আমরা ভুলে যাই। কারণ লজ্জার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চে’, ভুলে যাওয়া অনেক সহজ। তাই আমরা প্রতিদিন আড্ডা দেই- রাজনীতি,ধর্ম আর ক্লাব ফুটবল নিয়ে ঝগড়া করি; মিথলজির মত চিত্তাকর্ষক বিষয়ের সাথে পার্থিব পলিটিক্স আর জাতিগত ইতিহাসের মত জটিল বিষয় মিলিয়ে অব্যার্থ ভাবে প্রমাণ করি আমরা এক এক জন জ্ঞানের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। তক্কে তক্কে অপেক্ষা করে বসে থাকি- কোন ব্লগার মরলেই, কোন নারীর উপর অন্যায় হলেই আমরা ফেসব
তিনি কহিলেন-
ওর বৈশিষ্ট্য ওর একাকীত্ব।
সকল কিছুর ভেতরে সে একা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
ও যদি কারও সামনে দাঁড়িয়েও থাকে- তাকে কেউ দেখতে পায় না।
জীবনে ওর বিচলিতভাব প্রকাশ পায় না।
ও জ্ঞানহারা হয় না। সজ্ঞানে থাকে। এই কারণে তাকে আলাদা মনে হয়।
যেমন ধরেন ও আসবে বলে কত কথা হচ্ছে।
ওর বসার জায়গা আছে।
ও আসলো ঠিকই কিন্তু ওর জায়গায় ও বসলো না। ওর স্বভাবই ওরকম।
আপনি জানছেন না, আপনার শিশু সন্তানটি কিভাবে কখন যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এই পৃথিবী মোটেও সভ্য নয়, নিরাপদ নয়। শত সহস্র যৌন বিকারগ্রস্থ মানুষরূপী পশু ওত পেতে আছে সর্বক্ষণ। তাদের ভয়ঙ্কর থাবায় কখন আপনার পরম আদরের নিস্পাপ শিশুটি নিগ্রহিত হচ্ছে তা আপনি সত্যিই হয়তো জানতে পারছেন না। এই না জানার কারণগুলো-
১) এ বিষয়ে আপনার সন্তানের অজ্ঞতা
২) প্রকাশের ক্ষেত্রে ভীতি
অনেক দিন ধরেই খেয়াল করছিলাম আশেপাশে বন্ধুবান্ধবরা তাদের ছেলেমেয়েদের খুব অদ্ভুত অচেনা শব্দযুক্ত নাম রাখছে, নির্দিষ্ট করে বললে আরবি শব্দের নাম রাখছে। আরবির প্রতি আমার কোন ঘৃনা নাই, কিন্তু হিব্রু যেমন আমি বুঝি না, তেমনি আরবিও আমি বুঝি না। তাই ছেলেমেয়েদের এই নাম রাখার সংস্কৃতি আমার কাছে খুবই অদ্ভুত ঠেকত। নাম বাংলায় না রেখে কেনো আরবিতে রাখা হচ্ছে সেটাতে অবাক হতাম।
জেনেছি জন্ম আর মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার হাতে। কিন্তু এই বঙ্গে জন্মে দেখছি মৃত্যু মৌলবাদীদের হাতে। মৌলবাদীদের চুরির তলে নিজ মস্তক বিছিয়ে দিয়ে পৃথিবীকে বিদায় জানাতে হবে এমন অলিখিত নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশে প্রতিটি সূর্যদয় আর সূর্যাস্তের সাথে। না এখন সাম্প্রদায়িক শক্তির দল ক্ষমতায় নেই, না এখন রাজাকারের দলও ক্ষমতায় নেই। এখন ক্ষমতায় যারা তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল, তারা ধর্মনিরপেক্ষ অসম্প্রদায়িক মান
কাহিনী-১
আমাদের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় বদরুল খালু সপরিবারে আমাদের নানু বাড়িতে বেড়াতে আসলেই দেখতাম খালা-নানু মহলে হাসির রোল পড়ে গেছে। সবাই বলাবলি করত বিড়াল আসছে, সাবধান! নানুরা অনেক ভাই-বোন ছিল, সবাই একই শহরে খুব কাছাকাছি থাকতো। আমরাও অনেক খালা-মামা আর নানা-নানুর সাথে হাসিঠাট্টা করে বড় হয়েছি। যাইহোক, ছোটকালে ভাবতাম বদরুল খালুকে বেড়াল ডাকা হয় উনার চেহারার কারণে, কিন্তু একটু বড় হওয়ার পরেই আসল কাহিনী ধরতে পারলাম। এক খালা এসে একদিন বত্রিশটা দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বলল যে উনার কিন্তু একটু খামচানোর স্বভাব আছে, নিজের পশ্চাৎদেশ বাঁচিয়ে চলো, কিছু হইলে আবার আমাদের দোষ দিয়ো না!
