গরু ও মানবসমাজ

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ১০/১১/২০১৪ - ৩:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

31naslrVL1L._SY344_BO1,204,203,200_

শিশুকাল থেকেই বাসগৃহে গরুর অস্তিত্বের স্মৃতি ঘুরে বেড়ায় ধূসর মস্তিষ্কের কোষে কোষে। ছোট বোন জন্মাবার পর বাবা ঘোষণা দিলেন- আমার বাচ্চারা গরুর খাঁটি দুধ খাবেই খাবে! ব্যস, গ্রাম থেকে আনা হল বাছুরসহ দুধেল গাই। প্রতি বিকেলে সেটা দোয়ানো হত, অনেক সময়ই কৃতার্থ বোধ করতাম সেই সময় গরুর মুখে বসার চেষ্টারত মাছি তাড়াবার দায়িত্ব পেয়ে! নাকে এসে লাগত টাটকা দুধের অদ্ভুত এক গন্ধ, আর নিয়মিত ছন্দে তার ধাতব পাত্রে পড়ার প্রথম ঝঙ্কার যেন কানে লেগে আছে আজও। এইভাবেই পরিচয় গরু, তার খাদ্য, অসুখ সম্পর্কিত নানা বিচিত্র শব্দের সাথে- গোয়াল, ভুষি, খইল, জাবর কাঁটা, ক্ষুরা রোগ, মুখে গোমাই বাঁধা, পশুচিকিৎসক ইত্যাদি ইত্যাদি। গোয়ালে কোন কোন সময় ৫-৬টা গরু ছিল, সবার আগে আগত গাইটির নাম ছিল বুড়ি, আর তার বাচ্চাদের নাম রাখা হত জন্ম বার অনুযায়ী- বুধবার হলে বুধি, শনিবার হলে সোনিয়া, সোমবারে শমি – এমনই সব। হয়ত জীবনের প্রথম দিককার অনেক স্মৃতি তাই গরু জড়িয়েই।

আসলে কেবল আমারই না, সমগ্র মানবজাতির সংস্কৃতির ইতিহাসে গরুকে পোষ মানানোর চেয়ে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্ভবত আর নেই। আর কোন প্রাণীও মানব সমাজে এতটা প্রভাব বিস্তার করে নি যতটা করেছে গরু একক ভাবে। তবে এই তথ্যগুলো পেলাম হান্নাহ ভেলতেনের লেখা অসাধারণ বই COW পড়তে গিয়ে। Reaktion Books Ltd এর প্রকাশিত প্রাণীজগতের প্রতিটি বইই দুর্দান্ত লাগে, তার মাঝেই আলাদা জায়গা করে নিল তথ্যপূর্ণ বইখানা।

বইয়ের প্রথম অধ্যায়েই মানুষ কিভাবে বুনো ষাঁড় কে পোষ মানালো সেই প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে জগতের সমস্ত পোষ মানা গরুর আদিপুরুষ ছিল Bos primigenius নামের এক বুনো গরুর প্রজাতি, যা মূলত Auroch বা অউর্ক নামেই পরিচিত। ২০ লক্ষ বছর আগে বিবর্তনের পথ ধরে এদের উদ্ভব ঘটে এশিয়ায়, তারপর মধ্য প্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ধরে মাত্র আড়াই লক্ষ বছর আগে এরা ইউরোপ পৌঁছায়। সময়ের তাগিদে, ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় খাপ খাইয়ে নেবার জন্য এদের মাঝে নানা উপ-প্রজাতির আবির্ভাব ঘটে অঞ্চল ভেদে, এরা সাধারণত ৭ ফুট উঁচু এবং মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ১১ ফুট দীর্ঘ হত, যাদের শিং-ও হতো ৬ ফুটের কাছাকাছি! যে কারণেই হয়ত জুলিয়াস সিজার এমন ষাঁড়ের মুখোমুখি হবার পর বলেছিলেন- এরা হাতির চেয়ে সামান্য ছোট!

