এসো নিজে করি ০৬ - কিভাবে প্রেম করবেন / How to Make Halal Love

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শনি, ১৬/০৬/২০১২ - ১:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বসেছিলাম এক খানা এসো নিজে করি লিখতে, কিভাবে প্রেম করবেন/ How to Make Halal love নামে। পশ্চিমারা বড়ই অসভ্য জাতি। আমাদের দেশে প্রেম করা বা ভালোবাসা করা মানে পার্কে গিয়ে চিনে বাদাম খাওয়া হলেও পশ্চিমাদের কাছে Making Love কথাটির মানে বড্ড ইয়ে। তাই শিরোনামের ইংরেজি করতে গিয়ে মনে হল Make Love এর বদলে Make Halal Love বসালে লোকে হয়তো বুঝবে অসভ্য কিছু শিখাতে বসিনি এখানে। শতকরা একশ ভাগ বিশুদ্ধ প্রেমের কথাই বোঝাচ্ছি। প্রথমে মনে হল এত কিছু রেখে কেন এই শেখা জিনিসটিই শেখাতে বসেছি এবারের এসো নিজে করিতে। যে লোকে সাইকেল চালাতে পারেনা, সাঁতার পারেনা, গাল দিতে পারেনা, এমনকি ভাজা মাছটি উল্টে খেতেও জানেনা সেও পর্যন্ত প্রেম করতে জানে। তারপরেও কেন শিখাতে বসলাম? আর পারলাম না। প্রতিদিন চারিদিকে নারী চরিত, পুরুষ চরিত, নারী পুরুষ সম্পর্ক, প্রেম, পরকীয়া ইত্যাদি নিয়ে নানা গবেষণার কথা পড়ি। পড়ে কলম নিশপিশ করে, কীবোর্ডের কী গুলো আপনা আপনি লাফিয়ে উঠে, গা কামড়ায়, সারা শরীরে ব্যথা বেদনা হয়। একসময় আর না পেরে মনে হয় এইবার আমিও গবেষণা করবো, সবাইকে প্রেম করা শেখাব।

দুনিয়ার মানুষের অনেক দুঃখ কষ্ট। যাদের দুই বেলা ভাত জোটানো নিয়ে তেমন সমস্যা নেই তাঁদের নব্বই ভাগ কষ্টই প্রেম ঘটিত। কারো প্রেমে ব্যর্থ হয়ে "নিঃস্ব করেছ আমায়, কি নিঠুর ছলনায়" ভেবে কষ্ট। কারো বা প্রেমে সফল হয়ে "আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম" ভেবে কষ্ট। দাউদ, খাঁজ, খুঁজলি, পুরুষত্ব বর্ধন সহ নানা চর্ম ও যৌন রোগের মলমের ক্যানভাস শুনে যেমন পাবলিক একটু উশখুশ করে কোনায় দাঁড়িয়ে পড়ে ঘটনাটা কি জানার জন্য এবং সস্তায় কোন সল্যুশন পাওয়া যায় কিনা বুঝার জন্য। তেমনি প্রেম-ঘটিত কোন টোটকা লেখা পেলেও পাবলিক আড়চোখে চোখ বুলায় যদি লাইগা যায় ভেবে। তাই প্রেম ভালোবাসা নিয়ে গবেষণামূলক লেখা নিশ্চিন্তে বসে লিখে ফেলা যায়। পড়ার পাঠকের অভাব হবেনা কোনকালেই। সামনাসামনি কেশের লেখা বলে উড়িয়ে দিলেও আড়ালে লেখককে বুকে আয় বাবুল বলে পাঠক আপন করে নিবে নিশ্চিত।

কিন্তু লেখা কিছুদূর আগানোর পর দেখলাম এই লেখা আসলে আগেই লেখা হয়ে গেছে। আমি যত ভালভাবে গবেষণা করে লিখতাম তার চেয়ে শতগুণে ভালো গবেষণা করে লেখা হয়েছে।
কে লিখেছে, কে লিখেছে?
আলু লিখেছে।
আলুর হাতে প্রেম ছিল ছুড়ে মেরেছে।
উফ বড্ড লেগেছে।
বড্ড লাগারই কথা। যা সব প্রেম বিষয়ক জ্ঞান আর সেইসাথে উপরি হিসেবে পাওয়া পাঠক প্রতিক্রিয়া। আলু যে হোপলেস এটা সবারই জানা। এজন্যই শেষ পর্যন্ত আলুতে প্রেম খুঁজে পেয়ে রেহানা আপা (শেখ বংশ নয় হে, রবিন বংশ) হতভম্ব হয়ে দিন রাত গান গেয়ে যাচ্ছেন, উই ফাউন্ড লাভ ইন হোপলেস প্লেস। যাহোক, আর বেশী ছিন্ন বস্ত্রখণ্ড (ত্যানা বা ন্যাকড়া লিখতে গিয়েও থেমে গেলাম, আজকাল যে লোকে শুধু ভাষা গেলো ভাষা গেলো নিয়ে রব তুলছে পত্র পত্রিকায়) না পেঁচিয়ে প্রেম বিষয়ক লেখা প্রেমালু দিয়েই শুরু করি। কিভাবে প্রেম করবেন জানতে হলে আগে আপনাকে প্রেমালুর ব্যাসিক কোর্সটি শেষ করতে হবে। তারপর না হয় আমি আরও কিছু এডভান্স লেভেলের জ্ঞান যোগ করে দেব।

প্রেমালু

আলুর প্রেম বলা যায়, আবার প্রেমের আলুও বলা যায়। সংক্ষেপে প্রেমালু। মানুষ প্রেমে পড়লে আলু হয়ে যায়। তবে আলু প্রেমে পড়লে মানুষ হয়না। ভাবছেন জ্বরের ঘোরে ভুল বকছি? হতে পারে। তবে সেটা প্রেম জ্বর অবশ্যই।

প্রথম আলুর অনলাইন ডেস্ক বস্তুটি কি নারী নাকি পুরুষ নাকি দুইটার হাইব্রিড নাকি ক্লীব সেটা জানা নেই। তবে জানি তার হাত দিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্দান্ত সব প্রেম বিষয়ক গবেষণামূলক লেখা বেরুচ্ছে। আগে প্রতিদিন আলু খুললেই হয় আশরাফুলের কান্না নয়তো আফ্রিদির হাসি দেখতাম। এখন নিঃসন্দেহে রুচির উন্নতি হয়েছে, অথবা আফ্রিদির ডবকা যৌবনে ভাটা নেমেছে। তাই এখন আলুর হেডলাইন নিউজ হয় হয় পুনম পাণ্ডে নয়তো সানি লিওনকে নিয়ে। অন্য পাঠকদের কথা জানিনা, তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে আফ্রিদির ক্লিভেজ দেখার থেকে এই দুজনের যা হয় ছিটেফোঁটা কিছু দেখতে বেশী আগ্রহী। তাই এই রুচির উন্নতি আমার কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সর্বাত্মক উন্নতি হিসেবেই ধরা দেয়। কয়দিন আগে ঘুম থেকে উঠে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে হা রে রে রে করে উঠেছিলাম। উত্তেজিত হয়ে ঠিক কি কি বলছিলাম খেয়াল নেই। পরে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করে জানলাম আমি নাকি, খুলছে খুলছে বলে চিৎকার করছিলাম। স্ত্রী ধড়মড় করে উঠে ভাবল বাসায় বুঝি ডাকাত ঢুকেছে, দরজা বা জানালা খুলে ফেলেছে। পরে একটু ঠাণ্ডা হয়ে বললাম, না না ডাকাত নয় পুনম পাণ্ডে। দরজা-জানালা নয় কাপড়।এই কাপড় খোলার টেনশন গত এক বছরের চেয়ে বেশী সময় ধরে শুরু হয়েছে। একের পর এক এক বোমা -
# শুধু ভারতীয় দলের জন্যই বিবস্ত্র হতে প্রস্তুত পুনম
# পিছু হটেছেন পুনম
# গুগলের সার্চ তালিকার শীর্ষে পুনম পাণ্ডে
# সিদ্ধান্তে অটল পুনম
# এবার সত্যি কথা রাখলেন পুনম
# অবশেষে পুনম পাণ্ডের প্রতিজ্ঞা পূরণ

আলুর অনলাইন ডেস্কের উত্তেজনা সামাল না দিতে পেরে বেচারি অবশেষে খুলেই ফেললেন।

সানি লিওন যে বাস্তবে অনেক লাজুক মহিলা বা পুনম পাণ্ডেকে ব্রাহ্মণসমাজ একেবারেই দেখতে পারেনা সেইসব খবর না চাহিলেও আজকাল পাওয়া যায়, তেয়াগিলেও বার বার হাতে ফিরে আসে। এবারে শুরু হয়েছে সানি লিওনকে নিয়ে চরম উত্তেজনা। এই মহিলা অনেক আগেই দিব্যি খুলে টুলে বসে আছেন। তাই বরং তাকে লজ্জা পাওয়ানো হচ্ছে, তসলিমার ক্ষোভের কথা বলা হচ্ছে -
# লজ্জা পান সানি লিওনও
# লিওনের জনপ্রিয়তায় ক্ষুব্ধ তসলিমা

