বার্লিন! বার্লিন!!

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: রবি, ২২/০৯/২০১৩ - ১০:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

196_35705315496_4613_n
(বার্লিন প্রাচীরের সামনে)

ইউরোপের কোন শহরের দর্শনার্থীদের ভিড় সবচেয়ে বেশী বলুন তো? রোম? প্যারিস? লন্ডন? উহু, হলো না! ভেবে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন যে আর কোন শহর পর্যটকদের এতটা আকৃষ্ট করতে পারে? উত্তর একটাই- বার্লিন।

ইউরোপীয় মহানগরীগুলোর মাঝে বার্লিনে পর্যটকদের জনসমাগম সবচেয়ে বেশী, বার্লিন পৃথিবীর একমাত্র শহর যাকে একসময় নিষ্ঠুরভাবে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছিল ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক প্রাচীর দ্বারা। দুই জার্মানির একত্রীকরণের পর রাজধানী স্থানান্তরিত হয় বার্লিনে, তারপর থেকেই যেন এর নবউত্থান, সর্বত্র চলছে নয়নাভিরাম নব স্থাপত্য স্থাপনের প্রতিযোগিতা, নতুনভাবে তৈরি হচ্ছে অসংখ্য জাদুঘর, রাস্তা, ট্যুরিস্ট স্পট। আজকের বার্লিন যেন এক চলমান মহা সৃষ্টিযজ্ঞ।

২০০৩এর ডিসেম্বরে প্রথমবার বার্লিন দেখেই যে দুইটি শব্দ মাথায় ভিড় করেছিল সেগুলো হচ্ছে বার্লিন তুলনাহীন। এই বিশাল মহানগরীর সর্বত্রই কেমন যেন উৎসবের আমেজ, পর্যটকদের ভিড়। দিন নেই, রাত নেই, সর্বদাই প্রাণোৎসবে উচ্ছল, বহুমাত্রায় বর্ণীল।

প্রথমদিন বেশ রাত করে পৌঁছানোতে হোটেল খোজার ঝামেলায় বিশেষ কিছু দেখা হয় নি, পরদিন প্রথমেই দেখতে গেলাম বিখ্যাত (!) বার্লিনের প্রাচিরের অবশিষ্টাংশ। Cold War এর ফলশ্রুতিতে ১৯৬১ সালে বার্লিনকে পূর্ব ও পশ্চিমে বিভক্ত করে ১৬৫ কিমি দীর্ঘ এই প্রাচীর তৈরি করা হয়। এ যেন ছিল পূর্ব (Communism) ও পশ্চিমের (Capitalism) মিলনরেখা। নানা ঘটনার ঘনঘটায় ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীরের পতন ঘটে এবং ১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর পূর্ব ও পশ্চিম দুই জার্মানি একত্রিত হয়। বর্তমানে বার্লিন প্রাচীরের মাত্র ৩০০ মিটার অবশিষ্ট আছে, যা রেলস্টেশন Ostabanhofএর খুব কাছে অবস্থিত। যদিও তা দেখতে খেয়ালি কোন চিত্রকরের বিশাল ক্যানভাসের মত নানা রঙে রাঙানো। পৃথিবীর প্রায় সব ভাষাতেই কিছু না কিছু লেখা আছে দেয়ালের উপরে, আছে বিচিত্র সব পেইন্টিং। খুবই অবাক হলাম বাংলায় কোন লেখা না দেখে, আমার ধারণা ছিল এই ব্যাপারটাই আমরা ওস্তাদ ।

196_35705310496_3862_n

দেখা হল কাইজার ভিলহেম মেমোরিয়াল চার্চ যা বিশ্বখ্যাত যুদ্ধবিরোধী প্রতীক। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমার আঘাতে এর অনেকখানি ধ্বংস হয়, এর অবশিষ্টাংশ আজ সংরক্ষিত,অনেকটা পোড়োবাড়ীর মত দেখতে। চারিদিকে অসংখ্য নতুন স্থাপত্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করছে যুদ্ধের ভয়াবহতা, বলছে মানববিশ্বের অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধ নয় শান্তি।

