স্বপ্ন অথবা বাস্তব

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বুধ, ০৭/০৪/২০১০ - ৪:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিকেলের সময়টা ওরা হলের ক্যান্টিনে অথবা ক্যাম্পাসের খেলার মাঠটাতে আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দেয়, কখনো ক্যাফেটেরিয়ার সামনের লনটাতে চেয়ার নিয়ে বসে। ওরা মানে তিন বন্ধু প্লাবন, মারুফ আর রবি। তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র। সেরকমই একটি আড্ডা, কোন এক গোধূলী বিকেলে কিংবা সন্ধ্যার কিছুটা পরে,

প্লাবনঃ পাশ করার পরে কি করবি চিন্তা ভাবনা করেছিস?

মারুফঃ একটা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তবে এখনো চুড়ান্ত করিনি। তবে আর যাই কিছু করি প্রকৌশল বিদ্যায় ইতি টানছি শেষ পরীক্ষার দিন এটা নিশ্চিত।

রবিঃ তার মানে এমএসসির কোন চিন্তা ভাবনা নেই?

মারুফঃ ঠিক সেটা বলিনি, বলেছি প্রকৌশল বিদ্যায় আর থাকবোনা। এমনকি কর্মক্ষেত্রেও না।

প্লাবনঃ একটু পরিষ্কার কর, তুই প্রকৌশলী হতে যাচ্ছিস কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সেটাকে বেছে নিবিনা এটা বোঝাতে চাচ্ছিস ?

মারুফঃ ঠিক তাই।

রবিঃ তাহলে কি বাণিজ্যের পথে যাবি যেটা অনেকেই এখন করে, মানে এমবিএ?

মারুফঃ না, আমি সিরিয়াসলি বিসিএস দিব, প্রথম দিকে থাকব মেধাতালিকায় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করব, কূটনৈতিক হব।

প্লাবনঃ কিন্তু সেটাতো অনেক সময়ের ব্যাপার, অন্তত পক্ষে দুই বছর, এর মধ্যে কি করবি ?

মারুফঃ এখনো ভাবিনি, তবে ইংলিশ মিডিয়ামের স্কুলে পড়াতে পারি, বিসিএস প্রস্তুতির সময়ে ভাল কিছু পয়সা আসবে হাতে।

রবিঃ তুই কিভাবে নিশ্চিত হলি যে তুই পররাষ্ট্র পাবি ? তোর রাজনৈতিক কোন ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, মেধায় উপরের দিকে থাকলেও তোকে নিচে নামিয়ে দেবে।

মারুফঃ তুই জানিস আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি, আপাতত নেতিবাচক কিছু ভাবছিনা।

অর্ডার দেয়া গরম পুরি আর হালিম আসে। হালিমে চুবিয়ে চুবিয়ে পুরি খাবার অভ্যেস প্লাবনের অনেকদিনের। গরম গরম পুরি এক কামড় মুখে পুড়ে প্লাবন খাবার দিতে আসা পিচ্চিটাকে আবার ডাকে। কাছে এলে তিনটা গরম গরম চা দিতে বলে খানিক পরে।

মারুফঃ প্লাবন তোর কি পরিকল্পনা ?

রবিঃ ওর আবার পরিকল্পনা কি ? রেজাল্ট ভাল, ডিপার্টমেন্টে জয়েন করবে, ক্লাসে ঢুকে ভাব নিবে আর ছাত্রীদের সাথে টাংকিবাজী।আর দুই বছর পরে ফুরুৎ, মেধা পাচার।

মারুফঃ ফাজলামো রাখ রবি।

প্লাবনঃ আমার পরিকল্পনা খুব সাধাসিধে, যদি সুযোগ হয় তাহলে বিভাগে জয়েন করব, তারপর এখানেই মাষ্টার্স শেষ করে চাকরী স্থায়ী করে বাইরে যাব, পিএইচডি করে দেশে ফিরে এই পেশাতেই থেকে যাব। ছাত্র ছাত্রীদেরকে পড়ানো, গবেষণা আর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে ভালই কেটে যাবে জীবন।

