খুব খিয়াল কৈরা!!!!!!

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ২৩/০৩/২০১০ - ৯:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানসিক প্রস্তুতি ছিল "নিয়মিত লেখা আর ব্লগের লেখা" নামে আমার প্রাগৌতিহাসিক একটা খেলাপি সিরিজকে শ্মশাণ থেকে টেনে তুলবার। পরে মনে হলো আরো কিছু কথা বিশেষ করে সচলায়তন নিয়ে কিছু কথা বলতে পারলে ভালো হয়, মানে আমার ভালো লাগে আর কি। ব্লগের একটা খুব বড়ো সুবিধা হচ্ছে কেন লিখছি কার জন্য লিখছি'র বিবেচনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ফটাশ করে ইচ্ছে মতন কোন কথা নামিয়ে ফেলা যায়। কোন প্লাটফর্মে লিখছি সেটা অবশ্যই মনে রাখতে হয় যেহেতু জ্ঞানত বর্ণান্ধ নই। যা লিখতে চাই বা বলতে চাই, নিজের ব্যক্তিগত ব্লগের বাইরে সেটা শুধুমাত্র সচলায়তনেই বলতে পারি। তাই সচলে লিখি। সচলায়তনের সাথে চৈতন্যগত ঐক্যের এই জায়গাটাই সচলে আমার ধুনফুন লিখে যাবার প্রধাণ কারণ। এর থেকে বেশী যোগ্যতার দরকার নাই।

সচল অনিকেতের পোস্টে হাসান মোরশেদ যেমন বললেন তারই একরকম পুনরোক্তি করে বলছি সচলায়তন মোটেও অন্যকোন কমিউনিটি ব্লগিং প্লাটফর্ম ভেঙে জন্মায় নাই। সেযুগে একটাই বাংলা-ব্লগিং প্লাটফর্ম ছিল নেটজগতে। প্রথমেই সেখানে সরাসরি ধর্মীয় মৌলবাদের সাথে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরী হয়, যেটা মৌলবাদীদের জামাত-হিজবুত'কে আকড়ে ধরার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক চেহারা পায়। রাজনৈতিক চেহারা আসলে যেকোন ধরণের সংঘাতেই থাকে। সেটা কোন সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে হতেই হবে এমন না। সেখানে জামাত-হিজবুত ধর্মীয় মৌলবাদের আইকন হিসাবেই ধর্মীয় মৌলবাদ বিরোধীদের প্রতিপক্ষ হয়েছে। মৌলবাদের স্বরূপ উদ্ঘাটনে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন জামাত-মুসলীম লীগ-নেজামে ইসলামী'র ভূমিকা সব থেকে শক্তিশালী অস্ত্রগুলির একটা। আর এটাকে অস্ত্রে পরিণত করার ব্যাপারে সব থেকে বেশী সহায়ক ভুমিকা মৌলবাদ সমর্থক ব্লগাররাই পালন করেছেন। তাঁরা ক্রমাগত তাঁদের অতীত কালিমাকে কখনো অস্বীকার করে কখনো তাকে ডিফেণ্ড করতে অন্য আরো কেউ কেউ কী করেছেন না করেছেন তার ফিরিস্তি দিতে থাকেন। মরতেদম জামাত-হিজবুতদের খুব বড়ো আর একটা দূর্বলতা ছিল তাঁদের মধ্যে পাতে দেবার মতো লেখকের সর্বাত্মক অনুপস্থিতি। সুতরাং সংঘাতের চেহারা খুব বেশী সময় কূটনৈতিক শিষ্টতা বজায় রাখতে পারে নাই। অশিষ্ট আক্রমণ প্রথম মৌলবাদ সমর্থকদের মধ্য থেকেই আসে। "বিপরীতের ঐক্য এবং সংগ্রাম" এর বহু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চলমান রাজনীতিতে এর প্রকট উপস্থিতি প্রসঙ্গে কট্টর মার্কসবাদ বিরোধীরাও খুব একটা উচ্চবাচ্য করেন না। বাংলাভাষার প্রথম ব্লগ পাটাতনেও তার উদাহরণ যথেষ্ট প্রকটভাবে দেখা দিলো। ধর্মীয় মৌলবাদের বিরোধীতায় সেইসূত্রে উদারপন্থী, জাতীয়তাবাদী, পুরাবাম, আধাবাম, সোয়াবাম, পৌনেবামরা ঐক্যবদ্ধ হন বা হতে বাধ্য হন। পরিস্থিতিটা এমন দাঁড়ায় যে ধর্মীয় মৌলবাদবিরোধী সংঘাতের শিষ্টঅশিষ্ট সবরকমের অনুশীলনের কারণে বাংলাব্লগারদের নিজস্ব স্বাভাবিক ব্লগিঙের ঐ প্লাটফর্মে আর কোন উপায় থাকে না। সুতরাং বাংলাব্লগিঙের সেই প্রথম প্লাটফর্মের মনোপলি ভেঙে যাওয়া অনিবার্যই ছিল। কোন একটা বা একগুচ্ছ বিষয়ে মতৈক্য ছাড়া কোন ধরণের প্লাটফর্মেরই জন্ম হয় না। "স্বাভাবিক লেখালেখির পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে সেখানে ছাগু-বরাহদের অনুপস্থিতি ফরজ" এইটা সচলায়তনের জন্মের খুব প্রধাণ ডিরেক্টিভ প্রিন্সিপল। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে সচলায়তনের জন্মের ইতিহাসের এটাই মর্মার্থ।

