চিরকুমারদের জন্য রান্নাবান্না ১০১

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: সোম, ১৮/০৮/২০১৪ - ৪:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চিরকুমারদের বা চিরকুমারীদের যে হাতের কাজটি শিখতেই হয়, তা হচ্ছে রান্নাবান্না। এইটা না শিখলে, সুরাঁধুনী কেউ এসে আপনার কুমারত্ব বা কুমারীত্ব হরণ করে নিতে পারে। সেই পরিণতি এড়াতেই এই টিউটোরিয়াল।

শুরুর প্রিন্সিপ্যাল- রান্নার আউটপুটের চেয়ে রান্নার প্রক্রিয়াটা উপভোগ করা বেশি জরুরী। তাইলে আউটপুট এমনিতেই ভালো হতে থাকে। রান্নাবান্না উপভোগ্য হয় কিভাবে? কাজের বুয়া স্টাইলে রান্না করলে হবে না। এমনকি মা-চাচিদের স্টাইলেও না। করতে হবে আধুনিক স্টাইলে। সেইটা নিয়েই এই লেখা।

প্রথমেই লাগবে কিছু জরুরী ইউটেনসিলস।

১) একটা কাটিং বোর্ড (অবশ্যই প্লাস্টিকের না, বাঁশের বা কাঠের পাওয়া যায় নিউমার্কেটে)।
২) তরকারী কাটার ছুরি। চওড়া ব্লেডের মাথা নোয়ানো ছুরি হলে ভালো। এই ছবিটার মত http://imgur.com/bVuZU0t
৩) আলু ছিলার যন্ত্র। যা দিয়ে সবকিছু ছোলা যায়। ছবি দ্রষ্টব্য- [img] http://www.davidmellordesign.com/acatalog/1251140_xlarge.jpg [/img]

৪) গোলকাকার পাছা ওয়ালা হাড়িকড়াই পরিত্যাজ্য। হাড়িকড়াইর গোল পাছা আবিষ্কার হয়েছিলো যখন তখন মাটি দিয়ে বানানো হতো এসব। ওই শেপ মাটির পাত্র টেকশই হতে সাহায্য করে। অ্যালুমিনিয়াম বা লোহা দিয়ে মাটির স্টাইলে হাড়িকুড়ি বানানো এই সভ্যতার এক অবাক বিষ্ময়। এই বিষ্ময় দ্রুত কাটিয়ে উঠে, ফ্লাট পাছা ওআলা ফ্রাইং প্যান কিনতে হবে। অবশ্যই নন স্টিকি। আরে একটু বড় ও ভালো ব্র্যান্ডের হলে ভালো। নাইলে তাপে বেকে চুকে যায়।
চিত্র দ্রষ্টব্য- [img] http://lowfatveganchef.com/blog/wp-content/uploads/2013/08/Nonstickfryingpan.jpg[/img]

৫) প্যানের নন স্টিকি কোটিং খুবই ডেলিকেট। বিশেষ করে কড়াই গরম থাকা অবস্থায় কোনো ধাতব চামচ-খুনতির ছোয়া লাগলেই স্ক্র্যাচ পড়ে যায়। এবং উঠে আসে। তাই লাগবে কাঠ বা বাঁশের খুনতি। প্লাস্টিক পরিত্যাজ্য। খুনতির মাথার অংশটা যতো চিকন ও ফ্লাট হয় ততো ভালো। চিত্র দ্রষ্টব্য- [img] https://img1.etsystatic.com/000/0/5765469/il_340x270.257087575.jpg [/img]

৬) পুরাতন গোল্লা হাড়ি থাকলে সেগুলোয় ভাত বা খিচুড়ি রাঁধা যেতে পারে। কিন্তু ইনসুলেটেড হ্যান্ডেল নাই বলে নাড়াচাড়ায় ব্যাপক সমস্যা হয়। সবচেয়ে ভালো রাইস কুকার কিনে নিলে। রাইস কুকার অসাম।

৭) কিচেন টিস্যু।

মসলাপাতি -
হলুদ মরিচ জিরা ধনিয়া এইসব রেডিমেইড গুড়া মসলা কিনে রাখতে হবে। পিয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা, রসুন। এইগুলোও থাকা চাই। সঙ্গে তেল। সূর্যমুখী বীজের তেলগুলো ভালো। সয়াবিন বেশি খাইলে ছেলেদের দুদু বড় হয়ে যায়।

এবারে রান্না-
এক কালে আলুভর্তা ডাল এসব ছিলো ব্যাচেলরের রান্না। ডাল এখনো রাঁধা যায়। কিন্তু আলু ভর্তা একটা ভেজাইল্যা জিনিস। কারন মরিচ ডলাডলি করার পর হাতে ব্যাপক ঝাল লাগে। জ্বালাপোড়া হয়। আর চিরকুমারের হাতে ঝাল লেগে থাকার চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে?

তাহলে সম্ভাব্য রান্নার তালিকা করা যাক-

১) বেগুন ভাজি।
প্রস্তুতি - বেগুন ধুয়ে চাকাচাকা করে কাটতে হবে। খোসা ছাড়ানো যাবে না। এর পর একটু খানি হলুদ, মরিচের, গুড়া, কয়েক চিমটি লবণ, আর তিন আঙুলের এক চিমটি জিরার গুড়াতে পানি মিশিয়ে মসলার ঘন ঝোলের মত বানাতে হবে। সেইটা দিয়ে বেগুন টুকরোগুলো মাখিয়ে নিতে হবে। আলাদা পাত্রে, কিছু পিয়াজ লম্বা-লম্বি কুঁচি করে, কয়েকটা কাঁচা মরিচ ফালি করে রাখতে হবে।

প্রক্রিয়া- এক্সপার্টলোক, আগে কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে তারপর বেগুন ছাড়ে। এতে কড়াই এর উপর ভয়ানক কান্ডবান্ড ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এইটাও একটা প্রাচীন ব্যাপার। নন স্টিকি কড়াই আবিষ্কার হবার আগে এই কাজ করা লাগতো যেন নিচে ধরে না যায়। কিন্তু এখন যুগ ভিন্ন। তাই কড়াইতে তেল নিয়ে, ঠান্ডা অবস্থাতেই বেগুনগুলো বিছিয়ে দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে বেগুনের সাথে পানি জাতীয় পদার্থ যত কম থাকে। এরপর আলতো আঁচে চুলা জালিয়ে দিতে হবে। একটু পরে খুনতি দিয়ে উলটে দিতে হবে। রান্না হয়ে গেলে খুনতির মৃদু চাপেই বেগুন ফুটো হয়ে যাবে। তখন থামতে হবে।

সমাপ্তি- বেগুনগুলো উঠিয়ে নেবার পর পাত্রে থাকবে কিছু তেল। এই তেলের মধ্যে আঁগে কেটে রাখা পিয়াজ মরিচ দিয়ে ভাজিভাজি করতে হবে। উল্লেখ্য, কাঁচা পিয়াজ মরিচ কুচি শুরুতেই বেগুনের সাথে সাথে দেওয়া যাবে না। দিলে ডিজাস্টার হয়ে যাবে। পিয়াজ মরিচ ভাজিভাজি হয়ে গেলে। চুলা থামিয়ে, অন্য পাত্রে রাখা ভাজা বেগুনগুলোর উপর এই পিয়াজ ছড়িয়ে দিতে হবে। যেহেতু আগের ব্যবহৃত তেলের মধ্যেই ভাজা হয়েচ,এ এই পিয়াজেও বেগুনের ফ্লেভার থাকবে। বোঝাই যাবে না এরা আলাদাকরে ভাজা।

২) ইলিশমাছ ভাজি। (বোনাস)
উপরে ১ নং রান্নার, বেগুন টুকরোগুলোকে ইলিশমাছের টুকরো দিয়ে রিপ্লেস করে দিলেই। হুবহু একই পদ্ধতিতে ইলিশমাছ ভাজি হয়ে যাবে। চাইলে অন্য যেসব মাছ ভেজে খেতে চাও সেগুলোও এরকম করা যায়। তবে মাছ বাজার থেকেই সুন্দরভাবে কেটে আনতে হবে। বাড়িতে মাছ কাঁটে বোকারা।

