গাউচ্ছা মাইয়া(১)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ২৭/০৪/২০০৯ - ২:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ত্যাড়া ঘাড়টার জন্য খুব চিন্তায় ছিলো আমার মা। একে মাইয়া, তায় কালিকুটকি, তায় চেঁচাইয়া করে পাড়া মাত।নেহাত উপরোলার অশেষ কৃপায় বাড়ীটা পাড়ার একেবারে শেষ বাড়ী, তাই ভিতরের দিকের ভদ্রলোকেরা টের পায় না, নইলে এইসব জানাজানি হইয়া গেলে উপায় হইতো কি? এই উজ্জরেরে কে লইতো তখন তাগো ঘরে?

কোথায় মাইয়া হইবে ফর্সা, নরমসরম, লক্ষ্মীমতী, ভক্তিমতী! যা শুনবে মুন্ডু কাইত কইরা কইবে হ্যাঁ, হ্যাঁ, কইরা দিতাছি, আইনা দিতাছি। তা না কোইত্থিকা এই কালিকুটকি রূপের ধুচুনি মাইয়া আইসা জন্মিছে! কয় কিনা, "মা, আমার না রবিবারের সকালে বারান্দায় ইজি-চেয়ারে বসে খবরের কাগজ পড়তে পড়তে চা খেতে খুব ইচ্ছে করে। বড় হয়ে নিশ্চয় আমি অমন.... " মা তেড়ে উঠে "আরে আমার কপাল! মাইয়ায় কয় কি! ওরে মাইয়ামানুষেরা চা কইরা দেয়, শ্বশুরে বারান্দায় বইসা খবরের কাগজ পড়ে, বৌমা চা কইরা দেয়। মাইয়ামানুষ হইয়া জন্মিয়া এতখানি বড় হইয়া তুমি আদবকায়দা শিখলা না বোকা? চড়াইয়া আইজ তোমারে..... " মায় চড় তুলে, আমি সাঁত কইরা সাত হাত সইরা গিয়া ভেংচি দিয়া দৌড়!

"মায় ফর্সা, বাপে কালা-তা মায়ের রঙ না পাইয়া বাপের ধারা পাইতে কইছিলো কেডা? কপাল, সবই কপাল!" মায়ে কপাল চাপড়ায়। আমি কান দেই না, দৌড় দিয়া পেয়ারাগাছে চড়ি। বাড়ীর পশ্চিমের সীমানার কাছে যেখানে কুয়া তার পাশেই জোড়া পেয়ারাগাছ, তারপরেই বেড়ালতার বেড়া, তারপরেই আদিগন্ত ধূ ধূ ধানের ক্ষেত। সবুজ ধান দুলছে হাওয়ায়। কী চমত্‌কার দেখতে লাগে গাছে উঠে দেখলে! পেয়ারাগুলোও চমত্‌কার মিষ্টি! সারাবছর পেয়ারা হয় গাছ দুইটায়! সাধে কি আর চাষীপাড়ার দুষ্টপোলাপানে দুপুরে আইসা পেয়ারা চুরি করে? উপরের ডালে জুত করে বসে পেয়ারায় দেই কামড়! নীচে মায়ের আক্ষেপ, "গাউচ্ছা মাইয়া! এর কপালে যে দুর্গতি আছে কেজানে!"

কপালের দুর্গতি সুগতি নিয়ে চিন্তা নাই তখন আমার, মাথার উপর দিয়া এক ঝাঁক সবুজ টিয়া উড়ে যায় ট্যাঁ ট্যাঁ করতে করতে-আহা, যদি ধরা যেতো একটাকে! তারপরে মনে হয় ধরে পাখি খাঁচায় রাখলে পাখিটা কেমন জানি ঝিমুনো হয়ে যায়। এমনিতে কত তেজী! এমন সবুজ রঙ হয় কি করে? কে দেয় ওদের গায়ে এমন সুন্দর সবুজ রঙ? খাঁচার টিয়া কেমন ফ্যাকাশে হয়ে যায়। আমার যদি অনেক টাকাকড়ি হয়, বাড়ী হয় বাগান হয় কোনোদিন, তবে পাখি খাঁচায় রাখবো না! পাখিরা আসবে ঝাঁকে ঝাঁকে, আমার বাগানের গাছে গাছে নামবে আর পরে এমনি করে উড়তে উড়তে চলে যাবে আকাশ দিয়ে, আমি দেখবো আর খুশী হবো। কবে হবে এমন?