সচলের জন্মের পরে প্রথম যুগে উত্তরাধুনিকতার মুখোশ পড়া মৌলবাদের সুশীলরক্ষকদের সাথে দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি আসে। এর পরিণতিতে সেই সুশীল রক্ষকরাও কালক্রমে সচলে অপাঙতেয় বিবেচিত হন। এইসব সুশীলদের অনেকেই সুলেখক। কিন্তু আক্রান্ত হলে আত্মরক্ষার কায়দায় এঁদের ছাগুরূপ বেরিয়ে আসে। সচলায়তনে লিখতে হলে লেখার মান, বিষয়বস্তুর গভীরতা এই বিষয়গুলি খুব গুরুত্ব নিয়ে বিবেচ্য। সুতরাং এই সুশীলতার মুখোশ পড়া ছাগুদের অনুপ্রবেশ সরাসরি সব সময় ঠেকানো সম্ভব হয় না। আশার কথা খানিক লাড়ালাড়ির পরেই এঁদের অন্তর্বাস খুলে লেজ বেরিয়ে যায়। এক্ষেত্রে লাড়ালাড়ির বিকল্পপন্থা এখনো আবিস্কৃত হয় নাই। সুতরাং কারো লেখায় ধোঁয়াপন্থা দেখা গেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সচলরা তাকে লাড়বেন এটাই স্বাভাবিক। এইসব দার্শনিকদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সচলে প্রবেশের সময় ইস্পাতের জাঙ্গিয়া পড়ে প্রবেশের পরামর্শ ছাড়া আর কিছু দিতে পারছি না। ধর্মীয় মৌলবাদী এবং যেকোনভাবে মৌলবাদের প্রতি সহানুভুতিশীল যেকোন কারো জন্য আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে সচলায়তন একটা ডেঞ্জারজোন। আর সেটা আছে বলেই সচলায়তনে আমি এবং আরো অনেকে আছেন।

ছাগুদের সক্রিয় অনুপস্থিতি লেখালেখির পরিবেশ নিশ্চিত করে এই কথা সচলায়তন প্রমাণ করেছে বলেই মনে করি। যারা সচলে আসেন তারা এই পরিবেশের আকর্ষণেই আসেন। ছাগুবান্ধব কারো কাছেও এই পরিবেশ আকর্ষনীয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁদের পরামর্শ দেবো অনিবন্ধিত নিরব পাঠক হিসাবেই সচলাগমণ করতে। পৃথিবীটাতো অনেক বড়ো। ছাগুগন্ধী-কাঠিবাজীকে মৌলিক অধিকারজ্ঞান করলে তার জন্য আপনার জন্য পড়ে আছে নেটজগতের অবারিত প্রান্তর। সেখানে অনেক ঘাস অনেক কাঁঠাল পাতা আরো অনেক নাম না জানা ছাগখাদ্য সুপ্রচুর মজুদ আছে।

অতএব খিয়াল কৈরা ..... খুউব খিয়াল কৈরা!!!!!!