৩) মিষ্টি কুমড়ো ভাজি।
উপরের ১ নং পদ্ধতিতে বেগুনের বদলে মিষ্টিকুমড়োর পাতলা চাকতি দিলেই হয়ে যাবে সুস্বাদু মিষ্টিকুমড়ো ভাজি। তবে এক্ষেত্রে কুমড়োর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। পিলার ব্যবহার করে বা ছুরি দিয়ে সেটা করা যায়।

৪) ডিম।
ডিম পোচ-ভাজি সাত থেকে আট রকম করা যায়।

পোচ-
সবচেয়ে সহজ হলো, নন স্টিকি কড়াইতে তেল নিয়ে তার মধ্যে ডিম ভেঙ্গে দিতে হবে। তারপর চুলা জালিয়ে দিতে হবে। দুই আঙুলের এক চিমটি লবন ছিটিয়ে দিতে হবে ডিম জমে যাবার আগেই। যদি ডিম না উলটাও, তাহলে সেটাকে বলা হবে সানি সাইড আপ। আর উল্টালে মুনি সাইড আপ। চোখ টিপি

ভাজি-
ক্লাসিক ভাজি হচ্ছে ডিম, পিয়াজ, মরিচ কুচি, একটু লবণ একটা বাটিতে ঘুটাঘুটা করা। তারপর কড়াইতে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে চুলা জালিয়ে দেওয়া। একটু পর উলটে দেওয়া।

সেক্সি ডিম ভাজি-
ভাজির মধ্যে সেক্স অ্যাপ্লিল যোগ করতে চাইলে, আগে কড়াইতে তেল নিতে হবে, তার মধ্যে পিয়াজ, কাচামরিচ এর কুচি। একটু হলুদ, একটু লবণ, একটু শুকনো মরিচের গুড়া, একটু জিরার গুড়া দিয়ে ভাজিভাজি ক্রতে হবে। যখন কড়াইর পিয়াজগুলো খয়েরিরং ধারন করবে, তখন চুলা নিভিয়ে খুব দ্রুত তার মধ্যে কয়েকটা ডিম ভেঙ্গে দিতে হবে। ডিম তরল থাকতেই, খুনতি দিয়ে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে দিতে হবে। এর পর চুলা জ্বালিয়ে দিতে হবে। একটু পর শক্ত হয়ে আসলে ভাজিটা উলটে দিতে হবে। তারপর পুড়ে যাবার আগেই নামিয়ে নিতে হবে।

সিদ্ধ ডিম ভাজি-
ডিম কঠিন সিদ্ধ (হার্ড বয়েল) করে ছুলে নিতে হবে। এর পর ধারালও ছুরি দিয়ে ডিমের বৃহৎ অক্ষের মধ্য দিয়ে কেটে দুভাগে ভাগ করতে হবে। তার পর এই ডিমের টুকরোগুলো, উপরের ১ নং পয়েন্টের বেগুনের বদলে একই ভাবে ভেজে নিলেই চমৎকার সুস্বাদু একটা জিনিস হয়। সঙ্গে ডাল-ভাত হলে তো অমৃত।

উল্লেখ্য- যেকোনো ভাজাভাজি শেষ হবার পরে অবশ্যই কড়াই থেকে ভিন্ন পাত্রে তুলে ফেলতে হবে। গড়ম কড়াইতে রেখে দিলে। ডিহাইড্রেট করে অখাদ্যে পরিণত হয় সবকিছু। এইটা আগের পয়েন্টগুলোতেও প্রযোজ্য।

স্ক্র্যামবল্ড এগ, ডিম চাইনিজ, ডিম পাটোয়ারি সহ নানান রকম ডিম ভাজি হয়। সেইগুলো হবে অন্যকোথাও।

৫) ডাল-
সহজ ডাল-
সহজ ডাল খুবই সহজ।
প্রস্তুতি- প্রথমে মসুড়ির ডাল ভালো মত ধুয়ে নিতে হবে। এরপর যে পাত্রে রান্না হবে সেই পাত্রে ডালগুলো ইচ্ছেমত পানি সহকারে নিতে হবে। এর মধ্যে একটু পিয়াজ মরিচ কুচি, একটু লবণ (ডালে লবণ কম হয়ে গেলে পরে দিয়ে নেওয়া যায়। বেশি হয়ে গেলে পানি দিয়ে ডাইলুড করা যায়। তাই নোচিন্তা), একটু হলুদের গুড়ো (যেন রং টা চোখে ভালো লাগে), একটু মরিচের গুড়ো, একটু জিরার গুড়ো এবং অবশ্যই তেল দিয়ে ঘুটাঘুটা করতে হবে। দুয়েকটা রসুনের কোয়া দিলেও ভালো হয়।

প্রক্রিয়া- এরপর এইসব চুলায় উটিয়ে জাল দিতে হবে। ডালও মাঝে মাঝে দুধের মত উথলে পড়তে চায়। তাই নজর রাখতে হবে। তেমন হলে থামানোর জন্য যুগপৎ চুলা কমিয়ে দিতে হবে, ফু দিতে হবে, এবং খুনতি দিয়ে নাড়া দিতে হবে।

সমাপ্তি- বেশ কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে ডালগুলো গলে গেছে। মানে খুনতি দিয়ে উঠিএ, আঙুল দিয়ে টিপলেই বোঝা যাবে। তখন চাইলে কিছু ধনিয়া পাতা কুচি কুচি করে দিয়ে দেওয়া যায়। ধনিয়াপাতা আগে দিলে লস। সব ফ্লেভার উড়ে যায়।

কঠিন ডাল-
কঠিন ডাল করা ভেজাল। প্রথমে ডাল পিয়াজ কাচামরিচ হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করোরে। তারপর আলাদা কড়াইতে, জিরা, পিয়াজ কুচি দুয়েক কোয়া রসুন কুচি ভেজে লাল লাল করে ফেলরে। তার মধ্যে আগের ডালের পাত্র থেকে, কয়েক চামচ (ডালের চামচ) ডাল ছেড়ে দাওরে। তারপর ফ্যাচ ফ্যাচ করতে থাকবে। তখন সেই ফ্যাচ ফ্যাচানি তরল নিয়ে ছেড়ে দিতে হবে ডালের পাত্রে। একে বলে বাগার দেওয়া। এইটা তোমরা বড় হয়ে শিখবা।

৬) ভাত,
ভাত রাইস কুকারে রান্না করবা। চালগুলো কয়েকবার করে ধুতে হবে কচলে কচলে। যতক্ষণ ধৌতকৃত পানি স্বচ্ছ না হচ্ছে। সাধারণত তিনবার ধুতে হয়। চাল পাত্রে নেবার পরে, তাতে পানি দিতে হবে। কতটুকু? পানির উপর থেকে মধ্যমা প্রবেশ করালে মধ্যমা যখন চালের উপরের সারফেস স্পর্শ করবে, তখন মধ্যমার দ্বিতীয় কর পর্যন্ত পানির লেভেল মেইন্টেইন করতে হবে। রাইস কুকারে পানি কমবেশি হলে কোনো সমস্যা হয় না। হাড়িতে এই মাপমত দিলেই ভাত হয়ে যাবে। মাড় গালতে হবে না।

৭) খিচুড়ি,
এইটাও রাইস কুকারের রান্না করাই বেটার। ভাতের মত করেই ধোয়ামোছা করতে হবে। শুধু শুরুতে চালের সংগে চালের অর্ধেক পরিমান মসুড়ির ডাল দিতে হবে। ধোয়া শেষ হলে, পিয়াজ কুচি, দুয়েকটা কাচামরিচ, হলুদ, শুকনো মরিচ ঘুড়ো লবণ তেল দিয়ে ঘুটাঘুটা করতে হবে। চাইলে গাজর, শিম, আলো সহ নানান রকম তরকারি মিশিয়ে দেওয়া যায় এরপর চুলায় চড়িয়ে দিলেই হলো। খিচুড়ির সাথে উপরে বলা সেক্সি ডিম ভাজি, এবং বেগুন ভাজি খুব ভালো যায়।

