খলিলের লন্ড্রি

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৩/২০০৯ - ১:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto

এক বছর আগে মোহাম্মদ খলিল প্রথমবারের মত প্লেনে উঠেন। বিমানবন্দর শুধু দূর থেকেই দেখেছিলেন এতদিন। প্লেন যখন অবশেষে মাটি ছেড়ে আকাশে উঠে গেলো, তার মত নতুন যারা তারা সবাই দোয়া দরুদ পড়ছিলেন। যুগপৎ ভয় আর বিস্ময়। জানালার বাইরে খেলনার মত ছোট হয়ে গেল দালান কোঠা, চিকচিকে ফিতার মত নদী, খাল।

আর প্লেনের ভেতরে যারা আগে ভ্রমণ করেছেন, তারা দেখা গেল নির্বিকার, বিমানবালার কাছে পানীয় চাচ্ছেন।

খলিলের অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল দুবাই যাওয়ার। একটু ভালো রুটি রুজি উপার্জনের। সংসারে স্বাচ্ছল্যের মুখ দেখার। দেশে তার একটা লন্ড্রির দোকান ছিল। দোকানটা চলছিল একরকম। কিন্তু জিনিসপত্রের এতো দাম, পরিবারের কত রকম খাই-খরচ। মাস শেষে কিছু বাঁচতো না। ঘরে ছোট ছোট দুটো বাচ্চা। তাদের ভবিষ্যৎ কে দেখবে? এইসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে করতে শেষে মনস্থির করলেন মিডেল ইস্ট চলে যাবেন।

তাই দোকানটা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ২ লাখ টাকার মতো উঠেছিল। ম্যানপাওয়ারের দালালের পাওনা দিতে হবে আগে। ওরাই সব করে দিবে।

দুবাইয়ে গিয়ে সাথে সাথে কামানো শুরু করে দিবেন, খলিলের এই নিয়ত। বিদেশে বেশী দিন থাকতে চান না তিনি। শুধু পাঁচটা বছর। কত লোক তিনি শুনেছেন দুবাই, সৌদি, জাপান গিয়ে ৮-১০ বছর থেকে গেছে। নিজ দেশে ফেরত এসে দেখে সব বদলে গেছে। নিজের বউ আর সন্তানও কেমন অপরিচিত।

সেটা তিনি চাননি। দেখতে দেখতে বয়স হয়ে গেলো ৩৫। শরীরের শক্তি-সামর্থ্য কমে আসছে, টের পান। আরো ১০ বছর আগে যদি যেতেন তাহলে হয়তো ভাল হতো। জোয়ান ছিলেন আরো, অনেক পরিশ্রম দিতে পারতেন। কিন্তু সেই সময়ে তো কোন রকম আর্থিক সামর্থ্যই ছিল না তার।

তাই এই বুড়ো বয়সে মরুভূমিতে যেতে হবে কামলা দিতে। বাচ্চাগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে। পাঁচটা বছর খালি। ওরা বেশী বড় হবার আগেই তিনি দেশে চলে আসবেন। যেই টাকা জমে সেটা দিয়ে নতুন একটা ভালো কিছু শুরু করে দিবেন। একটা বাড়ি, শহরে বড় দোকান, দেশে জমি জমা।

*

দুবাই পৌঁছে খুবই অবাক হয়েছিলেন তিনি। এতো বড় ইমারত যে মানুষ তৈরী করতে পারে, তার জানা ছিল না। সত্যি সত্যি আকাশ ছুঁয়েছে একেকটা। সারা শহর জুড়ে শত শত ক্রেন। আর পিপড়ার মত হাজার হাজার চিকনা-পটাশ বাদামী মানুষ, দিন নেই রাত নেই কামলা দিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় ভাই আছে এর মধ্যে, আরো আছে ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানী, শ্রীলংকার লোক। বোচা নাক দেখেছেন কিছু - শুনেছেন ওরা ফিলিপিন, নেপাল থেকে আগত।

দেশের মতোই একটা কাজ পেয়ে যান তিনি। লন্ড্রীর কাজ তিনি ভালো জানেন। বহুদিন ধরেই তো করছেন। ড্রাই ক্লিন, রেগুলার ওয়াশ। ইস্ত্রি, ছোটখাটো সেলাই-রিপু - সব তার মুখস্থ।