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি
আলমগীর এর ছবি

একটু সহজ করে লিখা যায় কিনা।
মনে হচ্ছে যারা ইতিহাসটা জানে না তারা আর ধন্ধে পড়বে। এ কথাটা কেন বলি, নতুন ব্লগাভিধান তৈরি হচ্ছে, ছাগু, লুল এসবের নতুন অর্থ নিয়ে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কোথায় কঠিণ লাগলো কইয়া ফালান।

শিশিবোতল নিয়া তো কিছু লিখি নাই!!!!! দেঁতো হাসি



অজ্ঞাতবাস

আলমগীর এর ছবি

ছাগু শব্দটাই দেখতেছি অনেকে বুঝে উঠতে পারছে না।
এখানে একটা পরিভাষা দেখলাম। আমার জানা বেশ কিছু অর্থ মিলল না।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আপনি যেই পোস্টের লিংক দিলেন তার সমস্যা ভাষা না জাইনা ডিকশনারি লেখার মতন।

ছাগু কথার মানেটা একটু বেশী বিস্তৃত। এটা সাধারণভাবে ধর্মীয় মৌলবাদী স্বয়ং, তাঁদের সমর্থক এবং তাঁদের প্রতি যেকোন ধরণের সহানুভুতি সম্পন্ন বা তাঁদেরকে বেনিফিট অফ ডাউট দিতে চাওয়া যেকোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

ধর্মীয় মৌলবাদ বিরোধীতার প্রশ্নে সচলায়তনে একটা হেজিমনি ক্রিয়াশীল এবং সেটা বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতির টানাপোড়েনের কোন নির্ভরশীল চলক না।

এবং সব থেকে জরুরি কথা হচ্ছে সচলায়তনের সংখ্যাগরিষ্ট লেখক এই হেজিমনিতে সন্তুষ্ট।



অজ্ঞাতবাস

হাসিব এর ছবি

সুমন যেইটা বলছে সেইটা আমারো মত । জিনিসটা ভাষা না জাইনা ডিকশনারি লেখার মতো হৈছে । ছাগু শব্দের একটা খন্ডিত প্রকাশ ঐখানে পাওয়া গেলেও সুশীল শব্দটার পুরোই ভুল অর্থ ওখানে করা হৈছে । আর হ্যাঁ, হরিদাস পাল (এবং ব্লগে এই সংক্রান্ত প্রথম নির্বাচন) শব্দটার কোন চিহ্ন দেখলাম না ওখানে হাসি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সুশীল বিষয়ে সাধকের এই পোস্টটা ভালো ছিলো।



অজ্ঞাতবাস

সুমন চৌধুরী এর ছবি

একটা কথা বলতে ভুইলা গেছিলাম। পুরানা কাসুন্দি ঘাঁটা অনেকেই অপছন্দ করেন। তাঁদের অপছন্দের প্রতি শ্রদ্ধা রাইখাই বলতে চাই, কখনো কখনো বাটি পরিস্কার করার স্বার্থে হইলেও পুরানা কাসুন্দি ঘাঁটা জরুরি।

আমীন



অজ্ঞাতবাস

kutubi এর ছবি

খুব খিয়াল কৈরা লেখাটি পড়লাম। বুঝলাম সুমন ভাই আসলেই বুদ্ধিজিবি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

গালি দিলেন নাকি?



অজ্ঞাতবাস

অপালা [অতিথি] এর ছবি

সেলুট!!!

সুমন চৌধুরী এর ছবি
অম্লান অভি এর ছবি

কত কিছু জানার আছে। তারচেয়ে বোঝার আছে ঢেড়। বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। লেখাকে প্রকাশের তাড়না দেয়ার জন্য সচল অনিকেত' ভাই তাকেও আবারও ধন্যবাদ জানাই।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ।

বোঝার জন্য ঢের থাকলে আরো ভালো হতো।



অজ্ঞাতবাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সচলের পরিবেশ ভদ্র, তাই এখানে ভালো ভালো লোকজন আসে, ভালো ভালো কথা হয়। তা দেখে সবার অভ্যাস হয়ে গেছে।
এইটারে অবশ্যই সম্মান করি।
কিন্তু সচলের এই পরিবেশ দেখে যারা ব্লগিং শুরু করছেন, তারা জানেন না আপতকালে কোনটা অবশ্য করণীয়।