ইউরোপের গুহাচিত্রগুলোতেই প্রথম মানুষ আর অউর্কের মেলবন্ধন প্রমাণ সমেত পাওয়া যায়, ঘোড়া এবং বাইসনের পড়ে অউর্ক-ই ছিল সবচেয়ে বেশি আঁকা প্রাণী! ১৯ হাজার বছর আগের আঁকা ফ্রান্সের বিখ্যাত গুহাচিত্রগুলো তাকে আঁকা হয়েছিল ৫২ বার!

images

মানুষ শুধু মাংসই হয়, অউর্কের হাড় (যন্ত্র, গহনা), চামড়া (পোশাক), শিং ( তরল রাখার পাত্র, পূজার বস্তু), চর্বি সবই ব্যবহার করত। মিশরের শেষ বুনো অউর্ক শিকার করেছিলেন ফারাও তৃতীয় আমেনহোটেপ প্রায় ৩৫০০ বছর আগে, কিন্তু এর অনেক পড়েই ইউরোপের নানা অঞ্চলে বিশেষ করে জার্মানি ও পোল্যান্ডে তাদের বিচরণ অব্যাহত থাকে, আসলে পোল্যান্ডই ছিল তাদের শেষ আশ্রয়স্থল। পোলিশ রাজাদের কাছে অন্যতম শখের ট্রফি ছিল অউর্কের হৃৎপিণ্ডে থাকা দুটি ক্ষুদের হাড় এবং কপালের চামড়া! অবশেষে ১৬২৭ সালে পৃথিবীর শেষ অউর্ক প্রাকৃতিক ভাবেই মারা যায়। আসলে মানুষের লিপিবদ্ধ করা হিসেবে অউর্ক-ই ছিল প্রথম বিলুপ্ত হওয়া প্রাণী, ২য় ছিল ডোডো পাখি।

প্রায় ৯০০০ বছর আগে মানুষ প্রথম অউর্ককে পোষ মানানোর চেষ্টা করে। বিশেষ করে অউর্কের বাঁকানো তীক্ষ দুই শিং পরবর্তীতে চন্দ্রদেবীর প্রতীকের সাথে মিলিয়ে নেওয়া হয়, এবং দেবীর সন্তুষ্টির জন্য নিয়মিত পশু বলি চলতে থাকে। নিওলিথিক যুগে সিন্ধু উপত্যকা, মেসোপটেমিয়া, আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব সাহারাতে একই সাথে বলা চলে যে পোষ মানা গরু ছিল। ২০০০ বছর আগে রোমান ঐতিহাসিক ভাররো রেয়াটিনুস ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছিলেন যে পশু সম্পদই সকল অর্থের উৎস! যে কারণে ল্যাতিন, ইংরেজি এবং ফ্রেঞ্চ শব্দের সংমিশ্রণে গবাদিপশু বা Cattle শব্দটি আমরা ব্যবহার করি, সেখান থেকেই পুঁজি বা Capital শব্দের উদ্ভব! আবার Vaccination এসেছে ল্যাটিন শব্দ Vacca থেকে যার মানে গরু!

গবাদিপশু যেমন ছিল মূল্যবান প্রাণী, তেমন তাদের রাখার ব্যবস্থাও ছিল বেশ ব্যয়বহুল, ফলে একমাত্র ধনীরাই সেগুলো রাখতে পারত, এবং তারা অপেক্ষাকৃত দরিদ্রদের সেগুলো ধার দিত বিশেষ শর্তে। এই প্রসঙ্গে যেমন হামুরাবির পাথরেও শর্ত লেখা ছিল, তেমন ছিল ঐতিহাসিক প্লিনি দ্য এল্ডারের বর্ণনাতেও এবং হেরোডোটাসের বইতেও। হাজার বছর আগেও জিম্বাবুইতে গরুর মালিক ধনী লোকেরাই কেবল পাহাড় চুড়োয় দেয়াল ঘেরা ক্রেইলে থাকতে পারত, আর দরিদ্ররা থাকতে উপত্যকায়।