যাই হোক, যথারীতি আমি লাইন ছেড়ে বেলাইনে চলে যাচ্ছি। কি করবো বলেন? আলুর হাতে পুনম ছিল ছুড়ে মেরেছে। তাই বড্ড লেগেছে, হৃদয়ে আরকি। মূল কথায় আসি। দুর্ধর্ষ অনলাইন ডেস্কের সবচেয়ে মূল মারণাস্ত্র পুনম বা সানি নয়। বরং প্রেম। প্রেম, পিরিতি, সম্পর্ক, নারীপুরুষ ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে গবেষণামূলক লেখাগুলো। এসব জানা কথা নতুন করে জানতে এবং সেইসাথে আরও অনেক অজানা বিষয় আসয় জানতে নিয়মিত আলুর অনলাইন ডেস্কের খবরাখবর পড়ুন। কিছুদিনেই রীতিমত নারী পুরুষ চরিতের বিশেষজ্ঞ হয়ে যাবেন।

লাড়কা লাড়কির দোস্তি - এক লাড়কা কাভি এক লাড়কি কা দোস্ত নেহি হও সাকতা" এইটা অনেক আগেই সালমান খান আবিষ্কার করে ভাগ্যশ্রী এর সাথে মিষ্টি মিষ্টি দোস্তি খেলা বাদ দিয়ে প্রেমালু খাওয়া শুরু করেছিলেন। একই জিনিস আবার আমেরিকার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় আবিষ্কার করে বসেছে বিশ বছর পর! পড়ুন এই প্রেমালুর খবর -
নারী ও পুরুষের মধ্যে বন্ধুত্ব নির্ভেজাল হয় না। সাধারণত বন্ধুত্বকে প্রেমের দিকে নিয়ে যেতে চায় পুরুষেরাই। উইসকনসিন ইউ ক্লেয়ার ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ৪০০ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে জানিয়েছেন এ তথ্য। মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক এপ্রিল ব্লেসক রেচেক জানান, পুরুষদের কারণেই বন্ধুত্ব অনেক সময় শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। জার্নাল অব সোশ্যাল অ্যান্ড পারসোনাল রিলেশনশিপে ১৮ থেকে ৫২ বছর বয়সীদের ওপর জরিপ চালানো হয়। ৮৮ জনকে আলাদা জায়গায় নিয়ে প্রশ্ন করে জানা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বন্ধুত্ব প্রেমের দিকে গিয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, পুরুষেরাই বন্ধুত্বকে প্রেমের দিকে বেশি নিয়ে যায়। অন্যদিকে নারীরা বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতেই বেশি পছন্দ করে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, জৈবিক বা প্রকৃতিগত কারণেই পুরুষেরা শারীরিক সম্পর্কের প্রতি বেশি আগ্রহী হয় ...

University of Wisconsin এ এক বন্ধু পড়ে। ভাবলাম একখানা মেইল করে জিজ্ঞেস করি, ভাইরে তোদের ফান্ডিং কি খেজুরের রসের মতো বায়া বায়া পড়তেছে? মানুষজন ক্যান্সার রিসার্চ এ পয়সা পায়না ঠিকমতো, আর তোরা কিনা প্রেমালু নিয়ে গবেষণা করে যাইতেছস। আর পুরুষ যে কামুক এইটা জানতে ৪০০ লোকরে ধইরা গোপনে জরিপ করতে হইলো? আমারে একবার জিগাইলেই তো উত্তরটা বলে দিতে পারতাম। এইসব প্রেমালুর খবরের চেয়েও পাঠক প্রতিক্রিয়া অনেক সময় আরও বেশী চমকপ্রদ। যেমন এই খবর পড়ে জনৈক পাঠক বলেছেন "ব্যাপারটা শুকনো খড় vs বারুদ! জৈবিক বা প্রকৃতিগত কারণেই পুরুষেরা শারীরিক সম্পর্কের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়।" বড়ই জ্ঞানের কথা। ভদ্রলোক ৪০০ জনকে জিজ্ঞেস না করেই নিজে নিজেই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন বলে ভালো লাগলো। আরেকজন লিখেছেন (দাড়ি কমা সহ উঠিয়ে দিচ্ছি, বানান ভুলের জন্য আমি দায়ী নই) - নারী -পুরুষের মধ্যে বন্ধুত্ব নির্ভেজাল হয় না- এ কথাটা আমি একটা মেয়েকে অনেক বুঝানোর চেষটা করি +দুরে থাকার চেষটা করি। কিন্তু কিন্তু সে তা বিশ্বাস করত না। ৩/৪ বছরে আমি তার সাথে অনেকবার যোগাযোগ বনধ করি । কিন্তু সে আমাকে সে অনেক ফোর্স করত । অনেকটা অধিকার খাটানোর মতো ।একটা পর্যায়ে দুজনই দুর্বল হয়ে যাই । এর জন্য দায়ী কে ??? সবসময় ঢালাওভাবে ছেলেদেরকে দায়ী করাটা ঠিক না ।
এখানে পাঠক অত্যন্ত ব্যাকুল একটি প্রশ্ন করেছেন, দায়ী কে? আমার মনে হয় দায়ী মুহম্মদ জাফর ইকবাল। স্যর জবাব চাই।

সাধের লাউ- আকর্ষণ শুধু নারী পুরুষে হয়না, বরং নারীতে নারীতেও হয়। আপনারা যতটুকু ভাবছেন তার চেয়ে অনেক বেশীই হয়। কে বলেছে, কে বলেছে? আলু বলেছে। প্রেমালু কর্তৃক বর্ণিত আছে,
নারীর প্রতি পুরুষের, আর পুরুষের প্রতি নারীর আকর্ষণটা সহজাত। তবে শুধু বিপরীত লিঙ্গের মধ্যে আকর্ষণ কাজ করে এমন নয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যৌনাকাঙ্খার ব্যাপারে বেশিরভাগ নারী একে অপরের প্রতি ... লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা। বাকিটুকু বরং কপি পেস্ট না করি।
এই খবরের পাঠক প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সহজেই অনুমেয়। আমরা রক্ষণশীল দেশের ভুখা নাঙ্গা পাবলিক। নিজে দুবেলা খেতে পাইনা। সেইখানের গাছের লাউ অন্য গাছের আরেক লাউ এসে নিয়ে গেলে আমাদের কপালে জুটবে কি? সুতরাং খবর পড়ে পাবলিক ক্ষেপে যাবে এটাই স্বাভাবিক। আগের গবেষণার মতো এইবারের গবেষণাও করেছে আমেরিকার আরেক বিশ্ববিদ্যালয়।

মোবাইলের রাজা নোকিয়া প্রেমের রাজা পরকীয়া - পরকীয়া খারাপ কিছু নয়। পরকে আপন ভেবে নিলেই হয়। পরকীয়া সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের জন্য প্রেমালু পড়ুন । সেইসাথে পাঠক প্রতিক্রিয়াও পড়তে ভুলবেন না। যেমন জনৈক পাঠক বলেছেন, " এটা শিক্ষিত সমাজে বেশী। গরীব অশিক্ষিত নারীরা স্বামীকে প্রচণ্ড ভক্তির পাশাপাশি ভালবাসে এবং স্বামীকেই একমাত্র কাণ্ডারি মনে করে। যদি সন্তান না হতো বা সন্তানের প্রতি পিতামাতার ভালবাসা না থাকতো তাহলে আমার মনে হয় ৬০ % বিয়ে টিকে থাকতো না। নারীদের সমান অধিকারের কতা বলে স্বামীর প্রতি এখন বিন্দুমাত্র ভক্তি নেই। " সুতরাং পরকীয়া ঠেকাতে চাইলে সমঅধিকারের মায়রে বাপ বলে, স্ত্রীকে ডরের উপর রাখতে হবে। আরেকজন মুক্তমনা পাঠক বলেছেন , মোবাইলের রাজা নোকিয়া প্রেমের রাজা পরকীয়া । আহা, বুকে আয় বাবুল। একেবারে মনের কথা।

হারাধনের নয়টি মেয়ে - একজন পুরুষ জীবনে গড়ে নয়জন নারীর সঙ্গ পান এটা জানার জন্য প্রেমালু পড়ুন -জরিপে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে একজন পুরুষ তাঁর জীবদ্দশায় নয় দশমিক তিনজন নারীর সঙ্গ পেয়েছেন। এর আগ পর্যন্ত দাঁত কিড়মিড় করে সহ্য করেছিলাম। এই খবর পড়ে বাঁধ ভেঙ্গে গেলো। আমি রীতিমতো তরবারি বাগিয়ে তেড়েফুঁড়ে ওবামার দরবারে রওনা দিয়ে দিয়েছিলাম, আমার ভাগের বাকি আট দশমিক তিন জন কইরে বদমাশ এই বলে। পরে মাথা ঠাণ্ডা করে ঠিক মতো পড়ে দেখি এটা যুক্তরাষ্ট্র না যুক্তরাজ্যের ভাগ বাটওয়ারার হিসাব। সুতরাং আপনি যুক্তরাজ্যের নিবাসী হলে আজই কৌস্তভের নেতৃত্বে বেরিয়ে পড়ুন রানীর দরবারের উদ্দেশ্যে আপনার ভাগের নয়জন দশমিক তিন জন নারীকে কড়ায়গণ্ডায় বুঝে নেয়ার জন্য।

প্রথম দেখায় প্রেমালু -ব্রিটিশ নারীরা দুদু বার করে প্রেমে পড়েন (ছিঃ, যা ভাবছেন তা নয়)। আর ব্রিটিশ পুরুষরা পড়ে গড়ে তিনবার বা তার বেশী। চতুর নারী প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে না, বেকুব পুরুষ পড়ে।

