দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৬/০২/২০১৭ - ৬:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

“মানুষ পণ করে পণ ভাঙিয়া ফেলিয়া হাঁফ ছাড়িবার জন্য।” আমার কথা না, কবিগুরুর কথা। দেড়েল ব্যাটার কথাটাকে সত্য করে চলেছি বারংবার- আমিও তো মানুষ, নাকি? বলছিলাম তথাকথিত বইমেলা’র কথা। একসময় বইমেলা এড়িয়ে চলতে চাইতাম রম্যাচার্য সৈয়দালীর আপ্তবাক্য মেনে, অধুনা এড়িয়ে চলতে চাই বানানবিলাসী খান সা’বের তপ্তবাক্য শুনে। দিনশেষে অসারের তর্জন-গর্জনই সার, যেই লাউ সেই কদু। বিকেলে অবাধ্য পা জোড়া ঠিকই এই অলস শরীরটাকে টেনে নিয়ে চলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রংচংঢং মেশানো ছাউনিগুলোর দিকে। তারপর হৃদয় খুঁড়ে বেদনারা জেগে ওঠে এক এক করে। ক’বছর আগেও ব্যাগভরা বই আর বুকভরা ফুর্তি নিয়ে বেরুতাম মেলা থেকে। ব্যাগভরা বই থাকুক বা নাই থাকুক, এখন আর ফুর্তি ফুর্তি ভাবটা আসে না। আমিই বুড়ো হয়ে গেছি না কি বইমেলাটাই বদলে গেছে- কে তা জানে?

২।

এবারের বইমেলায় মলাট পাল্টে গেছে অনেকগুলো প্রচ্ছদ। প্রতিটি নতুন মলাটের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে বেনে প্রকাশকের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ কিংবা ক্ষুব্ধ ক্রেতার হাহাকার। অন্তত দুটো বই দুবার কিনে ফেলেছি এই আকালের দিনে। বইমেলায় প্রচুর আলো আর পুলিশ। মোড়ে মোড়ে খুঁটির মাথায় জাহাজী ক্রো’জ নেস্টে দাঁড়কাকের মতন মিশিকালো ড়্যাবভায়ারা কালো গগলসের আড়াল থেকে ড্যাবড্যাবিয়ে দেখে চলেছেন সবকিছু। ভাগ্যিস তাঁরা হেঁড়ে গলায় জিজ্ঞাসা করেননি- “সাত দু’গুনে কত হয়?” শুদ্ধস্বরের টিকিটিও নেই মেলায়, তার ‘চলিষ্ণু’ কিছু বইয়ের পুনঃমুদ্রণ চোখে পড়ল অন্যান্য প্রকাশনীর মালিকানায়। উগ্র বই চোখে পড়েনি একটিও। তবে হালাল (কিংবা হালালগন্ধী) বইয়ের প্রকোপ প্রকটভাবে চোখে পড়ে এদিকে সেদিকে।

৩।

প্রায় প্রতিটি স্টলে “জ্ঞান ও সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক সমিতি” লেখা ছাপ্পামারা। এই ভারিক্কি নামটা দেখে আগে হাসি পেত, এখন যক্ষ্মারোগীর মতন দমকে দমকে হুপিং কাশি পায়। তবে কিনা মেলা চত্বরে কাশা নিষেধ, তথাকথিত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। রোদেলা, শ্রাবন আর জাগৃতি এখনো টিমটিম করে জ্বলে আছে দেখে ভাল লাগল। সোহরাওয়ার্দী প্রান্তে এবার পর্যটনের হোটেল আছে, মোটেলও থাকবে হয়ত সামনে। বই থাকুক বা না থাকুক, তাতে কি আসে যায়? ‘যে বই তোমায় অন্ধ করে, যে বই তোমায় বন্ধ করে, সে বই তুমি পড়বে না’- লিখেছিলেন হুমায়ুন আজাদ। খান সা’ব মনে হয় হেফাজতের ক্ষোভে সরিয়ে নেয়া কবিতাটির কথা মনে রেখেছেন। অন্ধ-বন্ধ-গন্ধ করার মতন প্রচুর বই তিনি রেখেছেন স্টলে-স্টলে। সেই গন্ধ ঢাকা দিতেই বুঝি উত্তর-পশ্চিম কোনে কাবাবের তীব্র গন্ধের আয়োজন। কাবাব দিয়ে মাছ ঢাকা আর কি। খেতে তো কেউ নিষেধ করে নি, তাই না?