রবিঃ আমি হলফ করে বলতে পারি তুই ফিরে আসবিনা।

প্লাবনঃ সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ, আমি বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে।সুতরাং দেশের স্বার্থে না, নিজের স্বার্থেই আমি ফিরে আসব। আর আমার ধারনা এখানে শিক্ষকতার পেশাটা আমি উপভোগ করব। যাই হোক রবি এবার তোর কথা বল।

রবিঃ আমার পরিকল্পনা আরো সাধারণ, পাশ করে সরকারী চাকরীতে ঢুকবো, তার পর পাঁচ বছরের মাধ্যে ঢাকাতে নিজের ফ্ল্যাট।

মারুফঃ পাঁচ বছরের মধ্যেই !!

রবিঃ এর আগেও হতে পারে নির্ভর করছে কোথায় পোষ্টিং হয় তার উপর।

প্লাবনঃ তার মানে অসৎ রোজগার করবি?

রবিঃ দোস্ত এটা আপেক্ষিক, আসল কথা হচ্ছে উপার্জন করা। সবাই যা করছে তা মেনে নিতে দোষ কোথায়।

ইচ্ছে ছিল এটা নিয়ে তর্কে নামার কিন্তু আজকের সন্ধ্যাটাতে তা আর করতে ইচ্ছে হচ্ছেনা প্লাবনের। সে প্রসংগ ঘুরিয়ে নতুন আলোচনা শুরু করে ফুটবল নিয়ে। এবারের বিশ্বকাপ কে নিতে পারে সেটা নিয়ে তিন বন্ধুর বিশ্লেষন শুরু হয়ে যায়।

সেদিনের সেই বিচ্ছিন্ন আলোচনা হয়ত মিলিয়ে যায় প্রাত্যহিক জীবন যাপন, ক্লাস আর পরীক্ষার যাঁতাকলে কিন্তু স্বপ্নগুলো থেকে যায় তিনজনেরই মনে। পাশ করার পর সবাই যার যার স্বপ্ন পূরণে মনোযোগী হয়, কর্মব্যস্ততায় নিজেরদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ কমে গেলেও বন্ধুত্ত্ব অটুট থেকে যায় আগের মতই।

সেই দিন গত হবার বেশ কিছু বছর পর তিন বন্ধুর আবার দেখা হয়েছে । এই সময়ের মধ্যে ঘটে গিয়েছে অনেক কিছু তার কিছুটা নিজেরা জানে, কিছুটা তিনজনই জানে। চলুন আজকে এই তিনজনের অবস্থান দেখি,

মারুফের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য তাকে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়। পাশ করার পরে কোন চাকরীতে না ঢুকে সে সত্যি সত্যি একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে জয়েন করে। বাবার পেনশনের পর থেকে পরিবারের জন্যও টাকা দরকার। ক্লাস, টিউশিনির পর সিরিয়াসলি বিসিএস এর জন্য পড়তে থাকে। প্রিলিমিনারী পরীক্ষা আর লিখিত পরীক্ষায় অসম্ভব ভাল ফলাফল করে, ভাইভাটাও দূর্দান্ত হয়। তবে সবকিছুর পরেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাওয়া হয়না তার। নিজের দুর্ভাগ্যকে মেনে নিতে কষ্ট হয় যখন দেখে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর থেকে যাওয়া ল্যাগার ভাইয়াটা ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক হবার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে বিশেষ মানুষদের আশীর্বাদে। একবার ভাবে নতুন করে শুরু করবে ততদিনে চলে গিয়েছে তিনটি বছর, সুতরাং প্রকৌশল চাকরীর মিছিলে সে পিছিয়ে গেছে। মারুফের স্বপ্নের মৃত্যু হয়, যদিও আততায়ী সে নয়, তাকে প্রশাসন নিয়েই খুশি থাকতে হয়।

