টুকরো টুকরো লেখা ২১

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৩/২০১০ - ৫:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত আড়াই দিন ধরে টানা রোদ পাচ্ছি। তবে ঠাণ্ডা কমার নাম নাই। কারণ গত শুক্রবার রাতে সর্বনাশ যা হবার হয়ে গেছে। রাত দশটা থেকে ভোর চারটার মধ্যে সপ্তাহখানেকের তুষার একসাথে পড়েছে। তারপর শুরু হয়েছে প্রকৃতির আরেক খাইস্টা রাজনীতি। ভোরবেলা থেকে সকাল দশটা সাড়ে দশটা পর্যন্ত মাইনাস সাত-আট আর তারপরে ফটাশ করে প্লাস শুণ্য থেকে এক-দুই। তুষার গলে রাস্তাঘাট মোটামুটি কাদা হতে হতে আবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ হিমাঙ্কের নিচে। ফলাফল ঐ কাদাগুলি তখন তুষারের বদলে বরফ। আর তাতে একটা আছাড় খাওয়া মানেই সচলায়তনের ব্যানার হবার দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। শুধু তাই না। দিনে যতক্ষণ তাপমাত্রা হিমাঙ্কের উপরে ততক্ষণ ঝিরঝির বাতাস। গলন্ত তুষার/বরফের পুরো আঁচটাই তখন পথিককে রোমাঞ্চিত করে। ঝকঝকে রোদের মধ্যেও তাই বের হতে হয় অ্যাস্ট্রোনট সেজে ঠকঠক কাঁপতে কাঁপতে।

১.

রাষ্ট্রের মাথাদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে। হতেই হবে। দ্রব্যমূল্য ফকিন্নির পুতদেরই পিষে ফেলছে আর এঁরা হলেন সমাজের বাড়া। এঁদের মাথায় গোটা রাষ্ট্রের দায়। এদের খাটুনির দাঁস্তায়ে শুনে কুমিরের মতো কেঁদে ফেলি। কত কষ্ট! রক্তে উচ্চমাত্রার চিনি নিয়ে সংসদে মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে হাইপার উত্তেজনায় কেঁপে কেঁপে উঠতে হয়। তারপর একেকটা চেয়ারেরও তো ওজন আছে। এতো আর সুড়কির বস্তা না!

খান মামারা ভালো কইরা খান। প্রোটিনটা ঠিকঠাক খান। পাবলিকের অন্তত কার্বোহাইড্রেটের ব্যবস্থাটা কইরেন। না করলে আর কী করবেন। পরের সেশন তো আছে! আগের সেশনের উপর দোষটা চাপাইতে পারলেই হবে। সেইটাও তো কম শ্রমের না!

ও আমার দ্যাশের মাডি!
তোমার পরে টাহাই মাতা!

২.

পাকিস্তানের ক্যাপ্টেনসহ কয়েকজন একলগে ধরা খাইছে। এই একটা দেশ যারা খেলায় হারলে দেশে তদন্ত কমিটি হয়। অন্য কোন কোন দেশেও হয়তো কখনো হইছে বা হয় নাই শিওর না। কিন্তু পাকিস্তানে এইটা একটা নিয়মিত বিষয়। এর আগে ১৯৯৯ তে একবার সবকয়জন একলগে ঘুষের মামলায় ফাঁসছিল। সেইবার জলপাই মোশাররফ আইসা সবাইরে শফিউল আলম প্রধাণ বানাইয়া দিছিলো। দেশই একটা মাইরি!

এই খবরে ছবিটা দ্যাখেন। কার কথা মনে হয় কন্তো?

সুখবরের আকালের এই যূগে পাকিস্তানের কোথাও কোন ক্ষতি হইছে শুনলে ভালো লাগে .....

৩.

মাশরাফির মুম্বাই গমন আর রকিবুলের রিটায়ার নিয়া আর কিছু কইতে মন চাইতেছে না। ক্যানজানি মনে হয় পুরা ব্যাপারটাই বোর্ড ইচ্ছা করলে ঠ্যাকাইতে পারতো .... মন খারাপ

৪.

ব্লগ নিয়া কয়েকদিন আগে সচলে অনেক কথা হইলো। ব্রাহ্মণমাধ্যমে টুকটাক পরিচিত কেউ কেউ তাগো সুখটাক বাঁচাইতে গইড়াইয়া কান্দা শুরু করছে। কয়দিন পর মনে হয় মাডি থাবড়ানিও শুরু হইবো। কলুকূলগুরুরা এই নাভিশ্বাস তুলায় ভালোই লাগে। যারা আগে ব্লগের কথা জানতো না বা জানলেও তেমন পড়তো টরতো না তারাও এইবার ব্লগে উঁকি দেওয়া শুরু করবো। আমি তাঁদের উৎসাহই দিমু। যত পারেন ব্লগের বিরুদ্ধে লেখেন। আমি আছি আপনাগো লগে।

আউফ দ্দীণূ!