৮) মিশ্র ভেজিটেবল-
নানান রকম ভেজিটেবল, ছিলে কেটে ধুয়ে নিতে হবে। টুকরো গুলো হবে গড়ে ১ কিউবিক সেন্টিমিটারের মত। এরপর, হলুদ মরিচ জিরা ধনিয়া সহ নানান রকম মশলা ও লবণ দিয়ে মেখে রাখতে হতে হবে। একটা কড়াইতে, তেল এর মধ্যে কিছু পিয়াজ কাচামরিচ কুচি, রসুন ভাজি ভাজি করে নিয়ে তারপর এইসব ভেজিটেবল ছেড়ে দিতে হবে। (চুলা থামিয়ে একটু ঠান্ডা হবার পর নাইলে ছ্যাড়ছ্যাড় করবে)। এরপর এগুলোকে কিছুক্ষণ ভাজি ভাজি করে তার মধ্যে পানি দিয়ে দিতে হবে। জ্বাল দিতে হবে সিদ্ধ হবার আগ পর্যন্ত। আর সিদ্ধ হওয়া নিয়ে অত বিচলিত হবার কিছু নাই। বিদেশে এইসব সবজি ওই প্রাথমিক হালকা ভাজির পরেই ওরা খেয়ে ফেলে। আমরাও পারবো। আর মূল সূত্র হলো, যত মশলা তত স্বাদ। ধনিয়া পাতা, থেকে পুদিনা পাতা, বা লেমন গ্রাস, নানান জিনিস মিশিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। লবনের মাত্রা নিয়েও গবেষণার অবকাশ আছে। রান্নাকে ফিক্সড কোনো অ্যালগিরদম অক্ষরে অক্ষরে মানার বোরিং প্রক্রিয়া না ভেবে নিযের ক্রিয়েটিভ এক্সপ্রেশন প্রকাশ করার উপায় হিসাবে ভাবুন। দরকার হয়ে ভেজিটেবল রান্নার মধ্যে খানিকটা দুধ ঢেলে দিন দেখুন কেমন হয়। আপনার কল্পনা শক্তিই আপনার সীমানা।

উল্লেখ্য- নন স্টিকি প্যানটা বড়সড় দেখে কিনলে তার মধ্যে ভাজাভাজির সাথে সাথে এইসব ভেজিটেবল রান্নাও করে ফেলা যায়। চাইকি মাংসটাংসও।

৯) মাংস,
মাংস কিভাবে রাঁধতে হয় তা জানতে এই টিউটোরিয়ালের ফুল ভার্সন কিনতে হবে। তার জন্য ৫০০০ টাকা বি-ক্যাশ করুন আমাকে। বিক্যাশ নাম্বার জানতে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করুন।
তবে কলিজাভুনা কিভাবে করে জানতে চাইলে দেখুন এই লেখকের কাটিয়ে উঠুন মসলাভীতি, সঙ্গে কলিজা ভুনা ফ্রি!
আর বিশেষ ধরনের মুরগী রাঁধতে- লাল-সবুজ মুরগী

এইবার রান্নার পরের কর্মকাণ্ড-

রান্নার পরে অবশ্যই অবশ্যই সাথে সাথেই খেতে বসা যাবে না কাটাকুটি করে যত কিছু ময়লা হয়েছে সব আগে ডাস্টবনিএ ফেলতে হবে। ছুরি, খুনতি, কাটিং বোর্ড সহ যে বাড়তি পাত্রগুলো নোংরা হয়েছে সেগুলো ধুয়ে ফেলতে হবে। রান্নাঘরের কোথাও কিছু পড়ে থাকলে তুলে ফেলতে হবে। তেল, মশলার দাগ মুছে নিতে হবে কিচেন টিস্যু দিয়ে। কারণ আয়েশ করে খেয়ে ফেললে, এর পর আর ভরাপেটে ধোয়ামোছা করতে মন চায় না।

কাটাকুটি-
কিভাবে পিয়াজ কাটবেন, মরিচ কাঠবেন, এইসব ব্যাপারে জানতে ইউটিউব আপনার বন্ধু।

উন্নয়ন- কোনো বাসায় গিয়ে কোনো আইটেম ভালো লাগলে, আন্টিকে জিজ্ঞেস করুন সেটা তিনি কীভাবে রেঁধেছেন। তারা অন্য আন্টিদের নিজেদের সিক্রেট রেসিপি শেয়ার না করলেও, ছেলেমেয়ে বা ছেলেমেয়ের বন্ধুরা জিজ্ঞেস করলে সাগ্রহে শিখিয়ে দেন। এবং রেসিপি জানতে চাওয়া হচ্ছে সবচেয়ে সেরা কমপ্লিমেন্ট। কারণ খেয়ে ‘ভালো হয়েছে’ কথাটা মিছেমিছিও বলা যায়। কিন্তু মিছেমিছি একটা রেসিপি শোনা যায় না।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ- গবেষণার কোনো পর্যায়ে তেলের উপর আগুণ ধরে গেলে, পানি দেবেন না। স্রেফ নিচের চুলা বন্ধ করে দিন। জানালা খুলে দিন। আশেপাশে দাহ্য কিছু থাকএল সরিয়ে ফেলুন। তেলগুলো পুড়ে শেষ হবার অপেক্ষা করুন। পানি দিলে বিষ্ফোরণ ঘটবে।

ছবিসূত্র- ইন্টারনেট চোখ টিপি (ঠিকঠাক যোগ করতে ব্যর্থ হয়েছি যদিও)


মন্তব্য

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

এক যুগে রান্না বান্না কমবেশি কিছু করতে হয়েছে বই কি, কিন্তু আফসোস! এতদ সত্তেও কুমারত্ব রক্ষা করা যায় নাই চোখ টিপি

বাড়িতে মাছ কাটে বোকারা

সে আর বলতে! একবার ভুলবশত বড় সাইজের চারটা তেলাপিয়া কিনে নিয়ে এসে মহা বিপদে পড়েছিলাম। ওগুলোর পিঠের কাঁটা যে এত শক্ত, সে বিষয়ে কোনই ধারনা ছিল না। শেষে গলদঘর্ম দুটি ঘন্টার শ্রাদ্ধ করে, বটি ও ছুরির বারটা বাজিয়ে এবং গিন্নির অকৃপণ শ্লেষ বাক্য হজম করে কোনক্রমে উদ্ধার পেয়েছিলাম।
যাই হোক, বাংলার অবহেলিত ব্যচেলর সম্প্রদায় আপনার এই আধুনিক রান্নার টেকনিক শিখে অশেষ উপকার লাভ করবেন সন্দেহ নাই।

স্পর্শ এর ছবি

এখানেও এক রুমমেট তেলাপিয়া টাইপের বিদেশি এক মাছ আস্তো কিনে এনেছিলো। কাটতে গিয়ে ছুরিচাকুর বারোটা বেজেছে। এবং আমার খাওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে মাছ ছিলো সেগুলো। দাম আবার ইলিশমাছের চেয়ে বেশি!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

১.
ভাত ধোয়ায় গণ্ডগোল আছে। ভাত পানি স্বচ্ছ না হওয়া পর্যন্ত ধোয়ার প্রক্রিয়া পছন্দ হয়নাই। নির্বোধ লোকেরা ধবধবে সাদা ভাত (সে চালের গুণেই হোক আর ধোয়ার গুণে) খেতে চায়। বুদ্ধিমানেরা বুনো চাল খায়, যতদূর পারা যায় ছোকলামোকলা সুদ্ধ। সুতরাং চাল বেশি ময়লা না হলে ধোয়ার দরকার নেই। বেশি ময়লা হলে পানিতে দিয়ে চামচ দিয়ে দুটা ঘুটা দিয়ে পানি ফেলে দিলেই হবে। হাত দিয়ে ডলা দিয়ে চাল ধোয়ার দরকার নেই। যদি জেনে থাকেন যে চালে এমন কোন ময়লা লেগেছে যেটা হাত দিয়ে ধুলেই কেবল যাবে, তাহলে ধোয়া যেতে পারে।

২.১.
কৌমার্যের সঙ্গে রান্না করার সম্পর্ক পরিষ্কার না! (কৌমার্য রক্ষা করারই বা দরকার কেন? আমি তো চাই দুষ্টু দুষ্টু খুকিরা এসে আমার উপর উপুর্যূপরি হামলা করুক! চোখ টিপি )

২.২. দ্রোহীদা মনয় সয়াবিন তেল খায়!