কৃষিকাজ শুরুর পরপরই নানা ষাঁড়-দেবতার কাহিনীর উদ্ভব ঘটে প্রতি এলাকাতেই। মেসোপটোমিয়ার ইনলিল এবং নিনলিল নামের গরুর মূত্র থেকে আসা তাইগ্রিস- ইউফ্রেতিস নদীর বর্ণনা যেমন পাই, তেমনই আসে গিলগামেশ মহাকাব্যে স্বর্গের ষাঁড়ের সাথে লড়াইয়ের কাহিনী, আকাশে ঠাই পায় বৃষ রাশি, এভাবে মিশর, ভারত, গ্রীস, রোমান, কেল্টিক ইত্যাদি এলাকার কিংবদন্তী ঠাই নিয়েছে দুই মলাটের মাঝে। সেই সাথে আছে আদিকাল থেকে চলে আসা ষাঁড় নিয়ে চলা নানা ক্রীড়া ও প্রতিযোগিতার কথা, যার মাঝে উঁকি দিয়ে যায় আর্নেস্ট হেমিংওয়ের দ্য সান অলসো রাইজেস উপন্যাসের এমন কিছু অংশ।

অবশ্যম্ভাবী ভাবেই আসে এরপর ষাঁড় শিকার, সিজারের আমল থেকে শুরু করা ষাঁড়ের লড়াইয়ের আধুনিক বুল ফাইট যা শুরু হয় ১৭২৬ সালে তার গল্প। পিকাসো, গয়্যা, মানের শিল্পীতে আঁকা ম্যাটাদোর, পিকাদোর এবং লড়ুয়ে ষাঁড়, লাল পতাকা, রক্তের কিছু চিত্রকর্ম। পিকাসোর গুয়ের্ণিকাতে আঁকা ষাঁড়টিই কী চিত্রশিল্পের সবচেয়ে বিখ্যাত ষাঁড়?

আর অসামান্য কিছু টুকরো টুকরো তথ্য, যেমন- ১৪৯৩-৯৬ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২য় অভিযানে কলম্বাস লং হর্ন স্প্যানিশ গরু নিয়ে গিয়েছিলেন। বা ১৮৩৪ সালে পূর্ব ফকল্যান্ডে অবস্থানকালীন সময়ে চার্লস ডারউইনের আর্জেন্টিনার বিখ্যাত কাউবয় গাউচোদের এক গরু শিকারের অভিযানের বর্ণনা।

গরু নিয়ে আলাদা অধ্যায়ে অসাধারণ সব স্কেচ আর পেইন্টিং দিয়ে জানানো হয়েছে আদিকাল থেকে এখন পর্যন্ত মানুষ গরুকে সবসময়ই একটি বিশেষ সন্মান দিয়েই এসেছে। সম্ভবত তার শান্ত স্বভাব, দুধ দেওয়া, গোবরের যোগান, বাছুরের জন্মদান এইসব কারণের সন্নিবেশনের জন্যই। সেই সাথে আছে সকল দেশের পুরাণে গরুর গুরুত্ব এবং গরু থেকে উদ্ভুত দেব-দেবীর বর্ণনা। বাদ যান নি অধুনা চার্লস ডিকেন্স, ডি এইস লরেন্স, টমাস হার্ডির গরু সম্পর্কিত রচনাও! গৃহপালিত গরুর পেইন্টিং আঁকা শুরু হয় ১৬৫০ সালের দিকে মূলত হল্যান্ডে , পরবর্তীতে শুটিন, মার্ক স্যাগাল, ফ্রান্সিস বেকন অনেকেই করে গেছেন এই চর্চা।

আলাদা অধ্যায়ে আছে গরুর গাড়ী ও তার অন্যান্য ব্যবহার, বিশেষ করে পরিবহণের কাজে । যেমন ভাবে ভারতবর্ষে পবিত্র গরু ( সেই সাথে গোবিন্দ, শিব, নন্দী- গরু সম্পর্কিত নানা চরিত্রের বর্ণনা) বার বার ঘুরে আলোচনায় এসেছে, তেমনি এসেছে আফ্রিকার মাসাইদের গরুর রক্ত পান।

ওয়াইল্ড ওয়েস্ট মানেই কাউবয়, কিন্তু সত্যিকারের কাউবয়েরা যারা গরুর মানসিক জগত, দৈহিক ব্যাপারস্যাপার, গরুর খাদ্য, দলবদ্ধ গরু আর প্রতিটি গরু আলাদা ভাবে জানত তাদের কোন পাত্তা ছিল না। জন ওয়েনের আমলের অনেক সিনেমাকেই তাই The Cowboy without Cattle উপাধি দেওয়া হয়েছে।

