ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি
লিখেছেন শাহেনশাহ সিমন (তারিখ: বুধ, ০৪/০২/২০১৫ - ৫:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতিদিন সকালে উঠে এক কাপ চা সাথে সেদিনের দৈনিক। কাপের চা অর্ধেক নেমে আসতে একটা সিগারেট জ্বালানো, পেপারের শেষাংশ চলে আসে ততক্ষনে। তারপর খবর গুলো মাথায় নিয়ে চা ও সিগারেট শেষ করে প্রাত্যহিক ক্রিয়া সম্পন্ন। এরপর চিন্তা, কি করা যায় আজ! গত কয়েকদিন ফেসবুকে নতুন ট্রেন্ড চালু হয়েছে যে কে কত বই পড়েছে সেটা গুডরিডস এ দিয়ে তারপর সেটাকে নিজের বন্ধুদের জানানো যে আমি য়্যাত্ত বই পড়ি। আমি পড়ুয়া নই তাই সে অংশ এড়িয়ে অন্য দিকে যাই। বয়স হবার দরুন হয়ত আজকাল বন্ধুদের আড্ডা, আলোচনা বা ইম্পোজড চিন্তাভাবনার বিশাল অংশ জুড়ে থাকে বৈশ্বিক বিষয়াদি; যেমন মিয়ানমারে টেলকো প্রলিফারেশন এর ইম্প্যাক্ট এ সাউথ এশিয়ার টেকনলজি এক্সপানশন কি হবে, বা চায়নিজ জিডিপি গত ২৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শ্লথগতির যার দরুন ভারত ২০১৬ নাগাদ বৃদ্ধিতে চায়নাকে ছাড়িয়ে যাবে কিনা; সেটা রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভাল কিংবা খারাপ কোনটা হবে অথবা এক শতাংশের হাতে পঞ্চাশ শতাংশের সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে এ নিয়ে বাম রা কেন নীরব অথবা শুদ্ধ বাম কিউবা ও আমেরিকার বন্ধুত্ব হলে বাম পন্থা কি মরে যাবে কিনা, বাম বলে আদৌ কিছু টিকে আছে কী না- এসব নিয়ে আলোচনা-ফোড়ন হতে থাকে। আমি সব সময় ই এসব আলোচনায় শ্রোতা হিসাবে থাকি আর আলোচক কে উতসাহ যুগিয়ে থাকি। তাই আলোচক বা বক্তা উতসাহি শ্রোতা পেয়ে অনেক সময় ই কথা বলে যেতে থাকেন আর আমার সময়টুকু ও বেশ ভাল কাটতে থাকে।

তবে গত কয়েকদিন ধরে আলোচনা দেশে ফিরে এসেছে। আমার এই ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্য যে আমি বন্ধু ছাঁটতে ছাঁটতে এমন স্থানে নিয়ে এসেছি যে এই মুহূর্তে তাদের প্রত্যেকের প্রকৃতি ই বলা যায় এক, “কিছু ক্ষেত্রে” তারা ভিন্ন মত একদম ই সহ্য করতে পারেনা। তাই বলা যায় দেশ ও রাষ্ট্র নিয়ে যে আলোচনা হয় তা একপাক্ষিক। অন্য সবার মত আমিও এই ক্ষেত্রে এক দুইটি বাক্য ব্যয় করি; যা আসলে সমস্ত আলোচনার সারমর্ম; দেশ ও মানুষের বিরোধীতাকারিদের ভিন্নমত এর নাম দিয়ে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ বা কোন অধিকার থাকতে পারেনা। আমি নিশ্চিত, আমার মত আরো অনেক ব্যাক্তি, যাদের কেউ হয়ত রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে ও সম্পৃক্ত, তারা এ বক্তব্য সমর্থন করেন, বিশ্বাস করেন এবং কার্যের সময়ে ভুলে যান কিংবা চেপে যান। বর্তমানের ট্রেন্ড অনুযায়ী মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা ফেসবুক বা টুইটারে স্ট্যাটাস ও সেলফি দেন। তাদের স্ট্যাটাসে আমি দেখি যে তারা সংসদের প্রতিনিধিত্বহীন দলটিকে বকে যাচ্ছেন, তাদের দায়ী করছেন। কিন্তু সর্বশেষ কাজ, অর্থাৎ নাগরিকের নিরাপত্তা প্রদান বা হত্যাকান্ডের পরবর্তীতে গ্রেফতার এর মত কিছুই করছেন না।

