আরিফ জেবতিক এর লেখা আর জেনারেল জিয়া।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০১/২০০৯ - ১২:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকে অন্য পাড়ায় আরিফ জেবতিকের একটি লেখা পড়লাম। সেখানে তিনি মিসেস জিয়াকে উদ্দেশ্য করে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। চিঠিটি লেখা হয়েছে সাম্প্রতিক সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর, যেখানে বিএনপি র ভরাডুবি হয়েছে। খোলা চিঠিতে আরিফ নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে কয়েকটি সাজেশন দিয়েছেন। সংক্ষেপে সেগুলো হোল,

(ক) অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রায় মেনে নেওয়া।
(খ) শেখ হাসিনাকে এক তোড়া রজনীগন্ধা পাঠিয়ে অভিনন্দন জানানো।
(গ) একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি তৈরী করা, যে কমিটি নির্বাচনে ভরাডুবির কারণগুলো খুঁজে বের করবে।
(ঘ) জামাতকে বর্জন করা।

ইতিমধ্যেই আমরা জানি যে মিসেস জিয়া সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন যে নির্বাচনটি পাতানো ছিল, এবং এই নির্বাচনের ফলাফল তিনি মানেন না।
আরিফ জেবতিকের পয়লা সাজেশনই তিনি মানলেন না। দেখলাম আরিফ মিসেস জিয়ার এই সিদ্ধান্তে দুঃখ পেয়েছেন। দুঃখ পাবারই কথা।

কেন যেন আমার পুরনো কয়েকটি ঘটনা মনে পড়ে গেল। বেশীর ভাগই শোনা কথা,তবে আমার সোর্স বিশ্বাসযোগ্য। খুলেই বলি।

সত্তুর দশকের শেষের দিকের কথা। তখন জেনারেল জিয়া কেবল ক্ষমতায় এসেছেন ক্যু করে। তখন তিনি রাজনৈতিক পরিচিতি চাচ্ছেন। তিনি তখন রাজনীতিবিদ খুঁজছেন। প্রথমে যারা এলেন জিয়ার সাথে হাত মেলাতে তাদের একজন হচ্ছেন মশিউর রহমান যাদু মিয়া। যাদু মিয়া তখন প্রায় বিলুপ্ত ভাসানী ন্যাপের কর্ণধার। যাদু মিয়ার সাথে সাথে তাদের দুর্বল ছাত্র ফ্রন্টটিও জিয়ার সমর্থক হয়ে উঠলো। এই ছাত্র ফ্রন্টের নাম ছিল ‘জাতীয় ছাত্রদল’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এদের এক নেতা ছিল আমার ঘনিষ্ট বন্ধু, কিছু গল্প তার মুখেই শোনা।

প্রথম ঘটনাটি ঘটলো এক রোদেলা দিনের সকালে। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেদিন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বার্ষিক সম্মেলন। পদাধিকার বলে জিয়া তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর, এবং তিনি সম্মেলনের প্রধান অতিথী। সম্মেলনটি হচ্ছে টি এস সি তে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন জাসদ-পন্থী ছাত্রলীগের ব্যাপক দাপট। তারা তখন টি এস সি র ঠিক উলটোদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর সামনে বিরাট জটলা করে জিয়া বিরোধী শ্লোগান দিচ্ছে। জাতীয় ছাত্র দলের অল্প কিছু ছেলেপিলে (আমার বন্ধুও ছিল সেদলে) গিয়েছিল জিয়াকে অভ্যর্থনা করতে, কিন্তু ছাত্রলীগের ওই জনতার সামনে তারা ফুলের মালা-টালা পকেটে পুরে শুকনো মুখে এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে।

এমন সময়ে সামরিক বহর নিয়ে জিয়ার কাফেলা এসে থামলো টি এস সি র সামনে। জিয়া গাড়ী থেকে নামলেন। রাস্তার ওপাশে তখন ছাত্রলীগের ছেলেরা শ্লোগানে শ্লোগানে বাতাস ভারী করে ফেলছে।

