Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

শৈশব

হামাক লিবি?

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৫/২০১২ - ১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুক্রবার না হলেও সেদিন স্কুল ছুটি ছিল, এটুকু মনে আছে। ছুটিটা কীসের তা অনেক চেষ্টা করেও আজ আর মনে করতে পারছি না। স্মৃতির পর্দায় সময়ের ধুলো জমেছে ঢের। বর্ষাকাল হলেও সকালটা ছিল বেশ স্বচ্ছ। টানা বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর যার পর নাই কষ্ট হয়, তার উপর আমাদের মত যারা শান্তিনগরের ধারেকাছে থাকতাম, তাদের দূর্ভোগের কথা অন্যেরা বুঝবে কেমন করে?

শুক্রবার না হলেও সেদিন স্কুল ছুটি ছিল, এটুকু মনে আছে। ছুটিটা কীসের তা


জয় হোক কৌতুহলের!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৭/০২/২০১২ - ১২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুরুতেই বলি আমার কৌ্তুহল বা জানার ইচ্ছা কোনটাই জার্মান দুষ্টু ব্যাটা ফস্টাস এর মত না। যারা ফস্টাস এর নাম শোনেননি তাদের জন্য অল্প একটু বলি। এই ব্যাটা জ্ঞানের বিনিময়ে শয়তানের কাছে তার আত্মা বিক্রি করে দিয়েছিল। আমি বড় জোর শয়তানের কাছে নিজের দেহটা বিক্রি করতে পারি (শয়তান নাকি সবসময় রূপসী রমনী রূপেই আসে!) এর বেশি কিছু না।কিন্তু তারপরো ছোট থাকতে আমার কৌতুহলের অন্ত ছিল না।আব্বুর দাড়ি কেমনে গজায় থেকে শুরু করে কারেন্ট কি জিনিস বুঝার জন্য টেবিল ফ্যানের শক খাওয়া কোনটাই বাদ দেই নাই।


নাটাই ছেঁড়া ঘুড়ির দল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৫/০২/২০১২ - ৯:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]এককালে বাসার বুজুর্গদের বুলি শুনতে শুনতে প্রায় বলি হয়ে গিয়েছিলাম, “লেখাপড়া করে যে, গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে। তাই গাড়ি-ঘোড়া চড়তে বেশি বেশি পড়ালেখা করো”। আমি মানি না, মানতাম না। কারণ জলজ্যান্ত চোখের সামনে দেখতাম, আব্বু তো কোনো পড়ালেখাই করে না। তাও দেখি দিব্যি রোজ ভুটভুট করে মটোরসাইকেল গাড়িতে করে অফিসে যায় আর আসে। আর বাসায় এসে শুধু আমার পিঠের চামড়া তোলার পাঁয়তারা খোজে। অবশ্য আব্বুকে কখনও ঘোড়ায় চড়তে দেখিনি আমি। তবে আমাকে মাঝে মাঝেই পড়ার সময় ঘোড়ার ডিম বলতে দেখেছি। তাই তখন মনে হতো আমার সাথে ঘোড়ার ডিম এর কোনো যোগসূত্র আছে বা থাকতে পারে। আর সেই ডিমটা ফুটে বাচ্চা হলেই আব্বু সে বাচ্চা ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসবে।


স্মৃতিপাঠে বিদ্যাপীঠঃ আদ্যপান্তে আদর আলী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০৯/২০১১ - ৮:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]-আদর আলী-ই-ই-ই।
-ইয়েস স্যার।
-এদিকে আসো। দেখি তুমার জামাকাপড় ঠিক আছে কিনা। ইউনিফর্ম পইরা আইছো তো?
-জ্বি স্যার।
-জুতায় ময়লা ক্যান? হালচাষ করছো নাকি ক্লাসে আসনের আগে? প্যারেডে যাওয়া বাদ দিয়া?
-না, স্যার। প্যারেডে লেফট-রাইট করার সময় ধূলো উড়ে ময়লা হয়ে গেছে বোধহয়।
_ও, আচ্ছা। কিন্তু প্যারেডে পা না নাড়াইয়া লাত্থি দেওনের লাহান ঝাকাইলে তো ধূলা উড়বোই। অন্য কারও পায়ে তো তুমার লাহান ময়লা দেহি না। তা শরীল কীরম আছে? রাইতে ভালা ঘুম হইছে?
-জ্বি স্যার, হয়েছে।
-আর লেহাপড়া? নাকি জুতমতো ঘুমাইতে গিয়া ভুইলা গেছো?
-না, স্যার। পড়াশুনাও করেছি।
-হুম, তা দেহি কী পড়লা। যাও বই নিয়া আইসা শুরু করো কাইল যেইহানে শ্যাষ হইছিলো ঐহান থাইকা।