পরদিনের গন্তব্য বার্লিনের অন্যতম দর্শনীয় স্থান অ্যালেক্সান্ডার প্লাতস। ১৮০৫ সালে রাশিয়ার জার প্রথম অ্যালেক্সান্ডারের বার্লিন ভ্রমণের স্মরণে এর নাম রাখা হয়েছে। সেযাত্রার ভ্রমণসঙ্গিনী প্রাচ্যদেশীয় প্রেমিকার আপত্তি না থাকাতে হোটেল থেকে পদব্রজেই গেলাম, পথ চিনতে নিতে কোন সমস্যা হয় নি কারণ বার্লিনের প্রায় সবখান থেকেই আপনি দেখতে পাবেন Alexandar Platz এ অবস্থিত টেলিভিশন টাওয়ার। এই শহরের সবচেয়ে উঁচু স্থাপত্য, ৩৬৫ মিটার উঁচু। চাইলে টাওয়ারে উঠে চিত্তহরণকারী বার্ড আই ভিউ নিতে পারবেন, রোদ ঝকঝকে দিনে ৪০ কিমি দূর পর্যন্ত দেখা যায় টাওয়ারের দর্শনার্থী প্লাটফর্ম থেকে।

196_35705165496_7002_n

এর কাছেই অবস্থিত লাল ইটের তৈরি বার্লিনের নগর ভবন, যা পরিচিত Rotes Rathaus নামে, সুদৃশ্য এক স্থাপত্য। সেখান থেকে গুটি গুটি পায়ে কখন যে Museum Island-এর বিখ্যাত বার্লিন ক্যাথেড্রাল আর জাদুঘরগুলোর সামনে চলে এসেছি বুঝতেই পারিনি। হঠাৎ নজরে আসার পরপরই মনে হল পাবলো নেরুদার অসামান্য কবিতার মত বলে উঠি এ কী অসামান্য গুপ্তধন। সারি সারি গ্রীক ভবন যেন তুলে নিয়ে এসে বসিয়েছে ময়দানব। আমি মুগ্ধ, বিমোহিত, অভিভূত।

196_35705815496_7772_n

এই Museum Islandএ বার্লিনের প্রথম জনবসতি গড়ে ওঠে ১২৪৪ সালে, বিশ্বের সেরা জাদুঘরগুলো কয়েকটি বর্তমানে এই দ্বীপেই অবস্থিত, অসংখ্য অমূল্য ঐতিহাসিক নিদর্শন, চিত্রকর্মে জাদুঘরগুলো সংগ্রহশালাগুলো যে কতটা সমৃদ্ধ তার বর্ণনা এত স্বল্প পরিসরে না দিয়ে আলাদা কয়েকটা পোস্ট দিলেই মনে হয় ভাল লাগবে, তবে ২৬০০ বছরের পুরনো ব্যবিলনের ইসথার গেটের কথা আলাদা ভাবে উল্লেখ করতেই হল, প্রাচীন ব্যবিলন নগরীর এই ফটক, যার নিচ দিয়ে আলেক্সান্দার বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করেছিলেন তা প্রত্নবিশ্বের অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ হিসেবে পরিচিত, এখন Pergamon জাদুঘরে এর অবস্থান।

Ishtar_Gate_at_Berlin_Museum

(ইসথার গেটের ছবিটি উইকি থেকে নেয়া)

সময়ের স্বল্পতা হেতু ১০০ নং বাসে চেপে বসলাম যা বার্লিনের ১৭টি প্রধান আকর্ষণের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে যাত্রাপথে। দেখা হল ভিক্টোরিয়ার বিজয় স্তম্ভের (Triumphal Column) সাথে, ১৮৬৪ সালে জার্মানির এক যুদ্ধ জয়ের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হয় এই সুউচ্চ কলাম যার শিখরে অবস্থিত একটি সোনালি, উড্ডয়নের চেষ্টারত দেবীমূর্তি, যিনি বিজয়ের প্রতীক।

