কলিকাতা পুস্তকমেলা - প্রথমদিনের এক ঝলক

দময়ন্তী এর ছবি
লিখেছেন দময়ন্তী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০১/২০১১ - ১২:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যথারীতি জানুয়ারীর শেষ বুধবারে শুরু হয়ে গেল কলিকাতা পুস্তকমেলা| কততম বর্ষ যেন? খেয়াল নেই| আসলে আমি তো মেলায় যাই না সে কত্তবছর হয়ে গেল| ২০০২ এ যখন পশ্চিমবঙ্গ ছাড়লাম সেই তখন থেকেই আর বইমেলায় আসা হয় না| যেবার সুভাষ দত্ত মশাই গিল্ডকে পার্ক স্ট্রীটের সামনের ময়দান থেকে উৎখাৎ করেই ছাড়লেন, সেইবারে আমি বইমেলা দেখব বলেই ছুটি নিয়ে এসেছিলাম| কিন্তু হায় বইমেলা সেবারে আজ হচ্ছে, কাল হচ্ছে করে এত দেরী করে ফেলল যে আমার ছুটি ফুরিয়ে গেল| একদিন শুধু গিয়ে সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ঠাঁই ঠকাঠক করে স্টল বানানো দেখে এলাম| তা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড গতবছর থেকে আর ঝামেলা ঝঞ্ঝাট না করে 'মিলনমেলা' প্রাঙ্গনেই বইমেলার আয়োজন করছে| এই মিলনমেলা প্রাঙ্গনটা ময়দানের জায়গার তুলনায় বেশ একটু ছোট| তাই নিয়ে গজগজ করলেও আপাতত ওখানেই হচ্ছে বইমেলা|

জানুয়ারীর শেষ বুধবার সাধারণতঃ ২৬শে জানুয়ারীর আশেপাশেই হয় প্রতি বছর| আর ২৬শে জাতীয় ছুটি হওয়ার সুবাদে ঐ দিনটায় মেলায় ভালই লোক হয়| তায় এইবার থেকে গিল্ড প্রবেশমূল্য তুলে দিয়েছে| এতদিন ৫ টাকা করে টিকিট কেটে ঢুকতে হত| আমি ও আমার দু একজন বন্ধু অবশ্য স্বার্থপরের মতই চাই গিল্ড প্রবেশমূল্য আরো অনেকটা বাড়িয়ে দিক, যাতে মেলায় ভুলভাল ভীড়টা একটু কম হয়| ময়দানের মেলায় বইয়ের সাথে বিশেষ সম্পর্ক না থাকা, নিছকই সময় কাটানো লোকজনের সাথে এমনকি ছেলে-মেয়ে দেখার কাজটাও সারতে দেখেছি| প্রবেশমূল্য তুলে দিলে এই ধরণের লোকজনের আনাগোনা আরো বাড়বে বলেই আশঙ্কা|

সে যাই হোক, এতসব আশঙ্কা সত্ত্বেও ২৬শে দুপুর হতেই উসখুস রওনা দেওয়ার জন্য, এবং পৌনে তিনটে নাগাদ দিব্বি ঢুকেও পড়া গেল| গাড়ী রাখার ব্যবস্থা মিলনমেলার পাশে একটা খোলা জায়গায়| নাকি সেটা মিলনমেলারই অংশ --- কে জানে! মোটকথা অজস্র গাড়ীর ভীড় আর কলকাতার অধিকাংশ ড্রাইভারের ফর্মূলা ওয়ান চালানোর রোখ মিলে সিলভার আর্কেডের দিকের গেটটার পুরো বড়বাজারের মত অবস্থা| তারই মধ্যে আবার দেখি গেটের বাইরে ম্যারাপ বেঁধে কখানা টাটা ন্যানো দাঁড় করিয়ে রেখেছে| বিক্রীর জন্য না বিজ্ঞাপনের জন্য ভগাই জানে| এই ন্যানো গাড়ীটা দুমদাম রাস্তায় ঘাটে জ্বলে যায় বলে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে হয়ত দেখাচ্ছে যে না না জ্বলছে না --- হতেও পারে| যাই হোক সেসব কাটিয়ে মাটিয়ে সাঁত করে ঢুকে পড়া গেল|

