পালিয়ে যাবার মাঠ

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৫/২০১৪ - ৫:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটোবেলা ভাবতাম একদিন পঞ্চাশ টাকা চুরি করে পালিয়ে যাবো। তখন এই সাত-আট বছর বয়স আমার, কেন জানি কেবলই বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করতো। বাড়ীতে সেরকম যে কোনো ঝামেলা ছিল বা অত্যাচার টত্যাচার হতো, তা কিন্তু না। তবু কেবলই মনে হতো পালানোর কথা। হয়তো মনে হতো বাইরে অনেক মজা, অনেক স্বাধীনতা। কোনো নিয়মের বাঁধাবাধি নাই, পদে পদে নানা নিষেধ নাই, শাসন টাসন নাই। কিংবা হয়তো অন্য কিছু ভাবতাম, আজ আর সেইসব মনে পড়ে না, শুধু মনে পড়ে পালিয়ে যাবার আকাঙ্ক্ষাটাকে ।

ভাবা যায়, মাত্র পঞ্চাশ টাকায় বাকী জীবন নির্বাহ হয়ে যাবে ভেবেছিলাম ছোটোবেলা ! যেন শের শাহের আমল! তবে আমাদের ছোটোবেলা জিনিসপত্রের দাম অনেক কম ছিল, দশ পয়সা কি কুড়ি পয়সাতে বেশ অনেকটা চানাচুর কি বেশ কয়েকটা লজেন্স পাওয়া যেত। একটা সিঙ্গারার দাম ছিল পঁচিশ পয়সা। দুই টাকায় এক বাক্স সন্দেশ মিলতো। একটা ডিমের দাম ছিল মাত্র পঁয়ত্রিশ পয়সা। চড়ুইভাতি করার সময় নিজেদের বাজার করতে হতো কিনা, সেইজন্য জানতাম। তাই হয়তো ভেবেছিলাম, পঞ্চাশটাকা! বাপরে সে যে অনেক টাকা। বাকী জীবন হেসে খেলে কেটে যাবে।

কোথায় থাকবো সেও ঠিক করে রেখেছিলাম, দেখতাম রাস্তা তৈরীর কাজ করতে আসতো লোকেরা, তারা থাকতো বাঁশবাগানের কাছে অস্থায়ী কুটিরে। ইস্কুলে আসতে যেতে ওদের নির্জনে ঐসব কুটিরগুলো দেখে কলপনাপ্রবণ হয়ে উঠতাম। কল্পনায় দেখতে পেতাম অনেক দূরের কোনো জায়্গায় ওরকম ঘরে থাকবো, রাস্তা তৈরীর কাজের শেষে ওরা যখন ফিরবে তখন ওদের সঙ্গে বসে সন্ধ্যেবেলা আগুন-ঝাল তরকারি দিয়ে গরম ভাত খাবো। ওরকম তরকারি নাকি ওরা রান্না করে কার কাছে যেন শুনেছিলাম।

কিন্তু তখন পঞ্চাশ টাকা মানে আমাদের কাছে ছিল একটা বিশাল ব্যাপার। অত টাকা কীভাবে চুরি করবো, খেপে খেপে চুরি করে করে একজায়্গায় জমাবো কিনা, জমানোর মাঝরাস্তায় ধরা পড়ে গেলে কী হবে এইসব জটিল চিন্তায় আর এগোলো না ঐ চুরি প্রোজেক্ট।

নেহাৎ ঘটলো না, নাহলে তখন আমার মধ্যে বেশ কাব্যভাবনাও ছিল। ঐ যে বাঁশবাগানের কাছে কুটির, ওখানে তো দুপুরে কেউ থাকে না, কাজ করতে চলে যায় সবাই। দূরের দেশে ওরকম নির্জন কুটিরে যখন থাকবো তখন কবিতা লিখব, এইও ভেবে রেখেছিলাম। মধুর দখিনা হাওয়া বইবে, বাঁশবনে সরসর করে আওয়াজ হবে, একটা সবুজ মাঠের ধারে গিয়ে বসবো আমগাছের ছায়ায়। আকাশটা হবে চমৎকার নীল, একটা একলা চিল চক্কর কাটবে, সেখানে স্নিগ্ধ ছায়ায় বসে কবিতা লিখবো, "আকাশে চিল/ বাতাসে নীল/ রোদ ঝিলমিল/ রোদ ঝিলমিল।"

