স্মৃতির শহর-৮: জাতিস্মর

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: সোম, ২৪/০৫/২০১০ - ৩:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি দেশ ছাড়ি ১৯৯৬ সালের অগাস্ট মাসে। দিনটাও মনে আছে, অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখ। গুমোট একটা গরম ছিল সেই সকালে। আকাশটাও অনেক মেঘলা ছিল, সেই রঙের সাথে মিল রেখে আমার মনটাও ছিল বেশ ভারি। বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু, কিন্তু সেই সকালের প্রবল বর্ষণটা আর দেখা হয়নি, ম্যাকডোনাল্ড ডগলাসের বিমানটা বৃষ্টির আগেই আমাকে একটানে নিয়ে গেছে অনেক দূরে। ছিল দুটো স্যুটকেস, তাতে বোঝাই বঙ্গবাজারের বেঢপ কাপড়-চোপড়, কিছু পড়ার বই, জীবনানন্দ আর শামসুর রাহমানের কবিতা, আমার যা কিছু পার্থিব সম্পত্তি সব এঁটে গেছে সত্তর পাউন্ডের দুটো বাক্সে। স্যুটকেস আঁটেনি শুধু দীর্ঘশ্বাস বরং বুক থেকে সেটা বেরিয়ে এসেছে ক্ষণে ক্ষণে, আমেরিকা নাকি মানুষকে গিলে ফেলে, আবার ফিরতে পারবো তো এই শহরে? কেউ কি অপেক্ষায় থাকবে?

বিমানবন্দরে বন্ধুরা সবাই ছিল, মা আর বাবা ছিলেন। এর আগে একবার কলকাতায় গিয়েছি একা, কিন্তু ওটাকে তো ঠিক বিদেশ বলে মনে হয় না। এবার সত্যি সত্যি বিদেশ যাচ্ছি, একদম গাঁক গাঁক করে ইংরেজি বলা বিদেশ !! বন্ধুরা নানান হালকা রসিকতা করছে... “গিয়া আমার নাম জিগাইস...” “কি হবে জিগাইলে?” “দেখবি কেউ চিনে না...হা হা হা।” “দোস্ত আমগোরে একটু...পত্রিকা...পাঠাইস।” “পাঠামুনে।” “আর শোন মন খারাপ করিস না... পড়াল্যাখা শেষ কইর‌্যা চইল্যা আইস, তাইলেই খেলা শেষ...যা এইবার খালাম্মার কাছে যা...” সুবোধ বালকের মত আমি মায়ের কাছে যাই। উনিও আশ্বস্ত করেন নানানভাবে। “এইতো অল্প কয়টা দিন মাত্র। খাওয়া-দাওয়া করবে নিয়মিত আর শরীরের যত্ন নিবে।” আব্বার উপদেশও প্রায় কাছাকাছিই। আমি জ্বরের ঘোর লাগা রোগীর মত মাথা নাড়ি। আম্মা আর আব্বা দুজনেই বেশ উৎফুল্ল আমার “উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশগমনে”। একসময় আমারও ডাক পড়ে, আমি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে দূর থেকে দেখি আমার স্বজনদের। পুলিশকে ঘুষ দিয়ে বন্ধুরাও ঢুকছে কেউ কেউ। আম্মা আর আব্বা চোখ মুছছেন নীরবে, এই অশ্রুটা এতক্ষণ যেন আমার ভয়ে কোথাও লুকানো ছিল, আমি সরে যেতেই তারা দখল করেছে মাঠ সদর্পে। আমি হারিয়ে যাই দ্রুতপায়ে...কতোকাল আগে...মনে হয় এইতো সেদিন।

