না, সেটা আমরা সবাইই জানতাম। প্রথম আক্রমনেই সব তীর খরচ না করা ভাল। সরকারকেও সুযোগ দেওয়া উচিত শুধরানোর। কাজ না হলে অনেকেই আছেন। গণমানুষের আক্রোষ প্রকাশ পেতে অস্ত্র লাগে না।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

২৯ তারিখে দৈনিক ভোরের কাগজে এই একই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত বের হয়েছে। সেটা এখানে তুলে দিলাম।

সংবিধানের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন আইন উপদেষ্টা
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অভিমত

শংকর মৈত্র : বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করলেন। ১১ জানুয়ারি জাতির এক সংকট মুহূর্তে ড. ফখর"দ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সরকারের অস্তিত্বকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবেই চিহ্নিত করা হচ্ছে। যদিও সরকারের সময়সীমা নিয়ে সাংবিধানিক বিতর্ক তুলছেন কেউ কেউ। তবে ড. ফখর"দ্দীন আহমদের সরকার যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সে ব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত নেই।
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিš' বিপত্তি ঘটিয়েছেন খোদ সরকারের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। সোমবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সেনাবাহিনী সমর্থিত জাতীয় সরকার। সংবিধান মতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এ সরকারকে জাতীয় সরকার বলা সংবিধান লঙ্ঘন কিনা সাংবাদিকরা এ প্রশ্ন রাখলে আইন উপদেষ্টা আরো জোরালোভাবে বলেন, বর্তমান সরকার যেভাবে কাজ করছে তাতে কি মনে হয় না যে এটি একটি জাতীয় সরকার? বর্তমান সরকারকে একটি কালেক্টিভ (যৌথ) সরকার হিসেবেও আখ্যায়িত করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তিনি পুনরায় বলেন, সবাইকে বুঝতে হবে এটা আর্মি ব্যাকড সরকার। এটা জাতীয় সরকার।
এর আগের দিন সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা দেশের বর্তমান অবস্থাকে জটিল হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ঐক্যবদ্ধভাবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পারলে আমরা আরো বড়ো ধরনের বিপদে পড়বো।
আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের এই বিপদে পড়ার আশঙ্কা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জাতীয় সরকার হিসেবে চিহ্নিত করা নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সংবিধানের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন এবং সরকার ও সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করছেন। কারণ বর্তমান সরকার সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা সংবিধানের তৃতীয় তফসিলের ২ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শপথ গ্রহণ করেছেন। জাতীয় সরকার হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কোনো শপথ গ্রহণ করেনি। এ ধরনের জাতীয় সরকারের কোনো অস্তিত্বও সংবিধানে নেই। এ ছাড়া সেনাবাহিনী সরকারের একটি অংশ। দেশের প্রতিরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সেনাবাহিনী এবং এ কাজে সেনাবাহিনী সরকারকে সহায়তা করে থাকে। রাষ্ট্র পরিচালনা সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নয় বরং এ ধরনের প্রক্রিয়া সংবিধান বির"দ্ধ। কিš' সরকারের ভেতরের একটি অংশ এবং কথিত সিভিল সোসাইটির একটি মহল অযথাই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য রাষ্ট্রপরিচালনায় সেনাবাহিনীর অংশীদারিত্বের কথা বলছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেনাবাহিনী সরকারের অংশ হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই তারা রাষ্ট্রপরিচালনার অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। সেনাবাহিনীকে নতুন করে অংশীদারিত্বের কথা বলে একটি মহল বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। বর্তমান সময়কে অত্যন্ত কঠিন বলে আইন উপদেষ্টা যে ভয় দেখাচ্ছেন তার ব্যাখ্যা দাবি করে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলেন, আইন উপদেষ্টার উচিত সরকার কোথায় এবং কাকে ভয় পাচ্ছে তা জনগণকে জানানো।
আইন উপদেষ্টার বক্তব্য সম্পর্কে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার শফিক আহমদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা ভুল ব্যাখ্য দিচ্ছেন। এ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জাতীয় সরকার নয়। জাতীয় সরকারের কোনো অস্তিত্ব সংবিধানে নেই। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। জাতীয় সরকার হলে তিনি উপদেষ্টা না হয়ে মন্ত্রী হতেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সরকারের স্বাভাবিক অংশ। দেশের জর"রি অবস্থায় সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়েছে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য। এ সরকারকে আর্মি ব্যাকড সরকার বলে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা হচ্ছে বলে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ মনে করেন।
আরেকজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. এম জহিরও মনে করেন আইন উপদেষ্টা সংবিধানের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জাতীয় সরকার বলেছেন। ড. জহির বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার। জাতীয় সরকারের কোনো কাঠামো সংবিধানে নেই বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, সোমবার আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বর্তমান সরকারকে ‘আর্মি ব্যাকড জাতীয় সরকার’ হিসেবে পরিচিতি দেওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মইন উ আহমদ আইন উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন, এ সরকার জাতীয় সরকার নয়- এটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেনাপ্রধান বলেন, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেমন সরকারের অংশ সেনাবাহিনীও তেমনি সরকারের অংশ।
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মইন উ আহমদের বক্তব্যকেই সঠিক এবং সংবিধানসম্মত বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বেশ কিছুদিন ধরেই আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বর্তমান সরকারকে আর্মি ব্যাকড সরকার, কখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আবার কখনো সামনে নানাবিধ বিপদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে আসছেন। কিš' কেন বা কার জন্য কিসের বিপদ তার কোনো ব্যাখ্যা তিনি দিচ্ছেন না।
জাসদের বিবৃতি : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ তথ্য ও আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ‘বর্তমান সরকার সেনা সমর্থিত জাতীয় সরকার’ বক্তব্যকে সংবিধানবিরোধী ও বিভ্রান্তিকর আখ্যায়িত করে তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জাসদ নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে শপথ ও দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং বিগত নির্বাচিত সরকার ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারসমূহের আমলের মতোই বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলেও প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ সংবিধানের অধীনেই নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
জাসদ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, তথ্য ও আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন জেনে বুঝে এ বিতর্কিত বক্তব্য প্রদান করে সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন-সন্দেহ-সংশয় তৈরি করেছে। জাসদ নেতৃদ্বয় তথ্য ও আইন উপদেষ্টার এ বিতর্কিত বক্তব্যের ব্যাপারে অবিলম্বে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের ব্যাখ্যা দাবি করেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বিগ সি,আপনার মেইল ঠিকানা কি পাওয়া যাইবে?
জমাইয়া রাখতাম ।কখনো সখনো দরকার পড়ে যে!
নিচের ইঠিকানায় যদি একটু দয়া করে পাঠাতেন :

jebtik@gmail.com

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

পাঠাইলাম।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধন্যবাদ।
রিপ্লাই দিয়েছি তাৎক্ষনিক ভাবে।

-----------------------------------
ঢাকার ভূমে ফিরেছে একাত্তর/প্রস্তুতি নে,সময় হলো তোর..

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।