আপেক্ষিকতা-০১ (স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের আলো)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৯/২০১৫ - ২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

মহাজাগতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আজকের দিনটা আন্তর্জাতিক মানের একটা নিরপেক্ষ দিন। কি, ঘাবড়ে গেলেন বুঝি? আরে নাহ। আসিফ নজরুল গং মহাজাগতিক কোনও হতাকর্তা হয়ে বসেন নি। এটি নিতান্তই একটি প্রাকৃতিক ঘটনা, প্রকৃতির বাৎসরিক রুটিন ওয়ার্ক। অলৌকিক কিছু ভেবে যারা নড়েচড়ে বসেছিলেন তারা কাছা টাইট দিন। দিয়েছেন? হুমম, এবার ক্যালেন্ডার দেখুন। বাংলা কিংবা হিজরি নয়, ইংরেজিটা। এবার পেয়েছেন? হু, আজ ২৩ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ কিনা জলবিষুব। দিন-রাত সমান। তাই আজকে আলোর নিরপেক্ষতার গল্প, যেটা আসলে আপেক্ষিকতার পূর্বরাগও বটে, সেটা শোনাব ভাবছি। আজ সকালে অবশ্য আরেকটি চমৎকার ঘটনা ঘটে গেছে, সেটি একেবারে শেষে গিয়ে জানাব। যারা জানেন, তারা চেপে যান।

২।

আলোর ঢেউমার্কা আচরণের কথা মনে আছে? না থাকলে এইখানে টিপি দ্যান। (পুরোটা দরকার নেই, তিন নং অনুচ্ছেদেই চলবে)। হুমম, এইবার আপনাকে স্রোতস্বী কোনও নদীতে ভাসিয়ে দেব। কেটেকুটে নয়, আস্তই। তাও নৌকায় করে। ছোটকালে পাটিগণিতের অংক করেছেন কি? ঐ যে স্রোতের দিকে কিংবা স্রোতের বিপরীতে যেতে আসতে কেমন সময় লাগে ইত্যাদি ইত্যাদি। ঐ অংকগুলোর কথা ২ সেকেন্ড মনে করুন তো। মনে পড়ে কিছু? আপনি যদি ঢেউয়ের দিকে, অর্থাৎ গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসান, তাহলে আপনার সাথে কিন্তু ঢেউয়ের ঠেলাও যোগ হবে। আর, আপনি যদি হন বিরুদ্ধ স্রোতের যাত্রী, তবে দেখবেন সমস্ত সমাজ থুক্কু ঢেউ প্রাণপনে আপনাকে এগুতে বাধা দিচ্ছে। দুবারের গতিটা কিন্তু একেবারেই দু’রকম। অথচ, একই নৌকা, একই নদী।

৩।

কিংবা, পানি ভয় পেলে আসুন সুপারমার্কেটের এস্কেলেটরের কথা ভাবি। ধরুন, পাশাপাশি তিনটা এস্কেলেটর আছে। একটা উঠছে, একটা নামছে, একটা নষ্ট- থেমে আছে। ওপরে নজু ভাই, নূপুরাপু আর আমি পাশাপাশি দাঁড়ানো, নিচে নিধি খেলছে। এখন নিধিকে ডাকার পালা। নজুভাই হল গিয়ে গ্রেট পাপা। উনি যদি বৃষ্টিতে ভেজার লোভ দেখিয়ে নিধিকে ডাক দেন নিধি নিশ্চয় দৌড় দিয়ে ওপরে উঠে আসবে। নিধির যেহেতু বুদ্ধি বেশি, তাই সে ওপরের দিকে যাওয়া এস্কেলেটর ধরে দৌড়ুবে। এখন, যদি নজুভাই না ডেকে নূপুরাপু ডাকে তাহলে? নিশ্চয় দুধ খেতে কিংবা পড়তে বসাতে ডাকছে। ডাক না শুনলে মাইর। এইবার নিধি নেবে নিরপেক্ষ অবস্থান। মাঝখানের নষ্ট এস্কেলেটর দিয়ে হেলতে দুলতে আসবে। ঘটনা অবশ্য আরও একটা ঘটতে পারে। ধরুন আমি ডাক দিলাম, তখন? আমার ডাকাতে মার্কা চেহারা দেখে বাচ্চারা হামেশাই ভয় খায়। নিধিও নিশ্চয় খাবে। তারপরও যদি দেখে আসতেই হবে, তখন? আগেই বলেছি নিধির রীতিমত বুদ্ধি বেশি। সে তখন আসবে নিচের দিকে চালু এস্কেলেটর ধরে। দৌড়ে যেটুকু উঠবে তারচেয়ে বেশি নামবে। একেবারে বাঁদরের বাঁশ বেয়ে ওঠার ক্লাসিক সেই অংক আর কি।

