শিশুপালন -৬

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শুক্র, ১১/০৬/২০১০ - ১:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক কঠিন কঠিন কথা চালাচালি হয়েছে...এবার আমরা চলুন একটু শিশুদের জগৎটা দেখে আসি। এই পোস্টটা এই সপ্তাহের ব্যস্ততার মধ্যে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু মনে হয় আমাদের হালকা ডোজের কিছু দরকার।

ভয়ঃ

ভয় নাকি শেখানো একটা জিনিস। আমরাই এটা বাচ্চাদের শেখাই আবার চাইলে আমরাই ভয়টা দূর করে দিতে পারি। ছোটবেলায় ভূত বেজায় ভয় পেতাম, রাতের বেলায় বাথরুমে গেলে দূরে কবরস্থানের টিমটিমে একটা আলো দেখা যেত, প্রায়ই মনে হতো সেই আলোতে ছায়ামূর্তিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। খ্রিস্টানদের ওই কবরস্থানটা অনেক পুরানো, আমি ১৯৪০ সালের কবরও দেখেছি সেখানে, সবই বিদেশি নাম। সাহেব ভূতরা একটু মোলায়েম হয় বলেই ধারণা ছিল সেই শৈশবে, তারপরও উনাদেরকে ভয় লাগতো বেশ। নিশ্চয়ই এই ভয়টা মনে ঢুকিয়েছিল পাড়ার বন্ধু-বান্ধব কেউ।

যাহোক মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম যে সে কী কী জিনিস ভয় পায়...লিস্টটা খুব ছোট হওয়ার কথা, জানা মতে আমি কোন ভয় ঢুকাই নি ওদের মনে।

“আব্বু আমি কালো বেড়াল ভয় পাই, “মিন ডগি” ভয় পাই, স্নেইক ভয় পাই, ইয়েলো টাইগার ভয় পাই, এ্যালিগেটর ভয় পাই, তোমার রেজার দিয়ে শেভ করে যেই ভূতটা সেটা ভয় পাই তারপর পোকা ভয় পাই...”

তালিকা দেখি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আর হ্যাঁ, একটা ভূতের গল্প বলেছিলাম বটে, দাড়িওয়ালা ভূত যেটা আমার রেজার দিয়ে রাতের বেলায় এসে শেভ করে যায়...যাক এইটা আমারই দোষ, কিন্তু তাই বলে এতো কিছু? সোয়্যার গড...আমি এইসব শেখাই নি...শুধু ওই দাড়িওয়ালা ভূতটা ছাড়া। কীভাবে এত কিছুর ভয় ঢুকলো মনে? এর মধ্যে অবশ্য সত্যিকারের ভীতিপ্রদ বস্তুও আছে, যেমন স্নেইক (যেটা টেক্সাসে প্রচুর আছে), খাঁচার বাইরে ইয়েলো টাইগারের সামনে পড়লে সবারই অবস্থা টাইট হবে। এ্যালিগেটরকে আমারও খুবই “মিন” প্রাণী বলেই মনে হয়।

নাহ, কমাতে হবে কিছু ভয়। পোকা দিয়েই শুরু করি। এদেশের অধিকাংশ পোকাই নিরীহ। মোটামুটি “হ্যান্ডসাম” একটা পোকা হাতে তুলে নিয়ে শিক্ষা সফর শুরু করলাম।

“এই দেখ কি সুন্দর একটা পোকা, ভয়ের কী আছে?”

মেয়ের চোখে বিস্ময়। পোকার মত খতরনাক জিনিস যে তুলতে পারে, সে ডোরার চেয়েও অনেক বেশি সাহসী। এইভাবেই মনে হয় বাবারা মেয়েদের হিরো হয়ে যান, এরপর ওদের প্রেমিকরা বিশ্ব সংসার তন্নতন্ন করে ১০৮টা নীল পদ্ম তুলে আনলেও সেটাকে আর “বিগ ডিল” মনে হয় না। মেয়েদের প্রেমিক হওয়ার চেয়ে বাবা হওয়া ঢের সোজা।

“আব্বু, এইটা কী নাইস পোকা?” বিস্ময়ভরা কন্ঠে ওর জিজ্ঞাসা।

“বেশ নাইস, মা...”

“বাইট করছে না?”

“একদম না।”

“ওর হোম কই আব্বু?”