৩.
আপনে লিখছেন দেইখা মনইতাছে আমিও কিছু লিখি। মিল্লাঝিল্লা মেলাদিন লেখা হয়না।

৪.
গেছেনগা নাকি? কথাবার্তা তো হইল না কিছু!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্পর্শ এর ছবি

১. চালে তো চরম কিটনাশক দেওয়া থাকে। যদিও ধুলে পুরোপুরি দূর হয় না। তবুও কিছুটা ধোয়াই উচিৎ। আর একেবারে নিজেদের গোলার ধান-চাল হলে বা অর্গানিক চালের ক্ষেত্রে তোমার কথাই ঠিক।
২.১ কৌমার্য বিবাহিতার্থে চোখ টিপি
২.২ চিন্তিত
৩. হ্যাঁ লেখা দাও। আমরা যদি না লিখি মা ক্যামনে সকাল হবে? মজার কিছু লিখো। দুনিয়াজোরাপ্রচুর গিয়ানজাম। সেইগুলা তোলা থাক।
৪. গেছিগা তো। তোমাদের ওদিকে যাওয়ার কথা ছিলো। এক বন্ধুও তোমাদের এলাকার। সে রওনা দিয়েছে। মাগুরা থেকে আমাকে নিয়ে যাবার কথা। পথিমধ্যে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গেল, তার জন্য নাকি পাত্রীটাত্রী রেডি। তাওয়া গরম। গিয়ে পৌছালেই ভেজে ফেলা হবে। তাই চিরকুমারত্বরক্ষার্থে সে, সঙ্গে আমিও উল্টপলায়ন করলাম। তারপর তো তুমি আর ফিরলা না। তোমাকেও ভেজে ফেল্লো নাকি?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

১। কীটনাশক দিলে ঠিকাছে, ধুইতে হবে। সেইক্ষেত্রে ভাতে বেশি পানি দিয়ে মাড় ফেলে দেয়া ভালো।

২‌‌‌,১। কৌমার্যের সঙ্গে বিবাহ মেশানো কি ঠিক!? মন খারাপ

৩। দেখি। অলসতা জয়ী হলে হবেনা, নয়ত দিবো।

৪। না। আমার বদনাম আছে। গরম তাওয়ায় তুলতে গেলে পুরা রান্নাঘর জ্বালায় দিয়া উল্টা হাঁটা ধরার সম্ভাবণা। পরের যন্ত্রণা সহ্য করবে রাধুনীরা। আমি তো নাই, পরোয়াও নাই! হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্পর্শ এর ছবি

২। ব্রহ্মাচার্য লেখা উচিৎ ছিলো।
৩। আমার লেখার কথা থিসিস। তার বদলে এই জনহিতকর পোস্ট লিখে ফেল্লাম। দেঁতো হাসি
৪। অতিগরম ইলেক্ট্রিক তাওয়া হলে কিন্তু প্রথম শকেই সব নার্ভ ফ্রাই হয়ে যাবে। তখন আর নড়তে পারবা না। এরকম কেইসও ঘটতে দেখেছি প্রচুর। চোখ টিপি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আহা! শক খেয়ে নার্ভ শক্ত হয়ে যাবে! ব্যপারটা ভাবতেই তো ভাল্লাগতেছে চোখ টিপি
বহুদিন হয়ে গেল বঙ্গললনা দেখে শক খাইনি! মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তিথীডোর এর ছবি

কী কী রাঁধতে/ বানাতে পারি মনে করি আগে..
ভাত, মাংস।
ডিম পোচ, সবজি (দুটোর কোনটাই খাই না, তাই করিও নি)।

কিন্তু ভুনা বা ল্যাটল্যাটা, কোন জাতের খিচুড়িরেই কিছুতেই এখনো বাগে আনতে পারলাম না। কিছু হৈল! শয়তানী হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

স্পর্শ এর ছবি

রান্নাবান্নার সবচেয়ে কাছের জিনিস হলো ভালোবাসা। যে রাঁধতে জানে না সে ভালোবাসবে কী করে?
ধরো যারা, নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে তারা নিজের জন্য ভালো রাঁধতে পারে। তুমি যেহেতু নিজের জন্য খিচুড়ি রাঁধতে পারতেসোনা। তোমার উচিৎ গিনিপিগ খোঁজা। চোখ টিপি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধ্রুব আলম এর ছবি

এইটা সচলের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা লেখা। যেমন মানব-ইতিহাসে সিদ্দিকা কবিরের বইটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। (ডাল-ভাত খাইয়া) পেট ঠাণ্ডা হইলে দুনিয়া ঠাণ্ডা উত্তম জাঝা!

স্পর্শ এর ছবি

হা হা হা!
নতুন যারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধ ইত্যাদিতে যোগ দেবে তাদেরো কাজে লাগবে। চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সয়াবিন বেশি খাইলে ছেলেদের দুদু বড় হয়ে যায়।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি মেয়েদের ক্ষেত্রে কি একই কায়দা কাজ করে?

আর চিরকুমারের হাতে ঝাল লেগে থাকার চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে?

গভীর চলুক আর আমি রান্নাবান্নায় মোটামুটি বস লেভেলের লোক, টিউটোরিয়াল কাজে লাগে নাই দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

স্পর্শ এর ছবি

সয়ামিল্ক বলে একটা ব্যাপার আছে। মেন্স হেলথ ম্যাগাজিনে দেখেছি ছেলেরা খেলে এই বিপদ হতে পারে। ইন ফ্যাক্ট মেয়েদেরো উপকৃত হবার সম্ভাবনা আছে। এস্ট্রোজেন লেভেল নাকি বেড়েটেড়ে যায়। আসলে সূর্যমুখী তেল কিনতে উৎসাহ দিতে গিয়ে বলা। কোলেস্টরেল ফোলেস্টোরেল বললে তো লোকে শুনবে না।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সত্যপীর এর ছবি

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ধুর্মিয়া, আপনে একটা আন্তর্জাতিক মানের অভিশাপ! রেগে টং

১-৮ পর্যন্ত সবই পারি, ৯ নাম্বার পারতপক্ষে সাহস করি না (পারিনা তা না)
ফলাফল কি দাঁড়াইল? চিরকুমারই থাকতে হবে, এইডা কিছু হইল? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্পর্শ এর ছবি

সবই পারো? মু হা হা! তাইলে ওয়েলকাম টু দ্য ক্লাব। তোমার চিরকুমারত্ব আর কেউ কখনো হরণ করতে পারবে না। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

খাড়ান! এইডা আশীর্বাদ, না অভিশাপ আগে বুইজ্জা লই। চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

গোলপাছার হাঁড়ি আমার খুব মনপসন্দ। অল্প তেলে রান্নার প্রাথমিক ভাজাভুজি সারা যায়, ফ্ল্যাট প্যানের মত তেল ছড়ায় যায়না। আমি তেলকঞ্জুস মানুষ। তবে দুঃখের বিষয় আমার একমাত্র সবেধন নীলমণি গোল ফ্রাইং প্যানটা আমার বউ ফালায় দিসে, আর কিনা হয়নাই। এক্ষণ ফ্ল্যাট প্যানেই রান্ধি মন খারাপ

গত পর্শুই মনে করেন কড়া গরুর মাংস ভুনা করসি, সেইসাথে তরকারির সম্মানার্থে ভাতের বদলে খাইসি পরোটা দিয়া। ভাবসিলাম ছবি তুলব বা পোস্ট দিমু ইস্টেপ বাই ইস্টেপ, কিন্তু তরকারি এতোই মজা হইসিল যে বরং পেটপুরে খায়া একটা ঘুমই দিলাম বরং খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

স্পর্শ এর ছবি

স্টেপ বাই স্টেপ খাওয়ার পোস্ট দিতেন নাকি? তাইলে বিশ্বের নানান কোন থেকে আপনার দিকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে উড়ে যেত।

গোল পাছার হাড়িতে অপরিবাহী আবরণের হ্যান্ডেল থাকলে একেবারে খারাপ হয় না। ইন ফ্যাক্ট আমার বাসায় একটা আছে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্পর্শ এর ছবি

গোপন সূত্রে খবর পাইসি। আপ্নি ক্লাবের মেম্বারত্ব হারাইসেন। মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

স্যা তো কবেই! বিরিয়ানি খাইছিলাম তো!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ধুর ব্যাটা, বাল্লিন যাওনের পিলান করতাছিলাম। আর তুই কিনা দেশে গিয়া বেলেল্লাপনা করতাছোস!