৫০জন কাজ করতেন সেই লন্ড্রিতে, একেকটা শিফটে । শুরুতে যখন এসেছিলেন, দারুন ব্যস্ত দিন যেতো। মানুষের কাপড়-চোপড় ছাড়াও বড় হোটেলের সাথে ভালো চুক্তি ছিল। সেই হোটেলের ন্যাপকিন, রুমাল, টাওয়েল থেকে শুরু করে বেড কভার, বালিশের কভার, লেপ তোষক - সবকিছুই নিয়মিত ক্লীন করা লাগে। শুভ্র শাদা টাওয়েল, ক্রীম রঙ্গের দামী কভার - সুন্দর ভাজ করে হোটেলে ফেরত যায়।

রাতে মেসে ফিরে এসে দেশে ফোন দেন। গাদাগাদির মেস, কতগুলো লোক থাকে। এর মধ্যে আরাম করে সব কথা বলা যায় না। তাও প্রতিদিন ফোন দেন, কয়েক মিনিটের জন্যে হলেও। বৌয়ের কন্ঠ শুনতে মন চায়, বাচ্চাদের কিচির মিচির। তাদের পড়াশোনার খোঁজ নেন তিনি। আর বউ জানায় আত্মীয়-স্বজনদের নানান কুশলাদি। খালাতো ভাইটা কলেজ়ে ভর্তি হয়েছে। শালীর বিয়ের আলাপ চলছে।

*

লন্ড্রির ব্যবসা ছয় মাস আগে হঠাৎ করে পড়তে শুরু করে। আগের মত অর্ডার আর আসে না। এতগুলো মেশিন আর মানুষ প্রায়ই অলস বসে থাকে, যেখানে লন্ড্রি আগে প্রতিটা মুহুর্তে ব্যস্ত থাকতো।

খলিল শুনছেন যে দিনকাল খারাপ আসছে। তিনি কন্সট্রাকশন লাইনে নেই, কিন্তু কিছু ভাইদের চিনেন ঐ লাইনে কাজ করতো। তাদের কারো এখন কাজ নেই। মালিক বেতন দেয় না, টাকা নেই। অনেককে দেশে ফেরত যেতে হয়েছে। কেউ কেউ যাওয়ার সময় হাউ-মাউ করে কেঁদেছে। শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দিয়ে দুবাই এসেছিলো। এদিক-ওদিক ধার-কর্জ করেছিল অনেক।

ইচ্ছার অনেক আগেই, সামর্থ্যের আগেই তাদের ফিরতে হয়েছে। ক্রেনগুলো বালুর উপর পড়ে থাকে নির্জীব। রোদে পুড়ে। কত দালান আধা-বানানো অবস্থায় পড়ে আছে। নীচের ফ্লোরগুলো তৈরী হয়ে গেছে হয়তো, কিন্তু ৩০-৪০ তলার উপর থেকে শুধু পিলার আর রড দেখা যায়। কেন বন্ধ হয়েছে কে জানে? আর কবে এগুলো শেষ হবে? আদৌ কি শেষ হবে? সবাই বলে মন্দা। দুবাইয়ের সেই দিন নাই আর।

খলিল ভাই ভাবেন সবই উপরওয়ালার ইচ্ছা। তার চাকরিটা যেন থাকে। কিন্তু এক সকালে খড়গ নেমে এলো। দোকানের সুপারভাইজর সবাইকে একত্র হতে বললেন। বললেন লন্ড্রির কাজ কমে গেছে, উপার্জন নেই। এতগুলো লোককে বেতন দেওয়া সম্ভব না আর।

তাই পুরো শিফটের লোক ছাটাই করা হচ্ছে আজকে। সবাইকে লাঞ্চের আগেই বাড়ি চলে যেতে হবে।

খলিলের মাথা ঘোরে। পা টলে। ঘোরে মন আচ্ছন্ন হয়। কি করবেন এখন তিনি?

সেটা ভাবার আর সময় হয় না। সেই একই দিন খলিল সহ আরো অনেক বাংলাদেশীকে তাদের মেস থেকে এয়ারপোর্ট নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবার সেই প্লেনে বসা তারা সবাই। সাত-সকালে যারা হাসিমুখে কাজে গিয়েছিল, বিকালের মধ্যে তারা সবাই ঢাকার প্লেনের যাত্রী।

এক বেলা সময়ও দেয়া হয়নি। যা ছিল মেসে, কাপড় চোপড়, সব হুট-হাট করে ব্যাগে ঢুকাতে হয়েছে। বাচ্চাদের জন্যে একটা খেলনা, বৌয়ের জন্যে দুটো প্রসাধণী - এসব মামুলী কিছু কেনারও সময় পেলেন না তিনি। রিক্ত হাতে বাড়ি ফিরবেন।

কি করবেন দেশে গিয়ে? নিজের দোকানটা নেই আর। তাও কপাল ভালো যে বাড়তি দেনা করতে হয়নি। কিন্তু এখন মনে হয় দুবাই না যাওয়াই হয়তো ভালো ছিল। কেন লোভ করতে গেলেন? বাড়ি গিয়ে বৌকে কি জবাব দেবেন, আর বাচ্চাগুলো মুখের দিকেই বা কিভাবে তাকাবেন?