জিয়া সেদিকে তাকালেন, তারপর কি যেন একটা ভাবলেন। তারপরেই তিনি টি এস সির দিকে না গিয়ে সোজা হাঁটা শুরু করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। তার চেলাবেলারা হতবাক। জেনারেল এ কি করছেন? তাদের প্রবল আপত্তি অগ্রাহ্য করে জিয়া প্রতিবাদমুখর ছাত্রদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন।
জিজ্ঞেস করলেন,‘কি তোমাদের দাবী?’
ছাত্ররা চেঁচামেচি করে। কেউ পথের উপর শুয়ে পড়লো। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র মাটিতে জিয়ার মতো খুনীকে ঢুকতে দেবো না।’
জিয়া ছাত্রদের একদম কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন। ছাত্ররা তাঁকে ঘিরে ধরলো। জিয়ার চেলাবেলারা তখন সুযোগ খুঁজছে ছাত্রদের Œপর ট্যাংক তুলে দিতে। জিয়া তাদেরকে চোখের ইঙ্গিতে বারণ করলেন।
ছাত্ররা জিয়ার সাথে সাথে ঠেলাঠেলি করতে থাকে। দু একজন তাঁকে ধাক্কা দেয়। দু একজন ছোটখাটো চোরাগোপ্তা ঘুষি চালিয়ে দেয় জিয়ার গায়ে।
জিয়া আরো কয়েকবার জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমরা কি চাও?’ সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনা। শুধু বাড়ে ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি, আর চোরাগোপ্তা কিল ঘুষি।

কিছুক্ষণ পরে জিয়া মাথা নীচু করে ফিরে আসেন টি এস সি তে। তার চেলাবেলারা গজরাতে থাকে, ‘একবার শুধু হুকুম দিয়ে দেখতেন। পুরা ভার্সিটিরে মাটির সাথে মিশায়ে দিতাম।’

ছাত্রলীগের ছেলেরা তাদের বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠে। এদের মধ্যে কেউ কেউ বলে,‘তোরা যাই বলিস না কেন, শালার কিন্তু স্ট্যামিনা আছে। এতো জোরে ঘুষি মারলাম, কিন্তু একটা টুঁ শব্দ পর্যন্ত করলো না।’

কয়েক মিনিট পরে সম্মেলনের প্রধান অতিথীর ভাষন দিতে উঠে দাঁড়ান জিয়া। ‘আজকে আমি একটি দারুন মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আপনার সবাই কত শিক্ষিত, কত জ্ঞানী, কত গুণী মানুষ। আমার দুর্ভাগ্য, আমি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার সুযোগ পাইনি। আপনাদের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে তাই আমি কিছুই জানিনা। একটু আগে আমি ছাত্রদের কাছে গিয়েছিলাম তাদের কথা শুনতে। কিন্তু তারা আমাকে কিছুই বলেনি। আজ আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করছি, আপনারা আমাকে দয়া করে জানাবেন যে আমি আপনাদের জন্যে কি করতে পারি। আপনারা যদি আমাকে না বলেন তাহলে আমার মতো অশিক্ষিত লোক কি ভাবে বুঝবে? কিন্তু আমি আপনাদের জন্যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে যা কিছু করতে হয় করবো।’

সেদিনের সেই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্ররা খুব দুঃখ পেয়েছিল। জিয়া যত খারাপ লোকই হোক না কেন, তাই বলে তার গায়ে হাত তোলাটা উচিত হয়নি। আফটার অল, সে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। সেই পদের বলে তো সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে চাইতেই পারে। তাই বলে তার গায়ে হাত তোলা হবে কেন? আর তা ছাড়া সে তো আমাদের কাছে আমাদের সুখ-দুঃখ জানতে চেয়েছিল। সেটা কি অন্যায়?

এ ছাড়া আরো একটা জিনিসও আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। সেদিন জিয়া ইচ্ছে করলেই ছাত্রদের এই দুর্ব্যবহারের সমুচিত জবাব শক্তি দিয়ে দিতে পারতেন, কিন্তু তা তিনি করেননি।

এই ঘটনার পর থেকেই সাধারণ ছাত্রদের কাছে জিয়ার ইমেজ খুব ভাল হয়ে গেল। এর কিছুদিন পরেই সেদিনের সেই লুকিয়ে থাকা জাতীয় ছাত্র দল আত্মপ্রকাশ করলো। সাথে সাথেই দলটির বেশ সমর্থন মিললো সাধারণ ছাত্রদের মাঝে।

