ফেসবুক বহুবিধ কারণে ব্যবহৃত হয়: সেলফি থেকে শুরু করে সামাজিক আন্দোলন, রক্তদান কর্মসূচী থেকে শুরু করে বোলগার খুন, সবই। অতএব, ফেসবুক খারাপ কি ভালো, সেটা নির্ভর করে কে কী উদ্দেশে কীভাবে ব্যবহার করছে সেটার উপর। এই আজাইরা কথাটা না-পাড়লেও চলেতো। আজকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে যা বলতে চাই, সেটা শুরু হওয়ার কথা ছিলো দ্বিতীয় প্যারা থেকে। অতএব, প্রথম প্যারার এখানেই সমাপ্তি।
যদি আজকেই প্রকাশিত হয় তাহলে চৈত্র সংক্রান্তির শুভেচ্ছা
আর নইলে একটি কামারুজ্জামানমুক্ত নতুন বছরের শুভেচ্ছা
বিগত কয়েকদিন ধরে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর এবং অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহে আবারও একদল মানুষের ব্যপক গাত্রদাহ আশা করি সবাই লক্ষ্য করেছেন। আমাদের তথাকথিত জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারক বাহকেরা এখন ঝলসানো নরমাংস দিয়ে নৈশভোজ করে ক্ষান্ত নন, তারা নানা ভাবে ও নানা আঙ্গিকে কাদের মোল্লা তথা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির ব্যপারটি হালকা করে কর্পূরের মত উড়িয়ে দেয়ার কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে নিজেদের জামায়াত তোষণের দীর্ঘ ইতিহাসকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অন্যের ঘাড়ে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যে কাজটি স্বাধীনতার পর শুরু হয়েছিলো কিন্তু বিশিষ্ট সামরিক শাসকদের ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার ফাঁদে পড়ে ব্যহত হল তা আজ ৪০ বছর পর করতে দোষ কোথায়? যে জিয়াউর রহমান ইন্ডেমনিটি আইন দিয়ে আটক যুদ্ধাপরাধীদেরকে নির্বিচারে ছেড়ে দিলেন, যার কল্যাণে গোলাম আজম দেশে ফিরে এসে আবার রাজনীতি করার সুযোগ পেল, যার নিপুণ হাতে এই দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বৈধতা এল তাকে বাদ দিয়ে ১৯৭১-১৯৭৫ সময়ে কেন সকল যুদ্ধাপরাধীদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হল না এই মায়াকান্নার কি আসলেই কোন অর্থ আছে?
১: শাহবাগ আন্দোলনে সরকার কেনো টিয়ার গ্যাস মারে না, নিশ্চয়ই সরকারের সাথে শাহবাগের আতাত আছে।
ভিতরের কথা: সরকার পতন হবে, ট্রাইবুনাল বন্ধ হবে, আমার বন্ধু ছাইদি-ছাকা মুক্ত হবে।
২: লাকি আপাকে ছাত্রলীগ আহত করছে। এতেই তো বুঝা যায়, শাহবাগ কই যাইতেছে?
ভিতরের কথা: শাহবাগ যেইখানে মন চায় যাউক, আমি তো শাহবাগ যাবো না।
রাজীব হায়দার এর খুন হবার খবর জানার পর থেকেই গা কাঁপছে: আবার কি ১৪ই ডিসেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে? কিন্তু একটু চিন্তার পর মাথা একটু ঠান্ডা হয়েছে: আর একটা গণহারে বুদ্ধিজীবী হত্যার চেষ্টা ঠিক এখনই মনে হয় না করবে জামাত, এই চেষ্টাটা করা হবে শেষ আঘাত হিসেবে: ঠিক ৭১ এর মতই, হারাটা সুনিশ্চিত হবার পর। "হারা" মানে এ ক্ষেত্রে ধরে নিচ্ছি "নিষিদ্ধ হওয়া" (অথবা সাঈদীর ফাসী?)।
শাহবাগবিরোধী ভাইরা নিশ্চয়ই গত কয়দিন ধরে ভয়ে প্যান্ট ভিজায়ে ফেলতেছেন। আপনার বুক ধড়ধড় করছে, প্রেসার হাই, চোখে কালসিটে পড়ে গেছে। গত কয়দিনে অনেক খাঁটুনি গেছে- আপনি কোন গ্রীন দেখতে পাচ্ছেন না। যদিও সবাই আপনাকে প্রচুর পুষ্টিকর কাঁঠালপাতা দিয়ে গেছে তবু কাঁঠালপাতার শর্ট পড়ে গেছে! এই অবস্থায় কী করবেন?
১- যেকোন ব্রাউজার এ একটি নতুন উইন্ডো বা ট্যাব খুলুন
২- টাইপ করুনঃ google.com
ছাগ পরে রয় হরিন চর্ম
লাদির কুবাস যায়না তাতে ঢাকা
তাই বলি কি চোখ-নাক-কান খুলে
সবচেয়ে ভালো সাবধান হয়ে থাকা।
[justify]২০০৬। বাংলাব্লগের ঊষালগ্ন। ২০০৫ এর ডিসেম্বরে শুরু হলেও পোস্ট পড়ার হার বাড়তে শুরু করে জানুয়ারী মাসে। শুরু থেকেই ওয়ালী(আল বদর কামারুজ্জামানের পুত্র), ভূত (সম্ভবত কামারুজ্জামানের বড় ছেলে ওয়ামি), দাদা, ধানসিঁড়ি, মলি, শর্মী, আস্তমেয়ে, ইছামতির পাড়ে, শাওন, ফারিয়াল, সাঈদ আবদুল্লাহ, শরীফ আবদুল্লাহ, সিমরান শিকদার, ত্রিভুজ, দাঁড়াল হাসান ইত্যাদি জামাত সমর্থক কিছু ব্লগার ব্লগ দখলের তালে ছিল। উল্টা দিক
[justify] অনেক সময় কোন কোন মানুষের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কারন ছাড়ায় আপাত দর্শন নিরীহ কিছু প্রানির সাথে টক্কর বেঁধে যায়। যেমন কোন কোন মানুষ থাকে গরু যাদের দেখলেই গুঁতাতে চায়, কাউকে আবার রাজহাঁস তেড়ে নিয়ে বেড়ায় যখন তখন। কারো আবার থাকে কুকুরের সাথে অজ্ঞাত শত্রুতা। কুকুর বাবাজী তাদের দেখিবা মাত্র গলার জোরে পাড়া মাতায়। কিন্তু আমার এত এত প্রাণী থাকতেও খুব ছোটতেই ”গিয়াঞ্জাম” বেঁধেছিল ছাগল নাম