কেন জানি সাজানোর একটা চাকরির কথাও ভাবতাম। পাড়া থেকে একটু দূরে এক খুব বড়োলোকের বাড়ী ছিল, সেইকালেই দোতলা। সেই বাড়ীতে একটা ছোটো মেয়ে ছিল, আমার থেকে এই বছর দুই কি তিন এর ছোটো। ওকে কখনো বাইরে দেখিনি, খেলতে বা স্থানীয় স্কুলে যেতে। ও দূরের কনভেন্ট স্কুলে পড়তে চলে যেত গাড়ী করে। ভেবেছিলাম বাড়ী থেকে পালিয়ে কিছুদিন ওকে সাজানোর চাকরি নেবো। ওরা অত বড়লোক যখন, নিশ্চয় মেয়েকে সাজানোর জন্য লোক রাখে! মুখে ক্রীম মাখিয়ে দিতে, চোখে কাজল দিতে, রুজ টুজ দিতে! চুলে ফিতে টিতে লাগিয়ে দিতে। কেন যে ঐ কাজ কল্পনা করতাম কেজানে, হয়তো অন্যান্য সম্ভাব্য সব কায়িক পরিশ্রমের কাজের মধ্যে ওটাই সবচেয়ে কম ঝামেলার আর বেশ শৌখীন শৌখীন, তাই।

তবে না চুরি করেও পঞ্চাশ টাকা পাবার একটা উপায় আমার এক বন্ধুর ছিল, ওর জন্মদিন হতো বেশ নিয়ম মেনে। সেখানে পরিচিত কাকা বা মামাস্থানীয়রা দেখতাম নিমন্ত্রিত হয়ে আসতেন। ওঁরা ওকে গিফট দিতেন, দশ টাকা কিংবা কুড়ি টাকা এরকম। ভাবতাম, আহা, ওর তো এগুলো জমিয়েই পঞ্চাশ টাকা হয়ে যাবে, নিজের টাকা নিয়েই এবারে ও পালাতে পারবে। কিন্তু ও পালাতো না।

তারপরে সেই বন্ধুই একদিন আমাকে চাঁদমামার কথা বললো। ছোটোদের পত্রিকা। সেখানে দুটো ছবি থাকে, সেই ছবি দুটোর জন্য অন্ত্যমিলওয়ালা দুটো লাইন লিখে পাঠিয়ে দিলেই ওরা নাকি পঞ্চাশ টাকা প্রাইজ দেয়। কিন্তু ও আর এটা বলে নি যে সেটা একটা কম্পিটিশান, তাতে জিতলে তবে দেবে। এদিকে খাম লাগবে, স্ট্যাম্প লাগবে, ঠিক করে ঠিকানা লিখতে হবে, ভিতরে কাগজে ঐ লাইন দুটোর সঙ্গে আরো নানাবিধ ইনফো দিতে হবে---এইসব হ্যাপায় পড়ে আর পাঠানো হলো না। তাছাড়া ওরা পঞ্চাশ টাকা দিলেও তো সেটা বাড়ীর লোকে জেনে ফেলবে।

এইভাবে নানাবিধ চৌর ও অচৌর সম্ভাব্য পঞ্চাশ টাকা চারিপাশ দিয়ে ভেসে গেল, কিন্তু ঐ নিষিদ্ধ ফল আর আমার দাঁতের নাগালে এলো না। তারপরে কবে যেন মনের অনেক অনেক পরতের তলায় চাপা পড়ে গেল পালিয়ে যাবার সেই বাসনা। কঠোর বাস্তব আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো। ডাইনে বাঁয়ে নানারকম লড়াই লড়তে লড়তে সময় কোথা দিয়ে কেটে গেল।

পরত পরত স্মৃতি সরিয়ে দেখি পালিয়ে যাবার সেই মাঠখানা আজও খুঁজছি।


মন্তব্য

তাসনীম এর ছবি

ভালো লাগলো খুব।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, তাসনীম। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তাহসিন রেজা এর ছবি

অপূর্ব, অপূর্ব, অপূর্ব লেখা তুলিদি হাসি
আমি মাঝে মধ্যেই পকেটে কোন টাকা না নিয়েই পালিয়ে যেতাম। খুব অভিমানী ছিলাম তো! পরে বাবা আর কাকারা মিলে প্রত্যেকবার রেল স্টেশন থেকে কানে ধরে বাড়ি নিয়ে যেত। আমার দৌড় ঐ স্টেশন পর্যন্তই ছিল! তবে একবার সত্যি সত্যি অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম একাএকা। আহারে কি সুন্দর সব দিন ছিল! হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ, আমাদের পাড়ার ছোটো ছেলেরাও অনেকে এরকম রাগ করে পালিয়ে গিয়ে রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে থাকতো। পরে বাবা কাকা দাদারা খুঁজে আনতো। হাসি
একবার যে এত দূরে চলে গেলেন, ফিরে এলেন কীভাবে? সেইকালে তো মোবাইল ফোনও ছিল না! চিন্তিত