তাই যারা আপতকালে সঠিক কাজটা করতে উদ্যত হয়, তখন খারাপ লাগা শুরু হয় সবার। এইটা আসলে তাগো দোষ না।

বাড়িতে সবসময় সবাই শান্তিমতো হাসিখুশি থাকা মানে এই না যে ডাকাইত পড়লে তার লগেও 'আসেন বসেন' টাইপ কথা কইতে হইবো। ডাকাইতরে লাঠি দিয়াই দৌড়ানি দিতে হইবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ডাকাইতরে লাঠি দিয়াই দৌড়ানি দিতে হইবো।

পরিস্থিতি অনুসারে সেই লাঠির মাথায় আগুনও থাকতে পারে।



অজ্ঞাতবাস

নজমুল আলবাব এর ছবি

ঠিকাছে, আবার ঠিক নাই। আরো খোলাশা হইলো পুরাটাই ঠিকৈতো।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কোন জায়গাটা বেআব্রু করতে হইবো কন। বলামাত্র টান্দিমু।



অজ্ঞাতবাস

নজমুল আলবাব এর ছবি

সবটাই বেআব্রু করতে হবে।

বিরাট বাজারে বসে, আমরা আমরা ভাগ হয়ে যাওয়া। নিজেদের চিনে নেওয়া। আলোচনা। তারপর সচল... এইটা ধারাবাহিকভাবে বলেন।

ছাগুগিরির একটা ডিটেইল দেন। ক্যামনে কি করতো হেরা। আর কেমনে কিরামভাবে তাদের বাশিং করা হতো সেটাও বলতে হবে।

এইটারে ট্রেলার ধরে নিলাম। আইজ কাইলের মইধ্যে গলা কেশে পুরাটা বলা শুরু করেন।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমি যা কইলাম তার লগে এইটা আর এইটা মিলাইয়া নিলেই অতিথি সচলরা মোটামুটি ভাও বুঝতে পারবো বইলা মনে হয়। এই পোস্টের উদ্দেশ্য আসলে সচলে জিরো টলারেন্সের জায়গাটা চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখানো। আর ছাগুত্বের নমুনা ছাগানুমোদিত ব্লগজগতে কিছুক্ষণ ঘুরাফিরা করলেই খাল্লাস! ছাগুরা এখনো অ্যাক্টিভ।



অজ্ঞাতবাস

নজমুল আলবাব এর ছবি

অরূপের এই পোস্টটাতো এম্নিতে পাওয়া যায় না।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

প্রিয়তে যোগ কইরা রাখেন।



অজ্ঞাতবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

ধর্মীয় গোঁড়ামি আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় তৈরী করেছে এক আধো-অন্ধকারাচ্ছন্ন এক প্রহেলিকা। মিথ্যে বুনিয়াদের উপর ছাঁদ তৈরী করে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকেই বিভ্রান্ত করে চলেছে খেটে খাওয়া অধিকার-বঞ্চিত মানুষদেরকে। পাশাপাশি তুখোড় তরুণদের মাঝেও ঢুকিয়ে দিচ্ছে সাম্প্রদায়ীকতার বিষাক্ত বীজ। এভাবেই তারা তৈরী করে নিয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় জনবল, হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে বছরের পর বছর। নিজেদের গলাকে ফাঁসিকাঠ থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন সময়ে নেয়া নানা পদক্ষেপের একটি হচ্ছে আন্তর্জালের ভেতর নিজেদের চিন্তাভাবনাকে প্রকাশ ও অন্যদের প্রলুব্ধ এবং বোকা বানানোর মাধ্যমে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির সুদুরপ্রসারী প্রয়াস।

সুমন ভাই, ইতিহাসকে সামনে তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
লেখা যথারীতি সুখপাঠ্য।