বাসাটা গলির সামান্য ভেতরে। তাই হেটেই গলির বাইরে এসে চায়ের দোকানের পাশের বেঞ্চিতে বসলাম। এই দোকানদার বেশ ব্যাবসায়ী মনোভাবাপন্ন। চা এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের উপযোগ দিয়ে ৫ টাকার চা কে পচিশ-তিরিশ পর্যন্ত বাড়িয়ে থাকেন। তার বানানো দশ টাকার কমলা চা বেশ লাগে। অনেকটা গরম পানিতে ট্যাং এর মত। কথা হয় তার সাথে। কিছুটা খুশি, আবার চিন্তিত। সামনে এক ও দুই টাকার অনুপস্থিতিতে চকলেট দিয়ে কাজ কত জায়গায় চালানো যাবে সে ব্যাপারে আমার বিশেষজ্ঞ মতামত চাইলো। আমি হেসে বললাম এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠির চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ই হয়ত কোন সমাধান দিতে পারবে। তবে আগামী কয়েকবছর এই নিয়ে তাদের সমস্যা হবেনা বলে জানালাম। এই ফাঁকে জানলাম যে তার কিছু সমস্যা হচ্ছে। তার চাদা দেয়ার পরিমান বেড়ে গেছে। থাকে মান্ডা এলাকায়। আসা যাওয়ায় প্রায় ই বোম ফুটে। আজকে নাকি কে একজন বোম খেয়েছে। তার বলার ভঙ্গিতে মনে হলো এসব ঘটনায় সে নির্বিকার ও অভ্যস্থ হয়ে গেছে। আমি এখনো সিজন্ড হইনি বলে কান ঠিক মত পাতলাম না তার কথায়। উঠলাম চা খেয়ে। দুপুরের এই সময়টা যেকোন অফিস অঞ্চলে গম গম করে থাকে। তবে আজ অনেক লোক বা পুলিশ বসে আছে হোটেলে। তাদের লাঞ্চ টাইম। আমি ঢুকলাম। মনে হলো একগাদা স্ক্যানিং মেশিন আমাকে স্ক্যান করে বুঝে নিলো যে আমি আসোলে কেমন। হোটেলে নান রুটি আর খাসি চাইলাম। এরা দুপুরে রুটি বানায় বলে মাঝে মাঝে এদের এখানে খাই। পুরানো সময়গুলো ভাবছি। দুইবছর আগে আজকের দিনে অন্যরকম এক উত্তেজনায় ছিলাম। পাঁচ তারিখ এলো, দুই আঙুলের ভি দেখলাম, রাস্তায় নেমে আসলাম। কাদের মোল্লা ঝুলেছে; সাথে সাথে নৈতিকতা ও ঝুলেছে। ৫ তারিখের সেই সমাবেশে কে প্রথম দাড়িয়েছে, কে কত চাঁদা নিয়েছে আর প্রতিদিন কীভাবে নতুন পাঞ্জাবি আসে, সক্রেটিসের মুরগির মত ইসলামি ব্যাঙ্কের এমসি- এসবের ভীড়ে আসোলে মূল কাজ খেই হারালো। আর সেই উত্তাপে হাত সেঁকে ও কাপড় শুকিয়ে “এই জমায়েত অবৈধ” ফতোয়াবাজ ও দেখেছি। প্রায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গোলামের দাফন কিংবা বছরের ও বেশি সময় ধরে কোনরূপ রায় কার্যকর না করা কে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি আমরা সকলে। শাহবাগ এর সময়কে পুঁজি করে ব্যাবসা খুলেছে, এমন ব্যাক্তি ও কম দেখছিনা আশপাশে। অবাক হওয়াও ছেড়ে দিয়েছি এসবে। চা ওয়ালার মত আমি এই ক্ষেত্রে নির্লিপ্ত হয়েছি।

