বর্ন ইন্টু ব্রথেলসঃ নিষিদ্ধ পল্লীর শিশুরা

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বুধ, ১০/০২/২০১০ - ১:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আট জন শিশু কিশোর যাদের বয়স ১০ থেকে ১৪ এর মধ্যে। ওদের জন্ম নিষিদ্ধ পল্লীতে তাই আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মত বেড়ে উঠেনি ওরা। জন্মের পর থেকে ভালবাসা আর আদর না, বরং খিস্তি খেউড় শুনেই বড় হয়েছে ওরা। জীববের রূঢ় বাস্তবতাকে আমাদের থেকে অনেক বেশি দেখেছে তারা। কলকাতার সোনাগাছির সেই ঘিঞ্জির মধ্যে থেকে সূর্যের আলোর মত জীবনের আশাকেও বলি দিতে হয়েছে ওদেরকে। ওরা সবাই জানে ওদের মায়েরা বেশ্যা, ওদের বাসায় যারা আসে তারা খারাপ মানুষ, ওদের বাবারা নেশা করে বুদ হয়ে পড়ে থাকে আর মাকে পেটায় তারপরেও ওদের ভালভাবে বেঁচে থাকতে সাধ হয়, ইচ্ছে করে সস্তা মদ আর খিস্তির বলয় থেকে মুক্তির আকাশে ঘুড়ি উড়াতে।

যানা ব্রিস্কি পেশায় আর নেশায় একজন ব্রিটিশ আলোকচিত্র শিল্পী পড়াশুনা করেছেন কেম্ব্রিজ থেকে। ফটোগ্রাফি করতে ভারতে এসে যানা কলকাতার সোনাগাছির নিষিদ্ধ পল্লীতে যৌনকর্মীদের জীবন নিজে থেকে দেখার জন্য সেখানে কাটান মাসের পর মাস। নিষিদ্ধ পল্লীতে অনাদরে বেড়ে উঠা শিশুদের মধ্যে সম্ভাবনাময় আট জনকে বেছে নিয়ে ওদের হাতে তুলে দেন ক্যামেরা, সেইসাথে ওদেরকে শেখাতে থাকেন ফটোগ্রাফির টুকিটাকি। যানার এই প্রকল্প এগুতে থাকে, সম্ভাবনাময় শিশুরা নিজেদের মনের মত করে ছবি তুলতে থাকে এই নিষিদ্ধ পল্লীর জীবন যাত্রার। একসময় যানা হাতে তুলে নেয় ভিডিও ক্যামেরা, তার মনে তখন পরিকল্পনা এদের জীবন নিয়ে প্রামান্যচিত্র নির্মানের।


Born_into_brothels

ছবিঃ বা দিক থেকে যথাক্রমে পূজা, সুচিত্রা, কচি, অভিজিৎ, তাপসী, গৌর, মানিক ও শান্তি।

