সেপাই

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শনি, ১২/১২/২০০৯ - ৮:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাদশা মিয়া টুলে বসে ঝিমায়। এক গাড়ি এসে হর্ন মারলে তার বেবাক ঝিমানি উচট খেয়ে ডিগবাজি মারে। সটান হয়ে সে গেট খুলে দেয়। সালাম ঠুকে। গাড়ির ড্রাইভার পেছনে এক ময়ূরপঙ্খি রাজকন্যা নিয়ে মিষ্টি ওম ছেড়ে উড়ে চলে। ফের টুলে গিয়ে ঝিমানির প্রস্তুতি নেয় বাদশা মিয়া। খাউজায় মুখ নাক গলা। হা করে হাই তুলতে গিয়ে ওপরের আকাশে চোখ পড়ে। গাছের ডালে তার পাতায় কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ ছিদ্রে পূর্ণিমার আলো জোনাক জোনাক খেলে। বাদশা মিয়া এবার ঘাড় সোজা করে হাতের গিড়া ফুটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শব্দ বেরোয় না। তার ডিউটি সকাল ছয়টা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত। আগে রাতে অন্য এক দারোয়ান পাহাড়া দিতো। বছর দুই আগে কারা যেন সেই দারোয়ানকে মেরে মহল্লায় ঢুকতে চেয়েছিল। এ পাড়ায় আমীর থাকে। তখন থেকে মহানগর কমিটি কয়েকটা ক্যাডারকে রাতে পাহাড়ায় বসায়। চ্যাংড়া পোলাপান। কিন্তু হারামীর একশেষ। অস্ত্র সাথে রাখে। আর মুখের ভাষা যাচ্ছেতাই। বাদশারে ডাকে বাদাইম্যা। বাদশা তখন মনে মনে খিস্তি করে।

এখনো তিন ঘণ্টা বাকি। মহল্লার দ্বিতীয় বাড়িটার নিচতলার সিঁড়ির চিপায় বাদশা মিয়ার ঘরবসতি। একটা চৌকি। তেল চিটচিটে বালিশ আর চাদরে ধুলো পড়ে পড়ে এতো মলিন, ভালো করে তাকালে বোঝাও যায় না এককালে এদের রঙ কি ছিল। চৌকির তলে ট্রাঙ্কে তার নিজের সংসার, মাঠ, উঠোন, এক চিলতে আকাশ দীর্ঘ ঘুমে মগ্ন। বাদশা মিয়ার রান্নাও চলে সেই চিপার এক ছোট্ট কোনায়। ভাত। ডাল। কিংবা আলুসেদ্ধ। মাঝে মধ্যে একটা পোড়া শুকনা মরিচ। একই খাবার গোগ্রাসে গিলে খায় প্রতিদিন। রাতে শোয়ামাত্র বউ-বাচ্চার কথা মাথায় আসতে না আসতেই বেহুঁশ ঘুমে ঢলে পড়ে।

কলোনির মোড়ে আলীর চায়ের দোকান। মাথায় কিস্তি টুপি পড়ে সারাটা দিন বসে বসে পান চিবায়। পানের পিক গালের মধ্যে রেখে গার্গল গার্গল গলায় অদ্ভুতভাবে কথা বলে। বামহাতের তালুর খানিক ওপরের একটা বিশ্রী ঘা চুলকায় চা বানানোর অবসরে। কথা বলতে গেলে মুখ থেকে লাল পিকের কোন সূক্ষ্ণ ফোঁটা ঠোঁট গলিয়ে তার খড়খড়ে দাঁড়িতে ঝুলে ঝুলে ডাইভ মারার প্রস্তুতি সারে। আলীর দোকানে চা খেতে ইচ্ছে করে না বাদশা মিয়ার। কিন্তু এই রাতে ঘুমে ঠেকাতে সেখানে যাওয়া ছাড়া গতি নাই। দোকানের সামনে দাঁড়ানো মাত্র ‘দিতাছি’ বলে জাবর কাটতে থাকে আলী। সামনে রিকশার বিশাল লাইন পড়ে গেছে। এক দম্পত্তি হুড ফেলে আশেপাশের এলাকাকে তাদের সেন্টের গন্ধে কাবু করে রিকশায় বসে উসখুস করে। চায়ে চুমুক দিয়ে বাদশা মিয়া পানের পিকের ডুবসাঁতারের ঘ্রাণ শোঁকে। রিকশাগুলো এক চুল ও সরে না। রিকশার মেয়েটার সাদা উন্মুক্ত বাহু ভরা চাঁদের আলোয় সোডিয়ামের হলদে আভায় এক মহাজাগতিক আমেজে বাদশা মিয়ায় চোখেমুখে ঝাপটা মারে। চা শেষ করে কাপ রেখে রিকশার পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় বাদশা মিয়ার শীতার্ত চোখ হালকা বড় হয়। মোড়ের একটু বামে মহল্লার ডাস্টবিনের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ায়। বাদামি ময়লা প্যান্টের পোস্টাপিস খুলে। অপরিষ্কার সোঁদা গন্ধের সাথে পেশাবের মৃদুমন্দ শব্দ মিশে একাকার হয়। পরে ধীরে আস্তে সে টুলে গিয়ে ফেরে।