পাশ করার পর প্লাবন বিভাগে জয়েন করে তার পেশাকে মন প্রান দিয়ে উপভোগ করতে থাকে। একসময় তার মাস্টার্স শেষ হয়, সুযোগ আসে বিদেশে পিএইচডি করার। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে সে একসময় উচ্চশিক্ষার জন্য ছুটির আবেদন করে, কিন্তু খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে তার সে আবেদন নাকচ হয়। সে সাময়িক ভাবে তার উচ্চশিক্ষার আবেদন ছয়মাস পিছিয়ে দেয়। ছ'মাস পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার ছুটির আবেদন করে, আবারো একই ঘটনা মঞ্চায়িত হয়। প্রায় চার বছর শিক্ষকতা করার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই প্রতিদান পেয়ে প্লাবন দ্বারে দ্বারে ঘোরে ছুটির জন্য। হতাশ দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তাকে জানায়, 'এদেশে থেকে কি করবে বাইরের জীবন কত উন্নত সেখানে যাও, কি করবে এখানে পড়ে থেকে'। নিজের যোগ্যতা দিয়ে সারাজীবন চলা প্লাবন এইখানটাতে বড্ড বেশি ধাক্কা খায়। হতাশা তাকে গ্রাস করে, একসময় তার সবচেয়ে প্রিয় পেশাটি ছেড়ে দিয়ে অভিমানে দেশ ছেড়ে আসে সে।

প্রিয় পাঠক সবাই নিশ্চয়ই রবির স্বপ্নের কি হলো সেটি জানতে উৎসুক। আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন তাহলে। রবির ঢাকায় নতুন বাসায় নাকি জব্বর আড্ডা হচ্ছে এই তিন বন্ধুর, আমি বরং সেখান থেকে চা টা খেয়ে আসি।

বিদ্রঃ চরিত্রগুলোর নাম কাল্পনিক হলেও এই স্বপ্নগুলো, স্বপ্ন ভাঙ্গার ব্যাথাগুলো কিংবা স্বপ্নপূরণের আনন্দগুলো আর তার সাথের এই মানুষগুলোর বিচরণ কিন্তু আমাদের বাস্তব জীবনেই, হয়ত আমার আপনার আশে পাশেই।


মন্তব্য

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

জাহিদ ভাই - কয়দিন আগে বিদেশ ক্যান আইলাম এই লইয়া ব্যাপক মরা কান্না দিছিলাম ওঁয়া ওঁয়া - আপনের লেখা পৈড়া আমার কথা ফিরাইয়া লইতাছি খাইছে

সচল জাহিদ এর ছবি

এহসান তোমার 'গন্তব্যের গল্পে' পড়ে শুধু তুমিই কাঁদনি, কাঁদিয়েছ আমাদেরও বিশেষ করে গল্পের সাথে সুমনের গানটি ছিল রীতিমত অসাধারণ।

আসলে আমার লেখাটির তিনটি ঘটনাই বাস্তবে ঘটেছে আমি শুধু ওগুলোকে এক সুতায় বেঁধেছি। সবার ক্ষেত্রে এই পরিনতি নাও হতে পারে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নাশতারান এর ছবি

আমার জন্য খুবই সময়োপযোগী লেখা। সেই সাথে আতঙ্কজনকও বটে। আমার দেশে থাকার ইচ্ছে। বাইরে মাস্টার্স করতে গেলে আর দেশে ফেরা হবে কীনা, ফিরে কাজ পাবো কীনা এই দুঃশ্চিন্তা মাথায়। কর্পোরেট জবের যতোই নিন্দেমন্দ করি না কেন, পাচ্ছি তো না। চেনাজানা অনেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। শিক্ষকতার ইচ্ছে নেই বলে ওদিকে চেষ্টাই করি নি। আর কী বাকি থাকে? সরকারি চাকরি। ইদানীং বিসিএস দেয়ার কথাও ভাবছি।