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
দুয়েকটা টিপস যোগ করে দেই

১) চিরকুমার যারা একা থাকে তাদের অনেকেরই কাপড় চোপড়ের ঠিক থাকেনা। নিজ ফ্ল্যাটে নগ্ন বা অর্ধনগ্ন হয়ে যত খুশী ঘুরাফেরা করুন সমস্যা নেই। কিন্তু নগ্ন বা অর্ধনগ্ন হয়ে রান্নাবান্না করতে যাবেন না, বিশেষ করে ভাজাভুজি তেলের কারবারে একদমই না -খবরদার।

২) আটা ময়দা এইসব খাচ্রা জিনিস থেকে দূরে থাকুন। এইগুলা নিয়ে কারবার করার আগে এডভান্স প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আটার ডিব্বা খুলতে যান বা আটা খুলে ডিব্বায় ঢালতে যান পড়ে টরে একাকার হবেই হবে। আটা গুলানোর চেয়ে মেয়েদের মন গলানো সহজ। মা খালারা যখন আটা গুলে রুটি বানায় দেখে মনে হয়, এইডা কোন বেফার হইলো? কিন্তু নিজে গুলতে যান দেখবেনে এরা সুপার গ্লু থেকেও বেশী স্টিকি জিনিস। যতই কষে আটা গুলবেন ততই তারা আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে গিরায় গিরায় শিরায় শিরায় ঢুকতে থাকবে। এক হাতের আঙ্গুল থেকে চেঁছে বের করতে যাবেন অন্য হাতের আঙ্গুলে লেগে যাবে। চামুচ দিয়ে চাছবেন চামুচে লেগে লেগে থাকবে। অন্য চামুচ দিয়ে সেই চামুচ থেকে একে উদ্ধার করতে যাবেন, সেই চামুচে লেগে যাবে। ফলাফল দুই হাত, বেলন, পিড়ি, আধাডজন চামুচ সহ রান্নাঘরের বিভিন্ন জায়গায় অজায়গায় লেগে থাকা আটা।

৩) কি রান্না করবেন সেটা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রান্না করতে বসবেন না। বরং রান্না হয়ে যাবার পর সেটাকে কি বলা যায় তা সিদ্ধান্ত নিন। বড় বড় বিজ্ঞানীদের এরকম হয় বানাতে গেল হাইড্রোজেন, হয়ে গেল অক্সিজেন টাইপ। গোস্ত রান্না করতে করতে বেশী পুড়ে কালা হয়ে গেলে নাম দিন কালাভুলা, ভাত ভর্তা হয়ে গেলে বলুন স্টিকি রাইস, মরিচ বেশী দিয়ে দিলে বলুন ঝাল ফ্রাই ইত্যাদি ইত্যাদি আরকি

বন্দনা এর ছবি

আপনার ২ নং পয়েন্টের সাথে এক্কেরে সহমত। চিন্তিত

বন্দনা এর ছবি

এত রকমের রান্না পারিস তুই, একদিন ও রেঁধে খাওয়ালিনারে। চাল্লু

স্পর্শ এর ছবি

অনেক অনেক দিন আগে খাওয়াইসি কিন্তু! সরিষা ইলিশ রাঁধসিলাম। ভুইলা গ্যাছেন।।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্পর্শ এর ছবি

১) আহ! চিরকুমার থাকার আসল মজাটাই ফাস করে দিলেন। আমাদের প্রিয় চিরকুমার আহমদ ছফাও এমনেই থাকতেন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ টিপ্স। আপনি যে ভুক্তভোগী বুঝা যাচ্ছে চোখ টিপি

২) আসলেই, আটাময়দা হ্যান্ডেল করা চিরকুমারদের কম্মো নয়। একবার কেক না কি যেন বানাতে গিয়ে এই বিপদে পড়ছিলাম। এখানে ফ্রোজেন কাঁচা রুটি-পরাটা পাওয়া যায়। ভেজে নিতে হয়। তাও জমাট থাকতে থাকতে কড়াইতে না দিলে সেইটা নিয়েও এলাহী কারবার শুরু হয়ে যায়।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধ্রুব আলম এর ছবি

ভাই কেক বানানো খুবই সোজা, ওইযে সিদ্দিকা কবির নামক মহিয়সী নারীটির বইটি দেখে বানিয়ে ফেলুন, কোন ব্যাপারই না। তবে শেপের দিকে বেশি নজর দেবেন না। ওটা শিব গড়তে গিয়ে বাঁদর হয়ে যাবে।

(আমি কাপে বা বাটিতে নিয়মিত টিউমার শেপের কেক বানাই, খেতে খারাপ না)

স্পর্শ এর ছবি

আমি কেক বানাই না তবে পুডিং বানাই। দুধ আর ডিম ব্লেন্ড করে নিয়ে, সঙ্গে চিনি আর থেতলো এলাচ দিয়ে একটা বাটিতে করে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ডিফ্রস্ট মুডে দশমিনিট রাখলেই হয়।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধ্রুব আলম এর ছবি

কত কিছু যে জানতি পারলাম হাততালি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ধ্রুব আলম এর ছবি

পোড়া লাগলে কইবেন স্মোকি ফ্লেভার (জীবন থেকে নেয়া) চোখ টিপি

দুর্দান্ত এর ছবি

কিছুটা সহজ ময়দা গুলানোর উপায়ঃ প্লাস্টিকের জিপলক ব্য়াগে দরকার মত আটা-ময়দা নেন (এক কেজি ময়দায় ১২/১৩ টা দেশী চারকোনা পরটা হবে)। একটা জগে কেজি প্রতি একগ্লাস হালকা গরম পানি বা দুধ নেন। এইবার প্রতিবারে এক্টু এক্টু করে ঐ পানি বা দুধ ব্য়াগে দেন। ব্য়াগ বন্ধ করে একটু "আদর-সোহাগ" (ব্য়াগটারে আপ্নের হাত দিয়া) করেন। পানি গায়েব হলে, আরেকটু দেন, আরেকটু আদর করেন। ব্য়াগের ভিতরে বিশ্রী সব আঠালো ব্য়াপারসেপারে ঘটবে, ঐদিকে খেয়াল দিবেননা। সব পানি গায়েব হলে, এইবার চান্দুরে ব্য়াগ থেইকা বাইর কইরা কিচেন টেবিলে, যেটার উপরে আধা-আধাXআধা মিটার জায়গা আগেই ক্লিংফিল্ম দিয়া তার উপর শুক্না আটা ছিটায়া সাইজ করে রাখ্চিলেন, ফালায়া গায়ের জোরে পিষতে থাকেন। হাতের তালু দিয়া ঠ্য়েলা দিয়া সামনে নিবেন, তারপর আংগুল দিয়া টাইনা সামনে আনবেন, আবার ঠেলা দিবেন, আবার সামনে আনবেন, রোল-এন্ড-প্রেস মোশন যারে বলে আরকি। ব্য়াগের আদর কম হইলে কিছু আঠা হাতে লাগবে, বেপার্না, পিষা চালাইতে থাকেন, একসময় আটা নিজ থেইকা রুটি বানানোর লায়েক হয়ে খুইল্লা আসবে। বেলার আগে ঐটারে ৫-১০ মিনিট রেস্ট দিবেন, তাইলে বেলার সময় ঘাউরামি করবেনা।

ধ্রুব আলম এর ছবি

চলুক

চরম উদাস এর ছবি

গুরু গুরু কঠিন!
আপনাকে 'ময়দা কুমার' পদবী দেয়া হইলো

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এইজন্যই আটা-ময়দা এসব পাকিস্তানের প্রধান খাদ্য চোখ টিপি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

চলুক এক ক্লাসে এত কিছু চিন্তিত । ক্যামনে মনে রাখা যায়?