শীতকালের শেষাংশে বইমেলার শুরু হয়। এবার বইমেলা শুরু হয়েছে পরপর তিনদিনের ককটেল এর স্বাগতম এ। প্রথম তিনদিনে বিক্রয় সংখ্যার নিক্তিতে নিম্নমূখী। অনেক বই আবার বাইশ তারিখের ও পরে বের হবে। ভীড় তেমন নেই বাণিজ্যমেলা আর ধ্বংসখেলার কল্যানে (!)। মেলার একাংশ এবারো সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে রাখা হয়েছে। ধুলো কম, জায়গা বেশি- স্বস্তিতে ঘুরেফিরে দেখা যায়। পোড়াগন্ধ পার হয়ে, কিছুটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারপর মেলায় পৌঁছানো। স্বাধীনতা স্তম্ভটা আলোকোজ্জ্বল হয় সন্ধ্যার পরে, আশপাশের সাথে নিজেকেও খোলতাই করে তুলে। হাতেগোণা দর্শনার্থীর সাথে সাথে আরো কম ক্রেতাদের উৎসাহী চেহারা দেখতে দেখতে আমিও ভুলে যাই বাতাসে লাশের গন্ধের কথা, ধ্বংসের বার্তা।


মন্তব্য

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

তবু প্রতিদিন যাই বইমেলায়।
বিমর্ষ লাগে।

মাসুদ সজীব এর ছবি

কোথায় পেলেন বাতাসে লাশের গন্ধ আর ধ্বংসের বার্তা? আমাদের মন্ত্রি মহোদয়গণ বলছেন না দেশের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে অ্যাঁ । আমরা খুব ভালো আছি, নিরাপদে আছি রেগে টং

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ঘুরে আসলাম তো বইমেলা থেকে, লোকজন একটু কম, তবে জমবে নিশ্চয়। পহেলা ফাল্গুন আসুক, আসছে ফাগুনে আমরা দ্বিগুণ হবো নিশ্চয়। রমনায় বোমা মেরে কিন্তু লোক কমানো যায়নি, পরেরবার বাঁধভাঙ্গা মানুষের ঢল নেমেছিল। এবারও তাই হোক। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই অবস্থা চললে ঢাকার বাইরে থেকে এবার বইমেলায় যাওয়া প্রায় অসম্ভব হবে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, আমি তো ঢাকার বাইরে থেকেই গিয়ে ঘুরে এলাম, আবার যাব ভাবছি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

লেখা চলুক, আমরা বেঁচে আছি-

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

রমনায় বোমা মেরে কিন্তু লোক কমানো যায়নি, পরেরবার বাঁধভাঙ্গা মানুষের ঢল নেমেছিল। এবারও তাই হোক।

ভরসা রাখছি হে এই কথায় হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দেখা যাক, যে তিনদিন গেলাম (প্রথম তিন দিন) তখন আসলেই জমেনি, অবশ্য সেটা অন্যান্যবারেও বোধহয় তাই হয়। তাছাড়া অনেক স্টলেই অমুক বই চাইলে বলে আগামী সপ্তাহে আসেবে। দ্বিতীয় সপ্তাহের পর আসল অবস্থা বোঝা যাবে।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই মুহূর্তে তাদের প্রত্যেকের প্রকৃতি ই বলা যায় এক, “কিছু ক্ষেত্রে” তারা ভিন্ন মত একদম ই সহ্য করতে পারেনা।