196_35705185496_9736_n

196_35705175496_8825_n

চোখে পড়ল ১৮৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বার্লিন চিড়িয়াখানা, একক চিড়িয়াখানা হিসেবে সমগ্র বিশ্বে এরই রয়েছে সবচেয়ে বেশী ধরনের প্রজাতির সংগ্রহ। তার পরপরই নজরে আসল বার্লিনের বিখ্যাত সংসদ ভবন

196_35705450496_4529_n

এবং বার্লিনের প্রতীক হিসেবে পরিচিত Brandenburg গেট বা বার্লিন গেট। গ্রীকপুরাণের উপকথার ভিত্তিতে নিরমিত এই গেট এবং এর সুউচ্চ কলামগুলোতে খোদাই করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা পুরাণ কাহিনী। গেটের সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে বিখ্যাত ভাস্কর্য QUADRIGA, চারটি ঘোড়াটানার রথে উপবেস্টিত রমান যুদ্ধজয়ের দেবী ভিক্টোরিয়া।

Reichstag বা জার্মান পার্লামেন্ট ভবন অনুপম স্থাপত্যশৈলীর আরেক অনুপম নিদর্শন। এর ছাদে অবস্থিত কাঁচের তৈরি বিশালাকৃতির গম্বুজ, ফলে অনেক দূর থেকেই এর ভিতরে অবস্থানকারীদের দেখা যায়। এটি নিউ রেনেসা ধাঁচে নির্মিত, এবং কোন প্রবেশমূল্য নেই!

196_35705460496_6380_n

বার্লিন গেটের সামনে বিশাল রাস্তা, খোলা সবুজ প্রান্তর, শীতের অত্যাচারে পাতাহারা গাছগুলোতে ছোট ছোট অসংখ্য বৈদ্যুতিক বাতির সংযোগ দেয়া হয়েছে সন্ধ্যার পর, যা রাতের বার্লিনকে করেছে অপরূপা। এ যেন রূপকথার রাজ্য, অদূরে দেবী ভিক্টোরিয়ার সোনালি ভাস্কর্য, জোনাকির মত জলন্ত-নিভন্ত লাখো লাখো বৈদ্যুতিক বাতি, জাত-বেজাতের খাবারের দোকান, ট্যুরিস্ট শপ, দোকানীদের হাঁকডাক, বিশ্বের প্রায় সব বর্ণের, সব ধর্মের পর্যটকদের ভিড়, সবমিলিয়ে জায়গাটি পরিণত হয়েছে বিশ্ব মানবতীরে।

সম্ভবত বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভবনে দেখি দুই দশক ছাত্র পড়িয়েছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন , তার স্মরণে খোদাইকরা প্রতিকৃতি।

196_35705465496_7289_n

কাছেরই আরেক ভবনে খোদাইকৃত নোটিশে দেখি লেখা আছে এই ভবনের শিক্ষকতা করতেন পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম প্রধানশাখা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জনক Max Planck, এই দুই মহান পদার্থবিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোজা হোটেলে ফেরত।

পরদিন বার্লিনে অবস্থানের শেষ দিন, এত অল্প সময়ে এই বিশাল মহানগরীর ছিটেফোঁটাও দেখা সম্ভব না, সময়ের অভাবে দেখা হল না নরদানব হিটলারের বাংকার যেখান তার জীবনে সমাপ্তি ঘটেছিল আত্মহত্যার মাধ্যমে , নাৎসি বাহিনীর নির্মিত অলিম্পিক স্টেডিয়াম যেখানে ১৯৩৬ সালে অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এমনই অসংখ্য জায়গা।

শেষ দিনের অল্প সময়ে বোঝার চেষ্টা করলাম বার্লিনকে, এর অধিবাসীদের। বাস আর পাতালরেলে চেপে ঘুরে বেড়ালাম শহরের এই প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, দেখা দিল ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় সিনাগোগ, ২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত নাৎসি বাহিনীর কিছু অফিস, বন্দী নির্যাতনের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, কিছু বিখ্যাত উদ্যান, দারিন সব ভাস্কর্য।

উল্লেখ্য, অন্যসব রেকর্ডের সাথে সাথে বার্লিন আরেকটি রেকর্ডেরও অধিকারী, ইউরোপের সবচেয়ে বেশী সমকামী বাস করে এই শহরে, বেশ কবার দেখলাম দেয়ালে লেখা Super Gay Berlin, The Gayest City ইত্যাদি।