এবং এবং ঢুকতেই দেখি মাটিতে বিছানো আল্পনা আর দেওয়ালে ঝোলানো ওয়াল হ্যাঙ্গিঙের সম্ভার, চাট্টি ছবি আঁকা টি-শার্টও| কিছু লোক হামলে পড়ে কিনছে| অনেক দোকান এখনও তৈরী হয় নি, কিন্তু জোরদার কাজ চলেছে| ময়দানের মত ভেতরে চা-কফি, ঝালমুড়িওয়ালা ঘুরছে না| নির্ধারিত স্টলে গিয়ে খেতে হচ্ছে| ইউ এস প্যাভিলিয়ানের বাইরে লম্বা-আ লাইন| 'আনন্দ' আর 'দে'জ'এর সামনে এখনও লাইন পড়ে নি| শনি রবিবারে লাইন পড়বে নির্ঘাৎ| বইমেলায় গিয়ে বড় প্রকাশকদের দরজায় লাইন দেওয়াটা আমার কাছে খানিকটা হুজুগ আর খানিকটা নির্বুদ্ধিতা বলে মনে হয়| বরং ছোট প্রকাশক যাঁদের কলেজ স্ট্রীট বা এখানে সেখানে চট করে পাওয়া যায় না, তাঁদের আনা বইগুলো ভাল করে নেড়েঘেঁটে দেখার এইটা সুবর্ণ সুযোগ| 'দেব সাহিত্য কুটীর'এ দেখ্লাম ছোটবেলার সেইসব পুজোসংখ্যাগুলো আবার বের করেছে, আগের প্রচ্ছদ আর আগের মত প্রিন্ট করে| আশাপূর্ণা দেবীর 'গল্প ভালো আবার বলো' পেয়ে যে কি আনন্দ হল ----| ওঁরাই জানালেন 'শোনো শোনো গল্প শোনো' ও শীগগিরই এসে যাবে| আহা দিনকাল দেখছি বড়ই ভাল|

এদিকে আমাকে ছবি তুলতে দেখে এক ভদ্রলোক গভীর আগ্রহের সাথে জানতে চাইলেন কোন কাগজে ছাপা হবে? কোনও কাগজেই নয় শুনে হতাশায় মুখ বেঁকে গেল| ওদিকে গিল্ডের মঞ্চে রবীন্দ্রনাথের রচনায় প্রকৃতি বা অমনি কিছু একটা বিষয়ে আলোচনার জন্য রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় আর শ্রীজাত আসবেন বলে ঘোষণা হচ্ছে| এককালে বড় সাধ ছিল এই রঞ্জন বন্দ্যো'কে রাস্তাঘাটে যেখানেই পাব উদুম ক্যালাব| এই গিল্ড মঞ্চ বা তার আশেপাশে একটা ভাল সুযোগ ছিল ---- কিন্তু হায়! জীবন চলে গেছে কুড়ি কুড়ি বছরের পার --- কমেছে হাতপায়ের ক্ষিপ্রতা, কমেছে রাগের ঝাঁঝও| লিটল ম্যাগের তাঁবুতে গিয়ে দেখি অর্ধেক টেবিলও তৈরী হয় নি| সবাই ব্যস্ত নিজ নিজ টেবিল সাজাতে| প্রায় দুশো লিটল ম্যাগের স্টল| সবকটা ঠিক করে দেখার জন্য সামনের সপ্তাহে একদিন যাব| প্রকাশকদের মধ্যে 'লালমাটি' খুঁজে পেলাম না, 'তালপাতা' পেলাম কিন্তু নতুন বই কিছু আসে নি| 'চর্চাপদ' এ একগাদা নতুন বই --- দেখেই মন ভাল হয়ে গেল| ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ সংগ্রহটা কিনতে হবে| কিনতে হবে আরো কটা বইও| 'অনুষ্টুপ' আর 'লিটল ম্যাগ' নেই মস্ত বড় হয়ে গেছে| আলাদা স্টল দেয়| ঘুরেফিরে দেখা গেল|

এদিকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় গিল্ড মঞ্চে কিছু বক্তৃতা টক্তৃতা দিয়ে কৃত্তিবাসের স্টলের সামনে এসে গ্যাঁট হয়ে বসে অটোগ্রাফ বিলোচ্ছিলেন৷ মহিলামহলে সুনীলের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি৷ প্রতিবারই মেলায় অজস্র মহিলা সুনীলকে ঘিরে সই সংগ্রহ, সুনীলের সাথে ছবি তোলা ইত্যাদি করেন৷ এবারেও তার ব্যতিক্রম নেই৷ লোকে ফটাফট মোবাইলের ক্যামেরায় ছবি তুলে যাচ্ছে৷ এই সময় দুটো টুকরো ঘটনা এক বন্ধুর থেকে শুনলাম৷ (ঐ সময় আমি অন্যদিকে ঘুরছিলাম)
ঘটনা ১: এক দম্পতি যাচ্ছিলেন সামনে দিয়ে৷ হঠাত্ ভদ্রলোক থমকে দাঁড়ালেন৷ তারপর স্ত্রীকে বললেন 'চলো ওঁর সাথে ছবি তুলি৷' স্ত্রী রাজী নন, কে না কে বসে আছে তার সাথে ছবি তোলার কি আছে - এই বক্তব্য৷ ভদ্রলোক অসহিষ্ণু হয়ে বললেন আরে উনি সুনীল গাঙ্গুলী৷ ভদ্রমহিলা একটু থমকে জিগ্যেস করলেন সে আবার কে? ভদ্রলোকের উত্তর 'আরে উনি 'মনের মানুষ' সিনেমাটা লিখেছেন' ৷ এবারে আর আপত্তি না করে ভদ্রমহিলাও এগিয়ে গেলেন৷
ঘটনা ২: অটোগ্রাফ দিতে দিতে সুনীল উঠে গেলেন টয়লেটের দিকে৷ টয়লেটের দরজায় একপাল নারীপুরুষ তাঁকে ঘিরে ফেলে সই নিতে, ছবি তুলতে লাগল৷ সুনীল দু তিনবার অসহায়ভাবে বললেন 'আমি একটু টয়লেট থেকে ঘুরে আসি' কেউ কোনও পাত্তাই দিল না৷ সুনীলের মুখভঙ্গী নাকি এইসময় দেখার মত হয়েছিল৷

লেখাটা মস্ত বড় হয়ে যাচ্ছে| বাকী গল্প আরেকদিন করা যাবেখন| কিছু ছবি রইল|

http://picasaweb.google.com/tdamayanti/BookFair26Jan#slideshow/5566546995394357970


মন্তব্য

ফাহিম হাসান এর ছবি

বাহ! চলুক। আশা করছি আরো ছবিসমেত আপডেট পাব।

ময়দানের মত ভেতরে চা-কফি, ঝালমুড়িওয়ালা ঘুরছে না| নির্ধারিত স্টলে গিয়ে খেতে হচ্ছে|

এটা একটা ভাল নিয়ম।

দময়ন্তী এর ছবি

হ্যাঁ আরো আপডেট দেবার ইচ্ছা আছে৷ ধন্যবাদ৷
নিয়মটা ভাল সেটা অনস্বীকার্য, কিন্তু নির্ধারিত স্টলগুলো বড় গলাকাটা দাম চায়৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সুজন চৌধুরী এর ছবি
দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ৷ হ্যাঁ আবার শনিবারে যাব, তখন দেব৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

বাউলিয়ানা এর ছবি

আপনার কলিকাতা শব্দটা দেখেই মনে পড়ে গেল,

আমি অনেক ঘুরিয়া শেষে আইলামরে কইলকাতা...
এই আজব কইলকাতা,
এর রকম সকম দেইখা আমার ঘুইরা গ্যাছে মাথা
আমি অনেক ঘুরিয়া শেষে আইলামরে কইলকাতা...