দেড় কুড়িতে বুড়ি - বয়স ত্রিশ হলে শারীরিক সংসর্গে নাকি অনীহা থাকে।, নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই সত্য। পঞ্চাশ পেরুলে নাকি আবার বান ডাকে, আর ষাট পেরুলে নাকি এক্কেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা হয়। এইবারে জরিপ করা হয়েছে রীতিমতো পঁচিশ হাজার লোকের উপর। খবর পড়ে আবারও কেঁদে বলি, ওরে পঁচিশ হাজার লোকেরে জিজ্ঞেস করলি আমারে একবার জিগাইলি না। আমাকে একটি বার জরিপ করতে আসলে শুধু মিষ্টি হেসে বলতুম, চিপায় আসো দেখাই। আমি কিন্তু মিলিটারি স্কুলের ছেলে, এক্কেবারে জরিপ কর্তাই হোক আর কর্ত্রীই হোক হাতে নাতে প্রমাণ দিয়ে দিতুম অনীহা আছে কি নাই।

আরও আধ ডজন - প্রেমালুর কোর্স সমাপ্ত করার জন্য আরও পড়ুন এবং জানুন।

লোকেদের বিয়ের ব্যাপারে কেন আগ্রহ কমে যাচ্ছে জানতে হলে পড়ুন, বিয়েতে আগ্রহ নেই নতুন প্রজন্মের (ভিড্যু সহ)

সুখে থাকতে হলে নিয়মিত ঝগড়া করতে হবে ক্যান এটা জানতে পড়ুন, ঝগড়া করুন, সুখী হোন

কোন ধরণের স্ত্রীকে স্বামী বেশী পছন্দ করে জানতে পড়ুন, রোজগার করা স্ত্রীকে বেশি পছন্দ স্বামীর!। পছন্দ হবারই কথা। কতদিন আর বেচারা স্বামী ATM মেশিন হয়ে থাকবে।


ফেসবুকে সাবধান কেন জানতে হলে পড়ুন, বিয়ে ভাঙার জন্য ফেসবুক দায়ী!

নারীর কাছে পুরুষ কি চায় জানতে হলে পড়ুন, নারীর কাছে পুরুষের চাওয়া

সেইসাথে বোনাস হিসেবে পড়ুন, ‘সেক্স’ বেশি খোঁজেন পাকিস্তানিরা

আবার জিগায় (সুশীল ভাষা ব্যাবহারে ইচ্ছুকগণ পড়ুন, আবার জিজ্ঞেস করে)! এতো এতো ফালতু খবরের মধ্যে এতক্ষণে না একটা সত্যি খবর বের হল। ভাবছেন, কিসের মধ্যে কি পান্তাভাতে ডালডা? বিশেষত শেষ খবরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক কি? খবর পড়ে মনটা উশখুশ করছিলো তাই লেখার মধ্যে হান্দায়ে দিলাম আরকি কোন ডর না করে। কৌতুক বলি একখানা। এক ফটকা আরেক ফটকাকে জিজ্ঞেস করে, ভাই আপনার নাম কি। বলে, আব্বাস। শুনে প্রথম ফটকা হেসে কবিতা বানায়, আপনার নাম আব্বাস, আপনার পুটুতে দিলাম গাবগাছ। এবারে দ্বিতীয় ফটকা শুধোয়, ভাই আপনার নাম কি। প্রথম ফটকা বলে, ইদ্রিস। শুনে দ্বিতীয়জন কবিতা বলে, আপনার নাম ইদ্রিস, আপনার পুটুতে দিলাম বট গাছ। শুনে প্রথমজন ক্ষেপে বলে, এইটা কিছু হইলো? মিলল তো না। দ্বিতীয়জন হেসে বলে, মিলে নাই তো কি হইছে। ব্যথা তো পাইছেন। সুতরাং আমিও একই কথা বলবো। প্রেমালুর শেষ খবরের মতো অনেক খবর হয়তো প্রেমের সাথে মিলে নাই। কিন্তু খবর পড়ে মজা পাইছেন কিনা বলেন?

যাইহোক প্রেমালুর ব্যাসিক কোর্সের এখানেই সমাপ্তি। এবারে লেখাটা দিব্যি এখানেই শেষ করে দেয়া যেত। কারণ মন দিয়ে নিয়মিত প্রেমালু পড়লেই আপনি কিভাবে প্রেম করবেন, বিয়ে করবেন, সংসার করবেন, ভালো না লাগলে ডিভোর্স করবেন, তারপরে আবার বিয়ে করবেন, সুখে থাকবেন, পরকীয়া করবেন ইত্যাদি সকল জ্ঞানই আপনার অর্জন হয়ে যাবে। তারপরেও ভাবলাম প্রেমালুর পর এবার সামান্য দু একটা প্রেমুদাস (প্রেম + উদাস) এর এডভান্স টোটকা জ্ঞান দেয়া শুরু করি।

রথ দেখতে না পারলে অন্তত কলা বেচুন

চোরকে চুরি করতে শেখানোর সময় ওস্তাদ সবার আগে যেটা শিখায় টা হচ্ছে পালানোর পথ। সুতরাং প্রেমের রাস্তায় ঝাঁপ দেয়ার আগে আপনাকে Exit Strategy বা আছাড় খেয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পদ্ধতি জেনে নিতে হবে। যেই মানুষ জীবনে রসমালাই খায়নি, ঝালমুড়ি-ফুচকা খায়নি, কলার ছালে আছাড় খায়নি সেও পর্যন্ত একটা পূর্ণ, আধুলি বা নিদেনপক্ষে সিকি ছ্যাঁকা খেয়ে বসে আছে। খেয়ে কেউ ভেউভেউ করে কাঁদছে, কেউ মলিন হাসি দিয়ে একটুও ব্যথা পাইনি বলে ইজ্জত বাঁচানোর চেষ্টা করছে আবার কেউবা সাধু সন্ন্যাসী বা কবি হয়ে গেছে। সুতরাং হাফসোল খেলে আপনি কি করবেন এটা ঠিক করে নিয়ে তারপর আপনাকে মাঠে নামতে হবে। যাই হোক মূল কথা হচ্ছে, প্রেম পেলে পেলেন না পেলে নাই। রথ না দেখতে পারলে অন্তত কলাটা বেচার চেষ্টা করুন। হাফসোল খেলে সেখান থেকে কিছু ক্যাশ আউট এর চেষ্টা করুন। লাভের লসকে লাভে পরিণত করুন। কিভাবে সেটা বলছি।

জীবনে একটা মাত্র প্রেমের গল্প লিখেছিলাম। জীবনের প্রথম গল্প। জীবন থেকে নেয়া গল্প। চ্যাট রুমে এক মেয়ের সাথে পরিচয়। তারপর মেইল চালাচালি, ফোনে কথা, দেখা, ইশারা, ঝাঁপ দেয়া এবং হাফসোল খাওয়া। খুবই টিপিকাল কাহিনী। বদমাইশ লোকে হাফসোল খাওয়ার পর বাজারে ভিডিও ছাড়ে। আমি যেহেতু ইন্টেলেকচুয়াল বদমাইশ আমি বাজারে মেইল ছাড়লাম। অর্থাৎ যা মেইল চালাচালি হতো সেটাকে সাহিত্য বানিয়ে দিলাম। হয়ে গেলো ল্যাদল্যাদা প্রেমের গল্প। আমার ঘোর কৃষ্ণবর্ণের কারণেই হোক আর সাহিত্য গুনেই হোক সেই গল্প ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি আয়োজিত গল্প প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার পেয়ে গেলো। বিচারক ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। আমার সাহিত্য প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বললেন লেখালেখি সিরিয়াসলি নিতে। গল্প নিয়ে নাটক বানিয়ে চ্যানেল আই ভালোবাসা দিবসে ঘটা করে প্রচারও করে ফেললো। পুরষ্কারের আট ভরির সোনার গয়না বগলদাবা করে বাসায় ফিরলাম। তখনকার দিনে আট ভরি (ইঞ্চি বলি নাই, খেয়াল কইরা) সোনার দাম পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো। বছরকয়েক এর মাঝেই তার দাম বেড়ে কয়েক লাখ হয়ে গেলো। বন্ধুবান্ধবরা পীঠ চাপড়ে সান্ত্বনা দিল, আমি সম্ভবত গ্রিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করে সবচেয়ে দামী ছ্যাঁকা খানা খেয়েছি। এইরকম এক ছ্যাঁকা খেয়ে এতো পয়সা উঠাতে পারলে ফিফটি ফিফটি পার্টনারশিপে আমার অন্যান্য বান্ধবীরাও আমাকে ছ্যাঁকা দেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলো। অন্যদিনের দেখাদেখি এরপর সাপ্তাহিক ২০০০ ও একই ধরণের প্রতিযোগিতা আয়োজন করলো। এবার আমি প্রেম পরবর্তী হাফসোল ষ্টেজে। জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে জীবনের অর্থ নিয়ে আরেকখানা ল্যাদল্যাদা গল্প লিখে পাঠিয়ে দিলাম। এবার তৃতীয় পুরষ্কার পেলাম। অন্যতম বিচারক মইনুল আহসান সাবের। তার আশীর্বাদ আর সাথে একখানা বিকট আকারের মাইক্রোওয়েভ ওভেন বগলদাবা করে বাসায় ফিরলাম (ভাগ্যিস প্রথম পুরষ্কার পাইনি। প্রথম পুরষ্কার ছিল একটা বিশাল আকারের ফ্রিজ।) । এরপর দেখি কেউ আর গল্প প্রতিযোগিতার আয়োজনও করে না, আমিও তাই কিছু লিখি না। বন্ধুরা আমার নাম দিল ভাড়াটে সাহিত্যিক। যে পুরস্কারের লোভ ছাড়া লিখে না। নিজের ছাপা হওয়া লেখা কয়েকবার পড়ে আমি দৃঢ় সিদ্ধান্তে পৌঁছলাম, এ অতি ল্যাদা সাহিত্য। আধুনিক বাংলা সাহিত্য এমনিতেই ভয়ানক প্রেমের ল্যাদায় জর্জরিত। লোকজন একটা করে ছ্যাঁকা খায় আর বই বের করে ফেলে। তাই বাংলা সাহিত্যকে কিছুটা হলেও ল্যাদাভার মুক্ত করার জন্য লেখালেখির সেখানেই ইতি দিলাম। কিন্তু আমি ইতি দিলেও লাভ যা হবার হয়ে গেছে। প্রেম না পেলেও সোনা পেয়েছি! একখানা মাইক্রোওয়েভ ওভেন পেয়েছি। সুতরাং আপনাকেও হতে হবে একই পথের পথিক। প্রেমে ব্যর্থ হলে সেটা নিয়ে গল্প, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ যা পারুন লিখে ফেলুন দিল খুলে। কষ্ট করে দিল খুলতেও হবে না, এরকম অবস্থায় দিল খোলাই থাকবে। কাগজের সামনে বসলেই ব্যথা বেদনা সব টপটপিয়ে অক্ষর হয়ে ঝরে পড়বে।