“এই আমাদের বাসাটাই ওর হোম (যদিও মর্টগেজ দেয় না এই ব্যাটা)।”

“ক্যান আই হোল্ড হিম?” ভয়টা সরে গিয়ে কৌতুহল ঝরে পড়ছে এবার।

যাক, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে ভয় দূরীকরণ সম্ভব। ভয়টা আসলেই শেখানো জিনিস মনে হয়। মেয়ের পোকা নিয়ে গবেষণা শুরু হলো। মেয়ের কাছ থেকে একটা পোকার ইংরেজি নামও শিখলাম, রোলিপোলি, সাহেব পোকা মনে হয়। বেশ নম্র ও ভদ্র স্বভাব।

কয়েকদিন পরে মেয়ে তার গবেষণার সারমর্ম প্রকাশ করলো।

“ আব্বু, আমি জানি কোন পোকাগুলো নাইস।”

“কোনগুলো মা?”

“ডেড পোকাগুলো আব্বু।”

বলেছিলাম না, শিশুরা সবচেয়ে বড় কমেডিয়ান, দেখলেন তো?

আমি এখানে আরেকটা লাইন যোগ করি, এটা শুধু পোকা নয় পাকিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জীবিত এবং সত্যিকারের নাইস পাকি আমি দেখিনি এখনো।

জন্ম রহস্যঃ

“আব্বু বেবি কীভাবে হয়?”

এই প্রশ্নটা সব বাবা-মাকেই মনে হয় শুনতে হয় শিশুপালনের কোন এক পর্যায়ে। সবাই মনে হয় একটা শিশুদের উপযোগী উত্তর তৈরি করে রাখেন এর জন্য । দুঃখের বিষয় আমি কোন প্রস্তুতি নেই নি এই প্রশ্নের। আমি মনে হয় আমার মেয়েকে যতটা ছোট মনে করি, তত ছোট নয় সে...

“আব্বু তুমি জানো না কীভাবে বেবিরা হয়...”

জানতাম বৈকি। বিরাট একটা সময় কেটেছে এই নির্মাণ প্রক্রিয়া আলোচনা করে। তাতে আমার বদ বন্ধুরাও অনেক তথ্য সরবরাহ করেছে, তারপর গুপ্তবাবু নামে এক দুষ্ট লোক অনেক গুপ্ত বিদ্যা (?) দিয়েছেন। এখন আপসোস হতে লাগলো...কেন যে বাচ্চাদের মত করে কিছু রেডি করে রাখলাম না। এখন কী বলি? বেবিরা স্বর্গে থাকে আর সেখান থেকে আমরা তাদের পেড়ে পেড়ে আনি? নাকি ফুল যেভাবে ফুটে...আমার ভাবনায় বাধা পড়ে মেয়ের কথায়।

“আব্বু আমি জানি কীভাবে হয়।”

বটে...বটে...কে দিল এই জ্ঞান? নিশ্চয়ই স্কুলের বন্ধুরা। আমি যখন ছোট ছিলাম, বন্ধুদের বাবা মায়েরা মনে করতেন সকল দুষ্টামি বাকী বন্ধুদের শেখানো শুধু নিজের ছেলেরাই তুলসী পাতা। তখন রাগ হতো কিন্তু আজকে মনে হল ধারণাটা বেশ যুক্তিপূর্ণ।

“বেবিদেরকে আম্মুদের পেটে কেটে বের করে...”

নাহ...স্কুলের ছেলে মেয়েগুলো দুষ্ট আছে...এই বদ বাচ্চা-কাচ্চাগুলোর কাছ থেকে কালক্রমে আর কী কী যে শিখবে?

“বেবিরা আম্মুদের পেটের ভেতর কীভাবে যায় জানো?”

আমি এখন শুধুই শ্রোতা, বলার কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না অনেকক্ষণ ধরেই।

“আম্মুরা ছোট ছোট বেবিদের খেয়ে ফেলে, তাই টামির ভেতর চলে যায় ওরা। ইটস্ নট নাইস, আব্বু...বেবিদের খেয়ে ফেলা নাইস না...ইট হার্টস ফিলিংস...”

এইবার আমি ধড়ে প্রাণ ফিরে পাই...”হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ...তাইতো...এটা খুব খারাপ কাজ...খুব খারাপ কাজ, বেবিদের খেয়ে ফেলা একদম নাইস না...আমি সব আম্মুদের বলে দেবো...ওরা যেন বেবিদের আর কখনো খেয়ে না ফেলে। দরকার হলে বকে দিব খুব করে।”

যাক জন্ম রহস্য জানলাম...যদিও ইট ক্যান হার্ট ফিলিংস, তাই বলে কি থেমে যাবো আমরা?