আপনার কোর্স সকল পুরুষ সফলতার সহিত সম্পন্ন করলে তো আপনি বাংলাদেশের নারীদের (প্রেমিকা, বউ) চোখের মধ্যমণি হয়ে যাবেন চোখ টিপি । নারী বান্ধব কিংবা নারী জাগরণের পৃথিকৎ ও হয়ে যেতে পারেন হো হো হো

প্রশ্ন: সারাজীবন দেখে আসলাম তেল গরম হলে সেখানে ডিম কিংবা বেগুন ছেড়ে দিতে আর আপনি বলছেন ঠান্ডা তেলে? (ট্রায়াল দেওয়ার সুযোগ নেই)

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

স্পর্শ এর ছবি

সারাজীবন দেখে আসলাম তেল গরম হলে সেখানে ডিম কিংবা বেগুন ছেড়ে দিতে আর আপনি বলছেন ঠান্ডা তেলে?

প্রশ্নের উত্তরটা কিন্তু লেখাতেই দেওয়া আছে। গরম করে ছাড়ে কারণ তা না হলে লোহা বা অ্যালুমিনিয়ামের কড়াইতে লেগে যাবে। নন স্টিকি ফ্রাইংপ্যান ব্যবহার করলে এই ছ্যাড় ছ্যাড় করে তেলে ছ্যাকা খাওয়ার ঝামেলা নেওয়ার দরকার নাই। রাসায়নিক দৃষ্টিকোন থেকে আমার বলা পদ্ধতিতে কোনো তফাত হবে না।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মরুদ্যান এর ছবি

তেল ঠিকমত গরম না হইলে কিন্তু ডিম টাতে ফুলকো ভাবটা থাকেনা, কেমন জানি ভ্যাব্দা মারা হইয়া থাকে, প্যানকেক টাইপ। এইজন্য গরম তেলে না দিলে আমার ঠিক জমেনা।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

১০১ এর সেশনাল আছে নাকি?? চোখ টিপি

---------------------
আশফাক(অধম)

স্পর্শ এর ছবি

সেশনাল তো স্বপ্রোণদিত হয়ে নিজগৃহে করে নিতে হবে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

এই পোস্টা নিজের রুমে আর কিচেনে বান্ধাইয়া রাখমু ভাবতেছি। দেঁতো হাসি

কড়িকাঠুরে

স্পর্শ এর ছবি

রান্নাঘরে বুঝলাম কিন্তু শোবার ঘরে কেন? ওসব কিছুতো শেখাইনি... চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ইলিশের লগে প্রেমঃ হাউ টু মেক লাভ উইদ হিলশা ফিশ নামে চরম উদাসের একটা বলোগ আইলো বইলা!

স্পর্শ এর ছবি

মাথা কাটা ইলিশের লগে প্রেম করার ব্যাপারটা কিন্তু আমি কৈ জানি পড়ছিলাম। চিন্তিত দুনিয়ায় জানার আছে অনেক কিছুই...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মন মাঝি এর ছবি

এই রেসিপি অনু্যায়ী গতরাতে ৩ কেজি অর্গানিক বীফ ওভারনাইট ম্যারিনেট করতে দিছি। কিন্তু এখন সকালে ভাবতেসি এটা রাঁধব কিভাবে যা মানানসই হবে? একটা বুদ্ধি দেন! হাসি

****************************************

স্পর্শ এর ছবি

ইনঅর্গানিক বীফ হয় নাকি? ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মন মাঝি এর ছবি

হে হে, হয় হয়! আপনার জন্য ধাঁধা হিসেবে থাকল এটা। দেঁতো হাসি

****************************************

মরুদ্যান এর ছবি

অর্গানিকের দাম তো ম্যালা!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মন মাঝি এর ছবি

মীনা বাজারে নর্মালের চেয়ে কেজিপ্রতি একশ/সোয়াশো টাকার মত বেশি মনে হয়, এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না ঠিক কত ছিল।

****************************************

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

অর্গানিক মানে 'যেখানে গরু খায় বারো মাস সবুজ ঘাস [কেবলই সবুজ ঘাস]' সেই গরুর মাংস, দাম ৩৯৫ টাকা পার কেজি, আর সাধারন গরুর মাংস ২৯০-৩০০ এরকম কিছু।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

পোস্ট এবং মন্তব্যের ঘরে আলোচনা সবই মজাদার।

গোঁসাইবাবু

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

Sohel Lehos এর ছবি

অসাধারণ গুরু গুরু । রান্না বিষয়ক কোন লেখা পড়ে এত বিনোদন পাওয়া সম্ভব জানতাম না। ছেলে হোক মেয়ে হোক, বেসিক রান্না বান্না জানাটা খুবই জরুরী।

আপনার এই লেখা পড়ে আমার অতীত জীবনের কথা মনে পরে গেল। ভাত ঠিক মত রান্না করতে আমার পাক্কা ৩ মাস সময় লেগেছিল। একমাত্র ডিম সিদ্ধ করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারতাম না তখন। অনেক চোখের ভুরু আর মাথার চুল পুড়িয়ে মাংস রান্না শিখেছিলাম। আহারে আপনার এই লেখা যদি তখন পেতাম খাইছে

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

স্পর্শ এর ছবি

আমারও মনে হয় এই টিউটোরিয়ালটা আমি ছোটোবেলায় পেলে অনেক কাজে লাগতো। যাক গিয়ে দেশ-জাতির কিছুটাতো উপকার করতে পারলাম দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মাসুদ সজীব এর ছবি

এভাবে লেখে যান, তাহলে জাতি আপনাকে আধুনিক (রান্নাবিহীন চোখ টিপি ) নারী মুক্তির পৃথিকৃৎ হিসেবে পাবে হো হো হো

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

স্পর্শ এর ছবি

রান্না জানলে নারী প্রুস সবারই মুক্তি। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুর্দান্ত এর ছবি

১) "বেগুনগুলো উঠিয়ে নেবার পর পাত্রে থাকবে কিছু তেল।" - এইটা ঘটাইতে আপ্নাকে এক বেগুনে পুরা বোতল তেল খালাস করতে হইছে নিশ্চই।

২) দেশী ছোটমাছ যেমন চিংড়ি, টেংরা, কাচকি, মলা-ঢেলা, দেশী চান্দা, বাটা এগুলো, যদি খুব তাজা (বা জীবিত) থাকে, তাহলে সেটাকে ভাল করে লবন-হলুদ মেখে ধুয়ে নিয়ে রান্না করুন, আঁশ-লেজ-পেট সহই। খুব বেশী তফাত হবেনা।

৩) ইলিশ মাছের রেসিপি যেটা দিলেন, সেটায় মুরগির বুকের মাংস বা পাখ্না রান্না হবে অনায়াসে। হাল্কার উপর টমেটো সস, জিরা আর আদাকুচি যোগ করলে সোয়াদের মাত্রা বাড়বে।

স্পর্শ এর ছবি

১) এটাই হলো সমতল ফ্রাই প্যানের মজা। বেগু ছাড়ার পরে তেলগুলো আসেপাশে সরে যায়। গোলাকার প্যান হলে সব এক যায়গায় চলে আসতো পরে বেগুনের মধ্যে ঢুকে যেত। আর খুব বেশি তেল লাগে না। যা কিছু থাকে তাতেই চলবে। নন স্টিকি প্যান তো। পিয়াজ মরিচ ঠিকঠাক ভাজি হয়ে যাবে।

২) চলুক
৩) এইটা আসলে জেনেরিক ভাজির রেসিপি। বলতে গিয়ে খেয়াল হলো, শাক-ভাজির ব্যাপারটা বলা হয়নাই। দেখি যুক্ত করে দেব একসময়।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

পইড়া দেখলাম প্রথমে, মনোযোগ দিয়া। শেষে এসে দেখলাম সব ভুইলে গেছি গোড়া থেকে।
রান্নার ক্ষেত্রে ব্লগ আসলে প্র্যাকটিকাল না করে পড়া ঠিক হবে না মনে হয় হাসি

স্পর্শ এর ছবি

তুমি তো আর চিরকুমার না। ভুলে গেলেও ক্ষতি নেই। হাসি
আর আল্লা না করুক, কখনো মাইনকাচিপায় পড়েগেলে তখন লিস্ট ধরে ধরে কাজ করে ফেললেই হবে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