আমার পাঠকেরা অনেকেই আমাকে বনলতা সেন স্টাইলে জিজ্ঞেস করেন, এতদিন কোথায় ছিলেন। আমি মাঝে প্রায় বছর আটেক কোন লেখালেখি করিনি। আসলে অপেক্ষা করছিলাম, কবে আবার একখানা ছ্যাঁকা খাবো। অবস্থা অনেকটা ইনক্রেডেবল হাল্ক এর মতো। রাগ না উঠলে সাইজ বড় হয়না (নো বাজে চিন্তা প্লিজ)। সেইরকম মনে দুঃখ কষ্ট না হলে লেখালেখির ভাবও আসেনা। অপেক্ষায় কোন কাজ হয়না দেখে প্রেম ভালোবাসার মায়রে বাপ বলে, এতকাল পর জগাখিচুড়ি সাহিত্য শুরু করলাম। সুতরাং আপনি যদি সদ্য হাফসোল খেয়ে থাকেন তাহলে ভেবে দেখুন কি কপাল আপনার। না চাইতেই পেয়ে গেছেন অসীম ক্ষমতা, আজই খাতা নিয়ে বসুন।

টানুন কিন্তু বাঁধনে জড়াবেন না[

প্রেমে সাফল্য অর্জনের সবচেয়ে বড় মূলনীতি খানা কিন্তু দিয়ে গেছেন সেই মাসুদ রানা। "টানে কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না"। পাঁচ শব্দে দুনিয়ার যাবতীয় নারী পুরুষ দের জন্য মহান এক বাণী রেখে যাওয়া হয়েছে। কাঁচা প্রেম অনেকটা ঘুড্ডির মতো করেই সামাল দিতে হয়ে। একটু করে সুতা ছাড়, একটু করে টান। বেশী টানাটানি করলে সুতা ছিঁড়ে সেখানেই প্রেমের সমাপ্তি। আর একেবারে ছেড়ে দিলে তো গেলোই। সুতরাং প্রেমে সাফল্য অর্জনের জন্য আপনাকেও হতে হবে বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর দুর্ধর্ষ স্পাই এর মত। আরে না, অনন্ত জলিল না। মাসুদ রানার কথা বলছি। তবে জলিলের মতো এতো চমৎকার জংলিশ (জলিলের ইংলিশ) বলতে পারলে অপেক্ষাকৃত সহজ টেকনিক ব্যাবহার করতে পারেন। এতো ত্যানা (পড়ুন ছিন্ন বস্ত্রখণ্ড) না পেঁচিয়ে, সরাসরি পছন্দের মানুষটির কাছে গিয়ে চোস্ত জংলিশে বলেন, এসকিউজ মি, ইপ ইউ ডোন মাইন্ট ক্যান আই আসক ইউ এ কুসসেন। তারপর, আই লাবিউ পারলে ঠেকাও বলে উল্টা ঘুরে ঝেড়ে দৌড় দিন। ঠিক মতো বলতে পারলে সাফল্য একশ ভাগ সুনিশ্চিত।

জ্ঞানী লোকেরাও প্রায় একই কথা বলে গেছেন, If you love something set it free; if it returns its yours forever, if not it was never meant to be । তবে ঘটনা হচ্ছে এখন প্যারালাল প্রোসেসিং এর যুগ। কম্পিউটার বেচারাকেও প্রোগ্রামাররা এখন উপুর্যুপুরি ইয়ে করে একই সাথে নানা কাজে খাটিয়ে নিয়ে আবার গর্বভরে বলে, আমি প্যারালাল প্রোগ্রামিং করি। সুতরাং আপনাকেও একটু আধুনিক হতে হবে। If you love something set it free, meanwhile look for other backups. যাহোক টানাটানি করতে করতে যদি একসময় সৌভাগ্য অথবা দুর্ভাগ্যক্রমে বাঁধনে জড়িয়েই যান, তাহলে সে আরেক কাহিনী।

প্রেম চক্র

পশ্চিমাদের প্রেমচক্র শুরু হয় ডিনার ডেট দিয়ে, শেষ হয় লিভ টুগেদার/বিবাহে অথবা শেষ হয় "We Need to Talk" বলার মাধ্যমে। দেখে নিন এই চিত্রটি-

আমাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারখানা এতো সোজাসাপ্টা নয়। এমনকি সাহস করে প্রেম প্রস্তাব দিয়ে ফেলার পরেও নানা জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আপনি ছেলে হলে,ঠিক যেই মুহূর্তে মনে হবে মেয়েটি বুঝি আপনাকে ছাড়া বাঁচবেই না তখনই হয়তো প্রস্তাব দেয়ার পরেই মেয়ে চোখ কপালে তুলে বলবে, আপনি আমার বড় ভাইয়ের মতন অথবা আপনি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। সুতরাং ভাইজান থেকে জান এবং বন্ধু থেকে বরে পৌঁছানর জন্য আপনাকে কসরত করতে হবে। শুরু হতে পারে ভাইজান দিয়ে, তবে সেখান থেকে যত দ্রুত সম্ভব ভাইটুকু কেটে ফেলে দিতে পারলেই আপনি সফল। আবার এমন অনেক ঘটনা জানি, যেখানে প্রেম প্রস্তাব পেয়ে ভাইয়া আমি এখনো ছোট বলে পিছলে বের হয়ে যাবার চেষ্টা করেছে। এক বন্ধু প্রেমে পড়েছিল এমন। বছর খানেক মেয়ে তাকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরানোর পর একদিন সাহস করে প্রেম প্রস্তাব দিয়েই বসলো। মেয়ে কেঁদেকেটে বলে, ছিঃ এসব কি বলেন। আমি এখনো অনেক ছোট ভাইয়া। বন্ধু উষ্কখুষ্ক চুলে আমাকে এসে বলে, দোস্ত কি বলে ছোট। আমি তো দেখলাম বেশ বড় বড়। আমি লাইনে আয় বদমাশ বলে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করলাম। যাই হোক, প্রস্তাব দেবার পর এমন নানা ধরণের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারেন। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রেম প্রস্তাব দেয়ার পর কি ধরণের প্রতিক্রিয়া পেতে পারেন এবং আপনার উত্তর কি হতে পারে তার নমুনা দিয়ে দিচ্ছি।

প্রতিক্রিয়া- ধাড়ি মেয়ে কাঁদকাঁদ গলায়, ভাইয়া আমি এখনো ছোট।
উত্তর - নাদের আলী, তুমি আর কত বড় হবে? তোমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন প্রহরের বিল দেখাবে?

ভাগ্য ভালো হলে তিন প্রহরের বিল দেখিয়েও দিতে পারে।

প্রতিক্রিয়া- আমি সারাজীবন আপনার বন্ধু হয়েই থাকতে চাই
উত্তর- এক লাড়কা কাভি লাড়কি কা দোস্ত নেহি হ সাকতা। সুতরাং আয় যাইগা (সুশীল ভাষায়, এসো চলে যাই)।

প্রতিক্রিয়া- আমি জীবনে কারো সাথে সম্পর্ক করতে চাই না।
উত্তর- কিছু বলে লাভ নেই। কারো সাথে চাইনা মানে আপনার সাথে চায় না। থার্ড পার্টি লাইনে আছে, আপনার চান্স কম।

প্রতিক্রিয়া- আমি আপনার ছোট বোন হয়ে থাকতে চাই।
উত্তর- কস্কি মমিন (সুশীল ভাষায়, বল কি হে মুমিন)

প্রতিক্রিয়া- দূরে গিয়া মর লম্পট কোথাকার / আপনার ঘরে কি মা বোন নেই
উত্তর- মনে হচ্ছে আপনি একজন ইভ টিজার। পাবলিকের পিটানি খাবার আগে পালান।

প্রতিক্রিয়া- তুমি আমার দেহ পাবে মন পাবেনা।
উত্তর- সিনেমার বাইরে এরকম প্রতিক্রিয়া পাবার কথা না। যদি পেয়েই যান তাইলে তো আপনার রাজকপাল।

যাহোক, আর বেশী কথা না বলে ভাবলাম একখানা ফ্লো-চার্ট বানিয়ে নিজে করেই দেখাই। সুতরাং দেখে নিন প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার পর প্রতিক্রিয়া বুঝে আপনাকে কোন পথে অগ্রসর হতে হবে এবং ফলাফল কি হবে।