টুলে গিয়ে বসামাত্র নানান কিছু মাথায় এদিক ওদিক থেকে হানা দেয়। মেয়ের কথা। লিকলিকে কালো বউটার কথা। ভাঙা টিনের চালা বাড়ির চেহারা। আম্মার কবর। এঁটোকাদা রাস্তা। গ্রামের বাজারের উত্তরে ইটের ভাটা। চিমনির ধোঁয়া। হাটে লাল মিয়ার চায়ের দোকানে ভিসিপিতে ছাড়া শ্রীদেবীর ছবি। সব মগজে কি ঘিলুতে এক সাথে ঢোকার পাঁয়তারা করে। ফুৎকারে সব উড়িয়ে দিতে বাদশা মিয়া একটা বিড়িতে আগুন ধরায়। একদলা ধোঁয়া ছাড়তেই একটা উড়ন্ত মশার পথে টাইফুন ওঠে। কিঞ্চিৎ ভড়কে গিয়ে মশাটা পাশের শুন্যতায় সরে চলে যায়। পেটে হালকা খিদে চাগাড় দেয়। রাতের খাবারটা নিয়ে আসা দরকার। গেট গলিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে কোন গাড়ি এদিকে আসে কিনা। রিকশার লম্বা লাইন আর নেই। বিড়ি ফেলে দিয়ে বাদশা মিয়া দীর্ঘ পায়ে দৌঁড় দেয় ঘরের দিকে। তালা খুলতে গিয়ে ভেজাল বাঁধে। মাঝে মাঝে ঠিক জায়গায় চাপ না দিলে তালাটা খোলে না। হুড়াতাড়া করতে গেলে ঠিকমতো চাপটা হাতে আসে না। একবার বাইরে গিয়ে উঁকি দেয় কোন গাড়ী এসে হর্ন দেয় কিনা দেখার জন্য। এবার চাপ ঠিকমতো পড়ে। ঢকঢক করে খেয়ে নেয় দু গ্লাস পানি। প্লেটে আলুসেদ্ধ, পোড়া শুকনা মরিচ আর ভাত নিয়ে তালা দিয়ে দৌড় দেয়। গেটের কাছাকাছি এসে হর্নের ননস্টপ আওয়াজ শুনতে পায়। থালাটা কোনমতে টুলের উপর রেখে গেট খুলে। আমীর সাহেবের গাড়ি। ‘মাংগির পোলার নোলার শ্যাষ নাই। গাড়ি রাইহা আসি। তোর আইজ টেংরি ভাঙ্গুম ’- ড্রাইভার কাচ নামিয়ে চিৎকার করে। বাদশা মিয়া বিগলিত হাসি হাসে। গাড়ির ভেতরে আমীরের ছোট ছেলের বউ। লিকলিকে।ফরসা। বগলকাটা ব্লাউজ, সিল্কের শাড়ি তার উপর ছোট্ট চুল মাথা আর সেখানকার ঠোঁট ওঠানামা করে। ‘মুরাদ, মুখ খারাপ করো না। এদের খিদে বেশি’। কাচ তুলে ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে চলে যায়। ধোঁয়ার কুণ্ডলী ভারী হতে না পেরে বাতাসের সাথে মিশে তৎক্ষণাৎ। হ। কি যেন ভেবে নিজেকে বলে। তারপর ভাতের থালা নিয়ে খেতে বসে। খেতে খেতে ভাবে। মুরাদ বেরোনোর সময় মাস্তানি চালাবে খানিকক্ষণ। আলীর দোকানে চা সিগারেট খাওয়ানো পর্যন্ত খিস্তি করে যাবে। তারপর সব ঠিকঠাক।