আরো কিছু দিন পরের কথা। ডাকসু ইলেকশন হবে।

ততদিনে জাতীয় ছাত্র দল তাদের নাম বদলে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল হয়েছে। আমার সে বন্ধুটি তখন দলটির বেশ বড় নেতা। যদিও দলটি সরকারী সমর্থনপুষ্ট, কিন্তু তাদের জনপ্রিয়তা তখনো তেমন নয়।
ইলেকশনের দিন দুয়েক আগে বন্ধুটির সাথে দেখা হোল। ‘কিরে, তোদের ভোটের কি অবস্থা?’
সে মুখ বাঁকিয়ে ফেলে। ‘খুবই খারাপ।’
আমি সান্ত্বনা দেই। ‘মন খারাপ করিসনে। ছাত্ররা তোদের ভোট নিশ্চয়ই দেবে।’
সে আরো মুখ বাঁকায়। ‘আমি কি ছাত্রদের নিয়ে চিন্তা করছি নাকি?’
‘তাহলে?’
‘মেইন গ্যাঞ্জাম তো করেছেন আমাদের মহান নেতা?’
‘মহান নেতা? কে , জেনারেল জিয়া?’
‘তা ছাড়া আবার কে?’
‘কেন সে আবার কি করলো?’
‘আর বলিস না। সপ্তাহ খানেক আগে তিনি আমাদেরকে ডেকেছিলেন। ডাকসু ইলেকশনের খোঁজখবর নেবার জন্যে। সেখানে তিনি বললেন যে আমরা যেন শান্িতপূর্ণ ভাবে ইলেকশন করি। তিনি বললেন যে তোমরা ভালভাবে ইলেকশন করে যদি হেরেও আসো, তাও আমি তোমাদেরকে গোস্ত-পরোটা খাওয়াবো। কিন্তু কোন রকম মারামারি, বোমাবাজি বা সন্ত্রাস করা চলবে না।’

এখানে একটু বলে নেওয়া ভাল যে আওয়ামী লীগের আমলে ডাকসু ইলেকশনে সরকারী ছাত্র ফ্রন্ট যদি না জিততো, তাহলে ব্যালটবাক্স ছিনতাই বা অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার।

বন্ধুটি আবার গজগজ করে। ‘এটা কোন কথা হোল। আমরা হচ্ছি সরকারী দল। আমরা ইলেকশনে গো-হারা হারবো, আর আমরা কিচ্ছু করতে পারবো না। এ সব দুর্বলতা কি আমাদের মানায়?’

সে ইলেকশনে বলাবাহুল্য দলটির অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। তারা বোধহয় কোন একটি হল কমিটির একটি সদস্যপদে জিতেছিল মাত্র। পরে শুনলাম, দলের নেতাদেরকে আসলেই ভরপেট খাওয়ানো হয়েছিল।

পরের বছর। আবার এলো ডাকসু ইলেকশন। বন্ধুটি আবার মুখ ভার করে বললো, ‘এবারো সেই একই অর্ডার। কোন রকম গ্যাঞ্জাম করা চলবে না। মুখ বুঁজে হারতে হবে। টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করা যাবে না।’

সেবারে দলটি বেশ ভালই করলো। গোটা কয়েক হল কমিটি তারা পুরো প্যানেল ধরে জিতলো। ডাকসুর দু একটা পদও তারা পেলো।

ইতিমধ্যে ছাত্রদের মাঝে তাদের এই আচরণ বেশ প্রশংসিত হয়েছে। সরকারী দল, এবং তারা বারবার ইলেকশনে হারছে কিন্তু কোন রকম সন্ত্রাসী কার্য্যকলাপ করছেনা, এই জিনিসটিই সবাই খুব বিস্ময়ের সাথে খেয়াল করলো।

পরের বছর ডাকসু ইলেকশনে দলটি জিতলো তুমুল ভাবে। ছাত্ররা ততদিনে দলটিকে পছন্দ করা শুরু করেছে। এভাবেই দলটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলো।

আজকে আমার মনে হচ্ছে, জেনারেল জিয়ার তুমুল জনপ্রিয়তার মূলে বোধহয় ছিল যে তিনি আপাতদৃষ্টিতে শান্তিপ্রিয় একটি ইমেজ বজায় রাখতে পেরেছিলেন। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি সৎ ছিলেন। অথচ আজ তারই সৃষ্ট পার্টিতে অসৎ লোকের নেতৃত্ব, তার পরিবারের লোকেরাই আজকে দেশের টাকা লুটে শেষ করে দিচ্ছে। আজকে দেশব্যাপী এমন একটি নির্বাচনের রায়কে মিসেস জিয়া অগ্রাহ্য করছেন।