FlowChart

আর আপনি নারী হলে যত বেশী সময় ধরে সম্ভব পাণিপ্রার্থীকে ঝুলিয়ে রাখুন। নারী ছলনাময়ী, অন্যদিকে পুরুষ দুরাত্মা ও পাপিষ্ঠ। নারী যাহ দুষ্টু, যাহ অসভ্য বলে বলে নিতান্ত শিষ্ট ও সভ্য ছেলেটিকেও দুষ্টু ও অসভ্য বানিয়ে ফেলে। অন্যদিকে প্রেমিকার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত প্রেমিক, রসগোল্লাটি পেয়ে যাওয়া মাত্রই অন্যান্য রসগোল্লা, চমচমদের আশে পাশে গিয়ে মাছির মতো ভনভন শুরু করে। সুতরাং প্রেমিককে যতদিন ঝুলাবেন ততদিনই আপনার প্রতি আগ্রহ থাকবে।

প্রেমচক্রের সঠিক পথ অনুসরণ করতে পারলে সাফল্য নিশ্চিত। ঠিক মতো এই এসো নিজে করি প্রয়োগ করতে পারলে একেবারে এসো বিয়ে করিতে চলে যেতে পারবেন। না পারলেও সমস্যা নেই। বিবাহ প্রেমেরই হোক আর ঘটকেরই হোক উনিশ আর বিশ।প্রেমের বিবাহ ভালো নাকি বিবাহের পর প্রেম ভালো এই নিয়ে জ্ঞানীগুণীরা চিন্তা করে মাথায় টাক ফেলে দিয়েছেন। Humor Gags এই কার্টুনটি দেখুন-

আসলে অত চিন্তা করে লাভ নেই। একটা যদি নিজে নাচতে নাচতে কুয়াতে ঝাঁপ দেয়া হয় তো অন্যটা সবাই কাঁধে তুলে কুয়াতে ফেলে দেয়া। পরিণতি একই। যাহা লাউ তাহা কদু তাহাই চালকুমড়া।

শেষ কথা

আমার এক শত্রু ছিল ( এরকম লোককে বন্ধু বলা ঠিক হবে না, শত্রুই ভালো)। মেজাজ খারাপ হলে কটমট করে তাকিয়ে বলতো, Yo Men. Fuck You! একদিন রিকশাওয়ালা নীলক্ষেত থেকে পলাশী এসে ভাড়া চায় ২০ টাকা। ছোকরা আঙ্গুল তুলে রিকশাওয়ালাকে বলে, Yo Men. Fuck You! রিকশাওয়ালা ইংরেজি না বুঝলেও হাবভাবে ইজ্জত এর উপর হামলা হচ্ছে বুঝে গেলো। তাড়াতাড়ি লুঙ্গী টাইট করে দৌড় দিলো। ছোকরা এই জীবনে যত ব্যক্তি ও বস্তুকে ওই কথা বলেছে তার সিকিভাগও কাজে পরিণত হলে এতদিনে বুয়েট এর সিভিল, ইএমই , রেজিস্টার বিল্ডিং থেকে শুরু করে ঢাকা শহরের ম্যানহোল গুলার কয়েকগন্ডা বাচ্চা কাচ্চা নাতিপুতি হয়ে যেত। (একবার বেচারা ম্যানহোলে গলা পর্যন্ত ডুবে গিয়েছিলো। বন্ধুরা টেনেটুনে উঠানোর পর কোন ধন্যবাদের ধার না ধেরে বরং ম্যানহোলের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেছিল, Yo Men. Fuck You! )। যাই হোক, জীবনে অনেকসময়ই এখন ওই বন্ধুর পদ্ধতি অনুসরণ করি। জীবনের যে কোন সমস্যার দিকে তাকিয়ে বলি, Yo Men. Fuck You! প্রোফেসর পেইন দিচ্ছে? অফিসে বস যন্ত্রণা দিচ্ছে, বাসায় লাইফ পার্টনার জীবন ছেরাবেরা করে দিচ্ছে? সর্ব রোগের মহান ওষুধ সবার দিকে তাকিয়ে বলুন, Yo Men. Fuck You! তবে অবশ্যই সশব্দে না, মনে মনে বলতে হবে। সুতরাং আজকেই ডরাইলেই ডর বলে প্রেমে ঝাঁপিয়ে পড়ুন আর প্রেমে ব্যর্থ হলে কাঁচকলা দেখিয়ে বলুন , Yo Men. Fuck You! আপনার হতে পারতো প্রেমিক বা প্রেমিকাকে নয়, বরং জীবনকে। আজকে যার কাছে ছ্যাঁকমাইছিন খেয়ে আপনার এই জীবন ব্যর্থ মনে হচ্ছে, তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে গেলে কয়দিন পর জীবনকে একই রকম ব্যর্থ মনে হবে। সুতরাং এই জীবনে লাভ লস বলে কিছু নাই। লাভেও লস, লসেও লস। আর এতো জ্ঞান দেয়ার পরেও যদি আপনি প্রেমে সফল হতে না পারেন তাহলে আর কটা দিন সবুর করুন। আপনার জন্যই কিভাবে সুইসাইড খাবেন / How to Eat Suicide লিখে দিব একখানা।

আজকের এসো নিজে করি এখানেই শেষ করছি। এবারের লেখায় সতর্ক থাকার চেষ্টা করেছি আজে বাজে ভাষা পরিহার করার! কারণ পরবর্তী এসো নিজে করি, কিভাবে সুশীল ভাষা ব্যাবহার করবেন লিখার জন্য বিস্তর গবেষণা শুরু করেছি। চিলে কবে কার কান নিয়েছে জানিনা তবে ব্লগ বাংলা ভাষার "কটিদেশ এবং দুই পায়ের সংযোগস্থলে অবস্থিত উদগত মাংসল অংশবিশেষ" (মতান্তরে পুটু) মেরে দিয়েছে এবং দিচ্ছে এটা জানি। এখন অনেক ভাষা সৈনিকেরা ব্লগের নিয়ন্ত্রণ না থাকা এবং অশ্লীল ভাষা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত। তাই এই সুযোগে সবাইকে লাইনে নিয়ে আসার জন্য পরবর্তী টিউটোরিয়াল নিয়ে অচিরেই হাজির হবো। ততক্ষণ পর্যন্ত প্রেমালু নিয়েই থাকুন।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

গুল্লি

পুনম পান্ডের পুটু অমৃত সমান
মতি ভাইয়া ভজে আর খোঁজে পুণ্যবান

সাফি এর ছবি

ঈমানে কই আমি সানি লিওনরে চিন্তাম না। এর পর আলুতে পড়লাম। এর পর গুগুল ক্রোমে কন্ট্রল + শিফ্ট চেপে N চাপলাম, এর পর আর কি করছি বা কি করিনাই বিস্তারিত কওন যাইবোনা।

হিমু এর ছবি

কখনো আলুপেপারের অফিসে গেলে, কারো সাথে হ্যাণ্ডশেক করিস না।

চরম উদাস এর ছবি

হ্যাণ্ডশেক করলেও হাত দিয়া কইরেন না।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কল্যাণ এর ছবি

দেঁতো হাসি বুখে আয় বাবুল

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

চরম উদাস এর ছবি

হ, আপনে তো এদের কাউরেই চিনতেন না। এরা খালি আপনেরে চিনতো খাইছে

reenreen  এর ছবি

এহ! ফেরেস্তা! শয়তানী হাসি

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

দেঁতো হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস এর ছবি

ওরে পুনম রে শয়তানী হাসি

সাফি এর ছবি

বস কালকের প্রেমালুতে না এই লেখা নিয়া নিউজ মাইরা দেয় - ইউটিডি এর বাংলাদেশি গবেষক হালাল পন্থায় প্রেম উদ্ভাবন করলেন।

কালো কাক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস এর ছবি

হ, সেইসাথে বলবে ৮০০ সচলকে জরিপ করে তিনি এই প্রমাণ করিয়াছেন যে নারীকে দেখিলে পুরুষের উত্তেজনা হয়।

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

হো হো হো

স্টয়িক রাসেল এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

চরম উদাস এর ছবি

ইডা মারেন কেন?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুল্লি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আলু বড় ভালু।
আপনার লেখা আর ফ্লো চার্ট ও ভালু। লইজ্জা লাগে

চরম উদাস এর ছবি

লজ্জা পান কেন? কোন প্রেমঘটিত সমস্যা থাকলে খুলে বলেন, এক্ষুনি সমাধান দিয়ে দিচ্ছি।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আপাতত নাই।
তবে আপনি বলায় ভরসা পাইলাম দাদা। দেঁতো হাসি

গৃহবাসী বাঊল এর ছবি

বস, আপ্নের লেখা সেই শুরু থেইকা পড়ি। কোনদিন মন্তব্য করছি কিনা খেয়াল নাই। তয় আজকে আর সামলাইতে পারলামনা। তাই তাৎক্ষনিক ভাবে ডিসিশন লই চিন্তা করি সিদ্ধান্ত নিলাম আম্নেরে গুল্লি না করলে বেইনসাফি হইয়া যাইব
গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

হ বেশী করে গুলি করেন খাইছে

অচল এর ছবি

ভাইজান মনে কিছু যদি না লন তাইলে একটা প্রশ্ন করি, ঈমানে কন তো বাকী ৮.৩ ভাগের দাবীটা কি ঠিক নাকি ভয়ে কইলেন। শয়তানী হাসি

চরম উদাস এর ছবি

চিপায় আসেন, বলতেছি

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

গুল্লি

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু গুরু
গুল্লি - আয় আইজক্যা...
কড়িকাঠুরে

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

বিলাস এর ছবি

গুল্লি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
ইয়ো ম্যান, হেইল ইউ।

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ো ম্যান , খুল ম্যান

পরী এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গুল্লি গুল্লি গুল্লি
উত্তম জাঝা! (গুড়) ইটা রাইখ্যা গেলাম...
(আর কোন ইমো পাইতাছি না )

চরম উদাস এর ছবি

গুলি, ইটা সবই মারলেন দেখি চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো হো হো হো হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি কস্কি মমিন! উত্তম জাঝা!

