ঝাড়ি (জীবনের সোনালী মুর্হূতের কিছু অংশ)

তানবীরা এর ছবি
লিখেছেন তানবীরা (তারিখ: বুধ, ২০/০৫/২০০৯ - ৫:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঝাড়ি

মুখবন্ধঃ অনেক হাবিজাবি লিখেছি এ কয় বছরে কিন্তু আমাদের ভাইবোনদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় অনুভূতিগুলোর কথা কোথাও কোনদিন লেখা হয়নি। লেখাটা পড়েছিল অনেকদিন আমার হার্ড ডিস্কে, ধূসর এর প্ররোচনায় এটা শেষ পর্যন্ত কেনো জানি তবু পোষ্ট করা হলো।

ঝাড়তে নাকি জানেনা কেউ কে বলেছে ভাই
এই দেখোনা কতো ঝাড়ির খবর বলে যাই......

ইয়ে ওয়ার্ল্ড হ্যায় না ওয়ার্ল্ড, ইস ম্য দো তারাকে ইনসান রেহ ত্যা হ্যায়। এ্যাক জো ঝাড়ি দেতে হ্যায় আউর দুসরে জো ঝাড়ি খাতে হ্যায়। আউর ম্যায় ও দুসরে ক্লাশ ম্যায় আতি হু। জীবনটা কেটে গেলো ঝাড়ি শুনতে শুনতে। যৌথ পরিবারে জন্মানোর কারনে ছোটবেলায় সমস্ত বড়দের ঝাড়ি, স্কুলে টীচারদের ঝাড়ি, খেলায় বন্ধুদের ঝাড়ি। আমাদের পাড়া শুদ্ধু সব কুমিল্লার লোকজনের বাস, যারা আবার লতায় - পাতায়, ফুলে - ফলে সকলে সকলের আত্মীয়। রাস্তায় বেড়োলে তাদের ঝাড়ি কারনে অকারনে, সচলাড্ডায় লীলেনদার ঝাড়ি। হেন কোন স্থান নেই যেখানে ঝাড়ি খাইনি। কিন্তু আজকে যেগুলো লিখছি সেগুলো হলো “আনোখা” ঝাড়ি। সাধারন কোন লোকজন এসব ঝাড়ি খেতেই পারে না। এইগুলো খাওয়ার জন্য বিশেষ রকমের ক্যাবলা হতে হয়।

ছোটবেলা থেকে “লী”তে যাই চুলে কাটতে কিংবা সজ্জা বিষয়ক সাহায্য নিতে। একবার গেলাম দুপুরের পর চুল কাটতে। যেয়ে দেখি পার্লারে বেশ ভীড়। লী আন্টি ব্যস্ত মুখে আমার খোজ খবর নিয়ে একজনের হাতে সোর্পদ করে দিলেন চুলে কাটার জন্য। নিজে চলে গেলেন কোন বধূকে সাজাতে। সাধারনতঃ লী আন্টি নিজেই আমার চুল কাটেন, আমার প্রবাস জীবনের খোজ খবর নেন, আমাদের বাসার খোজ খবর নেন, নিজের মেয়েদের গল্প করেন। যে তরুনীকে ডেকে আনলেন আমার দৃঢ় বিশ্বাস সেই তরুনী ভাত ঘুমে ছিলেন। ঘুম নষ্ট করে তাকে ডেকে আনায় সে যারপর নাই গোস্বান্বিত হয়েছে। এসেই প্রথমে পানি স্প্রে দিয়ে আমার চুলে ভেজালেন প্রচন্ড ব্যাজার মুখ করে। ভিজিয়ে চুলে হাত দিয়েই চিল্লাপিল্লা শুরু করলেন, এঁর আঁগে কোঁনথায় চুঁল কাঁটিয়েছো, এঁসব কি ধঁরনের চুঁল কাঁনটা? এঁর কোঁন শেঁপ নেই, আঁমি তোঁমার চুঁল কাঁনটবোনা। আমি ভয়ে ঠান্ডা, চুল ভিজিয়ে দিয়ে মাইয়া কয় কি? চর্তুদিকের হেয়ার ড্রায়ার, অন্যান্য যন্ত্রের শো শো আওয়াজে উলটো পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করা লী আন্টি সে সব শুনতে পাচ্ছে না। সে মেয়ে তিড়িং বিড়িং লাফ দিয়ে লী আন্টির কাছে যেয়ে পড়লো। কি কি বলল যেয়ে সেগুলো আবার আমি শুনতে পাচ্ছি না। ভয় পাচ্ছি, যাহ বাবা আমাকে কি চুলে না কেটে, ভেজা মাথায় বাড়ি ফিরতে হবে নাকি? লী আন্টি কি বলে দিলো আমি জানি না। কিন্তু মেয়ে এসে আবার আমার চুল কাটায় মনোযোগী হলো। একটু পর বলল, “আপনি বিঁদেশে থাঁনকেন, কোঁন দেঁশে?” সরাসরি তুমি থেকে আপনিতে উন্নতি। বিঁদেশে এঁরকমভাবে চুঁল কাঁটিয়েছেন? আমিও বাচার জন্য বল্লাম, ভাই বিদেশে চাইনীজ নাই চুলে কাটার, ওরা ভালো কাটতে জানে না, তুমি সুন্দর করে কেটে দাও, প্লীজ। ওর ঝাড়ি খেয়ে কি না কি কেটে দিবে ভয়েই আমি ওকে প্লীজ বলা শুরু করলাম।