বইয়ের শেষে বলা হয়েছে গরুর বাণিজ্যিকরণ , সারা বিশ্বের গরুর বিশাল বাজার, এবং তার ভবিষ্যৎ নিয়ে।

গরু নামের প্রাণীটি যে কী পরিমাণ ভূমিকা রেখেছে এবং রাখছে আমাদের সমাজ গঠনে তা প্রায়শই ভুলে যায় সকলেই, যেহেতু অনেক দেশেই আমরা গরু সরাসরি দেখতে পাই না! অথচ আমাদের টেবিলে হাজির থাকে গরুর দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, সেই সাথে মাংস। তথ্যপূর্ণ বইটি পড়লে আপনি হয়ত অন্য দৃষ্টিতে তাকাবেন গরুদের দিকে এরপর থেকে, এবং কৃতজ্ঞতা জানাবেন সেই আদিপুরুষদের যারা অউর্ককে পোষ মানিয়ে গরু পর্যন্ত নিয়ে এসেছিল।

(ব্যবহৃত ছবি দুটি আমাজন এবং উইকি থেকে নেওয়া)


মন্তব্য

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অবশ্যই বিশেষ তথ্যবহুল লেখা। আগ্রহোদ্দীপকও বটে। হাসি

তারেক অণু এর ছবি
সজীব ওসমান এর ছবি

সমগ্র মানবজাতির সংস্কৃতির ইতিহাসে গরুকে পোষ মানানোর চেয়ে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্ভবত আর নেই।

এটা ঠিক কতটুকু যুক্তিযুক্ত অভিমত? আগুন এবং কৃষির আবিষ্কার গরুর পোষ মানানোর চেয়ে আগেই হয়েছে আর মানব সংস্কৃতিতে অতি গুরুত্বপূর্ন ঘটনা। কৃষি সম্ভবত অধিকতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। এর আবিষ্কারের ফলেই আধুনিক মানবজাতির বিকাশ ত্বরান্বিত হয়, যার সঙ্গে গরুর পোষ মানানোর প্রয়োজনীয়তাও জড়িত। যাযাবর আর শিকারী মানুষের কুকুর ছাড়া অন্য কিছু পোষ মানানোর তেমন প্রয়োজন পরেনি। যদিও সেটা হয়েছে কৃষি আবিষ্কারের প্রায় সমসাময়িক সময়ে।

তারেক অণু এর ছবি

এইটা লেখার সময়ে আমিও চিন্তা করেছি যে আগুনের ব্যবহারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কী আছে? ঐ বাক্যটা স্রেফ অনুবাদ করা, যা প্রথম পাতাতেই দুই বার ছিল, তখন মনে হল এইটা অন্য কোন আঙ্গিক থেকে হতে পারে, হয়ত আগুন এবং কৃষিকাজকে তারা সংস্কৃতি বা সামাজিক আচার হিসেবে মনে করে নি।

আপনার চোখে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

সজীব ওসমান এর ছবি

হুমম। কিন্তু আগুনকে প্রথম নিয়ন্ত্রণে আনার ঘটনার সময় 'হোমো স্যাপিয়েন্স' ছিলনা। তাই ধরে নিলাম এটা 'মানব সংস্কৃতি' এর আওতায় পরেনা। কিন্তু কৃষি নিঃসন্দেহে সংস্কৃতির মধ্যে পরে। নাহলে গরু পোষ মানানোও সংস্কৃতি নয়। লেখক হয়তো অন্য কিছু বোঝাতে চেয়েছেন। যাই হোক, বইটা পড়ে দেখার আগ্রহ রইল। লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।

তারেক অণু এর ছবি

আমারও তাই মনে হয়, কিন্তু কোটেশন বিঁধায় সদুত্তর পেলাম না ।

শুভেচ্ছা

মন মাঝি এর ছবি

গরুর খাঁটি দুধ

আচ্ছা, গরু কি ভেজাল দুধ দেয়? হো হো হো

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

নাহ, মানুষই ভেজাল দেয় গরুর খাঁটি দুধে

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পোস্ট এডিট করো। টাইপো চোখে লাগে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তারেক অণু এর ছবি

তথাস্ত।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

গরু নিয়ে এমন একট পোস্ট, ভাবাই যায় না। বইটার জন্যও মুখিয়ে রইলাম।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

তারেক অণু এর ছবি

এই সিরিজের সব বইই বস, পিঁপড়া থেকে নীল তিমি পর্যন্ত।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

এগুলোর তো অনুবাদ হেওয়া উচিত অণুদা, বইগুলো কোথায় পাওয়া যায় বলবেন?