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মন মাঝি এর ছবি

পিচ্চিকালে আমারও প্রায়ই পালানোর কথা মনে হত। তবে আপনার মত স্থায়ী ভাবে না, সাময়িক ভাবে বাড়ি থেকে সটকানো আরকি হাসি

এই ইচ্ছাটা বিশেষ করে চাড়া দিত বাংলাদেশের সে সময়ের গায়ক আজম খানের একটা গান "আলাল ও দুলাল" শুনলেই। সচলেরই একটা পোস্টে একবার লিখেছিলাম --

মনে পড়ে ‘আলাল ও দুলালের’ একজন ডাইনে গেলে অন্যজনের বামে যাওয়া, তাদেরকে তাদের বাআআআবার সারাদিন খুঁজে খুঁজে মরা (আহ , এই কলি ভাঁজতে ভাঁজতে আমি নিজেও কতদিন ঝিম ধরা দুপুরে বাড়ি থেকে সটকেছি, আর মনে মনে আমাকে খুঁজতে খুঁজতে আব্বু বা আম্মুর হয়রান হওয়ার কথা ভেবে মজা পেয়েছি!), বা প্যাডেল মেরে ‘চাঙ্খারপুলে’ পৌঁছানোর কথা। এই চাঙ্খারপুলটা চিনতাম না তখন – বড়ই রহস্যময় জায়গা ছিল আমার জন্য। যেন বাবা-মার শাসনের আওতার বাইরে শিশুদের জন্য বিমল ফুর্তি আর স্বাধীনতার একটা সাক্ষাৎ স্বর্গ – যে স্বর্গে স্রেফ প্যাডেল মেরে পৌঁছানো যায় – প্যাডেল মেরে মেরে উড়ে চলা যায় দিগ্বিদিক স্বাধীনতায়। আহ্‌ কি মুক্তি !

হাসি

Your browser does not support the html5 audio element.

****************************************

তুলিরেখা এর ছবি

সাময়িক সটকানো তো আমার সম্ভব ছিল না, গেলে একেবারেই যেতে হতো। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

গান্ধর্বী এর ছবি

আপনার মত পালানোর ফন্দি আঁটি নি কিন্তু মফস্বলে কাটানো ছেলেবেলার বিকেলগুলো মনে পড়ে গেল। হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে যেতাম। একবার একটা সুন্দর মাঠ খুঁজে বার করেছিলাম, তেপান্তর শব্দটা মনে হলে সেই মাঠটা কল্পনায় দেখতে পাই এখনো, কেন জানি না। সেইদিনগুলি মনে পড়ে গেল।

চমৎকার লাগলো পড়ে।

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

তুলিরেখা এর ছবি

আহা, আমাদের ছোটোবেলা চারিদিকে ছিল মাঠ আর মাঠ! খেলার মাঠ তো ছিলই, একটু দূরেই ছিল আদিগন্ত ধানক্ষেত! আমাদের মনে হতো বিরাট মাঠের মধ্যে কয়েকটা ছোটো ছোটো বাড়ীঘর, এই বুঝি হতে হয় সবসময়। সেইসব মাঠ কোথায় গেল! এখন মাঠেরা পালিয়েছে, চারিদিকে ইঁটকাঠপাথরের জঙ্গল, কেবল বাড়ী আর বাড়ী! এমনকি বাড়ী ঘিরে যে একটু বাগান থাকবে, তাও নেই!
এখন কেবল স্মৃতির মধ্যে সেই মাঠ বন ধানক্ষেত আগুনরাঙা ফুলে ভরা শিমূলগাছ বেঁচে আছে।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।

ছোট বেলার সেই দিনগুলো কত আনন্দের ছিল

ফাহিমা দিলশাদ

তুলিরেখা এর ছবি

ঠিক, ছোটোবেলা ছিল এক অদ্ভুত বিস্ময়ে ভরা আনন্দের সময়। সবকিছু তখন নতুন, নতুন দেখছি যে! সবকিছুই অজানা, নতুন জানছি যে! সেইজন্যই সবকিছু রূপকথার মতন রোমাঞ্চে ভরা ছিল। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তিথীডোর এর ছবি

আরকিছু না চাই, যেন আকাশখানা পাই...
আর পালিয়ে যাওয়ার মাঠ।'

সম্ভবত সচল আ.র. টুটুলের সিগনেচার লাইন হিসেবে পড়েছিলাম কবিতাটা। কার লেখা, জানা নেই।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ, কী অসাধারণ লাইনদুটো! আমারও জানতে ইচ্ছে করে কার লেখা।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