আমার গন্তব্য ছিল পশ্চিম টেক্সাসের ছোট একটা শহর, নাম লাবোক। শহরটা ছিমছাম, বিশ্ববিদ্যালয়টা খুব সুন্দর। লাবোকে গরম যেমনি পড়ে, তেমনি শীতের সময় তুষারপাতও হয়। আমি এসেছি অগাস্ট মাসে, গরমটাই প্রধান। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আশেপাশে ছাড়া টেক্সাসের রাস্তায় কেউই হাঁটাহাঁটি করে না, শুধু হুশহাশ বিশাল দর্শন সব গাড়ি ছুটে যায়। আমাদের বাসাগুলো মনে হয় শহরের সবচেয়ে সস্তা, রীতিমত ভাগ্যহত না হলে এখানে কেউ থাকবে না। ক্লাস শুরু হতে বাকি আছে কিছুটা সময়, আমি দিনের বেলায় কাজ খুঁজছি আর রাতে “সম্পূর্ণ বাংলাদেশে চিত্রায়িত” স্বপ্ন দেখছি । এর মধ্যে একটা স্বপ্ন ছিল এয়ারপোর্ট থেকে স্যুটকেস ফেলে বাসায় চলে এসেছি বন্ধুদের সাথে হৈ হৈ করতে করতে...জেগে উঠে দেখি ছোট এপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে আরো ছোট একটা আকাশ দেখা যাচ্ছে, গাঢ় নীল রঙের সেই ভোরের অচেনা আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই, অথচ ঢাকার আকাশ নিশ্চয়ই এখন নিকষ কালো, রিকশায় করে ফুলার রোডে ঘুরতে দারুণ লাগতো!!! সুমন চট্টোপাধ্যয় ঢাকায় আসছেন প্রথমবারের মত, আমার বন্ধুরা সবাই যাবে দেখতে “তোমাকে চাই”, আর আমি শালা গভীর রাতে আন্ডারগ্র্যাড ছাত্রদের হোমওয়ার্কের খাতার পাঠদ্ধার করছি। আমেরিকানদের হাতের লেখা এতো খারাপ!!!

সামনেই বিয়ে করেছে একবন্ধু। এই নিয়ে নানান প্ল্যান হয় শুনতে পাই। সবাই চাকরি-বাকরি যোগাড় করেছে, আড্ডাগুলোতে জলযোগ হয় প্রচুর। বনানী বাজারের অবৈধ মদ্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে “মাল” কেনা হয় নিয়মিত । এরামের বারে কিংবা কারো বাসায় হঠাৎ বসা মাইফেলের খবর পেলে চিনচিন করে ওঠে বুকের পাঁজর। সবাই কি আমার কথা ভুলেই গেল? সবইতো চলছে নিয়মমাফিক; আব্বা-আম্মাও বেশ আছেন মনে হয়, শুধু বাসাটা নিঃশব্দ হয়ত, আমার ঘরে বন্ধুদের হৈ হুল্লোড় নেই, ঘরদোর মনে হয় অনেক পরিষ্কার থাকে। আমিই শুধু এই পোড়ার দেশে মোটা মোটা সাহেবদের সাথে অনবরত অনুবাদ চালিয়ে যাচ্ছি, এতে কী লাভ এই মহাপৃথিবীর? খিস্তি উগরে দেই সকাল-বিকাল। ফোনের খরচ মিনিটে দুই ডলারের কাছাকাছি, কথাও বলতে পারি না। দেশে একটা ভাঙা মোডেম ছিল, যেটা দিয়ে ই-মেইল চেক করে এক বন্ধু। সেই সব কিছু জানায়। মানুষ পুত্রশোকও ভুলে যায় একদিন আর এটাতো একটা শহর মাত্র!! আমিও আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হতে লাগলাম এই দেশে। স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে পাল্টাতে লাগলো, এগুলো এবার “সম্পূর্ণ বিদেশে চিত্রায়িত”। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার খবর রাখতে লাগলাম, দেখলাম এদের খাবারগুলোও মন্দ নয় তেমন, পানীয়গুলো একদম বৈধ; গুরু-শিষ্য সবাই পান করছেন দেদারসে। সাইনফিল্ডের কমেডিগুলো দারুণ জনপ্রিয়, আমি আঠার মত লেগে থাকি জর্জ কস্টাঞ্জার সাথে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হোমকামিং বা ক্যারল অফ লাইটসের মত অনুষ্ঠানগুলোও মিস দেই না। হলিউডের ছবি আগে থেকেই দেখতাম, এক ডলারে একটু পুরানো ছবি দেখার থিয়েটারে খোঁজ পেলাম একটা, সেখানে হাজিরা দেই নিয়মিত। একটা আধা ভাঙা গাড়ি কিনলাম, সেটা নিয়ে ঘুরে বেড়াই এদিক ওদিক। বন্ধু-বান্ধব জুটে গেল বেশ কিছু, আড্ডাগুলোও মন্দ লাগলো না। দিন কেটে যেতে লাগলো, অনেকদূরে পড়ে থাকা একটা শহরের কথা মনে হয় আমি ভুলেই গেলাম।