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ছবিটা দেইখা মনে হইলো, "কইতার্লাম্না!"

এই খবরটা টিভিতে দেখতেছিলাম খবরে। খালাতো ভাই কইলো, পাকিস্তান একটা দেশই। যারা এই দেশের মাটিতে জন্মায়, তারা জন্মসূত্রেই চুতিয়া। নিজের কর্মক্ষেত্রে পাকিপোন্দানীর কাহিনী বর্ণনা করলো। শেষ করলো, "আইজ পর্যন্ত কোনো পাইক্যার লগে ভালো কোনো অভিজ্ঞতা হইলো না"- বইলা।

রকিবুলের ব্যাপারটা কেমন জানি "কিমুন কিমুন" লাগে!

তবে সব শেষে কথা ঐ একটাই বদ্দা, "আউফ দ্দীণূ"...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

১।
প্রোটিন খেয়ে খেয়ে একেকজনের এমন দশা হয়েছে যে ওয়াইডস্ক্রীন টিভিতেও বদনখানি আঁটেনা। কয়দিন আগে বাংলাদেশের বারোটি চ্যানেলের একখানা আন্তর্জালিক-প্যাকেজ কিনেছি। তার পর থেকেই এদের ওজন আন্দাজ করার চেষ্টা করছি।

২।
পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠি আমাদের উপর ৭১এ যা করছে তার রেশ আল্লাহ ওদের সারাজীবন টানাবেন। সেটা রাজনীতি হোক আর ক্রিকেটই হোক।

৩।
মাশরাফিরটা জানিনা কিন্তু রকিবুলের খবরে বিস্মিত হয়েছি। জেদ/অভিমান ভালো কিন্তু সেটা যদি পজিটিভ দিকে এই জাতি দিতে পারতো তাহলে আমরা হয়তো আরো উপরে উঠতে পারতাম। যত ভালোই খেলুক এরকম এ্যটিট্যুডের কারো টীমে না থাকাই ভালো।

৪।
লেখাটা ভালো লাগছে, তাই এত বড় মন্তব্য করলাম দেঁতো হাসি

কাকুল কায়েশ এর ছবি

রকিবুলের ব্যাপারটা কেমন জানি "কিমুন কিমুন" লাগে!

আশু কি ছদ্মনামে টেলিফোনে কোন হুমকি-টুমকি দিসে নাকি??

=====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

বর্ষা এর ছবি

আউফ দ্দীণূ!

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

নজমুল আলবাব এর ছবি

শালার পুতেরা এম্নিতে একটা আরেকটার কলার চাপড়ে ধরে মারতে যায়। সবকয়টাই মনে করে একমাত্র তার বাপেরই ঠিক আছে। বাকিগুলা পুঙটা। কিন্তু বেতন ভাতা বাড়ানির সময় সব আবার আমরা আমরা হয়্যা যায়।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

মনামী এর ছবি

যত পারেন ব্লগের বিরুদ্ধে লেখেন। আমি আছি আপনাগো লগে।
- আমিও আছি হাসি

সাফি এর ছবি

রকিবুলের ব্যপারটা পুরাই আচানক যারে কয়! তয় দুইদিন পরে আবার ঘরে ছেলে ঘরে ফিরে আসবে সিউর থাকেন

অমিত এর ছবি

আউফ দ্দীণূ!

অতিথি লেখক এর ছবি

বিসিবি দিন দিন পিসিবি এর মত হয়ে যাচ্ছে।
রকিবুল ফিরে আসুক এই কামনাই করি।
লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো।
- তাজবিনূর শোভন

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ব্রাহ্মণমাধ্যমের কলুকূলগুরুদের মধ্যে যাদের একটু জ্ঞানগম্যি আছে তারা বিপদটা ঠিকই টের পাচ্ছেন। তাদের কেউ কেউ উলটা-পালটা বকাবকিও শুরু করে দিয়েছেন। এমন বকাবকি শুভ লক্ষণ। আন্তর্জাল যে রাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে মুহূর্তে দুনিয়ার ওইপিঠে চলে যায় সেটা উনারা হজম করতে পারেন না। আমি যা লিখেছি তাই ঠিক - কোথাকার কোন হরিদাস পাল তার সত্যাসত্য নিয়ে, মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে এটাতে তো কলুকূলের রীতিমত গাত্রদাহ হয়।