চরম উদাস এর ছবি

ছি: , কসকি মমিন বলতে নেই। সুন্দর ভাষায় বলুন, বলো কি হে মুমিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি কী ঈশ্বর মিয়া নাকি যে মমিন্যা বান্দা-বান্দিগোরে ডাকমু... তেব্র পেতিবাদ জানাই... খাইছে
কড়িকাঠুরে

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়া রাব্বুল আলামিন, ইহা আমি কি দেখিলাম গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

কল্যাণ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

এমুন জুতসই আলুর ছবি কেমনে খুইজা বাইর করলেন???
সোনা কো?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

চরম উদাস এর ছবি

লাভ পটেটু লিখে গুগলে সার্চ দিতেই আলুর ছবি পেয়ে গেছি।
আর ইয়ে তো ইয়ের মধ্যে ইয়ে, মানে...

কল্যাণ এর ছবি

পুরাটাই? মানে আট ভরির সবটাই অ্যাঁ

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

রেজওয়ান এর ছবি

লেখা পড়িয়া হাসতেই আছি। তারা টু দা ইনফিনিটি। এতদিনে প্রেমালুর অনলাইন ডেস্কের জন্যে যোগ্য লোক পাওয়া গেল। এক্ষণি মতিচুর ভাইরে কইতাছি।

চরম উদাস এর ছবি

হ, দেখেন তো দেখি একটা চাকরি দিতে পারেন নাকি।

অতিথি লেখক এর ছবি

এতা আমার প্রথম কমেন্ট সচল এ।সচল আমি ফলো করি শুধু মাত্র আপনার লেখার জন্য।

আপনার লেখা র অপেক্ষায় থাকি। এক কথায় ফাটাফাটি হয়েছে ।

চরম উদাস এর ছবি

আপনার নাম কই গো?

কৌস্তুভ এর ছবি

আপ্নে একটা অমানুষ! আমার মত নিষ্পাপ তরুণ যার কপালে ০.০০০০১খানাও জুটলনা তারে ৯.৩এর নেতা বানিয়ে দিলেন? <উদাস ইমো>

চরম উদাস এর ছবি

আহারে, জরিপে আপনার ডাটা যোগ করেনি বুঝি? করলেই গড় ৯ থেকে ধাই ধাই করে নিচে নেমে আসতো

কৌস্তুভ এর ছবি

নাহ আমি এসে পৌঁছনোর আগেই পাপিষ্ঠ ব্যাটারা জরিপ করে ফেলেছে!

তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে - ওই ডেটা কি রাণীর হাজবেন্ডের ক্ষেত্রেও চলে?

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

পুরাই ম্রাত্মক, হাস্তে হাস্তে ইয়াক্কেলে শ্যাষ।

আপ্নে মিয়া পারেনও, আলুর পিছ ছাইড়া এইবার কড়া কইরা দুইডা ঝাড়া দিয়া এস্তেঞ্জা সাইড়া কালুর পিছে লাগেন চোখ টিপি

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
হ, পরে কালু আবার বলবে ব্লগ ভাষা ও সভ্যতার "কটিদেশ এবং দুই পায়ের সংযোগস্থলে অবস্থিত উদগত মাংসল অংশবিশেষ" মেরে দিচ্ছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিভাবে হারাম প্রেম করতে হয় সেই বিষয়ে লেখার প্রত্যশায় এখন থেকেই লুল ফেলতে শুরু করলাম কিন্তুক!

হিল্লোল

চরম উদাস এর ছবি

শয়তানী হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
কড়িকাঠুরে

পাঠক এর ছবি

ভাই আলু পড়তে গেলে কমেন্ট গুলা দেখে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারিনা। আজকে আলুরে আপনি একদম ভেলু বানায় দিছেন হাসি

চরম উদাস এর ছবি

শয়তানী হাসি

স্টয়িক রাসেল এর ছবি

ভাই আপনি একটা অস্থির জিনিশ । ভাই সামনে একটা পর্ব দেন: "How to write like CHOROM UDASH" তাহলে খুব স্বল্প সময়ে এরকম অস্থির কিছ গল্প পাওয়া যাবে।
গুল্লি গুল্লি গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

তাসনীম এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

গুল্লি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ। আসতেছেন কবে?

সত্যপীর এর ছবি

কৈতাসেন আলুর অনলাইন প্রেমডেস্কের লিখাগুলি আপনের লিখা না? আমার এখনো সন্দো হয় চিন্তিত

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

নুসায়ের এর ছবি

গুল্লি

টেক্সাসে তেল পাওন যায় জানতাম, কিন্তু আপ্নেরে দেইখা মনে হইতাছে নতুন রসের খনিও আবিষ্কার হইছে। খাইছে

কি করে শুদ্ধ বাংলায় ব্লগ লেখা যায় এ নিয়া একটা এসো নিজে করি চাই। দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

আরে টেক্সাসে সবই পাওয়া যায়। প্রমাণ চাইলে আগামী মাসের সচলাড্ডায় এসে যোগ দেন।

স্বপ্নহীন এর ছবি

লেখায় উত্তম জাঝা! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- গুল্লি হাততালি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফেরদৌস জাহিদ এর ছবি

যা বলেচেন দাদা, কমেন্ট না করে আর থাকতে পাল্লাম না। গুরু, সচলে বহুত নকশা বলে লিখি না। খালি আপনার লেখা পড়তেই আসি। আর, আজ যা লিখেচেন, মাইরী বলচি, কতবার যে মনে হল, মনের কথাটাই বলচেন। কি আলু, কি সানি লিওন, কি লেখা-লেখি, কি প্রমিত ভাষা - অসাধারণ। আবেগে চোখে পানি চলে এল, সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেল। গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

নকশা বলছেন কেনো? এখানে অতিথি হিসেবে লেখা দিতে তো তেমন ঝামেলা নেই। একাউন্ট পেতে হলে নিয়মিত কিছু লেখা দিতে হয় কিন্তু তাও অতো সময় লাগে না।
যাহোক, চোখে পানি কি লেখা পড়ে আসলো নাকি সানি আপার কথা মনে পড়ে আসলো এবার বলেন দিকিনি চিন্তিত

দ্রোহী এর ছবি

যা কিছু ভালু তার সাথে আলু! আপনি লোক্ষারাপ তাই আলু ভালুবাসেন না।

চরম উদাস এর ছবি

কে বললো ভালুবাসি না? অ্যাঁ

মারভিন এর ছবি

সাধে কি বলে আমাদের স্মৃতি দূর্বল। লেখা দিয়ে হাসিয়ে সবাইকে ভোলাতে পারলেও আমি ভুলবো না। নিজেকে ১০১টা চিমটি কেটে আর অনেক দুঃখের কথা মনে করে হাসি নাই কারণ সাহিত্যিকের দাবী জানাইতে হবে। সাহিত্যিকের পরের পর্ব কই কই কই কই......?

চরম উদাস এর ছবি

ছাগু এর ছবি

আমি ছাগু, তোমার খবর আছে চউ !!!

চরম উদাস এর ছবি

ছাগু এর ছবি

হাসতে হাসতে মাইরা ফালাইলেন চউদা গড়াগড়ি দিয়া হাসি ... আপনার আসলেই খবর করা উচিত গুরু গুরু

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

একসময় জনকন্ঠ এই গুরু দায়িত্ব পালন করত, এখন প্রেমালু জনগণকে শিক্ষিত(!) করার এই দায়িত্ব নিয়েছে।
লেখায় আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

চরম উদাস এর ছবি

হ, তাইতো দেখি

ক্রেসিডা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আমি-অমিত এর ছবি

ভেবেছিলাম লেখাটা প্রিন্ট করে হ্যান্ডবুক বানায় বুক পকেটে রেখে দিবো আর এপ্লাই করবো। কিন্তু কেম্নে কি?? হাসতে হাসতে আমার চল্লিশা পড়া হয়ে গেছে। লেখা যে কি হয়েছে সেটা নতুন করে না বলি।

চরম উদাস এর ছবি

প্রিন্ট করে তাবিজ বানায়ে ফেলেন। সাফল্য নিশ্চিত?

তারেক অণু এর ছবি

মাসুদ্রানাই আপনের আদর্শ মন খারাপ

আর অণু যে চোখের সামনে রানারে ঐ এক ব্যাপারে বাস্তবে পরিণত করল, তার দাম নাইক্যা!!! চিন্তিত

অবশ্য ছোড়ার অবশ্য হারাম-হালাল বলে কিছু নাই তাও এক কথা বটে!।

চরম উদাস এর ছবি

আগে আপনে ইয়েতি ছাড়া আর কারে কারে টানছেন সেটা বলেন দেখি চিন্তিত

আলোকিতা এর ছবি

আলুর যে ছবিখান দিছেন সেইটা বুঝি আলু পত্রিকার নতুন খামারবাড়িতে জন্মাইছে?? হো হো হো
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস এর ছবি

হ, একেবারে আলুর জন্যই তৈরী প্রেমালু।

অতিথি লেখক এর ছবি

আলু নিয়ে এত কিছু লিখলেন কিনতু "আলুর দোষ" টা কভার করলেন না তো!! নাকি সেটা "হারাম প্রেমের" মধ‌্যে পরে?