অন্যদের মন্তব্য জানার কৌতূহল রইলো।

[ বানান বিষয়ক পাকনামিঃ ঘুরপাক, নিশ্চিত, বাণিজ্য, মন্ত্রণালয়, প্রাত্যহিক, পূরণ, প্রাণ, রেজিস্টার, যাঁতাকল, ঘোরে, বিচরণ ]

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ বুনোহাঁস। আমার যুক্তি যেখানেই থাকুন, যে ক্ষেত্রেই থাকুন, নিজের কাছে নিজেকে সৎ রাখুন, ভাল থাকুন।

বানানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ হইল।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চলুক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

মামুন [অতিথি] এর ছবি

খুবই বাস্তব একটা ঘটনা জাহিদ ভাই। ভাল লেগেছে।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ মামুন।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তাসনীম এর ছবি

ভালো লিখেছ।

কয়জনের মানুষের জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয় এইটা মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছা করে...

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

আমি তো খুব কাছে থেকেই দেখেছি এসবকিছু! আমি আর কি বলব?

যাই হোক জাহিদ বস, খুব বাস্তব কিছু উদাহরণ দিয়েছ তুমি! আমার কি স্বপ্ন ছিল, সেটা তো ভুলেই গেছি, নিজের জন্য নতুন করে স্বপ্ন দেখতেও ভয় লাগে!
তবে নতুন পোলাপানদেরকে স্বপ্ন দেখাই বা দেখানোর চেষ্টা করি! তোমাকেও আমি দেখেছি এই কাজটা বার বার করে যেতে!

কখনো কারও স্বপ্ন বাস্তবায়নে কতটুক সাহায্য করতে পারব সেটা জানি না, কিন্তু স্বপ্নটা অন্ততঃ দেখাব!

========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ কায়েশ। স্বপ্ন একসময় দেখতাম, বলতে দ্বিধা নেই অনেক স্বপ্নের মৃত্যু ঘটেছে তার মধ্যে কিছু আবার জাতিস্মর হয়ে ফিরে এসেছে। হতাশ হয়েছি আবার হয়ত ঘুরেও দাঁড়িয়েছি। হয়ত এভাবেই জীবন কাটে সবার, নিজেরটা দেখি অপরেরটা দেখিনা।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পটার সাথে আমি খুব ভালোভাবেই পরিচিত হাসি

ভালো লাগলো হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ ববি।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

জাহিদ ভাই, পার্সোনালি এটা আমার জন্যে খুবই সহায়ক একটা পোস্ট, এই বিষয় নিয়ে আমিও সিনিয়রদের সাথে ইদানীং টুকটাক আলোচনা করছি। ... শেষ করবেন প্লীজ...

_________________________________________

সেরিওজা

সচল জাহিদ এর ছবি

সুহান মনে হয় হতাশ করলাম তোমাকে, আসলে আমার লেখাটা শেষ। চা খেতে যাওয়ার কথাটা নিছক সচলীয় মজার জন্য। রবির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এই কথাটি আমি সরাসরি না লিখে বুঝিয়েছি 'রবির নতুন বাসায় ...' এই লাইনটার মাধ্যমে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