মুরাদকে আলীর দোকান থেকে বিদায় দিয়ে নিজের জায়গায় ফিরে আসে। ঘড়ির দিকে তাকায়। ল্যাম্পপোস্টের ঈষৎ আলোয় ঘড়ির কাঁটাগুলো ভেসে ভেসে ক্লান্ত হয়। বসে থেকে পাছায় চড়া পড়ে গেছে। হেঁটে হেঁটে কিছুক্ষণ মরা পিচে চাঞ্চল্য ছড়ায়। গেটের বাইরে থেকে একটা নেড়ি কুত্তা ফুচি মারে। উৎসুক হয়ে তাকায় বিবর্ণ চোয়াড়ে পাটকাঠি শরীরের বাদশা মিয়ার চোখে চোখে। এ পাড়ায় কুত্তা ঢোকা নিষেধ। সারমেয় থেকে ভিন্ন প্রজাতির হওয়ায় তার বসন্তের দাগ ভরা মুখে টোল পড়ে।

দুপুরে খানিক বৃষ্টি হয়েছিল। রাতে বাতাস ঠাণ্ডা হয়ে হুসহাস করে। একবার ভাবে ঘরে গিয়ে শালটা গায়ে চড়াবে কিনা। পরে ভাবে থাক। কিছু জমাট কাঁপানো বাতাস প্যান্ট কি শার্টের ফোকর দিয়ে ঢুকে লোমকূপে পিন ফোটায়। একটা রিকশা গেটে এসে বেল দেয়। গেট খুলে যায়। নয়ন ভাই। সিগারেটে কষে শেষ টান দিয়ে ছুঁড়ে মারে। বাদশা মিয়ার প্রায় কাঁধ ঘেঁষে উড়ে গিয়ে পেছনের দেয়ালে ঠোকর খেয়ে লাল গলা আলো চুপসাতে থাকে। গেট বন্ধ করতেই কোথা থেকে কিছু অজানা ফুলের গন্ধ নাক বরাবর এসে ঘুষি মারে।

বাদশা মিয়া বৃষ্টির পানিতে পিছলা পিচে হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ হোঁচট খায়। পড়ে যাবার সময় হাতের লাঠি দিয়ে পড়া ঠেকাতে গিয়ে ডগাটা বুকে গিয়ে লাগে। তীব্রতম ব্যথায় গোঙ্গানির শব্দ বের হয়ে খাবি খায়, পরে ডুব মারে। কোনমতে উঠে টুলে গিয়ে বসে। বুকের কোন জায়গায় লেগেছে দেখার জন্য জামাটা প্রায় খুলে ফেলে। হাড় বের হওয়া লোমহীন বুকে কিছু পরিবর্তন দেখে না এই প্রায় অন্ধ আলোয়। আস্তে আস্তে ব্যথা কমে আসে। প্যান্টে শার্টে ময়লা কাদা লেগে গেছে। হাত দিয়ে কাপড় ঝাড়ে কিছুক্ষণ। এক জোড়া এই য়্যুনিফর্ম রাতে ধুয়ে দিলেও সকালের মধ্যে শুকাবে না। পরের দিন ভিজা জামা পড়ে দিন কাটানোর কথা ভেবে মন খারাপ হয়ে যায়।

কালকের কথা ভাবতে গিয়ে তারিখের কথা মনে পড়ে যায়। ষোলোই ডিসেম্বর। গতবার সে এই কাজ করেছিল। এবারো করা লাগবে। এর মধ্যে রাত বারোটা ঠিকঠাক সময়মতো হাজির হয়। কলোনির ছায়া ছায়া অন্ধকার থেকে দুজন যুবক চোখের সামনে এসে দাঁড়ায়। ‘যা বাদাইম্যা ঘুমাইতে যা, ঠিক ছটায় চইলা আইস্।’ থালা লাঠি হাতে নিয়ে বাদশা মিয়া মহল্লার কোমল আলো অন্ধকারের মধ্যে প্রবেশ করে। চৌকির ওপর জিনিস দুটো রেখে আবার বেরোয়। এই বাড়ির আরো তিন বাড়ি পর কিছুটা খোলা জায়গা নিয়ে আমীরের বাড়ি। উঁকি মেরে দেখে, দারোয়ান টুলে নেই। আশেপাশে দেখে নেয়। কাউকে চোখে পড়ে না। দুই ঘন্টা আগে খাওয়া দু গ্লাস পানির অবিশ্রাম জলবিয়োগ করতে থাকে আমীরের সদর দরজায়। একটা অত্যাশ্চর্য সুখের ঢেউ সমস্ত শীত ছাপিয়ে ঈষদোষ্ণ পেলবতা ছড়ায় শরীরে। আহা!