আট শিশুঃ অভিজিৎ, গৌর, কচি, মানিক,পূজা, শান্তি, সুচিত্রা ,তাপসী এদের মধ্যে কেউ ছবি আঁকতে ভালবাসে , কেউ ছবি তুলে সমাজ বা জীবন বদলে দিতে চায় আবার কেউবা শিক্ষিত হয়ে নিজের পরিবারকে এই অন্ধকূপ থেকে টেনে তুলতে চায়। যানা ব্রিস্কি ওদের জীবনে এসেছিল একটুকরো আলোর ঝলকানির মত। প্রামান্য চিত্রটি নির্মানের সময়কালে ওদের জীবন যেন ভরে উঠেছিল আনন্দ ঝর্ণাতে। ওদের তোলা ছবি নিয়ে প্রদর্শনী হয়েছে, ওদের তোলা ছবি স্থান পেয়েছে এমিনেষ্টী ইন্টারন্যাশনালের মত আন্তর্জাতিক সংগঠনের বার্ষিক ক্যালেন্ডারে, ওদের নিয়ে ভারতীয় মিডিয়াতে আলোচনা হয়েছে, ওরা ঘুড়ে বেড়িয়েছে শহর থেকে গ্রামে, গঞ্জে, সমুদ্রে। গতানুগতিকভাবে যানা শুধু ছবি তুলে আর ডকুমেন্টারি করেই খান্ত হননি, ব্যুরুক্রেসীতে ভরা সমাজ আর কর্ম ব্যবস্থার পশ্চিম বাংলায় এখানে সেখানে ঘুড়ে বেড়িয়ে ওদের জন্য পরিচয় পত্র বের করে ওদের পরিবাররের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ওদেরকে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন বোর্ডিং স্কুলে যেন জীবন ওদের সাথে আর প্রহসন না করে। এই আট কিশোরের মধ্যে সবচাইতে সম্ভাবনাময় অভিজিৎকে আমস্টারডামে পাঠিয়েছিলেন ফটোগ্রাফি কর্মশালায়। শিশুদের জন্য গড়ে তুলেছেন 'কিডস উইথ ক্যামেরা' শীর্ষক প্রতিষ্ঠান , নিষিদ্ধ পল্লীর শিশুদের শিক্ষার জন্য গড়ে তুলেছেন 'হোপ হাউজ'

২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া যানা ব্রিস্কির এই নিষিদ্ধ পল্লীত শিশুদের নিয়ে তৈরী করা প্রামান্যচিত্র 'বর্ন ইন্টু ব্রথেলস' তথ্যচিত্র বিভাগে লুফে নেয় একাডেমী পুরষ্কার অষ্কার। তবে এই পুরষ্কার এই আট শিশুর সবার জীবন বদলে দিতে পারেনি। এদের মধ্যে কেউ কেউ পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পেরেছে কিন্তু অধিকাংশের ভাগ্যে জুটেছে আবার সেই নিষিদ্ধ পল্লীতে ফিরে যাওয়া।

অষ্কার বিজয়ী 'স্লাম ডগ মিলিয়নিয়ার' যেমন তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র শিশুদের জীবন বদলে দেয়না তেমনি বর্ন ইন্টু ব্রথেলস ও পারেনা নিষিদ্ধ পল্লীর শিশুদের নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখাতে। জৈবিক চাহিদার এই পৃথিবীতে জীবিকার জন্য দেহ মানুষের আদি পেশা, তাই এই পেশা বন্ধের দাবী করা অবাস্তব। কলকাতার সোনাগাছির যৌনকর্মীরা হয়ত বস্তিতে থাকে বলে আমাদের করুনা বা আফসোসের কারন হয় কিন্তু উন্নত বিশ্বের দেশের জেন্টলমেন্ট ক্লাবগুলিতে স্ট্রীপারদের নাচ দেখে আমাদের আমুদ হয়। বিয়ারের গ্লাসে চুমুক দিয়ে আমরা তৃতীয় বিশ্বের নিষিদ্ধ পল্লীর শিশুদের কথা ভাবি কিন্তু আমরা কখনই বুঝতে চাইনা আমাদের সমাজ আর মানসিকতাই বাঁচিয়ে রেখেছে এই পেশাকে। শত সহস্র শিশুদের মধ্যে একজন অভিজিৎ হয়ত বেরিয়ে আসতে পেরেছে নতুন জীবনে কিন্তু বাকীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আমাদের উপর, এই সমাজের উপর এই দেশের উপর। প্রিয় পাঠক ৮৩ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি ক্ষনিকের জন্য হলেও কি আমাদের চেতনাকে নাড়া দেবেনা?

বিদ্রঃ তথ্যচিত্রটি দেখা যাবে এই লিঙ্ক থেকে

ছবিসুত্রঃ উইকিমিডিয়া কমনস


********************************************************************

এই সিরিজের আগের লেখাগুলিঃ

ব্ল্যাক বাটনঃ মানুষের জীবনের মূল্য কত?

চিকেন আলা কারতঃ চল তোমাদের তাদের সেই অজানা গল্প শোনাই

হোয়াট ইজ দ্যাটঃ অনুভূতির চক্র

দেশান্তরীঃ একই ইতিহাস কেন বার বার ফিরে আসে?