আমার মনে হয় আজ যদি জেনারেল জিয়া বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি আরিফ জেবতিকের চিঠির অন্ততঃ কিছুকিছু সাজেশন মানতেন। দুঃখজনক, খুবই দুঃখজনক।

সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো। ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন। দেশের জন্য আসুন কিছু একটা করি।


মন্তব্য

এনকিদু এর ছবি

জিয়াউর রহমানের এই ঘটনা গুলো জানতাম না । জেনে ভাল লাগল । ধন্যবাদ ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রানা মেহের এর ছবি

ঘটনাগুলো জেনে ভালো লাগলো।
তবে জিয়া শান্তিপ্রিয় ছিলেন কিনা
সে ব্যাপারে একটু সন্দেহ আছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রণদীপম বসু এর ছবি

আপনার লেখাটা চমৎকার হয়েছে। কিন্তু কোন মন্তব্য করতে পারছি না, আপনার কথাগুলো আজ প্রথম শোনার অভিজ্ঞতা হলো বলে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অভিজিৎ এর ছবি

উর্দিওয়ালারা যখন ক্ষমতা দখল করে তখন তার চ্যালাচামুন্ডাদের দিয়ে তৈরি করে কিছু অভাবনীয় মিথ। এই মিথগুলোই খুব জোরে সোরে মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয় গোয়েবলসীয় কায়দায় প্রতিদিনই অন্ততঃ পঞ্চাশ বার করে। ফলে একটা সময় পরে মানুষ ওগুলোকেই সত্য বলে মনে করে। এরশাদ সাহেব ক্ষমতা দখল করার পর বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা হল। এরশাদ হাটু পানিতে নেমে এক সর্বস্ব হারানো বুড়িকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন - এই দৃশ্য প্রতিদিনই টিভিতে দেখানো হত। আর ব্যাক গ্রাউন্ডে চলতো এন্ড্রু কিশোরের কন্ঠে সেই বিখ্যাত গান - "তোমাদের পাশে এসে সব ব্যাথা বুকে নিয়ে ...আজকের চেষ্টা আমার...'। রাতারাতি 'পল্লীবন্ধু' খেতাব অর্জন করলেন তিনি। আরেকবার গ্রামের এক এক মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে এসে এরশাদ ঘোষণা করলেন - গতকাল স্বপ্নে নাকি আল্লাহ তাকে নির্দেশ দিয়েছেন এ মসজিদে এসে নামাজ পড়ার। অথচ সেখানকার লোকাল লোকজন দেখেছে গত এক মাস ধরে সেই মসজিদের সামনে পুলিশের পাহারা ছিলো - নিরাপত্তার জন্য। আর এরশাদ এসে বল্লেন...গতকাল নাকি স্বপ্ন দেখেছেন।

জিয়া ব্যক্তিগতভাবে হয়ত সৎ ছিলেন, কিন্তু যারা জিয়াকে চেনে তারা সবাই জানে তিনি ছিলেন একজন উচ্চাভিলাসী প্রতিহিংসাপরায়ন মানুষ। কর্ণেল তাহের সহ শত শত মুক্তযোদ্ধাকে নিষ্ঠুরভাবে তিনি হত্যা করেছেন - ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য। এরশাদের সময় অভি-নীরু ক্যাডার বাহিনী যে তান্ডব করেছিলো - অভি-নীরু আসলে ছিলো জিয়ারই সৃষ্টি। শাহ আজিজের মত রাজাকারকে তিনিই মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তিনি ধর্মান্ধ জামাত শিবিরকে ইসলাম বেঁচে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। যিনি ঠান্ডা মাথায় মানুষ আর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করতে পারেন তিনি জনসমক্ষে এরকম ঘুষি হজম করবেন - এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সরি - আপনার 'শোনা' গল্পগুলো মেনে নিতে পারলাম না। আমার জন্ম হয়েছিলো ঢাকা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের টিচার্স কোয়ার্টারে। জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় আমি ক্যাম্পাসেই পার করেছি। জিয়া এরশাদের ক্যাম্পাসের সময়গুলো স্মৃতিতে আমার অম্লান। এ ধরণের ঘুষি খাওয়ার ঘটনা মোটেই ঘটেনি।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