আমার বয়স বাড়তে লাগলো। নানান ধান্ধায় আমি, কখনও নতুন চাকরির ধান্ধা, কখনও ধান্ধা ভ্যাকেশনে যাবার। সবসময়েই নতুন কোন প্ল্যান। আমার গা থেকে ঢাকা শহরের গন্ধ উবে গেছে মনে হয়। দেশে ফোন করা অনেক সস্তা হয়ে গেছে, কিন্তু দামি হয়ে গেছে আমার সময়। বিয়ে করেছি, সংসারে নতুন অতিথি আসছে, বাড়ির দাম পড়ে গেছে, কেনার মনে হয় এটাই আসল সময়। দুই স্যুটকেস হাতে নিয়ে অচেনা শহরে আসা যুবক কোথায় যেন চলে গেছে। আমার পার্থিব জিনিসগুলোও আর দুই বাক্সে ধরবে না, পুঁজিবাদের মজাটা আমিও জেনে গেছি বোধহয়। পাঁচই অগাস্টের সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে, গিলেই মনে হয় ফেলেছে এই দেশ আমাকে, যদিও আমি টেরই পাইনি কখন গলঃধরন করেছেন আমাকে শ্যাম চাচা!!!

বেশ কয়েকবছর আগে দেখলাম বাংলাদেশের চ্যানেল এনটিভির গ্রাহক হওয়ার বিজ্ঞাপন। এনটিভি ভালো না খারাপ সেটাও জানি না, শুধু এর মালিকের নাম (দুর্নাম?) মাঝে মাঝে পত্রিকাতে দেখি। নিয়ে নিলাম এনটিভি। টিভি দেখার অভ্যাস দেশে থাকতেও বেশি ছিল না। ইনস্টলেশনের দিন দুপুরে বাসায় লাঞ্চ করতে আসলাম। দেখলাম বিটিভির খবর হচ্ছে। এতবছর পরেও খবরের কোন উন্নতি নেই, প্রতিবেলাই কি দেখতে হবে এই জিনিস? নাহ...দেখলাম নানান উপাদেয় জিনিস দেখা যায়। কখনও ঢাকায় জলাবদ্ধতা, কখনও গরম, কখনও ঠান্ডা, কখনও রাস্তা আটকে মিছিল, কখনও পহেলা বৈশাখের মেলার সংবাদ। সকালে অন্যরা ওঠার আগেই আমি দেখি সংবাদগুলো। অনেক উন্নত হয়েছে সংবাদসহ অনেক অনুষ্ঠানের মান। ঢাকার রাস্তাগুলো দেখলেই অনেক স্মৃতি ভেসে উঠে, হারিয়ে যাওয়া সেই যুবক মনে হয় ফিরে আসে ক্ষণিকের জন্যে হলেও। পলাশি, সাইন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, মহম্মদপুর, শ্যামলী, ইন্দিরা রোড, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, এলিফেন্ট রোড, ফার্মগেট, মিরপুর, মগবাজার, গ্রীন রোড, নিউমার্কেট, রাজারবাগ, বনানী, গুলশান, উত্তরা, মালিবাগ, শাহবাগ, টিএসসি, বিজয়নগর তোমাদের কথা মনে পড়ে যায় ঠিকঠাক, গত জন্মের স্মৃতির মত।

স্মৃতির শহর -৭ এখানে, যদিও এরা ধারাবাহিক নয়, লেখাগুলো স্মৃতির মতই ছন্নছাড়া।


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

চমৎকার হাসি

মাত্রই ভাবছিলাম ঘুমাতে যাবো। ঢুঁ মারতেই দেখি আপনার লেখা।

বরাবরের মতোই অনবদ্য লিখেছেন। আপনার এই সিরিজের একটা বৈশিষ্ট্য হলো, এই শহরে বাস করেও আপনার মতোই স্মৃতিমেদুর হয়ে যাই, মনে হয় আপনার চোখেই দেখতে পাচ্ছি সব কিছু।

খুব সহজ কাজ না এমনভাবে লিখতে পারা। কঠিন কাজটাই নিয়মিত করে আমাকে মুগ্ধ করে দিচ্ছেন। আবারো অভিনন্দন !