###


মন্তব্য

আব্দুর রহমান এর ছবি

সিরাম হইছেগো, তাসনীম ভাই। আর পোকার ব্যাপারে আমিও বলতে চাই যে একমাত্র মরা পোকাই ভালো পোকা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ আব্দুর রহমান।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শরতশিশির এর ছবি

হা, হা, হা! আসলেই, বাচ্চারা এত মজার মজার প্রশ্ন করে!

আর, সামারা-আনুশা-কে বাসায় গিয়ে এই ভিডিওটা দেখাবেন।

This is how babies are made! চোখ টিপি

Partly cloudy from Molasses on Vimeo.

-----------------------

আচ্ছা, পোকামাকড় নিয়ে পেলাম একটা ভিডিও। এটাও দেখাবেন, দু'টোই ফুলস্ক্রিনে। হাসি

Bugs! from Ryan Enn Hughes on Vimeo.

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

তাসনীম এর ছবি

শরতশিশির, ভিডিওটার জন্য ধন্যবাদ।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

যাক আপনার মেয়ের কাছ থেকে মানবজন্ম রহস্যটা এইবেলা শিখে রাখা গেল, অনেকদিন ধরেই আমি এ নিয়ে ভাবিত ছিলাম! ব্যস্ততার মধ্যেও লেখা আপনার এই পোস্টটির কার্যসিদ্ধি হবে আশা করি।
--চিরায়ত পাঠক

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ চিরায়ত পাঠক। আশা করি কাজে লাগবে শিক্ষা হাসি
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্নিগ্ধা এর ছবি

একটা ফাজলামি করতে গেছিলাম, কিন্তু দেখলাম খিঁচড়ানো মেজাজ নিয়ে কিছুই জমছে না ...... পরে হয়তো আবার এসে মন্তব্য করবো।

তবে, এইবেলা মেয়েদের কাছ থেকে পারলে আরও কিছু জ্ঞান ট্যান নিয়ে রাখেন, আখেরে কাজে আসবে! কয়দিন পর তো ওদের কথাই আমাদের শুনতে হবে মন খারাপ

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ স্নিগ্ধা, আপনার ফাজলামি অপেক্ষায় আছি এখনো...

আর মেয়েদের কথা, সামনে যে কী দিন আছে...

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

পুতুল এর ছবি

ঘটনা দেখি ব্যাপক জটিল!
ভয় আর পোকার ব্যাপার কোন ভাবে মেনেজ করা গেলো, কিন্তু জন্ম রহস্য?
মেয়ে এখনো প্রশ্ন করা শুরু করে নি, কিন্তু পাপা, মামা কইতে পারে। আমি কিভাবে এলাম এই প্রশ্নতো চিরন্তন। জবাব কী দেবো?

মেয়েদের আদর, মেয়ের মাকে শুভেচ্ছা।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ পুতুল...জন্ম রহস্য আসবে রে ভাই সামনে দিনে আছে আরো বাকি।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রেনেট এর ছবি

দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

তাসনীম এর ছবি

দেঁতো হাসি ধন্যবাদ রেনেট

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ সবাইকে। দৌড়ের উপর আছি তাই শর্টকাটে লিখছি।

পুতুল ভাই, আমার মেয়ের লব্ধ জ্ঞানটা দিতে পারে, যদি বেবিদের খেয়ে ফেলা ঠিক না।

স্নিগ্ধা, যা বলেছেন। শিখেই যাচ্ছি। আপনার ফাজলামি অপেক্ষায়...

রেনেট ভায়া, দেশে ফিরেও একা একা লাগছে কেন?

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মামুন হক এর ছবি

মনটা আসলেই ভালো করে দিলেন বড় ভাই। আপনি আর শরতশিশির মিলে। দু'জনকেই আন্তরিক ধন্যবাদ। আগ্রহীদের জন্য টিপস, শিশু কোলে নিয়ে শিশুপালন পড়ার স্বাদই আলাদা, আর জমজ কোলে নিয়ে পড়লে ডবল সওয়াব হাসি

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ, মামুন ভাই। আপনার মেয়েদের জন্য আদর রইল।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দ্রোহী এর ছবি

১.
আপনার মেয়ের ভয় পাওয়ার লিস্টের সাথে আমার ভয় পাওয়ার লিস্টের প্রচুর মিল আছে দেখি!