আমাদের তখন সদ্য পাখা গজিয়েছে। আমি বিয়ে হওয়ার কারনে আর তাহমিনা তখন ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার কারনে একা একা বাইরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছি। আহা কি দিন ছিলো তখন। নিউমার্কেট আর গাওছিয়ার এমন কোন খাবারের দোকান হয়তো নেই যেখানে কিছু না কিছু আমরা খাই নি। মার্কেটে যেয়ে একবার খেতাম, মাঝখানে দু বার আবার আসার সময় একবার। মাঝে মাঝে ছোট দুবোনের জন্য খারাপ লাগতো, এগুলো সুখ বঞ্চিত হচ্ছে, শুধু খাওয়ার জন্য ওদেরকে নিয়েও মার্কেটে গিয়েছি। নিউমার্কেটের সেই মিলিনিয়াম বিরানী হাউজ, গাওছিয়া হালিম কিংবা সিড়ির তলার সেই জিলিপী ভাজার দোকানটার জন্য এখনো মায়া লাগে। এই সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্তির আনন্দে আমাদের আরো একটি রোগ যোগ হলো যা দেখতাম তাতেই হাসতাম। সব কিছুতেই হাসি পেতো। হাসির জন্যও অনেক ঝাড়ি খেয়েছি। স্কুলে টীচাররা দাড় করিয়ে দিতেন, বেয়াদপ মেয়ে হাসছো কেনো, বলো বলো? কি নিয়ে হাসছি সেগুলা আপনাকে বলা কি এতোই সোজা ম্যডাম?দাঁড়িয়েও হাসতাম। দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছো!! লজ্জা বলতেতো কিছুই নাই। মনে মনে বলতাম, আবার জিগস। দাদু বকতেন, মাঝে মাঝে আব্বুও বকতেন। সেই আনন্দময় দিনের একদিন দুপুরে আমি আর তাহমিনা রিকশা করে বাড়ি ফিরছি, হাসতে হাসতে অবশ্যই দুজনের উপড় দুজন গড়াচ্ছি। রিকশা থেকে নেমেই দেখি গেটের কাছে ভাইয়া, কোথায় যেনো যাচ্ছে। পুরনো দিনের রোগ, ভাইয়ের ঘাড়ে চাপা। বল্লাম ভাইয়া ভাংতি নাই, রিকশা ভাড়া দাও। বলেই আমি আর তাহমিনা উপড়ের দিকে ছুট। ভাইয়া একটু পর বাইরে না যেয়ে দেখি উপড়ে এলো। মুখটাতে মিচকি মিচকি হাসি। আমরা আবার ভাবলাম রিকশা ভাড়াটা আমাদের কাছ থেকে ফেরত আদায়ের মতলব নাকি, কে জানে? আম্মি জিজ্ঞেস করলো, কি রে কি হয়েছে হাসছিস ক্যানো? তখন শুনলাম কাহানী। ভাইয়া যেই না রিকশাওয়ালাকে ভাড়া দিতে গিয়েছে, শুনছে রিকশাওয়ালা বিড়বিড় করে আমাদেরকে বকছে। ভাইয়া জিজ্ঞেস করেছে, ভাই কি হয়েছে? জীবনের উপড় তিক্র বিরক্ত মাঝ বয়সী চাচা মিয়া রিকশাওয়ালা বলেছে ভীষন রেগে, “আর কইয়েন না ভাই সেই সাইন্স ল্যাবটেরী থেকে এগুলা হাসতাছেতো হাসতাছে, খামাখখাই হাসতাছে, এগুলোর চিত্তে এতো সুখ”।