৪।

মেলার পয়লা দিনে আগামীর স্টলের সামনে কড়া করে রংমাখা এক দঙ্গল আপ্পের সাথে দেখা হল, মানে উনারা দৃষ্টিপাতে বাধ্য করলেন আর কি। আমি গম্ভীর মুখে মৌলি আজাদের একটা বই নেড়েচেড়ে দেখছিলুম। পেছনে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতন চিল চিৎকার শুনলাম- “পাওয়া গেছে!! এইটা বিসিয়েস বুকলিস্টে আছে!!” আগামী প্রকাশনে বিসিয়েসের বই শুনে আঁতকে উঠে ঘাড় ঘোরাতেই হল। দেখি এক দশাসই আপ্পে তাচ্ছিল্যভরে আজাদ স্যারের “লাল নীল দীপাবলী” বইটা ঝুলিয়ে রেখেছেন। এই আপ্পেদের কথা ভেবেই কি স্যার লিখেছিলেন- “যে তুমি ফোটাও ফুল...”? মাথার রক্ত পায়ে নেমে এলেও চোখ বুজে জপলুম- ‘ইনার পিস, ইনার পিস, ইনার পিস’। এই আপ্পেকে চড়াতে চেয়েছিলুম বলে তিথীডোর ইনবক্সে যা নয় তাই বলে আগপাশতলা ঝাড়লেন। বুঝলুম, উনিও বোধহয় কাস্টমসেলিব্রিটির ফলোয়ার!

৫।

এবারের মেলায় বই বেরিয়েছে কেমন জানিনা, প্রকাশনী বেড়েছে প্রচুর। পাল্লা দিয়ে অখাদ্য বেরিয়েছে ততোধিক। বইমেলায় ঢুকে প্রথম যে বইটা চোখে পড়েছে তার শিরোনাম- “মুক্তবুদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা”, লিখেছেন বানানবাগীশ খানসা’ব। প্রকৃতি বড় রসিক, তাই না? সচলদের মাঝে মৃদুলদা’র ছড়ার বই পেয়ে কিনে ফেলেছি। আহা, স্বপ্নাহত’র ছড়াগুলো নিয়ে এমন একটা বই কবে হবে, কেউ জানেন? রনদা’র চার্বাকোত্তর দর্শনের চার খন্ড দামে না বনায় রেখে এসেছি, পরেরদিন হবে। ছেলেবেলার রঙিন স্মৃতিজড়ানো রাশান বইগুলোর বেশ কিছু রিপ্রিন্ট দেখলাম নানান প্রকাশনীতে। সেবার স্টলে ঢুঁ মেরেছি যথারীতি। তবু, আশেপাশের আকাশে-বাতাসে কোথায় যেন একটা গুমোট ভাব রয়ে গেছে। ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছে কালো আলখেল্লা ঢাকা ডিমেন্টরেরা, ‘এক্সপেক্টো প্যাট্রোনাম’ বলে চেঁচিয়ে ওঠার মানুষেরা একে একে হারিয়ে গেছেন। এখন মেলা ছেড়ে যাবার সময় শক্তি চাটুজ্যে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ফিসফিসিয়ে ওঠেন- “দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া/ কেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া”।

৬।

মেলা ছেড়ে চলে আসবার সময় শাহবাগে ব্যানার আর গানবাজনা দেখে মনে পড়ল আজ ৫ ফেব্রুয়ারি! ২০১৩ থেকে ২০১৭, চার চারটা বছর কেটে গেল চোখের পলকে? বইমেলা ভরা অন্ধকারের স্রোত সাঁতরে এসে এই টিমটিমে আলোটুকুই মন ভরিয়ে দিল। সেই উত্তাল জনস্রোত আজ নেই সত্য, কিন্তু সেদিনের সেই ঢেউয়ের অবশিষ্টাংশ কিছুই কি নেই মনে? দেড়েল বুড়ো না বলেছিল- “রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে”? আবার কোন এক কাল পূর্ণিমার রাতে নুরলদীন কি ‘জাগো বাহে’ বলে দিবে ডাক? আমরা কি আবার ঘন হয়ে আসব সকলে?