যারা বার্লিন যাবেন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে তাদের প্রতি প্রত্যাশা, চেষ্টা করবেন বার্লিন Walk Tourএ অংশ নেবার, এতে মহানগরীর অসংখ্য স্থান আপনার দেখা হয়ে যাবে, আর যাদের একান্তই সময়ে কুলোবে না, তারা ১০০ অথবা ২০০ নং বাসে চেপে শহরটা ঘুরে দেখবেন, ফলে খুবই সস্তাতে বার্লিনের প্রায় সমস্ত আকর্ষণগুলো আপনার দেখা হয়ে যাবে যাত্রাপথেই।

Ostabanhof রেলস্টেশন আমাদের শেষ গন্তব্য, ট্রেনে উঠে না দেখার অসন্তুষ্টিতে নয় বরং অল্প কয়দিনে বার্লিন ভ্রমণের টুকরো টুকরো স্মৃতি বুকটাকে আনন্দে ভরিয়ে তুলল। মনে মনে বলছিলাম- Berlin- The Most Impressive City, বিদায় বার্লিন, আবার দেখা হবে।

ট্রেনে ছুটে চলেছে, কুউউ, শেষবারের মত দেখা দিল বার্লিনের প্রাচীর। আবার যাত্রাপথে আমরা, পরবর্তী গন্তব্য- হামবুর্গ ।

196_35705170496_7876_n

( বার্লিন খুবই প্রিয় শহর আমার, পরে আরও অনেকবার যাওয়া হয়েছে সেখানে, কিন্তু এটি ছিল সেখানে প্রথম ভ্রমণের স্মৃতি, পুরনো রোজনামচা ঘাঁটতে গিয়ে ২০০৪ সালে লেখা অংশটি পেয়ে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। ছবিগুলো নানা সময়ে তোলা তবে এই এক দশকে উল্লেখিত কোন কোন তথ্য পরিবর্তিত হয়ে থাকতেও পারে ! কাঁচা আবেগ মোড়া লেখায় উৎসাহময় আতিশয্যের বাহুল্য ক্ষমাপ্রার্থনীয়। )


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

ব্যর্লিনের আরো বৈশিষ্ট্য আছে।
১। ইউরোপের মেজর শহরগুলোর মধ্যে খাওনদাওন সবচে বৈচিত্রময়ী এবং সস্তা।
২। রাতে থাকার জায়গাও বেজায় সস্তা। ৯ইউরো দিয়ে ইউথ হোস্টেল।
৩। ব্যর্লিনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সেরাম। এবং সেই সাথে সস্তা।
৪। ব্যর্লিনের কোন নির্দিষ্ট সেন্টার নাই। সেন্টার হতে পারে এরকম বেশ কয়েকটা পয়েন্ট আছে সেখানে।

তারেক অণু এর ছবি

হাততালি

আইয়া গেছে এক ডয়েচ পেমিক, বাকীরাও আইলো বইলা

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি

ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের নামঅলা প্ল্যাঙ্কের ছবি কই?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

পাচ্ছি না খজে! ছরি-- মন খারাপ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

ভাই যাচ্ছে নভেম্বরে, বলব যেন ছবি নিয়ে আসে! নাহ্লে আমিই যামু

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

জেসমিন  এর ছবি

আগামী সপ্তাহে দুই দিনের সফরে বার্লিন যাওয়ার আশা রাখি । আল্লাহ জানে কতটুকু দেখতে পারবো এই অল্প সময়ে । আপনার পোস্টটি ভীষণ কাজে লাগবে কোন কোন জায়গা দেখা যাবে জানতে ।
শুভেচ্ছা নিবেন । হাসি

তারেক অণু এর ছবি

বাহ বাহ! অল দ্য বেস্ট

সাফি এর ছবি

আম্নে বলে আম্রিকা আইতেছেন? কবে কোন্ঠে?