ভাই একবার গাছে চড়তে আইসা হাত ফসকাইয়া পড়লো, মানে ঠিক পড়ে নাই নিচের এক ডাল ধইরা ঝুইলা পড়লো, মা তাড়াতাড়ি আইসা কোলে নিয়া নামাইলো। পড়লো ভাই নিজের দোষে, মা আমারে দিলো শাস্তি। নেহাত ঠাকুমা ছিলো বইলা চোখটা কানা হয় নাই। আরেকদিন ভাইয়ের লগে খেলতে গিয়া ধাক্কা খাইয়া আমি গেলাম পইড়া, পায়ের আঙুলে চাড়ার কোণা লাইগ্যা এমুন কাটলো, রক্ত বন্ধ হয় না আর! পাড়ার এক বাড়ীতে ফিরিজ ছিলো, মা বরফ চাইয়া আনতে গেলো, আমি শুইয়া আছি তো আছিই, বাবা তুলায় পায়ের আঙুল মুছে তো মুছেই, রক্তে তুলা ভিজ্যা যায় তো যায়ই- আধাঘন্টা পরে মা বরফ আনলো, ফিরিজ থেকে বাইর কইরা ট্রে থেকে বাইর করন যায় না, খানিক অপেক্ষা করলে তবে বাইর করন যায়।
পাড়ার যাদের ঘরে ফিরিজ ছিলো সেই মিঠামাসীমা নিজেও আসছিলেন, মা পায়ে বরফ দেয়, আমি পা সরাইয়া নেই, আহ জ্বালা করে তো! মিঠামাসীমা আস্তে আস্তে মাথায় হাত বুলাইয়া দিতে দিতে গল্প করে অনেকদিন আগে তাদের গাঁয়ে যখন মাসীমা নিজেই একটা ছোট্টো মেয়ে, তখন পইড়া গিয়া কপাল কাইট্যা গেছিলো তার, এমন কাটছে রক্ত বন্ধ হয় না, নৌকা করে তারা যায় আর যায়, কাপড় দিয়া সে কপালের রক্ত মোছে তো মোছেই....আমার জ্বরতপ্ত চেতনায় নদীর দোলানি লাগে,কেমন সে নদী? কত বিশাল সে নদী? সে কি পদ্মা মেঘনা ধলেশ্বরী? এপার ওপার দেখা যায় না এত বড় নদী কি হয়? সমুদ্রের মতন? আমি গঙ্গা দেখেছি, তার তো এপার ওপার দেখা যায়!


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

শুনুন খরখরি (স্বঘোষিত) তুলিরেখা, আগেই বলে নিচ্ছি আপনার এই দুভাষার মিশেলটা দারুণ লাগলো। এত্ত অনায়াস! আপনাদের বাড়ির ভাষা শুনে মনে হচ্ছে আপনারা বাঙ্গাল, তাই?