অলমিতি বিস্তারেণ

তাসনীম এর ছবি

প্রতিবারের মত সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সবজান্তা হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আপনার লেখা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল নিজের বদলে যাওয়াটাই দেখতে পাচ্ছি ... আমার আড়াই বছর হয়ে যাচ্ছে দেশ ছাড়ার; আগে খালি চিন্তা করতাম কবে দেশে যাব, গত ডিসেম্বরে গিয়ে ঘুরে আসার পর সেই তাগিদটা আর আগের মত অনুভব করি না ... মাঝে মধ্যেই এই বছর কি করবো, সামনের বছর কি করবো এসব নিয়ে হাবিজাবি প্ল্যান করি; সেই প্ল্যানে দেশে যাওয়ার চিন্তা এখন আর খুব বেশি স্থান পায় না ...

সবসময় কমেন্ট করি না, কিন্তু এই সিরিজটা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

তাসনীম এর ছবি

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কিংকর্তব্যবিমূঢ়। বদলে যাওয়ার ব্যাপারটা মনে হয় সবারই হয়...অলক্ষ্যে।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তানভীর এর ছবি

আমাদের বাসাগুলো মনে হয় শহরের সবচেয়ে সস্তা, রীতিমত ভাগ্যহত না হলে এখানে কেউ থাকবে না।

এই বাসাগুলো কি নর্থ ওভারটনে ছিলো? সেখানে 'লিভিং ইন' নামে একটা এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে নাকি অনেক বাংলাদেশী থাকতো। আমারো সেখানে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু আমি যাওয়ার আগেই সেটা ভেঙে ফেলা হয়। শুধু তাই না, ম্যাকডুগাল সাহেব নর্থ ওভারটন পুরোটাই ডেমোলিশ করে জায়গাটার চেহারা পালটে দিয়েছেন। এখন সেখানে দামী দামী সব এপার্টমেন্ট, ঘরবাড়ি।

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ তানভীর। হ্যাঁ নর্থ ওভারটনে।

"লিভিং ইন" ছিল এইটথ স্ট্রিটে। আমাদের বাসা দুটো রাস্তা পরেই টেন্থ স্ট্রিটে। আমিও শুনেছি যে জায়গাটাতে এখন দামী দামী সব বাড়িঘর। সে সময় বাংলাদেশি ছাত্ররা সবাই এইটথ, নাইনথ অথবা টেন্থ স্ট্রিটে থাকতেন।

২০০০ সালে একবার লাবোকে গিয়েছিলাম তাও কয়েক ঘন্টার জন্য। এবছর আবার যাব ভাবছি।

আপনারা কোথায় থাকতেন লাবোকের?

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তানভীর এর ছবি

শুরুতে ফোর্থ স্ট্রিটে, পরে ওভারটনের দিকেই- সাউথে।

রাফি এর ছবি

হুমম...আমিও কেঁদেছিলাম...জিয়া থেকে প্লেনে উঠবার আগমুহূর্তে।। সাথে দু'বন্ধু থাকায় সেই জলটুকু লুকিয়ে রাখতে বেশ কায়দা করতে হয়েছিলো।।

এই সিরিজটা পড়ি নিয়মিতই...পড়বার পর মন্তব্য করার মতো কিছু পাই না বলে করা হয় না তেমন। তবে অপেক্ষা করি আপনার লেখার জন্য।।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাফি।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার খুব ভালো লাগে আপনার এই লেখাগুলো, একবার পড়ে মন ভরে না , তাই বারবার পড়ি।

আব্দুর রহমান

তাসনীম এর ছবি

আব্দুর রহমান ভাই অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের এবং ভালো লাগার কথা জানানোর জন্য।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাগিব এর ছবি

তাসনীম ভাই, আমার নিজের দেশ ছাড়ার কথা মনে করিয়ে দিলেন। সেটা আবার আমার প্রথম উড়োজাহাজে চড়া, আর বিয়ের ৫৮ দিনের মাথায়। কাজেই মন খারাপ, ভীত, সব কিছুই ছিলো। মন খারাপ

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ রাগিব। দেশ ছাড়ার দিনটা প্রায়ই মনে পড়ে আজকাল। তবে বিয়ের ৫৮ দিনের মাথার দেশত্যাগ করাটা বোধকরি একটু বেশি কষ্টের।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মামুন হক এর ছবি

আমি কাউকে জানতে না দিয়ে একবুক অভিমান নিয়ে চুপিসারে দেশ ছেড়ে চলে এসেছিলাম। কান্নাকাটির কথা মাথাতেও আসেনি। তবে এখন কাঁদি প্রতিবার দেশ থেকে ফিরে আসার সময়। আর কি হবে ঘরে ফেরা?