একজনতো অভিযোগ করলেন আমরা ছদ্মনামে লিখি কেন। যেন ব্রাহ্মণমাধ্যমে কেউ ছদ্মনামে লেখেন না। মাগন ঠাকুর, ভানুসিংহ ঠাকুর, টেকচাঁদ ঠাকুরদের থেকে শুরু করে এখনকার ঠাকুররা পর্যন্ত কতশত ঠাকুর যে ছদ্মনামে লিখে গেলেন তার হিসেব কে রাখে?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ছদ্মনামের অভিযোগটা যে ধোপে টেকার না সেইটা মনে হয় ওরাও জানে। কিন্তু এর বাইরের অভিযোগগুলা পেটের থিকা সরাসরি মুখে আনতে পারতেছে না। উহাদের গাত্রদাহের জায়গা ঐটাই দেঁতো হাসি



অজ্ঞাতবাস

গৌতম এর ছবি

১. যদিও সবাই পরের সেশনে আসার ইচ্ছা পোষণ করে, কিন্তু না আসতে পারলেও আগের সেশনের ওপর দোষ চাপানোর অভ্যাসের কারণে নানান কাণ্ডকীর্তি করেও নিজেরা নির্ভার থাকতে পারে বলে মনে হয়।

৩. রকিবুল হঠাৎ কেন অবসর নিলো এটা একটা বড় সন্দেহ। লোটাস কামাল দায়িত্বে আসার পর থেকেই নানা ধরনের ঘটনা ঘটে আসছে। রকিবুলে অবসর তারই ধারাবাহিক রূপ নয়তো?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শাফক্বাত এর ছবি

খান মামারা ভালো কইরা খান। প্রোটিনটা ঠিকঠাক খান। পাবলিকের অন্তত কার্বোহাইড্রেটের ব্যবস্থাটা কইরেন। না করলে আর কী করবেন। পরের সেশন তো আছে! আগের সেশনের উপর দোষটা চাপাইতে পারলেই হবে। সেইটাও তো কম শ্রমের না!

ও আমার দ্যাশের মাডি!
তুমার পরে টাহাই মাতা!


কি যে অসহায় আক্রোশে নিজে হাত কামড়াই, এদের কান্ডকারখানা দেখে!! এটা কী করে সম্ভব? এক নাম বদল নিয়েই আমাদের ঘাম-ঝরানো কোটী কোটী টাকা তাদের ছেলেখেলার যোগানদার, সহ্য হয়??
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হ কী আর কমু ...

অফ টপিক ... নাম বদল নিয়া মনে হয় কোটি কোটি টাকা খরচ করা হৈছে ...দেঁতো হাসি



অজ্ঞাতবাস

শাফক্বাত এর ছবি

বানান? সেরেছে!!
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

মুস্তাফিজ এর ছবি

সুখবরের আকালের এই যূগে পাকিস্তানের কোথাও কোন ক্ষতি হইছে শুনলে ভালো লাগে .....

আমিও সুখ পাই

...........................
Every Picture Tells a Story

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

মনে এক্টা বুনো প্রশান্তি আসে এইজাতীয় খবরে চোখ টিপি
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

দ্রোহী এর ছবি

১.
সংসদে বসে চোরের দল
খাটিয়ে প্রভাব খাটিয়ে বল
দেশের হোগাটা মেরেই চল
চলরে চলরে চল।

২.
স্বীকার করতে কোন লজ্জা নাই যে পাকিস্তানের খারাপ খবরে আমার মনে নারকীয় আনন্দ হয়।

৩.
বাংলাদেশ দলের হতাশাজনক খেলা দেখতে দেখতে বিরক্ত। তাই মাশরাফি (মাশরাফুল), আশরাফুল, রকিবুলসহ যাবতীয় উল/বুল/কুলদের ব্যাপারে উৎসাহ মরে গেছে। বরং ক্রিকেট খেলার পেছনে পয়সা নষ্ট না করে তা দিয়ে ডাংগুলি, বরফ-পানি, পাহাড়-টিলা প্রভৃতি খেলা জনপ্রিয়করণ করা যেতে পারে।

৪.
আউফ দ্দীণূ!!!!!!!!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কেরুর দাম গত দেড় বছরে দ্বিগুন হইছে। এইটা কি মগের মুল্লুক নাকি? গত সপ্তাহেও ছিলো ৮৫০ টাকা, এখন ৯৫০... মন খারাপ
অনশন ধর্মঘট ডাকুম চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হা কেরু! একদা ৩৫০ ছিল .... ;(



অজ্ঞাতবাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জ্বী বস, আমিও একদা ৩৫০ এর বাসিন্দা ছিলাম। তখন যদিও পুরাটা কেনা হইতো না বেশিরভাগ সময়, নিবেই চলতো। এখন ৭৫০ মিলি আমার একলাই লাগে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুস্তাফিজ এর ছবি

আজকে মনে হয় বাসা খালি?

