তৃতীয় পর্ব
[আগের পর্বে লেখার সাথে সাথে ছবি দিয়েছিলাম। কিন্তু আর একজন চেয়েছিলেন লেখা প্রথমে, ছবি শেষে। এবারে তাই থোকায় থোকায় দিলাম]।
মেঘ-মাখান সকাল
জান-এ-মন যেদিন বিবিজান হতে রাজী হলেন সেদিন থেকেই নিজের সৌভাগ্যে আমার প্রবল আস্থা। পরবর্তীতে বহুবার বহু কিসিমের আছাড় খেলেও এই আস্থার ঝান্ডা আজও উঁচু করে রেখেছি। গ্লেসিয়ার বে অভিমুখে নরওয়েজিয়ান ক্রুজ লাইন জাহাজ কোম্পানীর এ বছরের শেষ ক্রুজের সওয়ারী আমরা। আবহাওয়ার ভবিষ্যৎ-বাণী প্রচুর হতাশার কথা বলে রেখেছে। কিন্তু, ঐ যে, আমার আস্থা! আবারো পয়সা উশুল! জাহাজে ওঠার আগের মুহুর্ত পর্যন্ত বৃষ্টি নামেনি! আবার, তিমি দেখার দিনেও সূর্যের আলোর কোন কৃপণতা ঘটে নি! কিন্তু গ্লেসিয়ার বে!
প্রথম যখন সারা পৃথিবীতে উষ্ণতা বৃদ্ধির তথ্য আসতে থাকল, তখন থেকেই অনেক বিজ্ঞানী সন্দেহ করছিলেন যে এই প্রভাব অনেকভাবেই ক্ষতি করবে আমাদের পরিবেশকে। একের পরে এক পরিবেশবিদ একেক ধরণের মডেলিং ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর কুপ্রভাব দেখাতে থাকলেন - কেউ বললেন সমুদ্রের লেভেল ওপরে উঠতে থাকবে, কেউবা বললেন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘনঘন বন্যা হতে শুরু হবে। কিন্তু যত দিন গেছে, জল...