---- মনজুর এলাহী ----

নৈষাদ এর ছবি

ইতিহাস তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ।

তবে যারা অন্ততপক্ষে ছয় মাস ধরে সচলায়তনের সাথে জড়িত তারা ‘ইতিহাস’ জানে না বলাটাও ঠিক না বোধহয়। ব্যাপারটা তো প্রথমদিকের লেখাগুলি পড়লেই বুঝতে পারা যায়, অন্ততপক্ষে আমি বুঝতে পেরেছি।

‘অন্যকোন কমিউনিটি ব্লগিং প্লাটফর্ম ভেঙে জন্ম হয়েছে বা জন্মায় নাই’। - গত কয়দিন বার বার এ লেখাটা দেখে আমি বেশ বিরক্ত। কথাটা আমার কাছে অশালীন মনে হয়েছে। এই ‘ইতিহাস’ যদি নাও থাকত, সচলায়তনের উদ্যোক্তারা যদি প্রাথমিক প্লাটফর্মে ‘জামাই-আদরও’ পেত, তারপরেও এই যে নিজের টাকায়, নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করে একটা ব্লগ তৈরী করল, এটাকে এতদূর টেনে নিয়ে আসল সেটাকে ‘প্লাটফর্ম ভেঙে জন্মের’ সাথে কিভাবে মেলানো যায় আমার সরলরৈখিক চিন্তা ভাবনায় বুঝতে পারলাম না। উদ্যোক্তারা কিন্তু সবসময় কোথাও না কোথাও থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে...। এই যে সমালোচনা সহ্য করে শক্তভাবে প্রাথমিক ফিলোসফি গুলি ধরে রাখতে পেরেছ সচলের উদ্যোক্তারা, আমার মনে হয়েছে বিশাল ব্যাপার। বিশ্বাস করেন, করপোরেট দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটা পুরাপুরি ‘র্যাশনাল’ ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। এই লোকগুলি নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াচ্ছে কেন?

আরেকটা সরলরৈখিক চিন্তার ব্যাপার বলতেই হয়। দশ-এগারো মাস আগে বাংলা ব্লগ-অনভিজ্ঞ আমি যখন প্রথম একদুইটা লেখার চেষ্টা করেছি, শুধু একজন সচলকেই কিছুটাই চিনতাম। জানতে চাইলাম প্লাটফর্মটা আসলে কে চালায়, ফাইনান্স কীভাবে হয়। উত্তর পেলাম... মালয়েশিয়া, জার্মানী এবং ইউএসের কয়জন আছে এর পিছনে। মডারেশনের ব্যাপারটা জানা ছিল ইংরেজি একটা ব্লগের কল্যাণে। ইদানিং কেউ কেউ মডারেটর হিসাবে নিজের অস্তিত্ব প্রকাশ করে একধরণের সুবিধা নেয়ার একটা ইন্ডিকেশন দেয়। একমাত্র মাত্র মুর্শেদ ভাই ছাড়া কারও লেখা থেকে সরাসরি আমি বুঝতে পারিনি তিনি মডু কিনা। তাই এই অভিযোগটাও অবান্তর। (আমি প্রাথমিক ভাবে যাদের মডু হিসাবে চিন্তা করেছি তারা হলেন- মাশীদ (যেহেতু মালয়েশিয়া), সুমন চৌধুরী, হিমু, ইশতিয়াক রউফ, পান্ডবদা, হাসান মোরশেদ, নজরুল ইসলাম......)।

ভাল থাকুন।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আমি প্রাথমিক ভাবে যাদের মডু হিসাবে চিন্তা করেছি তারা হলেন- মাশীদ (যেহেতু মালয়েশিয়া), সুমন চৌধুরী, হিমু, ইশতিয়াক রউফ, পান্ডবদা, হাসান মোরশেদ, নজরুল ইসলাম......

অ্যা!

এরা মডু নাকি!!!!



অজ্ঞাতবাস

নজমুল আলবাব এর ছবি

মোর নাম নেয় নাই। অ্যা... অ্যা... অ্যা...

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সুমন চৌধুরী এর ছবি
হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি? কি সর্বনাশ। আমি না!
সুমঞ্চৌ নাকি? নজরুল ইসলাম?