তানভীর আহমেদ।
ঢাকায় বসে ছোট ভাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে এখন নাকি ভূমিকম্পের দোলাতে আর ভয় লাগেনা, গত কয়েকদিন ধরে এত বেশি দোলা খাচ্ছে ঢাকা শহর ভয় যেন কেটে গেছে। তার এই স্ট্যাটাসে কোন লাইক দিতে বা কমেন্ট করতে পারিনি। খুবই ভয় লাগে যদি ভাবি ঢাকা শহরে ভূমিকম্পের কথা। আমার ধারনা যে কোন মাঝারি মানের ভূমিকম্পের জন্য ঢাকার চেয়ে অন্য কোন ঝুঁকিপূর্ন শহর পৃথিবীর অন্য একটি নেই। এখন সেই ঢাকাই হচ্ছে অন্যতম একটি ভূমিকম্পপ্রবণ
খুব বেশিদিন আগের কথা নয় যখন যৌনকর্মীরা স্যান্ডেল পড়ে চলাচল করতে পারতেন না।
যৌনপল্লীর কোন যৌনকর্মীর সাধারণ কবরস্থানে কবর হয়না। তাদের জন্য পল্লীতে আলাদা কবরস্থান থাকে। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও একইরকম পার্থক্যের স্বীকার হন।
সম্ভবত গত বছর ফরিদপুরে যৌনকর্মীদের নিয়মিত কবরের ব্যবস্থা করেছে দ্য প্রস্টিটিঊট এসোসিয়েশন ফরিদপুর।
বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর আওতায় যৌনকর্মীরাও পড়েন। কিন্তু কোনরকম অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে ৯৯.৯৯ ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের অভিযোগ আমলে নেয়া হয়না উল্টো সামাজিক এক্সপোজারের ভীতি দেখানো হয়।
এই খবর জানানোর পরে আশে-পাশে মানুষ বিশেষ করে কিছু কিছু বন্ধু-বান্ধবদের কথায় মনে হলো শতাব্দীর সবচেয়ে খারাপ কাজটা আমি করেছি। এত বছরের পড়াশুনা সব জলাঞ্জলী দিয়ে একি কাণ্ড বাধিয়েছি! প্রথমে আমি ঠিক বুঝি নাই সমস্যাটা কোন-খানে। কয়েকজন অতি উৎসাহী হয়ে জানালেন আমার বয়েস যাচ্ছে বেড়ে, আরো একবার বিয়ে করা উচিত জলদি; মা হবার বয়েস পার হয়ে গেলে আমাকে নাকি আর পার করা যাবেনা।
একজন আরো এক কাঠি সরেস, ঠারেঠোরে বলেই ফেললেন আমার এমনিতে যা শরীরের গঠন তাতে করে বিয়ে হওয়া মুশকিল, এমন অবস্থায় চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে নিজের পায়ে নাকি কুড়ালই মেরেছি।