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ, আমাদের বাড়ী বাঙ্গাল, বাবার দিক ঢাকা শিমূলিয়া আর মায়ের দিক ময়মনসিংহ।
প্রায় গোটাপাড়াটাই পুববাংলা থেকে আসা লোকজনে ভরা ছিলো, এমনভাবে আমরা ওপারের কথা শুনতাম যেন সত্যি সত্যি দেখেছি ওসব জায়গা-বরিশাল, নেত্রকোণা, বিক্রমপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালি, রাজশাহী-ঘুরে ঘুরে আসতো এসব জায়গার কথা।
আমার ভাষাই তো ফুটলো পুববাংলার টানে-ঠাকুমার হাতে মানুষ কিনা! ঠাকুমা জীবনে কখনো পশ্চিমবাংলার ভাষা বলেন নি। অথচ পুববাংলার ভাষা এত মিঠা এত সাবলীল শোনাতো তার গলায় যে মনেই হতো না অন্যরকম কিছু হতে পারতো। শিক্ষিত আত্মীয়স্বজন শহর থেকে আসলে এত সহজ সাবলীল আপ্যায়নের ভাষা ছিলো-মনেই হতো না কোথাও কিছু অভাব রইলো। এমনকি ঘটীবাড়ীর মহিলারা যখন বেড়াতে আসতেন, তখনও তারা বিন্দুমাত্র অসাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন না। মনে হয় সব ভাষাই ভাষা হয়ে ওঠে আন্তরিকতার টানে।
--------------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার ঐতিহ্য, আন্তরিকতা, অনুভূতি ইত্যাদির প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখে প্রশ্ন করি, "পূর্ব বাংলার ভাষা বলে কি কিছু আছে"? বাংলার (তা পূব হোক বা পশ্চিম হোক) প্রতিটি অঞ্চলের ডায়ালেক্ট ভিন্ন। তার speed, spirit, মাধুর্য ভিন্ন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাক্য গঠণরীতি পর্যন্ত ভিন্ন। ঢাকার শিমুলিয়ার ভাষার সাথে কেরানীগঞ্জের ভাষারই মিল নেই। আর ময়মনসিংহতো এক বিশাল ব্যাপার। কলমাকান্দা, পূর্বধলা, সুসুং দুর্গাপুর ইত্যাদি এলাকার ভাষার সাথে ত্রিশাল, ভালুকা বা ভৈরবের ভাষার কি সুস্পষ্ট পার্থক্য নেই? আসলে এই ছয়টা উপজেলার ভাষাই কি ছয় প্রকার নয়? একই কথা কি নদীয়ার ভাষা আর বীরভূমের ভাষার জন্য প্রযোজ্য নয়?

তবে যথার্থ উপসংহার আপনিই টেনেছেন, "মনে হয় সব ভাষাই ভাষা হয়ে ওঠে আন্তরিকতার টানে"। আসলেই তাই। আমাদের একবিন্দু না জানা ভাষায়ও কেউ যদি আন্তরিকতা নিয়ে কথা বলেন তা আমরা বুঝতে পারি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

আরে একদম ঠিক। এত ডায়ালেক্ট! কোনো কোনোটা তো এত আলাদা যে বোঝাই যায় না। আমাদের পাশের বাড়ীতেই ছিলেন চাঁটগায়ের লোকেরা, তারা নিজেদের মাঝে দ্রুত কথা বললে বোঝা দুষ্কর ছিলো। হাসি
ভাষা নিয়ে বহু মজার মজার গল্প আছে আমাদের নিজেদের বাড়ীতে বা মামাবাড়ীতে বা দাদুদের ওখানে, শহুরে সফি সফি করার জন্য হ কে স বলার শিক্ষা দিয়ে কি ফেঁসে গেলেন একজন, হারিকেন কে সারিকেন বলতে শুরু করলো। হাসি আরো বহু মজাদার কাহিনি আছে। নতুন বিয়ে হয়ে বৌরা এসে তো কথা বোঝে না সব, তাদের ডায়ালেক্টে কোনো শব্দে যা অর্থ এদের এখানে পুরা আলাদা, পরিণামে নানা মজা। হাসি
পরে আস্তে আস্তে বলবো।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্নিগ্ধা এর ছবি

ষষ্ঠপান্ডব, এটা ঠিকই যে প্রতিটা অঞ্চলের জন্য বাংলার ডায়ালেক্ট আলাদা, কিন্তু প্রচলিত অর্থে পূর্ববাংলার (সেকালের মানচিত্র অনুযায়ী) বেশীরভাগ মানুষ ততটা "করেছি, খেয়েছি" করে কথা বলতেন না যেমনটা পশ্চিম বাংলার মানুষরা বলতেন, ব্যাপারটা এরকম নয়? যেমন (একদম ঠিকমতো মনে নেই) "নেবু, নুচি, নঙ্কা" উত্তর কোলকাতার ডায়ালেক্ট ধরা হলেও, কোলকাতার ভাষা বলতে সাধারণত "করেছি, খেয়েছি"টাই মনে আসে, যেমন বাংলাদেশের ইনফর্ম্যাল ক্ষেত্রে "করসি, খাইসি"।

আমি অনেক বছর আগে কোলকাতায় গিয়েছিলাম, যেখানেই বাংলা বলেছি মনের আনন্দে করসি, খাইসি, গেসি চালিয়ে গেছি। এখনও সেরকম কোন জমায়েতে গেলে তাই করি। আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে বোধহয় আমার এই pseudo political statement এর কোন দরকার নেই হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