৪।

এইবার কেইস বাই কেইস বিশ্লেষণ। প্রথম ক্ষেত্রের হিসাব যদি করি অর্থাৎঃ কেইস-১ নিধি টু নজু
দেখা যাবে- গতি = নিধি + এস্কেলেটর (অর্থাৎ, খুব দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে)
দ্বিতীয় ক্ষেত্রের হিসাব করলে, অর্থাৎঃ কেইস-২ নিধি টু নূপুর
দেখা যাবে- গতি = নিধি (কারণ, এস্কেলেটর তো স্থির)
আর, শেষ ক্ষেত্রের হিসাব যদি করি অর্থাৎঃ কেইস-৩ নিধি টু সাক্ষী
দেখা যাবে- গতি = নিধি - এস্কেলেটর (অর্থাৎ, অনেক দেরী লাগছে)
কি বুঝলেন? একই নিধি, একই এস্কেলেটর। কিন্তু দিকের উল্টাপাল্টা হওয়াতে নিধির পৌঁছুতে কম বা বেশি সময় লাগছে, তাই না? এখন যদি বলি তিনবারেই নিধির একই সময় লাগবে- তাহলে? নিশ্চয়, পাগল ঠাওরাবেন আমাকে! মজার ব্যাপার হল, ঠিক এই ঘটনাটাই ঘটেছিল বিখ্যাত “মাইকেলসন-মর্লি পরীক্ষণ” করার পরে।

৫।

আগেই বলেছি আজকের গল্পে আলোর “ঢেউধর্মিতা” কাজে লাগবে। এখন, ঢেউ বয়ে নিতে তো কিছু একটা লাগে, তাই না? বাতাস বা পানি বা সুতা কিংবা গিটারের তার এমন কিছু। এটাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘মাধ্যম’। এককালে মানুষ ভেবে নিয়েছিল আলোকে বয়ে নিতেও নিশ্চয় এমন মাধ্যম লাগে। বিজ্ঞানীরা এই ধরা যায়না ছোঁয়া যায়না ধরণের সেই মাধ্যমের নাম দিলেন ‘ইথার’। (ইথার নামে একধরনের রাসায়নিক পদার্থও আছে, সেটি সম্পূর্ণ আলাদা বস্তু।) এই বিখ্যাত পরীক্ষণের আগ পর্যন্ত মনে করা হত ইথারের ভেতর দিয়েই বুঝি আলো (ঢেউরুপে) প্রবাহিত হয়। ঠিক যেমন ভাবে পানির ঢেউ বয়ে চলে পুকুর, নদী কিংবা সাগরের পানিকে আশ্রয় করে। এখন, এই বিজ্ঞানীদের কাজই হল সবকিছুর গুষ্ঠি উদ্ধার করা। তারা কেবল নাম দিয়েই ক্ষান্ত হননি, দলবেঁধে নেমে পড়লেন ইথারের গুষ্টি উদ্ধারে। তাঁরা ভেবেছিলেন, ইথারকে ভালভাবে জানা গেলে তাকে একটা ভালো সাপেক্ষ হিসেবে ব্যাবহার করা যাবে। কিন্তু, মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক।

৬।

১৮৮৭ সালের দিকে আলবার্ট মাইকেলসন আর এডওয়ার্ড মর্লি চেষ্টা করেন ইথার কত জোরে যাচ্ছে সেটা মাপার। উনারা চেষ্টা করেন অনেকটা নিধি-এস্কেলেটর পদ্ধতিতে। কেবল নিধির জায়গায় আলো, আর এস্কেলেটরের জায়গায় ছিল ইথার। শপিঙ মল হিসেবে তাঁরা নিয়েছিলেন এই গোটা পৃথিবীটাকেই। বিজ্ঞানী মানুষ তো, মাথায় বড্ড কূটবুদ্ধি। এই দুজন একই রকম আলোর এক অংশকে একবার পাঠালেন ডান থেকে বামে, আরেক অংশকে বাম থেকে ডানে। তারপর, এই বামপন্থী আলো আর ডানপন্থী আলো যেখানে এসে মিলবে, সেখানে টেলিস্কোপ বাগিয়ে বসে থাকলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন দুটো আলো নিশ্চয় দুরকম হবে, আগে পরে হবে, ফলে ঢেউয়ে ঢেউয়ে ঠিক মিলবে না। আর সেই বৃত্তকাওয়াজের গড়মিল থেকে হিসেব কষে ইথার কত জোরে দৌড়ুচ্ছে সেটা ঠিক বের করে ফেলা যাবে। কিন্তু, ফলাফল পাওয়া গেল উল্টো। দেখা গেল বামপন্থী আলো আর ডানপন্থী আলো আন্ডারগ্রাউন্ডে মিটমাট করে একই সাথে একইভাবে এসে পৌঁছাচ্ছে। সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনও বড়কর্তা না থাকায় ব্যাপারটা চেপে যাবারও কোনও উপায় ছিল না। বিজ্ঞানীরাও টাঙ্গাইলের পুলিশ সদস্যদের মতন তাঁদের গবেষণাকে ‘ক্লোজ’ করতে আগ্রহী হলেন না। শেষমেশ তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন “নো ভ্যাট অন ইথার”। অথাৎ কিনা- ইথার মিডিয়ার সৃষ্টি, আদতে ইথার বলতে কিচ্ছুটি নেই।