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

তারেক অণু এর ছবি

আমি অনেক খুঁজে মাত্র ৪টা পেয়েছি। বিলেতে থাকে এমন কাউকে দরকার, আবার অনুবাদের অনুমতিও দরকার হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

খাদ্যে আর অর্থনীতিতে গরুর ভূমিকা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা।
তথ্যবহুল লেখা।

ভালো থাকবেন অণু।
আপনার জন্য শুভকামনা।

---------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

তারেক অণু এর ছবি

তা তো বটেই, এবং মানুষের বিশ্বাসেও

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

মানব সভ্যতায় গরুর ভূমিকা অপরিসীম, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। সে কারনেই হয়ত বঙ্গদেশের বিদ্যালয় সমূহে বাংলা দ্বিতীয় পত্রে গরুর রচনার অবস্থান পয়লা নম্বরে। সবার স্মৃতিতেই বোধ হয় রয়ে গেছে গরুর রচনা বিষয়ক অম্লমধুর নানা কাহিনী। এমনি দুটি কাহিনীর স্মৃতিচারন করা যাক-
১। স্কুলে আমাদের জুনিয়র ছাত্র পল্টুকে নিয়ে সবাই খুব মজা করত। একবার বাংলা পরীক্ষার পর তার প্রশ্নপত্র নিয়ে পরীক্ষার মান যাচাই চলছে।
-আচ্ছা পল্টু, রচনা কোনটা লিখেছ?
-পল্টু বলল- গরু।
-কি লিখেছ বলতো।
-গরু একটি গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু, ইহার চারটি পা, দুইটি কান, ................ ও একটি লম্বা লেজ আছে।
-তারপর?
-তারপরের টুকু বানিয়ে বানিয়ে লিখেছি।

২। এটি ইন্টারনেটে প্রাপ্ত-
................ গরুর মাংশ খাইলে ব্লাড পেশার, এস্ট্রোক, হার্টফেল ইত্যাদি অসুখে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এইভাবে বাংলাদেশে জন্ম নিয়ন্ত্রনে গরু অনেক সাহায্য করিয়া থাকে ................।

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো লেখা। বইটা পড়ার ইচ্ছা রইলো। শুভকামনা।

-- আরাফ

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ

তাহসিন রেজা এর ছবি

আপনার বই আলোচনা সবসময়ই খুব উপভোগ্য হয়।

Reaktion Books এর বেশ কিছু বই আমার কাছে আছে। বিশেষ করে এই Animal series সত্যি দারুণ। মৌমাছি, বাঘ, হাতি, প্যাঁচা, পিঁপড়া, কবুতর নিয়ে বইগুলো আমার কাছে আছে। আপনার বাঘ নিয়ে আগের পোস্ট পড়ার পর বই গুলা সংগ্রহ করেছিলাম।

ভ্রমণ বিষয়ক লেখাগুলির পাশাপাশি নিত্যনতুন বই আলোচনা আসুক পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

তারেক অণু এর ছবি

আপনে থাকেন কোথায়?? প্যাঁচা নিয়ে ডেসমন্ড মরিসের বইটা গরু খোজা করতেছি!

মেঘলা মানুষ এর ছবি

গরু রচনা পড়ে/ লিখে গরুর প্রতি একটা আকর্ষণ ছিল শিশুকাল থেকেই। তবে, একটা জিনিস আমার অবাক লাগে, একেক দেশর গরু কি আসলেই একেক রকম ভাবে ডাকে? নাকি মানুষের শোনার ভুল? (যেমন, আমাদের ভাষায় গরু হাম্বা, ইংরেজিতে 'মোওওও')

শুভেচ্ছা হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বাপরে গরু নিয়া খালি রচনা না, আস্ত বইই লেখা হয়! অ্যাঁ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।