স্মৃতিপাঠে বিদ্যাপীঠঃ আদর্শলিপির লিখনশৈলী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৪/০৯/২০১১ - ৩:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]জড়োতা বলে যে জটবাঁধানো জবড়জং ব্যাপারস্যাপার আছে বস্তুর ক্ষেত্রে তা আমরা কম বেশি সবাই জানি। পদার্থের জন্মদোষে দুষ্ট এই গুণটা হলো, বস্তু অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ হয়ে যে অবস্থায় আছে, নিতান্ত বাধ্য বা বাধাপ্রাপ্ত না হলে সেই সুব্যবস্থার কোনো দুরবস্থা করতে চায় না নিজে থেকে। অর্থাৎ যা স্থির আছে সে খামাখা কখনো অস্থির হবে না। যে ঘোরার উপরে আছে, বলপ্রয়োগ সাপেক্ষে ঘোর না কাটানো পর্যন্ত সে বেঘোরেই ঘুরতে থাকবে। এরকম সুলিখিত সংবিধান পড়েছিলাম বিজ্ঞান বিষয়ে স্কুল-কলেজ-এমনকি ভার্সিটিতেও। কিন্তু এই জড়োতার উল্টোপিঠেও আর এক জড়োতা আছে, যাকে বলে কোনো কিছু না করার বা আলসেমির জড়োতা। আর এইটা এখন আমার দৈনন্দিন জীবনজুড়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। পরম শূন্য উষ্ণতার মতো যদি পরম শূন্য জড়োতা বলে কিছু থেকে থাকে তবে আমি নিশ্চিত, তা এখন আমকে জাপটিয়ে জড়িয়ে রেখেছে। আমার এই লেখাতেও অবধারিতভাবে সবাই বৈচিত্র্যহীন জড়োতার বিচিত্র সব উপকরণ রয়েছে যা বিষম বিরক্তির উদ্রেক কোনোরূপ জড়োতা ছাড়াই করতে পারে।


শৈশবটাকে ফিরিয়ে দাও

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৯/০৮/২০১১ - ৩:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পড়ার বইগুলো কেবল পড়া হয়, মাথায় ঢুকানো হয়না। জটিল জটিল শব্দ আর বিষয়গুলা মাথার উপর দিয়ে উড়াল দিতে থাকে কিন্তু নিউরন নামের জিনিসটাতে আটকাতে পারিনা। খালি কি আমিই এমন? নাকি আমার মত সবাই এমন ভুক্তভোগী!


শুনতে কি চাও তুমি ?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৭/২০১১ - ৯:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিঁড়ি বেঁয়ে গাড়ীবারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছি। অফিস যাব কিন্তু বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে! আমাকে দেখে বৃষ্টি তার গতি আরও বাড়িয়ে দিলো। উপরওয়ালা মনে হয় আমাকে বিশেষ একটা পছন্দ করেন না, আমি যখন সিরিয়াস মুডে থাকি তখনি দেখা যায় উনি এধরনের ইয়ার্কি করেন! গেট থেকে মাথা বাড়িয়ে রিক্সা খোঁজার চেষ্টা করলাম!