রানা মেহের এর ছবি

অভিজিত এর মন্তব্যে চলুক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

মিথটি বিশ্বাসযোগ্য, এবং শুধুমাত্র বোকাদের জন্য। এপ্রসঙ্গে দুটো ঘটনা বলি।

এক, নব্বই দশকের শেষদিক। অমুক ভার্সিটিতে সরকারি দলের এক শীর্ষ ছাত্রনেতার চেলারা বলে বেড়াচ্ছেন যে, তার পুরো শরীরটাই কলজে --- তিনি নাকি এতটাই পালোয়ান গোছের। এমন সময় রিকশার টায়ার ফুটল, সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রনেতা ভোঁ-দৌড়ে নিকটতম বাথরুমে আশ্রয় নিলেন।

দুই, সত্তর দশকের শেষদিক। রাজধানীর তমুক স্কুলে হারিস-বাবর-মামুনের সেই ডাকসাইটে বন্ধুটি বার্ষিক পরীক্ষায় ফেল মেরেছে। জেনারেল ত' রেগে আগুন। রেভারেন্ড ব্রাদারের এত্ত সাহস! একমাস স্কুলের বিদ্যুত-জল বন্ধ রইল। ট্যাঙ্ক আশেপাশে মহড়া দিল। সন্ন্যাসী ব্রাদারেরা কিন্তু বড্ড বেয়ারা, একেবারে ভড়কাননি।

চেলাদের পাশে থাকলে বোকা না হয়ে উপায় আছে?

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

অবাঞ্ছিত এর ছবি

আরি !!! জোসেফাইট দেখি !!!! হাসি

বয়স কম হইলেও ঐ গল্প আমাদেরও শোনা
__________________________
I think , therefore i am - Descartes

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

এনকিদু এর ছবি

আমি জোসেফাইট না, কিন্তু এই গল্পটা শুনেছিলাম আগে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মাল্যবান এর ছবি

আপনার বর্নিত সময়ে আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম আর এ ঘটনাটিও মনে আছে। তবে জিয়াকে ঘুষি মারার কথা কখনো শুনিনি। হয়তো চোরাগোপ্তা ছিল বলেই হাসি
তবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে যতটা লেজবিশিষ্ট বলে আপনি দেখাচ্ছেন আমার অভিজ্ঞতা তা বলেনা।
আমাদের স্বল্পপরিচিত এক ছাত্রকে পরবর্তিকালে ছাত্রদলের নেতা বনে যেতে দেখেছি বলেই জানি কখন তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছিল, সরকারের কোন এজেন্সি তাদের হাতে অস্ত্র দিয়েছিল আর পরে এসব "নিরীহ" ছাত্ররা কেমন করে স্বমূর্তি ধারণ করেছিল।
উল্লিখিত "ছাত্রনেতা" পরে নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে "বিখ্যাত" হয়েছিল আর একসময় "ম্যাডামের" বিশ্বাসভাজন সরকারী কর্মচারি হয়েছিল।

দ্রোহী এর ছবি

মারাত্বক ডরাইছি!!!!!!!


গরীবের আবার সিগনেচার!!!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বুঝলাম, ইতিহাস অ্যামনেই লেখা হয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কনফুসিয়াস এর ছবি

বড়ই ইন্টারেস্টিং গল্প।
ইদানিং এরকম বেশ কিছু গল্প শোনা হচ্ছে- কদিন আগেই যেমন শুনলাম জিয়া মারা যাবার পর তার এক পকেটে কোরান শরীফ, অন্য পকেটে তিন টাকা পাওয়া গেছে।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

এনকিদু এর ছবি

ধর্মগ্রন্থের ব্যাপারটা বুঝলাম, কিন্তু তিন টাকার মাজেজাটা কি ? এত সংখ্যা থাকতে 'তিন' কেন ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

আনিস মাহমুদ এর ছবি

জটিল গল্প।

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এখন রাত অনেক, শুতে যাবো। তার আগে ব্লগে ঢুকে দেখি আমার লেখাটির উপর বেশ কয়েকটি মন্তব্য পড়েছে। ক্লান্ত শরীর, তার পরেও মনে হোল দু একটা কথা লিখেই তারপর শুতে যাই।