আমাদের কখনো বাংলাদেশ রেলওয়ে ভ্রমন হয়নি যদিও অন্যদেশের রেলওয়ে ভ্রমন হয়ে গেছে। তাই ভাবলাম একবার, ঠিক হ্যায় বাংলাদেশ রেলওয়েতে করে সিলেট ভ্রমন করে আসি। যেদিন মনে হলো তারপর দিনই যাবো। আমাদের মনে হলে আবার দেরী করতে পারি না। ভাইয়া ঘোষনা দিল এই চার বেয়াদপকে নিয়ে সে কিছুতেই যাবে না। অগত্যা আব্বু যাবে। শুকনো মুখে আব্বু রাজী হলো আমাদের শুকনো মুখ দেখে। যথা সময়ে ভাইয়া আমাদেরকে কমলাপুর রেল ষ্টেশনে নামাতে এলেন। আমরাও জীবনে প্রথম বারের মতো কমলাপুর রেল ষ্টেশনের সেই বিখ্যাত ছাঁদ বা গম্বুজ, যা জীবনভর টিভিতে আর ক্যালেন্ডারের পাতায় দেখেছি সচক্ষে দেখে নয়ন সার্থক করে, মুগ্ধ হলাম। ট্রেনে আমরা মুখোমুখি আসন নেয়ার চেষ্টা করলাম, নইলে চারবোন একসাথে গল্প করতে পারবো না। প্রথমেই এক বিশাল দেহী আন্টিকে ভজানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু উনি নাছোরবান্দা। মহিলারা এতো নির্দয় হয় এ সমস্ত ব্যাপারে। আমাদের কালো মুখ আর বার বার এই সীট থেকে অন্য সীটে আসা যাওয়া, চিপস, আচার ভাগাভাগি দেখে দুজন আঙ্কেল তাদের সীট ছেড়ে দিলেন এবং আমরা যাত্রা শুরুর ঘন্টা দুয়েক পর অবশেষে মুখোমুখি সবাই বসার সুযোগ পেলাম। সুযোগ পেয়েই আমাদের আবার চিত্তে সুখ শুরু হলো। গরমের দিনে আমরা বিচ্ছু কটা বাদে ট্রেনে প্রায় সবাই ঘুমাচ্ছে। এক এক জনের মুখ এক ভঙ্গীমায় বন্ধ হচ্ছে বা খুলছে, কারো কারো আবার বিভিন্ন সুরে নাক ডাকছে। দেখছি আর আমরা হেসে হেসে গড়িয়ে পড়ছি। সে সময় সেই সীট না ছাড়া বিশাল দেহী আন্টি অপর দিকের সীট থেকে তার কাচা ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য আমাদের হাসির শব্দকেই দায়ী করে আমাদের উপড় ঝাপিয়ে পড়লেন। “বুঝসিতো তোমরা বেড়াইতে যাইতেছো, অনেক মজা করতিছো, কিন্তু ট্রেনের মধ্যে এত্তো গুলা মুরুব্বী ঘুমাইতেছে সেইদিকে খেয়াল রাখবা না। তোমাদের খিক খিকের চোটে সবার ঘুম নষ্ট হইতেছে সেই খেয়াল আছে তোমাদের, বেয়াদ্দপ মাইয়াপাইন।“ আমি মিন মিন করে বল্লাম কিংবা বলার চেষ্টা করলাম যে, আমরা ছোট মানুষ, আমরা আবার মুরুব্বীদের কি খেয়াল রাখবো, তারা বরং আমাদের খেয়াল রাখবে। কিন্তু বেশী আর সাহসে কুলালো না। উনার ধমক শুনে আশ পাশের অনেকেই আমাদের দিকে তাকালেন। ধমক খেয়ে আমরা ঠোট টিপে খিক খিক করছি কারন আমাদের খিক খিক বন্ধ এর চাবি আমাদের হাতে নেই।