৭।

এই পরীক্ষণের আরও একটি বড় দিক আছে। ঐ যে বললাম- ডানপন্থী আর বামপন্থী আলোর হাতে হাত রেখে সমান তালে দৌড় দেবার কথা, সেটা। দুই আলো কিন্তু দুদিক থেকে দুভাবে (অর্থাৎ দু গতিতে) যাত্রা শুরু করে। কিন্তু, শেষ অবস্থার ফলাফল বের হল একেবারে গ্রেডিং পদ্ধতিতে। দুজনেই একই ফল। তারমানে, আলো ডানে যাক আর বাঁয়ে যাক, সামনে যাক আর পেছনে যাক- তার গতি একই। এই কথাটাই আলবার্ট আইনস্টাইন খপ করে ধরে তার আপেক্ষিক তত্ত্বের অংশ করে নিলেন। বইয়ের ভাষায় বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের দুটি স্বীকার্যের একটি হলঃ ‘আলোর গতি সবসময় একই, অপরিবর্তনীয়’। মাধ্যম ভেদে তার পরিবর্তন হয় বৈকি, কিন্তু উৎসের গতিভেদে তার কোনও পরিবর্তন নেই। আপনি যদি ঠায় একটা টর্চ হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলেও আলোর গতি সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার। আবার যদি, ঘন্টায় একশ’ কিলোমিটার বেগে একটা মোটর সাইকেলে বসে টর্চটা জ্বালিয়ে রাখেন, তাও আলোর গতি সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার। এমনকি, আপনি যদি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যেতে যেতে পেছনে টর্চটা জ্বালিয়ে রাখেন, তাও আলোর গতি সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার। এর কোনও বিকার নেই, হ্রাসবৃদ্ধি নেই। একেবারে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও মহাজাগতিক অবিস্থান আরকি। তো আলোকে তার গতির ক্ষেত্রে ঠিকঠাক রাখতে গিয়ে আইনস্টাইন অন্য সবকিছু নেড়েচেড়ে অস্থির করেন- আর সেটাই আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব বা General Theory of Relativity. কিভাবে? সেই বিস্তারিত গল্প আর একদিন।

দোয়া করবেন, chondishirium botulinum কিংবা kolyanam notataum ভাইরাস থেকে যেন রক্ষা পাই। চোখ টিপি

২৩.০৯.২০১৫
পৃথিবী, সৌরজগৎ

পুনশ্চঃ গতকাল ভোরে রায়হান ও স্যাম এক কন্যার জনক-জননী হয়েছে। এই যুদ্ধসঙ্কুল পৃথিবীতে, এই প্রশ্নফাঁসসঙ্কুল দেশে, অনেক ভালো-মন্দের ভিড়ে এই সুসংবাদ শুনে সুকান্তের কোবতে মনে পড়ে গেল।

পুঁচকের নাম এখনও জানিনা। নাম না জানা নবাগতার জন্য এই পর্ব উৎসর্গ করলাম।
বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক পৃথিবীর সব নবজাতক। সকলের মঙ্গল হোক। হাসি


মন্তব্য

স্যাম এর ছবি

চলুক
শুভকামনা নতুন শিশুটির জন্য।

নজুভাই হল গে গ্রেট পাপা

ইট্টূ এডিট হবে নাকি নজু ভাই দেখার আগে চোখ টিপি ?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কস্কি মমিন!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