মন্তব্য

রিজভী [অতিথি] এর ছবি

সবসময়ই আপনার ব্লগ পড়ে অনেক কিছু জানতে পারি। আপনি ক্লাসে যেমন অনেক আকর্ষনীয় করে কোন কিছু পড়াতেন, ব্লগগুলোও ওরকম ধাঁচেরই মনে হয়। উপসংহারটা অসাধারণ টেনেছেন। সময় করে ডকুমেন্টারীটা দেখে ফেলব।

রিজভী

--------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

সচল জাহিদ এর ছবি

রিজভী অনেক ধন্যবাদ। প্রথমে সংবাদপত্রে অভিজিতের খবরটি পড়ে আগ্রহী হই, পরে তথ্যচিত্রটি দেখে আরো কিছু তথ্য যোগাড় করে ব্লগটি লিখেছি। তোমাদের ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তাসনীম এর ছবি

জাহিদ, অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে এই পোস্টের জন্য। তথ্যচিত্রটি দেখব। প্রিয় পোস্টে যুক্ত করলাম।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

কায়েশ এর ছবি

''অষ্কার বিজয়ী 'স্লাম ডগ মিলিয়নিয়ার' যেমন তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র শিশুদের জীবন বদলে দেয়না তেমনি বর্ন ইন্টু ব্রথেলস ও পারেনা নিষিদ্ধ পল্লীর শিশুদের নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখাতে।''

জাহিদ বস, অ-নে-ক সুন্দর করে লিখছ! এগুলা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আগে জীবনে-ও কখনো করি নাই।

(অফটপিকঃ আচ্ছা, কমেন্ট করার সময় তোমার উদ্ধৃতিটাকে 'ইটালিক' করার উপায় কি?)

সচল জাহিদ এর ছবি

কায়েস বস অবশেষে সচলে তোমার পদধূলি !!!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। মাঝে মাঝে কিছু কিছু চলচিত্র আসলেই নাড়া দেয়, এটি তেমনই এক ডকুমেন্টারি।

কমেন্ট করার সময় যে অংশটিকে তুমি উদ্ধৃতি আকারে ইটালিক করতে চাও সেই অংশটিকে সিলেক্ট করে মন্তব্যের উপরের টুলবক্সে থাকা 'উদ্ধৃতি' ক্লিক করলেই সেটি ইটালিক হয়ে যাবে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

থ্যাংকস বস্ ।

আচ্ছা, একটু ট্রাই মেরে দেখি......

কমেন্ট করার সময় যে অংশটিকে তুমি উদ্ধৃতি আকারে ইটালিক করতে চাও সেই অংশটিকে সিলেক্ট করে মন্তব্যের উপরের টুলবক্সে থাকা 'উদ্ধৃতি' ক্লিক করলেই সেটি ইটালিক হয়ে যাবে।

ঠিক আছে......হাহাহা!!

কাকুল কায়েশ

মূলত পাঠক এর ছবি

যাঁরা নেটফ্লিক্সের সদস্য তাঁরা ওখানে অনলাইনে পেয়ে যাবেন, অন্ততঃ কিছুদিন আগে পর্যন্তও ছিলো।

সচল জাহিদ এর ছবি

তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। তথ্য চিত্রটা দেখব আশারাখি।

আমাদের দেশের নিষিদ্ধ পল্লীর এবং উন্নত বিশ্বের দেশের জেন্টলমেন্ট ক্লাবগুলির পেশাজীবিদের মধ্যে পার্থক্য আছে জাহিদ ভাই।

বাংলাদেশে অন্তত একটা ইনিশিয়্যাটিভের কথা জানি, যেখানে যৌনকর্মীদের (জানিনা এটা পলিটিক্যালি কারেক্ট শব্দ কিনা) empowerment এর কথা বলা হয়েছিল। যুক্তি ছিল এই আদি পেশা সম্পূর্ণ বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব, তাহলে এই পেশায় জড়িতদের জীবনকে সহনীয় করার চেষ্টা কেন নয়? বিরুদ্ধে যুক্তি ছিল এতে এই পেশাকে এনকারেজ করা হবে।