এই ব্যাপারটা বিপদজনক। ভিন্ন মতের টুঁটি চেপে ধরার পরিণাম ফ্যাসিবাদের শাঁসে-জলে বাড়া।

দেশ ও মানুষের বিরোধীতাকারিদের ভিন্নমত এর নাম দিয়ে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ বা কোন অধিকার থাকতে পারেনা।

এটা হচ্ছে স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারের পার্থক্যের মতো। স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে হয় আর স্বেচ্ছাচারকে দমন করতে হয়। ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতে হবে আর মানবতাবিরোধী, দেশবিরোধী প্রচারণাকে সমূলে উৎখাত করতে হবে।

তাদের স্ট্যাটাসে আমি দেখি যে তারা সংসদের প্রতিনিধিত্বহীন দলটিকে বকে যাচ্ছেন, তাদের দায়ী করছেন। কিন্তু সর্বশেষ কাজ, অর্থাৎ নাগরিকের নিরাপত্তা প্রদান বা হত্যাকান্ডের পরবর্তীতে গ্রেফতার এর মত কিছুই করছেন না।

কর্তারা বিপদে আছেন। দেশ ও দেশের মানুষ যে প্রতি মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সব বিপদ পার করছেন সেটা তাঁরা বোঝেন। ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাঁরা তাদেরকে দায়ী করছেন ঠিকই, কিন্তু একই সাথে তাঁদেরকে এটাও দাবি করতে হচ্ছে যে পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

আগুন লাগিয়ে, পেট্রোল বোমা বা ককটেল মেরে অপরাধীরা যেভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে তাতে বোঝা যায় এই সন্ত্রাস ও হত্যাযজ্ঞের মূল অনেক গভীরে প্রোথিত। তাদের কর্মজাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত।

তার চাদা দেয়ার পরিমান বেড়ে গেছে

এই সমস্যাটা থেকে বাংলাদেশ ইহজীবনে বের হতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। যত দিন যাচ্ছে, চাঁদার পরিমাণ আর চাঁদাবাজের সংখ্যা কেবল বাড়ছে। এই ব্যাপারে অনভিজ্ঞরা পুলিশে অভিযোগ করার কথা হয়তো বলবেন, আর অভিজ্ঞরা জানেন তাতে বিপদ শুধু বাড়েই।

আদর্শ, নেতৃত্ব আর সংগঠনের গুরুত্ব না বুঝলে যে কোন গণজাগরনের পরিণতি দেশলাইয়ের কাঠির মতো হবে।

কেউ কেউ হয়তো রাগ করবেন, কেউ কেউ হয়তো প্রতিবাদ করবেন, তবে আমার বোধ হচ্ছে বইমেলা মরতে বসেছে। প্রকাশিত বইয়ের কনটেন্ট, ভাষা আর আঙ্গিকের মানে; প্রকাশিত বইয়ের মূল্যে আর বিপণনের কায়দায়; বইমেলা আয়োজনে চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনায় বইমেলা প্রতি বছর একটু একটু করে মারা যাচ্ছে। যাদের বাংলাদেশের বাইরে কোন বইমেলা দেখার অভিজ্ঞতা আছে তারা বুঝতে পারবেন একুশে বইমেলা চিত্তরঞ্জন সাহাদের আমলেই পড়ে আছে। তাহলে লোক হয় কেন? ষোল কোটি লোকের দেশ বা এক কোটি লোকের শহরে যে কোন আয়োজন করলে 'সাপের খেলা' দেখার জন্য লোকের অভাব হবার কথা না। তাছাড়া অনেকেই আছেন যারা বইমেলা নিয়ে একটা অভ্যস্ততায় আছেন। তারা সেই অভ্যস্ততায় বা নেশার টানে বইমেলায় যান। আমি নিজেও এই শেষোক্ত দলে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নির্ঝর অলয় এর ছবি