আসলে উদাহরণ দিতে হবে:
মোটা দাগে ব্যাপারটা এরকম:
হুনীল, হোনো, হেইদিন রাত্রবেলা বাসায় ফিরতাছি, রাতও নেহাত্‌ কম হয় নাই, হটাত হুনি কিসে জানি হুম্‌ কইরা উঠল। আমি তো চমকাইয়া গ্যালাম, কি রে বাহে,খাটাশ নাহি?(পুববাংলা, অঞ্চলভেদে নানা ভার্সন আছে।)
সুনীল, শোনো,সেইদিন রাত্রিবেলা বাড়ী ফিরছি, রাতও নেহাত কম হয় নি, হঠাত্‌ শুনি কিসে যেন হুম করে উঠলো! আমি তো চমকে গেলাম, কিরে বাবা,খটাশ নাকি?(ঘষামাজা প: বাংলা,প:বালার অঞ্চলভেদে এর নানা ভার্সন পাওয়া যাবে।)
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আশিস এর ছবি

তুলি দি, স কে হ উচ্চারণ করা হয় সাধারণত ফরিদ্পুরে।

অনিকেত এর ছবি

বাহ, ভালো হচ্ছে-----!
চলুক---

তুলিরেখা এর ছবি

যাহ, অনিকেত, এ কি করলেন? এই সব আবজাব পড়তাছেন? লাজে বেগুনি ভাইজা ফেলাইলাম! খাইছে
আমি কই ভাবলাম আপনে এইসব পড়বেন না, বিজ্ঞানের জিনিসপত্র পড়েন, তাই ঠাইস্যা আবজাব লিখছি, আপনে এইহানো ও হানা দিলেন!
না না এ ভালো কথা না, আপনে শিগগীরে অহো থেকে মহো পাতায় যান।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ভুতুম [অতিথি] এর ছবি

আমার জটিল লাগসে পড়তে। ছোটবেলার কথা মানেই ধূলো-বালিতে ঘেরা স্মৃতির লাফালাফি - আপনার লেখায় মনে পড়ে গেলো নিজের সময়গুলার কথা। লিখ্যা ফালান পরের কিস্তি তাড়াতাড়ি।

তুলিরেখা এর ছবি

ধইনবাদ। লিখতাম চাই তো রোজই, সময় পাই কই? হায় হায়, খাঁচা কোথায় নাই?
এতদিনে মনে হলো আপন ভাষায় লিখলাম। আমার নিজেরও ধারণা ছিলো না কলকাতিয়া বইয়ের ভাষা আমার শেখা ভাষা,আসল ভাষা ধুলামাটিজলকাদার এই সপ্রাণ ভাষা।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আপনাদের সময় ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ছিল না, রঙ ফর্সাকারী ক্রিম। চোখ টিপি

তুলিরেখা এর ছবি

যান না, কন না গিয়ে মিশেল ওবামারে! চোখ টিপি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নজমুল আলবাব এর ছবি

এইসব পড়লেতো খালি পড়তেই ইচ্ছে করে। এরপরে কি হইলো সেইটা জান্তে মন উচাটন হয়।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

তুলিরেখা এর ছবি

সময় পাইলেই তুইলা দিমু। এই হালার কাজ.....

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

চলুক

তুলিরেখা এর ছবি

হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এনকিদু এর ছবি

ভাল লাগছে, চলুক ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

তুলিরেখা এর ছবি

আইচ্ছা!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মামুন হক এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে আমার বোনের কথা মনে গেল, ছোটবেলায় সেও এমন গাউচ্ছা মাইয়া ছিল। গাউচ্ছা মেয়েরা খুব বড় মাপের মানুষ, কিন্তু অনেকেই তাদের বুঝতে পারেনা।
আপনার পরের কিস্তির অপেক্ষায় আছি- সাগ্রহে,তৃষিত কাউয়ার মত।

তুলিরেখা এর ছবি

এক্কেরে কাউয়া? কন কি? দেঁতো হাসি
কালবৈশাখী ডাকেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি তো মহা সচল দেখছি, সমানে লিখে যাচ্ছেন। এই মহাশূন্য তো এই ধরাতে। সময়ের চেয়ে আপনার কী-বোর্ড মনে হয় বেশি দ্রুত চলে!