খুব প্রাথমিক লেভেলে empowerment এর একটা উদাহরণ ছিল উন্নত বিশ্বে ধরুন এসটিডির জন্য আপনি প্রটেকশন ব্যাবহারে বাধ্য। কিন্তু আমাদের দেশে প্রটেকশন ব্যাবহারে বাধ্য করার সাধ্য নেই পেশাজীবিদের। যার ফলে পেশার জন্য জেনেশুনে মৃত্যুর ঝুকি নেয়া হচ্ছে। আরও কিছু ব্যাপার দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়, কিন্তু এখানে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না। তবে মূল কথা হল উন্নত বিশ্বের দেশের পেশাজীবিরা ‘ওয়েল-প্রটেক্টেড’।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ নৈষাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। আমি জানি আমাদের দেশের নিষিদ্ধ পল্লী আর উন্নতবিশ্বের জেন্টলমেন্ট ক্লাবের মধ্যে পার্থক্য আছে বৈকি কিন্তু মূলসুরত সেই একই নারীর দেহকে পণ্যায়িত করা আমার বক্তব্য সেটিই ছিল আসলে।

আমাদের দেশে আসলে এইগুলো নিয়ে গোড়ামি আছে। পতিতাদেরকে সহায়তা করলে সুযোগ করে দিলে ধর্মান্ধরা বলবে হারাম কাজকে উৎসাহিত করা হচ্ছে আবার এই পেশাজীবিদেরকে পূনর্বাসনের জন্য কেউ কিছুই করবেনা। যতটুকু জানি আমাদের দেশে শখের বসে কেউ এই পেশায় আসেনা যেমনটা উন্নত বিশ্বে আসে। সুতরাং আমাদের দেশে এদেরকে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় হবে তবে সেই পূনর্বাসন শুধু আর্থিক সাহায্য দিয়ে নয় তাদেরকে সামাজিক ভাবেও পূনর্বাসিত করা উচিৎ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এটা আমি দেখেছি জাহিদ ভাই...

তখন খুব সম্ভবতঃ ইন্টার ফার্ষ্টইয়ারে ছিলাম। একাডেমী পুরষ্কার পাওয়ার পরেই আগ্রহ নিয়র দেখে ফেলেছিলাম...

_________________________________________

সেরিওজা

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ সুহান।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

''অষ্কার বিজয়ী 'স্লাম ডগ মিলিয়নিয়ার' যেমন তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র শিশুদের জীবন বদলে দেয়না তেমনি বর্ন ইন্টু ব্রথেলস ও পারেনা নিষিদ্ধ পল্লীর শিশুদের নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখাতে।''
কঠিন সত্য...

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

জাহিদ ভাই অসাধারণ লেখা, আমাদের বিবেক কী কখনো জেগে উঠবে না? আমরা কী ওদের জন্য আলোর ঝলক নিয়ে আসতে পারবো না? আমরা কী বদলে দিতে পারি না ওদের জীবনধারা?

=========
কামরুজ্জামান স্বাধীন

সচল জাহিদ এর ছবি

এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। ধন্যবাদ আপনাকে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

স্নিগ্ধা এর ছবি

বাচ্চাগুলোর চেহারা দেখে একইসাথে ভালো এবং খারাপ দুইই লাগে।

আমাদের বাচ্চারা কী পরিমাণ ভাগ্যবান সেটা কি ওরা কখনও বুঝতে পারবে?