হায়রে আন্টি আর যাই করছেন করছেন কিন্তু কাদেরকে ঝাড়ি দিছেন সেই আন্দাজা কি আপনার ছিলো? আন্টি ঝাড়ি দিয়া যথারীতি আবার ঘুমিয়ে গেলো। আর আমরা বসে বসে আন্টির ক্যারিকেচারে মন দিলাম। দেখা গেলো ঘুমের সময় আন্টির মুখটা হা হয়ে থাকে, ঠোঁট দুটো কাপতে কাপতে জোড়া লাগার মূর্হুতে আবার খুলে যায়। আবার কাছে আসতে থাকে আবার খুলে যায়। নাকের বাঁশীটা ফুলে - চিপে আবার ফুলে আবার চিপে। নাকের বাঁশীটাও ঠোটের সাথে পাল্লা দিয়ে কাপে। একটু আগে আন্টি বাসা থেকে আনা পরটা - মাংস ভক্ষন করেছেন, তার দাতের গোড়ায় সেই সুখ স্মৃতির সাক্ষর জ্বল জ্বল করছে। ঝোল - মাংসের টুকরো ঠোটে মুখের কোথাও কোথাও লেগে রয়েছে প্রমান স্বরূপ। এরপর আমরা মনো্যোগ দিলাম আন্টির বেশ - ভূষনে। বোন সমিতির আমরা সর্ব সমমতিক্রমে সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম আন্টির অর্থনৈতিক অবস্থা বেশী সুবিধার না। তিনি যে কাপড় চোপড় পড়ে বের হয়েছেন তা ভদ্র সমাজের বাইরে যাওয়ার কাপড় নয়, ট্রেনে চাপাতো দূরের কথা। সাথে বাথরুমের স্লিপার পরা। ট্রেনের ইজ্জত উনি অর্ধেক মেরে দিয়েছেন। আরো গভীর বিস্ময়ের সাথে দেখলাম আন্টি অত্যন্ত বেলাজ। উনার সালোয়ার এতোই পাতলা যে ভিতরে উনার চকরা বকরা কালারের প্যান্টিও দেখা যাচ্ছে। আমাদের গ্রুপের মধ্যে আপাত দৃষ্টিতে সবচেয়ে শান্ত কিন্তু গভীর পর্যবেক্ষন ক্ষমতার অধিকারীনি তামান্না আরো আবিস্কার করলো সেই প্যান্টিতে লেস দেয়া। আমরা চিন্তায় পড়ে গেলাম, এই ক্ষ্যাত আন্টিতো লেসওয়ালা প্যান্টি পরার কথা নয়। কিন্তু আরো তীক্ষন অনুসন্ধানের পরে দেখা গেলো উনার সালোয়ারে যে লেস দেয়া, প্যান্টিতেও সেই একই লেস। আমরা ভেবে বের করলাম, সালোয়ারে লাগানোর পর যে লেসটা বেচে গেছে সেটাই উনি উনার প্যান্টিতে লাগিয়েছেন। যেহেতু উনি অত্যন্ত কৃপন স্বভাবের, বারো টাকা গজের লেস বেচে গেছে বলেই ফেলে দিয়ে নষ্ট করবেন তার কোন মানে হয় না। প্যান্টিতে লাগিয়ে সেটাকে কাজে লাগিয়েছেন। আমরা কি করব আমাদের চোখ বারবার প্যান্টির লেসে যেয়ে পড়ে আর হাসির চোটে আমাদের হিচকি বের হয়ে যায়।