চলুক বরাবরের মতই মুচমুচে। তারাতুরা যা পারলাম দিয়া দিলাম।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

নবাগতাকে অজস্র শুভেচ্ছা। তার জনক-জননীকে অভিনন্দন।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

আমিও পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আজ ২৩ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ কিনা উত্তরায়ণ।

ইয়ে, মানে ২১ জুন থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরো সময়কালকে দক্ষিণায়ন বলা হয়। সুতরাং ২৩ সেপ্টেম্বর কি উত্তরায়ণ? নাকি দক্ষিনায়নের কাল?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ঠিক করে দিলাম লইজ্জা লাগে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

আপনি যদি ঠায় একটা টর্চ হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলেও আলোর গতি সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার। আবার যদি, ঘন্টায় একশ’ কিলোমিটার বেগে একটা মোটর সাইকেলে বসে টর্চটা জ্বালিয়ে রাখেন, তাও আলোর গতি সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার।

তাইলে টর্চ হাতে একশ কিমি বেগে গিয়ে লাভটা হইল কী?

..................................................................
#Banshibir.

সো এর ছবি

এরোবিক এক্সারসাইজ হলো, উসাইন বোল্টের রেকর্ড ভাঙলো, আর কী চাই ?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কোনও লাভ নাই, মোরাল অফ দ্য স্টোরি তো এটাই হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

পুঁচকের নাম এখনও জানিনা। নাম না জানা নবাগতার জন্য এই পর্ব উৎসর্গ করলাম।

পিচ্চির নাম সোফি। এইবার পোস্ট এডিট করে ঠিকঠাক নামে উৎসর্গ করেন। চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পিচ্চির নাম আপনে জানেন ক্যাম্নে? হয়রানও কি পীরের দুয়া নিয়া নাম রাখে? চিন্তিত

বিটিডব্লিওঃ হ, পিচ্চির বাপজানেও তাই কইল। দিমুনি বদলায়া, জিরায়া লই। চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

পিচ্চির নাম আপনে জানেন ক্যাম্নে?

সবই জানতে হয়। পীরের জীবন কঠিন।

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম, তা বটে!

পীরজাদীর খবর কি? তারে নিয়া কয়টা 'জীবন থেকে নেয়া' গফ লিখ্যা ফালান দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সো এর ছবি

১৮৮৭ সালের দিকে আলবার্ট মাইকেলসন আর এডওয়ার্ড মর্লি চেষ্টা করেন ইথার কত জোরে যাচ্ছে সেটা মাপার।

মাইকেলসন আর মর্লি মাপছিলেন ইথারের মধ্যে পৃথিবীর গতি। ইথার তো 'এবসলুট ফ্রেম অফ রেফারেন্স' - এর আবার গতি কীভাবে হবে? তাই গল্পে এস্কেলেটর এর জায়গায় হবে পৃথিবী, আর শপিং মল হচ্ছে ইথার।

আরেকটা মজার ব্যাপার। এই নেগেটিভ রেসাল্টের কারণে ইথার তত্ত্ব আস্তাকুড়ে ফেলে দিলেও, পরে দেখা গেল যে স্থান সংকোচনের (লরেন্টস কনট্র্যাকশন) ব্যাপারটা হিসেবে নিলে ইথার থাকলেও আলো একই সময়ে দু'টো ডিস্ট্যানস পাড় করবে। তাই ইথার থাকলেও যা, না থাকলেও তা। কিন্তু ইথার ছাড়াও যেহেতু সবকিছু ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে, ইথার রেখে কী লাভ? তাই ইথার তত্বে কেউ ফিরে আসেনি।

ভয়ংকর কঠিন জিনিস ভয়ংকর মজা করে বোঝানোর জন্য লেখায় পাঁচতারা।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। 'আপেক্ষিক গতি' হিসাবে ঠিকাছে। পৃথিবীর গতি = - ইথারের গতি ইয়ে, মানে...

২। লোরেনৎস সংকোচন আসবে কোনও এক পর্বে, স্পয়লার দিয়েন না চাল্লু

৩। আপনার গবেষণা নিয়ে লিখুন না মজা করে, মানুষের গল্প পড়েছি। আপনার হাত যথেষ্ট রসালো। মানুষের গল্পের চিপা-চাপা দিয়ে কি করছেন সেই গল্পটাও জানাতে পারেন কিন্তু। অপেক্ষায় থাকলাম। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সো এর ছবি

১। হ, তালগাছটা আপনাকে দিলাম
২। দিলাম না। চালায়া যান। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
৩। চিপা দিয়ে একটু একটু দেই তো।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। খাইছে
২। দেঁতো হাসি
৩। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

মে-লা দিন পরে!! বরাবরের মতই জম্পেশ। আপনার পপ্পন কিন্তু এখন আমার হাতে- তাত্তাড়ি পরের পর্ব নামান।

____________________________

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে প্রোফেসর, পপ্পন জিনিসটা কি? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

অ্যাঁ !!!