প্লেনে বসে এইসব নানান কথা ভাবছেন। হঠাৎ মাথার ওপর বসানো স্পীকার থেকে শব্দ ভেসে আসে। বলছে প্লেন বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করছে এখন। মোহাম্মদ খলিল জানালার বাইরে তাকালেন -- দেখলেন দিগন্ত বিস্তৃত এক সবুজের চাদর।

*

এই গল্পের শুরুটা জানি। কারন এটা পুরোপুরি গল্প নয়। কিন্তু এর শেষটা জানি না।

হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ খলিল আজ বাংলাদেশে ফিরছেন। এদের মুক্তির সংগ্রাম কখনো শেষ হয়নি। বরং যত দিন যায়, পরাজয় আর পরাধীনতার শিকল তাদের আরো আষ্টে-পৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে।


মন্তব্য

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

লোকটার জন্য খারাপ লাগছে।
সবকিছু বিক্রি করে দিয়ে যারা বিদেশে গিয়ে এই পরিস্থিতিতে পড়ে, কি অসহায় যে অনুভব করে তারা...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

আরিফ জেবতিক এর ছবি

চারিদিকে অন্ধকার । ঘোর অন্ধকার ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

কি যে শুরু হলো! কবে যে এই দূরবস্থার শেষ হবে!!
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলাম, একসময় সব থিতু হলেও এই সংকটের সবচেয়ে বড় শিকার যারা (খলিলের মতো যারা সর্বস্বান্ত হয়েছে), তারা তো আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবেনা!!

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

একটা আজব অবস্থা

রণদীপম বসু এর ছবি

যত মন্দাই আসুক, কোটিপতি কোটিপতি থাকবে। মাঝখানে ধ্বংস হয়ে যাবে অভাগা দিন এনে দিনে খাওয়া মানুষগুলো। ধনী দেশও ধনীই থাকবে। বাংলাদেশের মতো গরীব দেশগুলোর হাতের ভাঙা থালাটা আরো ভাঙতে থাকবে......

কঠিন দুঃসময় !!!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সৌরভ এর ছবি

বড় কষ্ট লাগলো। এক একজন খলিল মানে অনেকগুলো মুখ, দুটো-তিনটে পরিবার, একেকটা ছোট বাংলাদেশ।
তাহলে আসছে পতনের দ্বিতীয় ধাক্কা?
এবার আমাদের মতো দেশগুলোর পালা?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

তানবীরা এর ছবি

পুরোটা জীবন টেনশনে আর টেনশনে কেটে গেলো। কেনো যে আমরা খলিলরা জন্ম নেই কে জানে?

দাদা জীবনমুখী লেখা কি এটার নাম?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

নাম তো জানি না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা, খলিলের স্বাধীনতা যে আসলেই কতটা সীমাবদ্ধ, অসম্পূর্ণ, সেটা ভাবলে খচখচ করে। সেই খচখচানি থেকে লেখি, আর কিছু না।

একজন বেলালের মুক্তি বা একজন রত্নার মুক্তি যেদিন হবে, সেই দিনের আশায় থাকি। তখনই ভালোমত মার্চ বা ডিসেম্বর সেলিব্রেট করা শোভা পাবে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

কঠিন দুঃসময় মন খারাপ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমার ভাবতে ভালো লাগে আপনারা (সুবিনয়দার মত প্রবাসীরা) দেশের বাইরে থেকে ও দেশকে ভোলেননি, যেখানে এই দেশের অনেক কুসন্তান দেশে থেকেই দেশকে ভালোবাসতে পারেনা...
দেশ আপনাদের ক্যানভাস- যে ক্যানভাসে আপনারা ছবি আঁকেন; সে ছবিতে চোখের জলের রঙ ও দেখা যায়।
...স্বাধীনতা দিবসে আমার মতে এটা সচলের সেরা লেখা।
অভিনন্দন আপনাকে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার বাবার সাইডে অনেক কাজিন এক সময় জাপান, কোরিয়ার ঘানি টেনেছে বছরের পর বছর। এই ভাইয়ের ছবি দেখে প্রথমেই যেটা মনে হয়েছিলো, যে এটা আমারই রুমি ভাইয়া বা সবুজ ভাইয়ার ছবি হতে পারতো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আজ মেজাজটা খারাপ আছে এমনিতেই। আপনার লেখাটা পড়ে মনটাও খারাপ হলো।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