এই সমস্ত গভীর সমস্যার মধ্যে আব্বু হলো আর এক সমস্যা। তখন আব্বু ভাইয়ার বিয়ে দেয়ার জন্য বাসে - ট্রামে - প্লেনে যেখানেই উঠেন মেয়ে দেখেন। আম্মিকে এমনও বলেছেন, একদিন বাসে আব্বু এক মেয়ের দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে ছিলেন যে সে মেয়ে ভুল বুঝে প্রায় মার খাওয়ানোর যোগাড় করে ফেলেছিল। দেখি আব্বু ট্রেনের পিছনে বসে পাশের সীটের মেয়ের সাথে গুটুর গুটুর আলাপ জমিয়ে ফেলেছে। মটকী সাইজের মেয়ে কি কাজে লাগবে? আম্মি আর ভাইয়াতো কিছুতেই রাজী হবে না। সামিয়াকে বল্লাম কথা দিয়ে ফেলার আগে, তুই তাড়াতাড়ি যা, আব্বুকে এখানে পাঠা। আব্বুকে আমরা এক ঝাড়ি, তুমি মেয়ের সাথে কিসের আলাপ করো? আব্বু বেচারা বেচারা মুখ করে বলে, আরে খোজ খবর নিতে দোষ কি? শাহজালাল ইউনিতে এই মেয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ে। আমি বল্লাম, তাতো বুঝলাম, কিন্তু সাইজ দেখছো? আব্বুকে ঝেড়ে জায়াগায় পাঠালাম, দেখি সামিয়া প্রহলাদিত মুখ নিয়ে এসে সীটে বসল। বল্লাম কি খবররে? সামিয়া বল্ল, ওই মেয়ে আমাদের শাহজালাল ইউনিতে যাওয়ার দাওয়াত দিয়েছে, বলেছে এটাও নাকি সিলেটের একটি দর্শনীয় স্থান। তার মোবাইল নম্বর আর মেল এ্যাড্রেস ও দিয়েছে। আমরা কে বড় কে ছোট, কার বিয়ে হয়েছে কার হয় নাই সংসারের সব খবর আব্বু তাকে ইতিমধ্যেই দিয়েছে। সিলেট ট্রিপে আমরা শেষ পর্যন্ত এই অবস্থা করেছিলাম যে আব্বু বাসায় এসে ঘোষনা দিয়েছিল, এগুলোকে বিয়ে শাদী দিয়ে বরের সাথে বেড়াতে পাঠাতে হবে, এমনিতে নিয়ে যাওয়ার আর কোন উপায় নেই। বেচারা সহজ সরল আব্বু, তার ধারনা বিয়ে শাদী ঝামেলার শেষ, এটাযে ঝামেলার শুরু তখনও তিনি অনুভব করতে পারেন নাই।

(চলবে)

জানুয়ারী, ২০০৯


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইটা দারুণ হৈছে তাতাপু। ট্রেনের কামরায় জনৈক আন্টির ইয়ের বর্ণনা শুনে হাশতেহাশতেকাশতেকাশতে অবস্থা কাহিল। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

অবস্থা কাহিল মানে, কাপড় চোপড় ভিজাও নাইতো আবার !!!

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

কীর্তিনাশা এর ছবি

এক পোস্ট দোবার আগায়া। একটারে ডিলিট মারেন তাতাপু।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তানবীরা এর ছবি

হুমম

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ভুতুম এর ছবি

হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

তানবীরা এর ছবি

ঃ)

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নিবিড় এর ছবি

হো হো হো


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

তানবীরা এর ছবি

ধন্যবাদ

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ফাজিলের দল। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সামিয়া [অতিথি] এর ছবি

হুম......... একদম ঠিক কতা...........
ঠিক কতা কইসো...