আমিও কালো বিড়াল, স্নেইক, ইয়েলো টাইগার, আর অ্যালিগেটর ভয় পাই। তবে এভারগ্লেডস-এ গিয়ে অ্যালিগেটর কোলে নিয়ে আমার ভুল ভেঙেছে। এত তুলতুলে নরম ও আরামদায়ক চামড়ার কোন প্রাণী আমি এর আগে ধরে দেখিনি।

অ্যালিগেটর ফার্মের ভিজিটর ইনফো গাইডে পড়েছিলাম - অ্যালিগেটর বায়োলজিক্যালি সবচাইতে নিখুঁত ডিজাইনের অধিকারী প্রাণীদের একটা। অথচ দেখতে কী কুৎসিত! প্রকৃতি বড়ই আজব!

২.
ভয় কাটানোর ট্রিটমেন্টটা ঠিক আছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এটা ভয়াবহ ফলাফল বয়ে আনে।

আমার ভয়াবহ মাত্রায় ওফিডিওফোবিয়া আছে। সেই ভয় কাটানোর জন্য আমাকে দিয়ে জোর করে সাপ স্পর্শ করানো হয়েছিল। কিন্তু সেই চিকিৎসায় উল্টো ফল হয়েছে। সাপের প্রতি ভয় আরো বেড়েছে। এখন আমি সাপের ছবি দেখলেও ভয় পাই। হাসি

৩.
বেবি কীভাবে হয় তা সবচাইতে সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছে পিক্সারের "পার্টলি ক্লাউডি'তে"[শরতশিশির অ্যাড করে দিয়েছেন শুরুতেই]। এত চমৎকার একটা অ্যানিমেশন। যতবার দেখি ততোবারই মুগ্ধ হই।


কি মাঝি, ডরাইলা?

তাসনীম এর ছবি

দ্রোহী, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। এলিগেটরের ব্যাপারটা জেনে আমিও বিস্মিত। ভাবছি এলিগেটর ফার্ম দেখে এসে ভয় কাটাবো, কয়েক ঘন্টা দূরে একটা লেইক আছে এলিগেটর পরিপূর্ণ, সেখানে ভয়ে যাই না।

আর সাপ আমিও ভয় পাই, টেক্সাসে সাপের সাথে মোলাকাত হয়েছে বেশ কয়েকবার। অনেক ভয় নিজেও দূর করতে পারি নি।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শরতশিশির এর ছবি

আমি 'সাপ' নিয়ে বেশ কয়েকটা ভিডিও পেয়েও আর দিলাম না! হার্টফেইল হলে তারপর আমার দোষ হতো! খাইছে

তবে কতগুলো ভিডিও শেয়ার করি আবারও, আশা করি সবার ভাল লাগবে। ঢাকায় নেট স্পিড যেহেতু বেশ স্লো, বাফার করে দেখতে হবে। হাসি

+ রাশান রূপকথা - 'My Green Crocodile' (1966) (চেনা চেনা মনে হয়েছে, বিটিভিতে কখনও দেখিয়েছিলো কি?) +

+ বাঘ শাবক নিয়ে, 'The Tiger's Gift' +

The Tiger's Gift from Huntington Digital Media Arts on Vimeo.

+ এই ভিডিওটা আমার ভাই প্রথমে পোস্ট করেছিলো, আমি দেখে হাসতে হাসতে শেষ - 'Tiger and Monkey fight' +

+ সবশেষে, এডগার অ্যালেন পো'র বিখ্যাত ছোট গল্প 'The Black Cat' অবলম্বনে তৈরী এই অ্যানিমেইশানটা আর এম্বেড করলাম না, একটু ডার্ক বলে। তবে, আমি দেখতে সাজেস্ট করবো কারণ আসলেই এই অ্যানিমেইশানটি, গল্পটিকে পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলেছে। +

হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

শামীম এর ছবি

চোথাগুলো অদুর ভবিষ্যতে বেশ কাজে লাগবে (মেয়ের বযস ৮ মাস-২দিন)। হাসি

বাচ্চা জন্ম দেয়ার পদ্ধতি যেটা আপনার মেয়ে জানে, সেটা বেশ নিষ্ঠুর ... বাচ্চা কপ করে খেয়ে ফেলে মা ... সেটাকে বের করার জন্য আবার তার পেট কাটতে হয় .... কি ভয়ংকর!

এর চেয়ে আমাদের ভার্সনটা ভাল ছিল ... ... আল্লার কাছে বাচ্চা চেয়ে দোয়া করলে পেটের ভেতরে একটা বাচ্চা দিয়ে যায় ... ... হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

তাসনীম এর ছবি

অভিনন্দন শামীম, কন্যার জন্য শুভ কামনা। আর জন্ম রহস্য সব ওই স্কুলে বন্ধুদের দোষ... হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আহা!