অট: "আলুর দোষ"-এর শানে নযুল কি? কোনো মমিন ভাই যদি একটু জায়গায় বসে আওয়াজ দেন।

লেখা ভালু হৈসে। মাগার জুতসই ইমো পাইলাম না। ধইন্যা পাতা দিতে কিনতু ভুইলেন না কৈলাম।

চরম উদাস এর ছবি

আলুর দোষ তো নাইক্কা, আলুর খালি গুন।

অরফিয়াস এর ছবি

বুখে আয় বাবুল !!! কোলাকুলি

তবে কোনো কিছু নিয়া বেশি ব্যথা বেদনা হইলে মতিঝিলের বিচ্ছু মলম পার্সেল কইরা দেয়া যাইবো চিন্তা নাইকা !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস এর ছবি

আবার জিগায়, আই মিন আবার জিজ্ঞেস করে খাইছে

অনিকেত এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু
আর কিছু বলার নাই ভাই---

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মেঘা এর ছবি

নতুন পর্ব চলে আসলো আমি আমি জানতেই পারলাম না অ্যাঁ আমি কিছুদিন হাসপাতালে বেড়াতে গিয়েছিলাম তার মধ্যে নতুন পর্ব দেবার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গেলাম রেগে টং

লেখা পড়ে আমি হাসতে হাসতে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছি দেঁতো হাসি (তাই আপনাকে মাফ করে দিলাম ভাইয়া)। প্রেমালুর ছবি দেখে আমি পুরাই মুগ্ধ। আলুর মধ্যে প্রেম কী অসাধারণ দৃশ্য। দেঁতো হাসি

লেখা শেয়ার করতে পারছি না কেন? রেগে টং এই লেখা শেয়ার না করতে পারলে অনেকেই জানতে পারবে না পুনম পান্ডে আর সানি লিওন যে মতির জানে জিগার। পেপারব্যাকে ছাপাতে না পেরে অনলাইন ডেস্কে এই প্রেম বেয়ে পরছে সেটা তো মিস করা উচিৎ হবে না। খাইছে

চরম উদাস এর ছবি

শইলডা ভালা এখন?

মেঘা এর ছবি

একটু একটু। হাসি বেশী ভালো তো আর হবে না কখনো দেঁতো হাসি

ইয়াসির এর ছবি

জিনিস রে জিনিস!

চরম উদাস এর ছবি

চিন্তিত

রিয়েল ডেমোন এর ছবি

এই পর্বে উদাস হইলাম।

চরম উদাস এর ছবি

চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ইদানিং আমার মনে বাবলা পাতার কষোৎপাদন সিভিয়ার আকার ধারণ করছে! আপনে যেই আলু দেখে প্রেমালু নাম দিলেন সেইটা দেখেই আমার প্রথম যেইটা মনে হৈছে, ঐটা তো আর ভদ্র সমাজে বলা যাচ্ছে না। এস্তেঞ্জা সম্পাদক এমনিতেই ক্ষেপে আছেন ব্লগ আর ব্লগারদের উপর!

তবে, একটা হিন্ট না দিলেও মনের মধ্যেকার হাদুমপাদুম থামতাছে না।

বহুকাল পূর্বে ভ‌্যাব্দা রৈষূ বলে এক জগদ্বিখ্যাত কোবি সবখানেই হাতিঘোড়াডায়নোসর মারতো। তার এক বিশ্বভ্রহ্মাণ্ডবিখ্যাত কোবতের লগে একটা স্কেচ লটকায়া দিছিলো। সেইটারে সেই কোবতের পাপিষ্ঠ পাঠকেরা জনৈক ঘোড়ামুখো হুমুর ঝুলে যাওয়া 'আংরেজী ব্যাগ' বলে চিহ্নিত করেছিলো। আপনার দেয়া প্রেমালুটা অবশ্য সেইটার সাপেক্ষে জেন্ডার আর অবস্থানগত দিক থেকে বিপরীত দিকে অবস্থান করছে বলে মনে হয়েছে।

যাউকগা, ফাজুল কি বাত বন। আমি চিন্তা করতেছি আংল্যান্ড যামু না। এইখানেই লন্ডনী কইন্যা খুঁজে নিয়ে জিগামু, আমার ভাগের পুরা নয় দশমিক তিন শতাংশ বুঝায়া দে মাতারি!

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

ছিহ! কি কুৎসিত "ভাশা'! শয়তানী হাসি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

চরম উদাস এর ছবি

গ্রেট ম্যান থিঙ্কস এলাইক, বুঝতেছি আপনের ক. মনে হইছে আলু দেখে চিন্তিত
আপনে আগে রোকেয়া আপা বা কাউরে জার্মানীর স্ট্যাট জিগান, হয়তো ওইখানে গড় ৯ দশমিক তিন এর চেয়েও বেশী।

অমি_বন্যা এর ছবি

পরের টিউটোরিয়াল পড়ার লাই জান বারাই জাইচ্চে।
এক্কারে হাডাইলাইছেন রে বাই। একেবারেই মজা। হো হো হো

চরম উদাস এর ছবি

আপনার জন্যই তো লিখলাম। প্রেম তুমি কি বলে কান্নাকাটি করতেছেন বলে মনে হল, গবেষণা করে জানার চেস্টা করি এইটা কি।

অমি_বন্যা এর ছবি

এ কি শুধুই গবেষণা একেবারে চুলচেরা বিশ্লেষণ যাকে বলে। থ্রেবিয়ে হাসি

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

সাতসকালে রুমের জুনিয়রটারে আদর কইরা পড়তে দিলাম - How to Make Halal Love!

বেরসিকের মতো কইল - ভাইয়া, আমি তো অনেক ছোট!!! ওঁয়া ওঁয়া

কালো কাক এর ছবি

নাউজুবিল্লাহ ! ইয়ে, মানে...

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

অতিথি লেখক এর ছবি

উদাস ভাই আপনি একটা অমানুষ, হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরাইয়া ফালাইসেন। আপনার লেখা সবসময়ই খুব বেশি ভালো লাগে। প্রত্যেকবার ই কমেন্ট করতে ইচ্ছা করে কিন্তু এই প্রথমবারের মতো করলাম। ভাই আপনে মানুষটা বেশি বস। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আর আপনার জন্য গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

এইতো বাংলা টাইপ বেশ ভালই করেন মনে হচ্ছে। এইবারে নিজেও লেখালেখি শুরু করে দেন।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বস, একটা ভিন্ন আঙ্গিকে লেখাটা নামান - How to make love in Halal way (কীভাবে হালাল পন্থায় করবেন?)

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

রু এর ছবি

সোয়া একখানা প্রেম (অবশ্যই হালাল) করে কানে ধরেছি। ওই পথ আর মাড়াবো না। আপনার ফ্লো চার্টে তো এখন নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি না।

অসাধারণ লেখা! দারুণ!!

চরম উদাস এর ছবি

সমস্যা খুলে বলেন, এইখানে বিনামূল্যে সমাধান দেয়া হয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

চরম অমানবিক লেখা!!!! গুল্লি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ঠিক যেই মুহূর্তে মনে হবে মেয়েটি বুঝি আপনাকে ছাড়া বাঁচবেই না তখনই হয়তো প্রস্তাব দেয়ার পরেই মেয়ে চোখ কপালে তুলে বলবে, আপনি আমার বড় ভাইয়ের মতন অথবা আপনি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

সজল এর ছবি

দারুণ।
ফ্রেজারের একটা সিন। সে তার বান্ধবীকে সান্তনা দিচ্ছে, বান্ধবী বলতে যাচ্ছে, "you are my best ...", ফ্রেজার তারে থামায় দিয়ে বললো, "Don't say the F word" । ফ্রেন্ডস জোনে যে কত কত প্রেম এই ভাবে শহীদ হলো।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই। এজন্যেই তো Frined আমার সেকেন্ড ফেভারিট F ওয়ার্ড।

বোকা মেঘ এর ছবি

এখনো অবিয়াইত্যা বন্ধুদের/শত্রুদের অবশ্যপাঠ্য...
গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

আয় বাবুল, চিপায় আয়। ভয় নাই; বুকেই লমু। কোলাকুলি চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

কোলাকুলি

এ হাসনাত এর ছবি

আলু পড়ে অল্প সল্প যা শিখতাম আপনার জ্বালায় আলু তাও বন্ধ করে দিবে। বন্ধ করে দিলে আপনার খবর আছে কইলাম। you have news man

চরম উদাস এর ছবি

যান কথা দিচ্ছি, আমার অত্যাচারে যদি আলুর অনলাইন ডেস্ক বন্ধ হয়ে যায় তাইলে আমি এখানে সচল অনলাইন ডেস্ক খুলে একই রকম গবেষণামুলক লেখা নামানো শুরু করবো। সেই সাথে পাঠকের সমস্যার লাইভ সমাধাণ দেয়া হবে, চরম উদাস সব জানে সেকশনে।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

গুরু গুরু
এ কী লিখলেন! বাচ্চা কালের 'রিডিং' পড়ার মত বৌ কে পড়ে শুনাচ্ছিলাম। দুজনেই হাসতে হাসতে শেষ।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
পড়েন, সেইসাথে আয়ারল্যান্ডের গড়ের হিসাবটাও নিয়েন।

ইঁদুর এর ছবি

"সেইখানের গাছের লাউ অন্য গাছের আরেক লাউ এসে নিয়ে গেলে আমাদের কপালে জুটবে কি?"
=)=)- গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

শয়তানী হাসি

ওডিন এর ছবি

এফোর কাগজে প্রিন্টাউট নিয়া এক্ষণি প্রেম কর্তে ঝাঁপায়া পড়তাছি! শয়তানী হাসি

চরম উদাস এর ছবি

পড়েন পড়েন, কাজ হবেই। বিফলে মূল্য ফেরত।

জারীফ হাসান এর ছবি

এগুলান কি লিখসেন ভাই, আমি তো আপনের পাঙ্খা হয়া গেলাম. (গুড়)

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

কীর্তিনাশা এর ছবি

হা হা প গে ম গে হো গে

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

চরম উদাস এর ছবি

পগে মগে তো বুঝলম, হোগে টা কি খাইছে

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

প্রথম প্রেমালুরে এম্নে নাঙ্গা কৈরা ছাড়লেন বস, আন্নের দিলে রহম নাইক্কা!!! আরো কত্তকিছুরে নাংগা করলেন, এ অবিচার বড্ড অবিচার!!