মা-বইন-ভাবী এগু দয়ায় গোটা বিশেক বছর শুধু গরম পানি রান্তে পারাতাম, পরে মাইনক্যা চিপায় পইর্যাু প্রাচীন ব্যাচলরদের খানা রানতে শিখছি। অহন বিয়ার পর বউ প্রায়ই খোটা দেয় অসুখে পড়লে বা বাপের বাড়ি গেলে ত না খাইয়্যা মরবা। যাউকগ্যা থ্যাংকু ভাই, অখন থেইক্যা এই রেসিপি ফলো কইর্যা বউরে উচিত জবাব দিমু।
মিথ্যা মায়ামোহে পইর্যাা অকালেই কুমারত্ব হারাইসিলাম তাই চরম উদাস ভাইয়ের ব্যাচলর হওনের ১ নম্বর সুবিধাটা ভোগ করবার পারিনাইক্যা।

অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

স্পর্শ এর ছবি

মজার অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

লেখা সুস্বাদু হইয়াছে! দেঁতো হাসি

আলু ভর্তা নিয়ে টিপস। চাইলে নিকোবিনা আচার/ ভেজে নেওয়া শুকনা মরিচ ব্যাবহার করা যায় কাচা মরিচের বদলে। আর ভর্তার জন্য সমতল পাছা কাচের গ্লাস একটা মারাত্মক জিনিস। আগে পিয়াজ আর মরিচ সেই গ্লাসে চাপে পিষে নিয়ে আলুতে একটা চাপ দিয়ে দেখবা, আলু নিমিষেই কাদা হয়ে যায়, আর হাতেও কিছু লাগে না। নিকোবিনার আচার দিলে তেল না দিলেও চলবে, কিন্তু অন্যান্য সময় সরিষার তেল বা সামান্য ঘি দিলে ভর্তার স্বাদ খোলতাই হয়। আমি আবার দেশী ভর্তা আর বিদেশী ম্যাশড পটেটোরে মাখায় ফেলে মজার একটা জিনিস বানায়ালচি। দেঁতো হাসি দেশী আলুভর্তায় যা দেবার দিয়ে সাথে পনির কুচি আর ধনে পাতার কুচি যোগ করে দেই, আহা আহা!

রাইস কুকার আসলেই একটা দারুন জিনিস, ভাত-খিচুরি-তেহারি সব ফকফকা। দেঁতো হাসি আর কঠিন ডিম ভাজীর পরে সেই তেল মশলা পিয়াজে সামান্য টক দই দিয়ে দিলেই কিন্তু ডিমের কোরমা হয়ে যায়, খাইছে মানে ফাকিবাজের কোরমা, কিন্তু কোরমা তো!

দেঁতো হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মরুদ্যান এর ছবি

ম্যালা দিন পর তোরে দেখলাম!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

হ, মন্তব্য করাই হয়না আজকাল। লগিন না করেই পড়ে চলে যাই অনেক সময়ে। আর ভাইয়া, লেইট হেফি বাড্ডে! দেঁতো হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

স্পর্শ এর ছবি

নিকোবিনা আচার কি বস্তু?

ভর্তার স্বাদ হয় চটকাচটকি তে। চটকানোর সময় আঙ্গুলের রোমকপু থেকে নানান রকম এনজাইম, ঘাম, হরমোন ইত্যাদি নিসৃত হয়, এইসবই হলো আসল স্বাদ। এই কারণে একেক জনের হাতের ভর্তা একেক রকম। তোমার গ্লাসের তলানি দিয়ে টিপে কি আর সেইটা পাওয়া যাবে?

তবে একটা উপায় করা যায়। শুরুতে শুধু আলুই হাত দিয়ে চটকাচটকি করে নিতে হবে। এরপর পিয়াজমরিচতেলঘি দিয়ে গ্লাসের পাছা, বা কোনো ডিস্পোজেবল পলিথিন গ্লভস পরে ডলে নিলেই হলো। কোনো ক্রমেই হাতে ঝাল লাগতে দেওয়া যাবে না। চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধ্রুব আলম এর ছবি

নিকোবিনা একখান আচার কোম্পানি (মনে হয় সিলেটের)। উহাদের সাতকরার আচার অসাধারণ, আমি দেশে গেলে সিলেট যাবো খালি ওইটা কিনতে। ঢাকারগুলা নকল নকল লাগে।

আপনি যদি টক সহ্য করতে পারেন, তাইলে খেয়ে দেইখেন। আহারে, কতদিন খাই না মন খারাপ

মরুদ্যান এর ছবি

নিকোবিনা আচারের এক বিখ্যাত কোম্পানি (ক্যান কে জানে!!)

সেদিন খাইলাম নিকোবিনা ইলিশ মাছের আচার (প্রথমে নাম দেইখা বিশ্বাস কর্তারিনাই)। খাইলাম, ইলশার নাম গন্ধও নাই আচারে। ইয়ে, মানে... আজিব

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ইলিশ, গরুর মাংস, সবজী, এইগুলার আচার নিজের করে খাওয়া লাগে, কোম্পানির গুলো পদের হয়না!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

স্পর্শ এর ছবি

বলো কি! মাছ-মাংসেরও আচার!! খাওয়া তো দূরে থাক, এসবের অস্তিত্ব আছে তা-ই তো জানতাম না।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আন্টিকে জিগাও, অনেক কিছুরই আচার হয়! হাসি এইজন্যে বলি মেয়েদের বেশী খেপায়োনা, একদিন দেখবা আচার হয়ে কাচের বয়ামে বসে আছো! দেঁতো হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

রাখ তোমার হাতের ঘেমো আচার! ইয়ে, মানে...

আলু ভর্তা করতে গিয়ে আমার কোমল মোলায়েম আঙ্গুলগুলাকে কষ্ট দিতে আমি মোটেও রাজী নই! :/

আর ভর্তা মজা হবার প্রি রিকুইজিট হলো ঝাল, আর পেয়াজ মরিচ মাখাটা, এইটা পিষেপুষে কঠিন জিনিস না বানাইলে ভর্তাতে ধ্বক থাকে না।

নিকোবিনার নাগা মরিচের আচারই সবার্চে ভালো, অন্যগুলা মুখে রুচে নাই!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

চটকাচটকির জন্য কোন কোন অঞ্চলে কাঠের তৈরি বিশেষ ডিভাইস পাওয়া যায়(আমি রংপুরে দেখেছি, নাম ভর্তানি)। এক আন্টির তৈরি আলুর ভর্তায় অপূর্ব স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে, আমার ধারনা হয়েছিল স্বাদের রহস্য হল সেই ডিভাইস(কারন এক্ষেত্রে আঙ্গুলের রোমকুপ থেকে নানান রকম এনজাইম, ঘাম, হরমোন ইত্যাদি নিসৃত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয় নাই), একটা কিনেও এনেছিলাম। সেটা স্বাদের ব্যাপারে বিশেষ কোন ভূমিকা রেখেছে কি না তা বলতে পারব না, কিন্তু জিনিসটা সমতল পাছা নন স্টিক ফ্রাই প্যানের মতই অত্যন্ত উপযোগী। ভর্তা করার সময় সে বস্তুর উচ্চ তাপমাত্রার জন্য হাত লাগান যায় না, এ ছাড়া আলু(বগুড়ার লাল আলু হলে কথাই নাই), কচুর ছরা ইত্যাদি বস্তু এতই আঁঠাল যে সেগুলো হাত থেকে ছাড়ানোর জন্য ভর্তা করার চেয়ে বেশী কসরত করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সেই ভর্তানি, নিদেনপক্ষে সমতল পাছা গ্লাস যথেষ্ট কার্যকর বলে বিবেচিত হওয়ার দাবী রাখে।

স্পর্শ এর ছবি

যাই বলেন ভাই আচার, বেলের সরবত এইগুলা হাত দিয়ে চটকা দেব, আর আঙুলের ফাকা দিয়ে প্যাচ প্যাচ করে বেরিয়ে আসবে এই নাহলে স্বাদ হবে ক্যামনে? ভর্তানির ভর্তা কি সেই ভাবির বানানো ভর্তার মত হয়েছিলো? খুব খিদে পেটে কিন্তু যেকোনো ভর্তাই অমৃত লাগে। এই ফ্যাক্টরটাও ভাবার বিষয়।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এক লহমা এর ছবি