তানবীরা এর ছবি

কইসো কি বেয়াদ্দপ? তোর কতো বড় জানিস? স্কুলের টীচার, কান ধরে দাড় করিয়ে রাখবে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সামিয়া যেহেতু আমার সাথে একমত, পানিশমেন্টের প্রশ্নই আসে না, তাতাজী। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সামিয়া [অতিথি] এর ছবি

খুবই সরি।
অনেক দিন পর হঠাৎ মিনার মত কথা বলছিলাম।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হাসতে হাসতে পইড়্যা গেলাম তাতাপু। অবশ্য আপনি যে সর্বদা হাসতে পারেন তার নজির আপনার ঢাকা ভ্রমনে যথেষ্ট দেখিয়াছি।

তানবীরা এর ছবি

তাইলে এখন দশটা টাকা ছাড়ো

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অনিকেত এর ছবি

চমৎকার হচ্ছে!!
চলুক জোর কদমে---

তানবীরা এর ছবি

কদম বাড়ায়ে যা না ডর কদম বাড়ায়ে যা

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রেনেট এর ছবি

দারুন মজা পেলাম চলুক
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

তানবীরা এর ছবি

হুমম

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

এনকিদু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

শাহজালাল ইউনিতে এই মেয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ে।

এরকম মটকী সাইজের একজনকে চিনি । পরিচিত তিনিই কিনা ভাবছি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

তানবীরা এর ছবি

এটা ২০০৩ এর কথা ঃ)।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

এইসব ঝাড়ি খাওয়ার গল্পের চেয়ে,আপনার ঝাড়ি দেয়ার গল্প শুনতে জাতির আগ্রহ বেশী।প্লিজ চা'পান পর্ব সংক্ষিপ্ত করুন।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

তানবীরা এর ছবি

আমি আর ঝাড়ি ??? আমার মতো কোমল নারীকে এমন কথা আপনে কেমনে বল্লেন টুটুল ভাই ?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সামিয়া [অতিথি] এর ছবি

আকাশি লেস। হা হা...হি হি।
মাধবকুন্ডর ঘটনা বাদ দিলে কেনো?? তুপ্পা যে ঝরনার নিচে দাঁড়িয়ে ছিল। পরের অংশে এটা লিখ।
আব্বু আমাদের থেকে কম কিসে? হি হি হি

তানবীরা এর ছবি

পড়াতো মনে থাকে না, লেসের রঙ মনে রইছে ঃ)

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সামিয়া [অতিথি] এর ছবি

্লেখাপড়ার মধে্য এত ইন্টারেস্টিং কি আছে তুমি বল আমাকে!!!

তাহমিনা এর ছবি

এইটা তো ঝাড়ি খা্বআ পোসট দে্বআর না।
আকাশি লেস পানটি পরে আনটির ঝাড়ি.... ইশ্শশ কি মধুর দিন!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!

When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ও, আমি ভাবছিলাম খালি আমিই উঁকি টুকি দিয়ে ঐসব টৈসব দেখার চেষ্টা করি, এখন দেখি আমি কিছুই না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানবীরা এর ছবি

আমরা উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করি নাই, ঐটাই আমাদের দিকে উঁকি দিচ্ছিলো

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

কীর্তিনাশা এর ছবি

এইটা কেমন কান্ড হইলো ? এদিকে আমরা পোস্ট পইড়া হাসতে হাসতে গড়াগড়ি আর উনি গেলেন চা খাইতে!