আন্নেরে গুরু মানি!!! গুল্লি গুল্লি


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আপনে কি লেখালেখি ছেড়েই দিলেন নাকি?

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

দেহেন বস, আপ্নারা আমারে এম্নে লেখালেখির কথা জিগান আর আমি ব্যাপকাপ্লুত হৈয়া বিগত ৭ মাসে তিন/চার খান লেখা (সর্বশ্রেষ্ঠ কাইব্যমাইল্য) দিছি, আফসুস দুর্বিজ্ঞ( দেঁতো হাসি ) মডুরা তার মর্ম উদ্ধার করতে পারে নাই ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া

আর আন্ধাকালের কণ্ঠ কয় আরো মডারেশন বসাইতে; তাইলে দেহা যাইবো আমার মন্তব্যও আর ছাড়পত্র পাইতাছে না........ ওঁয়া ওঁয়া

এনি ওয়ে বস, একখানও লেখা যদি সচলেমুখ দেখে আপ্নারে, অণুদারে ফেবুতে ম্যাসেজ দিয়া আগে জানামু নে........ হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

রানা মেহের এর ছবি

আপনি একটা জিনিস হো হো হো

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

বস, লেখা পুরাই মধুমাখা।।।।। আর নীরব থাকতে পারলাম না, সরব হইয়া গেলাম, পয়লা কমেন্ট।।।। জটিল হইছে উত্তম জাঝা!

আম্রিকার ললনাগো গড় এর একটা ধারনা এই ভিডিও তে: http://www.youtube.com/watch?v=nJqGdyjP5sU

চরম উদাস এর ছবি

ভিডিও মজা পাইলাম দেঁতো হাসি । জটিল হিসাব করছে ছোকরা

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি আসলেই একটা ইন্টেলেকচুয়েল বদমাইশ! লেখা চরম হইছে। হাততালি

নতুন পাঠক

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

তানভীর রাব্বানী এর ছবি

ওরে বুকে আয় বাবুল!!!

চরম উদাস এর ছবি

আইচ্চি
কোলাকুলি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ওরে খোদারে আমার! এমনিতেই আপিসে আমারে সবাই পাগল ভাবে! মন খারাপ

এফোর কাগজে প্রিন্ট নিয়ে প্রেম করতে ঝাঁপায় পড়ুম ভাবতেসি! দেঁতো হাসি ম্যাঁও

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

চরম উদাস এর ছবি

ঝাঁপায়ে পড়েন, বিফলে মূল্য ফেরত।

স্বপ্নহারা এর ছবি

অমানবিক! আলুর প্রতি পাষন্ডঃ আলুষন্ড! গুরু গুরু গুরু গুরু

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

আপ্নে একটা চুড়ান্ত খাইষ্টা, দুর্লভ প্রজাতির জিনিয়াস রকস্টার ব্লগার। যদি স্নাইপার হতাম, তাইলে আপনাকে আর তারেকাণুকে একসাথে সম্পূর্ণ অভিনব পন্থায় মার্ডার করতাম। FBI, গোয়েন্দা ঝাকানাকা কারো সাধ্য ছিল না এই হত্যা-রহস্য উদ্ঘাটন করে।

- এই জীবনে না হতে পারলাম স্নাইপার, না হতে পারলাম চরম উদাসের শিষ্য মন খারাপ রাখব না এ জীবন।

চরম উদাস এর ছবি

শোনেন বুদ্ধি বলি, আপনের একটা গুলি অন্তত সেভ হবে। তারেক অণু রে গুলি করেন আগে, সেইটা দেখে খুশির চোটে দেখবেন আমার এমনেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে। এক্কেবারে আপনের এক ঢিলে দুই পাখি হবে দেঁতো হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

বলো কি হে মুমিন! দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

সাবেকা  এর ছবি

হাসিতে হাসিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হইবার উপক্রম হইয়াছে হো হো হো

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

দুর্দান্ত ফ্লোচার্ট হো হো হো

শিশির

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আউটসাইডার এর ছবি

আমার খোমাখাতা স্ট্যাটাস:
"প্রেম করিবার সহিহ তরিকা - যারা প্রেমে পড়তে যাচ্ছেন, প্রেমে পড়েছেন, প্রেম করছেন, প্রেমে ইতি টেনেছেন (অশীল ভাষায় ছ্যকা খাইসেন) এবং মৃত্যু লাভ করেছেন (সুশীল ভাষায় বিয়ে করেছেন) তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য।"

চরম উদাস এর ছবি

যারা যারা ফ্লো-চার্ট ব্যাবহার করে লাভবান হবে আমাকে পাঁচ টাকা করে হাদিয়া দিয়ে যেতে বলবেন খাইছে

শাব্দিক এর ছবি

পুরষ্কার প্রাপ্ত লেখা দুইটার লিঙ্ক কো???

চরম উদাস এর ছবি

নাইক্কা। কব্বর দিয়ে দিছি খাইছে

শাফায়েত এর ছবি

ধুরো কোনো লিংক পোস্ট করতে গেলে অদৃশ্য ক্যাপচা পুরণ করতে বলে। জাস্টিন বিবারের খবর ছাপসে দেখলাম আলুতে, এইটার থেকেতো সানি লিওন আর পুনম পান্ডের খবর ভালো ছিলো।

চরম উদাস এর ছবি

এই নি তবে কাহিনী, এখন তবে কচি জাস্টিন এর প্রেমে পড়েছে প্রেমালু! খাড়ান, খুঁজে দেখি খবর খাইছে

সজীব এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি ভাই আপ্নে পারেনও। আপ্নের লেখা পড়ার জন্য মাঝে মইধ্যে সচলে ডু দিয়ে কমেন্ট সহ পইড়ালাই। লেখার কথা কী আর কমু উত্তম জাঝা! গুল্লি । তয় আমগোরে দুইশ বছর জালানীর শাস্তি কড়াই গন্ডায় ক্লাইভ সাহেবের দেশের মানুষ পাচ্ছে। একটা লইয়া আমগোর যে অবস্থা (আপ্নের লেখা না থাকলে লাইফ আর রস থাকত না) , ৯.৩ নিয়া তো সবের লাইফ জাহান্নাম।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

উদাস ভাই আইন্নেরে খালি এইডাই দিলাম
গুরু গুরু

সিফাত

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

shumon এর ছবি

গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অস্বাভাবিক  এর ছবি

লেখা দারুণ হৈছে । তবে flowchart গুলা আমার বেশি দারুণ লাগছে গড়াগড়ি দিয়া হাসি চলুক

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
থিঙ্কু

অতিথি লেখক এর ছবি

চরম হইসে! গড়াগড়ি দিয়া হাসি হাততালি ইটা রাইখ্যা গেলাম...

-ক্রান্তিবৃত্ত

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক দেরি করে পড়লাম, বোকা মানুষের মতো তাই দেরিতেই একা একা হাসছি।

তিথীডোর এর ছবি

রাতের খাবারের সহিত কতিপয় বাছাই ব্লগ পুনঃপাঠ করিতে গিয়া এখন হেঁচকি+ হাসি কোনটাই থামাইতে পারিতেছি না। গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আপনার ডিএনএ টেস্ট করানো দরকার আসলে। কিছু একটা তো স্পেশাল আছেই!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ডিএনএ টেস্ট করানো দরকার আসলে। কিছু একটা তো স্পেশাল আছেই!

- ক্যান্ কুম্‌লা!!! শয়তানী হাসি

কড়িকাঠুরে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আজকাল তো মূলধারার একমাত্র দাবীদার কাওরানবাজারের কুটিকুটি মতিবেদকের প্রকৃত মতিবেদনের ঠেলায় মতিকণ্ঠের কথা লোকে ভুলেই গেছে। সাধে কি জটায়ু বলেছেন- "ট্রুথ ইজ স্ট্রঙ্গার দ্যান ফিকশন!" হুঁহ! হাসি

যাক গিয়া, মুলধারায় থাকা কুটিকুটি মতিকন্ঠের কাউকে এই পুষ্টের লিংক ধরায় কইতে হবেঃ "লকডাউনে হালাল পদ্ধতিতে প্রেম আবিষ্কার করলেন আমেরিকান গবেষক", একেবারে চ্যালচ্যালায়া ভাইরাল। আমেরিকান গবেষক না বলে বুয়েটের ছাত্র বললেও চলে, সত্য তো চাপা থাকে না। সাথে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ইত্যাদি লাগিয়ে দিলেই মোক্ষ। বাই দ্য ওয়ে, লেখকের ভান্ডারে 'দ্য অনলি লিভিং মাংকি' বা 'টপ নাট' এইরকম কোন টাইটেল নাই? অবশ্যই খেতাবপ্রাপ্ত ২২ জনের মধ্যে একমাত্র জীবিত ব্যক্তি হতে হবে। চাল্লু

পুনশ্চঃ মনের মুকুরে একটি অভিশাপ! ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।