তারেক অণু এর ছবি

আম্রিকা খ্রাপ, আফ্রিকা যাইতাছি--- শয়তানী হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

মনে হইলো আপনের লগে ঘুইরা আইলাম। চমৎকার হইছে চলুক

- আরাফ করিম

তারেক অণু এর ছবি

লন যাই

সুবোধ অবোধ এর ছবি

হাততালি
অনেক কিছু জানলাম। থ্যাঙ্কু...

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা

এক লহমা এর ছবি

চলুক
যেতে হবে একদিন সে দেশে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তারেক অণু এর ছবি

বটে?

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

তারেক অণু এর ছবি
Emran  এর ছবি

চলুক

ভাই, "চেকপয়েন্ট চার্লি"-র কথা লিখলেন না? নাকি ওইটা পরের কোন পোস্টে দিবেন?

তারেক অণু এর ছবি

প্রাচীর দিয়ে আলাদা পোস্টে দিব, ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ভ্রমন কাহিনী আর পড়বো না যান চোখ টিপি ।পড়লেই আক্ষেপের আগুনে পুড়ি,ঘুরে দেখার লিষ্টে আরো একটা নাম বৃদ্ধি করি।না,আর পড়বো না এই লোভনীয় করে আপনার লেখাগুলি,দেখবো এই অসহ্য সুন্দর সুন্দর ছবিগুলি। চোখ টিপি
দেঁতো হাসি
মাসুদ সজীব

তারেক অণু এর ছবি

আরেহ, আমরা আমরাই তো !

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হেহ... একলা ঘুইরা এখন "আমরা-আমরা" খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু গুরু দারুন বর্ণনা ! বার্লিন নিয়ে পারলে আরো কয়েকটা পোষ্ট দিয়েন। বার্লিন যাবার খরচটা অন্তত বেচে যাবে ।

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু গুরু দারুন বর্ণনা ! বার্লিন নিয়ে পারলে আরো কয়েকটা পোষ্ট দিয়েন। বার্লিন যাবার খরচটা অন্তত বেচে যাবে ।

ফাহাদ

তারেক অণু এর ছবি

কন কী! কন কী ! যাওয়াটা দরকার-

অতিথি লেখক এর ছবি

কোলাকুলি

মাসুদ সজীব

তারেক অণু এর ছবি
মেঘলা আকাশ এর ছবি

এই তোমার নেকা-পড়া নেই অ্যাঁ!!

তারেক অণু এর ছবি

লেখা পড়া করে যে, গাড়ি চাপা পড়ে সে !

সৈয়দ মনজুর মোর্শেদ এর ছবি

হাততালি

লোভ লাগিয়ে দিলেন মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

লোভ থেকেই ইচ্ছাপূরণ !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

লেখা পড়ে ঘুরে আসলাম ইসাডোরা'র শহর!

তারেক অণু এর ছবি
মিলু এর ছবি

লেখাটা খুবই ছোট, মনে হল দৌড়ে দৌড়ে লিখেছেন! চিরাচরিত তারেক অণুকে ঠিক পেলাম না। সামনে বড় করে পোস্টাবেন আশা করি।

তারেক অণু এর ছবি

বছর দশক আগের লেখা তো ! হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

যারা বার্লিন যাবেন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে তাদের প্রতি প্রত্যাশা, চেষ্টা করবেন বার্লিন Walk Tourএ অংশ নেবার, এতে মহানগরীর অসংখ্য স্থান আপনার দেখা হয়ে যাবে, আর যাদের একান্তই সময়ে কুলোবে না, তারা ১০০ অথবা ২০০ নং বাসে চেপে শহরটা ঘুরে দেখবেন, ফলে খুবই সস্তাতে বার্লিনের প্রায় সমস্ত আকর্ষণগুলো আপনার দেখা হয়ে যাবে যাত্রাপথেই।

আশা করতে দোষ কি? দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

আশাই জীবন, সেই আশাতেই এগিয়ে চলা

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

চলুক

____________________________

তারেক অণু এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

বার্লিন প্রাচীরের মারাত্মক একটা অংশ এ্যাডাই-
IMG_0141
এই ছবিটা কী ও কেনো, সেটা ছবিতেই স্পষ্ট!