আপনার মতো আমিও দেখতে পাই কীভাবে জীবনটা বদলে গেল খোলনলচে,চোখের সামনে, দুঃখ যে আপনার মতো করে লিখতে পারি না।

বরাবরের মতোই মুগ্ধ হয়ে পড়লাম, তবে এইবার মন খারাপ একটু কম হইসে হাসি

তাসনীম এর ছবি

মামুন ভাই ধন্যবাদ। আপনার দেশ ছাড়ার গল্পটাও আমাদের শুনিয়েন একদিন। আপনার মত আমারও মনে হয় ঘরে ফেরা কি আর হবে? আর ঘরটাই যে বদলে গেছে এখন।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

মুগ্ধতা।।
এতো ভালো লিখলে ক্যাম্নে কী?? খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাসনীম এর ছবি

এইবেলা অফিসিয়াল ধন্যবাদটা দিয়ে দেই মন্তব্য ও বানানশুদ্ধির জন্য হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

-ধুর আপ্নের লেখা আর পড়বো না, খালি মন খারাপ করে দেন! মন খারাপ
-লেখা বরাবরের মতই স্বাদু। একটানে পড়ে গেলাম হাসি
---------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ উদ্ভ্রান্ত পথিক। মন খারাপটা বোধহয় বোনাস হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সচলে একটা সিরিজ আমি খুব বেশি আগ্রহ নিয়ে পড়ি। ইশতিয়াক রঊফের "গানবন্দী জীবন"... ঐ ভদ্রলোক মনে হয় আজকাল নানাবিধ কারণে ব্যাপক-ই ব্যস্ত দেঁতো হাসি

কাজেই এখন আপনার এই সিরিজ পছন্দের শীর্ষে উঠে গেছে। এই সিরিজটার সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে, চারপাশের ঢাকাকে ক্যামন যেন খুব প্রিয় বলে মনে হয়...

_________________________________________

সেরিওজা

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সুহান। "গানবন্দী জীবন" আমারো খুব প্রিয়। আশাকরি ভদ্রলোকের ব্যস্ততা শিগগিরই কমবে দেঁতো হাসি

যতই দিন যাচ্ছে ঢাকা প্রিয় থেকে প্রিয়তর হচ্ছে। সেই ভালো লাগাটাই ধরতে চাইছি।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মর্ম এর ছবি

চাই আর না চাই, ইচ্ছা থাক আর না থাক, আপনার লেখা পড়ার পর মন হু হু করে ওঠেই!

অদ্ভূত সুন্দর মায়ামাখা স্মৃতিকাতর লেখা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মর্ম।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আবারও মন ছুয়ে যাওয়া স্মৃতিচারণ।

আমরা পরবাসের প্রথম প্রজন্মরা দুই নৌকাতে পা দিয়ে থাকি। পুরাপুরি 'আমেরিকান' হয়ে উঠা হয় না, অথচ এখানকার খেলাধুলা, রাজনীতি, সবকিছুর খবরই রাখি, মতামত দেই, একাত্ম হতে চাই। ওদিকে দেশের মায়াও ভুলতে পারিনা, দেশের সব খবর রাখি, ভালো কিছুতে খুশী হই, খারাপ কিছুতে কষ্ট পাই, আগের চেয়ে একটু বেশীই আবেগাপ্লুত হই।

ঢাকা শহরকে যে এত ভালোবাসি, সেটা ঢাকা না ছাড়লে মনে হয় বুঝতাম না।

-লাবণ্য-

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ লাবণ্য।

ঢাকা শহরকে যে এত ভালোবাসি, সেটা ঢাকা না ছাড়লে মনে হয় বুঝতাম না।

সত্যি তাই।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আড়াই বছর হয়ে যাচ্ছে এই দেশে। এখনো প্রাণের শহর ঢাকাতেই দূষিত বায়ু সেবন করতে করতে মরবো সেই স্বপ্ন বুকে জাগিয়ে রেখেছি, জানি না কতদিন পারবো। এই দেশকে এখন পছন্দ করে উঠতে পারলাম না। সবই ভালো, এখানের প্রকৃতিও বাংলার চে সুন্দর মনে হয়। কিন্তু দেশে কলিজার মাঝে যে শান্তি টা টের পাই, সেটা কেন এখানে পাই না?