সচল জাহিদ এর ছবি

স্নিগ্ধা আপু, তার থেকে বড় কথা আমরা যে কতটা ভাগ্যবান সেটা কি আমরা আমাদের বাচ্চাদের বয়সে বুঝেছি? সময়ে সবকিছু বুঝে যাবে ওরা।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

লেখা ও লিংক সমূহের জন্য ধন্যবাদ। দুটো মিলিয়েই ভালো লেগেছে।

.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সচল জাহিদ এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

কামরান এর ছবি

কঠিন সত্য।
পুরুষ শাসিত সমাজে আমরা মেয়েদেরকে 'প্রষ্টিটিউট' করতে বাধ্য করছি। সে হতে পারে সরাসরি যৌন কাজে ব্যবহার করে কিংবা আধুনিকতার নামে.....'মডেল....সুপার মডেল....করে.... বানিজ্যিক বিজ্ঞাপনে 'প্রদর্শন' করে....'।
আমরা কিছু পুরুষরা যতদিন পর্যন্ত না'মানুষ' হব, ততদিন পর্যন্ত এর সমাপ্তি নেই। আমরা পুরুষরাই তো তাদের ব্যবহার করি, নাকি!
হ্যাঁ, পুনর্বাসনের চেষ্ঠা করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা এক কঠিন কর্ম। কারন যা এ 'কাজে' জড়িত তাদের মানুষিকতারও একটা ব্যাপার আছে। দিনের পর দিন পুরুষ দ্বারা 'অত্যাচারিত' হয়ে, সেই পুরুষ শাসিত সমাজে জীবন যাপন করা তাদের পক্ষে কতটা স্বাভাবিক হবে, ভাবার বিষয়। সব ঠিক হলেও, পূর্বের জীবনের পরিচয় মুছে গেলেও নিজের 'নারী' পরিচয় মুছা বা ভুলা অসম্ভব।
তাদের পুনর্বাসনে ধর্মীয় বাধা কোথায় বুঝিনা। ইসলাম যেহেতু এ 'কাজ' কে সমর্থন করেনা, সেক্ষেত্রে পুনর্বাসন অবশ্যই অগ্রগন্য। তবে অবশ্যই যুক্তিক ভাবে,সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে। 'বেশ্যা' থেকে 'কর্ল গালে' অবস্থানের পরিবর্তন হলেও অবস্থার পরিবর্তন হয়না। আর ধর্মান্ধরাতো ধর্মের 'লাইবিলিটি', ওরা 'পাঁচের বাদ'।
কিন্তু ভাল হয় যদি আমরা আমাদের সামাজিক পরিবর্তনে অগ্রাধিকার দেই, সেসব কারন তাদেরকে এ 'কাজে' বাধ্য করে, যেসব কারন দায়ী সেগুলোর সমাধান। ...... কোন মেয়েকে যেন আর এ 'কাজে' বাধ্য হতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করা।.....
আমাদের দেশে যারা এ কাজে নিয়োজিতদের নিয়ে কাজ করেন,তাদের মুল উদ্দেশ্য নিয়ে আমি কিছুটা সন্দীহান। কর্ম মহত, উদ্দেশ্যে গরমিল।
যাই হোক, এ 'কাজে নিয়োজিত এবং জড়িত'দের উভয়দের জীবন স্বাভাবিক হোক, এই প্রত্যাশা করি....
আপনার এ লেখার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে আপনার অবমুল্যায়ন করতে চইনা, আমি মনে করি আপনি 'মানুষ' হিসেবে আপনার দায়িত্ব পালন করেছেন যা আমি আপনার পুর্বে প্রকাশ করতে পারিনি।

সচল জাহিদ এর ছবি

চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে এই ডকুমেন্টারিটা দেখে কেন জানি নিজেকে আর স্বাভাবিক রাখতে পারছিলামনা। এইসব নিয়ে শুনি অনেক কিন্তু জানার সুযোগ খুব বেশি হয়নি আগে যতটনা এই ছবিটি দেখে হয়েছে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ হয়ে গেল মন খারাপ

- অসামাজিক

সচল জাহিদ এর ছবি

দুঃখিত মন খারাপ করে দেবার জন্য। আসলে আমি আমার অনুভূতিগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে চেয়েছিলাম।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

কাউসার আলম এর ছবি

সুন্দর টপিক নিয়ে লিখেছেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।