ছিদ্রান্বেষণ করা যার স্বভাব, সে সবখানেই ছিদ্র খুঁজে বেড়ায়। প্রমাণ এখানে- রাইশটাগ ভবনের ছাদে উঠে ছিদ্র দিয়ে নিঃসীম নীলাকাশ দেখে-
IMG_0173

ছিদ্রান্বেষণের এখানেই সমাপ্তি ঘটেনি গো। নিচের দিকেও ছিদ্র দিয়ে কিছুমিছু দেখা যায় কি-না, তার চেষ্টা করে-
IMG_0175

ছেদা খুঁজন্ত আরও অনেক জলজ্যান্ত ছবি বিদ্যমান আছে। সেগুলো দেয়া সমীচিন হবে না বলেই ঠাহর করলাম এযাত্রা!

তারেক অণু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি হাততালি

এই ভবন নিতে একটা পুস্টান মুরব্বী

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

বার্লিন আর যাব না। দেখা শেষ। দেঁতো হাসি

তাহসিন রেজা

তারেক অণু এর ছবি

আরেহ না ! জলদি যান

মইনুল রাজু এর ছবি

কেন জানি মনে হচ্ছে, লেখাটা আরো কিছু ভালো ছবি দাবী করে। বিশেষ করে বর্ণনা অনুযায়ী তুলনাহীণ বার্লিন শহরের সাথে তাল মিলানোর জন্য। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

তারেক অণু এর ছবি

হে হে, ভালো ছবি নাই, তাই তো আলোকচিত্র ট্যাগ করি নাই ! পরের বার খাইছে

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

তারেক অণু এর ছবি
প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বার্লিন ঘুরে এলাম। এই যে আপনার সাথে ! হাসি

তারেক অণু এর ছবি

আপনি কোথায়?

ধুসর জলছবি এর ছবি

ছোটবেলায় সুনীলের 'ইতিহাসে সপ্নভঙ্গ' পড়ার পর থেকে যে কয়েকটা জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে খুব প্রবল বার্লিন তার মধ্যে একটা। আপনার এই পোস্ট আবার নতুন করে সেটা মনে করিয়ে দিল।

তারেক অণু এর ছবি

যাবেন যাবেন !

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম প্রথম আপনার লেখা পড়ে ভীষণ হিংসা লাগতো কিন্তু এখন মুনিঋষিদের মত নির্লিপ্ত হয় গেছি আর হিংসা লাগে না, এখন শুধু রাগ হয় রেগে টং । খুবই খারাপ লোক আপনি, চরম উদাসদার মত আমারও আপনাকে নরখাদকদের হাতে তুলে দিতে ইচ্ছা হচ্ছে শয়তানী হাসি । বার্লিন যাওয়ার স্বপ্ন আমার বহুদিনের কিন্তু এই জন্মে তা হবে বলে মনে হচ্ছে না আর আপনি বারবার বার্লিন ঘুরে বেরাচ্ছেন ওঁয়া ওঁয়া
লেখা লেখা -গুড়- হয়েছে
ইসরাত

তারেক অণু এর ছবি

আমাদের সবার পূর্বপুরুষই নরখাদক ছিল শয়তানী হাসি

তারেক অণু এর ছবি

আসিতেছে

এস এম নিয়াজ মাওলা  এর ছবি

ছবি, ছবি, আরো ছবি চাই---

-নিয়াজ

তারেক অণু এর ছবি

হ, পরের বার

মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এর ছবি

তারেক অনুর লেখা মানেই খুব রসিয়ে রসিয়ে পড়া, এটা সবাই জানে। কিন্তু এত বুদ্ধি লইয়া অনু ভাই ঘুমায় কেমনে সেটা কয়জন জানে?
বার্লিনের গল্প প্রাণ ছুঁয়ে গেল অনু ভাই গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি

বেশী জনের জানার কী দরকার চিন্তিত দেঁতো হাসি

ফ্রুলিংক্স এর ছবি

কয়েকবারই যাওয়া হয়েছে।
সপ্তাহখানেক আগে ঘুরে আসলাম। পাশেই থাকি তবু সবকিছু দেখা হয় নাই।

তারেক অণু এর ছবি

আবার যাবেন !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।