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

তোমার লেখাগুলা পড়লে পঁচা ঢাকাটাকেও একটা মায়াময় আলোতে দেখি। পরিচিত জিনিস অন্যের চোখে দেখলে কতটা আজব লাগে সেটা বোঝানো যাবেনা... তোমার লেখাগুলোর জন্য অপেক্ষা সার্থক হয় ...

ভালো থেকো ভাইয়া... হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বালিকা, তুমিও ভালো থেক হাসি

নোংরা, ময়লা, ধূলাবালি, ট্র্যাফিম জ্যামের বাইরেও আরেকটা ঢাকা শহর আছে যাতে আছে মিশে আছে প্রিয়জনের ভালোবাসার স্মৃতি। শুধু আমার একার নয় সেটা তোমার এবং অনেকেরই দারুণ প্রিয়। সেই শহরটাকেই আমি ধরতে চাই এই লেখায়।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

হরফ এর ছবি

বাঃ মন ভালো করে দিলেন আবার। ধন্যবাদ।

------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

তাসনীম এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ ।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তাসনীম এর ছবি

তাই নাকি? তুমিও কি পাঁচ তারিখ?

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আপনার এই লেখাগুলো যতবার পড়ি ততবার হাত নিশপিশ করে উঠে স্মৃতিকথা লেখার জন্য। এতোই ভালোলাগে।

==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
আলোকবাজি

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ আশরাফ।


আপনার এই লেখাগুলো যতবার পড়ি ততবার হাত নিশপিশ করে উঠে স্মৃতিকথা লেখার জন্য।

তাহলে আর দেরি কেন? শুরু করে দিন আজ।...

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

লেখায় মাইনাস।

ফাকিবাজি-মার্কা লেখা হৈসে। একে তো এই লেখায় ঢাকার মায়াময়তা নাই। তারওপর যে-ডিটেলিংঙের জন্যে আপনার লেখা রূপকথার মতো আগ্রহ নিয়ে পড়ি, সেটা পেলাম না।

তাই, দুইটা মাইনাস।

একটা লেখা না জমায়, আরেকটা আপনার লেখায় ঈর্ষান্বিত হৈ, কিন্তু ত্রুটি খুঁজে পাই না। এই সুযোগে মনের ঝাল মিটাইলাম। চোখ টিপি
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

তাসনীম এর ছবি

আপনার দুটো মাইনাস মিলিয়ে প্লাস বানায়ে নিব নাকি?

এবারের গল্পটাতে ঢাকার বর্ণনা নেই সত্যি, বরং দূর গেলে কেমন লাগে তা বলেছি। আস্তে আস্তে ঢাকাকে ভোলার কথাও লিখেছি। আমি যখন ছাত্র ছিলাম ঢাকা ছেড়ে অন্য কোন শহরে বেড়াতে গেলে রীতিমত ফাঁপর লাগত। একবার ৮/১০ দিন বাইরে থাকার পর বাসে ফেরার সময় স্কাইলাইনে মতিঝিলের উঁচু উঁচু বাড়িগুলো দেখে মনে হয়েছিল "যাক বাবা বাঁচা গেছে..."

মাঝে অনেকদিন দেশে যাইনি, এসময় মাকে এরকম একটা চিঠি লিখেছিলাম..."ঢাকায় ফিরলেই মনে হয় বাসায় ফিরেছি...এই শহরে পৌঁছালেই আমার যাবতীয় ভ্রমণ এবং ক্লান্তির অবসান হয়...কবে আবার হবে সেই অবসান?..." মাঝে মাঝে এখনো সেই একই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মহাস্থবির জাতক।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

বাউলিয়ানা এর ছবি

মন খারাপ করা লেখা। শুধু


“গিয়া আমার নাম জিগাইস...”

“কি হবে জিগাইলে?”

“দেখবি কেউ চিনে না...হা হা হা।”

পড়ে আমার বিদায়ের দিনের কথা মনে পড়ে গেল।

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...আপনার বন্ধুরাও কি একই রসিকতা করেছিল নাকি? হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটা।
আমি ঢাকা ছাড়া থাকার কথা ভাবতেই পারি না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ভাই। আমিও একসময় ঢাকা ছাড়া থাকার কথা ভাবতে পারতাম না। তারপরও ছেড়ে থাকছি ১৪ বছর ধরে মন খারাপ

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ভাঙ্গা পেন্সিল [অতিথি] এর ছবি