তুলিরেখা এর ছবি

হায় হায় কন কি? এত গতি?
আমার যদি অত মালকড়ি থাকতো, সারাদিন নৌকায় ভাসতাম আর ইলিশ ভাজা খাইতাম, হালার কাজ করতো কে? দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বাহ্ দারুন লাগলো মিশেলে ভাষায় সাবলীল কথন।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তুলিরেখা এর ছবি

লাগলো? ধইনবাদ। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ভাষাটা আসলেই ভাল লাগলো। মিহির সেনগুপ্তের বিষাদবৃক্ষ শেষ করলাম দুদিন আগে, সেখানেও এমন সব গাঁ-গেরাম আর তার আশ্চর্য সব মানুষদের কথা! সেই রেশ যেন এখানেও।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

তুলিরেখা এর ছবি

আমি প্রথমে ভয়ে ভয়ে ছিলাম, গুরুচন্ডালি মিশালি হয়ে গেলো ভেবে। যাক এখন নিশ্চিন্ত!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্নিগ্ধা এর ছবি

বাহ্‌, তুলিরেখা, বাহ্‌ - আমি যখন বললাম তখন দুই পয়সার পাত্তাও দিলেন না, আর এখন ফারুক ওয়াসিফ বললো বলে একদম "নিশ্চিন্ত"! মন খারাপ

দাঁড়ান, আপনাকে লিখেছিলাম না যে, ভার্জিনিয়ায় আসলে 'মজা' হবেই হবে, গ্যারান্টিড? হুঁহ, হবে ঠিকই এবং আপনি সেটা রীতিমতো 'টের পাবেন' রেগে টং

তুলিরেখা এর ছবি

আহা, এই জন্যই তো এত পরে বললাম! সবার কমেন্ট শুনে টুনে সব একসাথে বলা হয়ে গেলো! দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

s-s এর ছবি

কোথায় মাইয়া হইবে ফর্সা, নরমসরম, লক্ষ্মীমতী, ভক্তিমতী! যা শুনবে মুন্ডু কাইত কইরা কইবে হ্যাঁ, হ্যাঁ, কইরা দিতাছি, আইনা দিতাছি।
এরকম একটা ছেলে দরকার, একটু তাড়াতাড়ি পোস্ট করুন তো হাসি শয়তানী হাসি

আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন?

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে ধইন্যবাদ।
পোস্ট করবো,একটু সময় যোগাড় হোক।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কল্পনা আক্তার এর ছবি

আপনার লেখা এতো সাবলিল হয় কেমনে ইয়ে, মানে...

........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

তুলিরেখা এর ছবি

খুব যে সাবলীল তা মনে হয় না।
ওদের মুখের জ্যান্ত ভাষাটাকে ধরে আনতে সাবালীলতা চাই ততটা নাই। তবু চেষ্টা আরকি।
আপনারে ধন্যবাদ।
----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

শোনেন,
আগেও বোধহয় বলেছি একবার
এবার ঠিকানা পাঠাচ্ছি, আপনি রোজ আমাকে একটা করে চিঠি লিখবেন তো...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে মেসেজ তো পাঠাইয়া দিছি!-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার আগের লেখা পড়ে আপনাকে পুতপুতে টাইপের মোমদানী বালিকার মতোই মনে হয়েছে, সত্যি কথা। মনে হয়েছে কেমন জানি খালি ঝিমান, কাওয়ালী যেমন করে শোনে মানুষ- তেমন করে। এই লেখাটা পড়ে মনে হলো, নাহ এই দুনিয়া আসলে বড়ই বিচিত্র।

এখনো গাছে চড়েন? আমি এই ধরেন গত সপ্তায়ও চড়েছি। একটু কসরত করতে হয়েছে যদিও এই নাছাড়াদের নাছোড়বান্দা টাইপের গাছে চড়ার জন্য। কয়েক জায়গায় হালকা লালও হয়ে গেছিলো। নামার সিসটেম খুঁজে না পেয়ে লাফ দিয়ে নেমে বাম পায়ের কড়ে আঙুলে কিঞ্চিৎ দুক্কুও পেয়েছি। কিন্তু তারপরেও গাছে চড়ার আনন্দটা পেয়েছি ষোলআনা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তুলিরেখা এর ছবি