আমার মনে হয় মাশিদ ঠিকাছে হাসি

একটা সহজ সচলপাঠ হয়ে উঠুক এই সিরিজ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মাশীদ, নজরুল ভাই, নজমুল আলবাব আর স্নিগ্ধা .... এইতো। নাকি?



অজ্ঞাতবাস

স্নিগ্ধা এর ছবি

আরে! ফাইজলামি করেন নাকি, আমার নাম আসলো কোত্থেকে? অ্যাঁ

নাকি আমার লাগাতার নাক গলানো দেখে ভদ্রভাবে বকা দিলেন একটা? মন খারাপ

সুমন চৌধুরী এর ছবি

অনুমান অনুমান। অনুমানের নাও টাইটানিক হাসি



অজ্ঞাতবাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মডুদের নাম নেওনের আগে আদব তমিজ করবেন... ব্যান কইরা দিমু কইলাম চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

অন্যকোন কমিউনিটি ব্লগিং প্লাটফর্ম ভেঙে জন্ম হয়েছে বা জন্মায় নাই’। - গত কয়দিন বার বার এ লেখাটা দেখে আমি বেশ বিরক্ত। কথাটা আমার কাছে অশালীন মনে হয়েছে।

এই মনে হওয়ার ব্যাপারে আমি আপনার সহচর।

এই সুশীল পর্যবেক্ষকের দল হয়তো বাংলাদেশকে এভাবে চেনেন, পাকিস্তান ভেঙে জন্ম হওয়া একটা দেশ। প্রচুর কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হয়েছে দুইপক্ষেই।

মুখে থুতু জমে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই দুইপক্ষেই ব্যাপারটা হৈল আসল। যেকোন কিছুতেই উভয়পক্ষ থিকা কাটাকাটি কইরা ধানচাইল পাতালে পাঠানোর প্রাচীন কিন্তু কার্যকর প্রক্রিয়া।



অজ্ঞাতবাস

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনেগো পোস্টেই মন্তব্য করতে এখন ডর লাগে, কোন্দিক দিয়া কে আইসা আবার কোটের পর কোট করতে থাকে! একই ইস্যুতে কিছু কথা যোগ করার থাকলেও কাঁধে কাঁধ লেগে যাওয়ার ভয়ে সেটাও করতে দ্বিধা হচ্ছে আজকাল!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ওরে!! আমার নাম এত পরে দেখলাম!! মডু হই বা না হই, আমি কইলাম গুলাবি-মডু না!! (আমাকে এত বুড়া লাগে? ৮০-র দশকের তো আমি ছাড়া কেউ নাই খাইছে )

আমার সাসপেক্ট লিস্টে পিপি-দা ছিলেন। চোখ টিপি

চিটিং করে দেই একটু -- হিমু-বদ্দা-কনফু-মামু হলেন চিহ্নিত মডুচতুষ্টয়। বাদবাকি রঙ নিয়ে আমারও কিছু আন্দাজ আছে।

দুর্দান্ত এর ছবি

বিষয়গুলি বারবার পরিস্কার করার দরকার আছে। সুমন কে ধন্যবাদ।
---
(বানিজ্যিক কার্যক্রম)
আমি এখানে ইস্পাত-জাঙিয়ার সোল সাপ্লায়ার লাইসেন্স পাইতে আগ্রহী। ই-জা ছাড়া ছাগুগিরি করতে গিয়ে যাতে কেউ রক্তাক্ত না হন, তাই এই নিতান্ত মানবিক সেবাটি যথাযোগ্য হাদিয়ার বদলে দিতে চাই। ছাগুগিরি ধরা খাওয়ার বেদনা হয়তো কমানো যাবে না, তবে পরিচ্ছন্নতায় বংশের পরিচয়। আমাদের কোথাও কোন শাখা নেই। পাটনার আবশ্যক।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ওই সেল! খালি দশ খালি দশ ....



অজ্ঞাতবাস

মামুন হক এর ছবি

বস, পূর্ব অভিজ্ঞতার সূত্র ধরে ম্যানুফ্যাকচারিং পার্টনার এর পোস্টটা কি আমি পেতে পারি? আপ্নে থাকেন ডেলিভারীতে আর বদ্দা থাকুক ক্যাশে হাসি

ভালো একটা টিম দাঁড়াইবো কইলাম!