সিরিজ চলুক।

দময়ন্তী এর ছবি

'কলিকাতা' শব্দটাই গিল্ড লেখে৷
ধন্যবাদ

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কোলকাতা বইমেলা দেখিনি কখনো। তাই এটা সম্পর্কে বেশ আগ্রহ আছে। দিদি, কয়েক পর্বে একটু বিস্তারিত বলুন। সাথে ছবি থাকলেতো কথাই নেই। আমাদের জন্য একটু কষ্ট করুন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দময়ন্তী এর ছবি

দেখেন নি, দেখে ফ্যালেন৷ চলে আসেন ৬ তারিখের মধ্যে৷ যত্ন করে দেখিয়ে দেব৷
আর যেদিন যেদিন যাব, আপডেট দেব৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

স্পর্শ এর ছবি

বইমেলায় গিয়ে বড় প্রকাশকদের দরজায় লাইন দেওয়াটা আমার কাছে খানিকটা হুজুগ আর খানিকটা নির্বুদ্ধিতা বলে মনে হয়|

এটা একদম খাঁটিকথা বলেছেন। আমাদের বইমেলাতেও দেখি যে বই রাস্তার ফেরীওয়ালার কাছেও ভুরিভুরি পাওয়া যাবে সেটা কিনতেই বড় প্রকাশনীর দুয়ারে কাঙালীভোজের লাইন!!

মেলানিয়ে আরো কয়েকপর্ব লিখুন। বইমেলায় যেতে যেমন আনন্দ, বইমেলা নিয়ে পড়তেও তেমনই আনন্দ। একমাত্র এই উৎসবটাই একেবারে অন্তর থেকে অনুভব করি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দময়ন্তী এর ছবি

আবার শনিবারে যাব, তখন আপডেট দেব৷
এইটা যা একটা খাঁটি কথা বলেছেন৷ বই নিয়ে যে কোন আলাপ আলোচনাই ভারী প্রীতিকর৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

দারুণ। আরো ছবি সংযোজন করতে পারেন।

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ৷ নতুন ছবি তুললেই দিয়ে দেব৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তাসনীম এর ছবি

'দেব সাহিত্য কুটীর'এ দেখ্লাম ছোটবেলার সেইসব পুজোসংখ্যাগুলো আবার বের করেছে, আগের প্রচ্ছদ আর আগের মত প্রিন্ট করে|

শুনে দারুণ লাগলো। আমার স্মৃতির শহরে লিখেছি ওদের কথা।

কলকাতার বই মেলাতে গিয়েছি, ১৯৯৬ সালে। মেয়েদের প্রকাশনা সংস্থা "স্বতন্ত্র" এখনো আছে?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ৷ আহা আপনার ঐ সিরিজটা বড় ভাল৷ মোবাইল থেকে পড়ি বলে মন্তব্য করা হয় না৷

হ্যাঁ আছে বলেই তো মনে হয়৷ দাঁড়ান শনিবার গিয়ে খুঁজে জানাব৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

বইখাতা এর ছবি

বইমেলার গল্প, কথা, কাহিনী পড়তে সবসময়ই ভাল লাগে, এবারও ভাল লাগল। হাসি আর কয়েকপর্ব লিখলে আরো ভাল লাগবে।

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ৷
দেখি আরো দু তিন পর্ব তো লেখার ইচ্ছে আছে৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

অনেক নাম শুনছি কলিকাতা বই মেলার। যাওয়ার খায়েশ আছে। পূরণ হবে হয়তো কোনোদিন। বড় হয়ে নেই।

দময়ন্তী এর ছবি

নামটা হাইপ৷ কলকাতা বইমেলার কিছু ভুলভাল ব্যপারও আছে৷ তবে দেখতে ঘুরতে বেশ লাগে, এই আর কি৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অতিথি লেখক এর ছবি

ধূসর ভাই, আপনের বড় হতে আর কতদিন লাগবে ? সেই কবে আমারে বলসিলেন বড় হয়ে ইজিপ্ট যাবেন। এখনো বড় হন নাই ? বড় হওয়ার আগেই বুড়া হয়ে যাবেন যা দেখতেসি ! হাসি
..................