এহ! যেন ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না!

____________________________

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

এট্টা গল্প পড়লুম মনে হয় বিজ্ঞানের...ছোটকালে এরাম করে কেউ গল্প করলে হয়তো আমিও এককালে বিজ্ঞানী হতে পারতাম, নাকি?? দেঁতো হাসি

দেবদ্যুতি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ওরে না। ছোটকালে এমুন গফ অনেক হুঞ্ছি। কিন্তু কই বিজ্ঞানী-টিজ্ঞানী হই নাই তো। টাইনাটুইনা পাশ কইরা দৌড় দিছি। বাই দ্য ওয়ে, আন্নে না সমাজবিজ্ঞানী? হুমম? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

টাইনাটুইনা পাশেই এত মজার মজার গফ! অ্যাঁ ইয়ে মানে আমি সমাজবিজ্ঞানে পড়ি নাই, কাছাকাছি একটাতে পড়ছি আর কী।

দেবদ্যুতি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গুরুজনেরা কহেন যাহা বাহান্ন তাহাই নাকি তেপ্পান্ন?
তবে, যাহা ছাপ্পান্ন তাহাই সাতান্ন নহে। খিয়াল কইরা!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

এত চমৎকারভাবে বিজ্ঞান পড়ালে বিজ্ঞানভীতি সেই কবেই কেটে যেত। মন খারাপ চালায়া যান বস। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পরের পর্ব একটি ভ্রান্ত ধারণা! খাইছে
আপনে ঘোরাঘুরি চালায়া যান দেঁতো হাসি

[ পুনশ্চঃ বিজ্ঞানভীতি মানে? বিজ্ঞান কবে কার কল্লা কাটল? বিজ্ঞানানুভূতিতে আঘাত পেলাম! রেগে টং ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

পদার্থ বিজ্ঞান আমার কাছে সেইরকম ভীতিময় ছিল। সেই তুলনাত রসায়ন অনেক ভালু পাই। এককালে প্রাইভেট আর কোচিং এর কল্যাণে বেশ কিছু পয়সাপাতি কামানোর সুযোগ হয়েছিল, হে হে 8)। আর ঘোরাঘুরি তো চলছে। বুলফাইট নিয়া একখান পোস্ট দিলাম। পুঠিয়া রাজবাড়ি নিয়ে বি-শা-ল একটা পোস্ট রেডি করছি। নেক্সট ওইটা যাবে সচলে। আর আজকে ঘুরতে যাচ্ছি ইশা খা'র বাসস্থান জঙ্গলবাড়িতে। চাকুরির ব্যস্ততায় আগের মত লেখার সুযোগ পাই না। অনেক লেখা জমা হয়ে আছে, সময় পাচ্ছি না। মন খারাপ

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চাকুরির ব্যস্ততায় আগের মত লেখার সুযোগ পাই না।

এইভাবে কইতে নাই, দুষ্টপাঠক চাকুরি যাওনের লিগ্যা বদ্দুয়া করবার পারে খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

রায়হান ও স্যাম

এটা কি আমাদের ব্যানার্জীদা?

সাক্ষী ছেলেটা ফিচেল হলে কী হবে, লিখে ভালো চলুক
-------
শুঞ্ছি নিধিরে কোলে নিলে নাকি বিবাহের জন্য পাগুলদের বিবাহ হয়ে যায়।
সত্যানন্দও সেকারণে নিধিরে ডাকাডাকি করে নাকি র‍্যা চিন্তিত
-------
পরের পর্ব আসুক।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক!! স্যাম্ভাই, তাত্তারি এই জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দ্যান। চাল্লু

২। ফিচলেমি থেকে দারুণ কিছু হলে ফিচলামিই করুম এখন থিকা, পরে চেইতেন না। শয়তানী হাসি

৩। কে জানে? নিধি তো আমার ডাকাতে চেহারা দেইখা উল্টা দৌড় দিছে, ভাগ্য খ্রাপ! মন খারাপ

৪। জানেন কি, আমি চণ্ডীশিরা ব্র্যান্ড চা-পাতা আর কল্যান ব্র্যান্ড চিনি ব্যাবহার করি। দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।