আমি আমার লেখাটিতে কোন ভাবেই বলতে চাইনি যে জিয়া মহা ভালো লোক ছিলেন। আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হোল যে জিয়া প্রথম দিকে একটি ভদ্র ইমেজ নিয়েই রাজনীতিতে এসেছিলেন। যে ঘটনাগুলোর কথা আমি লিখেছি সেগুলো আমি নিজে বিশ্বাস করি।
জিয়া যেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে চেয়েছিলেন, তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেদিন বিকেল বেলায় চায়ের দোকানে ছাত্রলীগের যে ছাত্রটি আমাকে গল্পটি বলেছিল সে নিজে জিয়াকে ঘুষি মেরেছিল বলে দাবী করেছিল, এবং তার মন্তব্যটি (‘শালার স্ট্যামিনা আছে’) আমি আমার লেখায় উল্লেখ করেছি। সে বিরোধীদলের লোক হয়ে যদি এই ধরনের মিথ ছড়ায়, তাহলে আমার কিছু বলার নেই।

এটিও কিন্তু সত্যি যে সরকারী সমর্থন-পুষ্ট জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পর পর দুটো ডাকসু ইলেকশনে পরাজিত হয়েছিল, এবং তারা কিন্তু তখন কোন রকম পেশীবল দেখায়নি। ঐটি ছিল সে আমলে খুবই আনকমন ব্যাপার। সরকারী দল মানেই ছিল কথায় কথায় পিস্তল/হকিস্টিক বের করা। শেখ মুজিবের আমলে শেখ কামালের দল নাকি ভোটে হেরে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করেছিল (শোনা কথা)।

আমার যতদূর মনে পড়ে বি এন পি এবং তাদের ছাত্র ফ্রন্টের অবক্ষয় শুরু হয়েছিল জিয়ার মৃত্যুর পর। এমন গুজবও চালু ছিল যে জিয়ার হত্যাকান্ডের পিছনে বি এন পির কিছু নেতার সমর্থন ছিল এবং তারা জেনারেল মঞ্জুরকে নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে জিয়াকে মারার পরিকল্পনা করে। এবং পরে যখন জেনারেল মঞ্জুর ধরা পড়লো, তখন তাকে অধুনা-পরিচিত ‘ক্রসফায়ার’ পদ্ধতিতে মেরে ফেলা হয়। কেন তার বিচার হোলনা, সেটি আজো একটি রহস্য। গুজব বলে যে জিয়া বি এন পির ভিতরে একটি বড়সড় রিফর্ম করতে যাচ্ছিলেন, যাতে অনেক বড় বড় নেতাদেরকে পার্টি থেকে বের করে দেওয়ার প্ল্যান ছিল। সে প্ল্যান কার্যকর করার আগেই সে গুড়ে বালি।

জিয়ার চরিত্রের অন্ধকার দিকগুলো আজ আমাদের অনেকেরই জানা। যে নিষ্ঠুরতার সাথে কর্ণেল তাহের সহ আরো বহু আর্মির অফিসারদের কি ভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে তা আস্তে আস্তে পরিষ্কার হচ্ছে আমাদের কাছে। জিয়াই শাহ আজিজের মতো রাজাকারের সাথে আঁতাত করেছিলেন। আমি জিয়াকে কোন ভাবেই ভাল লোক বলে দাবী করতে চাইনি। আমি যেটা বলতে চেয়েছি তা হোল যে জিয়া বুদ্ধিমান লোক ছিলেন, এবং তিনি আজকে থাকলে নিশ্চয়ই এমন একটি পদক্ষেপ নিতেন যাতে বি এন পির ইমেজ মানুষের কাছে উন্নত হোত। মিসেস জিয়া তা করেন নি। এইই ছিল আমার মোদ্দা কথা। (অবশ্য জিয়া হয়তো একটা ক্যুও করে ফেলতে পারতেন।)

তারপরেও একটি কথা এখানে মনে রাখা দরকার। যতদিন জিয়া বেঁচে ছিলেন তিনি কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। যেদিন তিনি মারা গেলেন, সেদিন আমি নিজের চোখে বহু সাধারণ মানুষকে কাঁদতে দেখেছি। তার বিশাল নামাজে জানাজার স্মৃতি আমার বয়সী অনেকেরই মনে আছে। জিয়াকে নিয়ে অনেক মিথ হয়তো তার মৃত্যুর পরে তৈরী হয়েছে, কিন্তু বেঁচে থাকার সময়ে মানুষটি খুব জনপ্রিয় ছিল।