তুলিরেখা, আপনার লেখা পড়ে মনটা আনচান করে উঠল। তের বছর বয়সে একবার বাসা ছেড়ে পালিয়েছিলাম তিন সপ্তাহের জন্য। কোন শাসন কিম্বা অত্যাচারের জন্য নয়। নিছক রোমাঞ্চের আশায় ।

নারায়ন গঞ্জ থেকে কুমিল্লা । তারপর চট্টগ্রাম । সেখান থেকে কক্সবাজার । তারপর আবার চট্টগ্রাম। অবশেষে নারায়ন গঞ্জ । টাকা ফুড়িয়ে গিয়েছিল বলে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। তবে সরাসরি অবশ্য বাসায় যাইনি । আমার প্রিয় এক শিক্ষক এর বাসায় যেয়ে হাজির হলাম । তিনি আমাকে কান ধরে বাড়ি নিয়ে এলেন । সে যাত্রায় তার কারনে বাবার প্যাদানির হাত থেকে রক্ষা পেলাম। আহারে কতই না উত্তেজনাকর ছিল সেই তিন সপ্তাহ!

ধন্যবাদ আপনার এই লেখার জন্য ।
সোহেল লেহস

তুলিরেখা এর ছবি

আহা, দারুণ তো! দারুণ রোমাঞ্চকর। লিখে ফেলুন না সেই বেড়ানোর গল্প। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখালেখিতে আমি অনেক কাঁচা। এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। মাঝে মধ্যে সন্তান জন্ম দেবার মতন অনেক কষ্টে সৃষ্টে দুই একটা লেখা প্রসব করি। কিন্তু মান সম্মত হয় না। তাই কেও লেখা পাবলিশ করে না। কোনদিন যদি হাত পাকে তখন এই ব্যাপারে লেখার আশা রাখি। দোয়া রাখবেন।
সোহেল লেহস

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ ঠিক লেখালিখিতে হাত পাকবে আপনার। লিখতে লিখতেই লেখার দক্ষতা আসে, শুরু করে দিন, দেখবেন দারুণ চমকার সব লেখা উপহার দিচ্ছেন আমাদের। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

দীনহিন এর ছবি

অসাধারণ! এমন গদ্য শুধু পড়তেই মন চায়! কেমন ভাবালুতা তৈরি করে! কেমন কবিতা পড়ার অনুভূতি হয়!
তুলিদি, অনেক তুচ্ছ তুচ্ছ গল্পকেও অসামান্য করে তুলেছেন কথার তুলিতে!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ দীনহিন। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এক লহমা এর ছবি

মিষ্টি লেখা! হাসি
"এইভাবে নানাবিধ চৌর ও অচৌর সম্ভাব্য পঞ্চাশ টাকা চারিপাশ দিয়ে ভেসে গেল, কিন্তু ঐ নিষিদ্ধ ফল আর আমার দাঁতের নাগালে এলো না।" ওঁয়া ওঁয়া
চলুক হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ঐ নিষিদ্ধ ফল দাঁতে কাটতে পারলে আজ কি আর এইখানে থাকতাম? চোখ টিপি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তুলিরেখা এর ছবি

মন খারাপ কেন? চিন্তিত

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এই পালানোর মানসিতাটা এখন আমায় পেয়ে বসেছে। এই প্রৌঢ় বয়সে এখন কেন জানি মাঝে-মধ্যে পরিচিত পরিবেশ থেকে নিরুদ্দেশে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। পরিচিত মানুষদেরকেও কখনও সখনও বড্ড অজানা মনে হয়। মনে হয় ঝোলা কাঁধে বেরিয়ে পড়ি, কাউকে কিছু না জানিয়ে। কোন কোন রাতে গাড়ী নিয়ে বেরিয়েও পড়ি। এ রাস্তা সে রাস্তা ঘুরে াকা থেকে ৩০- ৪০ কি: মি: দুরে যেয়ে আবার ফিরে আসি। কী করবো, মোল্লার দৌড় যে মসজিদ পর্যন্তই।
লেখাটা মনে নাড়া দিয়েছে।
ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন। আর লিখতে থাকুন অনেক অনেক।

তুলিরেখা এর ছবি

গাড়ী নিয়ে পালানো যায় না, পালাতে গেলে একেবারে এক বস্ত্রে খালি পায়ে পালাতে হয়, মনের চোখের সামনে কেবল হিমালয় হিমালয় আর হিমালয় থাকতে হয়। তবে পালানো যায়। হাসি
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।