ছোটবেলায় জ্যামিতি পরীক্ষায় যে বছরে সম্ভাবনা ছিল, চেয়েছিলাম ত্রিভুজের মধ্যে গোল্লা আঁকার সম্পাদ্যটা আসুক। পেয়ে গিয়ে যা আনন্দ হয়েছিল সে মনে হলে আজো মন ভাল হয়ে যায়। ঐ সম্পাদ্য আমি বরাবর একভাবে করে এসেছি, লেখাটা ঠিকভাবে লিখেছি। কিন্তু আঁকার সময় উল্টো গৎ-এ অর্থাৎ গোল্লাটা আগে এঁকে নিয়ে তারপর তার গা বেয়ে ত্রিভুজ বানিয়ে নিয়েছি। দশে নয়ের কমে দেওয়ার উপায় থাকত না। রান্না নিয়ে লেখাও আমি অনেকটা ঐ ইস্টাইলে পড়ি। লেখার লেজে যথেষ্ট মন্তব্য জমতে দিয়ে সেই সব মন্তব্য আগে পড়ে তারপর মূল লেখাটা পড়ি। তাতে পাঠের আনন্দটা বেশী জমে। এ’বারও তাই করলাম। হাসি

রান্না নিয়ে আমার বলার বিশেষ কিছু নেই, নীচের সামান্য কটা কথা ছাড়া।

(১) গোলপাছাদের গাল দেওয়াটা আমি মোটে পছন্দ করিনা, কোন ক্ষেত্রেই না। আমার প্রিয় রান্নার পাত্র একটা ঢাউস নন-স্টিক কড়াই। সব কাজ অতি চমৎকার - উম্-ম্-ম্-ম।

(২) ঠান্ডা তেলে ভাজা শুরু করাটা এই নন-স্টিক পাত্রগুলোর এক যুগান্তকারী আশীর্বাদ, অন্ততঃ আমার মত সহজেই চোট খাওয়া লোকের জন্য ত বটেই। (আমার এক মন্দ-বুদ্ধি শাগিরদ বলেছিল নন-স্টিক পাত্রীদের ক্ষেত্রেও নাকি কথাটা সমান ভাবে প্রযোজ্য। ধাওয়া দেওয়ায় বলল, ও ওটা বানিয়ে বলেছে, ওর আসলে কোন রকমের বৈষম্য পছন্দ নয়!)

(৩) সয়াবিন-এ ইস্ট্রোজেন-এর মত যে বস্তুরা থাকে তাদের গুষ্টির নাম আইসোফ্লেভোন। প্রাণী শরীরে ইস্ট্রোজেন-এর গ্রাহক প্রোটিন-দের সাথে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে বলে এদের ফাইটোইস্ট্রোজেন মানে প্রায়-ইস্ট্রোজেন বলে। ইস্ট্রোজেন-এর সাথে লড়াই করে কিছু গ্রাহক দখল করে ফেলে এরা বরং ইস্ট্রোজেন-এর প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে। কিন্তু এই উদ্ভিজ্জ প্রায়-ইস্ট্রোজেনরা আবার প্রাণীজ ইস্ট্রোজেনের তুলনায় অতীব কম শক্তিশালী। কাজেই গপ্পো হিসেবে যত চমকদার-ই হোক, সয়াজাত খাবার খেয়েছে এমন কারো বিশেষ কোন বস্তুর বৃদ্ধি বা অন্য কোন বিশেষ বস্তুর হ্রাস ঘটে থাকলে সেটা ঐ প্রায়-ইস্ট্রোজেনের কারণে না হওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপক।

(৪) লেখার শুরুর যুক্তিটা আছে নিশ্চয়ই কোথাও, কিন্তু আমার চরাচরের বাইরে। রান্না না শিখলে যদি কৌমার্য তাড়াতাড়ি হরিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ত তবে রান্না শেখার মত আহাম্মুকি আর যেই করুক, আমি কর্তুম না, করিও নি। এহ বাহ্যম, আমার চারপাশে যা দেখছি, বিপরীতটাই প্রবলভাবে বিদ্যমান। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে, রাঁধতে জানা লোকের কৌমার্য হরিত হয়নি শুনলে তার মানসিক গঠনটাই প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনার মুখে পড়ে যেতে পারে! বিস্মিত জনতাকে তখন হয়ত সৃষ্টিতত্ব বোঝাও, সংস্কৃতি বোঝাও - গিয়াঞ্জামের পর গিয়াঞ্জাম!

(৫) বাকি সমস্ত লেখায় দশে দশ (মানে, ৫ তারায় ৫ তারা)। পড়ে ব্যাপক আনন্দ পেয়েছি। পড়তে পড়তে নিজের বিবিধ সাফল্যের খাম্বা পোঁতার কাহিনী মনে পড়ে এত্ত বড় মন্তব্য লেখার মত গোলমেলে কাজ ও করে ফেললাম! এবার থামলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

স্পর্শ এর ছবি

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। 'নন-স্টিকি পাত্রীর' আইডিয়াটা দারুণ লাগলো। আমাদের দেশে হবে এই পাত্রী কবে...

৩) পুরুষের যেখানে এস্ট্রোজেন তেমন থাকারই কথা না, সেখানে কম ক্ষমতার উদ্ভিজ্জ প্রায়এস্ট্রোজেন ঢুকেগেলে অল্পকরে সাইড ইফেক্ট হবার কথা না?

৪) বউ থাকএল আদরকরে খাওয়াইতো, এসব ভেবেও অনেক চিরকুমার বিয়ে করে ফেলে। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এক লহমা এর ছবি

৩) এইরকম একটা তত্ব বিজ্ঞানী মহলের কোন কোন অলিন্দে চালু আছে বটে যে প্রচুর এস্ট্রোজেনওয়ালা পরিবেশে যেমন মেয়েদের ক্ষেত্রে ফাইটোএস্ট্রোজেন এস্ট্রোজেনের প্রভাব কমিয়ে দেয় আর অল্প এস্ট্রোজেনওয়ালা পরিবেশে যেমন ছেলেদের ক্ষেত্রে ফাইটোএস্ট্রোজেন এস্ট্রোজেনের প্রভাব বাড়িয়ে দেয়। মুস্কিল হইল এই তত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নিশ্চয়ক গবেষণার এখনো ব্যাপক ঘাটতি আছে। মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ক্লাসের মাঝে বেরসিকের প্রশ্ন - ৪ (III) এর নাম সেক্সি ডিমভাজি কেন, কোন মাজেজা আছে?

____________________________

স্পর্শ এর ছবি

এইটা নিজে ভেজে খেলেই বুঝতে পারবেন দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

দাঁড়ান - বানাচ্ছি প্রথম সুযোগেই। তারপর যদি মাজেজা বোঝা না যায় - আপনের কিন্তু খবর আছে কইলাম!

____________________________

আয়নামতি এর ছবি

বেপক তো! আধুনিক ইশটাইলে রান্নার প্রধান উপকরণই তো বাদ গেছে।
ধিংচাক টাইপ মিউজিক শুনতে শুনতে রান্নাই যদি কর্তে না পারলেম তাইলে আর চিরকুমার/কুমারী থাকবার মজাটা কোথায় শয়তানী হাসি
ডের্জাট দেন্নাই কেনু? এই ক্যাটাগরির লুকদের কী উহা খাইতে মন করে না। পাষাণ দেখি আপনি।
অতি সহজ দুইখান ডের্জাট আইটেম জানি। ৫০০০টাকা বিক্যাশ বিনাই রেছিপি দিতে পারি ম্যাঁও

মিছেমিছি একটা রেসিপি শোনা যায় না।

এইটা মহা ভুল ধারণা আপনার।
আমি নিজেই রান্না করে ফাটাইয়া দেবো ভাব নিয়ে কতবার কতজন খালামনি, আর ভাবীদের রেসিপি শুনছি শয়তানী হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

অত্যন্ত মর্তবাময় পোস্ট।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।