হুমম। বুঝছি, আপনেরে লন্ডনে সচলাড্ডায় বসাইতে হবে। সামারের জন্যে সস্তা ফ্লাইট দেখা শুরু করেন!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমাদের মতো ইউরোপিয়ান খলিলদের যে কি গতি হয়?
অবস্থা এতোই খারাপ যে ওল্ড হোম গুলো পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । চ্যারিটি শপ গুলো মরতে বসেছে, অক্সফামের অনেক দোকানে তালা পড়েছে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

বলেন কি? ওল্ড হোমও বন্ধ? কাউন্সিলের টাকায় না চলে এগুলা? বুড়া-বুড়ি তাহলে কোথায় গিয়ে থাকবে?

আর ইউরোপীয় খলিল-রাও তো মহা চিপায় আছে। স্টুডেন্ট ভিসা থেকে শুরু করে ওয়ার্ক পার্মিট, সব কিছুর উপর সিরিয়াস টাইট দেয়া হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে যারা এইখানে চলে আসছে, তাদের স্টেবেল অবস্থানে যেতে অনেক সময় লাগবে। দশ বছরের আশায় আছে অনেকেই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

৫ কি ৭ বারের মত পোস্টে এলাম। এটুকুই জানিয়ে গেলাম। প্রান্তিক মানুষগুলোর কষ্টের কথা শুনলে নিজের যাবতীয় ক্ষুদ্রতা আর অক্ষমতা চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমার অবস্থাও ইশতির মতো...।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ইশতি,

এক অর্থে আমরাই প্রান্তিক, আর খলিল-রাই দেশের কেন্দ্রে, মানুষের কেন্দ্রে। কিন্তু আমরা মানে শহুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নামের সংখ্যালঘু গোষ্ঠী যেহেতু সমস্ত আলাপ আলোচনা ডোমিনেট করে ফেলেছি - সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অঙ্গনে - তাই খলিলদের ইস্যুগুলো আলাপের বেশী সুযোগ আসছে না। ওদের কথা বলার স্পেস আমরা কাটতে কাটতে অনেক কমিয়ে দিয়েছি।

ব্লগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠছে। হয়তো আমাদের নর্মাল বিষয়গুলোর পাশাপাশি এইসব সংখ্যাগরিষ্ঠদের কথা - বন্ধ হয়ে যাওয়া গার্মেন্টসের কর্মী, ফেরত পাঠিয়ে দেয়া প্রবাসী শ্রমিক, বা ব্রিজের থেকে লটকে পড়া বৃদ্ধ কৃষকের কথা - আরেকটু বেশী উঠে আসবে। আশায় থাকি!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

রায়হান আবীর এর ছবি

মন খারাপ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

গল্পটাকে রুপকথা বানিয়ে দিতে পারেন না সুবিনয় দা?
.... হঠাৎ কোনও ধনী শেখের নজরে পরে গেল খলিল, সে তাকে নিজের হোটেলে চাকরী দিলো.....এইরকমের কিছু?

আর ভালো লাগে না রে ভাই, চারদিকে খালি দুঃখ মন খারাপ
আপনার লেখার বিষয়ে আমি আনাড়ি কিছু না বলাই শ্রেয়।

ভালো থাকেন।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

পাইছি আপনেরে এদ্দিনে। গত জুলাইয়ের পর আপনের একটা লেখাও নাই। কেস কি? আপনের লেখা পইড়া দম ফাটায়া হাসতাম। এই রকম কইরা হগ্‌গলরে বঞ্চিত করার মানে কি? ভাবীর কাছে কমপ্লেইন দিমুনি কন?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

গ্রাউন্ড ওয়র্ক করতেই আইছি। দেখতাছি চেনা জানা মুখ গুলান আছে কি না, নাইলে তো আমার লেহা কেউ পড়বো না হাসি

অচিরেই লেখা পাইবেন হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।