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গল্পটা এই পরিসরে রেখেই আরো কিছু ঘটনা হয়তো আনা যেত, বিশেষ করে "আমীর"-এর প্রসঙ্গে। কারণ, এই "আমীর" বাস্তবের আমীর-নায়েবদের মত অনুচ্চ আড়ালে রয়ে গেছে। তবু গল্পের এই মাপটা ভালো লেগেছে।

পারিপার্শ্বিকের বিস্তারিত খুঁটিনাটি বর্ণনাকে গল্পের অংশ করে তোলা এক ধরণের ঘরানা। যেখানে আশে-পাশের বস্তুনিচয় গল্পে বিশ্বাসযোগ্য প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। ইসাবেল আইয়েন্দের গল্পে এমনটার সার্থক প্রয়োগ দেখা যায়। এই ঘরানা আমারও বেশ পছন্দ। আমি নিজেও নিজের অজান্তে এমনটা করি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

ইসাবেল আইয়েন্দের কোন বই পড়ি নি। কিছুদিন আগে একটা ই-বুক পেয়ে পড়ছিলাম। লাতিন আমেরিকান ফিকশনঃ আ শর্ট ইন্‌ট্রডাক্‌শন্‌ । সেখানে অন্যান্য লেখকদের সাথে আইয়েন্দের নাম ও এসেছে। আরো কিছু মজার তথ্য পেলাম সেখানেঃ

আইয়েন্দের (১৯৪২-) দ্রুত সাফল্য কিছু খ্যাতিমান একাডেমিক ক্রিটিকদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াল। লেখার বিচারে কোন মিল না থাকা সত্ত্বেও পোস্ট-বুম জামানার কিছু মহিলা লেখকদের সাথে তাঁকে এক কাতারে রাখা হতো। তাঁকে ধরে নেয়া হতো বেস্ট সেলার গোত্রের পপুলার লেখক। কিন্তু তাঁর লেখার মানের সঠিক মূল্যায়ন না করার পেছনে কিছু রাজনীতি কাজ করেছে। বুম জেনারেশনের উপন্যাসের বিষয়বস্তু ও তাঁর লেখায় এসেছে। সাথে সাথে সামাজিক-রাজনৈতিক টানাপোড়েন, হতাশা উৎরে আশার ঝলকানি নিয়ে তিনি অনায়াসে লিখে গেছেন। ১৯৮২ সালে প্রকাশিত ‘দা হাউজ অফ স্পিরিটজ্‌’ উপন্যাসে চিলির কুখ্যাত স্বৈরনায়ক পিনোচেটের শাসনের অব্যবহিত পর লাতিন আমেরিকার দৈন্য চেহারার নিখুঁত চিত্রের দেখা মিলে। উপন্যাসটি আরেক খ্যাতিমান লেখক মার্কেজের ‘ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারজ অভ সলিটুইড্’ য়ের সগোত্র উপন্যাস। ‘ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারজ অভ সলিটুইড’ কে নিয়ে আইয়েন্দের উপন্যাসে অনেক জায়গায় ঠিসারা করা হয়েছে। এ নিয়ে অনেক সমালোচক আইয়েন্দেকে প্রচুর গালমন্দ করেছেন।

ভালো কথা, ইসাবেল আইয়েন্দের কি কি বই বাংলায় অনুদিত হয়েছে?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ইসাবেল আইয়েন্দে পড়া না থাকলে পড়া শুরু করে দিন। বইয়ের দোকানে গেলেই উনার দেখা পাবার কথা। House of Spirits অথবা Eva Luna অথবা My Invented Country দিয়ে শুরু করুন। উনার কোন লেখা বাংলা অনুবাদ হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

মার্কেজের সাথে উনাকে তুলনা করাটা আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয়। কেন একজন লেখককে আরেকজন লেখকের আয়নায় দেখতে হবে? অথবা কেন পূর্ববর্তী জনের নিক্তিতে পরবর্তী জনকে বিচার করতে হবে?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বইটা লাতিন আমেরিকার ফিকশন নিয়ে। লেখকদের মধ্যে তুলনা তো সেখানে থাকবেই। আমার যেটা মজা লাগলো তাঁর উপন্যাস ‘দা হাউজ অফ স্পিরিটজ্‌’ য়ে মার্কেজের বইটার নানান বিষয়ের প্রতি ঠিসারা করার জায়গাটা। তথ্য হিসেবে তাই সেটা যোগ করেছি।