আগে আমজাম তো ভালো, নারিকেল বা খেজুর গাছে অবধি তরতর কইরা চইড়া বসতাম! হায়, কোথায় গেলো সেই স্বর্গবাসের দিনগুলি! গাছ হইতে নামিয়া পড়িয়াছি, স্বর্গ হইতে বিদায় দিলেন তিনি, ইহজাগতিক স্বার্থপরতার আপেল খাইয়া ফেলিয়া ঘোর বিষয়ী হইয়া গেলাম যে! মন খারাপ
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

খুবই শোনার মতো গল্প, যথারীতি। বেশ ছুঁয়ে টেনে নেয়া, নতুন কী?!
কিন্তু ভাষারীতির একটু-বেশি মিশ্রতাটা একটু বে-আরাম দিলো।

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তুলিরেখা এর ছবি

হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

খাইছে রে, মাইয়া তো দেখি এক্কেরে ভালা না, তয় লেখা ভালা হইছে
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

মূলত পাঠক এর ছবি

সত্য কথা, মাইয়া আমাগো এক্কেরে বান্দর!

বান্দরনামা চলুক!

তুলিরেখা এর ছবি

দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হুমম... বুঝলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তুলিরেখা এর ছবি

হুমমমম। বুঝলেন তাইলে?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তানবীরা এর ছবি

আমি ছিলাম, না ছিলাম না এখনো আছি "বাওয়া"। বাহাতে সব কাজ করি। অন্যান্য আর অপরাধের সাথে এই এক অপরাধের জন্য আমার কতো কঠিন কঠিন শাস্তি হয়েছে আপনি ভাবতেও পারবেন না। সম্ভাব্য শ্বশুরবাড়ি যাতে আমাকে কষ্ট না দেয় সেজন্য আমার মা চাচীরা আমাকে সব কষ্ট দিয়ে ফেলে ছিল ছোটবেলায়। এখন একা ঘরে যখন ডান হাত - বা হাত মিলিয়ে রাধি তখন অকারনে চোখ ভিজে যায়, যদিও আজ আর তাদের উপড় তেমন রাগ হয় না ঠিক। ক্ষমা করে দিয়েছি বোধ হয়।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

তুলিরেখা এর ছবি

কি আর বলবো তানবীরা, এসব শোনার পরে আর কিবা বলা যায়! প্রথম দিকে মনে হতো আমাদের মতন সাধারণ ঘরের মেয়েদের উপরেই বুঝি নানা বাধানিষেধ, এখন দেখি সবজায়গার মেয়েদের উপরেই নানা রূপে বাধানিষেধের বাধ্যবাধকতা দেখা দেয়। মেয়েরা নিজেরা না শক্তিসঞ্চয় করতে পারলে বুঝি এগুলো থাকবেই।

ভাবতাম পণপ্রথা বিলোপ হবে একদিন, মানুষ নিজেরা যদি না চায়,বিলোপ হতে কদিন? কিন্তু উল্টাটাই ঘটছে, ধনীদরিদ্র সবাই জিনিসটা আরো বেশী করে জীইয়ে রাখছে। আগে মেয়েরা বাইরে চাকুরিবাকুরি এত লার্জ স্কেলে করতো না, এখন করে, ভাবতাম কত স্বাধীন হবে মেয়েরা, কত সমান ফুটিং এ দাঁড়াতে পারবে মানুষের মর্যাদায়। কোথায়? রোজ তাহলে খবরের কাগজ খুললে এত গ্লানি এত অসম্মান এত মর্যাদাহানি এত ধর্ষণ-হত্যা দেখতে হয়?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি ১ এর ছবি

হা হা হা... আমি পড়ার সময় ধরেই নিয়েছিলাম আপনি অন্য কাউকে দিয়ে লেখাগুলো এডিট করে নিয়েছেন...মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারলাম আসল ব্যাপারটা ...ভাল লেগেছে লেখাটা

পড়াচোর

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কি মনে করে পুরনো লেখায় ঢুকে পড়লাম। বেশ লাগলো কিন্তু।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা গাউচ্ছা মাইয়ার খারাপ হয়ে থাকা মনটা আরও খারাপ হয়ে গেল মন খারাপ

দেবদ্যুতি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।