অন টপিকঃ সুমন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ, লেখাটার খুব দরকার ছিল।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আসলেই খুউব খিয়াল কৈরা!!!!!!

...........................
Every Picture Tells a Story

সুমন চৌধুরী এর ছবি
ওডিন এর ছবি

ঠিকাছে। চলুক চলুক

সত্যি কইতে কি দুইহাজার নয়ের মার্চ এপ্রিলের আগে বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার সম্বন্ধে আমার কোন ধারণাইও আছিল না। (এইজন্যে আমারে গালি দিলে মনখারাপ করুম না) এইটা হইলো আমার প্রথম আর একমাত্র বাংলা ব্লগ। ভালো ভাল লোকজন সব আসে- ভালো ভাল কথাবার্তা হয়। নিজের চিন্তাভাবনার লগে এইখানের কথাবার্তা এসোসিয়েট করতে পারি। এখন পর্যন্ত এইরকমি দেখছি। সচলের খারাপ সময় আমি দেখি নাই, তাই আমি নিজেও জানিনা আসলে আপতকালে কি করতে হইবো, কি করতে হয়।

বুঝলাম। তবে আমার এখনও মনে হইতেছে আরো বিশদভাবে কথাবার্তা হইলে ভালো হইতো। হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

খাইসে... সচলে সুমন রহমান ক্যাচাল পড়লাম আজকে মন্দিয়া। সেখানেই টাইম কাবার। তাই এই পোস্টে আসতে দেরি হয়ে গেলো। মন মেজাজটাও ক্যাচায়া ছিলো... কিন্তু এখন খুশিতে ডগমগ...

আমি কিন্তু মডু... হুশিয়ার কিন্তু... চোখ টিপি

যাহোক, মজা পাইলাম তাই ফান করলাম, আশা করি কিছু মনে করবেন না নৈষাদ দা। তবে সত্যটা না জানলে বিভ্রান্তি ছড়াবে। আমি কোনোকালেই সচলের মডুদের ধারে কাছেও না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

নজরুল ভাই, কিরামান কাতেবিন পন্ত কানে আঙ্গুল দিবো ...



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ক্যান, আমগো ডিরেক্টর খাচড়া কথা কৈছে?
এই ডিরেক্টর লুক ভালো না, রাইত বাড়লেই খালি খারাপ কতা কয় আর কিরামান কাতেবিনের ওভার টাইম বাড়ায়া দেয়। মন খারাপ

বলি অরা এই ওভার টাইমের টেকা কি বৃষ দোহন করে নিবো? নিবো তো আমগো থাইকাই। পরকালে ঈশ্বর এক টেকা ঘন্টায় স্বর্গে কম্যুনিটি জব করাইবো আমাগোরে দিয়া। সেইখান থাইকা পাড়ার মস্তান কিরামান কাতেবিনরে দিতে হৈবো ট্যাক্স সরকার বদলের সাথে পালা কৈরা! ট্যাক্স দেয়ার পরে বউ পুলাপান নিয়াই খামু কি আর ভাগের হুরীগো লাইগা আলতা-ছুনু-পাউডারই বা কিনুম কইত্তে? মন খারাপ

এই ব্যাটা তো তখন মাস্তি করবো নরকে গিয়া। নাইকাগো লগে! আর আমগো করতে হৈবো তেল মালিশ, কিরামান কাতেবিনরে। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি কিরামুন কাতিবিনের কিরা কেটে কই... আমি মডু না... (গইড়ায়া কান্দনের ইমো নাই?)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনের রং কী? আকাশী? সাদা? নাকি নীল?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ক্যায়া!!! এক গতর ম্যায় তিন তিন রাং? হামকো ক্যায়া বার্জার কালার ব্যাংক সামাঝতি হ্যায় নজু পালোয়ান? চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনে একলাই তিন রঙের মডু!!! কস্কি মমিন!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পোস্টের শিরোনাম কৈলাম খিয়াল কৈরা নজু ভাই। দেশেও কৈলাম এখন খালি মান হানীর মকদ্দমার বায়ু। দিমু কৈলাম ঠুইকা! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুমন চৌধুরী এর ছবি

রেস্ট্রিকটেড কমেন্ট



অজ্ঞাতবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।