মার্কেজের বইটা পড়েছি। আইয়েন্দের বইটা যোগাড় করে পড়বো। তখন ব্যাপারটা ধরা যাবে।

দময়ন্তী এর ছবি

ঐ বইটায় ফুয়েন্তেস সম্পর্কে কিছু বলেছে? ম্যানুয়েল পুইগ?
মানে এমনিই বইয়ের নামটা দেখে একটু কৌতুহল হল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পুইগরে লইয়া বিস্তর কথা আছে। আর ফুয়েন্তেস তো থাকবোই। বইডা লাগলে আওয়াজ দিয়েন।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ইসাবেলা আলেয়েন্দের 'পলা' (Paula) পড়ে দেখতে পারেন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঠিকাছে। কালেক্ট করে পড়বো।

দময়ন্তী এর ছবি

এই যে দিলাম আওয়াজ৷ tdamayanti য়্যাট জিমেল .কম-এ পাঠায়ে দেন৷
অগ্রিম ধন্যবাদ৷

আর ইস্ট ইউরোপের সাহিত্য, বিশেষ করে ইসমাইল কাদারের ওপরে কোন লেখাপত্র, রিভিউ ইত্যাদি হাতে থাকলে পাঠাবেন প্লীজ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ইসমাইল কাদারকে কি আপনি ভালু পান? আমার কাছে কিন্তু তাকে চরম সুবিধাবাদী বলে মনে হয়।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পাণ্ডবদা,

কাদেরেকে কেন সুবিধাবাদী বলে মনে হয় একটু ডিটেইলসে জানালে ভালো হয়। আমি একটু একটু জানি। আমি উনার 'দা পিরামিড' পড়ছিলাম। এজন্য নাক গলালাম।

'দা পিরামিড' পড়ে খারাপ লাগে নাই। অবশ্য কাদেরেকে নিয়ে বেশি আগ্রহ ও জন্মে নাই। তাই উনার অন্য কোন বই আর পড়া হয় নি।

মণিকা রশিদ এর ছবি

ভালো লাগলো।

____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

স্বপ্নহারা এর ছবি

আমার খুব ভাল্লাগছে...

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

ব্রহ্ম দৈত্য [অতিথি] এর ছবি

দারুণ কারুকার্যে সাজিয়েছেন। আস্তে আস্তে চারপাশটা গড়ে তুলে তীরে গিয়েই যেন মূল তরণীতে পা দিলেন। ভালো লাগলো।
আফসোস !!! বাদশা মিয়ার মতো কাজটুকুও করবার সৌভাগ্যও আমার হলোনা।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ধন্যবাদ

নয়ন [অতিথি] এর ছবি

একদম কিছু পরিষ্কার করে না বলেও আমীর গোলাম আযমের প্রতি আমজনতার ঘৃণা যেভাবে ফুটায়ে তুলছেন তার তুলনা নাই। আপনাকে লক্ষ কোটি ধন্যবাদ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

থ্যাংকস

দ্রোহী এর ছবি

গল্প ভালৈছে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

ওডিন এর ছবি

গল্প আসলেই ভালৈছে ।

আমরা কয়েকজন গেলো বছর নিযামীর চিকা মারা দেয়ালের ওপর 'ইয়ে' করছিলাম- শয়তানী হাসি

---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বুঝলাম।

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

যে প্রবন্ধ রচে, সে ভালো গল্পও বলে! চমৎকার।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চোখ টিপি

হিমু এর ছবি
শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ভালো লাগলো...

_________________________________________

সেরিওজা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শেষ প্যারাটা কি ঠিকঠাক আছে বর্ণনায়?

বাদশা মিয়া আমীরের ছোট ছেলের বাড়ির দারোয়ান। সে তিন বাড়ি পরের আমীরের বাড়ি গিয়ে সদর দরজায় মুতে দিয়ে আসে!?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বাদশা মিয়া মহল্লার মূল ফটকের দারোয়ান।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক চলুক চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

Dipesh Karan এর ছবি

Nice one Shubho. Particularly liked the last line. Ha ha.

Dipesh

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

থ্যাংকস। তুই কি এখন দেশে?

ভ্রম এর ছবি

ভাল্লাগলো

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ধুরু। দুই বার চইলা গেছে।

দময়ন্তী এর ছবি

চলুক
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

দুর্দান্ত এর ছবি

মুতা ছাড়া প্রতিবাদের আর কোন হাতিয়ার বাকী রইল না?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ, স্যার। রইলো না।

সাফি এর ছবি

আমিও একটা বাম হাত দিলাম

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।