আপনার মেয়েটার জন্য পৃথিবীর সব শুভকামনা হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তাসনীম এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ অনার্য সঙ্গীত।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মাশাল্লাহ, পিচ্চি অতিশয় বুদ্ধিমান হয়েছে- পিতার্মতই...

_________________________________________

সেরিওজা

তাসনীম এর ছবি

সুহান, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভিন্ন স্বাদের পোস্ট .. চমৎকার

________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ বর্ণ অনুচ্ছেদ।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বাচ্চাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে সেই বাচ্চাকাল থেকেই আমার জেরবার অবস্থা! কোলে নিতে পারতাম্না যখন সেই পিচ্চি অবস্থাতেও দুয়েকখান বাচ্চা সাম্লানোতে এই বিষয়ে যথেষ্ট ট্রেনিং ইতোমধ্যেই পায়া গেসি!

তোমার পরী দুইটারে দলাইমলাই আদর ভাইয়া! দেশে আসলে ইন পারসন দিয়ে দিবো! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ বালিকা। তুমিতো এক্সপার্ট...দেশে আসলে বেবিসিটিং লাগায়ে দিব হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

জুনেব [অতিথি] এর ছবি

মাশাল্লাহ আপনার মেয়ের অনেক বুদ্ধি ।
আমার ছোটবোন ছোটসময়ে লেকচার(lecture) মামাকে ভয় পেত কিভাবে এই ভয়ের শুরু আমরা জীবনেও বের করতে পারি নাই ।
আপনার সব লেখাই আগ্রহ নিয়ে পড়ি এই সিরিজটা ভবিষ্যতে কাজে আসবে নির্ঘাত ।

অফটপিকঃ ক্রোমের google translator addon এই লেখাকে বলতেছে লাটভিয়ান ভাষায় লেখা দেঁতো হাসি :D কাহিনী বুঝতেছি না ।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ জুনেব মন্তব্য এবং লেখা পড়ার জন্য। আপনার কাজে আসলে সেটা হবে আমার জন্য বাড়তি পাওয়া।

অটঃ মনে হচ্ছে আমি লাটভিয়ান ভাষায় পড়তে ও লিখতে পারি হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অগ্নিবীণা এর ছবি

তাসনীম ভাই, চমৎকার একটা টপিক (শিশুদের ভয়) নিয়ে লিখেছেন! আমার কন্যাদের ভয়ের ব্যাপারে কথা বলার আগে নিজের কথা বলে নেই। থাকি প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে...সবাই বলে গার্ডেন সিটি, উষ্ণতা আর হিউমিডিটি পুরো অঞ্চলটিকে আসলেই করেছে সবুজের লীলাভূমি! সেই সুন্দর বর্ণিলতার ভেতরে বাস করে হরেক রকম পোকামাকড়! আমি সেই তথাকথিত ভীতু টাইপের মেয়ে নই,( তেলাপোকা, টিকটিকি, ইঁদুর দেখে ঘেন্না লাগে কিন্তু ভয় পাই না!) কিন্তু ক্যাটারপিলার? আপনারা লক্ষ্য করেছেন কিনা জানি না, নর্থ আমেরিকার অনেক সিটিতেই নাকি গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর সাইড এফেক্ট হিসাবে ক্যাটারপিলার সহ অন্যান্য পোকামাকড়ের আউট ব্রেকস ঘটেছে! এখানে দেখি গাছে গাছে ক্যাটারপিলার, পাকিং লটে, পেভমেন্টে, বাড়ির বাইরের দেয়ালে সবখানে ক্যাটারপিলার হাঁটছে...ঘেন্নায় আতংকে এবং গা শিরশিরে অনুভুতির তরে কাঁদতে থাকি!
দ্রোহীর মন্তব্যে ওফিডিওফোবিয়ার উল্লেখ দেখে মনে হচ্ছে আমারও এই ধরণের কিছু একটা ফোবিয়া আছে। ভয়টা চেষ্টা করে হয়তো কাটানো যায় কিন্তু ফোবিয়ার বাস শুধু মনের মাঝে নয় বরং আরো ডীপে হয়তো জীনের কোন এক কোডে অংকিত! আমার ভয় দেখে মাঝে মাঝে আমার হাজব্যান্ড বলেন একটা ক্যাটারপিলার কাছে নিয়ে দেখ, কী আর জবাব দেবো তাকে? জ্যান্ত দেখা তো দূরের কথা, আমি ক্যাটারপিলারের ছবিও দেখে সহ্য করতে পারি না! সামারটি কাটছে তীব্র অশান্তিতে...অপেক্ষা করে আছি কবে তেনারা প্রজাপতি হয়ে উড়াল দেবেন!
আমার ভয় দেখে আমার ৬ বছরের কন্যা বলে, 'মাম, ইটস ওকে, ডোন্ট গেট এফ্রেইড, এট উড বী এ নাইস বাটারফ্লাই সুন'!