০৫.০২.২০১৭


মন্তব্য

আয়নামতি এর ছবি

হুম!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুম!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

মেজাজ সুবিধায় নেই, শক্তির কবিতায় শিরোনাম আর নিজের নাম দেখে ঢুকলাম। আপনি লোকটা বদ!

এই প্রথম পুরো ফেব্রুয়ারি ঢাকায়, তবে বইমেলায় যেতে চাই না.. ইচ্ছেটাই মরে গেছে!

সচল 'সুবোধ অবোধ' আকা গায়ক 'চিৎকার'কে রিকোয়েস্ট করেছিলাম হেভিওয়েট সেলিব্রিটি আপ্পের বইটা পারলে অটোগ্রাফসমেত জোগাড় করে দিতে। সেও রাজি হলো না...
নিষ্ঠুর পৃথিবী! রেগে টং

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কি স্বার্থপর মেয়েরে বাবা! খালি নিজের নাম খুঁজে বেড়ায়! আ.হ.র লেখা খুব ভালবাসেন বুঝি? বাই দ্য ওয়ে, আমি বদলাইনি- আগের মতই আছি, হুমম! শয়তানী হাসি

ব্যাক্তিগত অবস্থান নিয়ে কথা নাই। মন খারাপ

স্টল নাম্বার দ্যান, বই কিনা আনতাছি। আর অটোগ্রাফ তো আমিই দিতারুম! চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

কাল ঐ পাড়ায় আমিও গিয়েছিলাম, তবে আমি ছহীহ্‌ মানুষ না বলে ছহীহ্‌ কিতাব মজলিশে ঢোকার হিম্মত হয়নি। শাহ্‌বাগের মোড়ে আসতে দেখি গণজাগরন মঞ্চ সাজিয়ে অনুষ্ঠান চলছে। মাইকে এক হতভাগ্য পিতা তাঁর ক্ষোভের কথা বলছেন, তাঁর পাশে এক নারী মুক্তিযোদ্ধা বসে আছেন। মঞ্চে আরও যারা আছেন তাদের মধ্যে গণজাগরন মঞ্চ কোম্পানি আনলিমিটেডের কর্মকর্তারাও আছেন। চার বছরে শাহবাগ ততোটাই পাল্টেছে বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চ যতোটা পাল্টেছিল ১৬/১২/১৯৭১ থেকে ১৬/১২/১৯৭৫-এর মধ্যে। পরে খবরের কাগজে দেখলাম ঐ অনুষ্ঠানে উজিরে ইল্‌ম ওয়া ক্বিতাবের দামাদ্‌ নয়া ক্বিতাবে দাস্তান ঔর শায়েরী পালটানো নিয়ে বহুত বুরা কথা বলেছেন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সোহেল ইমাম এর ছবি

বইমেলায় এবারও যাওয়া হবেনা। ছাপোষা মধ্যবিত্ত নামক বিত্তহীনের ভরসা নিজের শহরের পরিচিত একটা দু’টো দোকান যেখানে বই নিয়ে পরে এসে টাকা দিলেও চলে। বইমেলায় নিয়ে আপনার লেখার জন্যই বসে আছি। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে মেটাতে ঘোলেই নেশা ধরে গেছে। ফেব্রুয়ারী মাসটায় কলম বন্ধ রাখবেননা। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এই মাসেই প্রচণ্ড ব্যাস্ত আছি। তবু, শ্বাস নিতে সচলে আসব মাঝেমধ্যে! হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