দময়ন্তীঃ লেখাটা দারুন। মেলার মধ্যে সময়ে নিয়ে ধীরেসুস্থে ঘুরলে অনেক ছোটখাটো মজার মজার ঘটনা বা গল্প চোখে পড়ে (যেমন সুনীলেরটা)। আশা করি শনিবারে চোখকান আরো খোলা রেখে ঘুরবেন এবং ফিরে এসে আমাদের আরো কিছু মজার মজার গল্প শোনাবেন।

মনমাঝি

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ মনমাঝি| চেষ্টা করব|

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

"বইমেলা" শব্দটা শুনলেই মনে হয় প্রাণের মেলা, এর চেয়ে ভাল জিনিস আর হতেই পারে না। এই পোস্টে নিয়মিত চোখ রাখব।

দময়ন্তী এর ছবি

হ্যাঁ এক্দম ঠিক
ধন্যবাদ আনন্দী

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

দেবসাহিত্য কুটীর চাই !!!

... সুনীলের জনপ্রিয়তা দেখি হুমায়ূনের মতো।

সিরিজটাতে পারলে ছবি যোগ করে দেবেন।

দময়ন্তী এর ছবি

'চাই' মানে? কেমন করে দেব? অ্যাঁ
ছবি দিলাম তো নীচে লিঙ্ক দিয়েছি যে

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কলিকাতা বইমেলায় জীবনেও যাওয়া হলো না, এই দুঃখ রয়েই গেলো জীবনে।
এবার খুব যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু মাত্রই কদিন আগে ঘুরে এলাম, তিনমাসের মধ্যে আর ভিসা পাবো না মন খারাপ

কলিকাতা বইমেলা আর একুশে বইমেলা একেবারেই ভিন্নস্বাদের। একুশের বইমেলা একেবারেই একটা উৎসব, লোকজন বেড়াতে যায়, আড্ডা মারতে যায়, মেয়ে দেখতে যায়, বইও দেখতে যায়। যারা যায় তাদের খুব সামান্য অংশই বই কেনে, তবু এই মিলনমেলাটা আমার ভালো লাগে।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নিজের তো আর যাওয়া হলো না, আপনার লেখা পড়েই স্বাদ মিটাই মন খারাপ
লেখা বড় হলে সেটা নিয়ে আপনাকে কে চিন্তা করতে বলেছে? নাকি মডুরা এরকম আইন করেছে যে লেখা বড় হলে টাকা দিতে হবে?
হাতী সাইজের পোস্ট নামাতে থাকেন... পড়ার দায়িত্ব আমাদের

ছবির জন্য আরো একবার বিশেষ ধন্যবাদ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্য--ধন্য-ধন্যবাদ দেঁতো হাসি
হ্যাঁ কলকাতায় ওরকম বই কেনা ছাড়াও আরো অনেককিছু হয়| ভীড় একটু কম থাকলে মন্দ লাগে না দেখতে তাও ঠিক| কিন্তু একগাদা ভীড়ের চোটে এক গেট দিয়ে ধুকে ধাক্কা খেতে খেতে আরেক গেট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া মোটেও কোনো কাজের কথা নয়|

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

কৌস্তুভ এর ছবি

আহা, বইমেলার পোস্ট এদ্দিন পরে পড়লাম? আমি যে মেলার ঠিক একদিন আগেই ফিরে এলুম গো!

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ!! আরো ছবি দেন। চলুক চলুক চলুক
-------------------------------------------
Sad Poems

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এদিকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় গিল্ড মঞ্চে কিছু বক্তৃতা টক্তৃতা দিয়ে কৃত্তিবাসের স্টলের সামনে এসে গ্যাঁট হয়ে বসে অটোগ্রাফ বিলোচ্ছিলেন৷

সুনীল এখন শুধুই স্মৃতি। মন খারাপ

এবারের বইমেলা দেখে একটা লম্বা পোস্ট দিন। দেখি আট বছরে মেলা কতোটা পাল্টালো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।