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ক্যাটারপিলার আধিক্য লক্ষ্য করেছি মাত্র সেই দিন। আমাদের সাধের বাগান খেয়ে সাফ করে দেওয়ার পর।

বক্তব্যে আসি, আমি মনে করি ভয়টা মূলত জেনেটিক নয়, যদিও আমাদের জিনে কিছু সত্যিকারের ভীতিকর জিনিসের ভয়টা প্রোগ্রাম করা আছে, আর বাকিগুলো আমরা কোনও না কোন ভাবে শিখেছি।

আমি যখন ছোট ছিলাম, জামা পড়ার সময় ওতে লুকিয়ে থাকা একটা ভয়াল দর্শন মাকড়শা আমার হাত বেয়ে নেমে গিয়েছিল। সেই থেকে মাকড়শার ভয় আমার আজো কাটেনি। এই এরাকনোফোবিয়া নিয়ে স্পিলবার্গের একটা ছবি আছে, যেটা দেখে ভয় আরো ডাবল হয়েছে। পরে বুঝেছি, ছোটবেলায় মাথার ভেতর যেসব ভয় ঢুকে যায় সেটা বের করা প্রায় অসম্ভব।

আপনি মনে হয় শৈশব থেকেই সরিসৃপ ভয় পান যেটা মনে হয় আপনার কন্যার নেই, জেনেটিক হলে থাকতেও পারতো। মাকড়শার মত সাপ আমি ভীষণ ভয় পাই, আর এই দেশে রাস্তা-ঘাটে, লেইকে, পার্কে অনন্ত বার দশেক সর্প দর্শন হয়েছে। ছোটবেলাতে দেশের বাড়িতে একবার সাপের সামনে পড়েছিলাম। এই মাকড়শা আর সাপের কথা মনে হলেই শিউরে উঠি এখনো। মজার ব্যাপার হলো আমাদের পাড়ার বাচ্চাদের আমি সাপের লেজ ধরে বোঁ বোঁ করে ঘুরিয়ে ছুড়ে মারতে দেখেছি। টেক্সানরা সাপকে বাগানে আরেকটা প্রাণীর মতই মনে করে।

তবে শুধু ভয় বলি কেন, শৈশবের অনেক কিছুই মানুষ এক জীবনেও অতিক্রম করতে পারে না। মোটামুটি শৈশবেই আমাদের পুরো জীবনটাই ম্যাপড হয়ে যায়।

আপনার কন্যার জন্য আদর রইল। ওর কথাই ঠিক, ওরা একদিন প্রজাপতি হয়ে ঠিকই উড়ে যাবে...কিন্তু আমার দিকটা দেখেন...মাকড়শা আর সাপের কোন উন্নতি হবে না কোনদিন হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রণদীপম বসু এর ছবি

প্রত্যেক বাবা-মা'কেই সন্তানের জন্মরহস্য সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন পেরিয়েই যেতে হয়, যেতে হবে। এতোবড়ো রহস্য জিজ্ঞাসা শিশুকে দোলা না দিয়ে কি পারে ! আর আপনার মেয়ের মুখে শোনা ভার্সনটা একেবারে নতুন শুনলাম, ভয়ঙ্করও। এই ধারণা শিশুর মনে মা সম্পর্কে মমতাময়ী ধারণাটাকে গ্রাস করে ফেলতে পারে, যা পরবর্তী জীবনে আনুষঙ্গিক অনেক কিছুতেই প্রভাব ফেলার আশংকা তৈরি করে। মেয়ের কাছ থেকে তার ধারণাগুলো আপনার জেনে নেয়ার কৌশলটা খুবই ভালো।
শৈশবকেই সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় এজন্যেই যে, মানুষ কখনোই শৈশবকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রণদা। নাহ...মমতাময়ী মা সম্বন্ধে ধারণা পালটায় নি, মেয়ে শুধু বের করেছে যে বাচ্চারা কীভাবে পেটের ভেতর যায়। বাচ্চাদের একেকটা ফেইজ থাকে, আরেকটু বড় হলে ধারণা পাল্টাবে। তাছাড়া স্কুলে একটা প্রোপার এডুকেশনও দেয় এরা।