এই সিরিজটার আলাদা একটা ক্যাটাগরি ঠিক করে দিলে ভাল হতো। শেয়ার করতে সুবিধা হতো। প্রতিটাই সংগ্রহে রাখার মতো লেখা

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাঙ্গা পেন্সিল। আমি সাধারণত ট্যাগে "স্মৃতির শহর" রাখি যাতে খুঁজে পাওয়া যায় একসাথে। এই পর্বে রাখা হয়নি। মডুদের অনুরোধ করছি ট্যাগটা যোগ করে দিতে।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

ছোটবেলার ঢাকায় থাকার দিনগুলি, জীবনের প্রথম দিকের স্কুলগুলির কথা, তারপর আমার আরেক শহর থেকে ঢাকায় ছুটিছাটা-কাজে আসলে জ্যাম, ময়লা, ধোঁয়ায় দম বন্ধ করা ঢাকার কথা, আর তারপর প্রথম একা একা সাবলম্বী জীবন শুরু করার ঢাকা, একেক স্মৃতিতে ঢাকা একেক রকম। কিন্তু আপনার যেমন বিদেশটাই একদিন আপন হয়ে গেল তাও মায়া থেকেই গেল পুরোনো শহরের... আমারো যে নিজের ছোট্ট শহরের মুক্ত হাওয়ার আকুলি বিকুলি করা মনের মাঝে, সকালের দৌড় দৌড় জ্যামে আর সন্ধ্যার ক্লান্ত 'আর পারি না, পালিয়ে যাব' জ্যামে আটকে থাকার থাকতেও কবে যে নতুন করে আবার নতুন শহর ভাল লেগে গেল, বুঝে উঠতে পারি না এখনো... ছেড়ে আসা প্রতিটা নতুন শহর এক সময় পুরনো হল, হচ্ছে, হবে... এই জন্যেই মনে হয় মুর্শেদ ভাইয়ের কবিতাটা এত আপন লেগেছিল, দু'হাত থেকে পুরোনো শহরের গন্ধগুলো নতুন শহর দখল করে নেয় বারবার, তবু পুরোনো শহরের গন্ধ লেগে থাকে মনে...
এত ভাল লেখেন, সে জন্যে আবারো ধন্যবাদ...।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌এরকম লেখায় মন্তব্য করার কিছু পাইনা। চোখ বুজে স্মৃতির পাতা উল্টাই কেবল।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

জাহামজেদ এর ছবি

লেখাটা পুরোপুরি মুগ্ধ হলাম তাসনীম ভাই...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ জাকির।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

আম্মা আর আব্বা চোখ মুছছেন নীরবে, এই অশ্রুটা এতক্ষণ যেন আমার ভয়ে কোথাও লুকানো ছিল, আমি সরে যেতেই তারা দখল করেছে মাঠ সদর্পে

অনেক কমলা রঙের রোদ ছিল মন খারাপ

হাসিন এর ছবি

এত ভালো লেখেন কেন?
হাততালি

মুনীর এর ছবি

আমি ঢাকা ছেড়ে এসেছি প্রায় ১১ মাস....মনে হয়না খুব একটা বদলে গেছি...কারণ আমার স্বপ্নগুলো এখনো " সম্পূর্ণ বাংলাদেশে চিত্রায়িত "....তবে প্রথম প্রথম খুব সাহস নিয়ে বলতাম " আমি এই দেশে ২ বছর এর বেশি থাকবো না, দেশে চলে যাব "....কিন্তু এখন যেন কেন বুকের ভিতর আগের মত সেই সাহসটা পাই না...সচল এ খুব একটা আসা হয় না..তবে আসলেই প্রথমে আপনার লেখার খোঁজ করি...কারণ আপনার লেখাতে বাস্তবতার একটা প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই...অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তাসনীম ভাই

মুনীর

রশিদ এর ছবি

সচলায়তন প্রায় ৩-৪ মাস ধরে পরছি।সময়ে সময়ে ভালো লাগা লেখা গুলয় তা জানাতে ইচ্ছে করেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন যেন তা আর করা হয়ে উঠেনি।
তাসনীম ভাই, আপনার লেখা খুব ভালো লাগে এটা জানাতেই শুধু আজ আসা নয় এখানে,বরং এই লেখাটা পরে কেমন যেন খুব মিস করছি দেশকে!!
আজ প্রায় ৬ মাস যাবত আমেরিকায়।দেশ আছে হৃদয়ে সবসময়।
ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্যে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।