দয়া করিয়া চা পান পর্ব একটু সংক্ষিপ্ত করিবেন! পিলিজ্ !!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তানবীরা এর ছবি

শুধু চা, সাথে আমি টাও খাবো

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

আপ্নেরাতো বড়ই বেয়াদ্দপ মাইয়াপাইন ছিলেন। খাইছে
জনৈক আন্টির বর্ণনা পড়ে আমি হাস্তে হাস্তে শেষ গড়াগড়ি দিয়া হাসি
-------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

তানবীরা এর ছবি

আমরা বেয়াদ্দপ না হইলে আপনে হাসতে হাসতে শেষ হইতে পারতেন?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

s-s এর ছবি

আপনার লেখাটি খুবই উপাদেয় হয়েছে , কিন্তু আপামণি আমি খারাপ মানুষ, কিছু পয়েন্ট কামাতে আসলাম , বোঝেনইতো, দিনকাল খারাপ। হাসি: হাসি
চেততে পারবেন না, ফাইভ স্টার রেটিং আগেই দিয়া দিছি! হাসি :)
পোষ্ট= পোস্ট
বেড়োলে= বেরোলে
খোজ= খোঁজ
তরুনী= তরুণী
চুলে ভেজালেন = চুল ভেজালেন
শো শো = শোঁ শোঁ
বলল = বললো
চুলে কাটার= চুল কাটার
দাড়িয়ে= দাঁড়িয়ে
কারনে= কারণে
উপড় = উপর
তিক্র বিরক্ত= তিক্ত বিরক্ত
ভীষন= ভীষণ
ল্যাবটেরী= ল্যাবরেটরি/ ল্যাবেরটরী
ভ্রমন= ভ্রমণ
ঘোষনা= ঘোষণা
ষ্টেশনে= স্টেশনে
ছাঁদ= ছাদ
নাছোরবান্দা= নাছোড়বান্দা
ভঙ্গীমা=ভঙ্গিমা
ঝাপিয়ে= ঝাঁপিয়ে
ঠোট =ঠোঁট
হা=হাঁ
পরটা = পরোটা
দাত= দাঁত
পড়ে= পরে
প্রমান = প্রমাণ
ভূষন = ভূষণ
আবিস্কার= আবিষ্কার
পর্যবেক্ষন= পর্যবেক্ষণ
অধিকারীনি= অধিকারিনী
তীক্ষন= তীক্ষ্ন
কৃপন= কৃপণ
হিচকি= হিঁচকি
ধারনা= ধারণা

+ ৩৫ পয়েন্ট পাইলাম।

আজকে এই নিয়া হইলো ৩৮ পয়েন্ট। খারাপ না, থ্যাঙ্কু আপু, মনে রাখবেন এগুলো সবই পোয়েটিক প্রতিযোগিতা, সুতরাং মাইণ্ড খাইবেন না।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এতো নিষ্ঠুর হওয়া ভালু না দেঁতো হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

s-s এর ছবি

রেফারি হাসান মোরশেদের ব্যাঞ্চাই খাইছে

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি এই নিষ্ঠুরতাকে খাইছে অকাতরে পয়েন্ট বিলিয়ে যাই
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তানবীরা এর ছবি

ভাই, এই পয়েন্টে চলবে, নইলে আমারে বইলেন আমি আরো কিছু দিয়া দিমুনে আপনারে রিকশা ভাড়া ঃ}

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সিরাত এর ছবি

পড়িলাম। হাসি

তানবীরা এর ছবি

ধইন্যবাদ

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

শামীম রুনা এর ছবি

খুবই মজার,খুবই তীক্ষ্ণ।

আমার প্রথম বই 'টমবয় নিশো ও তার বন্ধুরা'

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

তানবীরা এর ছবি

হাহাহা থ্যাঙ্কু রুনা

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

তামান্না  এর ছবি

বাজি খুব সুন্দর হয়েছে লেখা । ভাল থাক। আরও লিখও।

তানবীরা এর ছবি

থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা হা। খুবই মজা লাগল। এই রাতে পোস্টটা পড়ে মনটাই ভাল হয়ে গেল হাসতে হাসতে। তাড়াতাড়ি পরের পর্ব ছাড়েন।

তানবীরা এর ছবি

আপনার মন ভালো হয়েছে জেনে আমার লেখা সার্থক হয়েছে

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সালেহীন এর ছবি

অনেক ভাল হয়েছে। Cheerful & easy ….

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।