...........................
Every Picture Tells a Story

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জ্বী স্যার... তবে বউ জানে আমি আজকে অমানুষ হয়ে যাবো... তাই ডরে ভাগছে... চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

হায় জরিনা! তোমার সাথে দেখা হয় নি দীর্ঘ ৩ মাস!!!

সব ঐ নইজ্যার দোষ রেগে টং
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

রেনেট এর ছবি

জরিনা বেশ কয়েকবার ট্রাই দিসি...জুইত পাই না মন খারাপ
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সুমন চৌধুরী এর ছবি
অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

টেকোদের টেকিলাই জুৎসই চোখ টিপি

---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ঠিকাছে, আউফ দ্দীণু...

_________________________________________

সেরিওজা

দুর্দান্ত এর ছবি

বার্লিনের একজন দেশী সরকারি লোককে বলতে শুনলাম, সরকরের মাথার বেতন বাড়াইলে নাকি দুর্নীতি কমবো। হাসুম না কান্দুম?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

রকিবুলঃ জেদ জিনিসটা ঠিকঠাক শিখতে পারলে কাজে দেয় খুব। তবে, স্টিভ ওয়াহ-র কাছ থেকে জেদ না শিখে শহীদ আফ্রিদির কাছ থেকে জেদ শিখলে যা হয় তা-ই হয়েছে। কাজ কম ড্রামা বেশি।

বেতনঃ আমার বাবা সরকারী চাকরি থেকে এই ক'দিন হয় অবসর নিলো। যা বেতন পাওয়া যায়, তাতে এই বাজারে সৎ ভাবে বেঁচে থাকা কত কষ্টকর তা হাড়ে হাড়ে জানি। উপর দিকে বেতন না বাড়ালে মেধাবীদের সরকারী চাকরিতে আসার কারণ নেই। চুরিটা কমানোই আসল কথা।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমলাগো কথা কইনাই। যাগো কথা কইছি তাগো বেশীরভাগের কাছে সরকারী বেতনটা একটা ফাউ....



অজ্ঞাতবাস

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

মাথাদের বেতন বাড়ানো মানে হলো তেলা মাথায় আবার তেল পড়লো। ভালোই তো। আমরা তো ট্যাক্স দেই এনাদের ব্রেড, বাটার আর আপেলের যোগান দিয়ে তাদের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য। চারপাশে এত্তো ময়লা, তাই মুখে জমে ওঠা থুথুটা গিলে ফেললাম

পাকিস্তান যতবার ধরা খাবে, ততবার মনটা ব্যাথিত হয়ে ওঠে। খালি মনে হয়, কী লাভ! একেবারে তো তলাচ্ছে না মন খারাপ । তবে খোঁচাও কম উপাদেয় নয় চোখ টিপি

রকিবুল ভালো কাজ করছে। কেন নয় (আশরাফুল) এর পরিবর্তে কেন — এ প্রশ্ন থাকতে থাকতেই সরে যাওয়া উচিৎ। কয়েকবছর পর আমরা অনুর্ধ্ব ১৬ দলকে টেস্টে নামাবো এনশাল্লাহ চোখ টিপি

আউফ দ্দীণূ!
________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সুমন চৌধুরী এর ছবি
তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি

ও আমার দ্যাশের মাডি!
তুমার পরে টাহাই মাতা!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

স্ট্রেট ড্রাইভ হইসে...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পাকিস্তানের ক্ষতির খবর শুনলে আমারও ব্যাপক সুখ লাগে দেঁতো হাসি

সবুজ বাঘ এর ছবি

রকিবুলও এট্টা পিলিয়ার, তেইলাচুরাউ এট্টা গাংচিল পাকি! শালায় আউট অইত ক্যাম্বে?...মুনে হইত আউট অওয়া ওর পিতাতো সম্পত্তি।

যে যত যাই কও আজরাফুলরে ছ্রা বেঙ্গলদেশ টিম মানায় না।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কিন্তু কবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ যবে অ্যাজরাফুল আবার ভালো খেলবে?

ধৈর্য ধরতে ধরতে ঝিঞ্জি ধইরা গেলগা আত পায় ....



অজ্ঞাতবাস

সোহাগ [অতিথি] এর ছবি

''ও আমার দ্যাশের মাডি!
তুমার পরে টাহাই মাতা!''
-যদি বরিশাইল্লা লেহো হেলে "তুমার" না অইয়্য়া তোমার হইবে।
মাশরাফি বা রকিবুল কোন ব্যাপার না। সব সিস্টেমের সমস্যা।
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কি করে হোগা মারে তা চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিবের টসে জিতে বোলিং- এর সিদ্ধান্তে বুঝা যায়।কোয়ান্টাম....সুন্দর বনের মধু.......কম হইলো না।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

"তোমার" করা হৈল।

আজকের খেলা দেইখা মুখে স্ট্যাপলার মাইরা বইসা আছি।



অজ্ঞাতবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।