আমার দীর্ঘ মন্তব্য আশাকরি কারো বিরক্তি উত্পাদন করবে না। নববর্ষের শুভেচ্ছা সবাইকে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

রানা মেহের এর ছবি

জামাতের কথাতো বাদই দিলাম।
এরশাদ মারা গেলেও বেশ কিছু মানুষ মন থেকেই কাঁদবে।
একে নিশ্চয়ই আপনি 'ভালোমানুষীর' বা 'জনপ্রিয়তের' মাপকাঠি বলবেন না।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

s-s এর ছবি

জিয়া র প্রতি শ্রদ্ধা জাগানোটা একটু কঠিন ভাই, ঘটনা সত্যি হয়ে থাকলেও কঠিন। এটুকুই।

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

অতিথি লেখক এর ছবি

জিয়া আর এরশাদের মাঝে তেমন কোন পার্থক্য আছে কি? কেউ দয়া করে বলবেন?একজন গোয়াজম গংদের পুনর্বাসন করেছেন আর আরেকজন করেছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম।

আরিফ জেবতিকদের অন্ধত্ব আসলেই মাঝে মধ্যে চোখে খুব লাগে।

অভিজিতের কথায় সুর মিলিয়ে বলতে চাই, "উর্দিওয়ালারা যখন ক্ষমতা দখল করে তখন তার চ্যালাচামুন্ডাদের দিয়ে তৈরি করে কিছু অভাবনীয় মিথ। "

রানা মেহের এর ছবি

i]আরিফ জেবতিকদের অন্ধত্ব আসলেই মাঝে মধ্যে চোখে খুব লাগে। [/i]

অতিথী ভাই

এর মধ্যে কথা নেই বার্তা নেই 'আরিফ জেবতিক' কোথা থেকে আসলেন?
তাও আবার বহুবচনে?

আরিফ ভাইয়া কিন্তু সামহোয়ারের লেখায় একবারো জিয়ার নামও
উচ্চারন করেননি।
এখানে তার নাম আনার আদৌ প্রয়োজন আছে কি?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আরিফ জেবতিকদের অন্ধত্ব আসলেই মাঝে মধ্যে চোখে খুব লাগে।

অন্ধত্ব কারো চোখে লাগে , এমন আজিব তথ্য এর আগে শুনিনি ।

জনাবের কাছে নিবেদন এই যে , নিজ নামে লিখুন ।
চাইলে আপনিও আরিফ জেবতিকের নাম নিয়ে একটি পোস্ট দিতে পারেন ,সেখানে অন্ধত্ব সমূহের একটা তালিকা লটকে দিন , উপকৃত হই ।
আপনার সেই "অতিথি পোস্ট"টি অবমুক্ত করার জন্য মডারেটরদের কাছে অগ্রিম আবেদন জানিয়ে রাখছি ।

অমিত আহমেদ এর ছবি

আরিফ জেবতিকদের অন্ধত্ব আসলেই মাঝে মধ্যে চোখে খুব লাগে।

এই কথার মানে কী বুঝায় বলেন। আলোচনায় আরিফ ভাই কোত্থেকে আসলো?

ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

হাসান মোরশেদ এর ছবি

খালেদা ও তার পুত্রদের দুর্নীতি ও ফ্যাসিজমের প্রসংগ এলেই কেউ কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন তার প্রয়াত স্বামীর স্মৃতিতে । দীর্ঘশ্বাসের আড়ালে আসলে বলতে চান- আহারে এমন ভালো মানুষটার বৌ-বাচ্চারা এমন হলো কেমন?

এর মাধ্যমে তারা আসলে আড়াল করতে চান বাংলাদেশ রাষ্ট্রে অবৈধ ক্ষমতা দখল, ষড়যন্ত্র, হত্যা, ক্যুর গোড়াপত্তনকারী একজন সুযোগসন্ধানী খুনী জেনারেলকে ।

আমাকে কি কেউ দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন কোন শুভবোধ সম্পন্ন মানুষ কোন যুক্তি কিংবা আবেগে জিয়াউর রহমানকে সমর্থন করতে পারে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