তবে একটা জিনিস সত্য, বাচ্চাদের সাথে কথা বলতে হয়। ইন ফ্যাক্ট বড়দের সাথে কথা না বলে বাচ্চাদের সাথে কথা বললে সময়টাও ভালো কাটে আর অনেক নির্মল একটা জগৎ দেখা যায়।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

শিশুপালন করতে মন চায়। খালি একটা ভয়ঙ্কর(যে বাচ্চা কপ করে খেয়ে ফেলতে পারে) সুন্দর মা দরকার। মন খারাপ
আপনার মেয়ে তো বড় হয়ে আইনস্টাইন হবে দেখা যাচ্ছে...হাসি

সজল

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সজল। আশাকরি অচিরেই একটা মা খুঁজে পাবেন হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার বাচ্চারা জিনিয়াস! হাসি
আমার ক্ষেত্রে অদ্ভুত এক ব্যাপার লক্ষ্য করছি। আমাকে আশেপাশের মানুষ ভীষণ সাহসী বলেই জানে। ইদানিং আমি কিছু কিছু ব্যাপারে ভয় পাই। স্বপ্ন দেখে মাঝেমাঝেই ভয় পাই। যে পোকা ধরলেই গুটিয়ে গোল হয়ে যায়, সেটা হাতে নিয়ে অনেককেই ভয় দেখিয়েছি একসময়, কিছুদিন আগে ওই পোকাটাকে আবারো হাতের মুঠোয় তোলার সাহস করে উঠতে পারলাম না কিছুতেই। ইয়ে, মানে...

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শিমুল।

সাহসের সাপ্লাই শেষ হয়ে যাচ্ছে মনে হয়। আমার মাঝে মাঝে এটা হয়, কাজের চাপ অথবা অন্য কোন স্ট্রেস থাকলে। এই সময় দরকার সাহসের ব্যাটারি রি-চার্জ, ছুটি নিয়ে টেনে ঘুমালে কাজ দিতে পারে।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

হো হো হো হো হো হো

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাসনীম এর ছবি

তোমাকেই খুঁজছিলাম মনে মনে, বানান শুদ্ধির অফিসিয়াল ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

১.
উত্তম জাঝা। শিশু পালনের অভিজ্ঞতা দেখছি সর্বজনীন!

২.
ভুত বিষয়টা আমিও একদমই এড়িয়ে চলছি। এমন কি কোন কিছু করানোর জন্যও কোন কিছুর ভয় দেখানো নিষেধ।
তবে একটাই সমস্যা, রাগ করলে রাতের অন্ধকারেও লাইট না জ্বালিয়েই একাএকা অন্যরুমে গিয়ে বসে থাকে।

৩.
টামিতে বেবী নিয়ে কী আর বলবো, বয়স মাত্র সাড়ে পাঁচ, এর মধ্যেই সেদিন বললো, "বাবা, এ্যাম সো বোরড এ্যালোন... হোয়াই ডোন্ট ইউ গাইজ টেক এ্যানাদার বেবী?"

৪.
শুনেছি পড়শীর চতুর্থ অথবা পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া বাচ্চাকে নাকি ইতমধ্যেই ছেলে-মেয়ের পার্থক্য বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে! ঘোর কলি।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

তাসনীম এর ছবি

সাঈদ ভাই, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। যেই দিনকাল পড়ছে...বাচ্চারাই ঠিক করে দিবে আমরা কী করব। ঠিকই বলেছেন, ঘোর কলিকাল। আর ভূতের গল্প না শোনানোই ভালো তবে নিজে বড় হয়েছি এগুলো শুনে, কী করব বলেন? না চাইলেও দুই একটা বের হয় যায়।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

...মেয়ের চোখে বিস্ময়। পোকার মত খতরনাক জিনিস যে তুলতে পারে, সে ডোরার চেয়েও অনেক বেশি সাহসী। এইভাবেই মনে হয় বাবারা মেয়েদের হিরো হয়ে যান, এরপর ওদের প্রেমিকরা বিশ্ব সংসার তন্নতন্ন করে ১০৮টা নীল পদ্ম তুলে আনলেও সেটাকে আর “বিগ ডিল” মনে হয় না।...