না পাওয়া শৈশব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০১/০৫/২০১১ - ৮:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একজন মানুষের ছেলেবেলা তার সবচে প্রিয় সময়।আজকে আমি আমার ছেলেবেলা নিয়ে লিখবো।এ লিখার উদ্দেশ্য আমার ছেলেবেলার গল্প শোনানো না,এখনকার শহরের শিশু কিশোরদের সাথে আমদের ছেলেবেলার পার্থক্য আছে তা বলা।


স্মৃতিপাঠে বিদ্যাপীঠঃ প্রথম প্রাথমিকতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২২/০৪/২০১১ - ৮:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমার প্রথম স্কুলের স্মৃতি তেমন মনে নেই, অল্প কিছু ছাড়া। আমার যে ঘিলু, তাতে না থাকাই স্বাভাবিক। এইনিয়ে আমার আক্ষেপ নেই, শুধু মাঝে মাঝে একটু দুঃখ পাই। আমার পরিচিত বন্ধুরা কী সুন্দর করে তাদের প্রথম স্কুলের নানা স্মরণীয় ঘটনা আওড়ে নিজেদের শৈশবের অমৃত আস্বাদন করে। আর আমি তা শুনে শুনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই। ব্যাপারটা বড়ই বেদনাদায়ক। এবং নিজের কাছে চরম অস্বস্তিকর। মানুষের জীবনের অন্যতম চমৎকার একটা সময়ের স্মৃতি তেমন কিছুই মনে নেই! সব হজম করে ফেলেছি! এ কীভাবে সম্ভব? মাথায় মাঝে মাঝে একান্তে ঝাঁকি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি কোন মডেলের হাঁদারাম এটা। টকটক শব্দ হয় শুধু, আর কিছু মেলেনা। ইদানিং পরিচিত কয়েকজনের স্কুলের প্রথম অভিজ্ঞতার কিছু অসাধারণ রোমন্থন পড়লাম। তারপর থেকে বেশি বেশি মনে করার চেষ্টা করছি নিজের স্মৃতি। কিন্তু ঘুরেফিরে মনে থাকা ঘটনাই আবার চলে আসছে স্মরণে। নতুন কিছু মিলছেনা। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, সাথে একটা সেই সময়ের শোনা


সুরঞ্জিত সুরমূর্ছনার সুললিত শৈশব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১০/০১/২০১১ - ৬:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]গান, অর্থাৎ সঙ্গীত। আহ! কী হৃদয়ব্যাঞ্জনাকর একটা বিষয়! কথা আর সুরের মায়াজালে আমাদের নিয়ে চলে সময় আর অনুভূতির সীমাহীন কল্পনার জগতে। এ নিয়ে আমার ছোটবেলা থেকেই ব্যাপক আগ্রহ। কিন্তু কেন জানি আমার কাছে সুরটাই বেশি ভালো লাগত। সেখানে গানের কথা কিংবা মর্ম বোঝাটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিলনা। আর তাই, স্বতস্ফুর্ত আবেগে এই বাজখাঁই গলার টোন টিউন না করে, কিংবা পরিবেশের আশু শব্দদূষণের সম্ভাবনার তোয়াক্কা না করে কেবলমাত্র লা-লা-লা অথবা উম-উম-উউউ করেই আমার সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যেতাম সারাদিন। আর একারণে প্রাণপণ চেষ্টায় এখন আগের শোনা অনেক গানের সুর মনে করতে পারলেও কথা স্মরণ করতে পারিনা। আমাদের একান্নবর্তী পরিবারের বাসায় তখন শুধু একটা রেডিও আর একটা ১৭ ইঞ্চি ফিলিপস্‌ টিভি ছিল। সেখানে ঐ সময় কেবল শুক্রবারে বাংলা ছিনেমা দেখাত আর সম্ভবত সোমবারে ছায়াছন্দ হত। তাছাড়া হিন্দী ন্যাশনাল চ্যানেল ধরত টিভিতে ডিশ না থাকলেও, বর্ডার এলাকায় গ্রামের বাড়ি থাকার সুবাদে। সেখানে কিছু গানের প্রোগ্রাম হত আলিফ লাইলার পাশাপাশি।