লিখেছেন বেশ। ব্যাপক পরিমানে বিনোদন লাভ করলাম, সত্যি বলছি। তবে ওপাড়ায় এখনো যাওয়া হয় নি। নাগরিক (এবং সংসারী) কামলার জীবন হলে যা হয় আর কি ! শুক্কুর-শনিবার বুঝে ঘাড়ের উপর হামলে পরার জন্য কোন না কোন সংসারি আপদ হপ্তা জুড়ে কোথায় যেন ঘাপটি মেরে থাকে। তবে শুরুর দিকে গেলে বইয়ের চেয়ে আধখেঁচরা তৈরী স্টলই চোখে পড়ে বেশী। আর বই খুঁজলে বলে পরশু, তরশু কিংবা আগামী সপ্তাহে আসবে। আরে বাবা, চাইলেই কি পরশু, তরশু কিংবা আগামী সপ্তাহে আসা যায়? ঢাকা শহরের জ্যাম ঠেলে একমাথা থেকে আরেক মাথাইয় আবার আসা কি চাট্টিখানি কথা? তাই ঠিক করেছি মেলাটা জমে একেবারে দই হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারির ৩য় সপ্তাহে ছুটির দিনে যাব। দেউলিয়া না হলেও একমাসের পকেট খরচতো অন্ততঃ বাঁধাই করা কাগজে বিবর্তিক হবে। কিন্তু কি আর করা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুম, জ্যামটা আসলেই ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে ইদানীং! মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এবার সবার মধ্যে বইমেলা নিয়ে খুব সঙ্গত কারণেই একটা হতাশা। পরিচিত মানুষদের মধ্যে বইমেলা নিয়ে উচ্ছ্বাস নেই। আমরা কি আসলে হেরেই গেলাম? বইমেলা কি আবার কখনও আগের মতো হবে?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সু-বইগুলো নেই হয়ে যেতে দেখলে এবং কু-বইগুলো আগাছার মত বেড়ে যেতে দেখলে হতাশ হবে নাই বা কেন মানুষ? আবার হয়তো ভাল দিন আসবে! ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

কোন কিছুই আর আগের মতো হয় না, হবেও না। দশ বছর আগে যে মানুষগুলোর সাথে মেলায় যেতাম বা আড্ডা দিতাম তাদের অনেককে এখন দেখলে একশ' হাত দূরে থাকি। মনের অমিল, মতের অমিলকে ছাড়িয়ে ডালপালাশিকড় গজিয়ে বসেছে অবিশ্বাস-সন্দেহ। আজকে যারা বইমেলাতে জাঁকিয়ে বসেছে খুব শীঘ্র তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। তবে তাদের জায়গায় যারা আসবে তারা হয়তো আরও গাঢ় অন্ধকারের মানুষ।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

পাড়া বেপাড়ায় ঘোরাঘুরিটা এবার বন করেন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এইবারই শ্যাষ, বয়স হইছে- আর না! মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

বইমেলায় যাই না আজ আঠারো বছর। আপনাদের মতো কিছু মানুষের লেখা দিয়েই বইমেলাকে অনুভব করি। এই লেখাটি মন খারাপ করিয়ে দিলো খুব।

---মোখলেস হোসেন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বারো বচ্ছর ধরে মেলায় যাই, প্রায় আট বচ্ছর মেলার পাশেই থেকেছি। এবারই হয়তো শেষ। এরপর তীর্থযাত্রীর মতন মেলায় আসব হয়ত বহুদুর থেকে। কিংবা আসব না। মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

সাক্ষী আপনার চোখেই মেলা দেখি, আমিও বলি এ-মাসে কলমটা বন্ধ রাখবেন না.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পেয়েছেন কি? এবার দুটো বই বের করেছেন, আগামীবার কি চারটা? তারপরের বার আটটা? চিন্তিত
এভাবে চললে তো সুকুমারের দানের হিসাবে থাকা বোকচন্দর রাজার মত দেউলে হতে হবে! ওঁয়া ওঁয়া

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

দেবদ্যুতি এর ছবি

সচলেই আসা হয় না অনেকদিন। আপনার লেখা এ মাসে থাকবে না- তা ভাবাটাই অন্যায়। দ্বিধাদ্বন্দে থেকে থেকেও বইমেলা গেছি দুদিন, কিনলামও খান দু’তিন বই। আর যে ক’দিন মেলা আছে, ঘুরে ফিরে আসুন না মনের কষ্ট মেনে নিয়েও। আর মেজাজ যত যাই হোক- আপ্পে বা ভাইয়াদের কাউকে চড়াইতে যাবেন না ভাই- দিনকাল বড় একটা সুবিধার না।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

প্রথম পাতা থেকে সরে নি, নইলে আরো লিখতাম...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।