অনেক পরে পড়তে এসে এই ক'টা কথা বেশ মনে ধরল তাসনীম ভাই। ভাল অবসার্ভেশন। হাসি

আমার অনেক ছোট ভাই-বোন ... এখন আবার পিচ্চি পাচ্চি ভাগ্নে-ভাগ্নীদের একটা দল জুটেছে। চিরকালই আমি বাচ্চাদেরকে বড়দের চেয়ে অনেক বেশি ভালু পেয়েছি। এদের সাহস আর চিন্তাধারা দেখে আমি মুগ্ধ। একটা কথা মনে পড়ছে এই 'ভয়' জিনিসটা প্রসঙ্গে - সামারা-আনুশা ভয় পায় কালো বেড়াল, মিন ডগি, স্নেইক, ইয়েলো টাইগার, এ্যালিগেটর, পোকা - খেয়াল করেছেন কি? আপনার নিজের তৈরি ঐ ভূতটা বাদে এগুলো সবই সত্যিকারের প্রাণী, এবং প্রতিটাই হইয়ে উঠতে পারে হিংস্র সেরকম পরিস্থিতি পরিবেশে। আমার মনে হয় ওদের ভয়টা তাই অবাস্তব নয়, বরং আবারো ছোটদের ইনোসেন্স অনুযায়ী ওরা অনেক বেশি বাস্তবমুখী। দুঃখজনক ব্যাপার হল একদিন ওরাও জানবে মানুষের হিংস্র দিক গুলি, আর সেটাই পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জিনিস মনে হয়! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ যাযাবর ব্যাকপ্যাকার। আসলেই দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ানক জিনিস হচ্ছে মানুষ। যত বড় হবে ততই টের পাবে ওরা।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

বাউলিয়ানা এর ছবি

পাহাড়ে জঙ্গলে বড় হয়েছি-পোকা মাকড় নিয়ে কখনই ভয় ছিল না।
তবে একবার ছোট বোনটা মানব জন্ম বিষয়ক প্রশ্ন করাতে তাকে সামনের জঙ্গল দেখিয়ে বলেছিলাম, তোকে ঐ জঙ্গলে একটা বিশাল ইঁদুরের কাছ থেকে নিয়ে এসেছি। পরে ঐ বয়সে নিজের ক্রিয়াটিভিটি দেখে নিজেই অবাক হয়ে গেছিলাম!

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বাউলিয়ানা। আমিও জন্মরহস্যের নানান ভার্শন জানতে পেরে মুগ্ধ হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

গৌতম এর ছবি

আহ! একটা শিশু যে কবে হবে!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ গৌতম। আসছে সামনে শুভদিন...শিশুপালনের ট্রেইনিং নিন হাসি

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দিগন্ত এর ছবি

লেখা দুর্দান্ত হয়েছে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ দিগন্ত।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মেঘা এর ছবি

আমি জানি না আমার মধ্যে এই পোকা মাকড়ের ভয়টা কিভাবে ঢুকেছে। তবে ভয়টা কিভাবে আতংকে পরিনত হলো সেটা মনে আছে। নানু বাড়ী গেছি বছর পাঁচেকের মত হবে বয়স। আমার মামা কোথেকে একটা লাল রঙের ফড়িং ধরে তার সাথে সুতো বেঁধে কি মনে করে আমার আঙ্গুলের মধ্যে সেই সুতো বেঁধে দিলো। ব্যস আর যায় কোথায় ! আমার মনে আছে অই ফড়িংটা বার বার আমার গায়ে মুখে এসে পরছিলো ফড়িংএর ধার ধার পা গুলো আমার গায়ে লাগছিলো। আমি ভয়ে আতংকে চিৎকার করতে করতে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলাম। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত আমি যেকোন পোকা দেখে প্রচন্ড আতংকিত হয়ে যাই। সেটা তেলাপোকা হোক, প্রজাপতি বা ফড়িং যাই হোক। লিখতে যেয়েও কেমন গা শিউরে উঠছে আমার। আমি জানি না আমার বাচ্চা কাচ্চা হলে আমি কিভাবে ওদের ভয় দূর করবো। মন খারাপ

বন্দনা এর ছবি

সব মেয়েরই ছোটবেলার হিরো বোধহয় তার বাবা । আপনার কথাটা খুব মনে ধরেছে।

এইভাবেই মনে হয় বাবারা মেয়েদের হিরো হয়ে যান, এরপর ওদের প্রেমিকরা বিশ্ব সংসার তন্নতন্ন করে ১০৮টা নীল পদ্ম তুলে আনলেও সেটাকে আর “বিগ ডিল” মনে হয় না

গুরু গুরু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।