ঐ জেনারেল যা করেছেন তা হল পাব্লিকের মধ্যে নিজের একটি নিরালা গৃন লন্ড্রি সাবানে ধোয়া ঝকঝকে জামার ইমেজ তৈরি আর তার মধ্যদিয়ে মানে সমাজনীতি রাষ্ট্রনীতি অর্থনীতি সবকিছুকে জটিল কাদার মধ্যে নিক্ষেপ যাতে করে বহুবছরেও এইসব চক্রব্যুহের ভেতর থেকে বের না হওয়া যায়। সমস্যা তিনি দিনদিন বাড়িয়েই চলেছেন এবং একপর্যায়ে পড়েছেন নিজের খোড়া কূপের মধ্যেই।

জেনারেল ইন হিজ ল্যাবিরিন্থ।

তিনি মরে বেঁচে গেছেন। তাঁর মৃত্যুর সময় আমরা যারা শিশু ছিলাম তাদের জন্য দিয়ে গেছেন একপাল সুবিধাবাদী, রাজনৈতিক পিশাচ আর দেশ নামের একটা নরকের কুণ্ড।

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

আরিফ জেবতিক এর ছবি

নেটের অসুবিধার কারনে গতকাল কমেন্ট করতে পারিনি ।

প্রথম কথা হচ্ছে , এই পোস্টের শিরোনামটি খুবই আপত্তিকর । শিরোনামে আমার নাম নেয়া কোনভাবেই প্রাসঙ্গিক মনে হয়নি ।

জিয়া-এরশাদ-খালেদা-হাসিনা নিয়ে মিথ তৈরী করা কোন অসম্ভব ব্যাপার নয় । এসব মিথের কতোগুলো সত্যি , কতোগুলো মিথ্যে , সেটা নিয়েও আমার মাথাব্যথা কম ।
সুতরাং পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কোন আলাদা মতামত নেই ।

অমিত আহমেদ এর ছবি

কাহিনীগুলো খুব একটা বিশ্বাস হলো না। জিয়া বিষয়ে হাসান মোরশেদ ভাইয়ের মূল্যায়নে জাঝা।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

Olok এর ছবি

বিচারা জেবতিক সাহেবকে টেনে আনা কেনো। সেতো আমাদের মতো মানুষের মনের কথাটাই বলেছে।
মি. জেবতিক, আপনার নাম শিরোনামে ব্যবহারটা খারাপ কিছু হয়নি।

অমিত এর ছবি

মহান নেতা বলে আসলে কিছুই নাই। বেটার অফ দা টু থিওরিতে আগানো যাইতে পারে তবে সত্যিকারের "ভালো"মানুষ নেতা বলে কিছুই নাই।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আমার এই লেখাটিকে নিয়ে এত আলোচনা/সমালোচনা হবে তা ভাবিনি। আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম যে জেনারেল জিয়া বর্তমান পরিস্থিতিতে মিসেস জিয়ার চাইতে হয়তো ভিন্ন ভাবে রিএ্যাক্ট করতেন, যা হয়তো বিএনপি পার্টির জন্যে ভাল হোত। ব্যাস- এটুকুই ছিল আমার মূল বক্তব্য। সেই সাথে দু একটা গল্প ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম লেখাট‌িতে। সেইখানেতেই বোধহয় সমস্যা হয়েছিল।
জেনারেল জিয়ার সাফাই গাওয়া মোটেও আমার উদ্দেশ্য ছিল না।

ভাই আরিফ জেবতিক-লেখাটির শিরোনামে আপনার নাম উল্লেখ করাতে আশাকরি আপনি বেশী মনক্ষুন্ন হননি। আমি দুঃখিত যে এই কারণে আপনাকেও দু একটা মন্তব্য হজম করতে হয়েছে।

বোঝা গেল যে রাজনীতি জাতীয় কঠিন বিষয় নিয়ে আমার কোন কিছু না লেখাই উচিত।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি লেখেন। সমস্যা তো দেখিনা। মন্তব্য হজম করেন। বমি না হলেই হলো। সব নেতারই ভালো মন্দ নিয়ে লেখেন। জিয়ার ভালো দিক ছিলো, খারাপ দিকও ছিল। মুজিবের ও একই অবস্থা। ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষ। আপনার যা নিয়ে লেখার ইচ্ছে তাই নিয়ে লেখেন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ব্লগ খুব খতরনাক যায়গা। এইখানে পাবলিক দুমদাম করে সত্যটা বলে ফেলে। আপনি ধৈর্য হারাবেন না। লিখে যান।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।