আজ পহেলা মে। মে দিবস, মহান মে দিবস। সারা বিশ্বের জন্য এদিনটি শ্রমিকদের মুক্তিগাঁথা হলেও বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য এটি প্রহসন ব্যতীত আর কিছু নয়। ১৯৭১ সালের পূর্বে পরাধীন কালের কথা বাদ দিলাম, স্বাধীনতা অর্জনের ৪২ টি বছর চলে গেলেও আমাদের শ্রমিকদের কোন স্বাধীনতা নেই, মুক্তি নেই; তারা আজও পুঁজীবাদ আর কর্পোরেট বাণিজ্যের শেকলে আবদ্ধ।
বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতির একটি হল সমাজতন্ত্র। এটি প্রচলিতভাবে সংজ্ঞায়িত সমাজতন্ত্র না হলেও ন্যূণতমভাবে রাষ্ট্র রাষ্ট্রের সকলের জন্য সমান দৃষ্টি রাখবে সে দাবিটি রাখে। কিন্তু এ দাবিটি বাংলাদেশের জন্য বারবার অসার হিসেবেই প্রমাণিত হয়েছে। গরিবেরা বরাবরের মতনই নিগৃহীত, শ্রমিক শ্রেণিটি আরো বেশি অবহেলিত।
[justify]দেশে থাকতে আমি একটা নামী ঔষধ কোম্পানিতে প্রোডাকশন ফার্মাসিস্ট হিসাবে চাকরি করতাম। দেশের সব ঔষধ কোম্পানিগুলো প্রোডাকশনে মেয়ে অফিসার নেয়না কারন মেয়েরা ওয়ার্কার (তাদের ভাষায়) দের সামলাতে পারবেনা। আমি যেখানে কাজ করতাম তাদের অল্প কিছু মেয়ে অফিসার ছিলেন প্রোডাকশনে, তাদের একজন ছিলাম আমি। যখন ভার্সিটিতে পড়তাম ইচ্ছে ছিল পাশ করে মার্কেটিং এ চাকরি করার। ইচ্ছেটা খুব তীব্র ছিল কিন্তু এই তীব্র ইচ্ছেটাও বদলে ছিল ইন প্লান্ট ট্রেনিং এ গিয়ে।
তখন বেশ ছোট। কত হবে বয়স?
সাভারের ব্যাঙ্ক কলোনির দেয়ালগুলো ভরে গেছে 'সন্ধান চাই' বিজ্ঞপ্তিতে। অসংখ্য ছবি, নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর...। বৃষ্টিতে কতগুলোর লেখা মুছে গেছে, ছবি ঝাপসা হয়ে গেছে। রঙিন ছবি, সাদাকালো ছবি... পাসপোর্ট সাইজের ছবি, স্টুডিওতে কোট টাই পরা হাস্যোজ্জ্বল ছবি, পিকনিকে বন্ধুদের ছবি থেকে কেটে আলাদা করা ছবি... কতগুলো প্রাণ, হাসি, আনন্দ, উচ্ছ্বলতা, সম্ভাবনা...
আমরা মানুষ গুনি, কেউ গোনে ভোট!
টিভির পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম কদিন। দৃশ্যগুলো সহ্য হবার নয়। কংক্রিটের পিলারের মাঝে কোমর পর্যন্ত আটকে থাকা এক আলতাফের আকুতিভরা বাক্য 'ভাই আমারে বাঁচান' আমাকে ঘুমোতে দেয়নি দুদিন। এত শত মানুষ মরেছে নির্মমভাবে, কিন্তু আলতাফের আটকে থাকার দৃশ্যটাই আমার চোখে আটকে গেছে। কারণ পরদিন সকালে উঠে জেনেছি আলতাফ চলে গেছে।
আমি সাংবাদিক না ৷ সাংবাদিকতার স ও জানিনা ৷ হয়তবা সঠিক সাংবাদিকতা বা প্রতিবেদনের সম্পর্কে আমার মুর্খতা প্রকাশ পাবে এই লেখাটির মাধ্যমে৷ তবে এতটুকু বলতে পারি যে ৩ -৪ দিন ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে কোনমতে বেচে ফিরে আসার পর 'আপনার কেমন অনুভূতি হচ্ছে' প্রশ্নটি যত সুপরিচিত সাংবাদিকই করুক না ক্যান, আমার জবাব হত "যেই গর্ত দিয়ে আমাকে বের করেছে, সেটা দিয়ে আপনি ধ্বংসস্তূপের ভিতরে খাবার জল বাতাস ছাড়া, পচন ধরা
আজকে আমার একজন জার্মান বান্ধবী জুলি, যে স্থানীয় রাজনীতির অত্যন্ত প্রভাবশালী সদস্য হঠাৎ করেই সাভার ভবনধ্বস সম্পর্কে জানতে চাইল এবং কোন কোন জার্মান কোম্পানি এই কারখানা থেকে পোশাক কিনেছে তার একটা লিস্ট দেখালো। তারা ওই কোম্পানিগুলোর কাছে জানতে চেয়েছে, যে কারখানার মালিক তাদের শ্রমিক এবং ফ্যাক্টরির প্রতি এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন, তাদের কাছ থেকে কেন পোশাক কেনা হয় এবং অনুরোধ করেছে এমন মালিকের কাছ থেকে আর
পুরাতন দুষ্টচক্র, নতুন দুর্ঘটনা। ধ্বসে গিয়েছে আরও একটি বহুতল ভবন, কেড়ে নিয়েছে শ’য়ে শ’য়ে তাজা প্রাণ। আবারও ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠেছে কিছু জানোয়ার, নিজের মুর্খামি আর লোভের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে অসহায় শ্রমিকদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরকার এবং দলের ‘দোষ’ আড়াল করবার হাস্যকর চেষ্টায় যতখানি ব্যস্ত, উদ্ধারকাজে এবং দুর্গতদের চিকিৎসায় রাষ্ট্রযন্ত্রের ততখানিই অবহেলা। আব
"এখানে সামান্য প্লাস্টার খসে পরেছে,তেমন গুরুতর কিছু হয়নি।"
[ সাভার থানা নির্বাহী কর্মকর্তা; রানা প্লাজায় বিশাল ফাঁটল ধরা পরার পর দেখতে এসে]
"অন্যায় করে কেউ পার পাবে না,শাস্তি দেয়া হবে"
[স্থানিয় সাংসদ মুরাদ জং : ভবন মালিক সোহেল রানা কে ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাচার করে মিডিয়ার সামনে]
"ঐ মানুষ গুলো মুল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে গিয়ে ভবনচাপা পড়েছে।"
ফেরেশতা তুই, না পরী,
তা হয়নি কারো জানা,
ছোট্ট মানুষ, ক্যান এলি তুই?
কেউ করেনি মানা?
কীসের এত বল তাড়া তোর?
বল কীসে তোর ভাল?
মায়ের আধার সইল না আর?
চাইলি এতই আলো?
অন্ধকারের আড়াল ঘেষে
এই যে তোরা এলি-
ঘুমোয় মা তোর, কাঁদছে খালা,
বল না কী আর পেলি?
ভাবিস কেঁদে চোখ ভাসাবি,
মিলবে সবই তাতে?
ছোট্ট রে তুই, বুদ্ধি কোথা?
নেই কিছু তোর হাতে-
নেই বিছানা, নেই বালিশ আর
নেই মশারী, কাপড়,