কর্তারা বিপদে আছেন। দেশ ও দেশের মানুষ যে প্রতি মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সব বিপদ পার করছেন সেটা তাঁরা বোঝেন। ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাঁরা তাদেরকে দায়ী করছেন ঠিকই, কিন্তু একই সাথে তাঁদেরকে এটাও দাবি করতে হচ্ছে যে পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

আগুন লাগিয়ে, পেট্রোল বোমা বা ককটেল মেরে অপরাধীরা যেভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে তাতে বোঝা যায় এই সন্ত্রাস ও হত্যাযজ্ঞের মূল অনেক গভীরে প্রোথিত। তাদের কর্মজাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত।

মন খারাপ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে হয় আর স্বেচ্ছাচারকে দমন করতে হয়। ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতে হবে আর মানবতাবিরোধী, দেশবিরোধী প্রচারণাকে সমূলে উৎখাত করতে হবে।

চলুক

তাঁরা তাদেরকে দায়ী করছেন ঠিকই, কিন্তু একই সাথে তাঁদেরকে এটাও দাবি করতে হচ্ছে যে পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

মন খারাপ

তাছাড়া অনেকেই আছেন যারা বইমেলা নিয়ে একটা অভ্যস্ততায় আছেন। তারা সেই অভ্যস্ততায় বা নেশার টানে বইমেলায় যান।

এভাবে কখনো ভেবে দেখিনি, এখন মনে হচ্ছে আমিও আসলে এই দলেই মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বইমেলায় যাওয়াটা একটা অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। এক সময়ে বই কেনার তেমন পয়সা ছিলোনা তখনই বেশী বেশী যাওয়া হত বইমেলায়। এখন যাই অভ্যাসের কারণে, প্রাণের টানে। এবারও যাব, তা থাকুক নাইবা যত বাধা-বিপত্তি। হাসি

নির্ঝর অলয় এর ছবি

আপনার জর্নাল পড়ি নিয়মিত। সময়ের ব্যক্তিগত প্রতিবিম্ব হয়েও তা সর্বজনীন হয়ে ওঠে।

বিম্পি-জামাতের পৈশাচিক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আমি বইমেলায় আসতে পারছি না, কারণ আছি ঢাকার বাইরে। আমার বস এবং সিনিয়র সহকর্মীরা ৮ জন এই পোড়ানোর পক্ষে। প্রকাশ্যে তারা বলছেন এসব নাকি সরকারের কৃতকর্মের ফল। নিরীহ মানুষ পোড়ানোর সমর্থনকারীদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।

কিন্তু আমরা শাস্তির প্রতীক্ষায় থাকি, ন্যায়বিচারের প্রতীক্ষায় থাকি। ন্যায়বিচারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অপরাধ ঘটতেই থাকে। পোড়ানো ও এর ষড়যন্ত্রে জড়িত সবার কঠিনতম দণ্ড কার্যকর না হলে এসব থামবে না।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমার বস এবং সিনিয়র সহকর্মীরা ৮ জন এই পোড়ানোর পক্ষে। প্রকাশ্যে তারা বলছেন এসব নাকি সরকারের কৃতকর্মের ফল।

এই অবস্থা অনেক জায়গাতেই ওঁয়া ওঁয়া

নিরীহ মানুষ পোড়ানোর সমর্থনকারীদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

একটা উপায় হতে পারত, যদি প্রধানমন্ত্রী পুলিশ কর্তাদের সাথে বসে ঘোষাণা দিতেন, যে এলাকায় পেট্রলবোমা ফুটবে সেই থানার ওসি তার জন্য দায়ি থাকবেন। আমার বিশ্বাস, এটা করলে একটা বোমাও আর ফুটত না। কিন্তু সরকার বোধহয় সেই সাহসটুকু হারিয়ে ফেলেছে!

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগল। হাসি

বাদুর পাগল  এর ছবি

ওয়েলকাম ব্যাক ! হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।