স্বাধীন এর ছবি

এই স্বপ্ন আর বাস্তবের মাঝের ব্যবধান শুধু গল্পের প্লাবনের নয়, কম বেশি সকলের। যদি কিসে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম বলি তবে বলব - যদি আমি ম্যারাডোনা কিংবা মেসির মত ভাল ফুটবল খেলতে পারতাম। যদি আমি সক্রেটিস কিংবা এরিস্টটলের মত চিন্তাবিদ হতে পারতাম। যদি আমি হেমন্তের মত গান গাইতে পারতাম, কিংবা ভাল ছবি আঁকতে পারতাম। নিদেন পক্ষে যদি কিছুই না করতে পারতাম তবে যদি সন্নাসীর জীবন ধারণ করে পথে পথে ঘুরে বেরাতাম। কিন্তু কিছুই হল না, হলাম একজন সাধারণ সংসারী মানুষ। কিন্তু তাতে আমার স্বপ্নগুলো মিথ্যে হয়ে যায় না। আমি আমার মতই ভালবেসে খেলি, চিন্তা করি, গুনগুন করি, জীবনের প্রতি উদাসীন থাকি। যদি সেগুলোই আমাকে শান্তি দেয় তবে তাতেই খুশি।

আমি বলবো আশাবাদি হতে সব সময়। প্লাবনের জীবন এখানেই শেষ নয়, জীবন মাত্র শুরু। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় সে নেই, কিন্তু তাই বলে তার শিক্ষক মনটি তো চলে যায়নি। সেটি রয়ে গিয়েছে। এই শিক্ষক মনটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, এর মৃত্যু হতে দেওয়া চলবে না। তাহলে যে পেশায়ই প্লাবন যাক না কেন তাঁর জ্ঞান মানুষের কল্যানেই ব্যয় হবে। শিক্ষকতার পেশায় যেয়ে কি হবে যদি তাঁর দার্শনিক মনই না থাকে? আর যার সেই মন থাকবে তাঁর যে কোন পেশাই শিক্ষতার পেশায় পরিণত হবে।

প্লাবন তার স্বপ্নকে খুঁজে পাক এই প্রত্যশা করি। লেখাটি মন ছুঁয়েছে, তাই নিজেও কিছুটা নিজের স্বপ্নগুলো মিলিয়ে নিলাম। ভাল থেকো।

সচল জাহিদ এর ছবি

মন ভাল করা একটি মন্তব্য স্বাধীন ভাই। বিশদ আলোচনায় আর নাই বা গেলাম। প্লাবনের জন্য আপনার শুভকামনা অটুট থাকুক সেই প্রত্যাশা করি সবসময়।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

প্লাবনের জন্য অনেক খারাপ লাগছে ভাইয়া। খোঁড়া যুক্তিগুলোর স্বরূপ জানতে মন চায়।

মারুফের স্বপ্নের মৃত্যু হয়, যদিও আততায়ী সে নয়, তাকে প্রশাসন নিয়েই খুশি থাকতে হয়।

এটা বুঝি নি।

পরের পর্ব আসুক।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধ্রুব কোন এক আলোচনায় বা অবসরে আড্ডায় আলাপ হবে নিশ্চয়ই এসব নিয়ে।

"মারুফের স্বপ্নের মৃত্যু হয়, যদিও আততায়ী সে নয়, তাকে প্রশাসন নিয়েই খুশি থাকতে হয়।" এই লাইনটির মাধ্যমে বলতে চেয়েছিলাম মারুফকে বিসিএস প্রশাসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তার আর বিসিএস ফরেন এফেয়ারস পাওয়া হয়না যদিও তার সবরকম যোগ্যতা ও মেধা সেই সাথে মেধা তালিকায় অবস্থান থাকার কথা ছিল। সে এক বিরাট ইতিহাস !!!

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ঘরে ছিলো না কেরোসিন!!! চোখ টিপি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমিই ভালো, লেখাপড়াও করি নাই, স্বপ্নও দেখি নাই। স্বপ্নভঙ্গও নাই। চলতেছে জীবন। সুখেই আছি।

লেখাটা ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সচল জাহিদ এর ছবি

স্বপ্ন টপ্ন কিছুনা, সুখে থাকাটাই বড় কথা নজু। তোমারে সেইজন্য হিংসা হয় মাঝে মাঝে ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখাটা খুব ভালো লাগলো, জাহিদ ভাই হাসি

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ প্রহরী।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।